নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হাবিব।বয়স ২২।বয়স যত বাড়ছে স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার লিস্ট তত বাড়ছে :

এজজিলারেটেড উইন্ড

আমি হাবিব।বয়স ২২।বয়স যত বাড়ছে স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার লিস্ট তত বাড়ছে

এজজিলারেটেড উইন্ড › বিস্তারিত পোস্টঃ

দূর্বলচিত্তের(নারী,শিশু,বৃদ্ধ,হার্টের রোগীসহ) প্রবেশ নিষেধ||নিজ জন্মদিনে ভারতের কারাগারে সন্ত্রাসী ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি কার্যকর।

৩১ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:১১

ফাঁসি কার্যকরের পর ইয়াকুবের লাশের চিত্রের ভিডিওঃ


ভারতের নাগপুর কারাগারে ১৯৯৩ সালের মুম্বাই হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ইয়াকুব মেমনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে
মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে।মৃত্যুর পুর্বমুহুর্তে শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মেয়ে জুবেয়দা মেমনের সাথে ফোনে কথা বলিয়ে দেওয়া হয় বলে কারাসূ্ত্র জানিয়েছে।গতকাল ৩০ জুলাই সকাল ৭ টায় একারাগারে ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া রায় কার্যকর হয়।ব্যক্তিগত উকিলদের অনেক দৌড়ঝাপ ও সুপারিশের পরও এ দন্ড কার্যকরে কোন বাঁধা ফেলতে পারে নি।এদিন তার জন্মদিন ছিল।নিজ জীবনের শেষদিনে তার ৫৩ বছরপূর্ণ হয়।জীবনের শেষদিনগুলোতে ধর্মকর্মে মনোযোগ দেন ইয়াকুব।একজন পুলিশ কনস্টেবল এ ফাঁসি জল্লাদের ভূমিকায় কার্যকর করেন যিনি এর আগেও পাকিস্তানী নাগরিক আজমল কাসাবের ফাঁসি কার্যকর করেন।

বলিউড অভিনেতা সালমান খানও দাবী করে বসেন প্রয়োজনে ইয়াকুব মেমনের বড় ভাই টাইগার মেমনকে ফাঁসি দেওয়া হোক কিন্তু ইয়াকুব নির্দোষ তাই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হোক।

উল্লেখ্য ১৯৯৩ সালের মার্চে ভারতের মুম্বাইয়ের ব্যস্ততম শেয়ার বাজারে এক বোমা হামলায় ২৫৭ বেসামরিক লোকজন নিহত হয়।ভারত এ হামলার পেছনে বরাবরই পাকিস্তান,আইএসআই ও দেশীয় কিছু উগ্রপন্থিদের দায়ী করে আসছে।পরে পুলিশী তদন্তে ব্যবসায়ী ও ইন্টারপোল ওয়ান্টেড দাউদ ইব্রাহিম,সহোযোগী টাইগার মেমনসহ বেশ কয়েকজনকে আসামী করে চার্জশিট দেওয়া হয়।এতে সম্ভবত ইয়াকুব মেমনের নামও চলে আসে।তবে পরের বছরই ১৯৯৪ সালে ভারতীয় পুলিশকে সহায়তা করলে সাজা কম হবে এ চুক্তিতে সে পাকিস্তান থেকে ভারতে এসে সারেন্ডার করে।সেই যে জেলে গেল অবশেষে ৩০ জুলাই অনেক জল্পনা - কল্পনার পর তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

কারাসূত্র মতে,জীবনের শেষরাতে ঘুমান নি ইয়াকুব।সারারাত জেগে থেকে উকিলদের কাছ থেকে ভালো কোন খবর আসে কিনা তার অপেক্ষায় বসে ছিলেন।অবশেষে জেলাররা রাত সাড়ে তিনটায় ফাঁসির চূড়ান্ত খবর নিয়ে এলে তার চেহারায় স্থিতি ও ভাগ্যের কাছে আত্মসমর্পিত হতে দেখা যায়।রাত চারটায় কতৃপক্ষ তাকে গোসল করে ফ্রেশ কাপড় পরে প্রার্থনা করে নেওয়ার কথা জানায়।তারা ইয়াকুবকে একটি কোরান শরিফ সহ ৫ টার নামাজ পড়ার অফার দেয়।সাড়ে পাচটার দিকে সকালের নাস্তা দেওয়া হয়।তবে এটি সে গ্রহণ করে নি।এক ঘন্টা পর ফাঁসির মঞ্চের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।এখানে তাকে টাডা আদালতের রায় পড়ে শোনানো হয়।এদিকে কারাগারের কাছেই ফাঁসির রাতেই সীতাবুলদি এলাকায় একটি হোটেলে অবস্থানরত তার দুই ভাই সোলেমান ও উসমান দিল্লীর উকিলদের সাথে প্রতিটি সেকেন্ডে খবরে থাকে কোনভাবে ভাইয়ের প্রাণ বাচানো যায় কি না।তবে ৫ টার দিকে টিভিগুলোতে ব্রেকিং নিউজে সব ধরণের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে এই মর্মে খবর প্রকাশিত হতে থাকলে তারাও আশাহত হয়ে পরেন।এর আগে ভাই সুলেইমান মেমনকে(তার নামে কোন মামলা নেই) বুধবার কারা কতৃপক্ষ ইয়াকুবকে কিছু খাওয়ানোর অনুরোধ করার জন্য নিয়ে যায় কেননা ইয়াকুব দুদিন ধরে কিছু না খেয়ে ছিল।অবশেষে বুধবার রাতে রুটি ও মুরগির রান সরবরাহ করা হলে ইয়াকুব সাড়ে নয়টার দিকে একটি রুটি ও দুটি চিকেন লেগ খান।এরপর ৩০ জুলাই জন্মদিন উপলক্ষে একটি কেকও কারা কতৃপক্ষের নিকট হতে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য,মেমন পরিবার মুম্বাই হামলার মাস্টারমাইন্ড এই মর্মে মুম্বাই পুলিশ চার্জশিট দেয়।হামলার মুলহোতা ইয়াকুবের বড় ভাই টাইগার মেমনে ও ইন্টারপোলের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তান অথবা দুবাইতে পলাতক ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইএর ছায়ায় আশ্রিত বলে ভারতের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।যদিও পাকিস্তান বরাবরের মত এখনও এঅভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে অভিযোগ করে আসছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.