নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৌদি আরবের সাথে মিলিয়ে রোজা ও ঈদের বাতিল ফতোয়া

২৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬



যে সব এলাকায় সাধারণত একই দিনে চাঁদ উঠে সে সব এলাকায় সাধারণত একই দিনে আরবী মাস শুরু বা শেষ হয়। সে সব এলাকার কোন এলাকায় কোন কারণ বশত চাঁদ দেখা না গেলেও সে সব এলাকায় একই দিনে আরবী মাস শুরু বা শেষ হয়। কিন্তু কোন দুই এলাকা যদি এমন হয় যে, কোন দিনই সে দুই এলাকায় একই দিনে চাঁদ দেখা যায় না তবে সেই দুই এলাকায় কোন দিনই এক সঙ্গে আরবী মাস শুরু বা শেষ হয়না। এমন দুই এলাকার এক এলাকায় একই সময় যখন রমজান অন্য এলাকায় সেই সময় শা’বান।
আল্লাহ রোজা ফরজ করেছেন রমজানে শা’বানে নয়। সুতরাং যে এলাকায় শা’বান সেই এলাকার রোজা পালনকারী মূলত নফল রোজা পালনকারী। আবার তারা যদি রমজানে ঈদ করে তবে তারা ফরজ রোজা ভঙ্গকারী।যেমন, সৌদি আরবে যখন রমজান তখনও বাংলাদেশে শা’বান, সৌদি আরবে যখন শাওয়াল তখনও বাংলাদেশে রমজান। সুতরাং সৌদি আরবের সাথে মিলিয়ে রোজা ও ঈদ করলে সরাসরি আল্লাহর হুকুম তরক করা হবে। কারণ আল্লাহ ফরজ রোজা রাখতে বলেছেন রমজানে শা’বানে নয়। আবার ঈদ করতে বলেছেন শাওয়ালে রমজানে নয়।সৌদি আরবের সাথে মিলাতে গিয়ে সৌদি আরবের জনগনের ক্ষতি হচ্ছেনা, ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশী ফাজিলদের।
ক্বোরআন খেলাফী হাদীস, হাদীস হতে পারে না। এমন কোন হাদীস যদি থাকে তবে তার শুদ্ধতা যাচাই করা দরকার।
যে রাষ্ট্রের সব এলাকায় একই দিনে চাঁদ উঠে সে রাষ্ট্রের সব এলাকায় একই দিনে রোজা ও ঈদ করাতে কোন ক্ষতি নেই। মহানবীর (সঃ)সময় রাষ্ট্র সে রকম ছিল। এখনও রাষ্ট্র এমন আছে কিনা যাতে একই সময় দুই তারিখ বিদ্যমান, এমন ঘটনা আমার জানা নেই। যদি এমন থাকে তবে তাতে মহানবীর (সঃ) রাষ্ট্রের বিধি কার্যকর হবেনা, কারণ মহানবীর (সঃ) রাষ্ট্র আর এ রাষ্ট্র এক রকম নয়। আর ইসলাম উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানো জাতীয় কিছু নয়। কোন জিনিসের সাথে কোন জিনিসের মিল করতে হলে জিনিস দু’টি এক রকম বা কাছাকাছি রকম হতে হয়। কিন্তু সম্পূর্ণ বিপরীত হলে সেই রকম জিনিস এক রকম ভাবা সুস্থ্য মস্তিষ্কের কাজ নয়।

মন্তব্য ৫৯ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


চন্দ্র মাসের থেকে সুর্যের মাসের উপর নির্ভর করলে সমস্যার সমাধান হতো

২৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: চন্দ্রের রূপ প্রতিদিন বদলায় বিধায় তাতে দিন মাস হিসেব সহজ ছিল। এটাকে স্কাই কেলেন্ডার বলা চলে। সে জন্যই মনে হয় এটা আল্লাহর পছন্দ হয়েছে।

২| ২৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এব্যাপারে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ইসলামি সংস্হা গুলো মিডিয়াতে সু-স্পষ্ট মতামত দিলে বিষয়টা সাধারণ মানুষের কাছে আরো পরিস্কার হত।

২৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তবে মুসলমানদের মাঝে যথাযথ কাজের যোগ্য লোকের যথেষ্ট অভাব রয়েছে।

৩| ২৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:১৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর আলোচনা করেছেন এবারো, দাবীতে আমারো দাবী রইল।


বিষয়টি ভেবে দেখার সময় হোক,
হোক সমাধান এ-অযৌক্তিক প্রথাটি।

আপনার দাবীতে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গেলাম।

শুভকামনা আপনার জন্য।

২৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দেশের লোকের সাথে বেঈমানী করে ভিন দেশের সাথে মিলিয়ে আনন্দ করছে কিছু সংখ্যক দেশদ্রোহী অথছ তাদের কাজ আল্লাহর সাথেও বেয়াদবী। এ পরিস্কার বিষয়টাই আমি সবাইকে দেখিয়ে দিতে চেষ্টা করেছি। তবে যদি তাদের বোধদয় হয় তবে আমার প্রচেষ্টা স্বার্থক হবে।

