নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘর পোড়া গরু হয়েও সিঁদুরে মেঘকেই ভালবাসি।।
আগে জানতাম, "জীব হত্যা মহাপাপ।"
এখন মনে হচ্ছে, "অভিজিৎ হত্য মহাপাপ।"
সবচেয়ে বড় আফসোস ধর্ম নিয়ে কথা বলতে গেলে মৌলবাদী, জঙ্গি। আর মানবিক দিক থেকে হত্যার বিচার চাইতে গেলে নাস্তিক। কোন দিকে যাই? যদি মুক্তমনা ব্লগের ইমাম মালিক নামধারী ধর্মগ্রন্থ নিয়ে চটিলেখকের বিচার চাওয়া হয় তবে সেটা হবে জঙ্গিবাদ। আশা করি আজকের সুশীলদের নজরে এটা ইতোঃপূর্বে কখনো পড়েনি, আর পড়বেও না। সুশীলদের কাজ-ই তো একটা। নতুন নতুন ইস্যু খোজা। তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক, আলোচনা-সমালোচনা করা। তারপর সেটা ঝিমিয়ে যাবার আগেই নতুন কোন ইস্যূ চাই-ই চাই। সুশীল সমাজের ততদিন পর্যন্ত ঐ বিষয়টি নিয়ে মাথা ব্যাথার উদ্রেক হবে না যতদিন পর্যন্ত সেটা আমজনতার চোখে পড়বে। তার ছোট্র একটা উদাহরন দিতে চাইঃ কিছুদিন আগে সুন্দরবনে জাহাজডুবি এবং ফার্ণেস তেল ছড়িয়ে পড়ে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র নিয়ে হুমকির প্রশ্ন নিয়ে মিডিয়াতে সুশীলদের নানা মাতামাতি। সকল প্রকার নৌ চলাচল বন্ধ করতে হবে। কই? এখন তো আবার সেখানে দিয়ে নিয়মিত নৌ চলাচল হচ্ছে। কই গেল সেইসব ইভেন্ট? কারন তারা সর্বদা নতুন ইসূ্য খুজতে ব্যস্ত, কোন সমস্যার সমাধান কিংবা তার প্রতিকার তাদের কাছে মূখ্য বিষয় নয়। আজ আবার অভিজিৎ হত্যাকান্ড নিয়ে সুশীল সমাজের মাঝে তোলপাড় উঠে গেছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিকদলগুলোর দোষারোপের রাজনীতি। আর পুলিশ বাহিনীকে দোষারোপ করেই বা কি লাভ? আগে বাংলা ছায়াছবি দেখে হাসতাম। বলতাম পুলিশ আসা মানেই ছবির সমাপ্তি। কিন্তু এখন বুঝি এটাই বাস্তবতা।
প্রথমেই আসা যাক মুক্তমনা'র ব্লগার ইমাম মালিক প্রসঙ্গে। আস্তিক অথবা নাস্তিক যারাই মুক্তমনা ব্লগ নামটির সাথে পরিচিত ছিলেন তারা অবশ্যই "ইমাম মালক" নামধারী ব্লগারের সাথে কম-বেশী পরিচয় থাকবেন ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে প্রসিদ্ধ চটি রচিয়িতা হিসেবে। আমার কথা হচ্ছে, নাস্তিক, আস্তিকের প্রশ্ন পরে আসুক; অভিজিৎ রায় যদি নাস্তিক না হয়ে প্রকৃত মানবতাধারী মানুষ হতেন, তবে উক্ত লেখাগুলি পোষ্ট দিতে দিতেন না। কিংবা ইমাম মালিক নামক আইডিটিকে ব্লক করে দিতেন। যেহুতু উনি মুক্তমনা ব্লগের সম্পদনা পরিষদের প্রধান সেহুতু উনি এডমিন হিসেবে এই সকল পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারতেন। আস্তিক, নাস্তিক কোনটাই বড় সমস্যা নয়, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছেঙ উনার মাঝে একটা জিনিসের অভাব ছিল। আর সেটা হচ্ছে মনুষত্য। মানুষ আমরা সবাই, কিন্তু প্রকৃত মানুষ খুব কম-ই আছেন।
আচ্ছা আপনার মা বা বোন কিংবা বাবা, ভাই সম্পর্কে যদি কেউ কটূক্তি করে তবে আপনার কেমন লাগবে? ধরুন আপনার মা কিংবা ভাইকে নিয়ে কেউ বাজে মন্তব্য করছে, আর আপনি তা দেখে বা শুনে মজা নিচ্ছেন। তাহলে একজন মানুষ হিসেবে কি করা উচিৎ আপনার? (নাস্তিক বা আস্তিক হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে)
