নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাকার্তা ভ্রমন ব্লগ - পর্ব ১

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৫

কয়েকমাস আগে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় গিয়েছিলাম দুই দিনের জন্য । প্রায় দশ বছর আগেও একবার গিয়েছিলাম। দশ বছরের ব্যবধানে দেখলাম দেশটার অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। জাকার্তায় স্বল্প সময়ের ভ্রমন নিয়ে ব্লগ লিখতে গিয়ে মনে হল শুরু করি ইন্দোনেশিয়ার ইতিহাস দিয়ে।

সুকর্ণ ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার জাতির পিতা। তিনি ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি। নিজ দেশে তার শাসনামলে তিনি পরিচিত ছিলেন অন্য এক পরিচয়ে, স্বৈরাচারী একনায়ক। এই একনায়ক দীর্ঘকাল ধরে ক্ষমতার কেন্দ্রস্থলে ছিলেন। মর্জিমতো দেশ শাসন করেছেন, সেনাবাহিনীর উপর ভর করে জনমতের তোয়াক্কা না করে নিজেকে ঘৃণিত করেছেন। ১৯৬৫ সালে এক মিলিটারী ক্যূ এর মাধ্যমে সুকর্নের পতন হয়। এরপর ১৯৬৭ সালে দেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনীত হন ও পরের বছর স্থায়ীভাবে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সুহার্তো । ১৯৬৭ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত এক নজিরবিহীন দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিক মডেল গড়ে তুলেছিলেন সুহার্তো। এই মডেলে নিজের পরিবার, আত্মীয়স্বজন, তাঁর গোলকার পার্টি এবং খোদ ইন্দোনেশীয় সেনাবাহিনীর প্রতিটি স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির ফায়দাভোগীতে পরিণত করার ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছিল। সুহার্তোর পতনের পর এই ব্যবস্থাটিকেই উন্নয়ন তত্ত্বে ‘ক্রোনি ক্যাপিটালিজম’ বলে অভিহিত করা হয়েছে, যেটাকে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে প্রধান বাধা হিসেবে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার জাতির পিতা সুকর্ণর কন্যা মেঘবতী সুকর্ণপুত্রী একবার গণতান্ত্রিকভাবে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও সুশাসন দিতে ব্যর্থ হওয়ায় দ্বিতীয়বারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন।মেঘবতী ক্ষমতায় ছিলেন ২০০১ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত ।

ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট হচ্ছে জোকো উইদোদো। ইন্দোনেশিয়ায় দারুন জনপ্রিয় এই প্রেসিডেন্ট খুব সাধারন ঘরে জন্ম নিয়েছেন । মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি তার বাবার আসবাবপত্রের দোকানে কাজ শুরু করেন। শৈশবে তিনবার উচ্ছেদের অভিজ্ঞতা তার চিন্তা চেতনায় দারুন প্রভাব ফেলে যা তাকে অনুপ্রানিত করে পরিনত বয়সে সুরাকার্তা‌র মেয়র নির্বাচনে দাড়াতে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবার আগে তিনি সুরাকার্তা‌র মেয়র ছিলেন। আয়তনে বিশাল এই দেশ এখনও খুব উন্নত নয়। বিশাল জনসংখ্যা, দারিদ্রতা ও আরো নানবিধ সমস্যার সাথে প্রতিনিয়ত লড়ছে এই দেশ। তবে সার্বিকভাবে যে দেশটির আগের চাইতে বহুগুনে উন্নয়ন হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। টেকসই উন্নয়নের সকল প্রকার নজির দেখলাম শহরজুরে।