৪| ২৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৫

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: সৌদি আরবের সাথে তাল মিলানোর হুজুগ যাদের আছে, তারা আসলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী।

২৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এরা আমাদেরকে অমুসলীমদের সামনে হাসির পাত্রে পরিণত করছে। অথচ ক্বোরআন ও হাদীস তাদের মতের বিরোধী।

৫| ২৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভালো কথা বলেছেন । পোস্টের সাথে সহমত । ভেবে দেখার সময় এসেছে !

২৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এরা থাকে এক দেশে, আর গান গায় আরেক দেশের। অথচ সৌদি আরবের প্রতিবেশীরাও তাদেরকে খাজনা দেয়না। তারা যদি ক্বোরআন-হাদীস মতো চলতো তাও একটা কথা ছিল।

৬| ৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল যুক্তিপুর্ণ লিখেছেন ।
সৌদিতে যখন মাগরেবের নামাজ পড়ে তখন বাংলাদেশে মাগরেবের নামাজ পড়া কি জায়েজ হবে ?
কিংবা সৌদিতে যখন ফজরের নামাজ পড়ে তখন বাংলাদেশে ফজরের নামাজ পড়লে কি তা শুদ্ধ হবে ?
এখন দ্বিমত পোষনকারীরা ভেবে দেখুন তারা তাদের বক্তব্যের প্রক্ষিতে কি যুক্তি দিবেন ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অথচ সৌদি রাজাদের পা চাটা এ সব দালালেরা মুসলমানদের ঈমান ও আমল নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

৭| ৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:০০

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: কিছু অজপাড়া গা ছাড়া এখন এইসব কেউ মানে বলে মনে হয় নাহ।

৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আগাছা এখনই দমন না করা হলে এরা কমজানা মুসলমানদের ধোকা দিতেই থাকবে।

৮| ৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল যুক্তিপুর্ণ লিখেছেন ।
সৌদিতে যখন মাগরেবের নামাজ পড়ে তখন বাংলাদেশে মাগরেবের নামাজ পড়া কি জায়েজ হবে ?
কিংবা সৌদিতে যখন ফজরের নামাজ পড়ে তখন বাংলাদেশে ফজরের নামাজ পড়লে কি তা শুদ্ধ হবে ?
এখন দ্বিমত পোষনকারীরা ভেবে দেখুন তারা তাদের বক্তব্যের প্রক্ষিতে কি যুক্তি দিবেন ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।


-আলী ভাই সুন্দর বলেছেন। আমাদের অভিমতও তাই। এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীগন কি সৌদি আরবের সময়ের সাথে মিলিয়ে ফজর, মাগরিব সালাত আদায় করতে পারবেন? তারা কি সৌদি আরবের সময়ের সাথে মিলিয়ে একই সময়ে ইফতার করেছেন? সাহরী খেয়েছেন? অন্যান্য নামাজ যেমন যুহর, আসর এগুলোও কি তাদের সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আদায় করতে পেরেছেন? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর হচ্ছে অবশ্যই নয়। সুতরাং এগুলোর উত্তর যদি 'না' হয়ে থাকে তাহলে প্রমান হয়ে যায়, এরা বিভ্রান্ত, পথভ্রষ্ট এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ছাড়া আর কিছুই নন।

দু:খজনকভাবে, ধর্মীয় বিষয়াদিতে আমাদের রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে কঠোর কোন আইন কানূন না থাকার সুযোগে, অথবা বলা যায়, সরকারের উদারতাকে কাজে লাগিয়ে কিছু বিপথগামী লোক স্রেফ সাধারন লোকদের চোখে ধুলো দিয়ে ফায়দা হাসিলের হীন উদ্দেশ্যে এসব অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছেন। এসবের মাধ্যমে তাদের দল ভারি করার অপচেষ্টা করছেন। ধর্মের অপব্যবহারে সাধারন মানুষের নীতি বোধ বিশ্বাসকে আহত করছেন। ঈমান আমলের ক্ষতি করছেন।

সামাজিকভাবে বয়কট, এই অনৈসলামিক ফালতু রীতির হাস্যকর প্রচলনের অসারতা তুলে ধরে ব্যাপক প্রচারনা চালানো এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে এই অশুভ ততপরতা বন্ধের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন এখন সময়ের অন্যতম দাবী।

