নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবি নতুন নকিব

০৩ রা জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭



মনের আকুতি দীপ্ত সত্যের প্রকাশ
খাটেন সে লক্ষ্যে কবি নতুন নকিব
সে বুঝে সত্যকে যার উত্তম নসিব
অভাগা তলিযে যায় মিথ্যার সাগরে।
কবির সম্মুখে নীল সাধনা আকাশ
সেথায় আছেন কবি সতেজ সজিব
যেন কি নবাব কোন রহিলা নজিব
তলাতে দিবেনা সত্যে আঁধারে বেগরে।

মিথ্যাকে পুতায় পিষে পাটায় বাটেন
করুণা ভিক্ষায় মিথ্যা মস্তক নোয়ায়
সত্যের জন্যেতে কবি এমন খাটেন
পৃখিবী ভরিয়ে দেন সত্যের শোভায়।
দেখনা মানুষ চেয়ে আলোর মশাল
নতুন নকিব পিছে জনতা বিশাল।

রহিলা নজিবঃ ভারতের রহিল খন্ডের নবাব, পানি পথের তৃতীয় যুদ্ধের অন্যতম বীর সেনাপতি।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# অন্তমিলঃ কখখগ কখখগ ঘঙঘঙ চচ
# মাত্রা বর্ণ বিন্যাসঃ তিন তিন দুই তিন তিন
# কবিতা প্রকৃতিঃ পুঁথি সনেট

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আপনার কবিতা সত্যিই সুন্দর।

০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় কবি,
সর্বনাশ! সব্বনাশ!! এ কি করেছেন!

অধমকে নিয়েও সনেট! গোবর গনেশকে সনেটে স্থান দেয়ায় কৃতজ্ঞতা অপরিসীম।

ভেবে আকুল হই,
কখন আপনি এত সুন্দর কথামালা একত্রিত করেন!
ছন্দবদ্ধ করেন এগুলোকে,
অত:পর অপরূপ প্রতিকৃতি দিয়ে প্রান সঞ্চারন করেন অবলিলায়,
চোখ মেলে তাকায় আপনার প্রিয় কবিতারা,
পাখার ঝাপটানিতে অন্তরের ভেতরে লুকিয়ে থাকা আবেগের গান শোনায় সদ্যপ্রসূত কবিতারা,
আপনি শোনেন সে গান,
প্রত্যেক কবিই শোনে, শুনতে পান,
অন্যরা শোনে না, ভিন্ন কিছু শব্দের ধ্বনি ছাড়া তারা কিছুই শুনতে পান না,

আর তখনই আচমকা সজীবতায় উচ্ছল হয়ে ওঠে আপনার একেকটি সনেট!
আর তখনই নিজের সৃষ্টির ভেতরে কবি অবলোকন করেন- নিজের প্রতিবিম্ব,
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে বিমোহিত, উদ্ভাসিত আনন্দোজ্জ্বল কবিমুখ!

অন্তহীন ভালবাসা,
প্রিয় কবিকে।

০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার মন্তব্যের পর আবার গেলাম আপনার ব্লগে, কোন কিছু বেঠিক বলে মনে হয়নি।

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

নতুন নকিব বলেছেন:



শুধুমাত্র আপনার ব্লগে তখন বাংলা লিখতে গেলে ইংলিশ চলে আসছিল। বিজয় বাটনে ক্লিক করেও বারবার ট্রাই করেছি। এগুলোকে ভূতুরে ব্যাপার মনে হয়, কোন সময় যা অনেক কষ্টে ঠিক করা যায় না। হঠাত দেখা যায়, আপনাআপনি নিজেই তা ঠিক হয়ে গেছে। এই যেমন, এখন দিব্যি আরামে লিখে যাচ্ছি।

ভাল থাকবেন অন্তহীন।
রমজান কেমন চলছে?
আচ্ছা, ফরিদ ভাই,
বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান বিষয়ে কোন ভাল গবেষনা আপনার আছে কি? থাকলে এ বিষয়টিতে যদি কিছু লিখতেন!

