নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহপাক বলেন \"ঐ ব্যক্তির কথার চেয়ে ভাল কথা কার হতে পারে যে মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকে এবং নেক আমল করে এবং বলে যে নিশ্চয়ই আমি মুসলমানদের মধ্যে একজন।\"(আল-কোরআন)

ইলিয়াস বিডি

আমি এক মুসাফির

ইলিয়াস বিডি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল কোরআনের গল্প ।।। আগুনে পোড়ানো বাগান ।।।

০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৩৫



মহান আল্লাহ তাঁর সৃষ্ট প্রতিটি জীবের বেঁচে থাকা এবং সুস্থতার জন্য নানারকম উপাদান পৃথিবীতে ছড়িয়ে রেখেছেন।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তিনি পৃথিবীকে স্থাপন করেছেন সৃষ্টি জীবের জন্য। এতে রয়েছে ফলমূল এবং আবরণযুক্ত খেজুর-বৃক্ষ এবং খোসাবিশিষ্ট শস্য ও সুগন্ধি ফুল। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্‌ কোন্‌ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ? "

পবিত্র কোরআনের এ ঘোষণার পরও মানুষ মহান আল্লাহর অনুগ্রহের কথা অস্বীকার করে। পবিত্র কোরআনের সূরা কলম-এ এক বাগানের মালিকদের পরিণতির কথা বর্ণনা করা হয়েছে-যারা গরিব-দুঃখীদের নিজ বাগানের ফল দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। রংধনু আসরে আমরা সেই কাহিনীটি প্রচার করেছি।

অনেকদিন আগের কথা। ইয়েমেন দেশে এক গ্রামের নাম ছিল শারওয়ান। ওই গ্রামে ছিল ফুলে ফলে ভরা একটি বাগান। হরেক রকম গাছ-গাছালির বিরাট বাগানটি দেখলে যে কারো প্রাণ জুড়াতো। বাগানের মালিক ছিলেন একজন দানশীল বৃদ্ধ। তাঁর নিয়ম ছিল- ফলমূল তোলার সময় হলে তিনি নিজের প্রয়োজনীয় ফলমূল রেখে দিয়ে বাকীগুলো ফকীর-মিসকিন ও অভাবী লোকদের মধ্যে বন্টন করে দিতেন। প্রতি বছর ফসল তোলার সময় হলেই অভাবী মানুষজন সেই বাগানে জড়ো হতো এবং ফলমূল সংগ্রহ করতো।

এভাবে অনেক দিন যাওয়ার পর আল্লাহর ওই দানশীল বান্দাহ একদিন মৃত্যুশয্যায় শায়িত হলেন। তিনি তাঁর সন্তানদের ডেকে কিছু উপদেশ দিলেন। জীবনের অন্তিম উপদেশ দিতে গিয়ে তিনি বললেন, "তোমরা গরীব-মিসকিনদের হক আদায় করবে। তাদেরকে কখনো বঞ্চিত করবে না।"

এ কথা বলেই বৃদ্ধ মহান প্রভূর দরবারে চলে গেলেন। বাবার মৃত্যুর পর বাগানের মালিকানা চলে আসল ছেলেদের হাতে। কিন্তু খুব শিগগিরই তারা পিতার উপদেশের কথা ভুলে গেল। তাদের একজন ছাড়া বাকী সবাই শপথ করে সিদ্ধান্ত নিল, খামাখা অভাবী লোকদের তারা কিছুই দেবে না।

এরপর যখন ফসল তোলার সময় এল তখন তারা নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিলে, ভোরে ফকির-মিসকিনরা টের পাওয়ার আগেই তারা বাগান থেকে সব ফল সংগ্রহ করে ফেলবে।
বাগান মালিকদের এ ফন্দির কথা ফকির মিসকিনরা জানতে না পারায় তারা ফলমূল নেয়ার জন্য বাগানে আসতে লাগলো। কিন্তু বাগানে কাউকে না না দেখে তারা হতাশ হয়ে খালি হাতে ফিরে গেল।

এদিকে বাগান মালিকদের ষড়যন্ত্রের কারণে গরীব-মিসকিনরা খালি হাতে ফিরে যাওয়ায় মহান আল্লাহ অসন্তুষ্ট হলেন। একরাতে তিনি ওই বাগানে একটি ভয়াবহ ঝড় পাঠালেন। ঝড়ের সময় বজ্রপাতের ফলে বাগানে আগুন লেগে সব গাছ পুড়ে ছাই হয়ে গেল।