আল্লাহ পাক আমাদের ঈমান আমল হেফাজত করার তাওফীক দান করুন। আমীন।
এ বিষয়ে পোস্ট দেয়ায় সম্মানিত ভাই ফরিদ আহমদ সাহেবকে মোবারকবাদ। ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা।

নতুন পোস্ট দেখে আসার দাওয়াত থাকল। ওয়াসসালাম।
''আলাইহা তিছআতা আশার'' -'এর উপর নিয়োজিত আছে উনিশ', -আল কুরঅানে উনিশের রহস্য

৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: রাষ্ট্র এখনো সজাগ না হলে এসব ফিতনা বাজেরা আমাদের প্রিয় দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে ব্যাপকতা ছড়াতে তৎপরতা বাড়িয়ে দিবে।

৯| ৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬

এ আর ১৫ বলেছেন: এমন দাবি কি কেউ করেছে, যে মুহুর্তে সৌদীতে মাগরেবের নামাজ সেই মুহুর্তে পৃথিবীর সব জায়গায় মাগরিবের নামাজ পড়তে হবে ??? সৌদীর সাথে যে দেশের সময়ের যে পার্থক্য সে দেশে সে সময়ে মাগরিবের নামাজ হবে এবং এই ক্ষেত্রে সবাই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন নামাজের সময় নির্ধারন করে থাকে যেটা সৌদীর সময়ের পার্থক্যের সাথে সামন্জস্য পূর্ণ । পৃথিবীর কখোন কোথায় চাদ উঠবে তা বা আগামী ১০০০০০০০০০০০০০০০০০০০ বৎসর কখোন উদিত হবে তা হিসেব করে বাহির করার প্রযুক্তি অনেক আগেই বের হয়েছে । যে দেশের সাথে সৌদীর সময় ৬ থেকে ১২ ঘন্টার মত তারা সৌদীতে যদি আজ সন্ধায় চাদ উঠে তাহোলে সময়ের পার্থক্যের কারনে পরশু থেকে তারা রোজা রাখবে এবং সময়ের পার্থক্য যাদের ১ থেকে ৫ ঘন্টার মধ্যে তারা সৌদির মত পরের দিন থেকে রোজা রাখবে ।
কেয়ামত পর্যন্ত সৌদীতে কখোন চাদ উঠবে সেটা যেমন জানা বিষয় তেমনি পৃথিবীর অন্য সব জায়গার কখোন চাদ উঠবে সেটাও জানা বিষয় ।

৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অথচ ক্বোরআন বিরোধী ফিতনাবাজ আহলে হাদীসরা এ সুস্পষ্ট বিষয় নিয়েও ফিতনা সৃষ্টির অপ চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সরকার এখনি এদের দমাতে সক্ষম না হলে এরা দেশে ব্যাপক গোল যোগের কারণ হবে।

১০| ৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

iqbal hussain zahid বলেছেন: আহলে হাদীস ফিতনা ভয়ংকর। এরা যুক্তির উপর যুক্তি দেখায়। দলীলের উপর দলীল। কিন্তু বাস্তবসম্মত দলীলের ধারে কাছেও নেই। এরা মূলত ফিতনাবাজ।

৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ওরা যা দলিল দেয় তা’ কখনোই তাদের কথা প্রমাণ করে না। দলিল দেয় এক রকম আর বুঝায় আরেক রকম। যাদের মাথায় ঘিলু নেই তারা আবার তাদের কথা সহজে গিলে।

১১| ৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: মুসলিমদের এত দলাদলি ফেৎনা ফ্যাসাদের জন্যই আমরা বিশ্বব্যাপি হাসি ও উপেক্ষার পাত্র। নিজেদেরকে পাল্টাতে না পারলে ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে এটা বলাই যায়।


যারা সৌদিআরবের সাথে ঈদ পালনের পক্ষে তারা হুজুগে ও বেকুব প্রকৃতির মানুষ। বরং পৃথিবীর যে প্রান্তেই চাঁদ দেখা যাক না কেনো সারা পৃথিবীব্যাপি ঈদ পালন করা উচিত। এটাই হওয়া উচিত এবং একদিন এটাই হবে। উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিবাসী মুসলিমরা ভিন্নভিন্ন দিনে নিজেদের মত করে ঈদ পালন করে, ফলশ্রুতিতে সবার হাসি ও করুনার পাত্র হয়। বরং বিশ্বব্যাপি মুসলিম দেশগুলি যদি একইসাথে বসে এক জায়গা থেকে সবাই এক ঘোষনার মাধ্যমে ধর্মিয় বিষয়গুলির সমাধান দিতেন তাহলে এই আদা-খেঁচড়া বিষয়টা হতো না। আমার ছোটবেলায় চাঁদপুরের কিছু গ্রামে আমাদের রাষ্ট্রঘোষিত ঈদের আগের দিন ঈদ পালন হতো, যেটাতে ছোটমনে প্রশ্নের উদ্রেক হতো। আর বড়বেলায় এই রিচুয়ালটা পুরো দেশেই অনেক ছড়িয়ে গেছে, নিকট ভবিষ্যতে এটা নিয়ে ব্যাপক ফিতনা-ফ্যাসাদ হবে।

৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কে কি বলে আর করে সেটা বড় বিষয় নয়। মুসলমানের সার কথা আল্লাহর আনুগত্য। আল্লাহ বলেছেন রমজানে রোজা আর শাওয়ালের এক তারিখ ঈদ। যেহেতু সব স্থানে একই সময়ে একই তারিখ নয় এবং এটাই বাস্তবতা সেহেতু বিশ্ব জুড়ে একসাথে একই সময় ঈদ সম্ভব নয়। যেমন মনে করুণ এক দেশ যখন ঈদের নামজ পড়ছে তখন আপনার দেশে রাত দু’টা তো আপনিকি তবে রাত দু’টায় ঈদের নামাজ পড়বেন? তাজেই প্রত্যেক দেশ তার দেশের তারিক মত রমজান ও ঈদ পালন করুক এটাই সঠিক।

১২| ৩০ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
এ আর ১৫ বলেছেন, "যে দেশের সাথে সৌদীর সময় ৬ থেকে ১২ ঘন্টার মত তারা সৌদীতে যদি আজ সন্ধায় চাদ উঠে তাহোলে সময়ের পার্থক্যের কারনে পরশু থেকে তারা রোজা রাখবে এবং সময়ের পার্থক্য যাদের ১ থেকে ৫ ঘন্টার মধ্যে তারা সৌদির মত পরের দিন থেকে রোজা রাখবে ।" এটা যদি সঠিক হয়ে থাকে, তাহলে তো সৌদি আরবের সাথে একই দিনে বাংলাদেশে ইদ হতে পারে, কারণ, বাংলাদেশ আর সৌদি আরবের মধ্যে সময়ের পার্থক্য মাত্র আড়াই ঘণ্টা। কিন্তু এ কথাটার ভিত্তি কী?

বাংলাদেশে যাঁরা সৌদি আরবের সাথে একই দিনে ইদ করার পক্ষে, তাঁরা আসলে সৌদি আরবের থেকে আড়াই ঘণ্টা আগেই ইদ উদ্‌যাপন শুরু করে দেন। এ আর ১৫'র কথাটা যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে আমিও চাই সৌদি আরবের সাথে একই দিনে সমগ্র বাংলাদেশে (এবং যে-সব দেশের সাথে সময়ের পার্থক্য ৫ ঘণ্টা বা কম) ইদ পালিত হোক, যদিও আমি এ আর ১৫'র এ কমেন্ট দেখার আগ পর্যন্ত সৌদির সাথে একই দিনে ইদ করার বিষয়টার ঘোর বিরোধী ছিলাম।

ভালো একটা বিষয়। আমি নিজেই ফেইসবুকে এর উপর একটা স্টেটাস দেয়ার প্ল্যান করেছিলাম, আর দেয়া হবে না। তবে, কয়েক বছর আগে এই ব্লগেই এ নিয়ে অনেক যুক্তি-তর্ক হয়েছিল।

আমি এখন সঠিক তথ্যসূত্রের জন্য এ আর ১৫'র দিকে তাকিয়ে রইলাম। এবং প্রিয় ফরিদ ভাই, আপনারও মতামত চাই এই ১-৫ ঘণ্টার ব্যাপারে।

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:১২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সৌদির সাথে সময় মিলিয়ে আমরা যখন সেহরী ও ইফতার খেতে পারিনা তবে তাদের সাথে এতো মিলানোর দরকার কি? আর বিশেষ ভাবে আমাদের দেশে ও সৌদি আরবে কখনোই একই তারিখে আরবী মাস শুরু বা শেষ হয়না। একজন হাদীস দিয়ে ইয়েমেনের ঘটনা বল্লেন তো ইয়েমেনে সৌদির সাথে তারিখের ব্যবধান নেই। আর তখন ইয়েমেন মদীনার সাথে যুক্ত ছিল। আমাদেররো পাশের দেশ ভারত ও বার্মার সাথে একই সাথে ঈদ হতে পারে। কিন্তু ডিফারেন্স যাই হোক সৌদির সাথে একই দিন কখনো আমাদের দেশে চাঁদ উঠেনা। চাঁদ না উঠা এবং চাঁদ দেখা না যাওয়া এক কথা নয়।

১৩| ৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:৩২

বিষাদ সময় বলেছেন: এ আর ১৫ বলেছেন, পৃথিবীর কখোন কোথায় চাদ উঠবে তা বা আগামী ১০০০০০০০০০০০০০০০০০০০ বৎসর কখোন উদিত হবে তা হিসেব করে বাহির করার প্রযুক্তি অনেক আগেই বের হয়েছে ।
যতই বের হোক সুস্পষ্ট হাদিস অনুযায়ী চাঁদ দেখেই ঈদ করতে হবে গণনা করে না।

