নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হিমু হবার ইচ্ছে আমার নেই, ইমু হয়েই না হয় থাকলাম।হরহামেসা খরচ হওয়া বড় নোটটগুলি না হয় হতে পারলাম না, হৃদয় নামক মাটির ব্যাংকে না হয় জমা হলাম কিছু খুচরো পয়সা হয়ে।

ন্যানো ব্লগার ইমু

ঘর পোড়া গরু হয়েও সিঁদুরে মেঘকেই ভালবাসি।।

ন্যানো ব্লগার ইমু › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাউ টু ট্রেইন এ ম্যান টু বিক্যাম এ কবি!!

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৫০

বর্তমানের বেশীরভাগ ছেলে-মেয়েরই একটা মানুষিক সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে তারা প্রত্যেকেই প্রতিনিয়ত সর্বোত্তম সঙ্গী/ সঙ্গীনি খুজতে ব্যস্ত। দেখা যাচ্ছে যে, একটা ছেলে অথবা মেয়ে একটা সম্পর্কে জড়িত থাকা সত্ত্বেও তার দৃষ্টিভঙ্গী থাকে এর চেয়েও ভালো কিছু একটা পাবার। যদি সে এর চেয়ে ভালো কিছুর সন্ধান পায় তবে বর্তমান যা আছে সেটাকে যেকোন অজুহাতে তার নিকট থেকে মুক্তি নিবে। মূল কথা হচ্ছে বর্তমানে কেউই যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট না। অবশ্য এর একটা ভালো দিকও আছে। নতুন কিছু ক্ষনিক কবি প্রতিভার সৃষ্টি হচ্ছে। যা আমাদের বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে না পারলেও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোকে সমৃদ্ধতা এনে দিয়েছে।

আজকাল আমাদের অনেক বন্্ধু কিংবা ছোট ভাইকে দেখি হঠাৎ করেই তাদের মধ্যে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। কয়েকদিন আগেই যারা হেসে খেলে বেড়াতো, সারাদিন আড্ডা দিয়ে বেড়াতো তারা আজ আকস্মিক কবি হয়ে গেছে। বিশেষত, বিষয়টা গভীরভাবে পরিলক্ষিত হয় তাদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে দেয়া তাদের স্ট্যাটাসের মাধ্যমে। অনেক গুরুগাম্ভীর্য্যপূর্ন মনোভাব ব্যক্ত করছে তাদের স্ট্যাটাসে।

বিষয়টা কিছুতেই মাথায় আসছিলো না যে, হঠাৎ করে আমার এই সব বন্ধু কিংবা ছোট ভাইগুলো কেন জীবনের কঠিন দর্শনের দিকে ধাবিত হলো? কি এমন হলো যে এরা সবাই জীবন দর্শন খুজতে ব্যস্ত হতে লাগলো? যাদের আড্ডা আর মাস্তি ছাড়া কোন কিছুই মাথায় আসতো না, তারা কেন দার্শনিক হয়ে যাচ্ছে? অনেককেই দেখি সারাদিন ঘুমায় আর রাতভর জেগে থাকে, কারোর সাথে ভালোভাবে কথা বলতে চায় না, একা একা থাকতে, চলতে পছন্দ করে। কিন্তু কয়েকটা দিন আগেও তারা এমনটা ছিলো না।

অতঃপর পান্ডব গোয়েন্দার মতো খুজতে লাগলাম যে আসল কাহিনিটা কোথায় প্যাচ লেগেছে। আমার এই রকম তিনজন বন্ধু/ ছোট ভাইকে গবেষণার স্যাম্পল হিসেবে নিয়ে একটা জরিপ চালিয়ে যা পেলাম তা বেশ মজাদার এবং সাথে সাথে বেদনাদায়ক ও সহানুভূতি সৃষ্টির মতো ব্যাপার। তিনজনকে বিশ্লেষন করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলম যে, "তারা জীবন যুদ্ধে বিজয়ীর হাসি হাসলেও, মনের সাথের যুদ্ধে পরাজিত।" তাদের একটাই বাণী- 'কেউ বিশ্বাসের মর্যাদা দিলো না রে, তাই আমি এখন কাউকে বিশ্বাস করি না। আমি শুধুই আমি। শুধুই একা।।'

(বিঃদ্রঃ আমার পরীক্ষণের সঙ্গে অনেকরই বাস্তবতার মিল পরতে নাও পারে। কারন একটা বিষয় আমাদের সবারই জানা আছে 'পরিসংখন কখনোই যথার্থ ফলাফল প্রদান করে না।' এমনও হতে পারে, অনেকেই আছেন যারা জন্ম থেকেই স্বভাব কবি, দর্শন নিয়ে ভাবতে ভালোবাসেন।)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

উদাস কিশোর বলেছেন: চমত্‍কার লিখেছেন ।
হ্যাপি ব্লগিং . . . . . . :)
ভাল থাকুন

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:০১

ন্যানো ব্লগার ইমু বলেছেন: Thanks vai... :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.