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: রমজান বরাবর ভাল লাগে প্রিয় কবি-আলহামদুলিল্লাহ।
এককালে বিজ্ঞানে মুসলমান সবার উপরে ছিল, কিন্তু এখন তারা পিছিয়ে পড়েছে। আমি এ বিষয় নিয়ে কাজ করিনি।

৪| ০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
দুজনের জন্য ভালবাসা ।


খুব সুন্দর লিখেছেন, ভাই।

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় কবি আপনার মন্তব্য ভাল লেগেছে। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

৫| ০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো হয়েছে এবারের সনেটটিও। গতকালই পড়েছিলাম মন্তব্যে। আজও পড়লাম। ভালো লাগলো কথামালা।

দুজনের প্রতিই শুভকামনা সবসময়।
আপনার এমন প্রেরণা দেয়ায় শ্রদ্ধা।

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় কবি আপনি সব সময় মনে রাখেন, বিষয়টি বেশ ভাল লাগে। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

৬| ০৩ রা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: আনন্দিত হলাম ভাই ফরিদ আহ মাদ চৌধুরী।
যোগ্য মানুষের প্রশংসা করা সৎ সাহসের কাজ।

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দোয় করবেন যারা সভ্যতা উন্নয়নে প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, অন্তত সম্মামনা জানিয়ে যেন তাদের পাশে থাকতে পারি।

৭| ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ৯:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


কবিরা ভাব জগতের মানুষ; আপনি আবার কবিদের নিয়ে কাব্য রচনা করছেন, কঠিন ব্যাপার!

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: যাঁরা কবি নন তাঁদের নিয়েও লিখি। আর আপনি শুরু থেকে সবসময় পাশে আছেন সেজন্য আমি আনন্দীত।

৮| ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৫

নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: আপনার কবিতা/ পোস্টের ফুটনোট টা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:২১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনি মন্তব্য করায় আমারো ভাল লাগল।

৯| ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
সনেট ভাল লেগেছে! কবিতার গঠন চমৎকার!

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:০৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মন্তব্যে শুভেচ্ছা নিরন্তর

১০| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: দুজনের জন্যই শুভ কামনা অশেষ।

কবিতায় ++++

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:১৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মন্তব্য ও প্লাসের জন্য শুভেচ্ছা নিরন্তর।

১১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ ভোর ৬:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন ,
উভয়ের জন্যই রইল শুভ কামনা ।

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:২০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে রমজানে বেশী বেশী নেক হাসিলের তাওফিক দান করুন-আমিন।

১২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৫৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: নকিব ভাইকে নিয়ে কবিতা ভাল লাগল ।

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:২৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় কবি। আপনিও বিবেচনায় আছেন। দেখি সময় করে কবে নাগাদ লিখতে পারি। তবে আমি কিন্তু আপনার কিছু ইসলামী মতের ঘোর বিরোধী। আর আমি প্রতিপক্ষকে ক্ষেপাতে অনেক কিছু বলি তার সবটুকু বের করে আনার জন্য। আপনার মতের বিপক্ষে একটা পোষ্ট দেব ভাবছি, কারণ আপনার বিপক্ষ মতই আমার মত।

১৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩২

বে-খেয়াল বলেছেন: মনের আকুতি দীপ্ত সত্যের প্রকাশ
খাটেন সে লক্ষ্যে কবি নতুন নকি

প্রিয় কবি আপনার ছন্দ জ্ঞান দেখে আমার হিংসে হচ্ছে, ভাল থাকবেন।

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:২৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: নিক যাই হোক সব বিষয়ে আপনার খেয়াল আছে বলেই মনে হল। শন্তব্যে শুভেচ্ছা নিরন্তর।

