নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
।।। জেনে নিন শবে কদরের ফজিলত এবং আমল সম্পর্কে ।।।
'লাইলাতুল কদর' বা কদরের রজনী কেন বলা হয়, এ ব্যাপারে মুফাস্সিরে কেরাম বেশ কয়েকটি ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। 'কদর' শব্দের অর্থ পরিমাণ নির্ধারণ ও হুকুম। যেহেতু এ রাতে সৃষ্টিকুলের ভাগ্যলিপিতে নির্ধারিত অংশের যেটুকু এ রমজান থেকে পরবর্তী রমজান পর্যন্ত বাস্তবায়নযোগ্য, তা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আদিষ্ট ফেরেশতাদের কাছে স্থানান্তর করা হয়। তাই এই রাতের নামকরণ করা হয় 'লাইলাতুল কদর'।
আবার কদর শব্দের আরেকটি অর্থ হলো- সম্মান, মাহাত্ম্য। আবু বকর ওয়াররাক (রহ.) বলেন, এই রাতের নাম 'কদরের রাত' এ জন্য বলা হয়েছে যে এ রাতের মর্যাদা ও মাহাত্ম্যপূর্ণ কিতাব আল কোরআন মর্যাদাবান ফেরেশতা জিবরাঈল (আ.) নিয়ে আসেন সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী সর্বশেষ রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে।
শবে কদরের ফজিলত
লাইলাতুল কদরের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো- এ গৌরবময় রজনীতে মানবজাতির পথপ্রদর্শক ও মুক্তির সনদ ঐশীগ্রন্থ 'আল কোরআন' অবতীর্ণ হয়েছে। শবেকদর সম্পর্কে কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, 'নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি লাইলাতুল কদরে। আপনি কি জানেন লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। (সুরা কদর : ১-৩) এটি শ্রেষ্ঠতম রাত। এ রাতের ইবাদতে রয়েছে সবিশেষ গুরুত্ব। হাদিস শরিফে এসেছে, 'যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে ইবাদত করবে তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।' (মুসলিম : ৭৬০; বুখারি : ২০১৪)
সাতাইশতম রজনী কি শবে কদর?
শবেকদর সম্পর্কে সর্বাধিক বিশুদ্ধ ও বিতর্কমুক্ত অভিমত হলো, শবেকদর শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতেই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। একান্ত যদি এটা কারো জন্য সম্ভবপর হয়ে না ওঠে, তাহলে সাতাইশতম রাত্রিতে কিছুতেই গাফেল থাকা উচিত নয়। বিশেষ করে ওই দিন মাগরিব ও এশার নামাজ মসজিদে গিয়ে জামায়াতের সঙ্গে আদায় করলে হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী সেও শবেকদরের ফজিলত পেয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে কেউ কেউ বলে থাকেন, সাতাইশতম রজনীকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া অবৈধ কিংবা বেদআত! অথচ এর সপক্ষে হাদিস ও সাহাবায়ে কেরামদের আমল রয়েছে।
হজরত শুবা (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত উবাই ইবনে কাব (রা.) শবেকদরের রাত্রিতে বলেন, 'আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমি তা সম্পর্কে অবগত আছি। (আর তা হলো সাতাইশতম রাত্রি) কেননা রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এ রাতে আমাদের নামাজে দাঁড়াতে আদেশ করতেন। (মুসলিম, হা: ৭৬২) অনুরূপ ধারণা পোষণ করতেন হযরত মুয়াবিয়া (রা.), হযরত ইবনে আব্বাস (রা.), হযরত হাসান (রা.) ও আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রা.)। (কুরতুবি)
শবে কদরের আমল
হাদিস শরিফে এসেছে, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, 'আমি তোমাদের শবেকদর সম্পর্কে অবগত করানোর জন্য বের হয়ে এসেছিলাম। কিন্তু অমুক অমুক ব্যক্তির ঝগড়ার কারণে আমাকে তা ভুলিয়া দেওয়া হয়েছে।' (বুখারি) সুতরাং দুই ব্যক্তি বা পরিবারের মধ্যকার ঝগড়াবিবাদ মিটিয়ে দেওয়া এ রাতের অন্যতম ইবাদত।
তা ছাড়া হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, হে আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম! যদি আমি শবেকদর পেয়ে যাই, তবে আল্লাহর কাছে কী দোয়া করব? রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, এ দোয়া পড়বে- 'আল্লাহুম্মা ইন্নকা আফুয়্যুম তুহিব্বুল আফওয়া ফা'ফু আন্নি।' অর্থ : 'হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাকারী এবং আপনি ক্ষমাকে পছন্দ করেন। সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।'
এ ছাড়া পবিত্র এ রাতে যেকোনো নফল ইবাদত করা যেতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৪২
ইলিয়াস বিডি বলেছেন: লা্দইলাতুল কদর সন্মন্ধে আরো জানতে পড়ুন ।।। মুজাকারা ।।। প্রসঙ্গঃ মা বোনদের জন্য এতেকাফ ।।।