নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পজিটিভ ইলেকট্রন

পজিটিভ ইলেকট্রন

খুব অলস একটা মানুষ । প্রযুক্তিকে অনেক ভালবাসি । আবিষ্কার এর নেশা তাড়া করে সবসময় কিন্তু কিছুই আবিষ্কার করতে পারিনি । পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে অনেক ভালবাসি । ঘুরেবেড়াতে অনেক ভাললাগে । ক্রিকেট খেলা অনেক পছন্দের । বাংলাদেশের খেলা থাকলে টিভি সেট এর সামনে থেকে উঠিনা । অহংকারী মানুষ দের অনেক ঘৃণা করি । সপ্ন দেখতে অনেক ভালবাসি কিন্তু হতাশায় নিমজ্জিত

পজিটিভ ইলেকট্রন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবৈধ উপার্জন , হালাল রুজি ও কিছু কথা

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:০৫

মানুষ যে কারণ গুলোর কারণে জাহান্নামে যাবে এর মধ্যে অন্যতম দুইটা কারণ হচ্ছে

১) নারী
২) অবৈধ উপার্জন ।

ইবাদত কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত হালাল রুজি, আর অবৈধ উপার্জন দিয়ে নিশ্চয়ই হালাল রুজি সম্ভব না।
সাহাবায়ে কেরামগন যাদের উপার্জন হালাল হবার ব্যাপারে সন্দিহান ছিলেন তাদের জন্য দু’আ করতেও অসম্মতি জানাতেন।

প্রখ্যাত সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বসরার প্রশাসক ও আমীর আবদুল্লাহ ইবনে আমীরকে তার অসুস্থ অবস্থায় দেখতে যান। ইবনু আমির বলেনঃ ইবনু উমার, আপনি আমার জন্য একটু দু’আ করুন না! ইবনু উমার তার জন্য দু’আ করতে অসম্মত হন। কারন তিনি ছিলেন আঞ্চলিক প্রশাসক। আর এ ধরনের মানুষের জন্য হারাম, অবৈধ, জুলুম, অতিরিক্ত কর, সরকারি সম্পদের অবৈধ ব্যবহার ইত্যাদির মধ্যে নিপতিত হওয়া সম্ভব। এ কারনে ইবনু উমার (রাঃ) উক্ত আমীরের জন্য দু’আ করতে অস্বীকার করে বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)কে বলতে শুনেছিঃ

“ওজু গোসল ছাড়া কোন সালাত কবুল হয় না, আর ফাঁকি, ধোঁকা ও অবৈধ সম্পদের কোন দান কবুল হয় না”। আর আপনি তো বসরার গভর্নর ছিলেন। (সহীহ মুসলিম ১/২০৪, নং ২২৪)

আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন-

হে মানুষেরা, আল্লাহ পবিত্র। তিনি পবিত্র (বৈধ) ছাড়া কোন কিছুই কবুল করেন না। আল্লাহ মুমিনগনকে সেই নির্দেশ দিয়েছেন যে নির্দেশ তিনি নবী ও রাসূলগনকে দিয়েছেন(বৈধ ও পবিত্র উপার্জন ভক্ষন করা)। তিনি (রাসূলগনকে নির্দেশ দিয়ে) বলেছেনঃ হে রাসূলগন, তোমরা পবিত্র উপার্জন থেকে ভক্ষন কর এবং সৎকর্ম কর, নিশ্চয় তোমরা যা কিছু কর তা আমি জানি।(আল মুমিনূন-৫১) (আর তিনি মুমিনগনকে একই নির্দেশ দিয়ে বলেছেন) হে মুমিনগন, আমি তোমাদের যে রিযিক প্রদান করেছি তা থেকে পবিত্র রিযিক ভক্ষন কর(সূরা বাকারা-১৭২)। এরপর তিনি একজন মানুষের কথা উল্লেখ করেন, যে ব্যক্তি (হজ্জ, উমরা ইত্যাদি পালনের জন্য, আল্লাহর পথে) দীর্ঘ সফরে রত থাকে, ধূলি ধূসরিত দেহ ও এলোমেলো চুল, তার হাত দুটি আকাশের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে সে দু’আ করতে থাকে, হে প্রভু! হে প্রভু!! কিন্তু তার খাদ্য হারাম, তার পোশাক হারাম, তার পানীয় হারাম এবং হারাম উপার্জনের জীবিকাতেই তার রক্তমাংস গড়ে উঠেছে। তার দু’আ কিভাবে কবুল হবে!(সহীহ মুসলিম ২/৭০৩, নং ১০১৫)

হারাম বস্তুর ব্যবসা করা হারাম। যেমন: মদ ও নেশা জাতীয় দ্রব্যের উৎপাদন ও ব্যবসা।
অথচ এখন সিগারেট সহ অন্যন্যা নেশার বস্তু কত হরহামেশাই বিক্রি হচ্ছে....

