নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বদমেজাজী মন্দ লোক (www.meetmamun.com)

ডি মুন

এস এম মামুনুর রহমান - www.meetmamun.com

ডি মুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেয়ারনেস ক্রিম নাকি রেসিজম; কোনটি কিনছেন?

২৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬



আমরা দেখেছি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসে পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের একজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃত্যুর পর সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে হলে আমাদেরকে বর্ণবাদী মনোভাব পরিহার করতে হবে। বর্ণবাদ পশ্চিমা বিশ্বের একক কোনো সমস্যা নয়, আমরা এই বাংলাদেশের মানুষেরা অনেকেই বর্ণবাদী মনোভাবে আক্রান্ত এবং প্রায়শই আমাদের আচরনে সেটা প্রকাশ করে থাকি। আমাদের মধ্যে এই বর্ণবাদী মনোভাবকে উসকে দেয়ার পেছনে ফেয়ারনেস ক্রিম বা ত্বক ফর্সাকারী পণ্যের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।

ফেয়ারনেস ক্রিমের বিষয়ে আসার আগে চলুন জেনে নেয়া যাক, বর্ণবাদ বলতে আসলে কি বোঝানো হয়। বর্ণবাদের একটি সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেয়া কঠিন। সাধারণত বর্ণবাদ হলো এমন দৃষ্টিভঙ্গি, চর্চা এবং ক্রিয়াকলাপ যেখানে বিশ্বাস করা হয় যে, মানুষ কতগুলো গোষ্ঠীতে বিভক্ত এবং কোনো কোনো গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীর চেয়ে নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্যের জন্য উঁচু অথবা নিচু। খুব সংক্ষেপে বর্ণবাদ বলতে বোঝায়, এক জাতি অন্য জাতি অপেক্ষা উৎকৃষ্ট এবং তার উপর কর্তৃত্ব করার অধিকারী - এমন ধারণা বা বিশ্বাস। বর্ণবাদ নানাভাবে প্রকাশিত হতে পারে – কখনো গোত্র দিয়ে, কখনো আঞ্চলিকতা দিয়ে, আবার কখনোবা গায়ের চামড়ার রঙ দিয়ে। তাই শ্বেতাঙ্গ বা সাদা চামড়ার মানুষকে কৃষ্ণাঙ্গ বা কালো চামড়ার মানুষের চেয়ে উৎকৃষ্ট মনে করাটা নিঃসন্দেহে বর্ণবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ।

আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে এই বর্ণবাদী আচরন লক্ষ্য করা যায়। বিশেষত নারীরা তাদের নিজেদের অজান্তেই বর্ণবাদী মনোভাব নিয়ে বেড়ে ওঠেন। কোনো পরিবারে যদি গায়ের রঙ কালো এমন মেয়ে শিশু জন্ম নেয়, তাহলে পরিবারের সদস্যরা তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে হতাশ হয়ে পড়েন। গায়ের রঙ কালো মেয়েরা হীনমন্যতায় ভোগে এবং রঙ ফর্সা করার জন্য নানাবিধ প্রসাধনী ব্যবহার করতে থাকে। পুরুষের মধ্যেও বর্ণবাদী আচরণ দেখা যায়। তারা ফর্সা ত্বকের মানদন্ডে সৌন্দর্য বিচার করে থাকে প্রায়শই। বিয়ের ক্ষেত্রে ফর্সা পাত্রীই তাদের পছন্দের শীর্ষে থাকে। সমাজে নারী পুরুষ উভয়েরই ফর্সা ত্বকের প্রতি এমন দুর্বলতা থাকায়, ফর্সা হওয়ার প্রবল প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায় তাদের মধ্যে। আর এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে ফেয়ারনেস ক্রিম বা ত্বক ফর্সাকারী পণ্যের কোম্পানি রমরমা ব্যবসা ফেঁদে বসে। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তারা সবসময় আপনার মধ্যে একটি হীনমন্যতাবোধ জাগিয়ে রাখে। আপনাকে মনে করিয়ে দিতে থাকে যে, আপনার ত্বকের স্বাভাবিক যে রঙ, তা যথেষ্ট নয়। আপনাকে বোঝানো হয় যে, শুধুমাত্র ত্বকের রঙ ফর্সা ও উজ্জ্বল করতে পারলেই আপনি আকর্ষনীয় হয়ে উঠবেন এবং জীবনের নানাবিধ সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাবেন, উত্তরোত্তর সফলতা অর্জন করবেন। স্পষ্টত বর্ণবাদী মনোভাব উসকে দেয়া এসব বিজ্ঞাপন প্রতিদিন প্রচার করা হয় দেশের প্রায় সবগুলো টিভি চ্যানেল, এফএম রেডিও, এমনকি ফেসবুক ও ইউটিউবে। এতে অভিনয় করেন নামীদামী শিল্পীরা।

ত্বক ফর্সাকারী পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রতিনিয়ত দেখতে দেখতে একসময় মানুষের মধ্যে এই বিশ্বাস দৃঢ় হয় যে, ফর্সা ত্বক মানেই সুন্দর এবং ত্বক ফর্সা করতে পারলেই অন্যদের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে থাকা যাবে।


