নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষ,আমি গর্বিত এবং দৃঢ় চিত্তে ভীষণ উচ্ছ্বাসিত, স্বপ্নীল সোঁনার বাংলার বিশ্বে মাথা উঁচু, আপনা পূর্ণতা নিয়ে।
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নে হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে অভিযুক্ত রাজাকার এ কে এম খলিলুর রহমানের নামে একটি রাস্তার নামকরণ করায় বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
স্বাধীনতার যুদ্ধ চলাকালীন বরগুনা পাথরঘাটায় শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনীর প্রধান ছিলেন তিনি। বর্তমানে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বাবা এ কে এম খলিলুর রহমান।
বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ পরিষদের পরিচালক মনির মাহমুদ মোহন বলেন, 'রাজাকারের ছেলে তার বাবার নামে সড়কের নামকরণ করার যে ঔদ্ধত্ব দেখিয়েছেন তা মেনে নেয়া যায় না। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো হয়েছে উল্লেখ করে মুক্তিযোদ্ধা মোহন বলেন, 'প্রশাসন যদি সড়কে লাগানো সাইবোর্ড সরিয়ে না ফেলে তবে মুক্তিযোদ্ধারা বাধ্য হবে তাদের দায়িত্ব পালনে।'
বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আ. মোতালেব মৃধা বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী রাজাকারের নামে কোনো ধরনের নামকরণের প্রশ্নই আসে না। প্রশাসন দ্রুত কোন পদক্ষেপ না নিলে মুক্তিযোদ্ধারা সম্মিলিতভাবে রাজাকারের নামফলক নিশ্চিহ্ন করে দিবে।'
জামায়াত ও বিএনপি থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে সদ্য যোগদানকারী নিজাম উদ্দিন ও জামাল উদ্দিন নামের দুই ব্যক্তির মাধ্যমে মার্চ মাসে সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন মাদার তলী বাজার এলাকায় তার বাবা একেএম খলিলুর রহমানের নামে সড়কটির নাম করে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছেন।
©somewhere in net ltd.