নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

My scrapbook!

বৃতি

অলস সময়ে শব্দ নিয়ে কিছু কাটাকুটি খেলা চলে। সাহিত্য, গভীর চিন্তাশীলতা, দর্শন- ইত্যাদি ইত্যাদি এখানে না খোঁজাই ভালো।

বৃতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

একুশে ফেব্রুয়ারি: এক মহান উপাখ্যান যেভাবে স্বপ্ন থেকে সত্যি হলো

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৯


"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?" একুশে ফেব্রুয়ারি ভোলার মত নয়, কিছুতেই ভোলা যায় না-- বাংলাদেশের ইতিহাসে এ এক অনন্য গৌরব-গাঁথা। আমরা বাঙালিরা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছি, এই জীবনের বদলে পেয়েছি বাংলায় "মা" বলে ডাকার অধিকার। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি (আটই ফাল্গুন, ১৩৫৯ বাংলা) সূচিত হয়েছিল যে গণজাগরণ আর চেতনার উন্মেষ-- তার ফলশ্রুতিতে পরবর্তীতে একাত্তরের সুদীর্ঘ নয়মাসের যুদ্ধের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ-- বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে একুশে ফেব্রুয়ারি জাতীয় শোক দিবস আর জাতীয় শহীদ দিবস হিসাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপিত হয়ে আসছে। একই পথ পরিক্রমায় অবশেষে ২০০০ সাল থেকে এই দিনটিতে সারা বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

বাংলা ভাষা এবং একুশ-- ইতিহাস কথা বলে:

বাংলা ভাষার ইতিহাস প্রাচীন-- বাংলাদেশ, ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা নিয়ে গঠিত বঙ্গ অঞ্চলের বাঙালি অধিবাসীর মাতৃভাষা বাংলা। এছাড়া ভারতের অসম রাজ্যের দক্ষিণাংশে, এবং ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অধিকাংশ অধিবাসী বাংলা ভাষায় কথা বলে থাকেন। বর্তমানে বাংলাভাষী মানুষের সংখ্যা প্রায় তেইশ কোটি, ভাষক সংখ্যার বিচারে বাংলা এখন পৃথিবীর সপ্তম ভাষা। তবে ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করলে সুষ্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় যে, গত শতাব্দীতে বাংলা ভাষা বাঙালি জাতীয়তাবাদ গঠনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

ব্রিটিশ পরাধীনতার সময়েই বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবীর প্রমাণ পাওয়া যায়। ১৯১৮ সালে প্রখ্যাত ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বাংলা ভাষাকে অবিভক্ত ভারতের রাষ্ট্রভাষার মর্যাদাদানের দাবি জানিয়েছিলেন। ১৯২১ সালে নবাব সৈয়দ নবাব আলী চৌধুরী বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য ব্রিটিশ সরকারের কাছে লিখিত প্রস্তাব পেশ করেন। ১৯৩৭ সালের ২৩ এপ্রিলে সেই সূত্র ধরেই দৈনিক আজাদ ‘ভারতের রাষ্ট্রভাষা' শীর্ষক এক সম্পাদকীয় নিবন্ধে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানায়। এছাড়াও দৈনিক ইত্তেহাদ, সাপ্তাহিক মিল্লাত, মাসিক সওগাত, মাসিক মোহাম্মদীতে অনেকের রচনাতে এবং মুজিবুর রহমান খাঁর 'পাকিস্তান', হাবীবুল্লাহ বাহারের 'পাকিস্তান', তালেবুর রহমানের 'পাকিস্তানবাদের ক্রমবিকাশ' এবং 'সর্বহারাদের পাকিস্তান' ইত্যাদি গ্রন্থেও এই দাবীর প্রমাণ মেলে। (সূত্র : আটচল্লিশের ভাষা আন্দোলন, ধীরেন দত্তের প্রস্তাব ও আজাদ-এর সমর্থন, মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ, দৈনিক জনকণ্ঠ, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৪)। তবে এই দাবী মূলতঃ কলমযুদ্ধেই সীমাবদ্ধ ছিল, যা রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয় ১৯৪৭ সালের দেশ-বিভাগের পর।

পাকিস্তান আমলে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে দু'দফা আন্দোলন হয়েছিল-- প্রথমবার ১৯৪৮ সালে এবং দ্বিতীয়বার ১৯৫২ সালে। তখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ‘পাকিস্তান' নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয়নি, ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসের কথা। এ সময় দাক্ষিণাত্যের নিজাম শাসিত হায়দ্রাবাদের অন্তর্গত সেকেন্দ্রবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবে প্রধান অতিথির ভাষণে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জিয়াউদ্দিন আহমদ প্রস্তাবিত পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুর পক্ষে দারুণভাবে ওকালতি করে বলেন, "ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সংহতি বজায় রাখার জন্য যেমন হিন্দি ভাষাকে সেই দেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দেয়ার বিষয়টি এক রকমভাবে চূড়ান্ত হয়ে গেছে, ঠিক তেমনিভাবে প্রস্তাবিত পাকিস্তানের সংহতি রক্ষার লক্ষ্যে উর্দুকেই পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার বিষয়টিও চূড়ান্ত করা অপরিহার্য।" কিন্তু ড. জিয়াউদ্দিন কৌশলগতভাবে যে কথাটি এড়িয়ে গেছেন তা হলো, যেখানে ভারতের সংখ্যাধিক্য লোকের মাতৃভাষা হিন্দি, সেখানে পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু লোকের (শতকরা ৫৪- ৫৬ ভাগ) মাতৃভাষা বাংলা। ড. জিয়াউদ্দিনের এ ধরনের বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন কলকাতা থেকে প্রখ্যাত ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। ১৯৪৭ সালের ২৯ জুলাই কলকাতার দৈনিক আজাদ-এ ড. মোঃ শহীদুল্লাহর 'পাকিস্তানের ভাষা সমস্যা' নামে নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। তিনি পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার দাবিকে অগ্রগণ্য উল্লেখপূর্বক লিখেন, ‘যদি এরপরেও অন্য কোন ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতিদানের কথা উঠে, শুধু তা হলেই উর্দুর কথা চিন্তা করা যেতে পারে।' তার এই বক্তব্য সে আমলে দারুণ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।


১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভাগ হল ব্রিটিশ ভারত-- তৈরি হল ভারত ও পাকিস্তান। পাকিস্তান আবার দুটি খন্ডে বিভক্ত-- পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান। এই দুই ভূ-খন্ডের ভেতর ভৌগলিক দূরত্ব ছিল ১৮০০ কিঃমিঃ; আর ভাষা- কৃষ্টি- সংস্কৃতির ব্যবধান ছিল যোজন যোজন। বহু জাতিসত্ত্বা নিয়ে গড়া তৎকালীন পাকিস্তানের মাত্র ৬ শতাংশের ভাষা ছিল উর্দু, যেখানে ৫৪ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা ছিল বাংলা। বাঙালির আত্ম-অম্বেষায় ভাষাচেতনার যে উন্মেষ, তারই সূত্র ধরে পূর্ব বাংলার রাজধানী ঢাকায় ১৯৪৭ সালের নভেম্বর- ডিসেম্বরে ভাষা-বিক্ষোভ শুরু হয়। তমদ্দুন মজলিস "পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কি হবে? বাংলা নাকি উর্দু?" নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ এ, যেখানে সর্বপ্রথম বাংলাকে পাকিস্তানের একটি রাষ্ট্রভাষা হিসাবে ঘোষণা করার দাবী করা হয়। তমদ্দুন মজলিশের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক আবুল কাশেম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কি হওয়া উচিত সে ব্যাপারে একটি সভা আহবান করেন, যেখানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার ব্যাপারে পাকিস্তান সরকারের কাছে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উল্লেখ্য সেই সময়ে সরকারী কাজকর্ম ছাড়াও সকল ডাকটিকেট, পোষ্টকার্ড, ট্রেন টিকেটে কেবলমাত্র উর্দু এবং ইংরেজিতে লেখা থাকতো। তবে ইতিহাসে তমদ্দুন মজলিশের ভূমিকা বিতর্কিত এবং এই সংগঠন সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ১৯৪৮ সালে রেসকোর্স ময়দানে গভর্ণর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা দেন, "উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা"। এই অন্যায্য সিদ্ধান্তে তখন ক্ষোভে ফেটে পড়ে পূর্ব বাংলার সাধারণ জনগণ-- বাংলা ভাষার সমমর্যাদার দাবীতে সেই সময়ে সীমিত পর্যায়ে আন্দোলন হয় এবং ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে তার চরম প্রকাশ ঘটে।

বায়ান্ন' এবং পরবর্তী কিছু খন্ডচিত্রঃ

২০শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২। আন্দোলন দমিয়ে রাখতে সেদিন ১৪৪ ধারা আইন জারী করা হয়। নিষিদ্ধ করা হয় সকল প্রকার সভা সমাবেশ ও মিছিল, গ্রেফতার করা হয় একের পর এক ছাত্রনেতাকে।

২১শে ফেব্রুয়ারি। সকাল থেকে ছাত্ররা সমবেত হতে থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে-- ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবী নিয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন এবং একসময় পূর্ব বাংলা আইন পরিষদের অভিমুখে রাজপথে বেরিয়ে এলে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে বেশ কয়েকজন তরুণ হতাহত হন। আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, রফিকউদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলেই শহীদ হন । পুলিশের এলোপাথাড়ি গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে আবদুস সালাম ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীনে ছিলেন এবং দেড় মাস পর ৭ ই এপ্রিল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এ সব ঘটনার প্রতিবাদে সেদিন ক্ষুব্ধ ঢাকাবাসী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে সমবেত হন।

২২শে ফেব্রুয়ারি। নানা বাধা উপেক্ষা করে ছাত্রদের পাশাপাশি হাজার হাজার সাধারণ মানুষ আবারো রাজপথে নেমে আসেন। তারা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে শহীদদের জন্য অনুষ্ঠিত গায়েবি জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। একই দিনে আবারো পুলিশ দ্বারা আক্রমণ ও হত্যার বিভিন্ন ঘটনা ঘটে। নবাবপুর রোডের বিশাল জানাজার মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে শহীদ হন ঢাকা হাইকোর্টের কর্মচারী শফিউর রহমান, ওয়াহিদুল্লাহ এবং আবদুল আউয়াল। একই রাস্তায় অহিদুল্লাহ নামে নয় বছরের এক বালকের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ কিছু লাশ কৌশলে সরিয়ে ফেলে বলে জনশ্রুতি আছে। এই দিনে পুরান ঢাকার মিছিল থেকে উর্দুর পক্ষ নেয়া মর্নিং নিউজ এর প্রেসে আগুন দেয়া হয়।