সন্ধায় ফ্লাইট ছিল। রাত আটটায় গিয়ে পৌছালাম জাকার্তা এয়ারপোর্টে। বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এয়ারপোর্ট ও নিয়মশৃংখলা মেনে চলার প্রবনতা লক্ষ্য করলাম সর্বত্র। তবে অনেক সিস্টেম এখনও ম্যানুয়াল থাকায় প্রসেসিং কিছুটা ধীরগতির বলে মনে হয়েছে। এয়ারপোর্টের বাইরে এসে দেখি মিটারে চলা ট্যক্সি , গ্র্যব/ উবার সব রকমের ব্যবস্থাই আছে। বেশ দ্রুতই পৌছে গেলাম হোটেল। সব আনুষ্ঠিকতা সারতে সারতে রাত প্রায় ১১টার উপর বেজে গেল। এদিকে ক্ষুধা লেগেছে তীব্র । রিসেপশনে জিজ্ঞাশা করায় বলল হোটেলের রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। এত রাতে বাইরে কোথাও রেস্টূরেন্ট খোলা পাওয়া কঠিন।আর পেলেও অনেক দূরে যেতে হবে। তবে হোটেলের পাশের গলিতে রাস্তার ধারের কিছু দোকান খোলা থাকে অনেক রাত অবধি , সেখানে যেতে পারি।



হোটেলের পাশ ঘেসেই গেছে একটা সরু গলি। নির্জন রাস্তায় হাটতে গিয়ে প্রথমে একটু গা ছমছম করছিল। সামনে আরো আগাবো না ফিরে আসবো তা নিয়ে একটু দ্বিধায় ভুগছিলাম। কিন্ত পেটের ক্ষুধার কারনে সামনে এগিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। প্রায় পনের মিনিট হাটার পর এসে পেলাম একটা ছোট স্ন্যক শপ। বেশ খোলামেলা পাড়া মহ্লল্লার স্ন্যাক কর্নার বলা যায়। দেখলাম অল্প বয়সী স্বামী ও স্ত্রী মিলে চালাচ্ছে দোকানটা। রাত অনেক হলেও জায়গাটা বেশ জমজমাট। এত রাতেও অল্প বয়সী ছেলে মেয়েদের আনাগোনা দেখলাম। কিন্ত বখাটে বা মাস্তান ধরনের কাউকে চোখে পড়েনি। কি খাবার পাওয়া যায় জিজ্ঞাশা করতে গিয়ে দেখি দোকানি ও তার স্ত্রী ইংরেজি বোঝে না। তাই ইশারা ইঙ্গিতে নুডলস ও চা এর কথা জানালাম।



কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর সদ্য রান্না করা ধোয়া ঊঠা নুডলস স্যূপ এসে হাজির হল। নুডলসের উপড়ে একখানা আস্ত ডিমের পোচ ছড়ানো ও নাম না জানা একটা শাকের পাতাও ছিল। ক্ষুধার কারনেই কিনা জানিনা অসাধারন লেগেছিল সেই নুডলস। নুডলস ও চা খেয়ে দাম দিতে গিয়ে দেখি অসম্ভব সস্তা। ইন্দনেশিয়ায় খাবার দাবার ও ট্যাক্সি ভাড়া বেশ সস্তা। স্বল্প খরচে ভ্রমন করতে চাইলে এটা একটা ভাল ডেস্টিনেশন।



দশ বছর আগে যখন ইন্দোনেশিয়ায় গিয়েছিলাম তখন সবচেয়ে পীড়াদায়ক লেগেছিল রাস্তার ট্রাফিক জ্যাম। সব রাস্তায় উপচে পড়া যানবাহনের ভীড়। পুরাই ঢাকার অবস্থা ছিল। এবার গিয়ে দেখি ট্রাফিক জ্যাম উধাও। উপড়ের ছবিটা হোটেল রুম থেকে তোলা। ভাল করে তাকালে দেখবেন শহরের বড় রাস্তাগুলোকে এরা চারটি লেনে ভাগ করেছে । এক এক লেনে একেক ধরনের যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করেছে । এছাড়া ফ্লাইওভারতো আছেই। আছে মেট্রো রেল, উন্নত টাউন বাস সার্ভিস। ঝুলন্ত মানুষ নিয়ে লক্কর ঝক্কর মার্কা কোন বাস চোখে পড়েনি। সিএনজিও দেখলাম অনেক রাস্তায় আছে তবে রিক্সা নাই। সিগনাল ছাড়া কোন রাস্তাতেই এক মিনিটের জন্যও গাড়িতে বসে থাকতে হয় না। খুব উন্নত দেশগুলোর সাথে হয়ত তুলনা চলে না কিন্ত সার্বিক ভাবে এশিয়ার একটি দেশ হিসেবে ট্রাফিক সিস্টেমে যে তারা যুগান্তকারী উন্নতি করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না-------

