নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কান্না হাসির এই খেলা ঘরে।আমি এক জীবন্ত মাটির পুতুল।সব খেলা সাঙ্গ হবে একদিন।অপূর্ণ স্বপ্নদের কাকুতি থেমে যাবে।মায়ার পৃথিবীর সাথে হবে চির ছাড়াছাড়ি।

ক্লে ডল

বিধাতা তোমার দয়ার আশায় ই প্রতিটি দীর্ঘশ্বাসের শেষে নতুন স্বপ্ন বুনি।

ক্লে ডল › বিস্তারিত পোস্টঃ

দানবীয় ভূমিকম্পে কাঁপবে ঢাকা: আশঙ্কা গবেষকদের।

১২ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:২৯

বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরের একদল গবেষক এ বিষয়ে সতর্কতার পরামর্শ দিয়েছেন। আজ সোমবার নেচার জিওসায়েন্স জার্নালে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, তেমন ভূমিকম্প ঘটলে তা এ অঞ্চলের ১৪ কোটি মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে। ওই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রয়টার্স লিখেছে, এখনই বাংলাদেশ বড় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠবে এমন কথা বলা না গেলেও দু’টি গতিশীল ভূ-গাঠনিক প্লেট পরস্পরের ওপর চেপে বসতে থাকায় সেখানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের শক্তি জমা হচ্ছে।

গবেষক দলের প্রধান নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ মাইকেল স্টেকলার টমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে বলেন, ওই ধরনের ভূমিকম্প কবে ঘটতে পারে, সে পূর্বাভাস আরো গবেষণা না করে দেওয়া সম্ভব নয়। ভারতের পূর্ব অংশ ও বাংলাদেশের যে অঞ্চল সম্ভাব্য সেই ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র হতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, তার ১০০ কিলেমিটার ব্যাসের মধ্যে প্রায় ১৪ কোটি মানুষের বসবাস। রয়টার্সের প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ও অন্যতম দরিদ্র এই অঞ্চলে এ ধরনের একটি ভূমিকম্প মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। তেমন কোনো ভূমিকম্প হলে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা ভবন, ভারী শিল্প, বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং গ্যাস ক্ষেত্রগুলো ধ্বংসের মুখে পড়তে পারে বলে গবেষকরা আশঙ্কা করছেন।

গবেষক দলের অন্যতম সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার বলছেন, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় ১৯ কিলোমিটার গভীর পলি জমে বাংলাদেশের যে ভূ-খ- তৈরি হয়েছে, তা সেই ভূমিকম্পের প্রভাবে জেলাটিনের মত কেঁপে উঠতে পারে এবং কিছু কিছু জায়গায় তরলে পরিণত হয়ে গ্রাস করতে পারে ইমারত, রাস্তাঘাট আর মানুষের বসতি। তাদের এই গবেষণায় প্রায় ৬২ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে এই ভূমিকম্পের ঝুঁকির আওতায় বলা হয়েছে।

অধ্যাপক আখতার রয়টার্সকে বলেন, তেমন মাত্রার ভূমিকম্প সত্যিই হলে তার ক্ষয়ক্ষতি এতোটাই ভয়াবহ হবে যে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা হয়ত বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে। ২০০৪ সালে যে ফল্ট লাইনের ভূমিকম্পে সৃষ্ট সুনামিতে ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল, সেই একই ফল্ট লাইনে নতুন এই ভূমিকম্পের আশঙ্কা দেখছেন বিজ্ঞানীরা। দশ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে একটি কম্পিউটার মডেল তৈরির মাধ্যমে তারা দেখিয়েছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের পূর্ব অংশের ভূ-গাঠনিক প্লেট উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গিয়ে মিয়ানমারের পশ্চিম অঞ্চলের ভূ-গাঠনিক প্লেটে চাপ সৃষ্টি করছে, যাতে সৃষ্টি হচ্ছে অস্থিরতা।

ওই গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা টেকটোনিক প্লেটের ওই সরে যাওয়া জিপিএস এর মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করছেন ২০০৩ সাল থেকে। সেই তথ্য বলছে, বাংলাদেশ ও ভারতের পূর্ব অংশের প্লেট মিয়ানমারের পশ্চিম অঞ্চলের প্লেটকে বছরে ৪৬ মিলিমিটার করে ঠেলছে। অধ্যাপক আখতারকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই প্লেটের সংযোগ স্থলে ভূমিকম্পের শক্তি জমা হচ্ছে অন্তত ৪০০ বছর ধরে। ওই শক্তি একসঙ্গে মুক্তি পেলে তা প্রলয়ঙ্করি ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে।