২৩শে ফেব্রুয়ারি। ভাষাশহীদদের স্মৃতিকে অমর করে রাখার জন্য এক রাতের মধ্যে মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে গড়ে ওঠে একটি স্মৃতিস্তম্ভ-- কাজ শেষ হয় ২৪ তারিখ ভোরে। তাতে একটি হাতে লেখা কাগজ গেঁথে দেয়া হয়, যাতে লেখা ছিল "শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ"। শহীদ মিনার নির্মাণের খবর দৈনিক সংবাদপত্রগুলোতে পাঠানো হয় ঐ দিনই। "শহীদ বীরের স্মৃতিতে" - এই শিরোনামে দৈনিক আজাদ পত্রিকায় ছাপা হয় শহীদ মিনারের খবর। মিনারটি তৈরি হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র হোস্টেলের (ব্যারাক) বারো নম্বর শেডের পূর্ব প্রান্তে। মিনার তৈরির তদারকিতে ছিলেন জিএস শরফুদ্দিন (ইঞ্জিনিয়ার শরফুদ্দিন নামে পরিচিত), নকশা অঙ্কন করেছিলেন বদিউল আলম। তাঁদের সাথে ছিলেন সাঈদ হায়দার। শহীদ মিনার নির্মাণে সহযোগিতা করেন দুইজন রাজমিস্ত্রী।

২৪শে ফেব্রুয়ারি। এদিন সকালে শহীদ শফিউরের পিতা অনানুষ্ঠানিকভাবে শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন।

২৫শে ফেব্রুয়ারি। আবুল বরকতের ভাই একটি হত্যা মামলা দায়ের করার চেষ্টা করেন, কিন্তু উপযুক্ত কাগজের অভাব দেখিয়ে সরকার মামলাটি গ্রহণ করেনি। রফিকউদ্দিন আহমদের পরিবার একই ধরণের একটি প্রচেষ্টা নিলে, ঐ একই কারণে তাও বাতিল হয়।

২৬শে ফেব্রুয়ারি। পুলিশ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনী মেডিক্যালের ছাত্রদের আবাসিক হোস্টেল ঘিরে ফেলে এবং প্রথম শহীদ মিনার ভেঙে ফেলে। এরপর ঢাকা কলেজেও একটি শহীদ মিনার তৈরি করা হয়, এটিও একসময় সরকারের নির্দেশে ভেঙে ফেলা হয়।

৮ই এপ্রিল। সরকার তদন্ত শুরু করে-- কিন্তু এর প্রতিবেদনে মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রদের উপর গুলি করার কোনো উল্লেখযোগ্য কারণ দেখাতে পারেনি। সরকারের প্রতিশ্রুত প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ প্রত্যাখান করে।

১৪ই এপ্রিল। গণপরিষদের অধিবেশন শুরু হলে রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নটি অবিসংবাদিতরূপে সামনে চলে আসে।

মূলতঃ ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ভাষা আন্দোলন আরও বেগবান হয়। ১৯৫৩ সাল থেকে প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি তারিখে মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করলে ৯ই মে অনুষ্ঠিত গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা দেয়া হয়। বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে সংবিধানে পরিবর্তন আনা হয় ১৯৫৬ সালের ২৯ শে ফেব্রুয়ারি। সংবিধানের ২১৪(১) অধ্যায়ে রাষ্ট্রভাষা সম্পর্কে লেখা হয়:
214.(1) The state language of Pakistan shall be Urdu and Bengali.
[২১৪. (১) উর্দু এবং বাংলা হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।]

১৯৫৭ সালে সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাজ শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির তত্ত্বাবধানে ১৯৬৩ সালে শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ১৯৬৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী শহীদ বরকতের মা উক্ত মিনারটি উদ্বোধন করেন।

একুশ এখন যেমনঃ

বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় ২১শে ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা এক মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে একাধিক্রমে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষকবৃন্দ, ঢাকাস্থ বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। শহীদ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এইদিনে রেডিও, টেলিভিশন এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশের সংবাদপত্রগুলিও বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে গ্রন্থমেলা অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ সরকার বাংলা ভাষা আন্দোলনকে ঘিরে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একুশে পদক প্রদান করে।

ভাষা আন্দোলনে বাংলার নারীর ভূমিকাঃ

(১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে ১৪৪ ধারা ভংগ করে বেরিয়ে আসা মেয়েদের মিছিলঃ Click This Link )

ভাষা আন্দোলনে বাংলার নারীরাও অগ্রবর্তী ভূমিকা রেখেছিলেন, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ গৃহিণীরাও পর্যন্ত সে সময় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ভাষা সৈনিকেরা পরবর্তীতে অকপটে স্বীকার করেছেন ছাত্রজনতার পাশাপাশি এই ভাষাকন্যাদের বীরত্বমন্ডিত গাঁথা, তাঁদের স্বতঃস্ফুর্ত বলিষ্ঠ অবদান। বায়ান্ন'র ২১ শে ফেব্রুয়ারীতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে প্রথম রাজপথে নেমে আসেন যারা-- তা ছিল দশজন করে মেয়েদের তিনটি দল। এঁদের তৃতীয় দলটি সর্বপ্রথম পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। পরে অবশ্য তাঁদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে এই বীর কন্যাদেরকে নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজ হয়েছে খুব কম; বদরুদ্দীন ওমরের ‘ভাষা আন্দোলন প্রসঙ্গঃ কতিপয় দলিল’, আহমেদ রফিকের ‘একুশের ইতিহাস আমাদের ইতিহাস’, তুষার আবদুল্লাহ সম্পাদিত নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা থেকে প্রকাশিত ‘বায়ান্নর ভাষাকন্যা’ বইগুলো সেই স্বল্পসংখ্যক বইগুলোর ভেতর উল্লেখযোগ্য। বায়ান্নর ভাষাকন্যা’ বইটিতে ১৭ জন ভাষা কন্যাকে তুলে ধরা হয়েছে ভাষা আন্দোলনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে; তাঁরা হলেন-- রওশন আরা বাচ্চু, সুফিয়া খান, সারা তৈফুর, ডঃ শরিফা খাতুন, হালিমা খাতুন, প্রতিভা মুৎসুদ্দি, কায়সার সিদ্দিকী, মোসলেমা খাতুন, সুফিয়া আহমেদ, গুলে ফেরদৌস, মনোয়ারা ইসলাম, রওশন জাহান হোসেন, কাজী খালেদা খাতুন, রওশন আহমেদ দোলন, হোসনে আরা বেগম, জুলেখা হক ও নাদেরা বেগম প্রমুখ। নাদেরা বেগম ভাষা আন্দোলনে ছাত্রীদের পক্ষে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে কারারুদ্ধ হয়ে কঠিন নির্যাতন ভোগ করেছিলেন। নারায়ণগঞ্জ মডার্ণ গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকেও একই কারণে গ্রেফতার করা হয়-- এই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল এবং তাকে যাতে ঢাকায় নিয়ে না যেতে পারে সেজন্য কয়েক মাইলব্যাপী রাস্তায় শত শত গাছ কেটে ব্যারিকেড সৃষ্টি করেছিল। নাদেরার স্বামী তাঁকে মুক্ত করার চেষ্টা করেন, কিন্তু বন্ড সই করে মুক্তিলাভে নাদেরা অস্বীকৃতি জানালে তার স্বামী তাঁকে ডিভোর্স দেন। স্কুলে কালো পতাকা উত্তোলনের অপরাধে সিলেটে সালেহা বেগমকে সেখানকার ডিসির নির্দেশে তিন বছরের জন্য স্কুল থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল।

২১শে ফেব্রুয়ারি যেভাবে "আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস" হলোঃ

বায়ান্ন'র প্রায় ছেচল্লিশ বছর পর, ১৯৯৮ সালের ৯ই জানুয়ারী কানাডার ভ্যাঙ্কুভারনিবাসী বসবাসরত বাঙালি জনাব রফিকুল ইসলাম এক চিঠি লেখেন জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব কফি আনানের কাছে। এতে তিনি ১৯৫২ সালে ভাষা শহীদদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন, সেইসাথে মহাসচিবকে প্রস্তাব করেন ২১শে ফেব্রুয়ারিকে ‘মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য। জাতিসংঘের তৎকালীন সেক্রেটারী জেনারেলের প্রধান তথ্য কর্মচারী হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশী জনাব হাসান ফেরদৌস। এ চিঠিটি তাঁর নজরে এলে জাতিসংঘের অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের কাছ থেকেও একই ধরনের প্রস্তাব আনার ব্যবস্থা করার জন্য তিনি সুপারিশ করেন। রফিক মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন-- আন্তর্জাতিকভাবে মাতৃভাষার মর্যাদা আদায়ের লক্ষ্যে এই সময়ে এক অন্যরকম যুদ্ধে অবতীর্ণ হলেন সহযোদ্ধা আব্দুস সালামকে সাথে নিয়ে। তাঁরা বিভিন্ন দেশের বহুভাষাভাষী সদস্য সম্বলিত "A Group of Mother Language of The World" নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এবার সেই সংগঠনের পক্ষ থেকে কফি আনানকে চিঠি লেখা হয় এবং চিঠির একটি কপি ইউএনও'র ক্যানাডিয়ান অ্যাম্বাসেডর ডেভিড ফাওলারের কাছে প্রেরণ করা হয়। প্রায় একবছর অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর ১৯৯৯ সালের প্রথমদিকে রফিক এবং সালাম ইউনেস্কোর ভাষা বিভাগের জোশেফ পডের সাথে সাক্ষাতে জোশেফ তাদেরকে ইউনেস্কোর আনা মারিয়ার সাথে কথা বলতে সুপারিশ করেন। আনা মারিয়ার অবদান আমাদেরকে অবশ্যই কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করতে হবে; তিনি যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে ব্যাপারটাকে দেখেন। ১৯৯৯ সালের এপ্রিল মাসে জনাব রফিক এবং জনাব সালামকে জানানো হল, "তোমাদের প্রস্তাবিত এই বিষয়টি খুবই ইন্টেরেস্টিং। ইউনেস্কো এই ধরণের প্রস্তাব পেলে তা আলোচনা করে থাকে। বিষয়টি অক্টোবরে প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য ইউনেস্কো সম্মেলনে উত্থাপন করতে হবে এবং তা কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে হলে চলবে না; কোন সদস্য রাষ্ট্র কর্তৃক এই প্রস্তাব উত্থাপিত হলে তা বিবেচনা করা হবে।"