ফেয়ারনেস ক্রিমের আড়ালে বর্ণবাদ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা'র তথ্য অনুযায়ী, সারাবিশ্বেই ফেয়ারনেস ক্রিমের ব্যবহার রয়েছে। তবে এশিয়ার দেশগুলিতে এর ব্যবহার সবথেকে বেশি। চিন, ভারত, বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলির প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ মহিলা এই ধরনের ক্রিম ব্যবহার করেন।

আমাদের দেশে ফেয়ারনেস ক্রিমের সবচেয়ে বড় বাজার ইউনিলিভার নামের একটি বহুজাতিক কোম্পানির, যাদের ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী’ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। ১৯৭৫ সালে বাজারে আসার পরপর দ্রুত ভারতের বাজারে জনপ্রিয়তা পায় এই ক্রিম। এখনও ভারতেই এর সবচেয়ে বড় বাজার রয়েছে, এরপর রয়েছে বাংলাদেশে। আমরা যদি শুধুমাত্র এই একটি পণ্যের বিজ্ঞাপনের দিকে লক্ষ্য করি, তাহলেই বর্ণবাদী মনোভাব উসকে দেয়ার পেছনে এর ভূমিকাটি স্পষ্ট হয়ে উঠবে।

টেলিভিশনে ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী’র নানা ধরণের বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়। সব ক’টিতেই দেখা যায়, শ্যামলা বা কালো একটি মেয়ে ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী’ মেখে ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করার মাধ্যমে জীবনে সফল হয়েছে। ধরা যাক, মেয়েটি চাকরি পাচ্ছে না, ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী’ ব্যবহারের পর তার চাকরি হয়ে গেল। বারবার পাত্র দেখতে আসলেও বিয়ে হচ্ছে না, দেখা গেল ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী’ ব্যবহারের পর তার দিক থেকে কেউ আর চোখ ফেরাতে পারছে না। অফিসের লুক নিয়ে চিন্তিত, ক্রিমটি ব্যবহারের পর উঠেছে আকর্ষণীয়। এরকম নানা ধরণের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনার মধ্যে হীনমন্যতা তৈরি করা হচ্ছে এবং তারপর এটাকে পূঁজি করে আপনার কাছেই বিক্রি করা হচ্ছে ফেয়ারনেস ক্রিম।

এছাড়া ক্রিমের ধরনে ও মোড়কেরও রয়েছে ভিন্নতা। কখনো আপনাকে বোঝানো হচ্ছে যে আপনার দরকার মাল্টিভিটামিন, তো এর কিছুদিন পরেই হয়তো বলা হচ্ছে - উজ্জ্বলতা পুরোনো হয়ে গেছে এখন আপনার দরকার এইচডি-গ্লো। এছাড়া আছে এডভান্সড মাল্টিভিটামিন, উইন্টার ফেয়ারনেস, বিবি ক্রিম, লেজার ট্রিটমেন্ট, আয়ুর্বেদিক কেয়ার, আরো কতো কি। পুরুষদের জন্য আছে মেনস ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী, মেনস একশান, ইত্যাদি।

এভাবে চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ক্রমাগত আমাদেরকে বলা হচ্ছে যে, আমাদের গায়ের যে স্বাভাবিক রঙ ও উজ্জ্বলতা আছে সেটি যথেষ্ট নয়। বিষয়টি যেন এমন যে, কালো বা শ্যামলা মানুষ সুন্দর হতে পারে না, কালো হলে আপনি কর্মক্ষেত্রে সফল হবেন না, উপযুক্ত সঙ্গীও আপনার জুটবে না আপনার কপালে। তাই ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বক ফর্সা করলেই কেবল আপনি সুন্দর হয়ে উঠবেন এবং অনেক সম্ভাবনার পথও উন্মক্ত হবে।


কেন আপনি ত্বক ফর্সা করতে চান?

ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, ভারতীয় উপমহাদেশ মধ্যযুগ থেকেই ছিলো ইউরোপীয়দের বাণিজ্যের একটি অন্যতম কেন্দ্র। ইউরোপের নানা দেশ থেকে ইউরোপীয় স্যাটেলার, পর্তুগিজ, ডাচ, ফ্রেঞ্চ বণিকগণ এ উপমহাদেশে এসে ব্যবসা করেছে, বসতি গড়েছে। এরপর ষোড়শ শতাব্দী থেকে শুরু হয়েছে মুঘল শাসন এবং তারপর ১৯৪৭ সাধে স্বাধীনতা লাভের আগ পর্যন্ত এই উপমহাদেশ শাসিত হয়েছে ইংরেজদের দ্বারা। এইসব শাসকগোষ্ঠীর সকলেই ছিল সাদা চামড়ার অধিকারী। অন্যদিকে এ উপমহাদেশের দেশগুলো গ্রীষ্মপ্রধান হওয়াতে এবং ত্বকে মেলানিনের ঘনত্ব বেশি থাকায়, এখানকার মানুষের ত্বক সাধারণত শ্যামলা বর্ণের। তাই এই উপমহাদেশের মানুষেরা সাদা চামড়ার মানুষদের দ্বারা দীর্ঘদিন শাসিত হয়ে চামড়ার সাদা রঙের সাথে ক্ষমতা, সম্মান, আর প্রতিপত্তিকে একাত্ম করে দেখতে শিখেছে।

