নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোলাগে,ভাবনার আকাশে পাখা মেলতে...

বুরহানউদ্দীন শামস

আমি বাংলায় গান গাই আমি বাংলার গান গাই আমি, আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই ।।

বুরহানউদ্দীন শামস › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা – মনে রাখেনি কেউ

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২


তিতুমীরের প্রকৃত নাম সৈয়দ মীর নিসার আলী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)। ১৭৮২ সালের ২৭ জানুয়ারি (১১৮৮ বঙ্গাব্দ, ১৪ মাঘ) পশ্চিমবঙ্গের চবিবশ পরগনা জেলার বশিরহাট মহকুমার হায়দার পুর - চাঁদপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

তিতুমীরের প্রাথমিক শিক্ষা হয় তার গ্রামের বিদ্যালয়ে। পরবর্তীকালে তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসাতে লেখাপড়া করেন। তিনি ছিলেন কুরআনে হাফেজ, বাংলা, আরবি ও ফার্সি ভাষায় দক্ষ এবং আরবি ও ফার্সি সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুরাগী। তিনি ইসলামি ধর্মশাস্ত্র, আইনশাস্ত্র, দর্শন, তাসাউফ ও অন্যান্য বিষয়ে সুপন্ডিত ছিলেন। মাদ্রাসায় অধ্যয়নকালে তিতুমীর একজন দক্ষ কুস্তিগীর হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেন।

তিতুমীর ১৮২২ সালে হ্বজ পালনের জন্য মক্কা শরীফ যান এবং সেখানে তিনি বিখ্যাত ইসলামি ধর্মসংস্কারক (মুজাদ্দিদ) ও স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপ্লবী নেতা সৈয়দ আহমদ বেরেলভী শহীদে বালাকোট রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর সান্নিধ্য লাভ করেন এবং তাঁর হাতে বাইয়াত হন।

মক্কা শরীফ থেকে দেশে ফিরে তিতুমীর চবিবশ পরগনা ও নদীয়া জেলায় মুসলমানদের মধ্যে ইসলামী শিক্ষা প্রচার শুরু করেন।
তিতুমীর হিন্দু জমিদার কৃষ্ণদেব রায় কর্তৃক মুসলমানদের উপর বৈষম্যমূলকভাবে আরোপিত 'দাঁড়ির খাজনা', গোঁফ ছোট করার খাজনা এবং মসজিদের করের তীব্র বিরোধিতা করেন। তিতুমীর ও তার অনুসারীদের সাথে স্থানীয় ব্রিটিশ ভক্ত হিন্দু জমিদার ও নীলকর সাহেবদের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্রতর হতে থাকে।

জমিদার কৃষ্ণদেব রায় মুসলমান প্রজাদের জন্য যে হুকুম জারী করেছিলঃ

১। দাড়ি রাখলে ফি দাড়ির জন্যে আড়াই টাকা এবং গোঁফ ছোট করে ছাঁটলে ফি গোঁফের জন্যে পাঁচ সিকে করে খাজনা দিতে হবে।
২। মসজিদ তৈরী করলে প্রত্যেক কাঁচা মসজিদের জন্যে পাঁচশ টাকা এবং প্রতি পাকা মসজিদের জন্যে এক হাজার টাকা করে খাজনা দিতে হবে।
৩। সন্তানদের আরবী নাম রাখলে প্রত্যেক নামের জন্যে পঞ্চাশ টাকা খাজনা দিতে হবে।
৪। গোহত্যা করলে তার ডান হাত কেটে দেয়া হবে যাতে আর কোনদিন গোহত্যা করতে না পারে।
৫। যে তিতুমীরকে বাড়ীতে স্থান দিবে তাকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করা হবে।

(শহীদ তিতুমীর –আবদুল গফুর সিদ্দিকী পৃঃ ৪৮, ৪৯; স্বাধীনতা সংগ্রাসের ইতিহাস, আবু জাফর পৃঃ ১১৯; Bengal Criminal Judicial Consultation, 3 April 1832, No. 5 and 6)

মুসলমান প্রজাদের উপরে উপরোক্ত ধরনের জরিমানা ও উৎপীড়নের ব্যাপারে তারাগুনিয়ার জমিদার রাম নারায়ণ, কুরগাছির জমিদারের নায়েব নাগরপুর নিবাসী গৌড় প্রসাদ চৌধুরী এবং পুঁড়ার জমিদার কৃষ্ণদেব রায়ের নাম পাওয়া যায়।

(Bengal Criminal Judicial Consultancy, 3 April 1832, No.5 রেকর্ডে। (Dr. AR Mallick, British Policy & the Muslims in Bengal, p.76)

বারাসাতের জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে জমিদার রাম নারায়ণের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল যাতে জনৈক সাক্ষী একথা বলে যে –উক্ত জমিদার দাড়ি রাখার জন্যে তার পঁচিশ টাকা জরিমানা করে এবং দাড়ি উপড়ে ফেলার আদেশ দেয়।