তথ্যসুত্র ঃ উইকিপিডিয়া , প্রথমআলো
ছবি ঃ আমার মোবাইলে তোলা

-

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:


সুহার্তো ও ড: সোকর্ণকে মিশায়ে হযবরল করে ফেলেছেন; ২ সপ্তাহ ওখানে থাকার দরকার ছিলো; তা'হলে কিছুটা পরিস্কার হতো

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: এডিট করার সময় দুটা লাইন কাটা পড়েছিল খেয়াল করি নাই। এখন ঠিক করে দিয়েছি

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

মিরোরডডল বলেছেন:




ভ্রমণ ব্লগ এতো অল্প ছবিতে হবে না ঢাবি।
আরও ছবি চাই।

হোক সেটা মাত্র দুদিনের, কিন্তু এই পোষ্ট ভ্রমণ ব্লগের কলঙ্ক :)


০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: এটা প্রথম পর্ব। সামনে আরো আসবে আপু ।

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

মিরোরডডল বলেছেন:




বুঝলাম ক্ষুধার তাড়নায় এই নুডুলস ঢাবিকে খেতে হয়েছে, কিন্তু এইটার ছবি দিয়ে অন্যদের ক্ষুধা নষ্ট করার মানে কি!

যাও ভাবছিলাম এখন কিছু খাবো, এই ছবি দেখে খাওয়ার ইচ্ছেটাই চলে গেলো :)

ইন্দো ফুড সাধারণত আমাদের প্যালেটের সাথে যায়, হট ও স্পাইসি, মজা হয়।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: কেন আপু ক্ষুধা নষ্ট হল কেন ? দেখতে সাধারন লাগলেও টেস্ট কিন্তু অসাধারন ছিল। অচেনা শাকপাতাটাও খুব মজার ছিল। ইন্দো ফুড আসলেই অসম্ভব ঝাল ও মজাদার।

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

সোনাগাজী বলেছেন:



এখন ঠিক হয়েছে।

আপনার পোষ্ট ভালো হয়েছে, বাকীদের ভ্রমণ বৃত্তান্ত পড়ে ক্লান্ত হয়ে যাই: কখন প্লেন ছাড়লো, ভাড়া কত, পাশে কে বসেছে, মেঘ দেখা যায় কিনা, কয়টায় বিমান অবতরণ করলো, ব্লা ব্লা

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ। এটা আসলে ঠিক ভ্রমন ব্লগ নয়। স্বৈরাচারী অপশাষন থেকে মুক্ত হয়ে গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে ইন্দোনেশিয়ায় কি ধরনের চাক্ষুষ উন্নয়ন হয়েছে , সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

মিরোরডডল বলেছেন:




কিছু না ঢাবি, এমনি মজা করছিলাম।

আসলে ভালো লাগছে না কিছু!!!