এছাড়া ত্বক ফর্সা করার প্রতি আমাদের আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি হওয়ার আরেকটি কারণ বিনোদন মাধ্যম। বিশেষত টেলিভিশনে বিভিন্ন নাটক, সিনেমা ইত্যাদিতে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, নায়ক নায়িকাকে ফর্সা হিসেবে দেখানো হয়। এতে করে তাদের অনুকরণ করেও অনেকে নিজেদের ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করতে সচেষ্ট হচ্ছেন। এমনিভাবে একটি বদ্ধমূল ধারণা তৈরি হয়েছে যে, আপনি ফর্সা ও উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী হলেই অধিক সুন্দর ও সফল হয়ে উঠবেন।


আপনার করণীয়

প্রথমত, আপনাকে ত্বক ফর্সাকারী পণ্যের রকমারি প্রলোভন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। একজন শিক্ষিত আধুনিক মানুষ হিসেবে আপনাকে বুঝতে হবে যে, আপনার চামড়ার রঙের উপর আপনার সৌন্দর্য বা সাফল্য নির্ভর করে না। আপনার সৌন্দর্য নির্ভর করে আপনার পরিচ্ছন্নতা, রুচিশীলতা ও মেধার উপর। আর আপনি মেধাবী ও পরিশ্রমী হলে তবেই সফল হবেন। এজন্য আপনাকে কোনো রঙ ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহার করতে হবে না।

অবশ্যই আপনি ত্বকের প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করবেন। কিন্তু ফর্সা ত্বক সৌন্দর্যের পরিচায়ক এমন বর্ণবাদী চিন্তা থেকে আপনাকে বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ এমন বর্ণবাদী মনোভাব সমাজের মানুষের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে। এতে করে ব্যক্তিগত হতাশা ও হীনমন্যতাবোধে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তাই পরবর্তীতে ফেয়ারনেস ক্রিম বা ত্বক ফর্সাকারী পণ্য কেনার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন যে, এর মাধ্যমে নিজের অজান্তেই আপনি বর্ণবাদী হয়ে উঠছেন না তো?



* পোস্টে ব্যবহৃত ছবিটি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত



মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞাপনের উপর সেন্সর থাকা উচিত যাতে কোম্পানি গুলি যা খুশি দেখাতে না পারে। ছেলেরা যে মেয়েদের ব্যক্তিত্ব দেখেও আকৃষ্ট হয় এটা মেয়েদের ছোটবেলা থেকে শেখাতে হবে। একজন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মেয়ের গায়ের রঙ কালো হলেও সে ব্যক্তিত্বের দ্বারা অন্য মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে। কালো মেয়েদের ব্যাপারে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।

৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫৭

ডি মুন বলেছেন: একজন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মেয়ের গায়ের রঙ কালো হলেও সে ব্যক্তিত্বের দ্বারা অন্য মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে।

খুবই সত্য কথা। মেয়েদের নিজেদেরও এই বিষয়টাতে সচেতন হতে হবে। তাছাড়া প্রতিটি পরিবারকে তাদের সন্তানদের এই শিক্ষা দিতে হবে যে, মানুষের মূল্যায়ন হয় তার কর্মে, ব্যক্তিত্বে, কখনোই সে কতটুকু ফর্সা ও উজ্জ্বল এটা দিয়ে নয়।
আর হ্যাঁ, কোম্পানিগুলো যাতে যা খুশি দেখাতে না পারে, বিশেষত বর্ণবাদী মনোভাব উসকে দিয়ে সমাজের ক্ষতি করতে না পারে সে বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সচেতন হতে হবে।

ধন্যবাদ।

২| ২৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমি এখন মোবাইলে। মোবাইলে আমি সামু ব্যবহার করতে পারি না। আউলা লাগে

৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫৮

ডি মুন বলেছেন: মোবাইলে সামু ব্যবহার বিরক্তিকর।

৩| ২৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের দেশে প্রথম বর্ণবাদ শুরু হয় ফ্যামিলিতে জেন্ডার বৈষম্য নিয়ে। মেয়ের গায়ের রঙ যত ফর্সাই হোক না কেন, ছেলে হয়ে যায় সোনার টুকরো আর মেয়ে হয় অবহেলার পাত্রী বা অগুরুত্বপূর্ণ সদস্য :(

এরপর, চিরন্তন সাদা আর কালো'র বৈষম্য তো আছেই।

প্রত্যেককেই নিজের মন-মানসিকতা আগে পরিবর্তন করতে হবে। একটা স্ট্রাইকিং পার্সোনালিটির চাইতে অধিক শক্তিশালী ও আবেদনময় আর কিছু নেই। ক্রিম-ট্রিম ছেড়ে মননশীলতা ও মানবিকতা বৃদ্ধির চর্চা করতে হবে বেশি।

কিন্তু, বিশ্বব্যাপী সাদা-কালো বর্ণবাদ নির্মূলের জন্য কী পরামর্শ? সেগুলোর সমাধান কী? (যদিও এ আর্টিকেলের প্রসঙ্গ সেটা না)