আর আপনি বিষয়টাকে যত সহজ ভাবে ব্যখ্যা করেছেন বিষয়টি মনে হয় এত সহজ সরল নয়। মন্তব্য অনেক বড়ে হয়ে যাবে দেখে বললাম না। ধন্যবাদ।

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: রমজানে ঈদ করা যাবেনা এটাতো একদম সহজ কথা। আপনি জটিলতার কি দেখলেন? চাঁদ না উঠা আর দেখা না যাওয়া সংক্রান্ত তফাতটা বরং আপনি বুঝতে চাইছেন না। সাধারণত একই দিনে চাঁদ উঠে কিন্তু কোন কারণ বশত চাঁদ দেখা যায়নি তার সাথে সাধারণত একই দিনে চাঁদ উঠেই না সেটা আপনি কেমন করে মিলাবেন?

১৪| ৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:০০

বিষাদ সময় বলেছেন: রমজানে ঈদ করা যাবেনা এটাতো একদম সহজ কথা।
যারা সৌদিতে ঈদ হলে্ ঈদ করে, তারা আমার জানা মতে সৌদিতে রোযা শুরু হলে রোযাও শুরু করে। অতএব তারা যে নিয়ম অনুযায়ী ঈদ করেছে একই নিয়ম অনুযায়ী তাদের রমজান মাসও শেষ হয়ে গেছে, কাজেই আপনার উপরের কথাটি আর খাটেনা। তাদের নিয়মটা ভুল কি ঠিক সে কথায় আমি যাচ্ছি না। তবে আপনি যত সহজে তাদের যুক্তি খারিজ করে দিচ্ছেন বিষয়টি অত সহজ না। যদি আপনি বিরক্ত না হন এবং আমা,র আপনার সময় থাকে তবে যুক্তি গুলো একে একে তুলে ধরবো। আপনার যুক্তি গুলোও আপনি বলবেন।

চাঁদ না উঠা আর দেখা না যাওয়া সংক্রান্ত তফাতটা বরং আপনি বুঝতে চাইছেন না।
তফাতটা আপনি একটু বলবেন কি? উপরেই উল্লেখ করেছি সুস্পষ্ট হাদিস অনুযায়ী(২৯ রোজায়) কোথাও যদি চাঁদ দেখা যায় তবেই বলতে পারবেন চাঁদ উঠেছে, গণনা করে বলা যাবে না। তাহলে চাঁদ উঠা আর দেখা যাওয়ার পার্থক্যটা কি? আর এই চাঁদ কোথাও দেখা গেলে সে এলাকা থেকে কতদূরের মানুষ এই চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ঈদ করতে পারবে? এই সীমা রেখা কিসের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে? প্রয়োজনেই প্রশ্ন করছি আশা করি কিছু মনে করবেন না।

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:২২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মনেকরি বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান ও মায়ানমারে সাধারণত একই তারিখে চাঁদ উঠে। দেশ চারটি ঠিক করল তারা এক সাথে ঈদ করবে। এখন যে কোন এক দেশে চাঁদ দেখা গেল কারণ বশত (ঝড় বৃষ্টি) অন্য তিন দেশে চাঁদ দেখা গেল না। তবে এক দেশের খবরের ভিত্তিতে বাঁকী তিন দেশ সহ চার দেশ একত্রে ঈদ করতে পারে। কিন্তু হাদীসে বলা আছে এক রাষ্ট্রের কথা। তার কারণ হলো সংবাদ প্রচার, নতুবা সংবাদতো আর নিজে নিজে প্রচার হবেনা। চাঁদ উঠল কিন্তু সংবাদ মিলেনি তখনতো নিরুপায়। যারা সৌদির সাথে মিলাচ্ছে তারা ইয়েমেন সংক্রান্ত ঘটনার দলিল দিচ্ছে কিন্তু ইয়েমেন তখন মহানবীর (সঃ) শাসনে ছিল এবং যথারিতি তারা সংবাদ নিয়ে এসেছিল। আর ইয়েমেন ও সৌদির সীমান্ত এক তাদের একই দিনে চাঁদ উঠাটাই স্বভাবিক। কিন্তু সৌদি আরব ও বাংলাদেশে কোন দিনই একই সাথে চাঁদ উঠেনা। কাজেই সৌদি আরবের সাক্ষ্য এখানে কার্যকর নয়। আর যদি আপনি জোর করে হাদীস মিলাতে যান তবে ক্বোরআন খেলাপ হবে। কারণ ক্বোরআন অনুযায়ী তাদের শওয়ালের ১ তারিখ আমাদের রমজানের ২৯ অথবা ৩০ তারিখ। আর রমজানে ঈদ করা যায়না। এখন যে সক অঞ্চলে একই তারিখে সাধারণত চাঁদ উঠে সে সব অঞ্চলে চাঁনা দেখায় সাক্ষ্য তালাস করা যেতে পারে। আর এখানে মনে করার কিছু নেই। বাংলাদেশের সবাই রমজানে ঈদ করলেও আমি তা’ করবনা। কারণ আমিখামাখা আমার ফরজ রোজ ভাংতে পারব না। আমার পিরিত সৌদির সাথে নয় বরং আমি আল্লাহর হুকুম ভাল বুঝি।