ওকে, নেক্সট পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৩৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: ঠিক আছে আপু। নেক্সট পর্বে মজাদার খাবারের ছবি থাকবে :)

৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

কামাল১৮ বলেছেন: সুকর্ণকে সিআইয়ে হত্যা না করনে আজকে ইন্দোনেশিয়ার চিত্র অন্য রকম হতো। সেই সাথে কয়েক লক্ষ কমিউনিষ্টকে।সিআইয়ে সেই সময় পৃথিবীর বাঘা বাঘা কয়েক জন জাতিয়তাবাদী নেতাকে হত্যা করে।আমাদের শেখ মুজিব তাদের একজন।
পরের পর্বগুলোর অপেক্ষায় থাকলাম।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:১৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: কর্ণ ছিলেন ওলন্দাজ ঔপনিবেশিক শাসনামলে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এর প্রথম সারির নেতা । ১৯৪৫ সালে ইন্দোনেশিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা করেন , যেখানে সুকর্ণ প্রথম রাষ্ট্রপতি মনোনীত হন। এরপর বিশ বছর ধরে তিনি দেশ শাষন করেছেন। কিন্ত তার শাষনামলে তেমন ইতিবাচক কোন তথ্য পাওয়া যায় না। তবে জেনারেল সুহার্তো তার চাইতেও অনেক অনেক বেশি দুর্নীতিপরায়ন স্বৈরাচারী একনায়ক ছিল।

স্বাধীনতা পরবর্তী আমাদের দেশের সাথে ইন্দোনেশিয়ার সেই সময়ের যথেষ্ঠ মিল খুজে পাওয়া যায়। স্বাধীনতার সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়া জাতির পিতাদের মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম হচ্ছে সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান ইউ। দরিদ্র এক জেলে পারাকে প্রথম বিশ্বের কাতারে নিয়ে যাওয়া আধুনিক সিঙ্গাপুরের রুপকার তিনি।

৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বেশ লাগলো পড়তে, আশা করছি পরের পর্ব অনেক ছবি নিয়ে আসবেন।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:০৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। এটা আসলে ঠিক গতানুগতিক ভ্রমন ব্লগ নয়। তাই ছবি বেশি থাকবে না। একট কাজে জাকার্তায় গিয়েছিলাম। কোন প্রাকৃ্তিক সৌন্দর্যে ভরপুর টুরিস্ট প্লেসে যাওয়া হয়নি। দুইদিনে শহরাটা ঘুরে দেখার চেষ্টা করেছি। সেখানকার মানুষের জীবন যাত্রা বোঝার চেষ্টা করেছি। সাদামাটা সেসব ছবিই থাকবে নেক্সট পর্বে।

৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৫৩

আরাফাত৫২৯ বলেছেন: জাকার্তার কিছু কিছু জায়গা অনেক সুন্দর। জাকার্তার এস সি বি ডি বা আশেপাশের এলাকাগুলো অনেক সুন্দর। অনেক কথা মনে পড়ে গেল।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:২০

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । আপনি কি সেখানে কর্মসুত্রে থাকতেন ?

৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৫৩

আরাফাত৫২৯ বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । আপনি কি সেখানে কর্মসুত্রে থাকতেন ?

না, ঘুরতে যেতাম ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে। আমার শ্বশুড় বাড়ি জাকার্তায়। মানে আমার ইন-ল এর পরিবার ইন্দোনেশিয়ান।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার শশুরবাড়ী মানেতো এই দেশ সম্পর্কে আপনার আরো ভাল ধারনা আছে। লিখুন সেখানকার অভিজ্ঞতা

১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৩:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




বেশ সংক্ষিপ্তাকারে পরিবেশিত ভ্রমন ব্লগটির অবলোকন ও পাঠ বেশ তৃপ্তিদায়ক হয়েছে । বর্তমানে প্রায়
দের কোটি বঙ্গসন্তান পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বিবিথ স্টাটাসে অবস্থান করছেন । তাঁরা নিয়মিতই দেশ বিদেশ
ভ্রমন করছেন । তাই কোন ভ্রমন ব্লগে/ বিবরনীতে উপরে থাকা সোনাগাজীর মন্তব্যে বর্ণিত কথামালায় ঠাসা
থাকে তাহলে সেটা পাঠ কালে কিছুটা অস্বস্তি লাগে । ভ্রমন বিবরণীতে পাঠক হিসাবে জানতে চাই যেখানে
ভ্রমনকরা হয়েছে সেখানকার কিছু সাম্প্রতিক বিবরণ সাথে প্রয়োজনবোধে কিছু ঐতিহাসিক পুরানো কথামালা ।
এ ভ্রমন ব্লগে সেখানকার কিছু সাম্প্রতিক চিত্র ও কথামালা উঠে এসেছে দেখে ভাল লাগল ।

