নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের সোনালী যুগের ইসলাম

১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:০৩



ইসলামের সোনালী যুগ হলো নবুয়তের তেইশ বছর ও খোলাফায়ে রশেদার ত্রিশ বছর। হজরত আবু বকর (রাঃ) পেয়েছেন নবুয়তের তেইশ বছর ও খোলাফায়ে রাশেদার আড়াই বছর মোট সাড়ে পঁচিশ বছর। হজরত ওমর (রাঃ)পেয়েছেন নবুয়তের তেইশ বছর ও খোলাফায়ে রাশেদার সাড়ে বার বছর মোট সাড়ে পঁত্রিশ বছর।হজরত ওসমান (রাঃ)পেয়েছেন নবুয়তের তেইশ বছর ও খোলাফায়ে রাশেদার সাড়ে চব্বিশ বছর মোট সাড়ে সাতচল্লিশ বছর। হজরত আলী (রাঃ)পেয়েছেন নবুয়তের তেইশ বছর ও খোলাফায়ে রাশেদার সাড়ে ঊনত্রিশ বছর মোট সাড়ে বায়ান্ন বছর।সুতরাং ইসলামের সেনালী যুগ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তিনি সর্বোচ্চ।তিনি মক্কা ও মদীনার আলেম, এদিকথেকেও তিনি কারো চেয়ে পিছিয়ে নেই। হজরত আলীর (রাঃ) পিতা আবু তালিব ছিলেন মহানবীর (সঃ) চাচা ও পালক পিতা সে হিসেবে মহানবী (সঃ) ছিলেন হজরত আলীর (রাঃ)পিতৃ পরিবারের সদস্য। আবার মহানবীর (সঃ) জামাতা হয়ে হজরত আলী (রাঃ) হলেন মহানবীর (সঃ) পরিবারের সদস্য। সুতরাং মহানবীর (সঃ) ছুন্নত হজরত আলীর (রাঃ) চেয়ে বেশী কেউ জানেনা।হজরত আলীর (রাঃ) ইবাদতের সাথে মহানবীর (রাঃ) ইবাদতের গরমিল হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।মহানবী (সঃ) ক্বোরআন ও হাদীস মানতে বলেছেন। হজরত আলী (রাঃ) ক্বোরআন ও হাদীস মেনেছেন সুতরাং হজরত আলীকে (রাঃ) মানলেই ক্বোরআন ও হাদীস পুরাপুরি মানা হয়। হজরত আলীর (রাঃ) আমলে এসেছে মহানবীর (সঃ) শেষ আমল। সুতরাং হজরত আলীর আমলের বিপরীতে উপস্থাপিত হাদীস হয় মানসুখ নতুবা জাল। শুধুমাত্র এ দুই কারণ ছাড়া হজরত আলীর(রাঃ) আমলে কোন হাদীস না থাকার কথা নয়।
হজরত আলী (রাঃ)সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) সহ কুফায় চলে এলেন এবং কূফায় খোলাফায়ে রাশেদার রাজধানী স্থাপন করলেন। সুতরাং কূফা সাধারণ গুরত্বহীন কোন স্থান ছিলনা বরং কূফাছিল খোলাফায়ে রাশেদার রাজধানী।কূফার পুরুষেরা ইবাদত শিখেছে সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) ইবাদত দেখে এবং তাদের মহিলারা ইবাদত শিখেছে মহিলা সাহাবীদের (রাঃ) দেখে। এরা সবাই ছিলেন তাবেঈ (রঃ) যাদের ইবাদত দেখে ইবাদতের সব মাসয়ালা প্রদান করেছেন তাবেঈ ইমাম আবু হানিফা (রাঃ)। যার ভুল সংসোধন করেছেন আব্বাসীয় খেলাফতের প্রধানকাজী তাবেতাবেঈ ইমাম আবু ইউসুফের (রঃ) সভাপতিত্বে চল্লিশ সদস্যের তাবে তাবেঈ ইমাম পরিষদ। সুতরাং এসব বিধি বিধানের প্রতিকূলে উপস্থাপিত হাদীস হয় জাল হাদীস, নতুবা মানসুখ হাদীস যা আমল যোগ্য নয়।এমন হাদীস যেখানেই থাকুক না কেন তা’গ্রহণ যোগ্য নয়। মহানবী (সঃ)হাদীস মানতে বল্লেও জাল ও মানসুখ হাদীস মানতে বলেননি।
