নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/asrafulalam

ব্যোমকেশ বাবু

ব্যোমকেশ বাবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবিশ্বাসীর ফ্লাট আর্থ থিওরী

১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১:২২


এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা বিশ্বাস করে পৃথিবী গোলাকার না। সমতল। এই শ্রেণীর সংখ্যাও খুব একটা কম না। ইউরোপ আমেরিকাতে তাদের নিজ্বস্য অফিস আছে। মাঝে মাঝে তারা আবার আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সাথেও সাক্ষাত করে। এরা নিজেদের ফ্লাট আর্থ থিওরির সমর্থক বলে দাবী করেন। এই উদ্ভট শ্রেণীর মানুষগুলোকে নিয়ে লেখার কারণ হলো এরা পৃথিবীর অনেক দ্রুব সত্যকে অস্বীকার করে আর সাথে সাথে এ নিয়ে অতি জ্ঞান গর্ব যুক্তি তর্কে অবতীর্ণ হতে পারে। এই মহাজ্ঞানী শ্রেণীর একটা বিশ্যাস হলো পৃথিবী থেকে কখনো কোন কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে উঠেনি। উঠার কোন কারণও নেই। যেহেতু এদের পৃথিবী সমতল সুতরাং মহাকাশ বলেও এদের কাছে কিছু নেই।

দেশের প্রথম স্যাটেলাইট ইতিমধ্যে মহাকাশে ঘুরপাক খাচ্ছে। সবার চোখের সামনে দিয়ে আকাশ ফুঁড়ে স্যাটেলাইটটি মহাকাশে উঠলেও দেশের একটা শ্রেণী এখনো কোন এক অদ্ভুত কারণে ব্যাপারটা মেনে নিতে পারছেন না। না পারারই কথা। মানা বা না মানা যেহেতু নিজের উপর তাই তারা না মানতেই পারে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে দেশীয় এই শ্রেণীটির কাছে আমাদের প্রথম স্যাটেলাইটটি নিয়ে তেমন একটা কন্সপিরেসি থিওরী নেই। বা এখনো তারা বানিয়ে উঠতে পারছেন না। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলছেন " আগে যাক, মহাকাশের আসে পাশে ঘুরুক , এরপর দেখা যাবে " উনি ঠিক কি দেখবেন খালি চোখে আমার জানা নেই। তবে সমতল পৃথিবীর ধারণা উনার ক্ষেত্রে হয়তো বেশ প্রযোজ্য।

সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক তরুণ নানান ভাবে তাচ্ছিল্লের পোস্ট দিচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট নিয়ে। দিতেই পারে। ফেসবুকে পোস্ট দিতে খুব একটা সমস্যা থাকার কথা না। কিন্তু সমস্যা হলো এরা কেউই যথাযত যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেনা কিভাবে নিজেদের সমর্থন করবে। তাদের জন্য হয়তো সমতল পৃথিবীর ধারণা। কারণ পৃথিবী সমতল এটা মেনে নিলেই সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

জ্ঞানের পরিসীমার শেষ নেই। তবে জ্ঞানের সাথে যদি ঘৃণা যোগ হয় তবে তার সীমা স্বাভাবিক ভাবেই বেশ সীমিত। একটা স্যাটেলাইট উঠবে আকাশে। আমরা এর সুফল ভোগ করবো। সবাই মিলে আনন্দ করবো। এটাই স্বাভাবিক। তবে অস্বাভাবিক আচরণ থাকতেই পারে। যারা আনন্দ করছে তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশের আচরণ হতেই পারে। তাই বলে পৃথিবী সমতল স্বীকার করে নেয়া ঠিক হবে কিনা তা আপাতত অবিস্বাসীরাই ভালো বলতে পারবেন।

বিশ্বাসী আর অবিশ্বাসী উভয় পক্ষের যুক্তি থাকতে পারে। যেমন যারা বিশ্বাস করে পৃথিবী সমতল তাদের কাছে এর অকাট্য যুক্তি আছে। এমন সব যুক্তি যা আসলেই খণ্ডানো সম্ভব না। যেমন ধরুন আপনি সাগর পারে দাঁড়িয়ে আছেন। দূর থেকে একটা জাহাজ দেখছেন এগিয়ে আসছে। এক্ষত্রে পৃথিবী যদি গোল হয় তাহলে প্রথমে আপনি জাহাজের মাস্তুল দেখবেন এরপর ধীরে দিয়ে সমস্ত জাহাজ। কিন্তু আদতে জাহাজটি খুব ছোট থেকে আস্তে আস্তে আপনার দিকে বড় হতে থাকবে। বিশ্বাস না হলে একবার সাগর পারে গিয়ে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এই রকম ডজন খানেক অকাট্য যুক্তি নির্ভর এই শ্রেণীর বিশেষ গুন্ এরা সবাই কন্সপেরিসি থিওরিতে বিশ্বাস করে। দুনিয়ার সহজ সরল সমীকরণ এরা সহজে মেনে নিতে পারেনা ।

