নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গ্রহান্তরের বাসিন্দা

গ্রহান্তরের বাসিন্দা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিশপ্ত আওয়ামী লীগের ইতিহাস

১২ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫

★১৯৪৯ সালের ২৩ জুন যে আওয়ামী লীগ
রোজগার্ডেনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান
ভাসানী। দুঃখজনক হলেও সত্য,
মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগ করে মরতে পারেননি।
★আওয়ামী লীগের যে সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুরের
অবর্তমানে দলের দুঃসময়ে কাজ করেছেন,
মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, স্বাধীন বাংলার প্রথম
প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দীন আহমদও আওয়ামী লীগ
করে মরতে পারেননি।
★ছয় দফা ঘোষণার পর বশেখ মুজিবুরসহ নেতারা যখন
জেলে তখন যে নেত্রী দলের হাল ধরেছিলেন, ছয় দফার
প্রচার চালিয়েছিলেন সেই আমেনা বেগমও আওয়ামী লীগ
করে মরতে পারেননি।
★সিলেটের কৃতী সন্তান জেনারেল এম এ
জি ওসমানী সেনাবাহিনী থেকে অবসর
নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন। '৭০ সালে জাতীয়
পরিষদ সদস্য হয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে প্রধান সেনাপতির
দায়িত্ব পালন করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে তিনিও
আওয়ামী লীগ করে মরতে পারেননি।
★ষাটের আরেক ছাত্রলীগ নেতা আওয়ামী লীগের
একসময়ের প্রভাবশালী নেতা আমির হোসেন আমুও একই
অবস্থায় আছেন। সিলেটের বন্দরবাজারে পচা আলু-
পটলের মূল্য থাকলেও আওয়ামী লীগ আজ এতটাই
অভিশপ্ত দল
★ষাটের ছাত্রলীগ নেতা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের
কা-ারি আবদুর রাজ্জাক কাঁদতে কাঁদতে দুনিয়া থেকে বিদায়
নিয়েছেন। বুকভরা বেদনা নিয়ে এই দলের সাবেক সাধারণ
সম্পাদক আবদুল জলিলও ইন্তেকাল করেছেন। তাদের
কাউকেই আওয়ামী লীগ সম্মান নিয়ে মরতে দেয়নি।
★ষাটের ছাত্রলীগের পুনঃজন্মকালে ছাত্রলীগের
সভাপতি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এই দল
করতে পারেননি।
★কে এম ওবায়দুর রহমান আওয়ামী লীগ
করে মরতে পারেননি। মাজহারুল হক বাকী, আবদুর রউফ,
আওয়ামী লীগ করে মরতে পারেননি।
★ফেরদৌস আহম্মেদ কোরেশীও আওয়ামী লীগ
করতে পারেননি। পারেননি খালেদ মোহাম্মদ আলী।
★ষাটের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক যিনি স্বাধীন
বাংলার রূপকার, ইকবাল হলের পুকুরঘাটে যাকে আমার
হাতের অনামিকা আঙ্গুল কেটে রক্ত
দিয়ে মাতৃভূমি স্বাধীন করার শপথ নিয়েছিলাম সেই
সিরাজুল আলম খান আওয়ামী লীগ করতে পারেননি।
★আওয়ামী লীগ করতে পারেননি আসম আবদুর রব,
শাজাহান সিরাজ।
★স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতা '৭০-
এর নির্বাচন ও মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখা ছাত্রলীগ
সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী বঙ্গবন্ধুর নাম
নিতে নিতে মারা যাচ্ছেন, তবুও আওয়ামী লীগ
করতে পারেন না।
★ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ মুজিবুরের ভাগনে শেখ
শহিদুল ইসলাম আওয়ামী লীগ করতে পারেননি।
★শেখ মুজিবুর ও আওয়ামী লীগের
উত্থানে সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ তোফাজ্জল
হোসেন মানিক মিয়ার ভূমিকা ইতিহাসে অমর অক্ষয়। কিন্তু
তার ছেলে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন তো আওয়ামী লীগ
করতে পারেনইনি, তার আরেক ছেলে ষাটের ছাত্রলীগ
নেতা আনোয়ার হোসেন মঞ্জুও নন।
★ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ রশিদ
কোথায় কেউ জানে না।
★ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মনিরুল হক
চৌধুরী এখন বিএনপি করেন। তার সাধারণ সম্পাদক
শফিউল আলম প্রধান করেন জাগপা।
★সিলেটের অলিতে-গলিতে যে ছাত্রনেতা তরুণদের
আদর্শের রাজনীতির পাঠ দিয়েছিলেন সেই সুলতান
মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ছাত্রলীগের সভাপতি ও ডাকসু
ভিপি হয়ে সিলেটবাসীকে গৌরবান্বিত করেছিলেন। আজ
সিলেটের ভোটের ময়দানে তিনি কেন প্রচারণায় নেই?
তিনি কেন আওয়ামী লীগ করতে পারেন না?
★ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাহলুল মজনুন
চুন্নুর আওয়ামী লীগে ঠাঁই হয়নি। কোথায় আছেন কেউ
খবরও নেয় না।
★সাবেক সভাপতি আবদুল মান্নান ও ডা.
মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন
কোনো রকমে দলে বেঁচে থাকলেও খ ম জাহাঙ্গীরের ঠাঁই
নাই।
★এই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মুখ উজ্জ্বল
করেছিলেন শেখ মুজিবুর হত্যার প্রতিবাদ করে তিনি বঙ্গবীর
কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। তাকেও আওয়ামী লীগ
করতে দেওয়া হয়নি।
★যে বিশ্বজিৎ নন্দী শেখ মুজিবুর হত্যার প্রতিবাদ করত
গিয়ে ফাঁসিতে ঝুলতে গিয়েছিল ক্ষুদিরামের মতো এই দল
তাকেও ঠাঁই দেয়নি। তার খোঁজও নেয় না।
এই অভিশপ্ত আওয়ামী লীগ আপনারা কেউ করবেন না -
এটা ফজলুর রহমানের নিবেদন।
★আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সহ একাদিক বেক্তির অবর্স্তা একই রকম

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

সজিব্90 বলেছেন: তথ্য বহুল লেখা,ভালো হইছে।

৩১ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

গ্রহান্তরের বাসিন্দা বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.