নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/asrafulalam

ব্যোমকেশ বাবু

ব্যোমকেশ বাবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্যাস্টিক জনিত আবেগ

০১ লা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০৫


আমার অতি পছন্দের একজন নাট্য নির্মাতাকে আজকে খানিকটা উপদেশ দিলাম। উনাকে রাতে শোবার আগে একটা ৩ মিলি লেক্সাটানিল ট্যাবলেট আর খাবার আগে গ্যাস্টিকের যেকোনো একটা ট্যাবলেট খেয়ে নিতে বললাম। আমার ধারণা উনার গ্যাস্টিকের সমস্যা হচ্ছে। গ্যাস্টিকের সমস্যার কারণে উনি বেশ আবেগ তাড়িত হচ্ছেন। এটা হতেই পারে। বুকের বাম পাশে কেমন কেমন লাগলেই যে বিবেগ নাড়া দিবে এমন কোন কথা নেই। এটা গ্যাস এর জন্যও হতে পারে। সমস্যা আরো জটিল হতে পারে বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ শ্রাবন মাসে। আপনি যাই খাবেন দেখবেন সহজে হজম হচ্ছে না। বুকের মধ্যে কেমন কেমন যেন লাগছে। আপনার কাছে মনে হবে আর্জেন্টিনা বা ব্রাজিলের জন্য মনটা কেমন করছে। অথবা কোটা আন্দোলকারীদের বেধড়ক পিটুনি দেখে মনটা উতলা হচ্ছে। সাথে সাথে একটা গ্যাস্টিকের ঔষুধ খেয়ে নিতে পারেন। দেখবেন ভালো লাগবে।

একেক জনের হজমের শক্তি একরকম। কেউ এক বসায় হাসি মুখে আস্ত একটা খাসি খেয়ে ফেলতে পারে। আবার কেউ সামান্য ডিম্ খেয়েও ঝিম মেরে যেতে পারেন। সমস্যাটা ডিম্ বা মাংসে না। সমস্যা পেটের ভেতর। অভ্যন্তরীণ শারীরিক এই সকল সমস্যা চোখে দেখা না গেলেও এর বহিঃপ্রকাশ ঘটে। যেমন ধরুন কোটা আন্দোলনকারীদের কথা। আবেগী এই তরুণ সমাজ প্রতিদিন আর কিইবা খায়। এই ধরুন টঙের দোকানের চা , ভাজা পোড়া এইসব। গ্যাস্টিক এর সমস্যা তো হবেই। এদের সবারই বুকের বা পাশটা কেমন কেমন করছিলো অনেক দিন থেকে। বুজতেই পারলো না এটা আবেগ বা বিবেগ জাতীয় কিছু না। সামান্য গ্যাস হচ্ছে পেটে। আগে থেকে গ্যাস্টিকের ওষুধ খেয়ে নিলে আজকে ডিম্ খাবার মতো অবস্থার সৃষ্টি হতো না।

বিশ্বকাপের খেলা গুলু যদি রাতে না হয়ে দিনের বেলা হতো দেখতেন ফেসবুকের অর্ধেক পোস্ট কমে যেত। রাতে ভরপেট খাবার এর পর গ্যাস এর সমস্যাকে আমরা মিলিয়ে ফেলি আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের সাথে। তবে সবাই যে আমার গ্যাস তত্ত্বে একমত হবেন তা কিন্তু না। পেটে পর্যাপ্ত পরিমানে গ্যাস নিয়ে ঘোরাফেরা করা লোকের সংখ্যাও নেহাত কম না।

৫২ , ৭১ আমাদের সব অর্জনই বেশ আবেগ তাড়িত। তখনকার আমাদের আবেগ ছিল বেশ কড়া। তবে খাবার দাবারের পুষ্টিগুণে গ্যাস্টিকের সমস্যা তখন এতো প্রকট ছিল না। আন্দোলনে আবেগ থাকলেও থাকতো একটা ঠান্ডা মাথার পরিকল্পনা। কি করলে কি পাবে বা কখন কি করা উচিত তা বুজতে পারতো ৫২ বা ৭১ এর সৈনিকরা। যার কারণে বাংলাদেশ। তবে খাবার দাবারে ভেজালের কারণে এখন কেউই আর আগের মতো মাথা খাটাতে পারছে না। পেটের মধ্যে গ্যাস যখন ছাড়া দিয়ে উঠে মাথা আর কাজ করে না।

আন্দোলকারীদের একজন আবার শাঁস প্রশ্বাস এর সমস্যা জনিত রোগে আক্রান্ত। একে তো গ্যাস্টিকের সমস্যা এর উপর উনি উনার নিশ্বাস কে বিশ্বাস করতে পারছেন না। কিভাবে যে কি হবে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। দেখা যাক কোথাকার গ্যাস কোথায় উড়ে বেড়ায়। তবে আপনার যদি এই মুহূর্তে বুকের বাম পাশটা যদি কেমন কেমন লাগে তবে এখুনি একটা এন্টাসিড জাতীয় কিছু খেয়ে নিতে পারেন। দেখবেন বেশ ভালো লাগবে। ও কিছুই না। নিতান্তই পেটের অম্ল জাতীয় সমস্যা। আবেগ বা বিবেগের সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪২

অক্পটে বলেছেন: সরকারের গ্যাস্টিক হইসে ভাই এদের একটা ওষুধ দেন।

২| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর পড়ার টেবিলে ফিরে গেছে। বর্তমানে জামায়াত শিবির ও জেএমবির জঙ্গিরা সারাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীদের ফাঁদে ফেলে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন ও অবরোধ ধর্মঘট করার ষড়যন্ত্র চলছে।

৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪

নাহিদ০৯ বলেছেন: কেউ গ্যাসের বড়ির বিশাল কাভার্ড ভ্যান নিয়ে ত্রান বিতরন চলছে জাতীয় ব্যানার নিয়ে দেখা দিতেই পারে। সব ই সম্ভব..।

৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

তানভির জুমার বলেছেন: রাজীব নুর ভাই সত্যটা জানার চেষ্টা করেন। জামায়াত শিবির এখন এই আন্দোলনে ভিরার চেষ্টা করেছে কিন্তু এই আন্দোলন জামায়াত শিবির ও জেএমবির জঙ্গিদের না। এটা ১৬ কোটি মানুষের আন্দোলন। আওয়ামীলীগের খোলস থেকে বের হয়ে একজন ৩০ বছরের বেকার যুবকের চোখে তাকান তাহলে বুজতে পারবেন আই আন্দোলন কতটা যৌক্তিক।

৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

মোঃ ফখরুল ইসলাম ফখরুল বলেছেন: =p~

৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আমাদের এলাকায় গ্যাসের অভাবে সময়মত রান্না হইতাছে না ! আর জাতি দেখি গ্যাসে ভাসিতেছে ! গ্যাস সংযোগ দিয়া গ্যাস সমস্যায় জর্জরিত অঞ্চলগুলোতে গ্যাস সরবরাহ নির্বিঘ্নকরণের জোর দাবি জানাই !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.