জনাব রফিকুল ইসলাম এবং জনাব আব্দুস সালাম বিষয়টির সবিস্তার ব্যাখ্যা বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠান। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সে সময় বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী এম এ সাদেক এবং শিক্ষা সচিব কাজী রকিবুদ্দিন, অধ্যাপক কফিলউদ্দিন আহমেদ, মশিউর রহমান (প্রধানমন্ত্রীর সেক্রেটারিয়েটের তৎকালীন ডিরেক্টর), সৈয়দ মোজাম্মেল আলি (ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত), ইকতিয়ার চৌধুরী (কাউন্সিলর), তোজাম্মেল হক (ইউনেস্কোর সেক্রেটারি জেনারেলের শীর্ষ উপদেষ্টা) সহ আরও অনেকেই প্রস্তাবটির স্বপক্ষে আরো ২৯ টি দেশের সমর্থন আদায়ে জোর প্রচেষ্টা চালান। হাতে সময় ছিল একদমই কম। ১৯৯৯ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর ছিল আনুষ্ঠানিকভাবে ইউনেস্কোর প্রস্তাব উত্থাপনের শেষ দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন পার্লামেন্টে। তাঁকে ফোন করে অনুরোধ করা হলো তিনি যেন প্রস্তাবটি সই করে ফ্যাক্স করে দেন ইউনেস্কোর দপ্তরে। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্বরিত সিদ্ধান্ত দেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের। "ভাষা এবং সংস্কৃতির বিভিন্নতা সংরক্ষণ" সম্পর্কিত ইউনেস্কোর নীতিমালার আলোকে গঠিত প্রস্তাবনা বাংলাদেশ থেকে ইউনেস্কোর অফিসে অফিসিয়াল সময়সীমা শেষ হবার মাত্র একঘণ্টা আগে ফ্যাক্সবার্তায় পৌঁছায়।

১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর ছিল এক ঐতিহাসিক দিন। এই দিনে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের বিজ্ঞান, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে (২৬শে অক্টোবর- ১৭ই নভেম্বর) একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে গ্রহণের প্রস্তাব (নম্বর ৩০ সি/ডি/আর-৩৫) উত্থাপন করা হয় সভার প্রথমেই। ইউনেস্কোর অধিবেশনে যোগদানকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য শিক্ষামন্ত্রী জনাব সাদেক, ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ও ইউনেস্কো মহাপরিচালকের বিশেষ উপদেষ্টা জনাব তোজাম্মেল হকের কূটনৈতিক প্রজ্ঞা, দক্ষতা ও বিচক্ষণতা এ ব্যাপারে মূল্যবান অবদান রাখে। ১৮৮টি দেশ কোন ধরণের বিরোধিতা ছাড়া সাথে সাথেই সমর্থন জানায়। এরপর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৩০তম পূর্ণাংগ অধিবেশনে বাংলাদেশসহ সাতাশটি দেশের সমর্থনে সর্বসম্মতিক্রমে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি পায়। এর ফলশ্রুতিতে ২০০০ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি সারা বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। সারা বিশ্বজুড়ে আজ সবাই জানতে পারছে বাংলা ভাষার জন্য সালাম-বরকত-রফিক-জব্বারের আত্মত্যাগের কাহিনী, লাল সবুজ পতাকাশোভিত বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের শাশ্বত ইতিহাস।

একুশ -- একটি স্বপ্নঃ

২১ তাই একটি সংখ্যামাত্র নয়, দিনপঞ্জিকার একটি দিনমাত্র নয়; অমর একুশে আমাদের অস্তিত্বের সাথে মিশে আছে। একুশের পথ বেয়ে এসেছে চুয়ান্ন'র সাধারণ নির্বাচনে পাক-শাসকদের ভরাডুবি, ছেষট্টির ছয় দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ অভ্যুত্থান, সত্তরের সাধারণ নির্বাচনে বাঙালির বিপুল বিজয়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ; এবং অবশেষে পৃথিবীজুড়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন। একুশে মানে তাই মাথা নত না করা। একুশে মানে মৃত্যুকে ভয় না পেয়ে জীবনের গান গেয়ে যাওয়া। একুশে মানে বাঙালির অহংকার। একুশে নিয়ে এই দীর্ঘ ভূমিকার অবতারণার পেছনে আছে আমার অন্তঃস্থলে জেগে থাকা এক স্বপ্নও -- আমরা যেন আমাদের পূর্বপুরুষের এনে দেয়া উপহার এই মাতৃভাষাকে সমুন্নত রাখি। ভাষার সঠিক ব্যবহার না হলে তা খুব দ্রুত পরিবর্তিত হয়, বা ক্রমশঃ বিলীয়মান হয়ে যায়। বাংলাভাষাকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আমাদের উচিৎ সঠিকভাবে বাংলা ভাষার ব্যবহার। আপনি বা আমি অন্যান্য যে ভাষাতেই দক্ষতা অর্জন করি না কেন-- ইংরেজী, স্প্যানিশ, জার্মান, হিন্দি, আরবী, উর্দু, চীনা, জাপানীজ- সে যে ভাষাই হোক না কেন, আমরা বাঙালিরা যেন সর্বপ্রথম মাতৃভাষা বাংলাকে শুদ্ধভাবে শিখতে পারি, শুদ্ধভাবে শিখাতে পারি আমাদের উত্তরসূরীকে। এ ব্যাপারে বৃহত্তর সচেতনতা ভীষণভাবে জরুরী।



তথ্যসূত্রঃ

https://en.wikipedia.org/wiki/International_Mother_Language_Day
http://www.un.org/en/events/motherlanguageday/
http://www.bbcbengali.com
https://www.youtube.com/watch?v=m2EkkcYmnfM
https://www.youtube.com/watch?v=m6M3-xbE7W8
https://blog.mukto-mona.com/2010/02/21/5318/
http://www.somewhereinblog.net/mobile/blog/sufia/30015576
http://jolbhumi.blogspot.com/2015/02/blog-post_52.html
(এবং আরও অনেক)



সংযুক্তিঃ

একুশে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, উপলক্ষ্যে সামহোয়্যারইনে ব্লগার অভিমান ইগো এবং ভালোবাসার একুশের সংকলন--
একুশকে ভালোবেসে রাত ১২:০১ মিনিট থেকে লেখা ব্লগারদের লেখাগুলি- শ্রদ্ধা, ভালোবাসার বা নিজস্ব স্বকীয়তা এবং চেতনার প্রতীক
হাসান কালবৈশাখীঃ আমাদের মহান একুশ যে ভাবে হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ( ২০১৫ )

মন্তব্য ১৪৪ টি রেটিং +২৯/-০

মন্তব্য (১৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৫

বিজন রয় বলেছেন: অসাধারণ লেখা।
+++++

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, বিজন রয়।

২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৪

দ্যা রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলেছেন: চমৎকার তথ্য সমৃদ্ধ লেখায় ভাল লাগা!
শুভ কামনা জানবেন!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

বৃতি বলেছেন: শুভেচ্ছা আপনার জন্যও, দ্যা রয়েল বেঙ্গল টাইগার :)

৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

রাফা বলেছেন: খুব চমৎকার করে লিখেছেন বৃতি।শুরু থেকে এই পর্যন্ত পুরো আপডেট পেয়ে গেলাম ভাষার জন্য আমাদের পুর্বপুরুষদের ত্যাগের।যে নিজের মাতৃভাষা শুদ্ধ করে জানেনা সে অন্য ভাষাও জানতে পারেনা।কাজেই আমিও মনে করি প্রথমে নিজের ভাষাটাকেই জানতে হবে ও সঠিক ব্যাবহার করতে হবে।

ধন্যবাদ,বৃতি।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

বৃতি বলেছেন: "একুশ" নিয়ে লিখতে গিয়ে এতো এতো নতুন কিছু জানতে পারলাম! কিন্তু সবকিছুর আপডেট তো একটি ব্লগে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না :) এতো কষ্টের বিনিময়ে পাওয়া সেই মায়ের মুখের ভাষাকে আমরা যেন অবহেলা না করি।

অনেক ধন্যবাদ, রাফা :)

৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। লাইক দিয়ে প্রিয়তে তুলে রাখলাম। ++++

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১২

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, বোকা মানুষ :) শুভেচ্ছা জানবেন।

৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

আবু শাকিল বলেছেন: শুরু থেকে শেষ পুরোটাই তথ্য সমৃদ্ধ । একুশ নিয়ে দারুন পোষ্ট ।
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা বৃতিপু।

একটি ভিন্ন আলাপ-
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক চলচিত্র দেখেছি। একুশ নিয়ে কোন চলচিত্র নির্মিত হয়নি।
বাংলা ভাষার জন্য সালাম-বরকত-রফিক-জব্বারের আত্মত্যাগের কাহিনী , লাল সবুজ পতাকাশোভিত বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের শাশ্বত ইতিহাস এগুলা বাংলা চলচিত্রে স্থান পায় না কেন ??আশা করি আমাদের বাংলা চলচিত্রে মুক্তিযুদ্ধের মত বাংলা ভাষার জন্য সালাম-বরকত-রফিক-জব্বারের আত্মত্যাগের কাহিনী চলচিত্রে স্থান পাবে।মুক্তিযুদ্ধের চলচিত্র সরকারী অনুদানে নির্মিত হতে পারলে আমাদের গৌরবগাঁথা একুশ নিয়েও সরকারী অনুদানে চলচিত্র নির্মিত হতে পারে।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

বৃতি বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত, শাকিল :) আমাদের গৌরবগাঁথা একুশ নিয়েও সরকারী অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মিত হতে পারে এবং হওয়া উচিৎ। বাংলাদেশের ইতিহাসে বায়ান্ন, একাত্তর-- সবই কিন্তু স্বাধীকার এবং স্বাধীনতা অর্জনের এক অবিচ্ছিন্ন প্রক্রিয়ার অনুষঙ্গ, এক বিদ্যমান ধারাবাহিকতার অংশবিশেষ। এরা এতো অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত যে এদেরকে আলাদা করে দেখাই দুঃসাধ্য। তবে আমি মনে করি, দেশের গৌরবগাঁথা তুলে ধরা সরকারের পাশাপাশি প্রতিটি নাগরিকেরও কর্তব্য। একজন চলচ্চিত্রকারও পারেন একুশের প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পেছনে ব্যক্তিগত উদ্যোগই কিন্তু প্রথমে ছিল, ধীরে ধীরে দেশের পরিসীমা ছাড়িয়ে তা আন্তর্জাতিক ব্যাপ্তিলাভ করেছে। এই বিষয়টি থেকেও আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।

অনেক ধন্যবাদ, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য :)

৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: বাংলা নিয়ে আমাদের অহংকার। আর তাতে গৌরবের পালক এই পোস্ট গুলো।


তথ্যমূলক পোস্টটিতে +

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:২০

বৃতি বলেছেন:
বাংলা আমার অহংকার, বাংলা আমার সুর :) একুশ নিয়ে একটা ফিচার পড়ছিলাম, তাই ভাবলাম, ব্লগে সবার সাথে নিজের কিছু ভাবনা শেয়ার করি। তবে একুশের পরিধি এতো বেশি বিস্তৃত-- অনেক কিছুই না-বলা থেকে গেলো। এখানে কিছু তথ্যই মূলতঃ সন্নিবেশিত করা হয়েছে। হয়ত অন্য একটি ব্লগে কখনো আবারো কিছু লিখবো।

অনেক ধন্যবাদ, দিশেহারা রাজপুত্র :) একুশ নিয়ে আপনার পোস্টটি চমৎকার।

৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮

উল্টা দূরবীন বলেছেন: অসাধারণ।
+

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, উল্টা দূরবীন :)
অফুরান শুভেচ্ছা।

৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৫

ইয়েলো বলেছেন: তৎকালীন পাকিস্তানের মাত্র ৬ শতাংশের ভাষা ছিল উর্দু, যেখানে ৫৪ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা ছিল বাংলা।

মাত্র ৬ শতাংশ এ তথ্য কি ঠিক ?