সমৃদ্ধ আর্টিকেল। 'আমাদের করণীয়'গুলোও বাস্তবসম্মত মনে হয়েছে। ১ নাম্বার কমেন্টটা ভালো লাগলো।

শুভেচ্ছা ডি মুন ভাই।

৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১০

ডি মুন বলেছেন: মেয়ের গায়ের রঙ যত ফর্সাই হোক না কেন, ছেলে হয়ে যায় সোনার টুকরো আর মেয়ে হয় অবহেলার পাত্রী বা অগুরুত্বপূর্ণ সদস্য

আসলে প্রত্যেকেরই মানসিকতার পরিবর্তন জরুরী। পরিবারের সদস্যদের, ছেলে মেয়ে উভয়েরই। স্ট্রাইকিং পার্সোনালিটি ও পড়াশোনার দিকে মনযোগী হওয়া উচিত এবং ক্রিমট্রিম ছেড়ে মননশীলতা বৃদ্ধির চর্চা করা উচিত। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
যদিও বাস্তব চিত্র উলটো। আগে মধ্যবিত্ত শ্রেণি ফেয়ার এন্ড লাভলী বেশি কিনতো, এখন তাদের আরো উন্নতি হয়েছে। তারা বসুন্ধরা বা যমুনা ফিউচার পার্কে গিয়ে ভিন্ন ভিন্ন দেশের পণ্য খোঁজে। পাকিস্তানি, ইরানি, ফ্রেঞ্চ, আমেরিকান রঙ ফর্সাকারী জিনিসপত্র খোঁজে - ক্রিম, উপটান, ফেসমাস্ক, ফেসওয়াশ, ইত্যাদি। সাদা চামড়া আকর্ষনীয়, আর কালো চামড়া মন্দ - এই ধারণা থেকে বের হতে না পরলে আসলে কিছুই হবে না।

বিশ্বব্যাপী সাদা-কালো বর্ণবাদ নির্মূল নিয়ে আমার পরামর্শ নেই। সবাই জানে সমস্যা কোথায়। উত্তরণের পথ কি সেটাও কারো অজানা নয়। কিন্তু কেউ এটা মানতে চায় না। কারণ তাহলে বড় বড় কর্পোরেশান, বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বিজনেস ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আমরা ছোট দেশ। আমাদের উচিত ক্যাপিটালিস্ট বড় দেশগুলোর টার্গেটে পরিণত না হওয়া। বরং আমাদের উচিত হবে জ্ঞানের চর্চা করা এবং নিজেদের সম্পর্কে একটা পরিস্কার ধারণা রাখা। কিন্তু সে কাজটা কয়জন করে? অন্ধভাবে ইউরোপ আর আমেরিকান লাইফস্টাইল ফলো করতে পারলেই যেন আধুনিক হওয়া যাবে, জাতে ওঠা যাবে - এমন মানসিকতা সবার।

হতাশ হয়ে যাই শিক্ষিত মানুষদের মানসিকতা দেখেই। যাদের শিক্ষাদীক্ষা নেই, তাদের কথা আর নাইবা বললাম !

ধন্যবাদ

৪| ২৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২

লাবনী আক্তার বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ভাইয়ের কথার সাথে একমত। বর্ণবাদ আসলে পরিবার থেকেই আসে। ছেলে কালো হলে প্রব্লেম নেই কিন্তু মেয়ের গায়ের রং কালো হলেই প্রব্লেম। আমি দেখেছি উচ্চ শিক্ষিত মানুষ এবং অশিক্ষিত মানুষের মধ্যে কোন তফাৎ নেই। ম্যাক্সিমাম মানুষের মানসিকতা একইরকম।

আমার গায়ের রং কালো বলে জীবনে অনেক অভিজ্ঞতাই হয়েছে আমার। ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি মিষ্টি চেহেরা শুধু গায়ের রং একটু ফর্সা হলেই হত, হেন তেন ব্লা ব্লা ব্লা। ছোট বেলায় অনেক কষ্ট লাগত। এখন অবশ্য এইসব হাস্যকর লাগে। রং ফর্সাকারী ক্রিম আসলে আমাদের চারপাশের মানুষগুলোই বাধ্য করে ব্যবহার করতে।

মানুষের মানসিকতার উন্নতি দরকার।

৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৬

ডি মুন বলেছেন:
সমাজের সকলের মধ্যে পরিবর্তন আনা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আপাতত আমরা যেটা করতে পারি তা হলো নিজেদের মানসিকতা উন্নত করা। এবং আমাদের পরবর্তী জেনারেশনের মধ্যে এই ধারণা প্রতিষ্ঠিত করা, যে মানুষের মূল্যায়ন তার কর্মে, জ্ঞানে, মেধায়। চেহারার উজ্জ্বলতায় নয়।

ধন্যবাদ।

৫| ২৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমার মনে হয় ধর্মগুলোও এক ধরনের বর্নবাদী দোষে দুষ্ট।এই ধর্ম ঐ ধর্ম থেকে ভালো,এই ধর্মের লোক ঐ ধর্মের লোক থেকে উত্তম,এসব এখন বন্ধ হওয়া দরকার।

৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৮

ডি মুন বলেছেন: নিঃসন্দেহে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি, নিজের ধর্মকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে জাহির করতে চাওয়া - এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার।
ধর্ম নিয়ে রক্তারক্তির ইতিহাস তো কম নয়।

৬| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডি মুন,




একটি ভালো বিষয়ের অবতারণা করেছেন।
যুগের পর যুগ ধরে আমাদের মনে-মননে-মগজে এটাই গেড়ে দেয়া হয়েছে যে, মেয়ে মানেই দ্বিতীয়-তৃতীয় একটি শ্রেনীর প্রানী। সেক্ষেত্রে মেয়েটির রং কালো হলে তো কথাই নেই। শত বছর ধরে চলে আসা এই মানসিকতা কি সহজে পাল্টাবে ?

ভাবতে ভালো লাগবে , একদিন এই ধারণা থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি..............

৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

ডি মুন বলেছেন:
আধুনিক যুগে এসেছি বলে বড়াই করি আমরা। কিন্তু আসলেও কি মগজে মননে আধুনিক হতে পেরেছি?

মানুষ আসলে নিজের কাজ সম্পর্কে বেশিরভাগ সময়ই অসচেতন থাকে। আমাদের অবস্থাও এমন। ছোট জামাকাপড় পরলেই যেমন আমরা ভাবি, বাব্বাহ কি আধুনিক; ঠিক তেমনি সুন্দর হতে ফর্সা হওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগি।

পরিবর্তন সহজে হবে না, কারণ এর সাথে বিলিয়ন ডলার ব্যবসা জড়িত।

সোশ্যাল সাইটগুলো যেমন এখন মানুষের বিহ্যাভিয়ার তথা জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করছে, তেমনি বড় বড় কর্পোরেশান, বিজনেস জায়ান্ট মিডিয়া ইউজ করে আমাদেরকে তাদের দাস বানিয়ে রেখেছে। নিজেকে শিক্ষিত ও চিন্তাশীল করে তোলা ছাড়া এর থেকে মুক্তি নেই।

ধন্যবাদ

৭| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:১৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: ফেয়ার এন্ড লাভলী সহ লিভার ব্রাদার্সের প্রতিটা প্রোডাক্টের আ্যডই চুরান্ত বর্নবাদী আ্যড।

৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

ডি মুন বলেছেন: এক্সাক্টলি।
আর এগুলো অন্ধভাবে গিলছে দেশের আপামর জনসাধারণ।

৮| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন যুক্তিপূর্ণ এবং তথ্যভিত্তিক লেখনি।
যাতে রয়েছে সমস্যার মূলে পৌঁছে তার থেকে মুক্তি পাবার পথ নির্দেশনা।
ভাল লাগলো।

সোনা ভাই'র সাথে সহমত।

আহমেদ জিএস ভায়ার কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই -
ভাবতে ভালো লাগবে , একদিন এই ধারণা থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি........

+++

৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২

ডি মুন বলেছেন:
এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা জরুরী।
তবে এতো তাড়াতাড়ি এর থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না।

৯| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৩১

শায়মা বলেছেন: এখন অনেকটাই এই কালো মেয়ে ধারণা থেকে সমাজ বদলে আসছে.....

৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১৮

ডি মুন বলেছেন: কিছুটা বদলেছে।

তবে এখনো শহরাঞ্চলে কনেকে বিয়ের আগে ১৫-৩০ হাজার টাকা এবং ৩-৪ ঘন্টা সময় ব্যয় করে মুখে চুনকাম করতে হয় ওয়েডিং ফটোতে ফর্সা দেখানোর জন্য। এবং সেটা কনে স্বেচ্ছায় অতিআগ্রহে করে থাকে।

বর্ণবাদ বা বর্ণবাদী মনোভাব থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য মানসিক পরিবর্তন জরুরী।
এদেশের মানুষের জন্য এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
অন্ধভাবে ইউরোপ-আমেরিকাকে অনুসরণ করা কমাতে পারলে কিছুটা উন্নতি হতে পারে।

১০| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কোকিলা কালো বলে গান শুনে কে অথবা কালা --- করো না কেউ হেলা । এইসব গান আমরা শুনি কিন্তু খুজি সুন্দর রমনী।

০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫১

ডি মুন বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
ধন্যবাদ

১১| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:০৮

কল্পদ্রুম বলেছেন: ভারতীয় টিভি সিরিজের অভিনেতা অভিনেত্রী দেখলে মনে হয় না এ উপমহাদেশে কালো রঙের কোন নায়ক নায়িকা আছে।ব্যাপারটা আপাতভাবে নিরীহ মনে হলেও ধীরে ধীরে এদের দর্শকদের মানসিকতাই পরিবর্তন করে ফেলছে।দুঃখজনকভাবে স্কুল থেকেও এরকম রেসিজম শিক্ষকরাই শুরু করেন।

০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৫

ডি মুন বলেছেন: দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা হলিউড বলিউড নায়ক-নায়িকাদের মতো হতে চায়। এজন্য কেউ বডিবিল্ডিং করে, কেউ ফর্সা হওয়ার চেষ্টা করে, কেউ সে স্টাইলে চুল কাটে। এ ধরণের গাধামি থেকে জাতিকে বেরিয়ে আসতে হবে।