ওদিকে বাগান মালিকরা খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠে একে অপরকে ডাকতে লাগলে। সবাই ওঠার পর তারা একসাথে ফল সংগ্রহের জন্য বাগানের দিকে রওনা হলো। কিন্তু তারা জানতো না যে, ঝড় ও বজ্রপাতের আঘাতে রাতেই বাগানটি জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

তারা খুব সতর্কতার সাথে বাগানের দিকে এগিয়ে চলল। তাদের একজন ফিসফিস করে বলল, সতর্ক থাকবে আজ একজন ফকীরও যেন বাগানে প্রবেশ করতে না পারে।

বাগান মালিকরা যখন বাগানে গিয়ে প্রবেশ করলো তখন তারা দেখতে পেলো যে, আগুনের হলকা লেগে পুরো বাগানটি ভস্ম হয়ে গেছে। এ দৃশ্য দেখে তারা অবাক হয়ে গেল। কিছুক্ষণ কেউ কোন কথাই বলল না। তাদের একজন বলল, আমরা মনে হয় ভুল করে অন্য কারো বাগানে এসে পড়েছি। কিন্তু তাদের বড়ভাই বলল,আমি কি তোমাদের আল্লাহর গুনগান করতে এবং গরীবদের ফলমূল দেয়ার জন্য বলিনি? এখন দেখলে তো, অতিরিক্ত লোভ করতে গিয়ে কি পরিণতি হলো?

বড় ভাইয়ের কথা শুনে সবার চেতনা ফিরে এলো। সবাই বলল, আমরা অনেক বড় অপরাধ করেছি; নিজেদের ওপর জুলুম করেছি এবং সীমা লংঘন করেছি।

এরপর তারা কায়মনোবাক্যে আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করল। নিজেদের ভুল স্বীকার করে মাফ চাইল। তারা অঙ্গীকার করল-তাদেরকে একটি বাগান দেয়া হলে তারা গরীব-মিসকিনদের সাধ্যমত ফলমূল দেবে। মহান আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করলেন এবং একটি মনমুগ্ধকর বাগান তাদেরকে দান করলেন।


এ ঘটনাটি সূরা আল কলমের ১৭ থেকে ৩৩ নম্বর আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে। এ ঘটনাটি থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, গাছের ফল গরীব-দুঃখী ও অভাবী মানুষদেরমহান আল্লাহ তাঁর সৃষ্ট প্রতিটি জীবের বেঁচে থাকা এবং সুস্থতার জন্য নানারকম উপাদান পৃথিবীতে ছড়িয়ে রেখেছেন।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তিনি পৃথিবীকে স্থাপন করেছেন সৃষ্টি জীবের জন্য। এতে রয়েছে ফলমূল এবং আবরণযুক্ত খেজুর-বৃক্ষ এবং খোসাবিশিষ্ট শস্য ও সুগন্ধি ফুল। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্‌ কোন্‌ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ? "

পবিত্র কোরআনের এ ঘোষণার পরও মানুষ মহান আল্লাহর অনুগ্রহের কথা অস্বীকার করে। পবিত্র কোরআনের সূরা কলম-এ এক বাগানের মালিকদের পরিণতির কথা বর্ণনা করা হয়েছে-যারা গরিব-দুঃখীদের নিজ বাগানের ফল দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। রংধনু আসরে আমরা সেই কাহিনীটি প্রচার করেছি।

অনেকদিন আগের কথা। ইয়েমেন দেশে এক গ্রামের নাম ছিল শারওয়ান। ওই গ্রামে ছিল ফুলে ফলে ভরা একটি বাগান। হরেক রকম গাছ-গাছালির বিরাট বাগানটি দেখলে যে কারো প্রাণ জুড়াতো। বাগানের মালিক ছিলেন একজন দানশীল বৃদ্ধ। তাঁর নিয়ম ছিল- ফলমূল তোলার সময় হলে তিনি নিজের প্রয়োজনীয় ফলমূল রেখে দিয়ে বাকীগুলো ফকীর-মিসকিন ও অভাবী লোকদের মধ্যে বন্টন করে দিতেন। প্রতি বছর ফসল তোলার সময় হলেই অভাবী মানুষজন সেই বাগানে জড়ো হতো এবং ফলমূল সংগ্রহ করতো।

এভাবে অনেক দিন যাওয়ার পর আল্লাহর ওই দানশীল বান্দাহ একদিন মৃত্যুশয্যায় শায়িত হলেন। তিনি তাঁর সন্তানদের ডেকে কিছু উপদেশ দিলেন। জীবনের অন্তিম উপদেশ দিতে গিয়ে তিনি বললেন, "তোমরা গরীব-মিসকিনদের হক আদায় করবে। তাদেরকে কখনো বঞ্চিত করবে না।"