ভাল পোস্ট

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫

বৃতি বলেছেন: শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য যে, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু হলেও বর্তমান পরিসংখ্যানে সেখানে মাত্র আট শতাংশ ব্যক্তির মাতৃভাষা এটি। সেদেশের ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে বা অঞ্চলে ভিন্ন ভাষার ব্যবহার দেখা যায়। আমি ২০০৮ সালের এক সেনসাসে দেখলাম, পাকিস্তানে পাঞ্জাবী ভাষায় কথা বলেন ৪৪.১৭% , পশতুতে ১৫.৪৪%, সিন্ধিতে ১৪.১২%, সারাইকি ভাষায় ১০.৪২% , উর্দুতে ৭.৫৯%, বালোচি ভাষায় ৩.৫৯%। এছাড়াও পাকিস্তানে আরও বেশ কিছু আঞ্চলিক ভাষা আছে। তবে উর্দু সেদেশে বহুল প্রচারিত ভাষা-- কম বেশি সবাই সেটা বুঝতে পারে।
তাই তৎকালীন পাকিস্তানের মাত্র ৬ শতাংশের মাতৃভাষা ছিল উর্দু- এই তথ্যটি সঠিক হওয়ারই কথা। যদিও তা দেখে আমি কিছুটা অবাক হয়েছিলাম :)
শুভেচ্ছা, ইয়েলো।

৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: মাতৃভাষার জন্য আমরাই কিন্তু একমাত্র জাতি নই যারা প্রান দিয়েছেন। দক্ষিন ভারতের তালিম নাড়ু রাজ্যের লোকেদেরও ভাষার জন্য আত্মদানের ইতিহাস রয়েছে।

একটা ছোট্ট ইনফো যোগ করি, ২২ শে ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার মিছিল থেকে উর্দুর পক্ষ নেয়া মর্নিং নিউজ এর প্রেসে আগুন দেয়া হয়।

চমৎকার পোস্ট বৃতি আপু।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮

বৃতি বলেছেন: দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে ও ভাষার জন্য আত্মদানের ইতিহাস রয়েছে-- এটা জানা ছিল না। ধন্যবাদ, প্রবাসী ভাই :) আর আমার লিখাতে আপনার ইনফো যোগ করে দিয়েছি।
ভালো থাকুন সবসময় :)

১০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬

সুমন কর বলেছেন: ৮ই ফাল্গুনের শুভেচ্ছা এবং তাঁদের প্রতি বিনম্র রইলো শ্রদ্ধা।

তথ্যসমৃদ্ধ পোস্টটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১০

বৃতি বলেছেন: ভাষা সৈনিকদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্যও, সুমন ভাই :)

১১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট
শুভেচ্ছা রইল /

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, মাহমুদ :) ভালো আছেন আশা করি।

১২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: চমৎকার তথ্য সমৃদ্ধ লেখার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮

বৃতি বলেছেন: শুভেচ্ছা, তনিমা :) ভালো থাকুন নিরন্তর।

১৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১০

সায়েম মুন বলেছেন: সময়োপযোগী, গুরুত্বপূর্ণ ও শ্রমসাধ্য পোস্ট। ভাল লাগলো এর ইতিহাস।

অট- ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ (প্রত্যক্ষ/পরোক্ষভাবে) করেছেন এমন কোন নারীর নাম কি ইতিহাস থেকে জানা যায়? জানলে একটু জানাবেন। এ বিষয়ক একটা টপিক দেখলাম কিন্তু সেখানে কোন নাম উল্লেখ নেই। থাকলে ভাল হতো।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫২

বৃতি বলেছেন: যাঁদের কথা উল্লেখ না করলে একুশের কাহিনী অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে, তাঁরা হলেন ১৭ জন ভাষা কন্যাসহ সেই সময়কার ছাত্রী ও গৃহিণীরা। তাঁদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণের কারণে ভাষা আন্দোলন গতি পেয়েছিল। জানা যায়, ২১ শে ফেব্রুয়ারির ১৪৪ ধারা ভংগ করার ভাবনাটি মেয়েদেরই ছিল :) এ সম্পর্কিত একটি চমৎকার ব্লগ পেলাম আমাদের সহব্লগার সুফিয়া আপুর ব্লগে-- যেখান থেকে কিছু তথ্য নিয়ে আমি আমার লিখাটি আপডেট করেছি। তথ্যসূত্রে তাঁর সেই ব্লগটি উল্লেখ করেছি।

ধন্যবাদ, মুন ভাইয়া :) এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ফোকাস করার জন্য।

১৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

নীলসাধু বলেছেন: আপনি বা আমি অন্যান্য যে ভাষাতেই দক্ষতা অর্জন করি না কেন-- ইংরেজী, স্প্যানিশ, জার্মান, হিন্দি, আরবী, উর্দু, চীনা, জাপানীজ- সে যে ভাষাই হোক না কেন, আমরা বাঙালিরা যেন সর্বপ্রথম মাতৃভাষা বাংলাকে শুদ্ধভাবে শিখতে পারি, শুদ্ধভাবে শেখাতে পারি আমাদের উত্তরসূরীকে। এ ব্যাপারে বৃহত্তর সচেতনতা ভীষণভাবে জরুরী।

সহমত -

শ্রমসাধ্য পোষ্ট। ধন্যবাদ জানবেন।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৯

বৃতি বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো, নীলসাধু :) অনেক ভালো থাকুন।

১৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আপনার পোস্টটি অসাধারণ! আপনার প্রশ্নের উত্তর আমার ব্লগে দিয়েছি। শুভকামনা জানবেন।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, আমি ময়ূরাক্ষী। আপনার জন্যেও শুভকামনা।

১৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫১

শায়মা বলেছেন: বৃতিমনি!!!!!!!!!! একদম পারফেক্ট বৃতিমনির মতই লেখা। একুশের চেতনা বয়ে যাক সকল বাঙ্গালীর হৃদয়ে।:)

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

বৃতি বলেছেন: শায়মাপু, বছরে শুধুমাত্র একদিনের জন্য নয়, প্রতিদিনের জন্য তোমার মুখের কথাটি সত্যি হোক :)
থ্যাংকস :)

১৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট
সবার পোষ্ট গুলি ই ভালোলাগছে
শুভ কামনা :)

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৯

বৃতি বলেছেন: অনেক সহব্লগার তথ্যসমৃদ্ধ ও আকর্ষণীয় পোস্ট দিয়েছেন একুশকে নিয়ে-- দেখে বেশ ভালো লাগছে :)
কেমন আছো আপু? :)

১৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৯

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ দারুণ পোস্ট।অনেক অনেক ভালোলাগা
+++

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৩

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, রুদ্র জাহেদ। শুভেচ্ছা জানবেন :)

১৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




ভাষা নিয়ে আমাদের যে ইতিহাস তার কতটুকু মর্যাদা আমরা রাখতে পেরেছি শুধু এইটাই হোক আজকের দিনের ভাবনা।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৭

বৃতি বলেছেন: আপনার সাথে সহমত পোষণ করলাম। এই ভাবনাটা আমাদের জন্য জরুরী।
ধন্যবাদ, কান্ডারি ভাই :)

২০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৩৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ভালো লেখেছেন।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩১

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাইয়া :)

২১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭

অশ্রুত প্রহর বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন । :)

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, অশ্রুত প্রহর :) শুভেচ্ছা।

২২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৪

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। ভাল লাগল। ধন্যবাদ

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৩

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রামানিক :)

২৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৪

আরজু পনি বলেছেন:
বৃতি, আপনার মতো মেধাবী লেখকের কাছ থেকে অসাধারণ পোস্ট পেলাম।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩০

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, আরজু আপু, :) এরকম কথা শুনলে আটখানা হয়ে যাবো তো! :(

২৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০২

ইখতামিন বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, ইখতামিন :) শুভেচ্ছা নিরন্তর।

২৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পুরো পটভূমিটাই জানা তবুও ১৯৯৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিকে স্বীকৃতি দেয়ার অংশটার বিস্তারিত বর্ণনাটা ভালো লাগলো।
ভালো থেকো

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, অপর্ণা আপু :) ভালো থেকো তুমিও।

২৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: এমন তথ্যবহুল পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫

বৃতি বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা, তনিমা :)

২৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৩

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: শুধু জানতেই ইচ্ছা করে। পিপাসা পূরণ হয় না। আপনাদের এই পোষ্টগুলো তবু তেষ্টা মেটায়।

অনেক ধন্যবাদ এমন তথ্যবহুল পোষ্টের জন্য।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২১

বৃতি বলেছেন: আমাদের ইতিহাস এতো মহিমান্বিত, এতো গৌরবের-- যে কখনো কখনো এই আখ্যানকে এক রুপকথার মত মনে হয় । আপনি ঠিকই বলেছেন,মৃদুল শ্রাবন :) ইতিহাস জানতে গেলে এই রুপকথার গল্প শোনার আকাংখা আরও বেড়ে যায়।

অনেক ধন্যবাদ :)

২৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গোছানো লেখা, বিশেষ করে সূত্রগুলো পোস্টের ক্রেডিটিবিলিটী অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।

চমৎকার কাজটার জন্যে ধন্যবাদ বৃতি।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

বৃতি বলেছেন: আমার ব্লগে আপনার মন্তব্য পাওয়া সবসময়ই আনন্দের :) আপনাকেও ধন্যবাদ, সুপ্রিয় প্রোফেসর শঙ্কু :)

২৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৬

অভিমান ইগো এবং ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারণ লেখা।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৯

বৃতি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, অভিমান ইগো এবং ভালোবাসা। আপনার জন্য একটা প্রশ্ন রেখে এসেছি আপনার ব্লগে :)

৩০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন উপস্থাপনা!