অন্যকে অন্ধ অনুকরণ না করে, নিজে চিন্তাশীল হওয়া এবং মানসিকতার উন্নয়ন জরুরী।
রোলমডেল দরকার হলে সারাপৃথিবীতে বিজ্ঞানী, সমাজসেবক, মহৎপ্রাণ লোকের তো অভাব নেই। কিন্তু তাদেরকে তো কেউ ফলো করতে চায় না!! এটা হতাশাজনক।

১২| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৯

মাহমুদ রহমান (মাহমুদ) বলেছেন: মাইট্টা কালার হওয়ায় আপনাকে যে একের পর এক মেয়ে রিজেক্ট করছে,এই বিষয়ে প্রবন্ধে কিছু দেখতে পেলাম না। B-)

০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৬

ডি মুন বলেছেন:

১৩| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০৭

নতুন বলেছেন: গায়ের রং দিয়ে মানুষের বিচার করা মস্ত বড় ভুল।

সমাজে বত`মানে যা চলছে সেটা অবশ্যই অমানবিক এবং জ্ঞানী সমাজে এটা আশা করা যায় না।

আরেকটা বিষয় সৃস্টিকতা কিন্তু মানুষকে সাদা বা কালো ভাবেই সৃস্টিকরেছেন।

সেটা কেন করলেন? তাহলে সৃস্টিকতাই কি কিছু মানুষকে বেশি সুন্দর এবং কিছু মানুষকে কম সুন্দর করে সৃস্টিকরেছেন?

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০০

ডি মুন বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয় মানুষকে সাদা-কালো-বাদামী করে বলে দেন নাই যে, তুমি সাদা তাই তুমি শ্রেষ্ঠ আর তুমি কালো বলে নিকৃষ্ট। এগুলো পরবর্তীতে মানুষের নিজেদের তৈরি। একে অন্যকে শোষন করার জন্য করা হয়েছে।

এসব বর্ণবাদী চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

১৪| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৩:০৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: বারবার পাত্র দেখতে আসলেও বিয়ে হচ্ছে না, দেখা গেল ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী’ ব্যবহারের পর তার দিক থেকে কেউ আর চোখ ফেরাতে পারছে না-[/sb এরকম গল্প নিয়ে অগণিত বিজ্ঞাপন বানিয়েছে ইউনিলিভারের এদেশীয় বিজ্ঞাপন নির্মাতা গোষ্ঠী,যারা সবাই একনামে পরিচিত মঞ্চ ও টিভির অভিনেতা -অভিনেত্রী।
যারা বড় গলায় নারীর সমান অধিকার,সন্মান ও মর্যাদা রক্ষার কথা বলে !!!!
এই বিরাট শিক্ষিত ও সংস্কৃতিবান নামধারী চক্রই আবার বাংলাদেশী ছবির ডিপজল-শাহিন-সুমন চক্রের কাটপিসকে হার মানিয়ে নিকৃষ্ট গালিগালাজ ও অশ্লীল দৃশ্য যুক্ত করে ওয়েব নাটক বানিয়েছে !!!!!

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০৪

ডি মুন বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

দেখবেন যারা নারীর অধিকার সম্মান নিয়ে বড় বড় কথা বলে, তারাই আবার এসব পণ্যের প্রচারে নামে। টাকার কাছে তখন তাদের লেকচার নতজানু হয়ে যায়।

সুতরাং আমাদেরকেই ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কার কোন কথাটি আমরা গুরুত্ব দেব। কেন দেব।

১৫| ৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪

বিজন রয় বলেছেন: মানুষ বদলেছে, আরো বদলাবে।

ভাল পোস্ট।

এবার কবিতা দিন।

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০৪

ডি মুন বলেছেন: মানুষ বদলাক।
তবে সে বদল ভালোর দিকে হোক।

১৬| ৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: পরিবর্তন আসবে এতেও।

সুন্দর পোস্ট।

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০৫

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ

১৭| ৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫

জেন রসি বলেছেন: বর্ণবাদ হচ্ছে আসলে একধরনের মানসিকতা। ভ্রান্ত বিশ্বাসও বলা যেতে পারে। এটার মেকানিজমটাই এমন যে নিজের বিশ্বাস অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়া। তা সেই বিশ্বাসে বিশ্বাসী না হলেই আসলে বর্ণবাদ তার শক্তি হারিয়ে ফেলে। যেমন কালো রং এর জন্য কেউ যদি হীনমন্যতায় না ভুগে তবে তার উপর সাদার মুই কি হনুরে ভাব আর কাজ করবেনা।

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

ডি মুন বলেছেন: এক্সাক্টলি।
ঠিক বলেছেন।

১৮| ৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪১

মিরোরডডল বলেছেন:



