নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাতের শেষে ভোর আসিবে সেই আশাতেই রই, দিনের শেষে খুঁজে ফিরি শান্তি গেল কৈ?

মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন

অসামাজিক মানব

মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সায়েন্স ফিকশন:- পৃথিবীর বিপর্যয়

৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫৪

ড. আরিয়ের কথা শুনে পিল চমকে
উঠে আদনান সাইয়েফের। এ কি হতে
পারে! সূর্য না থাকলে এ পৃথিবী থেকেত
প্রানীর অস্থিত্ব বিলিন হয়ে যাবে।
এমন কি কোনো মানুষও জীবন্ত
থাকবে না, থাকবেনা গাছ-পালা। তার
মানেত এই পৃথিবীটাই ধংস হয়ে যাবে।
কথা গুলি ভাবতে ভাবতে শিহরিয়ে উঠে
আদনান সাইয়েফ। ড. আরিয়েহ তো
তাহলে ভয়ংকর এক দুঃসংবাদ দিল। এ
সংবাদ এতটাই ভয়ংকর যে ভাবতেই
ভয় লাগে। কিন্তু এ সংবাদের সত্যতা
কতটা এটা নিয়ে আদনান বেশ
চিন্তিত। তাই সে ড. আরিয়েহে কে
জানিয়ে দিয়েছে উনার রিসার্জের কপি
মেইল করতে। আদনান যতক্ষন না
নিজে এর সত্যতার প্রমান পাচ্ছে
ততক্ষন সে এই সংবাদ বিশ্বাস করতে
চায় না।
লেপটপের ভিপ টুনেয় আওয়াজ
আদনানের ভাবনায় ছেদ ফেলে। ড. এর
মেইল চলে এসেছে। পাগলের মত
রিসার্জের কপি পরীক্ষা করতে থাকেন
তিনি। তার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম
জমতে শুরু করেছে। মুখে ভর করছে
ভয়ংকর বিষাদের কালো ছায়া।
আদনানের যেন নিজেকেই নিজের
বিশ্বাস হচ্ছে না। ড. আরিয়েহ এর
রিসার্জের সত্যতায় সামন্যতমও ভুল
কিছু পায়নি সে। তাহলে কি সত্যিই
পৃথিবী ধংস হতে যাচ্ছে! আর ভাবতে
পারছে না সে। রুম থেকে বের হয়ে
বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আদনান উপভোগ
করতে থাকে এই পৃথিবীর সৌন্দর্য।
.
নিয়োঅর্ক ভিত্তিক প্রতিষ্টান নাসা
(NASA) এর সিনিয়ার বিজ্ঞানিদের
একজন আদনান। এই প্রথম বাংলাদেশি
কোনো মুসলিম এই প্রতিষ্ঠানে নিজেকে
এতটা সুদৃঢ় ভাবে প্রতিষ্টা করতে
পেরেছে। ইজরাইলি বিজ্ঞানী ড.
আরিয়েহ আদনানের সহকর্মি। সূর্যের
উপরে প্রায় দীর্ঘ সাত বত্সর
গবেষণার পর আজ এই ভয়ংকর তথ্য
আদনানের কাছে প্রকাশ করেন তিনি।
আদনান গভীর ভাবনায় নিমজ্জিত।
পৃথিবীকে এ ধংসের হাত থেকে কি
বাঁচাবার কোনো উপায় রয়েছে?
আদনানের তখন মনে পড়ে যায় তার
দাদুর একটি কথা, তিন বলেছিলেন
আমাদের ধর্ম গন্থে নাকি রয়েছে যে-
পৃথিবী একদিন ধংস হয়ে যাবে। যখন
কিনা মানুষ তার সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে
যাবে। মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়বে
বেহায়পনা, নির্লজ্জতা।
দাদুর সে কথা গুলি আজ কি অদ্ভুত
ভাবে মিলে যাচ্ছে। পৃথিবী একদিকে
প্রযুক্তির উত্কর্সতার মধ্য দিয়ে
ভুলে যাচ্ছে সৃষ্টিকর্তাকে, আর
চারদিকে বেড়ে চলছে নগ্নতা,