এই সত্য বারবার জানাতেও কোন ক্লান্তি নেই...

আমাদের এত এত টিভি চ্যানেল মনে দাগ কাটার মতো কাজ খুবই কম! কেবলই দায়সারা আয়োজন!! এরকম নান্দিক উপস্থাপনা কি মিডিয়াগুলো পারে না করতে????

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৫

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, বিদ্রোহী ভৃগু :) আমিও সবসময়ই মনে করি, সংখ্যা নয়-- গুণগত মানের প্রতি যত্নশীল হওয়া দরকার। টিভি চ্যানেলগুলোতে পাঁচটি দায়সারা গোছের অনুষ্ঠানের থেকে একটি সৃজনশীল উপস্থাপনা কি অনেক বেশি দর্শকদের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলবে না? তারা কিছুটা সিলেক্টিভ হয়ে আরও নান্দনিক অনুষ্ঠান এবং ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করতে পারে। শুধু টিভি চ্যানেল নয়, যে কোন ধরণের উপস্থাপনার জন্যই আপনার কথাটি প্রযোজ্য।

শুভেচ্ছা জানবেন :)

৩১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪০

মাদিহা মৌ বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২০

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, মাদিহা মৌ :)

৩২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

আরজু পনি বলেছেন:

আপনার সুলিখিত পোস্টটি স্টিকি হ্ওয়ায় অভিনন্দন জানাচ্ছি, বৃতি । সেই সাথে পোস্টটিকে সবার নজরে বিশেষ ভাবে আনার জন্যে সামহোয়্যারইন কর্তৃপক্ষকেও বিশেষ ধন্যবাদ ।

ভাষা আন্দোলনে নারীদের অবদান নীরবে চোখের আড়ালেই থেকে যায় সবসময়...
আপনি সেই নীরব অবস্থান থেকে সামনে তুলে এনেছেন বিষয়টিকে...এজন্যে আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা বেড়ে গেল ।

এভাবেই সর্বত্রই বিরাজ করুক নারীর পদচারণা...সগর্বে ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৮

বৃতি বলেছেন: ভাষা আন্দোলনে মেয়েদের ভূমিকার কথা ভাষা সৈনিকেরা অকুন্ঠচিত্তে স্বীকার করলেও কেন যেন তাঁদের কথা মিডিয়াতে তেমন উচ্চারিত হয়নি। আমরা নাগরিকরা যদি আমাদের নিজের অধিকার সম্পর্কে সোচ্চার না হই, তাহলে সরকার বলুন, আর মিডিয়া বলুন-- তাঁদেরকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। সরকার আর মিডিয়া জনগণের প্রতিচ্ছবি। একজন শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে আজ আপনার এবং আমার ভূমিকা অনেক। তথ্য প্রযুক্তির অবাধ সঞ্চরনের এই দিনে আমরা ঘরে বসেই অনেকের কাছে পৌঁছাতে পারি। আমি মনে করি, যার যা প্রাপ্য-- তাঁকে সেটা দেয়া উচিৎ। এই সময়ে আমরাও পারি, ভাষাকন্যাদেরকে তাঁদের যথাযোগ্য মর্যাদা দেয়ার চেষ্টা করতে। দায়িত্বপালন নিজের থেকে শুরু হলেই ভালো :)
ধন্যবাদ, আরজুপনি আপু, আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য :) এভাবেই সর্বত্রই বিরাজ করুক নারীর পদচারণা...সগর্বে ।

৩৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

কাবিল বলেছেন: চমৎকার লেখা।
একুশের চেতনা উজ্বীবিত হোক সকল বাংলা ভাষাভাষীর হৃদয়ে।

পোস্টটি স্টিকি করার জন্য সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০১

বৃতি বলেছেন: একুশকে নিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট এসেছে এবার-- এর মাঝে আমার পোস্ট স্টিকি হওয়ার বিষয়টি নিতান্তই অপ্রত্যাশিত ছিল আমার কাছে; তবে খুশি হয়েছি, এ কথা স্বীকার করতেই হবে :) ব্লগ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য, কাবিল :) একুশের চেতনা উজ্বীবিত হোক সকল বাংলা ভাষাভাষীর হৃদয়ে।

৩৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

বৃতি বলেছেন: সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ এবং আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এই পোস্টটিকে স্টিকি করার জন্য :) এটা আমার জন্য আশাতিরিক্ত কোনকিছু।

৩৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: ভাষা শহীদদের প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা।
চমৎকার লিখেছেন,

একুশ নিয়ে আমার এ পোস্টটা পড়ার জন্য অনুরোধ রইল,
পোস্ট লিংক

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৫

বৃতি বলেছেন: সহব্লগার অভিমান ইগো এবং ভালোবাসার সংকলিত একুশ নিয়ে সবগুলো পোস্ট ধার করে একবারে আপডেট দেয়ার ইচ্ছে আছে। আপনার চমৎকার লিখাটির তাই আর আলাদা করে লিংক দিচ্ছি না এখানে। অনেক শুভেচ্ছা রইল, আব্দুল্লাহ তুহিন :)

৩৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: তথ্যপূর্ণ একটি দারুণ পোস্ট। একটা বিষয় খেয়াল করেছেন? রফিক, সালাম এ দুজন ছাড়াও ভাষাশহীদদের আরো কিছু নাম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রতিষ্টায় অবদান আছে। বিষয়টা কাকতালীয় হলেও আমার কাছে ভালই লাগে। :)

সেই সব মহান বীরদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা রইল, হৃদয়ের অকুস্থল থেকে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২০

বৃতি বলেছেন: হ্যাঁ, খেয়াল করেছি :) রফিক আর সালাম এই সময়ের ভাষা সৈনিক। কিন্তু বায়ান্ন'র ভাষাশহীদ রফিক আর সালামের নামে নাম তাঁদের। কাকতালীয় হলেও ভালো লাগার মতই ব্যাপারটা।

সব মহান ভাষা সৈনিকদের জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি :) শুভেচ্ছা, গেম চেঞ্জার।

৩৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮

পুলহ বলেছেন: আপনার লেখা বহমান নদীর মতই সাবলীল। ভালো লেগেছে :)
বিশেষ ভালোলাগা রইল- নারীর অবদানের অংশ এবং '২১শে ফেব্রুয়ারি যেভাবে "আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস" হলো' - অংশটুকুতে :)
শুভকামনা জানবেন।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২২

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, পুলহ। আপনার ভালো লাগাতে আমারও ভালো লাগলো খুব :)
শুভেচ্ছা নেবেন।

৩৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০

জাহিদ ইসলাম বিদ্যোৎসাহী্ বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন ।
আপনি এক পর্যায়ে লিখেছেন, ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখ দিয়ে ' হাসপাতালে মারা যান আবদুস সালাম' । এ প্যারাতে মনে হচ্ছে আবদুস সালাম ২১ ফেব্রুয়ারির দিন শহিদ হোন । মূলত তিনি এলোপাথাড়ি গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীনে ছিলেন এবং দেড় মাস তিনি পর ৭ এপ্রিল মারা যান ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২৯

বৃতি বলেছেন: এবার কিছুটা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করে আপডেট করে দিয়েছি। আমার জানাতে অনেক সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে; তবে ব্লগে সরাসরি ইন্টার‍্যাকশন হয়, পাঠ প্রতিক্রিয়া জানা যায় অনেকের, ভুল ত্রুটি থাকলে তা শুধরানো যায়- ব্লগকে এ কারণে বেশ ভালো লাগে আমার।

অনেক ধন্যবাদ, জাহিদ ইসলাম বিদ্যোৎসাহী্ :)

৩৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪২

বিজন রয় বলেছেন: আমি জানতাম এই পোস্টি অনেক মূল্য পাবে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩০

বৃতি বলেছেন: :) :) ধন্যবাদ।

৪০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: চমৎকার তথ্য সমৃদ্ধ লেখায় অনেক অনেক ভাল লাগা!
শুভ কামনা জানবেন!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩২

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, কামরুন নাহার বীথি :) আপনার জন্যও অফুরন্ত শুভেচ্ছা!

৪১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন: প্রিয় ব্লগার, আপনার তথ্যবহুল লিখাটি পড়ে অজানা কিছু জানলাম। ধন্যবাদ আপনাকে

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১০

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, দিল মোহাম্মদ মামুন :) অনেক শুভেচ্ছা থাকলো।

৪২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এ ব্যাপারে কিছু লিখেছিলাম, আনাড়ি হাতে গত বছর
যে ভাবে হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
আমাদের মহান একুশ যে ভাবে হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

বৃতি বলেছেন: আপনার ব্লগটা চমৎকার! আমি এখানে যুক্ত করে দিলে আপনার কি কোন আপত্তি আছে? :)

৪৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

নীলপরি বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। ভাল লাগল।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, নীলপরি :)

৪৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

প্রথম বাংলা বলেছেন: ১৯৩৭ সালে প্রথম ভাষা নিয়ে রাজনৈতিক বিবেধ দেখা দেয় মুসলিম লিগ এর উর্দু ভাষী এবং বাংলাবাসী নেতাদের মধ্যে। সেটি ছিলো মুসলিম লিগের লৌক্ষনু অধিবেশন। সেখানে অনেক উর্দুপন্থী নেতা উর্দুকে লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কাই ঘোষনা করেন। এর মানে হলো বিভিন্ন ভাষাভাষী কয়েকটি জাতির ভাব বিনীময়ের একটি সমন্বিত ভাষা।
তখন অনেক নেতারা এর প্রতিবাদ করেন । মূলত তখন থেকেই এই বিরোধ সুচিত হয়।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

বৃতি বলেছেন:
লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কাই এর কথা পড়েছিলাম :) এর বর্ণনা জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ, প্রথম বাংলা।

৪৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: গৌরবময় ইতিহাসকে খুব সুন্দর এবং সবলীলভাবে তুলে এনেছেন । ছোট্ট পরিসরে দারুণ উপস্থাপন । ভাল লেগেছে অনেক ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