কনসেপ্টেই গলদ ফর্সা হলে সুন্দর কালো হলে অসুন্দর । একজন মানুষকে তার লুক বা কালার দিয়ে জাজ করাটাই রেসিজম । এ ধরণের কমার্শিয়াল অ্যাড দেখলে অবাক লাগে কি করে এসব প্রমোট করে ! বর্ণবাদতো অবশ্যই, শুধু তাইনা এগুলো খুবই ডিসগ্রেসফুল । এরকম অ্যাডগুলো ব্যান করা উচিত । শেইম এবং ডিসরেস্পেক্টফুল ।

একজন মানুষের মনন মানসিকতা চিন্তা ভাবনা ব্যক্তিত্ব তার পরিচয় । নারী পুরুষ সবার ক্ষেত্রেই স্কিন কালার বা লুক কখনোই সাবজেক্ট হতে পারেনা । গুড সোল ম্যাটার বাট নট গুড লুক ।

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

ডি মুন বলেছেন: এ ধরণের এড নিঃসন্দেহে ব্যান করা উচিত।
কিন্তু টাকার কাছে নতজানু সিস্টেম।
এগুলো নিয়ে তাদের ভাবার সময় আছে বলে মনে হয় না।

ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

১৯| ৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮

মিরোরডডল বলেছেন:



মাহমুদ রহমান (মাহমুদ) বলেছেন: মাইট্টা কালার হওয়ায় আপনাকে যে একের পর এক মেয়ে রিজেক্ট করছে,এই বিষয়ে প্রবন্ধে কিছু দেখতে পেলাম না। B-)


হা হা হা :) ......সিরিয়াসলি ? আমিতো বরাবর উল্টোটাই দেখেছি । শুধু বাংলার মেয়েরাই না , ওয়ার্ল্ড ওয়াইড সব দেশের মেয়েদেরই শ্যামবর্ণ পুরুষদের প্রতি ফ্যাসিনেশন বেশি । ফর্সা পুরুষদের জন্য ব্যাড নিউজ, আদার ওয়ে রাউন্ড :P

আবারো বর্ণবাদ , এর থেকে মুক্তি নেই :)

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১১

ডি মুন বলেছেন: হা হা হা।
মাহমুদ ভাইরে গুরুত্ব দেয়ার কিছু নাই।
:D

২০| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২৫

শের শায়রী বলেছেন: ডি মুন ভাই, রেসিসিজম তো আমাদের জীবনের সাথে অষ্টে পৃষ্ট জড়িত, রাতের রং কালো মানে রাত ভীতিকর, ক্রাম বোর্ড খেলতে গিয়ে সাদা ফেললে দশ আর কালো ফেললে পাঁচ... আরো আছে উদাহরন সেদিকে না যাই, তবে এই কালো আর ধলোর ডিফারেন্স গুছাতে আরো অনেক অনেক সময় যাবে।

তবে আশার ব্যাপার মানুষ এগুলো এখন বুজতে শিখছে অল্প স্বল্প হলেও... পরিবর্তন হবেই। পোষ্টে ভালো লাগা।

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

ডি মুন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ।
কালো ধলোর এই ব্যবধান দূর করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
কিন্তু এ নিয়ে কথা হওয়া দরকার। মানসিকতা বদল হওয়া দরকার।
আমাদের নিজেদের স্বার্থেই।

২১| ০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

মাহমুদ রহমান (মাহমুদ) বলেছেন:

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

ডি মুন বলেছেন: সারাজীবন আমাকে অনুসরণ করেই কাটাবেন।
পারলে নতুন কিছু করেন।
যাহোক, এই কয়েক মাসে সামু নিয়ে আপনাদের মতো বিজ্ঞানীরা যে পরিমাণ পোস্ট দিয়েছে, তাতে একটা ৫০০ পৃষ্ঠার বই লেখা যাবে। কিন্তু সামুর এক আনা উপকারও হবে না। কারণ যারা সামু চালায়, তাদের এইটা নিয়ে কোনো ভাবনা চিন্তা নাই।
আর আলতু ফালতু কমেন্ট করে আমার মেজাজ খারাপ করে দিয়েন না, আপনাকে কিন্তু 'সুলেমানি ব্যান' মাইরা দিব।

২২| ০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২২

ডার্ক ম্যান বলেছেন: মেয়েরাও আজকাল ফর্সা ছেলে খুঁজে । ফেয়ার এন্ড হ্যান্ডসাম বিজ্ঞাপন কি দেখেন নি ।
মাইট্যা কালারের কোন কোন ব্লগার চট্টগ্রামে সুবিধা করতে না পেরে জেলান্তরি হয়ে গেছে ।

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২৮

ডি মুন বলেছেন: থাক ডার্ক ম্যান ভাই।
নারায়ণগঞ্জের নারায়ণকে আর খোঁচা দিয়েন না ভাই।
উনি সবার সাথে যে আচরণ করতে পারবেন, উনার সাথে সেই আচরণ একদিন করলেই উনার বড়ো ব্যথা লাগে।
এরকম দুই নাম্বার মানুষ আমি আর দেখি নাই!!!