ইমাম আবু হানিফা (রাঃ) হাদীস গ্রহণ করেছেন দ্বিতীয় রাবী থেকে সেই হাদীসের পঞ্চম রাবী জয়ীফ হওয়ায় সেই হাদীসকে জয়ীফ বলা বেউকূফি ছাড়া কিছু নয়।দ্বিতীয় রাবী থেকে পঞ্চম রাবী পর্যন্ত কোন হাদীস না পোঁছে থাকলে দ্বিতীয় রাবীর হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত মাসয়ালা হাদীসে নেই এমন কথাও বেউকূফি ছাড়া কিছুই নয়।এ জন্য কোন হাদীস সংকলক ইমাম আবু হানিফার (রাঃ) অনুসরন না জায়েজ বলে ফতোয়া প্রদান করেননি।
সূরা বাকারার ২ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন.‘ যালিকাল কিতাবু লারাইবা ফিহি-ইহা এমন কিতাব যাতে কোন ভুল নেই। ভুল না থাকা মানে ইহা ছহী বা শুদ্ধ কিতাব। বোখারী (রঃ) নিজের কিতাবের নাম রাখলেন জামেউস ছহী বা শুদ্ধ সংকলন। তারমানে ভুল করে তিনি আল্লাহর সাথে শির্ক করলেন। তিনি হাদীসের রাবীর বাহির দেখেছেন ভিতর দেখেননি ভেতরে রাবী মোনাফেকও হতে পারে যা বোখরীর (রঃ) জানার কথা নয় কারণ তিনি গায়েব জানেনা এক্ষেত্রেও রাবীকে ছহী ঘোষণা করে তিনি গায়েব জানার ঘোষণা করে ভুল ক্রমে আল্লাহর সাথে শির্ক করলেন।এভাবে সাত হাজারের অধীক ভুল যুক্ত গ্রন্থকে ছহী ঘোষণা করলেন। অথচ তাঁর সংকলিত গ্রন্থ ছহী হওয়ার ব্যাপারে ক্বোরআন ও হাদীসের কোন দলিল নেই।কিন্তু ইমাম আবু হানিফা(রঃ) তাবেঈনে কেরামের (রঃ) ইবাদত দেখে মাসয়ালা দিয়েছেন। যার সমকক্ষ বোখারীর (রঃ) কোন হাদীস নেই।
ইমাম আবু হানিফার (রঃ) মাসয়ালা তাবেঈনে কেরামের ইবাদত ও আমল অনুযায়ী বিধায় সেগুলো ইসলামের বিশুদ্ধ বিধি যা সব মুসলমান কর্তৃক গৃহীত হয়ে তাতে সর্ব সম্মত ইজমা প্রতিষ্ঠিত।যা ছুন্নাতকে আরো শক্তিশালী করেছে।ইমাম আবু হানিফা (রঃ)সব মাসয়ালা প্রদান করেছেন ক্বোরআন ও ছহী হাদীসের আলোকে। তাঁর মাসয়ালার বিপরীতে কোন ছহী হাদীস পাওয়া যাবেনা এ বিষয়ে তিনি এতটাই শক্ত অবস্থানে ছিলেন যে তিনি বলেছেন, তাঁর মাসয়ালার বিপরীতে ছহী হাদীস পাওয়াগেলে তাঁর মাসয়ালা দেয়লে ছুড়ে ফেলতে।তারমানে তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে তাঁর মাসয়ালার বিপরীতে ছহী হাদীস পাওয়া যাবেনা।
ইমাম আবু হানিফার (রঃ)পর উপস্থাপিত কোন মতেই সব মুসলমান সামিল হয়নি তার মানে এরপর উপস্থপিত সব মতের দ্বারা মুসলমানদের মাঝে শুধুই ফিতনা তৈরী হয়েছে। সুতরাং সেগুলো ইসলাম নয় বরং ফিতনা। তা’ছাড়া দ্বিতীয় রাবী যে হাদীস পাননি সে হাদীস পঞ্চম রাবীর পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই । কারণ পঞ্চম রাবীর নিকট হাদীস গিয়েছে দ্বিতীয় রাবী হয়ে। উল্টা দ্বিতীয় রাবী যে সব হাদীস পেয়েছেন পঞ্চম রাবীর তার সব হাদীস না পাওয়ার সম্ভাবনা সংগত।
ক্বোরআন জান্নাতের হেদায়েত প্রদান করে সুতরাং মুসলমানদের কোন দল জান্নাতি সে দলের খবর ক্বোরআনের প্রদান করার কথা। কারণ সুরা বাকারার ২ নং আয়াতে ক্বোরআনকে ‘হুদাল্লিল মুত্তকীন-মুত্তকীনদের জন্য হেদায়েত’ বলা হয়েছে। আর সূরা কমরের ১৭,২২,৩২ ও ৪০ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘ওয়ালাক্বাদ ইয়াসসারনাল ক্বোরআনা লিজ জিকরি ফা হাল মিম্মুদ্দাকিরিন- আমরা ক্বোরআনকে উপদেশ গ্রহণের জন্য সহজ করেছি সুতরাং উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছ কি?’ তারমানে মুসলমানদের কোন দল জান্নাতের পথে রয়েছে তা’ ক্বোরআনে সহজ ভাবে উপস্থাপনের কথা।