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:২৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সৌদিতে যে তারিখে চাঁদ উঠে সে তারিখে কখনই আমার দেশে চাঁদ উঠেনা। সুতরাং বিষয়টা পরিস্কার। কাজেই সৌদির চাঁদ উঠায় আমার কি দরকার? আমি বরং ভারতে চাঁদ উঠাকে বিবেচনা করতে পারি। অবশ্য আমাদের দেশের সরকার সেটাও করে না। বরং হাদীস অনুযায়ী রাষ্ট্র বিবেচনায় করা হয়। আর সেীদি আর বাংলাদেশ কি এক রাষ্ট্র? এরা কিসের সাথে কি মিলায়?

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি এক আহলে হাদীসকে বল্লাম মনে কর তথ্য যেগাযোগের আধুনিক প্রযুক্তি নেই তো তাদের চাঁদ দেখার খবর আমরা জানব কেমন করে? আর সেইমত করব কেমন করে? তো মহানবীর (সঃ) সময় তো তা’ ছিলনা। তো তোদের এ ফর্মূলা নতুন আবিস্কার বা বিদয়াত নয় কি?

১৫| ৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫৬

বিষাদ সময় বলেছেন: বরং হাদীস অনুযায়ী রাষ্ট্র বিবেচনায় করা হয়। আর সেীদি আর বাংলাদেশ কি এক রাষ্ট্র?

বিরক্ত হলে বলবেন আমি আর প্রশ্ন করবো না। মূল পয়েন্ট এটাই। ইসলাম কি একাধিক খেলাফত সমর্থন করে? অর্থাৎ অনেকগুলো স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র, প্রত্যেকটির এক একজন খলিফা? ধন্যবাদ।

০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: হজরত আলী (রাঃ) ও মুয়াবিয়ার (রাঃ) খেলাফত ছিল দুই খেলাফত এবং তারা একে অন্যকে খলিফা মেনে নিয়েছিল।

০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এক জনকে সবাই খলিফা না মানলে একশ খলিফাও হতেপারে। দুই জন হতে পারলে একশ নয় কেন?

১৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৪

বিষাদ সময় বলেছেন: আসলে আমিও তাদের সাথে কথা বলে যতটুকু বুঝেছি তারা সমগ্র মুসলিম জাহানকে এক খেলাফতের অংশ মনে করে। আমার জানা ছিলনা ইসলাম একধিক খিলাফতকে সমর্থন করে। যদি আপনার বিষয়টি পরিস্কার ভাবে জানা থাকে, তাহলে তাদের এই প্রথা ভুল এটা বলা যায়। প্রশ্নের উত্তরগুলো ধৈর্য সহকারে দেয়ায় আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

০১ লা জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:১২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সমগ্র পৃথিবী যদি এক খেলাফত হয় তবে কেন মহানবী (সঃ) নাজ্জাসীকে রাজা এবং হেরাক্লিয়াসকে সম্রাট মানলেন? এ সংক্রান্ত হাদীস তাদের সারা বিশ্বকে একদেশ ভাবা সংক্রান্ত দাবী প্রত্যাখ্যান করে। ইয়েমেনে চাঁদ দেখায় মদীনায় রোজা ভাঙ্গা সংক্রান্ত হাদীস অনুযায়ী চট্টগমে চাঁদ দেখায় ঢাকায় রোজা ভাঙ্গা প্রমাণ করবে। আর যদি আপনি মদীনা ও ইয়েমেনকে বর্তমান হিসেবে দুই দেশ ধরেন তবে ভারতে চাঁদ দেখায় বাংলাদেশে রোজা পালন বুঝাবে। ফিতনা হত্যার চেয়ে জঘণ্য সংক্রান্ত আয়াত অনুযায়ী এ হাদীসের বিধান রহিত হবে। কারণ ঈদ হলো আনন্দ আর ফিতনা আনন্দ মাটি করে। আর এ আর ১৫ এর কথা অনুযায়ী সৌদি আরব কি অন্য দেশের চাঁদ দেখা অনুযায়ী রোজা ভাংবে? হাদীসেতো পরিস্কার ইয়েমেনের চাঁদ দেখার খবরে মদীনার রোজা ভাংগা হয়েছিল। পৃথিবীর যে কোন স্থানে চাঁদ উঠুক সে অনুযায়ী রোজা ও ঈদ হবে এটাও একটা নিয়ম হতে পারে। এখন সৌদি আরবকে জিজ্ঞাস করা দরকার তাতে তারা রাজি কিনা। যদি তাতে তারা রাজি না হয় তবে তাদের সাথে মিল করার আমাদের কি দরকার? যদি তাই হয় তখন ফতোয়া দাঁড়াবে পৃধিবীর আকাশে চাঁদ উঠলে রোজা শুরু হবে এবং পৃথিবীর আকাশে চাঁদ উঠলে ঈদ হবে। কিন্তু সৌদি আরবে চাঁদ উঠলে বাংলাদেশে ঈদ পালন এটা কোন নিয়মের মধ্যেই ফেলা যায়না।

