নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দূর্বলতা একটাই “শেষ না দেখে কোনকিছু ছাড়তে পারিনা”

eajulhas

“স্বাগতম, আপনার আগমনে ধন্য এ অধম। অনুসরন করার মত কিছুই নেই, যদি করেই থাকেন তবে কৃতজ্ঞ”

eajulhas › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাবধান কপি, পেষ্ট ও কাল্পনিক সূত্র নির্ভর সংবাদ পরিবেশন মোটেও নিরাপদ নয়

১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:২০


বাংলা ট্রিবিউনে “এমপি’র বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গ্রেফতার” খবরটা পড়ার পর লজ্জ্বিত হইছি তবে খুব বেশি একটা খারাপ লাগেনি। আমাদের দেশের একজন সুইপারকে বিশ্বাস করা যায় কিন্তু কোন সাংবাদিককে এখন আর বিশ্বাস করা যায়না। কারণ সঠিক, নীরপেক্ষ এবং স্বার্থের উর্ধে থেকে কোন সাংবাদিক প্রত্রিকায় নিউজ করে এমন খুব কমই দেখা যায়। “এমপি’র বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গ্রেফতার” বাংলা ট্রিবিউনের এই শিরোনামটায়ও একটা স্বার্থ আছে। আমি আগেই বলেছি স্বার্থ ছাড়া কেউ নিউজ করেনা। এখানে বাংলা ট্রিবিউনের স্বার্থ হলো গ্রেফতারকৃত সাংবাদিক প্রেসক্লাব সভাপতি গোলাম মোস্তাফা রফিককে সেফ করতে চাইছে। যদি সেফ করতে না চাইতো তাহলে শিরোনামটা হতো অন্যভাবে ধরেন শিরোনাম হতো “ভূয়া সংবাদ প্রকাশ করায় হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গ্রেফতার”। এবার প্রশ্ন করতে পারেন ভূয়া সংবাদ কেমন করে হলো? যেই নিউজটা করার অপরাধে তাকে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সেই নিউজটার শিরোনাম ছিল ঠিক এরকম “৮০জন এমপি মনোনয়ন থেকে বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে”। এই শিরোনামের নিউজটি সাধারণত জাতীয় পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার বা নিজস্ব প্রতিনিধিগণ করে থাকেন। তাদের কাছে এর নির্ভরযোগ্য ডকুমেন্টস্ থাকে অনেক সময় পার্টীর ঘনিষ্ঠ লোকজনের কাছ থেকেও অনেক আগাম খবর পাওয়া যায়। কিন্তু “দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচার” পত্রিকার মত একটি স্থানীয় সংবাদপত্রে এই ধরনের সংবাদ পাওয়ার কথা না। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছেন হবিগঞ্জ-২ আসনের এমপি আব্দুল মজিদ খান। এখানে যা হয়েছে তা হলো তিনি অর্থাৎ গোলাম মোস্তাফা রফিক অনলাইন থেকে কাট, কপি আর পেষ্ট করে নিজ দায়িত্বে, নিজ পত্রিকায় নিশ্চিন্তে সংবাদটা প্রকাশ করেছেন। আর তাতেই মহা ধরা খেয়েছেন। খোজ নিয়ে দেখেন এই নিউজটা হয়তো অনেক অনলাইন নিউজ পোর্টালেই এসেছে কিন্তু ধরা খাইছে হবিগঞ্জের গোলাম মোস্তাফা রফিক। এখানে তার ধরা খাওয়ার আরেকটা সম্ভাব্য কারণ হলো হয়তো উনি স্থানীয় রাজনীতিতে বিশেষ কোন দলের উপর বিশেষভাবে দূর্বল। এটাও হতে পারে বড় একটা কারণ। আপাতত একজন প্রেসক্লাবের সভাপতিকে এভাবে হয়রানি করার অন্য কোন কারণ আমি দেখছিনা।

আমরা চাই সাংবাদিক গোলাম মোস্তাফা রফিক আদালতে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণিত করে আবার স্ব-পেশায় ফিরে আসুক। কাট, কপি, পেষ্ট এর মাধ্যমে সংবাদ প্রচার করা থেকে বিরত থাকুক। পেশাগত ভুলগুলো শোধরে আরও দক্ষতার সাথে সাংবাদিকতার মত মহৎ পেশায় স্বার্থের উর্ধে থেকে বস্তুনিষ্ঠ, নীরপেক্ষতার সাথে সমাজের সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে কলম ধরুক।#

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:১৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সম্ভাব্য কারণ হলো হয়তো উনি স্থানীয় রাজনীতিতে বিশেষ কোন দলের উপর বিশেষভাবে দূর্বল। এটাও হতে পারে বড় একটা কারণ। হয়তো এটাই মূল কারন!! অন্ততঃ বাস্তব ঘটনাবলী দৃষ্টে।।।

১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:৩৮

eajulhas বলেছেন: আমার ধারনা এবং সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, উনি অবশ্যই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িত। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.