১৪| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

মো সজীব হাসান খাঁন বলেছেন: সনেট ভাল লেগেছে এবং নকিব ভাইকে নিয়ে কবিতা ভাল লাগল ।

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:২৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: সনেটে কবিদের গুনগান ভালোই লাগছে।
মা’কে নিয়ে একটা গান লিখেছি। সময় পেলে দেখে আসার অনুরোধ রইল।

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: জনাব আপনার মাকে নিয়ে লেখা গান দারুন ভাল লেগেছে।

১৬| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৩

সত্যের ছায়া বলেছেন: আপনার প্রচেষ্টা ব্লগারদের উৎসাহিত করবে।

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দোয়া করবেন যেন এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে পারি।

১৭| ১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সনেটে আপনি দক্ষ, নির্দ্বিধায় বলা যায়।

বাংলায় মাইকেল 'অমিত্রাক্ষর' ছন্দের প্রবর্তন করেন, তা আমরা জানি। অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রধান দুটি বৈশিষ্ট্য হলোঃ (১) পঙ্‌ক্তিশেষে মিল (অন্ত্যমিল) না থাকা। ২য় বৈশিষ্ট্যটি উপস্থিত না থাকলেও অন্ত্যমিল না থাকলে সেটি অমিত্রাক্ষর ছন্দ হবে। (২) প্রবহমানতা। অর্থাৎ, একটা ভাব এক পঙ্‌ক্তিতে শেষ না হয়ে পরের পঙ্‌ক্তি পর্যন্ত যেতে পারে; ভাবটি পঙ্‌ক্তির যে কোনো স্থানে শেষ হতে পারে, যেখানে ছেদ বা যতিচিহ্ন বসবে। প্রচলিত পয়ার থেকে অমিত্রাক্ষর ছন্দের এই হলো পার্থক্য।

কিন্তু এতদ্‌সত্ত্বেও অমিত্রাক্ষর ছন্দে প্রচলিত পয়ারের ৮ মাত্রা ও ৬ মাত্রার দুটি পর্ব ঠিকই বজায় থাকবে। যদি তা বজায় না থাকে, তাহলে তা অমিত্রাক্ষর বা মাত্রাবৃত্ত না হয়ে অক্ষরবৃত্তে পরিণত হবে।

আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান মতে, আপনার সনেটের ছন্দ অমিত্রাক্ষর নয় কোনোভাবেই। কারণ, এতে ভাবের প্রবহমানতা নেই, এবং অন্ত্যমিল বিদ্যমান। এটি একটি খাঁটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দের সনেট, যা বেসিক পয়ার ছন্দের অনুরূপ।

অনেক ধন্যবাদ।

১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার কাব্য সমালোচনা দিলেন। আমার ক্ষেত্রে এটি প্রথম। আমি মনে করেছি আমাল লেখা বিধিমত রয়েছে।এ ব্যাপারে কিছু খোজ খবর নিয়ে তারপর আপনার মতামত বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।

১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন:



সতত, হে নদ তুমি পড় মোর মনে
সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে।
সতত যেমনি লোক নিশার স্বপনে
শোনে মায়া যন্ত্র ধ্বনি তব কলকলে
জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে।
বহু দেশ দেখিয়াছি বহু নদ দলে
কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মেটে কার জলে
দুগ্ধস্রোতরূপি তুমি মাতৃভূমি স্তনে।
আর কি হে হবে দেখা যত দিন যাবে
প্রজারূপে রাজরূপ সাগরেরে দিতে
বারি রূপ কর তুমি এ মিনতি গাবে
বঙ্গজ জনের কানে সখে-সখারিতে।
নাম তার এ প্রবাসে মজি প্রেমভাবে
লইছে যে নাম তব বঙ্গের সঙ্গীতে।

১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এতেতো অনেক মিল রয়েছে, এটা কি অমিত্রাক্ষর নয়?