০১ লা জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:২৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মুসলিম নেই এখন এমন কোন দেশ নেই। সমগ্র মুসলীম জাহান মানে সারা বিশ্ব। সারা বিশ্ব এক খেলাফত হলে ফতোয়া হবে পৃথিবীর আকাশে চাঁদ দেখা গেলে রোজা শুরু হবে। পৃথিবীর আকাশে চাঁদ দেখা গেলে ঈদ হবে। তখনো সৌদি আরবের সাথে মিল করার কথা থাকে না। সবচেয়ে বড় কথা ফিতনা সৃষ্টির কারণে এ সংক্রান্ত হাদীসের বিধান রহিত হবে। কারণ আল্লাহ ফিতনা হারাম করেছেন। হাদীসের বিধান হলো সুন্নত আর ফিতনা হলো হারাম। আপনি হারাম কাজ করে সুন্নত পালন করবেন? সুতরাং মনে করাকরি বাদ ইয়েমেনে চাঁদ দেখা সংক্রান্ত হাদীস অনুযায়ী সারা বিশ্বকে একদেশ মনে করা বাদ। আল্লাহ বলেছেন যে রোজার মাস পেল সে রোজা রাখবে এটা বহাল থাকবে। আর এক রাজার অধীনে পরিচালিত রাজ্য হিসাবটাও ঠিক থাকবে। কারণ এটা না হলেও ফিতনা হয়। সবদিক থেকে বাংলাদেশে সরকারীভাবে যে নিয়ম চালু আছে এটাই ঠিক আছে। আর যারা ফিতনা করছে ইসলামী বিধান অনুযায়ী তাদেরকে মৃত্যু দন্ড দেওয়া উচিত।

০১ লা জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:৩১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দেশের মধ্যে ক্বোরআন বিরোধী এ ফিতনা আর বরদাস্ত করা যায় না। তারা মনগড়া ব্যাখ্যায় হাদীস মানে, ক্বোরআন অমান্য করে। এর চেয়ে জঙ্গল কি গাছে ধরে? তাদের সৌদি রাজারা অন্যদেশে চাঁদ দেখা অনুযায়ী ঈদ ও রোজা করবে কিনা একটু জিজ্ঞাস করুক দেখি।

১৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫

জোকস বলেছেন: বাংলাদেশে যাঁরা সৌদি আরবের সাথে একই দিনে ইদ করার পক্ষে তাদের কাছে আমার প্রশ্ন তাদের ঈদ উদযাপন সঠিক নাকি আমাদের?

০১ লা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তারা অবশ্য তাদেরটাই সঠিক বলবে!

১৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

জোকস বলেছেন: তাহলে আমাদেরটা যদি ভুল হয় প্রমান দিক।



সেহরি, নামাজ, ইফতার সব কিছুই আমাদের সাথে মিল রাখবে আর ঈদ আরবের সাথে এ কেমন যুক্তি।

০১ লা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: যার নুন খায় তার গুনতো গাইতে হবে, এটাই হয়ত তাদের বড় যুক্তি!

১৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৪৮

মিঃ আতিক বলেছেন: কিছু মালানার ইউটিউবের ওয়ায শুনে যারা নব্য ইসলামী বিশেষজ্ঞ সেজেছেন এদের পক্ষে একই দিনে ঈদ সারা বিশ্বে করা যাবেনা এই বিষয়টি উপলব্দি করা সহজ নয়।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

