নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফারদীন নিশ্চিন্ত

ফারদীন নিশ্চিন্ত

আমি কে? যেদিন এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে সেদিন পৃথিবীতে আর একটাও রহস্য অবশিষ্ট থাকবে না।

ফারদীন নিশ্চিন্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলচ্চিত্র ডুব, উপন্যাস নেমেসিস ও লেখক হুমায়ূন আহমেদ

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪১

মেহের আফরোজ শাওন কি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের থ্রিলার উপন্যাস 'নেমেসিস' পড়েছেন?

প্রশ্নটা আমার মনে উকি দিচ্ছে ডুব বিতর্কের শুরু থেকেই। মেহের আফরোজ শাওন যখন সেন্সর বোর্ডের কাছে ডুব নিয়ে আপত্তিপত্র পাঠালেন, পত্রিকায় নিউজটা পড়েছিলাম। এই আপত্তিপত্রের কারণ হলো, এই চলচ্চিত্রে হুমায়ূন আহমেদের জীবনের এমন কিছু প্রসঙ্গ রয়েছে, যেগুলোর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এরপর থেকেই ডুব বাংলাদেশী মিডিয়ায় আলোচনা ও সমালোচনার তুঙ্গে। মুক্তির পরেও সেই আলোচনা ও সমালোচনা থেমে নেই।
বাতিঘর প্রকাশনীর কর্ণধার মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের বেশ কয়েকটি অনুবাদ পড়েছিলাম। তার প্রথম মৌলিক উপন্যাস 'নেমেসিস' প্রকাশ হওয়ার পর বেশ আগ্রহ নিয়েই পড়ে ফেললাম। বাংলাদেশী লেখকের লেখা ভালো লাগার উপাদানে পরিপূর্ণ থ্রিলার উপন্যাসটি পড়ে আনন্দিত হয়েছিলাম। উপন্যাসে খুন হওয়া জনপ্রিয় লেখক জায়েদ রেহমানের সাথে হুমায়ূন আহমেদের মিল খুজে পেয়ে বিস্মিত হয়েছি। উপন্যাসটা পড়ে শেষ করার পর মেহের আফরোজ শাওনের কথা বার বার মনে এসেছে। উপন্যাসটা সম্পূর্ণ মৌলিক। সেখানে হুমায়ূন আহমেদ, শাওন, গুলতেকিন নামের কোনো চরিত্র ছিল না। তবু এদের কথা বারবার মনে এসেছে।
'নেমেসিস' উপন্যাসে জায়েদ রেহমান নামের জনপ্রিয় লেখকের খুন হওয়ার ঘটনার মধ্য দিয়েই কাহিনী শুরু। খুনীকে খুজে পাওয়ার জন্য তদন্ত করতে করতে ঘটনা এগিয়ে চলে। জায়েদ রহমানের জীবনের বিকৃত যতোসব সত্য সামনে চলে আসে। উপন্যাসের শেষ পর্যায়ে এসে জানা যায়, জায়েদ রেহমান একজন সমকামী।
এই উপন্যাসে লেখকের দ্বিতিয় স্ত্রী বর্ষা ছোট পর্দার নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা তরুনী। বর্ষার বয়স একুশ। জায়েদ রহমানের মেয়ের বান্ধবী বর্ষা। লেখকের প্রথম স্ত্রী গোলনূর আফরোজ তরফদার। লেখকের প্রতি যার রয়েছে চাপা ক্ষোভ। পুরো উপন্যাসে লেখক জায়েদ রেহমানের সাথে হুমায়ূন আহমেদের প্রচুর মিল পরিলক্ষিত হয়। এই উপন্যাস পড়ার পর হুমায়ূন আহমেদ ও মেহের আফরোজ শাওন সম্পর্কে মনের আজান্তেই বিরূপ ধারনা তৈরি হতে পারে।

