নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফারদীন নিশ্চিন্ত

ফারদীন নিশ্চিন্ত

আমি কে? যেদিন এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে সেদিন পৃথিবীতে আর একটাও রহস্য অবশিষ্ট থাকবে না।

ফারদীন নিশ্চিন্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

“পুরুষরা ঠিক হলেই ধর্ষন থেমে যাবে”

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭

ধর্ষনবিরোধী আন্দোলনে ফেস্টুন হাতে দাড়ানো রক্ত গরম করা স্লোগানে আপনার পাশে থাকা নারীটি ভীন্ন এক পরিবেশে একাকী নির্জন কোনো স্থানে আপনার নিজের কাছেই কি নিরাপদ? পরিবেশ পরিস্থিতি অবশ্যই আপনার মস্তিস্কে আলাদা সংকেত পাঠায়। দিনের আলোতে জনসমাগমে যাকে আপনি মানুষ ভাবেন, অধারে-নির্জনে সেই একই মানুষটা আপনার কাছে নারী হয়ে যায়।

আজকে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষনবিরোধী অগ্নি বাক্যে সবকিছু ফাটিয়ে ফেলছে। কিছুদিন পরে এদের মধ্যে অনেকেই ধর্ষকে পরিনত হবে। তারপর তাকে নিয়ে আবার লেখালেখি হবে, স্লোগান হবে, আন্দোলন হবে।

এই সময়ে এসে ধর্ষন খেতাবপ্রাপ্তরা অতীতে কিন্তু ধর্ষক ছিল না। হয়তো তাদের মধ্যে অনেকেই অতীতের কোনো ধর্ষনবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিল। এখন যাকে ধর্ষক বলা হচ্ছে সেই মানুষটাই হয়তো বছর দুয়েক আগে অন্য কোনো ধর্ষকের ফাসি চেয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। সময়ের নিষ্ঠুর পরিহাসে আজ সে ধর্ষক।

পুরুষের মাঝে একটি 'ধর্ষক' সুপ্ত অবস্থায় থাকে। সময় ও পরিস্থিতিতে সেই 'ধর্ষক' যেকোনো সময় বেরিয়ে আসতে পারে। জনসম্মুখে ধর্ষনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া পুরুষটাই কিন্তু জনমানুষহীন প্রান্তরে ধর্ষকে পরিনত হয়।

কোনো স্লোগান কোনো আন্দোলনের প্রয়োজন নেই।পুরুষরা নিজেকে ঠিক করুন। আপনার গলায় ঝুলানো প্লেকার্ড, হাতের ফেস্টুন, অগ্নিকন্ঠের স্লোগান কিংবা ফেসবুকে স্টেটাস - এসব কোনো কিছুই ধর্ষন থামাতে পারবে না, যদি আপনি নিজেকে নিয়ন্ত্রন না করতে পারেন। প্রতিটা পুরুষ আন্দোলন না করে বরং নিজেকে ঠিক করুন, তাহলে ধর্ষন থেমে যাবে।

আজ থেকে যদি পুরুষরা ঠিক হয়ে যায়, তাহলে আগামীকাল থেকে এই পৃথিবীতে আর কোনো ধর্ষনের ঘটনা ঘটবে না।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার ধারণা সঠিক বলে মনে হচ্ছে না!
নারী, প্রকৃতিতে নারীর ভুমিকা ও অবদান, তাঁদের সমস্যা, ইত্যাদি কঠিন ভাবনার বিষয়!

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৫

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: এটা আমার নিজস্ব মতামত। সবাই এক মত হবে না, এটাই স্বাভাবিক।

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০

এম ডি মুসা বলেছেন: আমি গাজী ভাইয়ের সাথে একমত। এছাড়া আরেকবার বলি দেখেন জারা শিশু ধর্ষণ হয় তাদের টা আলাদা।
অনেকেই শুনেছি যে আসলে অনেক মেয়েরাই প্রেম করে কোন মেয়ে দেখেন সিঙ্গেল নাই ্রং
আছে এবার দেখেন ভালোবাসার কাছে ধর্ষিত হলে যতক্ষণ মিল আছে কেউ জানে না যতক্ষণ অমিল হয়ে যায় তখন এটা মামলা হয় অথবা অন্যকিছু হয়ে এটা হিসেবে প্রকাশ পায়। এরকমই কিন্তু প্রায় হয়ে থাকে আমি একটা দিক উল্লেখ করলাম।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সময় সুযোগ পেলেই মানুষ ধর্ষক হয়ে যায়না,অমানুষরা যায়। ধর্ষকদের একটা বিশেষ চরিত্র আছে,বৈজ্ঞানিক কিছু ব্যাখ্যা আছে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৭

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: আমি যে বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি তা অগ্রহনযোগ্য নয়। বিষয়টি নিয়ে একটু গভীরভাবে চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন।

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
পুরুষ ঠিক করিবে কে ??

