নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অরাজনীতিবিদদের রাজনীতিতে আগমন ও তার ফলাফল

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪



দক্ষিণ কোরিয়ার পেয়াংচেং শহরে শীতকালীন অলিম্পিকের পুরো উদ্ভোধন দেখেছিলেন? আমি দেখেছি, আধুনিক দেশ এ'রকম, কিংবা তার থেকে ভালো হওয়া উচিত; আমাদের জাতি এ'রকম কিছু হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ১৯৭১ সালে; অরাজনীতিবিদরা আমাদের রাজনীতি দখল করে নেয়াতে তা ঘটেনি!

দেশ চালায় রাজনীতিবিদরা; ব্যুরোক্রেট ও প্রশাসন রাজনৈতিক সরকারের সিদ্ধান্তগুলোকে কার্যকরী করে মাত্র। পদ্মাসেতুর কথা ধরুণ: জাতির টাকায় পদ্মাসেতু করার সিদ্ধান্ত ছিল বিশাল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত; শেখ হাসিনা যদি সিদ্ধান্ত নিতেন যে, সেতু হবে ঋণের টাকায়; সেটাই ঘটতো!

আমাদের দেশের মতো সীমিত সম্পদের দেশে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের ফাইন্যানসিয়াল প্রজেক্ট হচ্ছে রাজনৈতিক লোকজনের সিদ্ধান্তে; এতবড় সিদ্ধান্ত যিনি নেবেন, তাঁর ব্যাকগ্রাউন্ড, দক্ষতা, দায়িত্বশীলতা, মানুষের সাথে তার সম্পর্ক বিরাট হওয়ার দরকার। পদ্মা নিয়ে শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মোটামুটি ভালো, জাতি প্রথমবার বুঝলো যে, জাতির নিজের টাকায় বিশাল বিশাল প্রজেক্ট করা সম্ভব; কিন্তু সঠিক হতো, যদি তিনি বিশ্ব ব্যাংকের ন্যুনতম সুদের হারে টাকা নিয়ে সেতু করতেন, ও জাতির সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারে চাকুরীর সৃস্টি করতেন, বেকারত্ব অনেক কমে আসতো!

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট সকাল অবধি শেখ হাসিনা কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন না; শেখ সাহেব উনার ২ ছেলেকে রাজনীতিতে আনার কথা ভেবেছিলেন, শেখ হাসিনাকে রাজনীতিতে আনার কোন লক্ষণ ছিলো না। ১৯৭৫ সালের আগষ্ট মাসের ১৫ তারিখ থেকে ১৯৮১ সাল অবধি শেখ প্রস্তুতি নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে, শুরুতেই একেবারে সবচেয়ে বড় পদে। এই প্রস্তুতি ছিল রাজনৈতিক দলের প্রধান হওয়ার; রাজনীতি শিখা ও জাতির কল্যানে কাজ করার জন্য নয়; পৃথিবীর একটি বড় রাজনৈতিক হত্যাকান্ড উনাকে রাজনীতিতে স্হান করে দিয়েছে, উনার রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড ছিলো না; ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকার পরও, উনি বিশাল দা্যিত্বের পদ পাওয়াতে কাহাদের লাভ, ও কাহাদের লোকসান হলো?

শেখ সাহেবের যেই বিরাট রাজনৈতিক জীবন, জাতীর উপর যেই বিশাল প্রভাব ছিলো, তার কোন কিছুই শেখ হাসিনার ছিলো না; ছিলো উত্তরাধিকারসুত্রে পাওয়া বাবার শত্রু ও বিরুদ্ধচারণকারীদের বিশাল শক্তি, যা উনাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলো। আজ ৩৮ বছর পর, তিনি প্রমাণ করেছেন যে, শেখ সাহেব উনার কাছে 'বাংলাদেশের রাজনীতিতে ১ জন শিশু মাত্র'। ৩৮ বছর পরও, উনি একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তির রাজনীতিতে আগমণের উদাহরণ।

সময়ের সাথে মিলালে, উনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন চলছে উল্টোভাবে, উনার সরকার সাধারণ মানুষের পক্ষের সরকার নয়, সাধারণ মানুষ সরকারের প্রজা ও বাজারে পরিণত হয়েছে, উনার সরকার ধনীদের সরকার; বিশ্বের অনেক এলাকায়, এ ধরণের সরকারগুলোর বিলুপ্তি ঘটেছে ১০০ বছর আগে; আমাদের রাজনৈতিক জীবন অনেকটা ১০০ বছর আগের মানুষদের মতো; যদিও অর্থনীতি কিছুটা ভালো; কিন্তু মানুষের মনোবল ও মরাল বেশ নীচু মানের।

অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা রাজনীতি দখল করলে, জাতিদের অবস্হা আমাদের মতোই হয়।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: শেখ হাসিনা যতদূর জানি কলেজ জীবন থেকে রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। বাকি আপনি জানেন।

এই পোষ্টে সরকারের নিন্দা ছাড়া কিছু পেলাম না।
তবে, অরাজনৈতিকরা রাজনীতি দখল করলে দেশ মানুষের অধিকার খর্ব হয় এটা সবসময় গ্রহণযোগ্য বাণী।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


কলেজের রাজনীতি মানুষের জন্য ক্ষতিকর ছিল বরাবরই।

উনি এসেছেন নিজের বুদ্ধির বলে, টিকে আছেন নিজের বুদ্ধির বলে; তিনি এসেছিলেন জেনারেল জিয়ার ইমডরমনিটিতে লাথি মেরে বাবার হতয়াকারীদের ঝুলাতে; উনার বর্তমান শক্তি দেখলে মনে হয়, জিয়া বেঁচে থাকলে লালঘরে থাকতো, কিংবা ম্যানিলা রশিতে ঝুলতো।

রাজাকারদের বিচার, বেগম জিয়ার বিচারের জন্য উনার দরকার ছিলো, উনার আগমনে ফালুর প্রতাপ করেছে, কিন্তু বসুন্ধরারা দেশ দখল মরেছে, সালমানরা ব্যাংক খালি করেছে, মহিউদ্দিন আলমগীরেরা র‌্যাংকের হয়েছে।

২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ব্যাংকার, দেশ দখল, ধনিরা ধনি, আইনের অপব্যবহার, ক্ষমতার লোভ বিএনপি সরকার আমলে কোনভাবে কম হয়নি। বরঞ্চ দেশ জাতির সাথে বেঈমানী করেছেন আরো বেশি, তবুও একদল মানুষ, একদল চুষিল খালেদা জিয়ার বিচারে নারাজ, তাকে মেন্ডেলার সাথে তুলনা করতেও ছাড়ছে না!!

আমার তো মনে হচ্ছে স্বাধীনতা পরবর্তী যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমান বাংলাদেশ ভালো পজিশনে চলছে। তবে কেন এই সরকারকে সাপোর্ট করতে পারছেনা কেউ কেউ ? এর চেয়ে ভালো রাজনৈতিক দল আর কোনটা বাংলাদেশে যে দেশ ভালো চালাবে!!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিএনপি গঠনে মানুষের কোন ভুমিকা ছিলো না; মিলিটারীর লোকজন দেশের প্রেসিডেন্টকে হত্যা করে ক্ষমতা দখলের পর, উহা করা হয়েছে; সেখানে মুলত নেতৃত্বে ছিলো যারা পাকিস্তানকে গুরুত্বপুর্ণ দেশ মনে করতো ও উহা থেকে বাংলাদেশ হওয়াকে ভারতের কারসাজি মনে করতো; উহা নিয়ে আমাদের কান্নার দরকার নেই; উহা এসেছিল মারাঠা আক্রমণের মতো।

আওয়ামী লীগের সময় মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, মানুষ প্রাণ দিয়েছেন; এটাকে আমাদের হিসেবের মাঝে রাখতে হবে, এটা জাতিকে কোথায় নিচ্ছে, সেটা দেখতে হবে।

৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অরাজনীতিবিদরা আসলেও দেশকে ঠিক মত চালাতে পারবে না তাতো নয়। রিগ্যান ছিলেন অভিনেতা, জয় ললিতা ছিলেন অভিনেত্রী কিংবা হালের জর্জ উইয়াহ ছিলেন ফুটবলার। কথা হচ্ছে তাদের নীতি কেমন থাকবে, তাদের অধীনস্তরা কেমন হবে? তারা কি দলীয়করণ, আত্মীয়করণ, স্বজনপ্রীতির উর্ধ্বে থেকে কাজ করতে পারবেন কিনা। ৩৫ বছর একটানা সভাপতি থাকবেন এটা নিশ্চয়ই তখনকার কামাল হোসেনরা ভাবেন নি...