২৩| ০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২৭

মাহমুদ রহমান (মাহমুদ) বলেছেন: রেগে গেলেন ত হেরে গেলেন। ;)
নিজে করলে অবশ্য তার নাম লীলাই হয়। B-)
বিজ্ঞানীদের বিষয়ে আপনার মত বিশিষ্ট একজন আদাচান ব্যাপারীর মাথা ঘামানো দেখে আনন্দ পাচ্ছি। :D
দুঃখ নিয়েন না,কালারই সব নয় ;)
আপনার বাসায় পাশের শেয়ালটা সুলেমানির কথা শুনে ভয় পেয়েছে। আপনি আচরি ধর্ম অপরে শিখাও =p~

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩২

ডি মুন বলেছেন: চাঁদগাজী ভাইয়ের পোস্টে সুবিধা না করতে পেরে এইখানে এসে গ্যাজাইতেছেন!!!
আপনার জন্য কষ্ট হচ্ছে।

২৪| ০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩

মাহমুদ রহমান (মাহমুদ) বলেছেন: ছেলে - মেয়ে উভয়ে আজকাল ফর্সা খুঁজে। দুঃখজনক।
অবশ্য কারো কারো ২০৪১ সাল পর্যন্ত ্মামা থাকাই লাগবে।পোষ্ট আসবে- একদিন আমিও..... হলে =p~

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫

ডি মুন বলেছেন: অন্যের পশ্চাতদেশে আঙুল দেয়ার আশাতেই আপনি দিন কাটান।
শুভকামনা।

২৫| ০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


লেখার বিষয়ে তো লা-জওয়াব, কিন্তু দুষ্টমন চলে যায় মন্তব্যের দিকে।
আপনার লেখায় এসব মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য পড়ে কোয়ারেন্টিনকে মধুর মতো উপভোগ করতে পারি। বিদগ্ধ লেখক মাহমুদ রহমানকে জোতসই জবাব দিতে পেরেছেন এজন্য আপনাকে অভিনন্দন। আপনাদের এহেন বিদগ্ধ কাইজ্জা কতদিন নাগাদ এগিয়ে নিতে চান? B-)

আচ্ছা ডার্কম্যান কেডা? তাহাকে কি আমি চিনি? ভাষা কেন চেনাচেনা লাগে?

যাহোক আপনাদের ত্রয়ী প্রচেষ্টায় লেখা এবং মন্তব্য সবই মজার হয়ে ওঠে।


লেখার ব্যাপারে বিস্তারিত বলার সুযোগ নিচ্ছি না।
বলা যায় সুযোগ দিচ্ছি না... না হলে মাহমুদ রহমানরা আমারও রঙ নিয়ে রঙ্গ করিতে নামবে! X((

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৪৭

ডি মুন বলেছেন: আর বইলেন না মইনুল ভাই!
মাহমুদ ভাইয়ের যন্ত্রণায় সামুগিরি করাই মুশকিল হইয়া দাড়াইছে।
উনারে পাত্তা দিচ্ছি না দেইখা, উনি আমার পোস্টে এসে গ্যাজাইতেছেন।

মাহমুদ ভাইয়ের কাজ হইলো প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠিক করা যে, আজকে কার পিছনে লাগবেন। সে অনুযায়ী আজকে উনি প্রিয় চাঁদগাজী ভাইয়ের পোস্টে কাউকাউ করছেন। কিন্তু চাঁদগাজী ভাইয়ের পোস্টে পাত্তা না পেয়ে শেষে আমার উপর রাগ ঝাড়তেছেন।

উনার মতো ফালতু, দুই নাম্বার, স্ববিরোধী, ইয়েমার্কা লোক আমি ইহজনমে দেখি নাই।
আমি উনাকে বয়কট করেছি। এখনই সময়, আপনারাও উনাকে বয়কট করুন, যতদিন না উনি মানসিকভাবে সুস্থ্যতা লাভ করেন।

ডার্ক ম্যান ভাই চিটাগং থাকেন। উনিও মাহমুদ ভাইয়ের আতলামির স্বীকার।
B-))

২৬| ০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০৭

ডার্ক ম্যান বলেছেন: বেআক্কলরে আক্কল দিলে নিজের আক্কল ক্ষয়
আক্কলরে আক্কল দিলে আরো আক্কল হয়


আপনার বাসা একটু বড় হলে হরিণের জন্য থাকার ব্যবস্থা করবেন । শেয়ালের ভয়ে অনেক হরিণ জন্মস্থান ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ।

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১৪

ডি মুন বলেছেন: ভালো বলেছেন ভাই।

আমি এজন্য পারতোপক্ষে বেআক্কল লোকের সাথে তর্কে জড়াই না।
কাউকাউ করে নিজেই কিছুক্ষণ পর থেমে যাবে। অযথা এদেরকে আস্কাড়া দিয়ে লাভ কি।

২৭| ০১ লা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুন একটা বিষয় চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন । বউ হতে হবে ফর্সা এটা এখনও কমন ডায়লগ যেন । ছেলেদের ক্ষেত্রে হয়তো অতটা নয় কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে এখনো দারুন স্পর্শকাতর । এসব অযাতিত শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড গুলো বৈষম্য রচনা করে শুধু। মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব হবে মেধা যোগ্যতা সততা দেশপ্রেম অধ্যাবসায় উদ্ভাবনী শক্তি এসব । অথচ কি অবস্থা !!!!

০১ লা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৫০

ডি মুন বলেছেন: ঠিক বলেছেন সেলিম ভাই
ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.