'ডুব' চলচ্চিত্রটি প্রেক্ষাগৃহে অনেকেই হয়তো দেখে ফেলেছেন। যারা দেখেননি তারাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিভিউগুলো থেকে চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে ধারনা লাভ করতে পেরেছেন। ডুব চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্র জাভেদ হাসাস। জাভেদ হাসান একজন চলচ্চিত্র পরিচালক, তার স্ত্রী মায়া। তাদের এক কন্যা সাবেরি, আর এক ছেলে আহির। নিতু জাভেদের মেয়ে সাবেরির ছোটবেলার বন্ধু। চলচ্চিত্রটির মূল কহিনী হুমায়ূন আহমেদর জীবনেরই প্রতিচ্ছবি।
প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি দেখার পর থেকে অনেকেরই আক্ষেপের শেষ নেই। ফারুকী তীব্রভাবে সমালোচিত হচ্ছেন। যারা আক্ষেপ করছেন তারা নেমেসিস পড়েছেন কিনা জানা নেই। নেমেসিস পড়ার পর আক্ষেপ আরো বেশি হওয়া উচিত।
হুমায়ূন আহমেদ পরশ পাথরের মতো দামী একজন মানুষ ছিলেন। যখন যেখানে হাত দিয়েছেন, তখন সেটা দামী হয়ে গেছে। সফল, বিতর্কিত ও জনপ্রিয় এই মানুষটি বাংলাদেশের সেরা লেখক। তাকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে, হচ্ছে, হতেই থাকবে। আগামী কয়েক দশক কিংবা শতকে তিনি আলোচনায় থাকবেন। তাকে নিয়ে গল্প হবে, উপন্যাস হবে, চলচ্চিত্র হবে, নাটক হবে।
'নেমেসিস' একটি পূর্ণাঙ্গ বাংলা মৌলিক থ্রিলার উপন্যাস। যদি হুমায়ূন আহমেদের চিন্তা মাথা থেকে ঝেরে ফেলতে পারেন, উপন্যাসটা পড়ে মুগ্ধ আপনাকে হতেই হবে। টান টান উত্তেজনা ঘেরা চোর পুলিশ খেলার এই উপন্যাসটি অবশ্যই অসাধারন একটি থ্রিলার।
'ডুব' দেখার সময় হুমায়ূন আহমেদকে মাথা থেকে ঝেরে ফেলে দেখতে পারলে গল্পটা অন্যরকম মনে হবে। একজন বাবার গল্প, একজন মেয়ের গল্প, জীবনের গল্প আপনার হৃদয়কে স্পর্শ করবে।
যে প্রশ্নটা দিয়ে লেখা শুরু করেছিলাম, মেহের আফরোজ শাওন 'নেমেসিস' পড়েছেন কিনা জানা নেই।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০২

সোহানী বলেছেন: পড়তে হবে.... আর ছবিটা অবশ্যই দেখবো। যে বিতর্ক হুমায়ুন স্যার রেখে গেছেন তার কোনই শেষ নেই যুগ যুগ ধরে। আর তাই নেমেসিস বলেন আর ডুব বলেন সেটা জনপ্রিয় হবেই। আর শাওন ও সেখান থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মিল খুজেঁ পাবে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৫

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: জ্বি, এটাই স্বাভাবিক।

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

সুমন কর বলেছেন: 'নেমেসিস' পড়িনি।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫২

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: বাংলা মৌলিক থ্রিলার। পড়ে নিরাশ হবেন না।

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: নেমেসিস পড়া হয়নি। পড়তে হবে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪০

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: ভালো মানের থ্রিলার। সময় পেলে পড়ে ফেলুন।

৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

আকাশ আল আমিন বলেছেন: নেমেসিস পড়ে আমারও মনে হয়েছিল এটা হুমায়ুন স্যারের জীবনি নিয়ে তৈরী ।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৭

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: বলেছেন: হুম। প্রচুর মিল রয়েছে। কিছু কিছু ব্যাপার লিখে প্রকাশ করা সম্ভব না। উপন্যাসটা পড়লে সেটা বুঝা যায়।

৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

আকাশ আল আমিন বলেছেন: তা ঠিক ।

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সামনে যদি সিনেমার ডাইরেক্টরদের(কিছু)(যেমন - অরুণ চৌধুরী) লুইচ্চামি নিয়ে কেউ ছবি বানায় তাহলেও কি সেটা কোন কোন লুইচ্চা ডাইরেক্টরের স্ত্রী বলে বসবেন যে, এটা তেনার বায়োপিক!