আল্লাহ বলেছেন,‘ ক্বুল ইন্নানি হাদানি রাব্বি ইলা সিরাতিম মুসতাকিম, দ্বীনান কিয়ামান, মিল্লাতা ইব্রাহীমা হানিফা, ওয়ামা কানা মিনাল মুশরিকিন- বল, নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালকতো আমাকে সীরাতুম মুসতাকীম (সৎপথ), কায়েম (প্রতিষ্ঠিত) দ্বীন, ইব্রাহীমের হানাফী (একনিষ্ঠ) মিল্লাতের (জাতির) দিকে হেদায়েত প্রদান করেন, আর তিনি মুশরিক ছিলেন না।– (আল-ক্বোরআন, সূরা আনআম, ১৬১ আয়াত)।
*উপরোক্ত আয়াতে কারিমা দ্বারা বুঝাগেল যারা হানাফী তাদেরকে হানাফী মিল্লাতে হেদায়েত করেছেন স্বয়ং আল্লাহ। সুতরাং তাদের ব্যাপারে উল্টা-পাল্টা কথা বলার কোন সুযোগ নেই, বরং যারা বিভ্রান্ত তারাই শুধুমাত্র তাদের বিরোধীতা করে।
* আল্লাহ ইব্রাহীমের হানাফী মিল্লাতকে বলেছেন কায়েম দ্বীন ও সীতাতুম মুসতাকীম, বাস্তবতাও তাই পৃথিবীর মোট মুসলমানের শতকরা দুই তৃতিয়াংশের বেশী হানাফী, আর বাকী এক তৃতীয়াংশের কম অন্য সব মুসলমানদের দল। সুতরাং হানাফী মিল্লাত কায়েম দ্বীন বা সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বীন হিসেবে আল্লাহর বাণীর সাথে শতভাগ মিলেগেছে। সুতরাং আল্লাহর বাণী অনুযায়ী হানাফী মিল্লাতই হলো সীরাতুম মুসতাকীম। যা আমরা প্রতি রাকাত নামাজে কামনা করি।
আল্লাহ বলেছেন,‘ ওয়ামান আহসানু দ্বীনান মিম্মান আসলামা ওয়াজহাহু লিল্লাহি ওয়াহুয়া মুহসিনুন, ওয়াত্তাবায়া মিল্লাতা ইব্রাহীমা হানিফা, ওয়াত্তাখাজাল্লাহু ইব্রাহীমা খালিলা- যে মুহসীন (সৎকর্ম পরায়ন) হয়ে ইসলাম পালন করে এবং ইব্রাহীমের হানাফী মিল্লাতের অনুসরন করে, তার চেয়ে দ্বীনে কে বেশী উত্তম? আর আল্লাহ ইব্রাহীমকে খলিল (বন্ধু) হিসেবে গ্রহণ করেছেন।–(আল-ক্বোআন, সূরা নিসা, ১২৫ আয়াত)।
* আয়াতে কারিমা অনুযায়ী আল্লাহ হানাফী মিল্লাতের শ্রেষ্ঠত্ত্বের ঘোষণা প্রদান করেছেন। সুতরাং তাদের চেয়ে আর কারো উত্তম হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
আল্লাহ বলেছেন,‘ মা কানা ইব্রাহীমু ইয়াহুদিইয়ান ওয়ালা নাসরানিইয়ান, ওয়ালাকিন কানা হানিফাম মুসলিমা, ওয়ামা কানা মিনাল মুশরিকিন- ইব্রাহীম (আঃ) ইয়াহুদী ও খ্রিস্টান ছিলেন না, বরং তিনি হানিফাম মুসলিমা (একনিষ্ঠ মুসলমান) ছিলেন এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।–(আল-ক্বোরআন, সূরা আলে ইমরান, ৬৭ আয়াত)।
*আয়াতে কারিমা অনুযায়ী মুসলমানদের প্রকৃত পরিচয় হলো, হানিফাম মুসলীমা বা হানাফী মুসলীম বা একনিষ্ঠ মুসলীম।
আল্লাহ বলেন,আল্লাহ বলেছেন, ‘ওয়াক্বালু কুনু হুদান আও নাচারা তাহতাদু, ক্বুল মিল্লাতা ইব্রাহীমা হানিফা, ওয়ামা কানা মিনাল মুশরিকিন-তারা বলে ইহুদী ও খ্রিস্টান হও হেদায়েত পাবে, বল বরং আমরা ইব্রাহীমের হানাফী(একনিষ্ঠ) মিল্লাত (জাতি) হব, এবং তিনি মুশরীক ছিলেন না।–আল ক্বোরআন, সূরা বাকারা ১৩৫ আয়াত।
