নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হিমু হবার ইচ্ছে আমার নেই, ইমু হয়েই না হয় থাকলাম।হরহামেসা খরচ হওয়া বড় নোটটগুলি না হয় হতে পারলাম না, হৃদয় নামক মাটির ব্যাংকে না হয় জমা হলাম কিছু খুচরো পয়সা হয়ে।

ন্যানো ব্লগার ইমু

ঘর পোড়া গরু হয়েও সিঁদুরে মেঘকেই ভালবাসি।।

ন্যানো ব্লগার ইমু › বিস্তারিত পোস্টঃ

"অসীম অভাবগুলি, সীমাবদ্ধতার যাতাকলে নিয়ে সংকুচিত জীবনধারার নামই অর্থনীতি"

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:০৪

(বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বাজার বিশ্লেষক, নিয়মিত পারিবারিক বাজেট প্রনয়নকারী ইমরান -এর অনঅর্থনৈতিক উপলব্ধি) :P :P :P:P

আমাদের অভাবগুলি যদি ছোটবেলার গন্ডিবদ্ধ চাহিদার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে পারতাম তাহলে হয়তো আজ অর্থনীতি নামক বিষয়টির জটিল জটিল পরিভাষার উদ্ভব হতো না। সরকারকে দিতে হতো না কোন অসম বাজেট, লাগতো না কোন বাজার বিশ্লেষক, হতো না কোন শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি। অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের জন্য ছুটতে হতো না অর্থনীতিবিদের নিকট। শুনতে হতো না কিছু দুর্বোধ্য শব্দের সমাহার।

খুব ভালো মনে পড়ে ছোটবেলার সেই দিনগুলি। স্কুল জীবনে প্রবেশের পূর্বে আমার অর্থের যোগান ছিল দাদির টাকা রাখার ঝুড়ি, মায়ের ডিম বিক্রির টাকা, আর বাবা-চাচা-ফুপা বাড়ি আসলে তাদের নিকট হতে প্রাপ্ত ২, ৫ আর ১০ টাকার নতুন নোট। এই টাকা হাতে পেয়েই আনন্দে আটখানা হয়ে যেতাম। মাঝে মাঝে মনে হতো টাকাগুলি গুছিয়ে একবারে ১০০ টাকা বানিয়ে খরচ করবো। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। কেন যেন ১০০ টাকার চাহিদাটা ৫০০ টাকায় গিয়ে পাড়ি জমালো। অবশ্যি ১০০ টাকা একবার পেয়েছিলাম স্বাধীনভাবে খরচ করার জন্য। কিন্তু ততদিনে বেশ খানিকটা বড় হয়ে গিয়েছি। ১০০ টাকা খরচ করতে আর সেদিন জবাবদিহি করতে হয়নি। তাই সেদিন ১০০ টাকাকে অনেক টাকায় রুপ দেবার জন্য বাজারের বৈশাখী মেলায় গিয়ে টিকটিকি খেলে সবগুলি টাকা বিসর্জন দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বাড়ি চলে আসতে হয়েছে। সেদিন মেলা থেকে আর বেলুন, টমটম গাড়ি কিংবা বারুদওয়ালা বন্দুক কেনার শখ জাগেনি। দিন দিন যেন চাহিদাগুলি বেড়েই যেতে লাগলো।

ছোটবেলায় ঈদের দিনে সবাইকে সালাম করে ১০ টাকা করে পেতাম। অনেকগুলি টাকা হতো। সেই টাকা রাখার জন্য আবার ২০ টাকা দিয়ে মানিব্যাগ কিনতাম। কখনো সে মানিব্যাগ আর পূর্ণ করতে পারিনি। এখনো ঈদে সালামি পাই, যা ছোটবেলার চেয়ে কয়েকগুন বেশী। তবে তা যেন নিতান্তই নগন্য মনে হয়। এখন কেন যেন সেটাকে সালামী মনে হয় না, মনে হয় টাকা দিলো।

যতই বেড়ে উঠছি, ততই দিন দিন চাহিদাগুলি কেন যেন বাধভাঙ্গা রুপ নিয়ে চলছে। যে ছেলেটা এক সময় ভাবতো প্রতিদিন যদি ১০ টাকা করে হাতখরচ দিতো!! আজ তার অভাবটা যেন অসীম পর্যায়ে পৌছে গিয়েছে। আর এই অসীম অভাবগুলির, সীমাবদ্ধতার যাতাকলে নিয়ে সংকুচিত জীবনধারার নামই হয়তো অর্থনীতি।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.