১৮| ১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কপোতাক্ষ নদ মাত্রাবৃত্ত (পয়ার) ছন্দে রচিত সনেট, অমিত্রাক্ষর নয়। 'মেঘনাদবধ' মহাকাব্য হলো অমিত্রাক্ষর ছন্দের উতকৃষ্ট উদাহরণ।

"সম্মুখ সমরে পড়ি, বীর-চূড়ামণি
বীরবাহু, চলি যবে গেলা যমপুরে
অকালে, কহ, হে দেবি অমৃতভাষিণি,
কোন্ বীরবরে বরি সেনাপতি-পদে,
পাঠাইলা রণে পুনঃ রক্ষঃকুলনিধি
রাঘবারি? কি কৌশলে, রাক্ষসভরসা
ইন্দ্রজিৎ মেঘনাদে — অজেয় জগতে —
ঊর্মিলাবিলাসী নাশি, ইন্দ্রে নিঃশঙ্কিলা?
বন্দি চরণারবিন্দ, অতি মন্দমতি
আমি, ডাকি আবার তোমায়, শ্বেতভুজে
ভারতি! যেমতি, মাতঃ, বসিলা আসিয়া,
বাল্মীকির রসনায় (পদ্মাসনে যেন)
যবে খরতর শরে, গহন কাননে,
ক্রৌঞ্চবধূ সহ ক্রৌঞ্চে নিষাদ বিঁধিলা,
তেমতি দাসেরে, আসি, দয়া কর, সতি।"

এটি অমিত্রাক্ষর (অন্ত্যমিল না থাকায়), আবার একই সঙ্গে মাত্রাবৃত্ত, যেহেতু প্রতি পঙ্‌ক্তিতে ৮ ও ৬ মাত্রার পর্ব আছে। অন্ত্যমিল না থাকলেও এটি পয়ারের মতোও পাঠ করা যায়।


এ অংশের প্রবহমানতা বজায় রেখে গদ্যাকারে বা অক্ষরবৃত্তে সাজালে কবিতাংশটি এ রকম হতে পারেঃ

সম্মুখ সমরে পড়ি, বীর-চূড়ামণি বীরবাহু, চলি যবে গেলা যমপুরে অকালে, কহ, হে দেবি অমৃতভাষিণি, কোন্ বীরবরে বরি সেনাপতি-পদে, পাঠাইলা রণে পুনঃ রক্ষঃকুলনিধি রাঘবারি? কি কৌশলে, রাক্ষসভরসা ইন্দ্রজিৎ মেঘনাদে — অজেয় জগতে — ঊর্মিলাবিলাসী নাশি, ইন্দ্রে নিঃশঙ্কিলা? বন্দি চরণারবিন্দ, অতি মন্দমতি আমি, ডাকি আবার তোমায়, শ্বেতভুজে ভারতি! যেমতি, মাতঃ, বসিলা আসিয়া, বাল্মীকির রসনায় (পদ্মাসনে যেন) যবে খরতর শরে, গহন কাননে, ক্রৌঞ্চবধূ সহ ক্রৌঞ্চে নিষাদ বিঁধিলা,
তেমতি দাসেরে, আসি, দয়া কর, সতি।

অথবা,

সম্মুখ সমরে পড়ি, বীর-চূড়ামণি বীরবাহু, চলি যবে গেলা যমপুরে অকালে,
কহ, হে দেবি অমৃতভাষিণি, কোন্ বীরবরে বরি সেনাপতি-পদে, পাঠাইলা রণে পুনঃ রক্ষঃকুলনিধি রাঘবারি?
কি কৌশলে, রাক্ষসভরসা ইন্দ্রজিৎ মেঘনাদে — অজেয় জগতে — ঊর্মিলাবিলাসী নাশি, ইন্দ্রে নিঃশঙ্কিলা?
বন্দি চরণারবিন্দ, অতি মন্দমতি আমি, ডাকি আবার তোমায়, শ্বেতভুজে ভারতি!
যেমতি, মাতঃ, বসিলা আসিয়া, বাল্মীকির রসনায় (পদ্মাসনে যেন) যবে খরতর শরে, গহ আন কাননে,
ক্রৌঞ্চবধূ সহ ক্রৌঞ্চে নিষাদ বিঁধিলা, তেমতি দাসেরে, আসি, দয়া কর, সতি।