*আয়াতে কারিমা অনুযায়ী হানাফীরা হানাফী হয়েছে আল্লাহর নির্দেশে এবং এটা প্রত্যেক মুসলমানে জন্য ফরজ।
আল্লাহ বলেছেন,‘ মিল্লাতা আবিকুম ইব্রাহীম, হুয়া সাম্মাকুমুল মুমলিমিন- তোমরা তোমোদের পিতা ইব্রাহীমের মিল্লাত, তিনি তোমাদের মুসলীম নাম রেখেছেন- (আল-ক্বোরআন, সুরা হজ্জ্ব, ৭৮ আয়াত)।
*কিন্তু দুঃখ জনকভাবে হজরত ইব্রাহীমের (আঃ) ছোট ছেলে হজরত ইসহাকের (আঃ) বংশের লোকেরা নিজেদের নাম রেখেছে ইয়াহুদী বা বনি ইসরাঈল। তাদের একটি শাখা হলো খ্রিস্টান। আর হজরত ইব্রাহীমের (আঃ) বড় ছেলে হজরত ইসমাঈলের (আঃ) বংশের লোকেরা তাদের নাম রেখেছে কুরাইশ। ইব্রাহীমের (আঃ) মুসলীম নাম কেউ বজায় রাখেনি বিধায় শব্দটাই বিলুপ্ত হয়ে যায়, কিন্তু হজরত ইসমাইলের (আঃ) বংশের কিছুলোক নিজেদের হানিফ পরিচয় বজায় রাখে, যারা ছিল মুষ্ঠিমেয়। নবুয়তের পূর্বে সেই দলে ছিলেন মহানবী (সঃ) ও হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) সহ আরো অনেকে। সুতরাং মহানবী (সঃ) হেরাগুহায় ধ্যান করতে গেছেন হানিফ বা হানাফী হিসেবে এবং হানাফী হিসেবেই তিনি নবুয়ত লাভ করেছেন এবং সূরা বাকারার ১৩৫ আয়াতে আল্লাহ তিনি ও তাঁর উম্মতে হানাফী হতে আদেশ করেছেন। সুতরাং মহানবী (সঃ) নবুয়তের আগে ও পরে হানাফী ছিলেন, তাঁর সাহাবায়ে কেরাম হানাফী ছিলেন। আর আয়াতে কারিমা অনুযায়ী যারা হানাফী বা একনিষ্ঠ নয় তারা মুসলীম নয় বরং মুনাফিক। কারণ দু’দিল বান্দাকে মুনাফিক বলে। আমাদের এলাকায় একটা প্রবাদ আছে,‘দু’দিল বান্দা কালিমা চোর, না পায় শ্মশান না পায় গোর’।আর এরাই কপট বা মুনাফিক।
আলেমুল গায়েব আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রিয় নাম হানিফাম মুসলিমা বা হানাফী মুসলীম বা একনিষ্ঠ মুসলীম ফিরিয়ে আনার জন্য হজরত আলীকে (রঃ) একদল সাহাবায়ে কেরাম সহ ইরাকের কূফায় নিয়ে এলেন। খোলাফায়ে রাশেদার চতুর্থ খলিফা হজরত আলী (রঃ) ইরাকের কূফায় খোলাফায়ে রাশেদার রাজধানী স্থাপন করলেন। কূফাবাসী পুরুষেরা ইবাদতের নিয়ম শিখল সাহাবায়ে কেরামের (রঃ) থেকে আর মহিলারা ইবাদতের নিয়ম শিখলেন সাহাবায়ে কেরামের ঘরের মহিলা সাহবায়ে কেরামের (রাঃ) থেকে। সাহাবায়ে কেরামের এসব অনুসারীর সবাই ছিলেন তাবেঈ (রঃ)। তাঁদের ইবাদত ছিল ইসলামের চলমান ইবাদত, যা ছিল মহানবীর (সঃ) সর্বশেষ আমল থেকে উৎসারিত।কিন্তু হাদীস ছিল দু’প্রকার যথা জারী ও মানসুখ। মানসুখ হাদীসের বিধান মূলত রহিত। যা নামাজে আমল করলে আমলে কাছিরের দায়ে নামাজ বরবাদ হয়।
সাহাবায়ে কেরাম (রঃ) ও তাবেঈনে কেরামের (রঃ) জারী বা চলমান ইবাদতের বিপক্ষে কোন হাদীস উপস্থান করা চরম বেয়াদবী। কারণ এসব হাদীস উপস্থাপন করা দ্বারা বুঝানো হয় সাহাবায়ে কেরাম (রঃ) হাদীস খেলাফী ছিলেন- নাউযুবিল্লাহ।সুতরাং সাহাবায়ে কেরামের চলমান ইবাদতের বিপক্ষে হাদীস বোখারী, ছিয়াছিত্তা অথবা যে কোন হাদীস গ্রন্থ থেকে উপস্থাপন করা হোক তা চরম বেয়াদবী বলে গন্য হবে।আর আল্লাহ বেয়াদবকে হেদায়েত প্রদান করেননা বিধায় এসব লোক গোমরাহ হয়ে যায়।