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ বলেন: ‘‘তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করা হয়েছে আর অপবিত্র বস্তুসমূহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।'' ‘‘আল-কুরআন, ৭ : ১৫৭’’

মদ এবং যে সকল নেশা জাতীয় দ্রব্য যা পান বা সেবন করা হারাম তার উৎপাদন ও ব্যবসা ইসলাম সম্পূর্ণরূপে হারাম ঘোষণা করেছে। এ জাতীয় দ্রব্য উৎপাদন ও তার ব্যবসালব্ধ আয় অবৈধ। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তাআলা বলেন: হে মুমিনগণ! নিশ্চয় মদ, জুয়া, প্রতিমা-দেবী ও ভাগ্যনির্ধারক তীরসমূহ তো অপবিত্র শয়তানের কর্ম। সুতরাং তোমরা তা পরিহার কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। শয়তান শুধু মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চার করতে চায়। আর (চায়) আল্লাহর স্মরণ ও সালাত থেকে তোমাদের বাধা দিতে। অতএব তোমরা কি বিরত হবে না?'' ‘‘আল-কুরআন, ৫ : ৯০-৯১’’

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন-

“মানুষের মধ্যে এমন এক সময় আসবে, যখন মানুষ নির্বিচারে যা পাবে তাই গ্রহণ করবে। হালাল সম্পদ গ্রহণ করছে না হারাম সম্পদ গ্রহণ করছে তা বিবেচনা করবে না”। (সহীহ বুখারী ২/৭২৬, নং- ১৯৫৪)

হাদীসের ভাস্য অনুযায়ী অবৈধ উপার্জনকারীর সকল কর্ম, সকল প্রার্থনা অর্থহীন হবার পাশাপাশি তার অবৈধ উপার্জনের জন্য আখিরাতে রয়েছে কঠিন শাস্তি। আবু উমামা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি অবৈধভাবে কোন মুসলিমের কোন সম্পদ আত্মসাৎ করবে তার জন্য আল্লাহ তায়ালা জাহান্নাম নিশ্চিত করে দিবেন এবং তার জন্য জান্নাত নিষিদ্ধ করা হবে”। এক ব্যক্তি প্রশ্ন করলোঃ হে আল্লাহর রাসূল, যদি সামান্য কোন জিনিস অবৈধভাবে গ্রহণ করে? তিনি উত্তরে বলেনঃ যদি ‘আরাক’ গাছের একটুকরো খন্ডিত ডালও কেউ অবৈধভাবে গ্রহন করে তাহলে তারও এই শাস্তি। (সহীহ মুসলিম ১/১২২, নং ১৩৭)

আসুন সবাই হালাল ও হারাম রুজি বোঝার চেষ্টা করি , সকল প্রকার অবৈধ উপার্জন থেকে নিজেদের হেফাজত করার চেষ্টা করি.. আল্লাহ আমাদের কে সকল প্রকার হারাম থেকে রক্ষা করুন , ( আমিন )

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩

সেজুতি_শিপু বলেছেন: মানুষ যে কারণ গুলোর কারণে জাহান্নামে যাবে এর মধ্যে অন্যতম দুইটা কারণ হচ্ছে

১) নারী
২) অবৈধ উপার্জন ।

নারী তাহলে মানুষ নয় , কী বলেন ? নারী হচ্ছে অবৈধ উপার্জনের মত আরেকটি অবৈধ বিষয় /বস্তু ।

অতএব মানুষেরা প্রার্থণা করুন মহান আল্লাহর কাছে বিশ্বকে নারীমুক্ত করতে । কারন, মহান আল্লা্হ ই নারীকে সৃষ্টি করেছেন । যে আপনার জাহান্নামে যাবার কারন ।
ভাইরে ধর্ম কি এত সহজ যে মানুষ না হয়েই ধর্ম বোঝা যাবে! ধর্ম 'মানুষে'র জন্য । যে মানুষই বোঝে না সে ধর্ম কী বুঝবে ?

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

পজিটিভ ইলেকট্রন বলেছেন: সেজুতি আপু আপনি মনে হয় একটু ভুল বুঝেছেন.. নারী অবশ্যই মানুষ আর আপনি মনে হয় মেরাজের কাহিনী ও জানেন ।
তোহ আপনি এটাও জানেন যে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যখন মেরাজে গেলেন তখন তিনি বেহেশ্‌ত ও দোযখ দুইটাই দেখেছিলেন ।
বেহেশ্‌ত কি দেখেছিলেন জানেন ??? বেশির ভাগ গরিব মানুষ এবং দোযখ এ দেখেছিলেন বেশিরভাগ মেয়ে মানুষ।
তার মানে সেখানে কিন্তু ছেলে যে থাকবে না তা নয় ।

আর তাছাড়া আপু ইসলাম নারী কে যতটা সম্মান দিয়েছে অন্য কোনো ধর্ম কিন্তু এতটা সম্মান দেয়নি ।

আচ্ছা আপু আপনিই বলেন তোহ এখন কার বেশির ভাগ মেয়েরা যেভাবে চলাফেরা করে এটাই কি ইসলাম সমর্থন করে ????
হ্যাঁ এখনো প্রচুর ভাল মেয়ে আছে কিন্তু একটা কিন্তু থেকেই যায় ।

তফসীর কুরতুবীতে আবু হুরায়রার রেওয়াতে রসুলুল্লাহ(সা.) এর উক্তি থেকে বর্নি্ত হয়েছে যে, নারীদের ছলনা ও চক্রান্ত শয়তানের ছলনা ও চক্রান্তের চাইতে গুরুতর ।কেননা, আল্লাহ তায়ালা শয়তানের চক্রান্ত সম্পর্কে বলেছেন “শয়তানের চক্রান্ত দুর্বল পক্ষান্তরে নারীদের চক্রান্ত সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ“তোমাদের(নারীদের) চক্রান্ত খুবই জটিল ।এটা জানা কথা যে, এখানে সব নারীকে বুঝনো হয় নি । বরং ঐসব নারী সম্পর্কেই বলা হয়েছে ,যারা এ ধরনের ছাল-চাতুরীতে লিপ্ত থাকে ।(আল কুর আন)

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সিগারেট সম্ভবত হারাম না, মাকরূহ।অনেকের কাছে শুনেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.