নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের আত্মা

ফারগুসন

ফারগুসন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা যা করি তা কি বুঝে করি !!!!!

১৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৩:১৪

ইব্রাহীম (আ) এর মুর্তি সংক্রান্ত কাহিনীটি শুনুন,



আল্লাহ বলেন, "আমি এর পুর্বে ইব্রাহীমকে সঠিক পথ প্রদর্শন করেছিলাম এবং আমি তার সম্পর্কে সম্মক অবগত ছিলাম। যখন সে তার বাবা ও নিজ জাতিকে বলল

- তোমরা কেন এসকল মুর্তির সামনে নিমগ্ন হয়ে পড়ে থাকো ?

তারা বলল

- আমরা আমাদের পুর্বপুরুষকে এমন করতে দেখেছি (তাই আমরা করি)

তিনি বললেন

- তোমরা এবং তোমাদের পুর্বপুরুষেরা স্পষ্টতই পথভ্রষ্ট।

তারা বলল

- তুমি কি সত্য সহই প্রেরিত হয়েছো নাকি তুমি তামাশা করছো ?

তিনি বললেন

- আমি তামাশা করছিনা বরং আকাশ ও পৃথিবীকে যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনিই তোমাদের একমাত্র রব আমি এবিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছি।

এরপর ইব্রাহীম (আ)মনে মনে বললেন

- তোমরা চলে যাওয়ার পর আমি অবশ্যই তোমাদের ইলাহ সমুহকে বিপাকে ফেলব।

তারপর তিনি মুর্তিগুলোকে চুর্নবিচুর্ন করে ফেললেন শুধু বড় মুর্তিটিকে অক্ষত রাখলেন যাতে তারা ফিরে এসে এই কান্ড অবলোকন করে। তারা ফিরে এসে বলল

- আমাদের উপাস্যদের সহিত এহেন আচরন কে করেছে ?

কেউ কেউ বলল

- আমরা একটি যুবককে আমাদের উপাস্যদের মন্দ বলতে শুনেছি। তার নাম ইব্রাহীম।

তারা বলল

- তবে তাকে জনসম্মুখে নিয়ে এসো যাতে তারা দেখে আমরা তার সহিত কি আচরন করি।

তারা বলল

- ইব্রাহীম, তুমিই কি আমাদের উপাস্যদের সহিত এমন আচরন করেছো ?

ইব্রাহীম (আ) বললেন

- না বরং এই বড় মুর্তিটিই অন্য মুর্তিগুলোর এই অবস্থা করেছে। যদি ওরা কথা বলতে পারে তবে ওদেরকেই প্রশ্ন করুন না।

একথা শুনে তারা নিজেদের মধ্যে গোপনে আলোচনা করল তারা বলল আসলে তোমরাই ভুলের উপর আছো। তারপর মাথা নত করে বলল

- তুমি তো জানো এরা কথা বলতে পারে না।

ইব্রাহীম (আ) বললেন

- তবে কি তোমরা এমন কিছুর ইবাদত কর যা তোমাদের কোন ক্ষতি বা উপকার করতে সক্ষম নই। ধিক তোমাদের আর তোমরা যাদের ইবাদত কর তাদের।"

[সূরা আম্বিয়া ৫১-৬৭]

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৩:৪২

নাইমুল ইসলাম বলেছেন: ঘটনাটা জানতাম না। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

২| ১৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:১৫

হাসান বিন নজরুল বলেছেন: ভালো লাগলো ভাই চালিয়ে যান :)

৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪

হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: ততকালীন সময়ের জন্য 'কাহিনী'টা সময়োপযোগী ছিল; মানুষ মুর্তি পুজা থেকে 'এক সৃস্টিকর্তার' দিকে আসছিল।

তবে, সব সুরা ততকালীন মানুষের লেখা।

৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:২৫

আরজু মুন জারিন বলেছেন: আপনার নাম আর লেখার কন্টেন্টস এ বিভ্রান্ত হয়ে পড়লাম। নাম মনে হচ্ছে খ্রিস্টিয়ান ধর্মের।........অবশ্য আমি কার ও সাথে মিশার সময় ধর্মের চিন্তা মাথায় রেখে মিশিনা। আপনার লেখা টা পুরা পড়তে পারিনি। পড়ে পরে আবার কমেন্টস করব। আপাতত শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম। ভাল থাকবেন বেশি বেশি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.