মোটাদাগে একথা সত্য যে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের গতি সেখানকার
উৎপাদন খাতে কম অস্থিরতা এবং তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল মুদ্রাস্ফীতি দ্বারা অনুষঙ্গী হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার
অর্থনৈতিক পারফরমেন্স সেখানকার সরকারী নীতি, তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং ক্রমবর্ধমান তরুন শ্রমশক্তির
যথাযথ নিয়োগ, সাথে বিগত বছর গুলিতে অবকাঠামো খাতে বেশ কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দ্বারা তরান্বিত
হয়েছে । ইন্দোনেশিয়ায় শিল্পায়নের পাশাপাশি, দেশটির বাণিজ্য উন্মুক্ততা গত অর্ধ শতাব্দীতে ক্রমবর্ধমান ছিল।
নিকটবর্তী প্রতিবেশী হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে ইন্দোনেশিয়ার ভারসাম্যমুলক এমনকি উদ্বৃত্ত বাণিজ্য
সম্পর্ক রয়েছে। ইত্যাকার বিবিধ কারণে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতি গত কয়েক দশক ধরে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি রেকর্ড
করেছে।

শুভেচ্ছা রইল

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৫১

ঢাবিয়ান বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার কমেন্ট এর জন্য। আপনার কমেন্ট পাওয়া মানে আসলেই পোস্টটা ভাল হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া সম্পর্কে আপনার তথ্যসমৃদ্ধ কমেন্ট পোস্টটিকে আরো সমৃদ্ধ করেছে। অনুপ্রেরনা জোগানোর জন্য ধন্যবাদ।

১১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৭:২১

জগতারন বলেছেন:
ভালো ভ্রমন ব্লগ।
পড়ে আমার ভালো লাগলো।
প্রাকৃতিকভাবে খুবই সুন্দর একটি দেশ ইন্দোনেশিয়া।
ইন্দোনেশিয়া অর্থনৈতক ভাবে খুবই উন্নত, প্রায় মালয়শিয়া-এর কাছাকাছি একটি দেশ।
বছর পাঁচেক আগে যুক্তরাষ্ট্রের 'বোয়েং' কোমপানী থেকে একসাথে
$২০০ বিলিয়ন (যুক্তরাষ্ট্রীয়) ডলারের উড়োজাহাজ-এর অডার করে ক্রয় করেছে।
যাহা এ যাবত কালের সর্ববৃহ বেসরকারি উড়জাহাজ ক্রয়।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র সরকার লকহীড মার্টীন থেকে $২০০ বিলিয়ন ডলারের
এফ-৩৫ ফাইটার বিমানের অরডার করেছিল।
তাও সকল ন্যাটো ভুক্ত দেশ মিলায়ে।
এ থেকে থেকে বুঝা যায় যে ইন্দোনেশীয় অর্থনিতী কত শক্তিশালী।
আশা করি সমস্ত কথা পরবর্তী পর্বে উঠে আসবে।

.।.।.।.।.।.।


ভ্রমন ব্লগ যারা লিখেন আশা করি সোনাগাজী-এর মন্তব্যটি স্মরন করে লিখবেন।
আমরা আসি ব্লগ পড়তে আজইরা প্যাচাল পড়তে মোটেও ইচ্ছে করে নয়া।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্য। আসলে প্রতিটা ভ্রমন ব্লগই আপন গুনে গুনান্বিত। বিভিন্ন দেশে গেলে আমার সব সময় চেষ্টা থাকে সে দেশের সাধারন মানুষের জীবন যাত্রা , কালচার অবলোকন। সামনের পর্বেও থাকবে জাকার্তার সাধারন মানুষের জীবনযাত্রার চিত্র ও সেই সাথে আমার খন্ড খন্ড অভিজ্ঞতা ।