জ্ঞানীদেরকে বরাবর-ই সম্মান করি। নিঃসন্দেহে অভিজিৎ রায় আমার নিকট একজন জ্ঞানী মানুষ ছিলেন। যেহুতু, উনার লেখার সাথে আমি পরিচিত ছিলাম, উনি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাগুলো অতি সহজে বাংলায় উপস্থাপন করতেন। পদার্থের কোয়ান্টামতত্ত্ব, প্যারালেল ইউনিভার্স, মাল্টিইউনিভার্স, ভ্যাকুয়াম ফ্লাকচুয়েশন, স্ট্রং থিউরীর মতো জটিল বিষয়গুলি উনি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। উনি এই পদার্থের জাগতিক বিষয়গুলিকে জট পাকিয়ে ফেলেছিলেন ধর্মের মতো অনূভূতির জায়গার সাথে তুলনা করে। সেখানেও সমস্যা নেই। উনি যদি প্রমান করতে পারেন গড বলে কোন কিছু নেই তবে সেটার জন্য অন্তত সাধুবাদ আমার পক্ষ থেকে। বিজ্ঞান যেটাকে প্রকৃতি বলছে, সেটাই তো আমরা ঈশ্বরের সৃষ্টি বলছি। পার্থক্য তো এতটুকুই। তাই বলে ব্যক্তিগত উপলব্ধি থেকে মনে হলো যে খোদা বলে কিছু নেই, আর সেই জন্য অন্যকে দিয়ে ধর্মের বিভিন্ন অনূভূতিশীল জায়গাগুলো নিয়ে অন্য কাউকে দ্বারা চটি লেখা শুরু করে দিবো কিংবা ফেক আইডি'র মাধ্যমে নিজেই উপস্থাপন করবো সেগুলি। পক্ষান্তরে, ধর্মীয় অনূভূতিতে আঘাতের জন্য যে কাউকে হত্যা করতে হবে তা কোন ধর্ম-ই শিক্ষা দেয়নি। যদি তাই হতো তবে মহানবী (সঃ) এর সময় সর্বোচ্চ নাস্তিক ছিল। তিনি দ্বীনের দাওয়াত না দিয়ে হত্যযঞ্জে মেতে উঠতেন।
হয়তোবা এই লেখাটি পড়ে অনেকেই আমাকে অনেক কিছু বলবেন কিংবা ভাবতে পারেন। তাতে আমার কোন সমস্যা নেই। আমি জঙ্গীবাদী নই, মৌলবাদী, আস্তিকবাদী কিংবা নাস্তিকবাদী কোনটাই নই, আমি মানুষ, আমি মানবতাবাদী। মানুষকে ভালোবাসি, মানুষ হিসেবে মানুষকে সম্মান করতে জানি। নাস্তিক বা আস্তিকতা বিবেচনা করে নয়, মানুষ হয়ে মানুষ হত্যাকারীর বিচার চাই। কোন নাস্তিক কিংবা আস্তিকের বিচার আমি চাইনা।।
০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৩১
ন্যানো ব্লগার ইমু বলেছেন: এই কথাটাই এখন কে বোঝায় বলেন??
২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:২৫
নিতু সিং বলেছেন: আপনি গরু কেটে ভূড়ি ভোজ করছেন তখন কি আমাদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত আনা হচ্ছে না??
এই বিষয়ে আপনার বিচার কি?
৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:১৪
অশুভ বলেছেন: @ নিতু সিং: গরু কাটাকে আপনাদের ধর্মের লোকজনই ত্বরান্নিত বা উৎসাহিত করছে প্রত্যক্ষ বা পরক্ষভাবে। এখন প্রশ্ন কিভাবে? বাংলাদেশের মোট গো মাংসের ৫০ শতাংশের বেশি উৎপাদিত হয় ভারত থেকে আমদানিকৃত গরু থেকে। আপনি নিশ্চই জানেন ভারত একটা হিন্দু অধ্যুসিত রাষ্ট্র। এবং এই আমদানিকৃত গরুগুলার বেশিরভাগই কোনো না কোনো হিন্দু ব্যাক্তি দ্বারা পালিত এবং রপ্তানিকৃত। তারা যখন গরুগুলা বাংলাদেশে রপ্তানি করে, তখন নিশ্চই এটা মনে করে রপ্তানি করে না যে প্রযুক্তির এই যুগে গরু দিয়ে হালচাষ করবে বাংলাদেশের লোকজন। এখন যে বিষয়টির রাস্তা আপনারাই প্রসস্ত করছেন, সেটি নিয়ে আবার আপনিই প্রশ্ন করছেন। ব্যাপারটা ভেবে দেখবেন।
আমি অভিজিতের কাপুরুষোচিত হত্যাকারীদের বিচার চাই। এ নিয়ে আমার কোনো দ্বিমত নেই। আমি শুধু আপনার প্রশ্নের উত্তর দিলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:০৬
রোজারিও০০৭ বলেছেন: ভাল লিখছেন, নবিজী বেশি বাড়াবাড়ি করতে না করেছেন ধম নিয়ে/