নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"শব্দগুচ্ছে হারাতে চাই,শব্দগুচ্ছ আমাকে হারায়\"

বৃষ্টি বিন্দু

তুমি আছো বলে মেঘবীনা ঝরে পড়লো বৃষ্টি, তুমি থাকবে বলে বৃষ্টিময় ভালোলাগা সৃষ্টি

বৃষ্টি বিন্দু › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাদামাটির শৈশব

১৪ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২


★★★
ওরা তিনজন,
যাচ্ছিল খেলতে।
আসর এর আযান হচ্ছে।
একটা বাচ্চা তার চেয়ে একটু বড় বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করল-
এটা কিসের আযান?
বড় বাচ্চাটা বলল- মাগরিব এর আযান।
ছোটটা আবারো জিজ্ঞেস করলে বড় বাচ্চাটা মাগরিব এর কথাই বলল।

★★★
তখন আমার মত আদিকালের মানুষ ভাবল- বাচ্চাগুলোর ভুলটা ধরিয়ে দেই। যেই বলতে গেলাম তখনি বড় বাচ্চাটা যার বয়স ১০/১১ হবে, সে চোখ টিপে নিষেধ করল। বুঝলাম বাচ্চাটা সত্যটা জানলেও মিথ্যেটা বলছে মজা করে। কিন্তু যেহেতু বাচ্চাটা আযান নিয়ে মিথ্যে বলছে এবং চোখ টিপার মত ভয়ংকর অপরাধ করেছে তাই সিদ্ধান্ত নিলাম- রাগের পাখি না হয়ে মেজাজ ঠান্ডা রাখব এবং সত্যটা সামনে আনব। যেই ভাবা সেই কাজ। বুঝিয়ে দিলাম এখন আসর এর সময় তাই আসর এর আযান হচ্ছে।

★★★
অনেকেই ভাবতে পারেন যাকে বাচ্চা বলছেন সে আসলে বড় হয়ে গেছে বা আরো অনেক কিছু। কিন্তু একজন শিক্ষিকা হিসেবে বাচ্চা আর বুড়ো চিনবনা এমনটা হতেই পারেনা। একজন শিক্ষিকা শুধু শিক্ষা দানের কাজই করেন না, পাশাপাশি চাইল্ড সাইকোলজি নিয়েও কাজ করেন। যেখানে পুরো বিশ্বে ১৮ বছরের নিচে সবাইকে শিশু হিসেবে গন্য করা হয় সেখানে ১০/১১ বছরের বাচ্চাতো বাচ্চাই।

★★★
একটা ছোট বাচ্চা কাদামাটির মত, তাকে যেই রুপ দেয়া হবে সে সেভাবেই বড় হবে। প্রযুক্তি, অপসংস্কৃতি তথা পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ছোট ছোট শিশুগুলোর ইনোসিটিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যার থেকে উত্তরণ খুবই কষ্টসাধ্য। তবু এর মাঝেও কি কিছু বাচ্চা সঠিক দিক নির্দেশনায় বেড়ে উঠছেনা? এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পরিবার তথা বাবা-মা এর। যদিও পারিপার্শিক অবস্থায় তা কষ্টকর তবু চেষ্টা করতে দোষ কোথায়? তা না হলে এক সময় এই অবুঝ শিশুগুলোর শৈশব বলে কিছু থাকবেনা...

শিশুদের শৈশবহীন সেদিনটা কি খুব কাছে? শিক্ষিকা হিসেবে ভয়ে মাঝে মাঝে আঁতকে উঠি!!


