নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুরন্ত ভাবে ছুটে চলা এক পথিকের গল্প।

ছুটে চলার শেষ নেই ।

দুরন্ত-পথিক

আমি দুরন্ত- পথিক

দুরন্ত-পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি সরকারের ডিজিটাল মৃত্যু,অনাগত সরকারের পরিকল্পনা আর জনগণের স্বপ্ন পুরন

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

যখন ইন্ডিয়া পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচ হয় তখন দক্ষিণ এশিয়ার মোটামুটি সব দেশেই ক্রিকেট প্রেমিদের মধ্যে একটা টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে।তেমনি হয়েছে কালকের নির্বাচনে যেখানে দেশি-বিদেশি সকলের মধ্যে একটা উত্তেজনা বিরাজ করেছে আর জনগণ ও তাদের রায় দিয়েছে। উত্তেজনাও শেষ হ্যেছে।এখন শুধু ফলাফল বিশ্লেষণের পালা।

এই নির্বাচন এ আমরা দেখেছি যে সরকারের বিভিন্ন সরাকারি কর্মকর্তা রা স্বশরিরে গাজীপুর এ প্রচারণা চালিয়েছে তাদের পছন্দের নেতা কে জিতিয়ে আনার জন্য।কিন্তু হায়,সকল চেষ্টা ব্যারথ হয়েছে আর জনগন তাদের কে দেখিয়ে দিয়েছে তারা কি জনিস।এখানে একটা মজার খবর আমাদের খুব আনন্দ দিয়েছে সেটা হল - নির্বাচনের ২দিন

আগের দিন সংবাদ আসে যে এরশাদ ১৮ দলের পক্ষে কাজ করবে ওপর দিকে তার পরের দিন খবর পেলাম যে এরশাদ ১৪ দলের পক্ষে কাজ করবে।জানিনা আসলে এরশাদ সাহেবের মাথায় কোন বুদ্ধি কাজ করতেছে? তবে এটা জানি যে এরশাদের বিরুদ্ধে কিছু মামলা আছে যেগুলি বর্তমান সরকার চাইলেই এখন পুনরায় চালু করতে পারে তখন এরশাদ হয়ে যাবে একেবারে কট।হয়তো সেই জন্যই এরশাদের এই ঘুরে ফিরে পুনরায় ১৪ দলে ফিরে যাওয়া ।

এই সরকার আমাদের অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছে এটা আমরা সবাই জানি তার মধ্যে অন্যতম হল বাংলাদেশকে সিংগাপুর বানান।যেটা বাংলাদেশে অন্তত আগামী ১০০ বছরেও সম্ভব না।কারন সিংগাপুর হল সম্পূর্ণ নগর রাষ্ট্র । আর বাংলাদেশ হল গ্রামীন যার প্রায় ৫০%এর ও বেশী মানুষ কৃষিতে সরাসরি বা ইন্ডিরেক্টলি জড়িত।এটা সরকারের সবাই না জানলেও অন্তত কেউ কেউ তো জানত ।যাই হোক তেনারা এই দেশের জনগণকে পাগল বা অবুঝ মনে করেছে যে এই সব স্বপ্ন দেখালে আমরা যেমন বাহবা পাব তেমনি জনগণ ও এই ভেবে বসবে যে বাংলাদেশ বুঝি সিংগাপুর হয়ে গেল,বেকার সমস্যার মনে হয় সমাধান হয়ে গেল,বিদ্যুত সমস্যা আরও কত কিছু র সমাধান রাতারাতি হয়ে গেল।হা হা হা

এইগুলি শুধু স্বপ্নেই সম্ভব।যাই হোক ডিজিটাল বানাতে গিয়ে সরকার আমাদের অনেক কিছুকে কেড়ে নিয়েছে –আমাদের ব্যাক্তিগত আলাপন,সমালোচনা সব কিছুতেই নজর রেখে আমাদের ডিজিটাল বানিয়ে ফেলেছে।আর মাঝে মাঝে তো ইউটিউব বন্ধ করার একটা অঘোষিত নিয়ম চালু হয়েছে। আমাদের সরকারের সকল কর্মকাণ্ড এই অঘোষিত নিয়ম চালু হয়েছে। আমাদের সরকারের সকল কর্মকাণ্ড এই সাড়ে চার বছরে মোটামুটি ৬০% সচেতন মানুষ লক্ষ করেছে তাদের মধ্যে আছে শিক্ষিত-অশিক্ষিত উভয় ধরনের।কারন অন্তত এদের অনেকেই নিয়মিত বাজারে গেছে কাচা বাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন জন বিভিন্ন জিনিসের ক্রেতা।আর আমাদের দেশের সাথে আন্তর্জাতিক অনেক দেশের সাথে সম্পর্ক তো বাড়াতে পারেনি বরং নষ্ট করেছে।কারন এনারা মনে করে পৃথিবীতে একটা মাত্র দেশ আছে যারা তাদেরকে সেভ করবে আবার সাপোর্ট ও করবে যদিও জনগন রা তাদের বেশির ভাগ কাজকে সাপোর্ট দেয়নি। আর জনগণের মতামতের তো দাম ই নেই তাদের কাছে এই জন্য আমাদের প্রতিবেশী দেশকে তাদের রাজ্য বানিয়ে দেয়ার একটা ইন্ডিরেক্ট চেষ্টা করা হয়েছে যাতে করে সরকার আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারে।ঝামেলা টা হয়েছে এই নির্বাচন গুলিতে যেখানে লীগের ভরাডুবি হয়েছে।আর আমাদের প্রতিবেশী দেশের ঘুম হারাম হয়েছে। এখন সরকার কি করবে ?এখন তাদের কে রক্ষা করবে জনগণের কাছে থেকে? অন্তত ইন্ডিয়ার এই সাহস হয়নি যে বাংলাদেশের মানুষ কে তারা আরও কত কিছু দেবে বলে শেখ হাসিনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়াবে।মানুষ এখন বুঝে গেছে যে তাদের কি করতে হবে।তারপরও যদি সরকারে বোধোদয় হয়।