সাহাবায়ে কেরামের জারী বা চলমান ইবাদতের বিপক্ষে যত্তবড় ছহী হাদীস থাকুক না কেন তা’মানসুখ সাব্যস্ত হবে এবং এর আমল নিষিদ্ধ হবে। কারণ সাহাবায়ে কেরাম হাদীসের প্রথম অনুসারী তাদের ইবাদতের বিপরীত হাদীস জারি হাদীস বা ছহী হাদীস কোন মতেই হতে পারেনা। যদি তা’ ছহী হয় তবে তা’ অবশ্যই মানসুখ হবে, কিছুতেই তা’ জারি হাদীস হবেনা।
মহান আল্লাহ সাহাবায়ে কেরামের এ জারী বা চলমান ইবাদত লিপিবদ্ব করার দায়িত্ব দিলেন মেধাবী ও ফরহেজগার ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ)। যার প্রুফ দেখে ভুল মুক্ত করেছেন মেধাবী ইমাম আবু ইউসুফ (রঃ), ইমাম মোহাম্মদ (রঃ) ও ইমাম জুফার (রঃ) সহ চল্লিশ সেরা ইমামের পরিষদ।এভাবে আল্লাহ তাঁর ইবাদতের নিয়মকে বিশুদ্ধ করিয়ে নিয়েছেন। যা হেদায়েত প্রাপ্ত মুসলামানেরা পালন করে। আর হেদায়েত প্রাপ্ত মুসলমানদের নাম স্বয়ং আল্লাহ রেখেছেন হানিফাম মুসলীমা বা হানাফী মুসলীম বা একনিষ্ঠ মুসলীম, যাদেরকে সংক্ষেপে হানাফী বলে। অবশ্য হানাফীরা শাফেঈ, হাম্বলী ও মালেকীদেরকেও তাদের একই দলের শাখা মনে করে। তবে আমার মতে সবার হানাফী হয়ে যওয়াই উত্তম কারণ এ নাম আল্লাহর অনেক পছন্দ। হানাফী মুসলীম ও তাদের শাখা মিলে মোট মুসলীমের শতকরা সাতাশি ভাগ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতে রয়েছে।
সব নবীর (আঃ) উম্মত মুসলীম ছিল কিন্তু সব নবীর (আঃ) উম্মত মুসলিম নামে ছিলেন না, যেমনঃ ইহুদী, বনি ইসরাইল। মুসলীম নাম হলো মহানবীর (সঃ) উম্মতের। আয়াতে কারিমা অনুযায়ী হানাফীও আল্লাহর প্রিয় নাম, এ নাম তবে কাদের হবে? মহানবীর (সঃ) পরতো আর কোন নবীও নেই। সুতরাং আমি হানাফী। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) আমার দলের লোক। আমি তাঁর দলের লোক। আমরা এক দলের লোক। আমাদের সহযাত্রী বিশ্বের মোট মুসলমানের দুই তৃতীয়াংশের বেশী। আল্লাহ তাঁর প্রিয় হানাফীদের কবুল করুন।
এ দিকে ফেতনাবাজ আহলে হাদীস মতের লোকেরা ক্বোরআনের সাথে বেয়াদবী করে নিজেদের নাম রেখেছে আহলে হাদীস। তারা সাহাবায়ে কেরামের চলমান বা জারি ইবাদতের বিপরীতে ছহী মানসুখ হাদীসের আমল করে নিজেরা পথ ভ্রষ্ট হয়েছে আবার অন্যদেরকেও পথ ভ্রষ্ট করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।যারা ওয়ালী আল্লাহ, আইম্মায়ে মুসতাহিদিন ও আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের সাথে বেয়াদবী করে তারা আহলে হাদীসদের দলভুক্ত হবে। ওটা মূলত গোমরাহ লোকদের মিলিত হওয়ার প্লাট ফর্ম। ছহী মানসুখ হাদীসের আমলের কারণে এদের নামাজ হয়না, তাই আল্লাহ এদেরকে সীতাতুম মুস্তাকীমের পথেও হেদায়েত দান করেননা। কেউ যদি বলে সে দলে অমুক তমুক আছে, তবে আমি বলব তাদের অবস্থা আবু তালিব ও আব্দুল মুত্তালিবের মতো।এরা আমাদের যতই প্রিয় হোকনা কেন, সূত্রমতে এরা গোমরাহ।
আল্লাহ আমাদেরকে সত্যের পথে অবিচল রাখুন – আমিন।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১১