(Bengal Criminal Judicial Consultancy, 3 April 1832, No.5; (Dr. AR Mallick, British Policy & the Muslims in Bengal, p.76)

তিতুমীর কৃষ্ণদেব রায়কে একখানা পত্রের মাধ্যমে জানিয়ে দেন যে, তিনি কোন অন্যায় কাজ করেন নি। নামাজ পড়া, রোজা রাখা, দাড়ি রাখা, গোঁফ ছাঁটা প্রভৃতি মুসলমানের জন্যে ধর্মীয় নির্দেশ। এ কাজে বাধা দান করা অপর ধর্মে হস্তক্ষেপেরই শামিল।

তিতুমীরের জনৈক পত্রবাহক আমিনুল্লাহ, জমিদার কৃষ্ণদেব রায়ের হাতে পত্রখানা দেয়ার পর তার প্রতিক্রিয়ায় জমিদার কৃষ্ণদেব রায় তাকে হত্যা করে।

তিতুমীর তাঁর অনুসারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলেন। ১৮৩১ সালের ২৩ অক্টোবর বারাসতের কাছে বাদুড়িয়ার ১০ কিলোমিটার দূরে নারিকেলবাড়িয়ায় তিনি বাঁশের কেল্লা তৈরি করেন। বাঁশ এবং কাঁদা দিয়ে দ্বি-স্তর বিশিষ্ট এই কেল্লা নির্মাণ করা হয়। অচিরেই মুসলমানদের প্রতি সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ এবং তাদের উপর অবৈধ কর আরোপের জন্য ব্রিটিশ ভক্ত হিন্দু জমিদার কৃষ্ণদেব রায়ের সঙ্গে তিতুমীরের সংঘর্ষ বাঁধে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী অন্যান্য জমিদারদের অত্যাচার প্রতিরোধ করতে গিয়ে তাদের সঙ্গেও তিতুমীর সংঘর্ষে লিপ্ত হন।

এসব অত্যাচারী কয়েকজন জমিদার ছিলেন গোবরডাঙার কালীপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, তারাগোনিয়ার রাজনারায়ণ, নাগপুরের গৌরীপ্রসাদ চৌধুরী এবং গোবরা-গোবিন্দপুরের দেবনাথ রায়।
গোবরডাঙার জমিদারের প্ররোচনায় মোল্লাহাটির ইংরেজ কুঠিয়াল ডেভিস তার বাহিনী নিয়ে তিতুমীরের বিরুদ্ধে অগ্রসর হন এবং যুদ্ধে পরাজিত হন। তিতুমীরের সঙ্গে এক সংঘর্ষে গোবরা-গোবিন্দপুরের জমিদার নিহত হন। বারাসতের কালেক্টর আলেকাজান্ডার বশিরহাটের দারোগাকে নিয়ে তিতুমীরের বিরুদ্ধে অভিযান করে শোচনীয় পরাজয় বরণ করে। এ সময়ে তিতুমীর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকারের নিকট জমিদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করেন। কিন্তু তাতে কোনো ফল হয়নি।

তিতুমীর চবিবশ পরগনা, নদীয়া ও ফরিদপুর জেলায় স্বীয় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন। টাকি ও গোবরডাঙার জমিদারগণ ইংরেজদের শরণাপন্ন হলে কলকাতা থেকে এক ইংরেজ বাহিনী তিতুমীরের বিরুদ্ধে প্রেরিত হয়। কিন্তু ইংরেজ ও জমিদারদের সম্মিলিত বাহিনী তিতুমীরের বীর বাহিনীর নিকট শোচনীয় পরাজয় বরণ করে।
অবশেষে লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্টুয়ার্টের নেতৃত্বে ১০০ অশ্বারোহী, ৩০০ স্থানীয় পদাতিক, দুটি কামানসহ গোলন্দাজ সৈন্যের এক নিয়মিত বাহিনী তিতুমীরের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন।

১৮৩১ সালের ১৪ই নভেম্বর ইংরেজ বাহিনী তিতুমীরের বাশের কেল্লার উপর আক্রমণ চালায়। কামান ও আধুনিক অস্ত্র সজ্জিত ইংরেজ বাহিনীকে তিতুমীর তার স্থানীয় অস্ত্র দিয়ে প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়ে বাঁশের কেল্লায় আশ্রয় নেয়। ইংরেজরা কামানে গোলাবর্ষণ করে কেল্লা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত করে দেয়। তিতুমীরের বিপুল সংখ্যক সৈনিক প্রাণ হারায়। কয়েকদিন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯ নভেম্বরে বহুসংখ্যক অনুসারীসহ তিতুমীর শহীদ হন । সেনা অধিনায়ক গোলাম মাসুমসহ ৩৫০ জন বিপ্লবী সৈনিক ইংরেজদের হাতে বন্দি হন। গোলাম মাসুম মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হন।
ছবি-গুগল
লেখা-সংগ্রহীত এবং সংযোজিত