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


রিগান অভিনেতা ছিলেন, তাঁকে দলের মাঝ দিয়ে আসতে হয়েছে; তাঁকে প্রথমে গর্ভণর হয়ে, কাজ করে দেখাতে হয়েছে; রিগান দলের প্রধান হয়ে আসার সুযোগ পাননি। রিগান ২ বার ছিলেন, তারপর বিদায়! আমাদেরগুলো আসতে জানে বের হতে জানে না, তাদেরকে বের করতে হয় লালঘর হয়ে!

৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঠিক একই ভাবে জর্জ বুশ জুনিয়রও সন্তান হিসেবে সরাসরি মনোনয়ন পাননি। ভোট করে নির্বাচিত হয়ে যোগ্য হয়েছিলেন। আমাদের দেশে আবার দলীয় প্রধানের পদে কেউ মনোনয়নপত্র কেনে না। মানলাম, আমরা অতি আবেগী জাতি। কারো পিতা বা কারো স্বামীর স্থলাভিষিক্ত করেছি তাদের উত্তরসুরীদের। কিন্তু তাই বলে এনারা এভাবে আমাদের আবেগের সাথে খেলবেন তাতো কারো প্রত্যাশা ছিল না। আপাতত কোটা বিরোধী আন্দোলন চলছে। দেখা যাক, ভোটের রাজনীতিতে এই ইস্যুতে শেখ হাসিনা কী করেন...

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুক্তিযোদ্ধাদের ( কৃষকের ছেলে, ইপিআর, বেংগল রেজিমেন্ট) ছেলেমেয়েদের ও ছোট জন গোষ্ঠীদের জন্য কোটার দরকার, বাকীদের জন্য কোটা থাকার কথা নয়।

৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অসাধারণ বিশ্লেষণ, এতটা গভীরভাবে ভেবেছেন? রাজনৈতিক লেখা আপনাকেই মানায়।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


সব ব্লগারদের চেষ্টা করতে হবে রাজনীতি বুঝার; কারণ, উহাই জাতির সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে।

৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

আবু তালেব শেখ বলেছেন: যোগ্যতা দিয়েই তো রাজনিতিতে থাকতে হয়। হলেন আপনি সাধারন মানুষ, কিন্তু আপনার রাজনৈতিক কলাকৌশল জানা আছে, তাহলে সে যদি রাজনিতিতে আসে সমস্যা কি?

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাজনীতি অংক, ফিজিক্স, অর্থনীতি, ফিলোসফি থেকে কঠিন; আপনি মুদি দোকানদার হয়ে, আগামীকাল এটমিক এনার্রজিতে চাকুরী পেলে ১৭ কোটীর নামসহ মুছে যাবে; রাজনীতি হলো কোটী কোটী মানুষের দায়িত্ব নেয়ার চাকুরী; এটা রিজভী সাহেবের বিবৃতি নয়।

অলিম্পিকের উদ্ভোধন দেখেছেন? উহা রাজনীতিবিদেরা করেছেন; ফখরুল সাহেব কি করতে পারবেন?

৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: রাজনীতি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কিছু ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কোন গোষ্ঠী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যাদ্বরা নাগরিক সরকারের রাজনীতিকেই মুলত বোঝানো হয়, তবে অন্যান্য অনেক সামাজিক প্রতিষ্ঠান, যথা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেখান মানুষের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক বিদ্যমান, সেখানে রাজনীতি চর্চা করা হয়। আর সে ধরনের রাজনীতির চর্চা করতে করতেই অনেকে রাজনীতির সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে যায় । তবে আমাদের দেশ সহ সাম্প্রতিক বিশ্বে এর ব্যতিক্রমটিই বেশী যা এ পোষ্টের লেখাতেও সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে । সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাম্প্রতিক উদাহরন হলো প্রেমিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প । রাস্ট্র পরিচালনার বিষয়ে কোন রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছাড়াই হোটেল ডেভেলপার থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন।

