নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হিমু হবার ইচ্ছে আমার নেই, ইমু হয়েই না হয় থাকলাম।হরহামেসা খরচ হওয়া বড় নোটটগুলি না হয় হতে পারলাম না, হৃদয় নামক মাটির ব্যাংকে না হয় জমা হলাম কিছু খুচরো পয়সা হয়ে।

ন্যানো ব্লগার ইমু

ঘর পোড়া গরু হয়েও সিঁদুরে মেঘকেই ভালবাসি।।

ন্যানো ব্লগার ইমু › বিস্তারিত পোস্টঃ

"শহীদ মিনার এবং অকৃতজ্ঞ আমরা"

২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২

গতকাল রাত ১১.৩০ টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কিছুক্ষণ বসে ছিলাম। দেখতে পেলাম অনেকেই আড্ডা, গল্প করছে, শহুরে বাস্তুহারাদের কেউ কেউ আবার ঘুমুচ্ছে।

প্রথমত, একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম যে, মূল বেদিতে সবাই জুতাসহকারেই উঠেছে এবং হাতে চায়ের কাপ, সিগারেট, অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যসহ যাবতীয় আবর্জনা ওখানেই ফেলে যাচ্ছে। অদূরেই সম্ভবত কেউ গাজাঁ সেবন করছিল, যার ঘ্রান বাতাসে মিশে বাতাসটা বেশ ভারী হয়ে উঠেছিল।

একজন বাঙ্গালী হয়ে, বাংলাদেশের একজন সুনাগরিক হয়ে বিষয়টা মেনে নেয়াটা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছিল। ভাবছিলাম গর্ব, অহমিকার জায়গাটার এই অবমূল্যায়ন। সরকার কি চাইলে পারে না জায়গাটিতে পুলিশ, আনসার অথবা নিরাপত্তা বাহিনীর ২০ জন সদস্য মোতায়ন করতে? পারে না চার পাশের খোলা জায়গাগুলিতে ৫ জন মালী রেখে ফুলের বাগান করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, পরিপাটী করে রাখতে?

এখন মনে হচ্ছে আমরা জাতি হিসেবে বড়ই অকৃতজ্ঞ। যারা আমাদের মুখের বুলির জন্য এতটুকু ত্যাগ স্বীকার করে গেল, তাদের প্রতি সম্মান দেখানো তো দূরে থাক, কৃতজ্ঞতা প্রকাশটুকুই করতে পারি না। মৌসুমী ১ দিন মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেই আমরা খালাস। বাকি ৩৬৪ দিন চলুক না স্বাধীন বাংলার, স্বাধীন নাগরিকদের ইচ্ছে মতো!!

যে জায়গাটির গল্প বিশ্ব ইতিহাস, ঐতিহ্যে যুক্ত করেছে আমাদের গৌরবময় অধ্যয়, পরিচিত করেছে আমাদেরকে 'বাঙালী' হিসেবে; নতুন প্রজন্মের বাঙালী হিসেবে সেই বাঙালীত্বের এই রকম অধঃপতন আমি চাই না। চাই ভাষা শহীদদের প্রকৃত সম্মান। মুখ থেকে নয়, হৃদয় থেকে। জানুক তাদের ত্যাগ এবং কৃতিত্বগাথা। এই ইতিহাস বয়ে চলুক যুগ থেকে যুগান্তরে- গর্বে, শ্রদ্ধায়, আত্মতৃপ্তি আর যথাযথ মর্যাদায়; আজ এবং আগামী প্রজন্মে।।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

মুল এলাকেকে ঘেরাও করে রেখে বাকী কিছু যায়গা নিয়ে ওটাকে পার্ক করতে হবে।

২| ২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
হাগু , মুতু করা, বেপর্দা হোয়া আর সিগারেট খাওয়া ছাড়া আর কোন কিছুতেই সমস্যা দেখি না। শহীদ মিনার কোন উপাসনার যায়গাতো আর না !!

৩| ২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭

অন্তর মাশঊদ বলেছেন: জিনিসটা আমিও একদিন খেয়াল করেছিলাম। আমাদের এখানে মিরপুর বুদ্ধিজীবি গোরাস্থানে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের কবর পাকিস্তান হতে স্থানান্তরিত করে আনার পর প্রথমদিকে সবার জন্য উন্মুক্ত ছিলো কিন্তু পরের দিকে একদিন আমি গেলাম উনার মৃতুবার্ষিকিতে ফুল দিতে। গিয়ে দেখি মিলি রহমান বেশ কষ্ট প্রকাশ করলেন। কারন উনার কবরের বেদিতে বসে ফেন্সিডিল কারা যেন খেয়ে বোতল ফেলে রেখেছে।
এরপর হতে সেখানে অবশ্য ঘিরার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। জানিনা এখন কি অবস্থা।
ধন্যবাদ আপনার লেখার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.