সে যাই হোক আমরা জনগন রা আমাদের বিভিন্ন প্রত্যাশা পুরনের জন্য আবার যাকে বিশ্বাস করছি তারা কি ক্ষমতায় এসে আমাদের চাওয়া গুলি পুরন করবে? না কি শুধু স্বপ্নই দখাবে?যদি তারাও এইরকম কিছু মনে করে থাকে তাহলে এটা তাদের হবে চরম ভুল।কারন এই নির্বাচন গুলিতে বিরোধী দলকে মানুষ স্বতঃ স্ফূর্ত ভাবে সমর্থন যুগিয়েছে।কিন্তু এবার ক্ষমতায় এসে যদি তারাও আমাদের কে হতাশ করে তাহলে হয়তো ৫-৬ বছর পর এমনি করেই তরুণদের প্রয়োজনেই নতুন কোন নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিবে।তাই আমার বিরোধী দলের প্রতি বিশেষ অনুরোধ যে আমাদের কে বাস্তব কোন স্বপ্ন দেখাবেন যে গুলি ৫বছরে পুরন করা সম্ভব।আমরা বিশেষ কিছু চাইনা আমরা চাই জনগণের নিরাপত্তা,বেকারত্ত হ্রাস,সুচিকিতসা,শুশিক্ষা যেখানে মেধার মুল্যায়ন থাকবে,সরকারী বড় বড় পদ গুলিতে কোটা প্রথা বাতিল করতে হবে কারন কোটায় যারা আসে তারা মেধায় আসেনা এই জন্যএই জন্য তারা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য হুমকি,ঢাকায় আবাসন সংকটের নিরসন,মদ্ধ্যবিত্ত দের সহজ ভাবে বাচার উপায়, কৃষকদের ন্যায্য পাওনা,দ্রব্যমুল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা,বিভিন্ন অফিস-আদালতে অকারণে হয়রানীর শিকার থেকে জনগণকে বাঁচানো আর রাজনৈতিক ভাবে অকারণে কউকে হয়রানী না করা।হয়ত আর ও কিছু আছে এই মুহূর্তে মনে পরছেনা।আমরা পরবর্তী সরকারের কাছে এই সকল সুযোগ সুবিধা পাওয়ার নিশ্চয়তা চাই।কোন কাল্পনিক কিছু বাস্তবায়নের আশা করিনা।আমাদের মৌলিক চাহিদা গুলো পূরণ করলেই আমরা খুশি।আশা করি বিরোধী দল আমাদের সমস্যা গুলিকে মাথায় নিয়ে নির্বাচন করবেন।জনগন তাদের সাথে আছেন,এখন তাদের আমাদের সাথে থাকার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সিটি নির্বাচনে ক্ষমতাসিন সরকারের বাইরের কোন লোককেই চাইবে, সে যোগ্য না হলেও!
কারন সরকার ও মেয়র একই দলের হলে দুর্নিতী ধরবে কে?
মানুষ এই কারনেই মনস্তাত্তিক ভাবে চাইবে তাদের নগর পিতা হউক ক্ষমতাসিন সরকারের বলয়ের বাইরের কোন লোক।
যে দুর্নিতি করলে সরকার নিজেই চেপে ধরবে।
Click This Link

২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫০

অদ্ভূত বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী.. আপনাদের সব হাম্বা কর্মীদের একই লজিক কপি পেষ্ট করতে দেয়া হয়েছে নাকি?.. সব তরকারির একই রেসিপি এইভাবে সকল পোষ্ট এর একই কমেন্টস দিচ্ছেন।.. জনগন আর আবাল নেই মনে রাখবেন।

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২০

রাজীব বলেছেন: মানুষ ঠিকই বুঝে যে মেয়র ও সরকার ২ পক্ষের হলে উন্নয়ন হবে না, কারন তখন বাজেট নিয়ে ৯-৬ (চুদুর বুদুর) হবে।
যেহেতু একটি দল মাত্র ৩ মাস আছে আর বাকী দল হয়ত ৪ বছর ৯ মাস থাকবে তাই জনগন বুঝ শুনেই ভোট দিয়েছে হয়ত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.