মাইকেল স্টেকলার ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমসকে বলেন, এমন একটি বিপদ যে ঘনিয়ে আসছে সে ধারণা গবেষকদের কারও কারও মধ্যে ছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় তথ্য বা মডেল এতোদিন হাতে ছিল না। আমরা জানি না, ঠিক কবে সেই বিপদ আসবে, কারণ আমরা জানি না শেষ কবে ওই এলাকায় এরকম পরিস্থিতি হয়েছিল। আমরা বলতে পারছি না- এখনই, না ৫০০ বছর পরে সেই ভূমিকম্প হবে। কিন্তু আমরা নিশ্চিতভাবে দেখতে পাচ্ছি- ওখানে শক্তি জমা হচ্ছে।
view this link

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৫১

কল্লোল পথিক বলেছেন:





সুন্দর সচেতনতা মূলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

১২ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭

ক্লে ডল বলেছেন: নিউজটা পড়ে আমিও ভয় পেয়ে কাঁপলাম। :(

তাই ভাবলাম শেয়ার করি। আসলে কিছুই হয়ত করার নেই আমাদের। :(

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

শোভন১ বলেছেন: ভূমিকম্পে আমি এতোই ভয় পাইছি যে এখন আর এসব শুনে ভয় লাগেনা।

১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫৩

ক্লে ডল বলেছেন: কি আর করা!

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১২

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: বাহ্‌, বেশ পরিশ্রমী পোষ্ট, সেই সাথে যথার্থ। আসলে এখন আমাদের আর করার কিছু নেই, শুধুই সৃষ্টি কর্তার করুণার ওপর আস্থা রাখা।

পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯

ক্লে ডল বলেছেন: এ পোষ্ট করতে পরিশ্রমই হয়নি। এটাতো একটা নিউজ শেয়ার করেছি মাত্র।
হ্যা। সৃষ্টিকর্তার করুণা ছাড়া আমরা অচল,অথর্ব। তা ভূমিকম্প হোক আর নরমাল সময়েই হোক।

প্লাবন ভাই, আপনার মন্তব্য পেয়ে আমি ভীষণ খুশি। :)

৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: হু … খুব ভয়ের ব্যপার…

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

ক্লে ডল বলেছেন: :( :(

৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পরশু রাতে ভয়াবহ এক ভুমিকম্প স্বপ্নে দেখে ঘেমে উঠেছিলাম...

সকালে উঠৈই এইরকম নিউজ আর পোষ্ট পাচ্ছি!!!

সত্যিই ভয় হচ্ছে .....

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১১

ক্লে ডল বলেছেন: ওটা দুঃস্বপ্ন হয়েই থাক ভাই। বাস্তবে যেন কোনদিন না আসে!

৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: তথ্যমুলক পোষ্ট তাই প্রিয়তে নিলাম!

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

ক্লে ডল বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:০৯

জেন রসি বলেছেন: গতবার যা হয়েছে তাতেই মনে হচ্ছিল সব ভেঙ্গে পড়ছে! নয় মাত্রার হলে আসলেই সব ধ্বংসস্তূপে পরিনত হবে।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

ক্লে ডল বলেছেন: ঢাকা হতে পারে বসবাসের অযোগ্য। :(

৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১৩

জুন বলেছেন: এটা পড়ার পর থেকে দারুন আতংকে আছি ক্লে ডল :-&

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

ক্লে ডল বলেছেন: আপু কিচ্ছু করার নেই, শুধু সৃষ্টিকর্তার করুণা ভিক্ষা ছাড়া! :(

৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমরা বলতে পারছি না- এখনই, না ৫০০ বছর পরে সেই ভূমিকম্প হবে। কিন্তু আমরা নিশ্চিতভাবে দেখতে পাচ্ছি- ওখানে শক্তি জমা হচ্ছে - এ ভয়ঙ্কর পূর্বাভাসে ভীষণ শঙ্কিত বোধ করছি! এমন পরিস্থিতিতে করনীয় কী হবে, সেটাই ভাবছি!

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯

ক্লে ডল বলেছেন: ভূমিকম্প!!! আজও হল! :(

১০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভেবে দেখুন তা'হলে, ভূমিকম্প হবার আগেই আমি কিভাবে বুঝলাম যে আজ আপনার ভূমিকম্প বিষয়ক লেখাটা পড়তে হবে! :)

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

ক্লে ডল বলেছেন: মানুষের অবচেতন মন আগে থেকেই কিছু ঘটনা উপলব্ধি করতে পারে। আপনার ক্ষেত্রেও হয়ত তাই ঘটেছে। অথবা শুধুমাত্র কাকতালীয়! :)

উপরওয়ালার নিকট প্রার্থনা করি, আমরা সকলেই যেন বিপদমুক্ত থাকতে পারি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.