তবে এ কথাও সত্য যে রাজনীতি কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার ভিত্তিতে গঠিত সামাজিক সম্পর্ক নিয়ে গঠিত বিধায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বেশ কিছু রাজনৈতিক ও প্রতিষ্ঠানিক নিয়মান্ত্রিকতার মধ্য দিয়েই রাজনীতির সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করতে হয়েছে , যা আমাদের তৃতীয় বিশ্বের অনেক রাজনিতিবিদদেরকেই অনুসরণ করতে হয়নি । পরিবারতন্ত্রের জোড়ে সরাসরি এক ধাক্কায় রাজনীতির সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করে যুগের যুগের তা ধরেও রাখতে পারছেন । এ প্রক্রিয়াটিকে মনে হয় সহজে ঠেকানো যাবেনা । যারা রাজনীতিতে আসার তারা অটোমেটিক এসে যাবে, তা সে মার্কিন মুল্লুক বা বিলাতে যেখানে যেভাবেই থাকুন না কেন । তারা রাজনীতি না জেনেও রাজনীতির গুরু বনে গেছেন ও দেশবাসীর উদ্দেশ্য ক্রমাগত ভারচুয়াল সবক দিয়ে যাচ্ছেন । যদিউ রাষ্ট্রবিজ্ঞান হচ্ছে শিক্ষার এমন একটি শাখা যা রাজনৈতিক আচরণ শেখায় এবং ক্ষমতা গ্রহণ ও ব্যবহারের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করে। কিন্ত আমাদের এখানে এ কালচার সম্পুর্ণ অনুপস্থিত । এর জন্য সকলের সচেতনতা প্রয়োজন । রাজনৈতিক চিন্তার ইতিহাস ও প্রকৃতি খুঁজে পাওয়া যায় প্লেটোর রিপাবলিক, এরিস্টটলের পলিটিক্স, এবং কনফুসিয়াসের কিছু লেখনীতে । দেশের শিক্ষিত অংশের সকলের এ সকল বিষয় জানা দরকার ,তাহলে সকলের মাঝে নাগরিক সচেতনতা আসতে পারে, পরিবর্তন হতে পারে দেশের রাজনৈতিক কালচারের ।
প্লেটোর রিপাবলিক, এরিস্টটলের পলিটিক্স এবং কনফুসিয়াসের লেখনির বিষয়ে সংক্ষেপে এখানে এই মন্তব্যের ঘরে প্রসঙ্গক্রমে একটুখানি কথা বলে গেলাম।অনেকেই অবশ্যই তাঁদের বিষয়ে আরো অনেক বেশী জানেন , তারা এখানে শেয়ার করলে ভাল হয় ।
প্লেটো ও তাঁর রিপাবলিক

বাংলাদেশের শিক্ষাবিদ সরদার ফজলুল করিম রিপাবলিকের ইংরেজি অনুবাদ হতে বাংলা ভাষায় রিপাবলিক অনুবাদ করেছেন প্লেটো তাঁর এই গ্রন্থে সাম্যবাদ নিয়ে আলোচনা করেছেন।


অ্যারিস্টটল ও তাঁর পলিটিক্স

অ্যারিস্টটলের পলিটিকস লেখা হয়েছে আজ থেকে দুই হাজার ৩০০ বছর (খ্রিষ্টপূর্ব ৩৩৫-৩২২) আগে, কিন্তু এই গ্রন্থ নিয়ে আলোচনা আজও শেষ হয়নি। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র-শিক্ষক, স্বৈরতন্ত্র-গণতন্ত্র ইত্যাদি বাস্তবিক শাসনব্যবস্থা নিয়ে গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মগ্ন পণ্ডিতবর্গ এবং রাজনৈতিক দর্শনের আলোচকেরা এই একুশ শতকে এসেও অ্যারিস্টটলের পলিটিকস বাদ দিয়ে অগ্রসর হতে পারেন না। এরিস্টললের লেখার বিষয়বস্তু রাজনীতি সচেতন সকলের পাঠ করা প্রয়োজন ।

কনফুসিয়াস ও রাজনীতি তাঁর চিন্তা চেতনা

প্রাচীন চীনের প্রখ্যাত দার্শনিক এবং চিন্তাবিদ। তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৫৫১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর চীনের লু ছ্যুফু শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর দর্শন ও রচনাবলী চীনসহ পূর্ব এশিয়ার জীবনদর্শনে বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে। কনফুসিয়াস মূলত নীতিবাদী দার্শনিক ছিলেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল শিক্ষার মূল ভিত্তি হচ্ছে নীতিজ্ঞান। নীতিজ্ঞন মেনে রাজনীতি করলে রাজনীতি একটি শক্তিশালী গনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে পরিনত হতে পারে । তাহলে হয়তবা অরাজনৈতিক কেও আর হঠাৎ করে মাটি ফুরে কিংবা দৈব ক্রমে ঘটনা চক্রে রাজনীতির শিখরে বসে জগগনের বুকে জগদ্দল পাথরের মত যুগের পর যুগ ধরে চেপে বসতে পারবেনা ।

ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্ট টি দিয়ে আলোচনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.