২০| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ২:০৬

স্বতু সাঁই বলেছেন: তখন আল্লাহও হয়তো জানতেন না যে সারাদুনিয়াজুড়ে একই দিনে চাঁদ উঠে না। যদি জানতেন তাহলে সঠিক সমাধানটা দিয়ে যেতেন। তার এই না জানার কারণে তার বন্দাদের কতো অসুবিধা হচ্ছে। কারণ যে সৌদীর সাথে মিল রেখে ঈদ করতে চায় সে গুণী মুহাম্মদ কে এতই ভালোবাসেন যে তারা পাপ পূণ্যের বিচার না করে ঐ পবিত্রভূমি চাঁদ দেখাকেই পৃথিবীপৃষ্ঠে আল্লাহর প্রদত্ত চাঁদ মনে করে। কিন্তু অন্যস্থানে উদিত চাঁদ দেখে মনে করে না যে সেটা আল্লাহর উদিত চাঁদ। হয়তো বা এটাও হতে পারে শয়তান মানুষকে ধোকা দেবার জন্য পুনরায় চাঁদ উদিত করেছে। সেটা শয়তানের চাঁদ। হয়তো সে কারণেই শয়তানের চাঁদ দেখে তারা রোজা রাখা বা ঈদ করাকে হারাম মনে করে। সেটাই তাদের কাছে সঠিকভাবে বিবেচিত। এর মূল কারণ ঐ একটাই আল্লাহ না জানার কারণে তার বন্দারা এখন ভূক্তভুগী।

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:১৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বলেছেন: আপনার কথার ধরণ মুসলমানের মতো হচ্ছেনা। আল্লাহ যা বলেছেন সেটা সমাধানের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু কতিপয় যদি তাদের সৌদি ভক্তিকে আল্লাহর চেয়ে অধীক গুরুত্ব প্রদান করে তবে আর কি করার থাকে?

২১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

স্বতু সাঁই বলেছেন: লেখক বলেছেন: বলেছেন: আপনার কথার ধরণ মুসলমানের মতো হচ্ছেনা।

কথাতে মুসলমান। কথাতে মুসলমান নয়, স্বভাবে মুসলমান হয়। কথাতে যারা মুসলমান তারা মুনাফেক বা ভণ্ড।

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সেটা হবে যদি ভিতরে মুসলমানিত্ব না থাকে।

২২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯

স্বতু সাঁই বলেছেন: মুসলমানিত্ব কি শুধু শিশ্নের অগ্রচ্ছেদন করাকে বুঝায়?

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এ বিষয়ে আপনার যথেষ্ট জানাশুনা নেই বলেই মনে হয়।

২৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ ভোর ৬:৫৬

স্বতু সাঁই বলেছেন: কিন্তু আপনিও ভালোভাবে বোঝাতে পারেন বলে মনে হয় না।

০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দুনিয়ার সকলকে আজ অবদি কেউ বুঝাতে পারেনি।

২৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৮

স্বতু সাঁই বলেছেন: তাহলে আপনার সকল চেষ্টাই অপচেষ্টা!!

০৬ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি একার কথা বলিনি। আপনি সবাইকে আপনার সাঁই বাদ বুঝাতে পারবেন না। কিছু কিছুকে বুঝাতে পারবেন। আর তাই নিয়েই আপনাকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। নতুবা আপনাকে অসন্তুষ্টি নিয়েই পৃথিবী ছেড়ে যেতে হবে।

২৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:১০

স্বতু সাঁই বলেছেন: তাহলে তো সকলকে মুসলমান বানানোর প্রক্রিয়াও সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। কিন্তু কিছু কিছু মুসলমান ভাবে সকলেই মুসলমান হবে, মুসলমান ছাড়া এই জগতে কোন জাতি(যদিও আমি মনে করি মুসলমান কোন জাতি নয়) এই জগতে থাকতে পারবে না। তাহলে এসব ভাবনার অর্থ কি?

০৭ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:০৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: শুনেছি কোন এককালে সবাই মুসলমান হবে।

২৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৪

স্বতু সাঁই বলেছেন: সেদিন তো আপনার কথা ভুল বলে প্রমানিত হবে। আপনি বোকা ছিলেন এই ভেবে সেদিন কি কষ্ট লাগবে না যে আপনার আজকের ধারণাটা কতোবড় ভুল ছিলো?!

০৭ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৫৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সে দিন যদি এসেই যায় তবে আর ভুল প্রমাণীত হবে কেমন করে? আপনি বোকা নাকি?

২৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫

স্বতু সাঁই বলেছেন: কথাকে ঘুরিয়ে নিয়ে নিজেকে বিজয়ী ভাবতে চান আপনি সব সময়। এটা নাবালকসুলভ বা বোকামীর লক্ষণ। মিছামিছি বিজয়ী ভাবে নাবালক ও বোকারাই, তাই তারা এরূপ করে থাকে সব সময়।

০৭ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: জয় পরাজয়ের লড়াই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বালেগদের সাথে বালেগদের হয়ে থাকে, কাজেই কারা নিজেকে বিজয়ী ভাববে সেটা স্পষ্ট। আপনি কি বলতে কি বলেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.