সুরা নুরে আল্লাহ বলেছেন, “হে নবী, মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত
রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। …
আর মুমিন নারীদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের
লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে।”

এর অর্থ হচ্ছে, পূর্ণ দৃষ্টি ভরে না দেখা এবং দেখার জন্য দৃষ্টিকে স্বাধীনভাবে ছেড়ে না দেয়া।
অর্থাৎ যে জিনিসটি দেখা সংগত নয় তার ওপর থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিতে হবে। আবার এর
মাধ্যমে সমস্ত দৃষ্টি সংযত করার হুকুম দেয়া হয়নি বরং কোন কোন দৃষ্টি সংযত করতে বলা
হয়েছে। এখানে পুরুষদের মহিলাদরকে দেখা অথবা অন্যদের লজ্জাস্থানে দৃষ্টি দেয়া কিংবা
অশ্লীল দৃশ্যের দিকে তাকিয়ে থাকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তবে বর্তমানে রাস্তা ঘাটে চলতে গেলে পারী পুরুষের দেখা হবেই। তবে দ্বিতীয়বার দেখা
যায়েজ নাই। হযরত বুরাইদাহ বর্ণনা করেছেন, নবী (সা) হযরত আলীকে (রা) বলেন,
”হে আলী! এক নজরের পর দ্বিতীয় নজর দিয়ো না। প্রথম নজর তো ক্ষমাপ্রাপ্ত কিন্তু
দ্বিতীয় নজরের ক্ষমা নে
ই।” (আহমাদ,তিরমিযী, আবু দাউদ, দারেমী)

পবিত্র কুরআন হাদিসের এই বিধান যদি আমরা নারী পুরুষ উভয়ে পালন করি
তাহলে ব্যবিচার, জেনা, ধর্ষণ কমে যাবে ইনসাল্লাহ।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৮

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: খুব সুন্দর কথা বলেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ বিষয়টি এভাবে তুলে ধরার জন্য।

৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

এম ডি মুসা বলেছেন: ধর্ষণকারীরা এমন এক প্রাণী তারা একবার ধর্ষণ করলে ওদের এটা নেশার মত এরা বার বার ধর্ষণ করে।
আমি কিছু বখাটে ছেলেদের দেখেছি ওরা আছে শুধু এই ধান্দা নিয়ে তখন থেকে বুঝেছি যে ।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৭

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: জ্বি, ঠিক বলেছেন।

৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: সেক্স খুব খারাপ জিনিস। ভালোকে মন্দ বানিয়ে দেয়।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৯

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: জ্বি,, তা তো অব্শ্যই। তবে সেক্স কিন্তু আবশ্যিক জিনিস। তবে এটা জোর করে করাটা অন্যায়।

৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৩

নতুন বলেছেন: পুরুষের মাঝে একটি 'ধর্ষক' সুপ্ত অবস্থায় থাকে। সময় ও পরিস্থিতিতে সেই 'ধর্ষক' যেকোনো সময় বেরিয়ে আসতে পারে। জনসম্মুখে ধর্ষনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া পুরুষটাই কিন্তু জনমানুষহীন প্রান্তরে ধর্ষকে পরিনত হয়।

যৌন চাহিদা বেশিরভাগ পুরুষেরই আছে কিন্তু তাদের সবাই কে সুযোগ দিলেও কিন্তু সবাই ধর্ষন করবেনা।

শিক্ষা, আন্তনিয়ন্ত্রন মানবীয় গুনাবলী যা মানুষকে পশু থেকে আলাদা করে সেটার ঘাড়তি থাকলে মানুষ যা খুশি করতে পারে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০২

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: তা ঠিক। পুরুষরা ঠিক হলে ধর্ষন থেমে যাবে।

৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পুরুষ ভালা হতো না ভাই। সুযোগ দেখলে মতলব খারাপ করে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৭

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: নৈতিক শিক্ষা ও ধর্মীয় আদর্শিই পারে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে।

৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৪৩

রাশিয়া বলেছেন: আপনারা যা চিন্তা করছেন, সেটা কোনভাবেই সঠিক নয়। আমি জীবনে অনেক মেয়েদের সাথেই মিশেছি শিক্ষাক্ষেত্রে এবং কর্মক্ষেত্রে, কোন মেয়ের প্রতিই আমার সামান্যতম কামনা জাগেনি। এর কারণ

'আমি আল্লাহ্‌কে ভয় করি'

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৮

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: আপনি আমার সম্পূর্ণ লেখা পড়েননি অথবা লেখার অর্থ বুঝতে পারেননি। সবাই যদি আপনার মতো হয় তাহলে ধর্ষন থেমে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.