১২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছোট পোস্ট হলেও আপনার বর্ণনা ভালো লাগলো। অদরকারী কথা না লিখে জ্ঞান আহরনের মত কথা লিখেছেন।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:১২

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ অনুপ্রেরনাদায়ক কমেন্টের জন্য ।

১৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: ইন্দোনেশিয়া মনে হয় ভালই উন্নত করছে। তাদের খাবারও ভাল, আমার এক প্রাক্তন ল্যাব-মেট ছিল ইন্দোনেশিয়ান, আমাকে এবং আমাদের আরও কয়েকজন পাকিস্তানি ল্যাব-মেটদের দাওয়াত দিয়েছিল পরিবারসহ, খাওয়া দাওয়ার এক এলাহি কাণ্ড করেছিল!

কোরিয়াতেও ষাটের দশকে এক স্বৈরশাসক ছিল, প্রায় ২০ বছর ক্ষমতায় ছিল (১৯৬৩-১৯৭৯), নাম পার্ক-চুং-হি, আর্মি জেনারেল ছিল। তিনি কোরিয়ান অর্থনীতিতে ভাল অবধান রেখেছিল, তার কারণেই ধরা হয় কোরিয়া ভাল উন্নয়ন করে। তবে স্বৈরশাসকদের পরিণতি ভাল হয় না, সেও আততায়ীর হাতে খুন হয়, তার মেয়ে পার্ক-গুন-হি পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হয়েছিল (২০১৩-২০১৭), পরবর্তীতে দুর্নীতির কারণে ক্ষমতা হারায় এবং কারাভোগ করেন ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: মালয়েশিয়ান ও ইন্দোনেশিয়ান খাবার কিছুটা একই ধাচের। তবে ইন্দোনেশিয়ানরা ঝালটা বেশি খায়। খুবই মজাদার খবার।

চাইনিজ , জাপানিজ , কোড়িয়ান জাতি হল কঠোর পরিশ্রমী জাতি। এরা ডিক্টেটর হলেও কাজের প্রতি শতভাগ অনেস্ট। এই কারনে এই সবগুলো দেশই খুবই উন্নত। আমি নিজে চাইনিজ অধ্যূষিত দেশে থাকি। চাইনিজদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।

১৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:১৪

বাকপ্রবাস বলেছেন: ওদেশে সম্ভবত মাতৃপ্রধান পরিবার, ওদেও পুরুষগুলো চেহারা দেখলে মনে হয়, টিকই আছে, বউয়ের কথায় চলার মতো চেহেরা

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমিও শুনেছি যে ইন্দোনেসিয়ানদের মাতৃপ্রধান পরিবার। আসলে এদের মহিলারা খুবই কর্মঠ ও পুরুষেরা দারুন অলস। তবে সেটা দরিদ্র ও অশিক্ষিত সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রেই বেশি প্রযোয্য।

১৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা সুন্দর হয়েছে।
বেশির ভাগ ভ্রমন কাহিনী লিখতে গিয়ে শুধু নিজের কথা বলে বেড়ান। দরকারী কোনো কথা থাকে না।
আপনার ছোট এই পোষ্টে অনেক দরকারী তথ্য আছে।

মাত্র দুদিনের জন্য আসলে পোষায় না। কমপক্ষে সাত দিন।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ । কমেন্ট ব্যান থেকে দেখলাম মুক্তি পেয়েছেন। এখন একটু সংযমী আচরন করুন নতুবা আবারো ব্যান হবেন।

১৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৯

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: ছেলেবেলায় ইন্দোনেশিয়ার এক নামকরা সাংবাদিক ও লেখক মুখতার লুবিসের লেখা A Road with no End এর অনুবাদ "ভয়" (ফজলে রাব্বী অনূদিত) পড়ে আমার জাকার্তার ব্যাপারে আগ্রহ জন্মেছিল।

২০১৭ সালে মালিন্দ এয়ারের এক অফারে পেয়ে গেলাম সতের হাজার টাকার ঢাকা-জাকার্তা-ঢাকা, রিটার্ন টিকেট। যেহেতু অন এরাইভাল ভিসা তাই নির্দিষ্ট দিনে নাচতে নাচতে প্লেনে চেপে বসলাম।

ঐ ভ্রমণটা জাকার্তায় আমার প্রথম ভ্রমণ ছিল বিধায় জাকার্তায় নামার পর ওদের ইমিগ্রেশনে বাড়তি সময় লেগেছিল। যাই হোক কোন ব্যাপার না, কর্তৃপক্ষ তাদের পূর্ন সন্তুষ্টির জন্য সময় নিতেই পারে‌।

নেমেই উবার। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার সাশ্রয়ী হোটেলে প্রবেশ আর পরবর্তী দিনের প্রথম লক্ষ্যবস্তু ইশতিক লাল মসজিদ নিয়ে কল্পনা শুরু। কারন পরের দিন আবার জুম্মা। জুম্মার দিনে ইশতিক লাল মসজিদে নামাজ। একদম জমে ক্ষীর।

রাস্তাঘাটে যা আমার ভালো লেগেছে তা হলো ওদের বাসের লেইন। পুরো লেইন আলাদা। হাতে গোনা কয়েকটি বাস কোম্পানি (ট্রান্স জাকার্তা অন্যতম....) যা ওদের সুশৃঙ্খল Bus Rapid Transit এর অন্তর্ভুক্ত। ট্যাক্সী ক‌্যাব সব দুই হাজার সিসির যা বেশির ভাগ ইন্দোনেশিয়ায় তৈরি। জ্বালানি তেলের দাম আমাদের তুলনায় লক্ষণীয়ভাবে কম। তাই ভাড়াও কম। যাই হোক মসজিদটা দেখার মত। ধর্মীয় বিষয়টা সেখানে পরিবার কেন্দ্রিক। বাবা মা দাদা দাদী নাতি সবার মিলন মেলা সেই মসজিদ। মসজিদ কেবলমাত্র অতি বয়বৃদ্ধদের কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু, বিষয়টা সেখানে সেরকম না। নামাজ পড়ে কি শান্তি.....।

খুব সচেতনভাবেই ম্যাকডোনাল্ড, বার্গার কিং এসব এড়িয়ে চললাম। ওদের দেশের খাবার না খেলে তো ওদের সংস্কৃতির কিছুই জানব না। মার্ক ওয়েনের ফুড ভ্লগ অনুযায়ী টার্গেট ছিল ox tail soup বা soup buntot. খেয়ে এতো ভালো লেগেছে যে এখন গরু কোরবানির পর লেজের অংশটা আলাদা রাখা হয় ঐ বিশেষায়িত সূপ বানানোর জন্যই।

ক্রমশ....

১০ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩২

ঢাবিয়ান বলেছেন: ভাল লাগল আপনার ভ্রমন গাথা। জাকার্তার ইশতিকাল মসজিদ সাউথ ইস্ট এশিয়ার বৃহত্তম মসজিদ। যাওয়া হয়নি ভেতরে তবে দূর থেকে দেখেছি। চমৎকার এর নির্মান শৈ্লী। বিশেষ রাতের বেলায় চমৎকার লাইটিং এর ব্যবস্থা করায় অনেক দূর থেকে দেখা যায় এই সুন্দর মসজিদ। ox tail soup বা soup buntot খাওয়া হয়নি। তবে মনে হয় না খেতে পারব :) । যেহেতু ক্রমশ লিখেছেন , আশা করছি আমার পরবর্তী পর্বে আপনার কমেন্ট আরো সমৃদ্ধ করবে আমার ব্লগকে।

১৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:১৬

করুণাধারা বলেছেন: ভালো লাগলো ইন্দোনেশিয়ার ইতিহাস জানতে, অনেক কিছুই জানা ছিল না।

সুকর্ণ ইন্দোনেশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি বলেছেন। এর আগে ইন্দোনেশিয়া কি পরাধীন ছিল, নাকি রাজতন্ত্র ছিল?