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


তিতুমীর নিশ্চয় স্বাধীনচেতা মানুষ ছিলেন; তবে, উনি সামরিক ব্যাপারে অদজ্ঞ ছিলেন, বাঁশের কেল্লা তৈরি করা, সেখানে আশ্রয় নেয়া মোটামুটি বেশ বেকুবীর পরিচয়; কমপক্ষে বৃটিশ আক্রমনের সময়, উনার লোকজনকে কয়েক ভাগে ভাগ করে কেল্লা থেকে দুরে রেখে গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ করার দরকার ছিলো।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪০

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: আপনি যে গোরিলা পদ্ধতির কথা বললেন তা নারকেলবেড়িয়ার মতো জায়গাতে সম্ভব না..
একটা জিনিস আমার মনে হয়....
তিতুমিরের বর্তমান বংশধর যারা আছে তারা শিয়া ধর্ম পালন করে, তার মানে তিতুমির শিয়া ছিলেন। তিনি মক্কাশরিফ গিয়ে ওহাবি ধর্মমত অবলম্বন করেন। সেটা যেমন শিয়াদের কাছে গ্রহণীয় হয়নি, তেমনি সুন্নি দের কাছেও গ্রহন যোগ্য পায়নি...
আঞ্চলিক সহযোগিতার আভাবেই তিতুমির ব্যার্থ হয়...(একান্ত নিজস্ব মতামত)

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪১

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: পোস্টে উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ....

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ডাকটিকেটটি তো বেশ সুন্দর! কে বলেছে তিতুমীরকে কেউ মনে রাখেনি।

হিন্দু জমিদারের এরকম মুসলিম বিদ্বেষ সত্যই পীড়াদায়ক। কারন ভারতবর্ষে ততদিনে বহুত্ববাদ শেকড় গেড়ে বসেছিল। বিশেষত শিবাজীর মত নেতারা ছিল যারা নিজেরা হিন্দুরাষ্ট্রের প্রবক্তা হলেও মুসলিমদের সাথে সহাবস্থানে অবিশ্বাসী ছিল না।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩১

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: মনে রেখেছে মনে না রাখার মত করে...
ধন্যবাদ...

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: গোলাম মাসুম সম্ভবত ৫০০ সৈন্য নিয়ে আত্মসমর্পন করেন। তিনি তিতুমিরের ভাগনে। তিতুমীর শহীদ হয়ে গেলে আর কোন উপায় ছিল না।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩০

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: আঞ্চলিক সহযোগীতার অভাব ছাড়াও নানাবিধ কারন আছে তার আন্দোলন বার্থ হওয়ার পিছনে...
ধন্যবাদ...

৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: না ভোলানা কেউ! ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে নিরন্তর!

দেশ, স্বাধীনতা, ইতিহাসে ক্রমশ নামগুলো আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে!
কি দারুন দারুন দেশপ্রেমের সিরিয়াল, মুভি হতে পারে স্ব-দেশী আন্দোলনের্
এই মাটির মানুষের বিপ্লবের সত্য ঘটনাগুলো নিয়ে!!!
হা হতোম্ম্যি!

সব বিনিয়োগ পরকিয়া আর ফালতু আঞচলিক ডায়ালগের জোর করে কুতকুতি দেয়া কথিত নাটকে!

ধন্যবাদ স্মরনীয় বরনীয়কে নিয়ে পোষ্ট দিয়ে স্মরন করিয়ে দেয়ায়

+++

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৬

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: তিতুমিরের জন্ম ভিটে আর বাশের কেল্লার জায়গাতে স্মৃতি ফলক ছাড়া আর কিছুই জোটেনি,
বাংলাদেশ সরকার তবুও তার নামে ডাক টিকিট বাজারে প্রচলন করেছে....

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩০

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১১

কাইকর বলেছেন: সুন্দর তথ্যবহুল পোস্ট

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৬

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ...

৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১২

ফেনা বলেছেন: "না ভোলানা কেউ! ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে নিরন্তর!"

বিদ্রোহী ভৃগু এর সাথে একমত।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৭

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: হুম..
ধন্যবাদ

৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তীতুমীরের ইতিহাস তুলে ধরতে গেলে একটা পক্ষকে দোষী হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে সেটা আবার কিছু চেতনাজীবিদের গায়ে লাগে...

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৮

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: আপনার সাথে একমত..
ধন্যবাদ...

৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: মহাখালীতে তিতুমীর কলেজটা কি তিতুমীরের?

হা হা হা---
মজা করলাম। কিছু মনে করবেন না।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: ওকে ভাইয়া..
বাংলাদেশে তিতুমিরের নামে অনেক কিছুই আছে....
সেই তুলনায় ভারতে কিছুই নেই তার নামে...
(বারাসাত বাসটার্মিনাল ছাড়া)

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ...

৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: তিতুমীর সম্পর্কে কিছু পড়াশোনা করেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.