এ কথা বলেই বৃদ্ধ মহান প্রভূর দরবারে চলে গেলেন। বাবার মৃত্যুর পর বাগানের মালিকানা চলে আসল ছেলেদের হাতে। কিন্তু খুব শিগগিরই তারা পিতার উপদেশের কথা ভুলে গেল। তাদের একজন ছাড়া বাকী সবাই শপথ করে সিদ্ধান্ত নিল, খামাখা অভাবী লোকদের তারা কিছুই দেবে না।

এরপর যখন ফসল তোলার সময় এল তখন তারা নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিলে, ভোরে ফকির-মিসকিনরা টের পাওয়ার আগেই তারা বাগান থেকে সব ফল সংগ্রহ করে ফেলবে।
বাগান মালিকদের এ ফন্দির কথা ফকির মিসকিনরা জানতে না পারায় তারা ফলমূল নেয়ার জন্য বাগানে আসতে লাগলো। কিন্তু বাগানে কাউকে না না দেখে তারা হতাশ হয়ে খালি হাতে ফিরে গেল।

এদিকে বাগান মালিকদের ষড়যন্ত্রের কারণে গরীব-মিসকিনরা খালি হাতে ফিরে যাওয়ায় মহান আল্লাহ অসন্তুষ্ট হলেন। একরাতে তিনি ওই বাগানে একটি ভয়াবহ ঝড় পাঠালেন। ঝড়ের সময় বজ্রপাতের ফলে বাগানে আগুন লেগে সব গাছ পুড়ে ছাই হয়ে গেল।

ওদিকে বাগান মালিকরা খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠে একে অপরকে ডাকতে লাগলে। সবাই ওঠার পর তারা একসাথে ফল সংগ্রহের জন্য বাগানের দিকে রওনা হলো। কিন্তু তারা জানতো না যে, ঝড় ও বজ্রপাতের আঘাতে রাতেই বাগানটি জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

তারা খুব সতর্কতার সাথে বাগানের দিকে এগিয়ে চলল। তাদের একজন ফিসফিস করে বলল, সতর্ক থাকবে আজ একজন ফকীরও যেন বাগানে প্রবেশ করতে না পারে।

বাগান মালিকরা যখন বাগানে গিয়ে প্রবেশ করলো তখন তারা দেখতে পেলো যে, আগুনের হলকা লেগে পুরো বাগানটি ভস্ম হয়ে গেছে। এ দৃশ্য দেখে তারা অবাক হয়ে গেল। কিছুক্ষণ কেউ কোন কথাই বলল না। তাদের একজন বলল, আমরা মনে হয় ভুল করে অন্য কারো বাগানে এসে পড়েছি। কিন্তু তাদের বড়ভাই বলল,আমি কি তোমাদের আল্লাহর গুনগান করতে এবং গরীবদের ফলমূল দেয়ার জন্য বলিনি? এখন দেখলে তো, অতিরিক্ত লোভ করতে গিয়ে কি পরিণতি হলো?

বড় ভাইয়ের কথা শুনে সবার চেতনা ফিরে এলো। সবাই বলল, আমরা অনেক বড় অপরাধ করেছি; নিজেদের ওপর জুলুম করেছি এবং সীমা লংঘন করেছি।

এরপর তারা কায়মনোবাক্যে আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করল। নিজেদের ভুল স্বীকার করে মাফ চাইল। তারা অঙ্গীকার করল-তাদেরকে একটি বাগান দেয়া হলে তারা গরীব-মিসকিনদের সাধ্যমত ফলমূল দেবে। মহান আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করলেন এবং একটি মনমুগ্ধকর বাগান তাদেরকে দান করলেন।


এ ঘটনাটি সূরা আল কলমের ১৭ থেকে ৩৩ নম্বর আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে। এ ঘটনাটি থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, গাছের ফল গরীব-দুঃখী ও অভাবী মানুষদের

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ২:০৪

পাউডার বলেছেন: ভালো লাগল। তারপরও মুসলিম নামধারী ভণ্ডরা যাকাতের শারি-লুংগির মাঝেই ইসলাম খুঁজবে।

২| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

ইলিয়াস বিডি বলেছেন: ঠিক বলেছেন তাদের এই এখলাসে নিয়ত।।। মুন্তাখাব হাদিস ।।। পর্ব-১ দেখা দরকার

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.