কিন্তু, প্রতিটি পঙ্‌ক্তি দুটি পর্বে বিভক্তঃ ১ম পর্ব ৮ মাত্রা এবং ২য় পর্ব ৬ মাত্রা, এবং প্রতি পঙ্‌ক্তিতে সর্বত্র ১৪ মাত্রা বিদ্যমান।

সম্মুখ সমরে পড়ি, /// বীর-চূড়ামণি
বীরবাহু, চলি যবে /// গেলা যমপুরে
অকালে, কহ, হে দেবি /// অমৃতভাষিণি,
কোন্ বীরবরে বরি /// সেনাপতি-পদে,
পাঠাইলা রণে পুনঃ /// রক্ষঃকুলনিধি
রাঘবারি? কি কৌশলে, /// রাক্ষসভরসা
ইন্দ্রজিৎ মেঘনাদে — /// অজেয় জগতে —
ঊর্মিলাবিলাসী নাশি, /// ইন্দ্রে নিঃশঙ্কিলা?
বন্দি চরণারবিন্দ, /// অতি মন্দমতি
আমি, ডাকি আবার তো /// মায়, শ্বেতভুজে
ভারতি! যেমতি, মাতঃ, /// বসিলা আসিয়া,
বাল্মীকির রসনায় /// (পদ্মাসনে যেন)
যবে খরতর শরে, /// গহন কাননে,
ক্রৌঞ্চবধূ সহ ক্রৌঞ্চে /// নিষাদ বিঁধিলা,
তেমতি দাসেরে, আসি, /// দয়া কর, সতি।

সনেটের উপর আমার দুটো পোস্ট আছে। এর পরের কমেন্টে দিলাম। সময় পেলে পড়ে দেখতে পারেন।

ধন্যবাদ ফরিদ ভাই। শুভেচ্ছা।

১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে মোহীত হলাম। আপনার পোষ্ট দু’টোও পড়লাম। বেশ কাজের পোষ্ট। আরো পড়ার জন্য পোষ্ট দুটি প্রিয়তেও নিলাম।

১৯| ১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সনেটের অন্ত্যমিল ও পঙ্‌ক্তি-বৈচিত্র্য : প্রথম পর্ব - Click This Link

সনেটের অন্ত্যমিল ও পঙ্‌ক্তি-বৈচিত্র্য : দ্বিতীয় পর্ব - Click This Link

১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বুঝলাম কবিতার শিক্ষক হিসেবে আপনি যথেষ্ট দক্ষ।

১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন:



কবি সোনাবীজ অথবা ধুলোবালিছাই

সোনবীজ অথবা হে ধুলোবালি ছাই
অবশেষে এলেনতো উঁকি দিয়ে যেতে!
কবিতার পাঠ শেষে কিছু কথা বলে
বুঝালেন কত কথা মুগ্ধ মনে পড়ি।
কি সৌরভ সে কথার বহে প্রাণ মনে,
দৃষ্টান্তের ফুল কত ঝরে পড়ে হেথা
অঞ্জলীতে সে ফুলের শোভা চেয়ে দেখি,
অজানার কথাগুলো চন্দ্র স্নাত যেন।

আপনার আগমন হেথা বৃষ্টি রোদ
সিক্ত করে দীপ্ত করে কষ্ট করে দূর।
সে সকল হৃদয়েতে ফুর ফুরে বায়
উড়ে চলে অহর্নিশ সুখ সেতো বটে!
নায়ে চড়ে যেন বধু পিতৃ গৃহে যায়
আনন্দেতে ঢল ঢল টলটল মন।