ভালো লাগলো ইন্দোনেশিয়ার খাবারের ধরন সম্পর্কে জানতে পেরে। আমাদের দেশের মতোই একটি দেশ ইন্দোনেশিয়া, তাই এর রাজধানীর রাস্তাঘাট, জ্যাম ইত্যাদি সম্পর্কে জানার আগ্রহ রইল। রাস্তার যে ছবি দিয়েছেন, ঢাকার মধ্যে এমন চওড়া রাস্তা কোথাও কি বানানো সম্ভব!! :(

পোস্টে প্লাস।

১০ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। ইন্দোনেশিয়ায় আগে ডাচদের কলোনী ছিল। ভারতবর্ষে যেমন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ছিল ইন্দোনেশিয়ায় ছিল Dutch East India Company । সুকর্ণ ছিলেন ওলন্দাজ ঔপনিবেশিক শাসনামলে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এর প্রথম সারির নেতা । ১৯৪৫ সালে স্বাধীনতার পর সুকর্ন প্রথম রাস্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

ঢাকার প্রধান বড় রাস্তাগুলো কিন্ত ভালই চওড়া । চাইলে এরকম চার লেন করা সম্ভব। জাকার্তায় একেক লেনে একেক ধরনের যানবাহন চলে। উন্নত দেশের রাস্তার লেনগুলোকে অবস্য এভাবে ডিভাইডার দিয়ে আলাদা করা হয় না । তবে উন্নত দেশের ট্রাফিক সিস্টেমের সাথেতো আর উন্নয়নশীল দেশের তুলনা চলে না। জাকার্তার লেন ভিত্তিক সিস্টেমটা আমাদের দেশে চালু করলে ট্রাফিক জ্যাম অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মনে হয়।

১৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভ্রমণ পর্ব বলে উল্লেখ করলেও পোস্ট দেখলাম এক অন্য কাহিনী তুলে ধরেছেন। আমার তো এটাই বেশি ভালো লেগেছে। ভ্রমনের সঙ্গে রাজনৈতিক উত্থান পতনের ইতিহাস পড়ে চমৎকৃত হলাম।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

১০ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫০

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্য। শুভেচ্ছা রইল

১৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

জুন বলেছেন: শুরু করলাম আপনার জাকার্তা ভ্রমণ ঢাবিয়ান। সংখিপ্ত পরিচিতি সাথে ডিম পোচ ছড়ানো নুডলস দেখেই খিদেয় পেটটা মোচড় দিয়ে উঠলো। বিদেশে রাত বিরাতে বাইরে গেলে গা ছম ছম করে ঠিকই কিন্ত একটু পরেই দেখা যায় জমজমাট চারিদিক।
ভালোলাগা রইলো।

২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। জাকার্তা ভ্রমনে একটা জিনিষ উল্ল্যেখ করতে ভুলে গিয়েছিলাম যেটা হচ্ছে রাস্তায় মেয়েদের গনহারে বাইক চালানো। শুধু দিনেই নয় , রাতেও । গলির মাঝের ঐ রেস্টূরেন্টে বসে বসে দেখছিলাম রাত ১১টার পরেও মেয়েরা বাইক থেকে নেমে রেস্টুরেন্টে ঢুকছে, খাচ্ছে বা খাবার প্যাক করে নিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা উন্নত করেছে একটা দেশ সেটা নারীদের স্বতঃস্ফুর্ত চলাচল দেখলেই বোঝা যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.