বৃতি বলেছেন: একুশের গৌরবের ইতিহাস মূলতঃ নিজের কাছে রাখার জন্য, সেইসাথে অন্যদের সাথেও শেয়ার করার জন্য এই ব্লগের অবতারণা। সবার সাথে কথা বলে আমার নিজেরও আরও অনেক কিছু জানা হচ্ছে :)

ধন্যবাদ, কথাকথিকেথিকথন :)

৪৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৪

রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন: হুমম ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

বৃতি বলেছেন: হুমম B-) B-)

৪৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৭

আহসানের ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ । আবার আসবো ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

বৃতি বলেছেন: অবশ্যই :)

৪৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপনায় একটি নান্দনিক পোস্ট!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৬

বৃতি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, এক নিরুদ্দেশ পথিক :) শুভেচ্ছা অনেক।

৪৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:১৬

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: বৃতি আপু পোস্টের শেষে এই পোস্টটা এড করে দিলে মনে হয় ভালো হবে। তাহলে একসঙ্গে ভাষা নিয়ে সবগুলো পোস্ট পাওয়া যাবে।

একুশকে ভালোবেসে রাত ১২:০১ মিনিট থেকে লেখা ব্লগারদের লেখাগুলি- শ্রদ্ধা, ভালোবাসার বা নিজস্ব স্বকীয়তা এবং চেতনার প্রতীক

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৯

বৃতি বলেছেন: সংযুক্ত করে দিয়েছি প্রবাসী ভাই, ধন্যবাদ :) ব্লগার অভিমান ইগো এবং ভালোবাসার এই একুশে সংকলনের কারণে আমাকে কোন কিছুই করতে হচ্ছে না। তাঁকেও একটা বিশাল থ্যাংকস :)

৫০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৪৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: পোষ্টের শুরুর দিকের ঘটনাপঞ্জি গুলো অনেকটাই জানা ছিলো তবে আপনার পোষ্ট থেকে ২ টা বিষয় নতুন করে জানলাম।

প্রথমাটা হলো: "১৯৫৭ সালে সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাজ শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির তত্ত্বাবধানে ১৯৬৩ সালে শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ১৯৬৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী শহীদ বরকতের মা উক্ত মিনারটি উদ্বোধন করেন।"

স্বাধীনতাউত্তোর বাংলাদেশে কোন ভাবেই কল্পনা করতে পারতেছি না মন্ত্রী-এমপি রেখে কোন শহীদ মাতাকে দিয়ে কোন স্থাপত্য উদ্ভোদন করা হচ্ছে। যেখানে নিজের হাত দিয়ে বদনা ভর্তি পানি নিয়ে এলাকার গনসৌচাগারটি উদ্ভোদন করার কাজটি অন্যকে দিয়ে করান না বর্তমান কালের মন্ত্রী-এমপি।

২য়টি হলো: ভাষা আন্দোলনে নারীদের অবদান যা আজ পর্যন্ত কোথাও শুনিনি বা পড়ি নি। নিম্নক্ত লাইনটি পড়ে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকলাম কিছুক্ষণ

"নাদেরার স্বামী তাঁকে মুক্ত করার চেষ্টা করেন, কিন্তু বন্ড সই করে মুক্তিলাভে নাদেরা অস্বীকৃতি জানালে তার স্বামী তাঁকে ডিভোর্স দেন।"

আজ থেকে প্রায় ৭০ বছর পূর্বে তৎকালীন সমাজের একজন মহিলা কত সাহসী ও উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হলে ডিভোর্স মেনে নিয়েছেন কিন্তু সরকারের কাছে মাথা নত করেননি।

আপু আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে এই পোষ্টের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা শেষ হবে না শুধু এটুকু বলতে পারি।



২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

বৃতি বলেছেন: আপনার প্রথম পয়েন্টটার সাথে দ্বিমত করার কোন উপায় নেই :P:P এই বিষয়ে বাড়তি মন্তব্য মনে হয় নিষ্প্রয়োজন :) আর দ্বিতীয় পয়েন্টের ব্যাপারে বলবো, মেয়েরা চিরকালই সাহসী। ৭০ বছর আগের কথা হোক, আর ৭০০ বছর আগের কথা হোক-- সময়ের প্রয়োজনে মেয়েদের ইতিবাচক সাহসী ভূমিকা ইতিহাসের শুরু থেকেই বিদ্যমান আছে-- যা অস্বীকার করার মত নয়। নাদেরারা চিরকালই ছিলেন, থাকবেন।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, পলাশ ভাই :)

৫১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:১৬

কালনী নদী বলেছেন: পর্যাপ্ত তথ্য সংবলিত লেখা, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর করে গুছিয়ে লিখার জন্য।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩

বৃতি বলেছেন: সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ, কালনী নদী :) শুভেচ্ছা।

৫২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:০১

দিয়া আলম বলেছেন: ষ্টিকি করার মতই পোস্ট। অসাধারণ

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০১

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, দিয়া আলম। শুভেচ্ছা :)

৫৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:২১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট।
প্রিয়তে নিলাম।

সহমত মোস্তফা কামাল পলাশ ও নীলসাধুর সাথে।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

বৃতি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, শামছুল ইসলাম :) একুশ নিয়ে লিখতে আমারও বেশ ভালো লেগেছে।
ভালো থাকবেন।

৫৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৮

সরদার হারুন বলেছেন: লেখায় ইতিহাস সুন্দর ভাবে ফুটে ধরছেন সে জন্য ধন্যবাদ ।
কিন্তু আমরা এখন কি করছি ?
নাটক দেখলে মনে হয় লেখক সব জেলার লোক ধরে এনে বলছে তোমরা যে যার জেলার অন্চলিক ভাষায় সংলাপ বলে যাও ।
নেতাদের উচ্চারণ শুনলে মনে হয় তাঁদের মাতৃ ভাষা বাংলা নয় ।

টিি


















আপনার ইতিহাস লেখা ভাল হয়েছে ।++++++++++++








২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

বৃতি বলেছেন: আঞ্চলিক ভাষাকে উপেক্ষা করা যায় না, কথ্য ভাষা হিসেবে একে মেনে নেয়াই উচিৎ। আর ভাষা বিবর্তনশীল-- সময়ের সাথে সাথে সব ভাষাই কিছুটা বদলে গেছে। বাংলা ভাষাতেও নতুন অনেক শব্দ এসে যুক্ত হয়েছে, বাংলা অনেক শব্দ আমরা তেমন আর ব্যবহার করছি না, বানানরীতিও বদলেছে। এই বিবর্তন আসবেই। কিন্তু তারপরও, এই সময়ের কিছু নাটকে বাংলা উচ্চারণ শুনে আমি রীতিমত শঙ্কিত, বাংলা- ইংরেজী- হিন্দির মিলিত সংস্করণ যেন। ভাষার অকালমৃত্যু ঠেকাতে যে কোন ভাষাই শুদ্ধভাবে ব্যবহার করা প্রয়োজন।
ধন্যবাদ, সরদার হারুন।

৫৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমার গত বছরের লেখাটি বা লিঙ্ক এখানে যুক্ত করে দিলে আমার কোনই আপত্তি নেই। ধন্যবাদ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৪

বৃতি বলেছেন: ইতোমধ্যে করে দিয়েছি :) শুভেচ্ছা, হাসান কালবৈশাখী।

৫৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৬

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

বৃতি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, অন্তর্জাল পরিব্রাজক :)

৫৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট। আমাদের ইতিহাস পাঠ মূলত ২১ তারিখে গিয়েই থেমে যায়। একুশ পরবর্তী ঘটনাগুলোও কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ না। আর অনেকেই জানে না একুশে ফেব্রুয়ারি কীভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হলো। আমিও খুব ভালো জানতাম না।
বহু জাতিসত্ত্বা নিয়ে গড়া তৎকালীন পাকিস্তানের মাত্র ৬ শতাংশের ভাষা ছিল উর্দু, যেখানে ৫৪ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা ছিল বাংলা। এই হিসেবটা কেমন যেন গোলমেলে লাগছে।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

বৃতি বলেছেন: ১৯৪৭ সালে অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে তমদ্দুন মজলিশ নামে একটি সংগঠন ঢাকায় রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে বাংলার পক্ষে সোচ্চার হলেও তাদের সেই একই পুস্তিকায় বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাহিত্যিক আবুল মনসুর আহমদ এবং ড. কাজী মোতাহের হোসেন রচিত ২টি নিবন্ধ সংকলিত হয়-- যাতে তাঁরা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সমর্থন জানান। ইতিহাসে এজন্য তমদ্দুন মজলিশের ভূমিকা বিতর্কিত এবং এই সংগঠন সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এ ধরনের এক প্রেক্ষাপটে ২১ ডিসেম্বর দৈনিক আজাদে পূর্ব বাংলার সমর্থনে জ্ঞান তাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ‘পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা সমস্যা' শিরোনামে একটি নিবন্ধে লিখেন, ‘যাহারা বাংলা ভাষাকে ছাড়িয়ে কিংবা বাংলার স্কুল-কলেজের শিক্ষার মাধ্যমে (মিডিয়া) রূপে অথবা বাংলাদেশের আইন আদালতে ব্যবহার্য ভাষারূপে উর্দুর পক্ষে ওকালতি করিতেছে, আমি তাহাদিগকে কান্ডজ্ঞানহীন পন্ডিতমূর্খ ভিন্ন আর কিছুই মনে করিতে পারি না।'
তবে ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনের ক্ষেত্রে একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করে পাকিস্তান গণপরিষদে কংগ্রেস দলীয় সদস্য কুমিল্লার প্রখ্যাত আইনজীবী, রাজনীতিবিদ (একাত্তরের শহীদ) শ্রী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত কর্তৃক বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব পেশ এবং তা নাকচ হওয়ার ঘটনা। ২৫ ফেব্রুয়ারি করাচীতে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান গণপরিষদের অধিবেশনের শ্রী দত্ত বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। উল্লেখ্য যে, পাকিস্তান গণপরিষদের আইনবিধি সংক্রান্ত কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে (২৪, ২৫ ফেব্রুয়ারি ও ২ মার্চ ১৯৪৮) ১৯৩৫ সালের ভারত শাসনবিধির ২৯নং উপধারা সংশোধন প্রয়াসে ইংরেজি ভাষার সঙ্গে উর্দু ভাষার নাম সংযুক্ত করার সরকারি প্রস্তাবে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত নিম্নোক্ত সংশোধনটি উপস্থাপন করেন: ‘রাষ্ট্রের রাষ্ট্রভাষা কি হওয়া উচিত? রাষ্ট্রের রাষ্ট্রভাষা সেই ভাষাই হওয়া উচিত, রাষ্ট্রের অধিকাংশ মানুষ যে ভাষা ব্যবহার করে এবং ... আমি মনে করি যে, বাংলা ভাষাই আমাদের রাষ্ট্রের লিঙ্গুয়া-ফ্রাঙ্কা... যদি ২৯নং বিধিতে ইংরেজি ভাষা সম্মানজনক স্থান পেতে পারে-যদি পরিষদের কার্যাবলী উর্দু অথবা ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে চলতে পারে তাহলে বাংলা, যা চার কোটি চল্লিশ লাখ লোকের ভাষা কেন সম্মানজনক স্থান পাবে না... কাজেই বাংলা ভাষাকে প্রাদেশিক ভাষা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়, এ ভাষাকে রাষ্ট্রের ভাষারূপে বিবেচনা করা উচিত, সুতরাং ... আমি প্রস্তাব করি যে, ২৯নং বিধিতে ‘ইংরেজি' শব্দটির পরে ‘অথবা বাংলা' কথাটি যোগ করা হোক।' (সূত্র : বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ দলিলপত্র, প্রথম খন্ড, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, মার্চ ২০০৪, পৃষ্টা ৬১-৬৮)

মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ প্রতিষ্ঠিত এবং আবুল কালাম শামসুদ্দীন সম্পাদিত দৈনিক আজাদে ১৯৪৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি (১৬ ফালগুন, ১৩৫৪) তারিখে ‘বাংলা ভাষার অপমান' শীর্ষক সম্পাদকীয়তে লেখা হয়, ‘... পাকিস্তানের গোড়া পত্তনের পূর্ব হইতেই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কি হইবে, তাহা লইয়া বাদানুবাদ শুরু হয়। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এই বাদানুবাদের তীব্রতা বৃদ্ধি হয় এবং পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষিত মহলে বিশেষ করিয়া ছাত্র ও যুবক মহলে এই আশঙ্কা জাগে যে, পাকিস্তানে বাংলা ভাষা উপেক্ষিত হইবে। কিন্তু গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বুদ্ধিমান মানুষ এই আশঙ্কাকে অমূলক মনে করিয়াছিলেন, কারণ পাক গণপরিষদের সদস্যগণের সংখ্যাগুরু অংশ এবং পাকিস্তান রাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৬১ ভাগেরও অধিক পূর্ব পাকিস্তানের এবং তাহাদের শতকরা ৯৯ জনেরও অধিক বাংলাভাষী। অধিকন্তু ইহা সমগ্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবার যোগ্যতা রাখে। কিন্তু পাক গণপরিষদের সিদ্ধান্তে পূর্ব পাকিস্তানের আশাবাদী বিদগ্ধ সমাজের সকল স্বপ্ন ধূলিসাৎ হইতে চলিয়াছে। পাক গণপরিষদের অন্যতম ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষাকে গ্রহণ করার দাবি উপেক্ষিত হওয়ার এই আশঙ্কাই বদ্ধমূল হইতেছে যে, পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ভাষা আজ পাকিস্তানের কোন স্থান পাইবে না এবং তাহা প্রতিক্রিয়াস্বরূপ পূর্ব পাকিস্তানের সর্বাঙ্গীণ উন্নতি অগ্রগতি আশঙ্কাজনকভাবে ব্যাহত হইবে। শ্রীযুক্ত ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত পাক গণপরিষদের বাংলা ভাষাকে পরিষদের অন্যান্য ভাষার সহিত সমানাধিকার দানের প্রস্তাব উত্থাপন করিয়াছিলেন। পাক ডমিনিয়নের মোট ৬ কোটি ৯০ লাখ নাগরিকের মধ্যে ৪ কোটি ৪০ লাখ যে ভাষায় কথা বলে, সেই ভাষাকে পরিষদের অন্যতম ভাষা বলিয়া দাবি করার মধ্যে অযৌক্তিকতা কোথায়, তা আমাদের বোধগম্য হইতেছে না। পাক ডমিনিয়নের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খাঁ শ্রীযুক্ত ধীরেন দত্তের প্রস্তাবের বিরোধিতা করিয়া যাইয়া যে উক্তি করিয়াছেন তাহাও আমাদের বিস্ময়ের উদ্রেক করিয়াছে। তিনি বলিয়াছেন, পাকিস্তান হইতেছে মোছলেম রাষ্ট্র এবং মুসলমানের জাতীয় ভাষা উর্দুই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হইবে। জনাব লিয়াকত আলী পাকিস্তানকে মোছলেম রাষ্ট্র বলিয়া ঘোষণা করিলেও কায়েদে আজম বহুবার তাহার ঘোষণায় ও বিবৃতিতে পাকিস্তানকে Seculare State (ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র) বলিয়া ঘোষণা করিয়াছেন। সুতরাং জনাব লিয়াকত আলী খানের বক্তব্যের প্রথমাংশের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করিব না- কিন্তু শেষোক্ত অংশটি আমাদের হাস্যোদ্রেক করিয়াছে। উর্দু মুসলমানের জাতীয় ভাষা হওয়ার অধিকার করে কোথায় অর্জন করিল? মোগল শাসনের আমলে ভারতবর্ষে বিভিন্ন সংমিশ্রণে যে ভাষার সৃষ্টি হইয়াছিল, তাহাই উর্দু ভাষা এবং উর্দু ভাষার উন্নতির কালেও ফার্সি ছিল মোগল দরবারের এবং রাষ্ট্রের ভাষা। বর্তমানে জনাব লিয়াকত আলী যে রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী সেই রাষ্ট্রের এক নগণ্যসংখ্যক লোক উর্দু ভাষাভাষী। সিন্ধু, সীমান্ত ও পাঞ্জাব উর্দুভাষী নহে। কাজেই পাকিস্তানের মুসলমান জনসাধারণের জাতীয় ভাষা উর্দু বলিয়া দাবির মধ্যে কোন যুক্তির সন্ধান পাওয়া যায় না। এই সব অযৌক্তিক তথ্যের ভিত্তিতে বাংলা ভাষার দাবিকে অগ্রাহ্য করিয়া পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের মনোভাবের উপরে নিষ্ঠুর আঘাত হানা হইয়াছে। দুই শত বৎসরের সাম্রাজ্যবাদী বৃটিশ শাসন যে কাজ করিতে সাহস পায় নাই, আজাদ পাকিস্তান তাহা অনায়াসে করিয়া বসিল। বৃটিশ আমলে মুদ্রা, নোট ও মনি অর্ডার ফরমের উপর বাংলা সসম্মানে স্থান পাইয়াছে। কিন্তু পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের এইরূপ নিষ্ঠুর হস্তক্ষেপ আজাদ পাকিস্তানে সম্ভবপর হইবে তাহা কেহ কল্পনা করে নাই এবং ইহা সম্ভব হইল গণপরিষদের পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অধিকাংশের অক্ষমতার জন্য। গণপরিষদের সিদ্ধান্তে পূর্ব বাংলা আজ বিক্ষুব্ধ। ছাত্র, যুবক ও জনগণ তাহাদের ন্যায্য দাবির প্রতি উপেক্ষায় মর্মাহত। এই অবস্থায় গণপরিষদের পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধিগণের এখন হইতে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত যাহাতে বাংলা ভাষার অধিকতর অসম্মান তাহাদের বিষক্রিয়ায় না ঘটে। বাংলা ভাষার মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান তাহজিব-তমদ্দুনে যে কামিয়াবী হাসিল করিয়াছে, তাহা সে হারাইতে চায় না; নতুন ভাষার জগদ্দল পাথর কাঁধে চাপাইয়া তাহার গতি ব্যাহত করার ক্ষীণতম প্রচেষ্টাও সে ভবিষ্যতে বরদাশত করিবে না। আন্তঃপ্রাদেশিক ভাষা কি হইবে, তাহার আলোচনা এখানে না করিয়া আমরা বলিব, প্রাদেশিক শিক্ষার মাধ্যমে ও প্রাদেশিক দফতরের ভাষা বাংলা হইবে এবং পূর্ব পাকিস্তানের এই সর্বসম্মত দাবি পূরণ করার গুরুতর কর্তব্য গণপরিষদে তাহাদের মনোনীত প্রতিনিধিদের পালন করিতে হইবে। এই দাবির বিরুদ্ধে তা যাঁহারা করিবেনা, তাঁহাদের পদত্যাগ করিয়া পুনর্নির্বাচনের জন্য প্রার্থী হওয়াই গণতন্ত্র সম্মত একমাত্র কর্তব্য।'

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩

বৃতি বলেছেন: লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা হিসেবে উর্দুকে প্রস্তাব করা হলেও তৎকালীন পাকিস্তানের ( পূর্ব এবং পশ্চিম মিলিয়ে) মাত্র ৬% মানুষের মাতৃভাষা ছিল উর্দু। সেখানে ৫৪% অধিবাসীর ( পূর্ব বাংলার নিরানব্বই শতাংশ মানুষ) মুখের ভাষা ছিল বাংলা। ৮ নং মন্তব্যের উত্তর দেখলে হয়ত আপনার কাছে আরও পরিষ্কার হবে বিষয়টি।
ধন্যবাদ, হাসান ভাই।

৫৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৭

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
আপনার সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ জানবেন বৃতি আপু।
অনেক না জানা ইতিহাস জানা হল।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

বৃতি বলেছেন: সকল ভাষা সৈনিকদের জন্য বিনম্র শ্রদ্ধা :) এই উপলক্ষ্যে আমারও অনেক কিছু জানা হলো।
ধন্যবাদ, অন্তঃপুরবাসিনী।

৫৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৫

মুনতাসিন মাহমুদ বলেছেন: অসাম পোস্ট বৃতি । অনেক ভাল লাগছে

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

বৃতি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, মুনতাসিন মাহমুদ :)

৬০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৭

কবি সুবর্ণ আদিত্য বলেছেন: ভালো মানের লেখা....শুভ কামনা।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৮

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, কবি সুবর্ণ আদিত্য :) শুভেচ্ছা আপনার জন্যেও।

৬১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৫

হাইপারসনিক বলেছেন: ইতিহাসগুলা জানার বড্ড ইচ্ছে ছিল ।কিছুটা পিপাসার্তও বটে ।দু'টুই পেলাম ।
ধন্যবাদ

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১০

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, হাইপারসনিক :)

৬২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩২

লালপরী বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ দারুণ পোস্ট।অনেক ভালোলাগা +++++++্

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১২

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, লালপরী :)