আমাদের আসে পাশেই এই রকম অনেকে আছেন যারা সহজভাবে কোন কিছু মেনে নিতে পারে না। এই মুহূর্তে অনেকে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বাংলাদেশের নিজের একটা স্যাটেলাইট কিভাবে মহাকাশে যায় ? তাদের জন্য যুক্তির প্রয়োজন। যুক্তিবাদী এই মানুষ গুলু এই মুহূর্তে যথেষ্ট যুক্তির অভাবে আছেন। আসুন তাদের জানাই পৃথিবী গোল নয়। সমতল। আর এর পেছনে অনেক যুক্তি আছে। দেখবেন হয়তো তারা এটাও বিশ্বাস করে বসবে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৪৩

সাহাবুব আলম বলেছেন: কথা যথাযথ

২| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৪৬

শহীদ আম্মার বলেছেন: অনেক দিন পর লিখলেন। আপনার লিখার অপেক্ষায় ছিলাম। ভাল লাগলো। তবে আমার মনে হয় সমতল ভূমি থিওরীর সাথে একমত না হয়েও স্যাটেলাইট প্রজেক্ট এর বিরোধীতার কিছু গ্রাউন্ড আছে।

১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৫০

ব্যোমকেশ বাবু বলেছেন: ধন্যবাদ / স্যাটেলাইট নিয়ে বিরোধিতা থাকতেই পারে / দেশের সবাই একমত হবে তাও না / তবে মতের পক্ষে যুক্তি থাকলে বুজতে সুবিধা হয় / মত প্রকাশের অধিকার সবার আছে / তবে যুক্তি দিয়ে উপস্থাপন করলে স্যাটেলাইটের সমস্যাগুলো চিন্নিত হতে পারে /

৩| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৪৭

কলাবাগান১ বলেছেন: উড্ডয়ন নের প্রায় ১০-১৫ মিনিটের মাঝেই পৃথিবীর বক্ররেখা দেখা গেল ফ্যালকন ৯ এর ক্যমেরাতে..

আর ফখরুল সাহেব দের লোকদের জ্ঞান জানা আছে তাই উনি বলছেন আগে ঘুরুক তারপর দেখা যাবে...

৪| ১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:২৭

রুদ্র নাহিদ বলেছেন: সমালোচনা হতেই পারে। পুরো ব্যাপারটা নিয়ে 'অস্বচ্ছতা' থাকায় আর এতো বিশাল পরিমান টাকা ইনভল্ব হওয়াতে অবশ্যই পুরোটা জানার অধিকার একজন নাগরিকের আছে। সরকারের উচিত ছিল পুরো ডিলটা সম্পর্কে খুঁটিনাঁটি সহ ব্রিফিং করা। আর এমন মানুষ দিয়ে ব্রিফ করা যারা আসলেই বুঝে এসব জিনিস নিয়ে। ইন্টারেনেটের যুগে আলোচনা, সমালোচনা, হাসি-ঠাট্টা সবই হবে। এটা তো বন্ধ করা যাবে না।

৫| ১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: সমালোচনা থাকবেই।
মনে করুন একটা মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে- তখন একদল লোক বলবে ভালো হয়েছে। আবার আরেক দল বলবে খারাপ হয়েছে।
সমালোচনা সকল কাজের গতি আনে, তবে তা যদি হয় গঠন মুলক।

৬| ১৩ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

প্রািন্ত বলেছেন: মানুষের মুখ ধরে রাখা যায়না। এর অনেক কারণও আছে। এই স্যাটলাইট তৈরী থেকে শুরু করে মহাশে পৌছানো পর্যন্ত এর যে পরিমাণ ব্যয় হয়েছে সে টাকা কী উঠবে? এই স্যাটেলাইট আগামী ১৫ বছর মহাশে কাজ করতে পারবে। তবুও আমরা সবই মানছি। কিন্তু প্রতিবেশী ভারতের কিছু মুর্খ বাঙ্গালী ফেসবুকে ঠাট্টা বিদ্রুপ করছে তার জবাব কেন দিলেনা? তাদের যুক্তি এই স্যাটেলাইটের একটা স্ক্রুও বাংলাদেশে তৈরী হয়নি। তাই বাংলাদেশের গর্ব করার কিছু নেই। কিন্তু মির্জা ফকরুল ইসলাম আলগীরকে নিয়েই আপনাদের মাথা এত বেশী কাজ করে কেন?

৭| ১৩ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

খাঁজা বাবা বলেছেন: Click This Link

৮| ১৩ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: হোকনা বাহিরে তৈরী হয়েছে, তাতে কি ? টাকা দিয়ে কিনেছি, ইনভেষ্ট করা হয়েছে, শুধু টাকার অঙ্কে লাভ না খুজে, এভাবেও তো দেখতে পারি যে, আমরা একটা এডভ্যান্স টেকনোলজিতে অভিজ্ঞ হচ্ছি, আরো একধাপ এগিয়ে যাবো। এবারেরটা না হয় না বানালাম, পরেরটা বা তার পরেরটা বানাবার পথতো উন্নমোচন হলো :) আমি আশাবাদী !!! :)
নৈরাশ্যবাদীদের জন্য সহানুভুতি B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.