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৯

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: এভাবে না বলাটাই ভালো। তবে ব্যাপারটা ঠিক।

৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: নেমেসিস বইটা কত সালে প্রকাশ হয়েছিল?

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: ২০১০ সালের বই মেলায় প্রথম প্রকাশ হয়েছিল।

৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৪

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: বায়োপিক বানাতে হলে , যে ব্যক্তির বায়োপিক তার পারমিশন নিয়ে বানাতে হয়। যিনি বেচে নেই, তার বায়োপিক তৈরী হয় কিভাবে? যাই হোক এই চলচিত্রের ঘটনা শুনে মনে হল, এটা হুমায়ুন আহমেদকে নিয়েই হয়ত বানানো হয়েছে। তবে কারো ব্যক্তিজীবন এইভাবে জন্সম্মুখে তুলে ধরা তার অনুপস্থিতিতে পুরোপুরি অশোভন। ব্যক্তি হুমায়ুন আহমেদের প্রতি ঘৃনা দেখানোর একমাত্র অধিকার তার প্রাক্তন স্ত্রী এবং তার সন্তান্দের। হুমায়ুন আহমেদের পাঠকদের সেই অধিকার থাকার কোন কারন নাই। সবচেয়ে বড় কথা যে তিনি এখন অতীত। শাওনকে মানুষ যতই ঘৃনা করুক না কেন এটা ভুলে গেলে চলবে না যে সে হুমায়ুন আহমেদের দুই অবুঝ সন্তানের মা।বাবার অনুপ্সথিতিতে দুই সন্তানের মা শাওনের প্রতি আর বিরাগ প্রদর্শনের সুযোগ নাই।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: 'ডুব' কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের বায়োপিক না।

৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি ডুব কে ফারুকীর সিনেমা হিসেবেই দেখতে চাই !

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: শুধু সিনেমা হিসেবে দেখুন, কোনো ব্যাক্তির সাথে মিলাতে যাবেন না।

১০| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১

জেন রসি বলেছেন: যে যেভাবে ভাবে আরকি! হুমায়ূনকে মাথায় রেখে নেমেসিস লেখা হয়েছে বলে মনে হয়না! তবে ডুব হুমায়ূনকে মাথায় রেখেই বানানো হয়েছে।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: সেটা আমরা বলতে পারব না। সেট বলতে পারবেন লেখক ও পরিচালক।

১১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বিতর্ক করে ডুবকে মাথায় তোলা হচ্ছে
যা তার প্রাপ্য নয়। ডুম একটি গতানুগতিক সিনেমা
যা টেলিফ্লিমকে জোর করে সিনেমা পর্যায়ে নিয়ে গেছে।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৪

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: পরিচালকের উচিত মেহের আফরোজ শাওনকে ধন্যবাদ জানানো।

১২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৫

বানেসা পরী বলেছেন: চোরের মন পুলিশ পুলিশ।
শাওন এর ব্যপারে আর কিছু বললাম না।
হুমায়ুন আহমেদ এর বায়োপিক যারা বলছে তারাই আবার যদি ফারুকী ডুব কে বায়োপিক বলত তখন ঠিক এমনটাই হুলস্হুল করত।
আমার কাছে ডুব একটি সুন্দর মনস্তাত্ত্বিক মুভি।
চিত্রায়ন, ডায়লগ কম কিন্তু আবেগ আর অনুভবের জায়গাটা এখানে বিশাল।

'নেমেসিস' সম্পর্কে আইডিয়া নাই তাই কিছু বলতে পারলাম না।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫০

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: এটাকে বায়োপিক বলে চিল্লানোটা বিরক্তিকর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.