নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাল-মন্দের মাঝে আমার বসবাস

সময়ে অসময়ে ভর করে কিছু প্রিয় মূহুর্তগুলো…… ফিরে ফিরে আসে অনুভূতির গহীন অরণ্যে, হৃদয়ে একটু সুখের স্পর্শ, আর না পাওয়ার নিদারুণ ক্ষরণ দিয়ে যাওয়া… তার নাম তো স্মৃতিই বটে!

সি.এম.তানভীর-উল-ইসলাম

আমি একজন চিন্তাবিদ।

সি.এম.তানভীর-উল-ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

My Brother (2004) … ভালবাসা যখন আমৃত্যু

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

ভাই-ভাই কিংবা বোন-বোন কিংবা ধরেন ভাইবোন যা বলেন না কেন, একই মায়ের পেটে জন্মগ্রহন করা ভাই-বোনের পরস্পরের প্রতি ভালবাসা কখনো অম্ল-কখনো মধুর হয় কিন্তু সেই ভালবাসায় থাকে আবেগ, পরস্পরের প্রতি দায়িত্ত-কর্তব্য জ্ঞান। সাথে থাকে বাবা-মায়ের পরিপূর্ণ ভালবাসা ও সবাইকে একসাথে নিয়ে সেই ভালবাসার চাদরে ঢেকে রাখা।



আজ আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো কোরিয়ান মুভি My Brother (2004)[http://www.imdb.com/title/tt0423461/] অভিনয়ে আছেন Kim Hae-sook, Shin Ha-kyun, Won Bin সহ প্রমুখ। পরিচালনায় আছেন Ahn Kwon-tae।



দুই ভাই Sung-hyun ও Jong-hyun জন্মের আগেই বাবা কে হারায়। দুই ভাইয়ের বয়সের ব্যবধান এক বছরেরও কম-বেশী হলেও ওরা একই স্কুলে একই ক্লাসে পড়ে। বড় ভাই Sung-hyun লেখাপড়ায় অনেক ভালো ও চুপচাপ স্বভাবের এবং ছোট ভাই Jong-hyun পড়ালেখায় অমনোযোগী হলেও দেখতে সুদর্শন ও মারপিট করতে ভালোই উস্তাদ বলা চলে। বড় ভাই Sung-hyun জন্ম থেকেই ঠোঁট কাঁটা বলে মায়ের ইনকামের একটা বড় অংশ বড় ভাইয়ের চিকিৎসায় খরচ হয় এবং মায়ের সকল আদর যত্ন বড় ভাইকে ঘিরেই। বড় ভাইয়ের প্রতি মায়ের অগাত ভালবাসা দেখে ছোট ভাই Jong-hyun নিজেকে অসহায় ভাবতে থাকে এবং নিজেকে অনেক ঝামেলায় জড়িয়ে ফেলে। বাসে আসা যাওয়ার বদলতে ছোট ভাই শান্তশিষ্ট ও সুন্দরী Jo Mi-ryung প্রতি প্রথম দেখায় ভাললাগা ও পরবর্তীতে তা ভালবাসায় পরিনত করে কিন্তু Jo Mi-ryung কে আগেই থেকেই ভালবেসে ফেলে বড় ভাই এবং তাকে নিয়ে অনেক ছবি আঁকা ও কবিতা লেখে যদিও পরবর্তীতে সেটি ছোট ভাই ছাড়া আর কেউ জানতো না। ছোট ভাই বড় ভাইয়ের লেখা কবিতা ও ছবি মেয়েটির কাছে নিজের বলে চালিয়ে দেয়। গল্পের শুরু এখানেই…







হুম … কি ভাবছেন??? যা ভাবছেন তা কিন্তু না… মুভির জাস্ট শুরুটা বললাম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনিই দেখে বলবেন।



দুই ভাইয়ের ভুমিকায় Shin Ha-kyun ও Won Bin অভিনয় ছিল অসাধারণ। পিতার ভালবাসা থেকে বঞ্চিত সন্তানদের তিলে তিলে মানুষ করা, লেখা-পড়ায় শিক্ষিত করা, নিজে প্রয়োজনকে না মিটিয়ে সন্তানের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দেয়া যা শুধু মায়ের পক্ষেই সম্ভব। সেই মায়ের ভুমিকায় রূপদানকারী Kim Hae-sook মায়ের চরিত্রটিকে দারুন ভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন যার প্রশংসা না করলেই নয়। পরিচালক Ahn Kwon-tae সাধারণ একটি প্লটকে যেভাবে বিশ্বাসযোগ্য ও ছবির পর্দায় সিনেমেটিক ভাবে তুলে ধরেছেন যে তাকে এক কথায় অসাধারণ না বলেই নয়। যার ফলে ছবিটি পেয়েছে প্রান ও দর্শকদের ভালবাসা। ছবির একপর্যায়ে নিজের আবেগকে ধরে রাখা খুবই কষ্টকর মনে হয়েছে। মুভিতে প্রতিটি চরিত্র নিজ নিজ গুরুত্ব বহন করে এবং অভিনয় শিল্পীরা সেটি বজায় রেখেছেন অনেকটা সফলভাবেই। দুই ভাইয়ের পরস্পরের প্রতি ভালবাসা- ঝগড়া-আবেগের বহিঃপ্রকাশ, মায়ের মমতা-কঠোরতা, পারিপার্শ্বিক চরিত্রে রূপদানকারীদের স্বতঃস্ফূর্ত সাপোর্ট মুভিটিকে করেছে প্রাণবন্ত এবং একঘেয়ে থেকে মুক্তি।



ট্রেইলারঃ



আইএমবিডি রেটিং -> ৭.৩/১০



আমার রেটিং -> ৮/১০







আজ এই পর্যন্তই। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। দেশের এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে নিরাপদ রাখতে পারুন সেই কামনাই করছি। আসসালামু আলাইকুম :)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২১

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: মুভিটা দেখা হয়নাই,কিন্তু রিভিউ পড়ে দেখতে ইচ্ছা করছে :)

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৭

সি.এম.তানভীর-উল-ইসলাম বলেছেন: তাহলে দেখে নেন :) মিস করা ঠিক হবে না।

২| ১৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৪০

ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: চোখে পানি চলে আসার মতন... ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.