-প্রিয় কবি আপনাকে নিয়েই প্রথম অমিত্রাক্ষরের ট্রায়াল করলাম। আপনার মন্তব্য সহ পোষ্ট করতে চাই বলে, আশা করি সেটা সিগ্র পাব। তারপর আপনার অনুমতি সাপেক্ষে পোষ্ট করব।

২০| ১১ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ আপনি কী করেছেন ফরিদ ভাই? আমাকে নিয়েও সনেট লিখে ফেললেন! আমার জন্য এ এক দারুণ চমক।

আমার সনেটের উপর পোস্টটাতে নিয়ম ভাঙার কথা বলেছিলাম বেশ জোরে-সোরে। আপনি সেই নিয়ম ভাঙার খেলায়ও এক দারুণ চমক দেখালেন।

এটাকে অমিত্রাক্ষর বলা যেতে পারে, তবে অমিত্রাক্ষর ছন্দের আরো প্রধান বৈশিষ্ট্য এখানে অনুপস্থিত রয়েছে, যেমন, বাক্যের প্রবহমানতা। এটা খাঁটি মাত্রাবৃত্ত হয়েছে, যাতে প্রতি পঙ্‌ক্তিতে ৮ ও ৬ মাত্রার দুটি পর্ব রয়েছে।

আপনার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক। সনেট আজকাল তেমন কাউকে লিখতে দেখা যায় না। আমার জানা ও দেখা মতে নির্ঝর নৈঃশব্দ্য নিয়মিত সনেট লিখছেন, এবং এবারের বইমেলায় তাঁর সনেটগুচ্ছ বই আকারে বের হয়েছে। এ ছাড়া ফেইসবুকে কালেভদ্রে দু-একজনকে লিখতে দেখা যায়। আজকাল যেখানে অন্ত্যমিলকে ঝাঁটিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, সেখানে সনেট লিখে অন্ত্যমিলকে ফিরিয়ে আনতে অনেকেই হয়ত পছন্দ করছেন না, তা ছাড়া সনেট লিখা একটা জটিল কাজই আমার কাছে মনে হয়। কতসব নিয়ম শৃঙ্খল!! তবে আপনার সনেট লিখা পড়লে মনে হয় এ কাজ আপনার পক্ষে নিতান্ত অনায়াসলব্ধ।

ভালো থাকুন। আমি রিক্ত। কিন্তু আমার নামে সনেট লিখায় আমি সত্যিই সিক্ত এবং আনন্দিত প্রিয় ফরিদ ভাই।

অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সব সময়।

১২ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৩৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন:



কবি বিজন রয়
জনেতে বিজন রয়, বনেতে যে নয়
কাকলী কেমন তুমি? কি চাও হেথায়?
এ কবি এমন নয়। কবির ভাবনা
সুতীব্র গতিতে ছুটে অন্যায় তাড়নে।
কাকলী নারীর প্রেম নিশির শিশির
ঝরেই হারিয়ে যায় মাটির অতলে,
এ কবি বিজন রয় আসক্ত না এতে,
মানব প্রেমেতে পাবে কবির হৃদয়!

একান্ত চাওকি তাঁকে? কাকলি তা’বলি-
খুঁজবে কল্যাণ কর কাজের নিলয়
সেথায় আসবে কবি, ঝুটবে কপালে
তখন সান্যিধ্য সুখ।দেখবে কি আহা
দোলায় দোলায় দোলে আনন্দ চন্দ্রিমা,
এভাবে কখনো প্রেম আগায় সম্মুখে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# অন্তমিলঃ নেই
# মাত্রা বর্ণঃ তিন তিন দুই তিন তিন
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

বিঃদ্রঃ এতে অমিত্রাক্ষরের সব শর্ত পূরণ হয়েছে! কি বলেন কবি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.