ছবি: গুগল

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কাঁদা মাটি অবস্থার শিক্ষাই মৌলিক শিক্ষা হয়ে আজিবন জীবনকে চালিত করে।

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এই সাইকোলজিকে সবচে অবহেলা করা হয়। অথচ এটার উপর বেশি
কাজ করা দরকার। পুথিগত বিদ্যা আগে পড়ে হলেও হতে পারে। কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক সঠিক বিকাশ
সঠিক সময়েই জরুরী

আপনার সীমা মাঝে যেটুকু সম্ভব কাউন্সিলিং টাইপ ক্লাসের আয়োজনে অন্যদের রাজি করান।
হয়তো আপনার ছোট্ট উদ্যোগই বড় বদলের প্রথম সোপান হয়ে থাকবে।

+++

১৪ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: প্রথমেই প্রথম মন্তব্যকারী এবং আমার প্রায় পোস্টে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আর আপনার পরামর্শটি অনেক অনেক অনেক ভালো লেগেছে। শিক্ষক হিসেবে চেষ্টা করছি বাচ্চাদের সাইকোলজি বুঝে আমল আখলাক উন্নয়নের। এবং এ বিষয়ে আমরা শিক্ষকরা উদ্যোগী ভূমিকা রাখছি। ইনশা আল্লাহ বিফল হব না।

২| ১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৯

সৈয়দ তাজুল বলেছেন:

আমাদের সচেতনতা আজ খুব প্রয়োজন। আপনাকে ধন্যবাদ অনেক।



১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
সচেতনতা এবং তার বাস্তবায়ন খুবই প্রয়োজন।
ধন্যবাদ।

৩| ১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:১০

কাইকর বলেছেন: অনেকদিন পর আসলেন মনে হচ্ছে। লাইক দিলাম

১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:০৪

বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: কি বলছেন কাইকর ভাই! আমিতো শব এ কদরেও পোস্ট দিয়েছি রমজানের তাৎপর্য ও গুরুত্ব নিয়ে!!
আপনি হয়তো দেখেন নি।
পড়েছেন লাইক দিয়েছেন, সেজন্য আপনাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ... :)

৪| ১৫ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৬:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ, আপু শিক্ষকের মহৎ দৃষ্টিভঙ্গিটি তুলে ধরার জন্য। আর একরনেই বাবামায়ের পরেই শিক্ষকের স্থান। শিক্ষক ছিল আছে থাকবে। দেশ জাতি তার সঠিক নির্দেশনা পাবে। বাচ্ছাদের কোমল মন যেন আরও বিকশিত হোক এহোন শিক্ষকের তরে।

অনেক অনেক শুভ কামনা প্রিয় আপুকে।

১৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১৬

বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। বাবা মায়ের পরেই শিক্ষকের স্থান।কিন্তু আমরা যেভাবে এখনো আমাদের বৃদ্ধ শিক্ষকদের দেখলে সসম্মানে শ্রদ্ধা জানাই, তেমনটা এখনকার জেনারেশন এর মধ্যে কম পাই।

এক গুচ্ছ ধন্যবাদ আপনার শুভকামনায়...

৫| ১৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ভূমিকা শৈশবে বাবা-মায়ের বটে , তবে শিক্ষাজীবনে শিক্ষকের ! ভালো লাগিল !

১৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১

বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয়,
ভাল কথা বলেছেন, শুভকামনা থাকলো

৬| ১৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৯

সঞ্জীব ব্যানার্জী বলেছেন: ছবিটা বেশ। লেখাটা জাগরনের। ++

১৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: সেটাই প্রিয় ভাই,

সুমন্তব্যে শুভকামনা থাকলো।

৭| ১৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

১৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই,
আপনার সুন্দর লাগাটাই আমার জন্য অনেক।

৮| ১৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: খুব ই সত্যি ও সুন্দর একটি কথা বলেছেন আপু। আসলেই শিশুরা কাদামাটির মত। ওদেরকে যেভাবে গড়ে তোলা হবে ওরা সেভাবেই বড় হবে তাই পিতা মাতা সাথে অন্যান্য গুরুজন দের দায়িত্ব শিশু দের সঠিক ভাবে গড়ে তোলা।

১৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২

বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: কথার ফুলঝুরি একেবারে কথার মালা দিয়েই সব পরিষ্কার করে দিলো।
ধন্যবাদ কথাপু টা :)

৯| ১৫ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

সুমন কর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

১৫ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

১০| ১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:০৭

জোকস বলেছেন: ঈদ মোবারক।

১৯ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪

বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: অনেক দেরীতে মন্তব্যের প্রতিউত্তর দিচ্ছি।
কিছু মনে কবেন না দয়া করে।
ঈদ মোবারক...
কেমন কাটলো ঈদ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.