৬৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪

সাধারন বাঙালী বলেছেন: ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৫

বৃতি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, সাথে থাকার জন্য, সাধারন বাঙালী :)
শুভেচ্ছা জানবেন।

৬৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৭

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
আপনি বা আমি অন্যান্য যে ভাষাতেই দক্ষতা অর্জন করি না কেন-- ইংরেজী, স্প্যানিশ, জার্মান, হিন্দি, আরবী, উর্দু, চীনা, জাপানীজ- সে যে ভাষাই হোক না কেন, আমরা বাঙালিরা যেন সর্বপ্রথম মাতৃভাষা বাংলাকে শুদ্ধভাবে শিখতে পারি, শুদ্ধভাবে শেখাতে পারি আমাদের উত্তরসূরীকে। এ ব্যাপারে বৃহত্তর সচেতনতা ভীষণভাবে জরুরী।

ভাল বলেছেন। সহমত ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৬

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় :) ভালো আছেন আশা করি।

৬৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: তথ্যবহুল পোষ্ট! প্রিয়তে না নিলে প্রিয় অধরা রয়ে যাবে।

খুব সুন্দর লেখনশৈলী! শুভকামনা জানবেন।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ, ভ্রমরের ডানা। আপনার জন্যও শুভেচ্ছা রইল :)

৬৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭

আরুশা বলেছেন: বৃতি আপু অনেক তথ্য জানা হলো :)
প্রিয়তে ++++++্

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

বৃতি বলেছেন: আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, প্রিয় আরুশা :)

৬৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:

তখনকার ছাত্ররা উর্দুকে ঠেকায়ে দিয়ে একটা অবদান রেখেছিলেন; কিন্তু জাতিকে পড়ানোর বেলায় তাদের কোন অবদান নেই; ফলে, এটা এখন আর বিরাট কিছু নয়।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২২

বৃতি বলেছেন: তখনকার ছাত্ররা বাংলায় উর্দুকে ঠেকিয়েছিলেন- এই অবদানকে কোনভাবেই ছোট করে দেখার উপায় নেই। তখনকার রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে এটি অত্যন্ত জরুরী বিষয় ছিল। আর একজনকেই সবকিছু করতে হবে কেন, চাঁদগাজী ভাই? এর পরের সময়ে হাল ধরার কথা যে প্রজন্মের, তাঁরা তাদের কাজ সুষ্ঠুভাবে করবে-- সেটাই কাম্য। বর্তমান প্রজন্ম এখনকার সময়ে যে কাজগুলো জরুরী, তা নিয়ে ভাববে। এই আগ্রাসন ঠেকানো অবশ্যই বিরাট কিছু ছিল।

আমি দুঃখিত, তারপরেও এখানে একটা অফটপিক কথা না বলে পারছি না। আপনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আপনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যথেষ্ট ভালো লিখালিখি করছেন। কিন্তু বিভিন্ন ব্লগে আপনার মন্তব্য খেয়াল করলে আপনার ভেতরকার দ্বিমুখিতা মাঝে মাঝে প্রকাশ হয়। আপনি বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন, কিন্তু কারো লিখা আপনার পছন্দ না হলে আজেবাজে মন্তব্য করেন। আমার লিখা একটা গল্পতে প্রথম কমেন্ট আপনি করেছিলেন-- খুবই অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য ছিল সেটা। এখনো সেই মন্তব্যটি রয়ে গেছে। আমার জানা নেই, সাহিত্যে আপনার ধারণা কতটুকু। কিন্তু ব্লগার হিসেবে অন্যদের স্বাধীনতার ওপর আপনার আস্থা থাকা উচিৎ। দয়া করে অন্যদেরকেও স্বচ্ছন্দে কথা বলতে দিন। আপনার সাথে আমার ইন্টারাকশান তেমন হয় না, কিন্তু আজ দেখা হওয়াতে কথাটা না বলে থাকতে পারলাম না।

ধন্যবাদ,চাঁদগাজী ভাই ।

৬৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: বৃতি,



বাংলা ভাষা এবং একুশ-- পেছনের ইতিহাসঃ আপনার লেখার এই পর্বে মনে হয় এই সংযুক্তিটুকু বাহুল্য হবেনা ----

আটচল্লিশ সাল তো বটেই তারও আগে দেশ বিভাগের চুড়ান্ত পর্য্যায়ে ধর্মীয় ভিত্তি আর দ্বিজাতিতত্ত্ব এর কাঁধে ভর করে পাকিস্তান রাষ্ট্র সুনিশ্চিত হওয়ার সময় থেকেই বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা না করার জন্য পাকিস্তানের একশ্রেনীর বুদ্ধিজীবী চক্রান্ত শুরু করেন । আর শুরুটা করেন আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচর্য্য ডঃ জিয়াউদ্দিন ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাবের মাধ্যমে ।
তখনই ভাষাবিদ ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তার প্রতিবাদ করে দৈনিক আজাদে লিখেছিলেন -- অধিকাংশ জনসংখ্যার ভাষা হিসাবে বাংলাই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হওয়া উচিৎ । দ্বিতীয় আর একটি রাষ্ট্রভাষার প্রয়োজন হলে তখন না হয় উর্দুর কথা ভাবা যাবে ।
( সূত্রঃ একুশে ফেব্রুয়ারী । রাষ্ট্রীয় থেকে বিশ্বময় । আনু মাহমুদ । )

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৫

বৃতি বলেছেন: ১৯১৮ সালে ব্রিটিশ পরাধীনতার সময়েই প্রখ্যাত ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বাংলা ভাষাকে অবিভক্ত ভারতের রাষ্ট্রভাষার মর্যাদাদানের দাবি জানিয়েছিলেন। পরবর্তীতেও তিনি বিভিন্ন সময়ে তাঁর সেই দাবী বজায় রাখেন। আসলে ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষিত এতো বিস্তৃত যে স্বল্প পরিসরে একে নিয়ে আলোচনা করা বেশ কঠিন। তবে এই সংযুক্তি সহ আমি আরও কিছুটা আপডেট করে দিচ্ছি।
অনেক ধন্যবাদ, আহমেদ জী এস :)

৬৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: অসামান্য পোস্ট। খুব খুব ভালো লাগলো !

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

বৃতি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ফেরদৌস প্রামানিক :)

৭০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

ঐন্দ্রিলা নিশাত বলেছেন: ভারত ভাগের সুচনাতেই পুরো ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় অফিশিয়াল ভাষা কোনটা হবে সেটা নির্ধারণ। আপনি সুন্দর করে তুলে এনেছেন অনেককিছু। মাত্র ৬% এর মাতৃভাষা উর্দু ছিল এটা সত্য। উর্দু পশ্চিম পাকিস্তানের মানুষের পরিচিত ভাষা হলেও মাতৃভাষা একেক প্রদেশে একেকটি ছিল , এখনো তাই আছে। অবশ্য পাঞ্জাবী, বালুচি সহ সেখানের নানা ভাষা উর্দুরই পরিবর্তিত আঞ্চলিক রূপ।

পুর্ব বাংলায় ৯৯ ভাগ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা ছিলো সেটাও ভুল। সংখ্যাটা ৮৫-৯০% এর মত হবে। আদিবাসী বা উপজাতিদের সংখ্যা এদেশে এখনো কম নয়। তখন শতকরা হার আরো বেশি ছিল। ওদের মায়ের ভাঢা বাংলা নয়।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫২

বৃতি বলেছেন: ইতিহাস নিয়ে আলোচনায় কখনই একমত হওয়া সম্ভব নয় এই কারণে যে, বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে একই বিষয়কে ভিন্ন ভিন্ন মনে হতে বাধ্য। ধরুন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমরা যেভাবে ইতিহাস লিখবো, পাকিস্তানি একজন ঐতিহাসিক হয়ত কিছুটা ভিন্ন পারস্পেক্টিভে লিখবেন। একুশ নিয়ে কিছু তথ্য একত্রিত করতে গিয়েই মনে হলো, এর পটভূমিকা সুবিস্তৃত, ছোট পরিসরে একে তুলে ধরা নিতান্তই অসম্ভব। আর তৎকালীন ডেমোগ্রাফিক তথ্যগুলোও পরিষ্কারভাবে পাওয়া যাচ্ছে না, বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্নভাবে কিছু পাওয়া যাচ্ছে।
বর্তমান প্রজন্মের অনেককে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ে সচেতন দেখেছি। আমার বিশ্বাস, এই সচেতনতা তাঁদেরকে বাংলাদেশের ইতিহাস নির্মোহ ও সঠিকভাবে ডকুমেন্টেড করতে উৎসাহ দেবে। আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাতে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, ভুলও থাকতে পারে। কিন্তু এই বিষয়ে আমার সদিচ্ছার কোন অভাব নেই, অথেন্টিক কোন সূত্র থেকে সঠিক তথ্য পেলে আমি তখনই আপডেট করে দেব।
অনেক ধন্যবাদ, ঐন্দ্রিলা নিশাত। শুভেচ্ছা জানবেন :)

৭১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আজ আবার আপনার ব্লগে এসে অনেকের মন্তব্য ও আপনার প্রতি উত্তর পড়লাম - অনেক কিছু জানা হলো।

খেয়াল করে দেখি, আপনার পোস্টটা শেয়ার করা হয়েছে 10k অর্থাৎ ১০,০০০ বার - অনবদ্য ।

খুব ভাল লাগছে, আমরা এখনো একুশকে এত ভালবাসি !!!!

ভাল থাকুন। সবসময়।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

বৃতি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, শামছুল ইসলাম :) শেয়ারের ব্যাপারটা দেখে আমারও ভালো লাগছে। তবে এই হিসেবটা মনে হয় কিছুটা অন্যভাবে হয়। কেউ একজন শেয়ার করার পর সেই আলোচনা যারা পছন্দ করলেন, বা আলোচনায় অংশগ্রহণ করলেন, সেটাও মনে হয় এই হিসেবের ভেতর চলে আসে। তারপরও, যারা একুশকে এবং বাংলাকে ভালবেসে শেয়ার করেছেন এই লিখাটি, বা একুশ নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন-- সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা :) বাংলাদেশ আমাদের সত্যিকার এক আবেগের স্ফুরণ, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই।

আপনার জন্যও শুভেচ্ছা :)

৭২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

এহসান সাবির বলেছেন: আপু একটু দেরি হয়ে গেল এমন তথ্যবহুল সুন্দর পোস্ট পড়তে। পোস্টে আলোচনা গুলোও চমৎকার হয়েছে।
সুন্দর পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

শুভ কামনা সব সময়।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৮

বৃতি বলেছেন: আপনিও শুভেচ্ছা জানবেন :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.