বেহায়পনা। তাহলে কি সত্যিই এই
পৃথিবী ধংস হতে চলেছে!
.
নাসার (NASA) ১২৪ জন বিজ্ঞানী
সহ পৃথিবীর খ্যাতনামা ৪৭৬ জন
বিজ্ঞানী নাসার (NASA) সদর
দপ্তরে এক জরুরী বৈঠকে মিলিত হন।
ড. আরিয়েহ এর আলোচনা চলছে।
সবার চোখে মুখে বিস্ময়, সেই সাথে
উদ্ধেগ। তিনি বলে চলছেন- আজ
আমাদের পৃথিবী একটু চুরান্ত চেলেন্জ
এর সম্মুক্ষিন হতে চলছে। আমার
গবেষনার ফলাফল এই বলছে যে, এই
পৃথিবী আর মাত্র ১৭৬ ঘন্টা টিকে
থাকবে। তারপর সূর্য বিলিন হয়ে যাবে,
পৃথিবী হয়ে যাবে প্রানহীন। আর
আপনারা এটা নিশ্চই লক্ষ্য করেছেন,
গত কিছুদিন থেকে সূর্যের
কার্মক্ষমতা কমে এসেছে। আর কিছু
ঘন্টা পরই সূর্য একদম অকার্যকর
হয়ে যাবে। তখন এই পৃথিবীকে বাঁচাবার
মত আর কেউ থাকবে না।
ড. আরিয়েহ এর কথা শোনে সকল
বিজ্ঞানীদের চোখ মুখ একদম শুকিয়ে
গেল। তাদের মুখে এখন ভয়ার্ত ভাব।
পুরো হল রুম জুরে পিন পতন নীরবতা।
স্টেজে উঠলেন আদনান সাইয়েফ। তার
মুখে আর সবার মত এখন আর নেই
ভয়ার্ত ভাব। বলতে শুরু করলেন
তিনি- প্রিয় বিজ্ঞানী ভাইয়েরা, আজ
এখানে কোনো আনন্দ উত্সব কিংবা
গবেষণা উন্মচনের জন্য নয় বরং
নিজেদের অস্থিত্বের জন্য এক
হয়েছি। ড. আরিয়েহ এর সাথে আমিও
একমত যে আর কিছু সময় পরই পৃথিবী
ধংস হতে চলেছে। আমি অনেক চেষ্টা
করে দেখেছি, কিন্তু পৃথিবীকে এই
বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাবার কোনো
উপায় পাওয়া যায় নি। পাওয়ার কথাও
নয়। কারণ আমরা যতই অস্বীকার
করিনা কেন, এই পৃথিবী একজন স্রষ্টা
সৃষ্টি করেছেন তাতে বিন্দুমাত্র
সন্দেহ নেই। অতীতে মুসলিমদের
ধর্মগ্রন্থ ছিল, সেখানে বলা হয়েছে
যে, মানুষ যখন তার সৃষ্টি কর্তাকে
ভুলে যাবে, পাপাচারে ছেয়ে যাবে
মানুষের জীবন, তখন সৃষ্টিকর্তা এই
পৃথিবী ধংস করে দেবেন। ধংস হয়ে যাবে
চাঁদ, সূর্য সব কিছু। এ বিপর্যয়
অনিবার্য। আমরা কেউ এই পৃথিবীকে
বাঁচাতে পারব না। আমাদে.....
আদনান সাইয়েফ তার কথা শেষ করতে
পারলেন না। একটা মরানাস্ত্র আঘাত
হানে তাকে। নাসার(NASA) প্রধান
বিজ্ঞানী ড. ডিউকের রিবারবার থেকে
গুলিটা আঘাত হানে আদনান কে।
স্টেজেই লুটিয়ে পরেন তরুন মুসলিম
বিজ্ঞানী আদনান সাইয়েফ।
স্টেজে উঠেন ড. ডিউক। বলতে শুরু
করেন তিনি- এই অপদার্থটা অযথা
আপনাদের ভয় দেখাচ্ছিল। সৃষ্টিকর্তা
বলতে কিছু নেই। পৃথিবীকে আমরা
নিয়ন্ত্রন করেছি এবং করব। এ
পৃথিবী ধংস হবে না। কখনো হওয়ার
ন.....
ডিউকের কথা শেষ হয় নি। প্রচন্ড
কম্পনে কেঁপে উঠে পুরু পৃথিবী।
ধূলিকনার মত উড়তে থাকে সব। খুব
একটা সময় লাগেনি। কুটি বত্সরের
হাজার কুটি মানুষের পৃথিবী
অস্থিত্বহীন হয়ে যায়। এই পৃথিবীকে
সৃষ্টি কর্তা কর্তিক সৃষ্ট বিপর্যয়ের
হাত থেকে কেউ বাঁচাতে পারেনি। পারার
কথাও ছিলনা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.