মো সজীব হাসান খাঁন বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ অনেক কিছু জানলাম। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

১৪ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনারো মঙ্গল করুন।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১৫

টমাটু খান বলেছেন: আল্লাহ সকল মুসলমানকে ছহী বুঝদান করুন-আমিন।

১৪ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ হেদায়েতের মালিক।

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

টুনটুনি০৪ বলেছেন: Thank's for your Islamic post. I'm proud of you cause I mean you are real muslim

১৪ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: লিখে চলুন নিরন্তর।।

১৪ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: জানিনা কখন আবার ব্লগে আবার শুধু পাঠক হয়ে যাই্।

৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার লেখার অনেক টার্মিনোলোজী আমার কাছে পুরোপুরি পরিস্কার নয়( আমার কম জানার কারণে); যাক, হজরত আলী (রাঃ)'কে শিয়ারা এত গুরুত্ব দিচ্ছে যে, ইসলামের জন্য এটা একটা নতুন ধারা হয়ে গেছে, এধরণের ধারা তো সমস্যা হয়ে গেছে!

১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: শীয়ারা করছে অতি ভক্তি আর ইবাদী বা খারেজীরা করছে অতি বিরোধীতা, দুটোই অসংগত। কিন্তু সঠিক ইসলাম খুঁজে পেতেও তিনি সবচেয়ে বড় সহায়ক। আপনি বিজ্ঞান বিষয়ে মনোযোগী হওয়াতে আপনি এদিকে নজর দিতে পারছেন না। আর আমি সঠিক ইসলাম খুঁজে পেতে চাই। কাদিয়ানীরা বলছে তারাই একমাত্র সঠিক। আহলে হাদীসরা বলছে তারাই একমাত্র সঠিক। আমি কোনটা সঠিক জানি সেটা আমি উপস্থাপন করেছি। এখন কে কোন মত গ্রহণ করবে সেটা তার ব্যাপার।

৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩০

মানিজার বলেছেন: ৯৩৫ বার পঠিত

১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সকল পাঠকারীকে আল্লাহ জান্নাতের পথে পরিচালিত করুন-আমিন।

৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আল্লাহ আমাদেরকে সত্যের পথে অবিচল রাখুন – আমিন।

১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল ও মঞ্জুর করুন-আমিন।

৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

শূন্য-০ বলেছেন: অনেক লম্বা আলোচনা, ভালো লাগলো।

১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন-আমিন।

৯| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমি এতকিছু জানিনা ভাই, আপনার পোষ্টে অনেক কিছু জানার আছে। প্রিয়তে থাকুন প্রিয় কবি।

১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: নাজানলে ভুল লোক ভুল পথে নিয়ে যায়, সেজন্য আমি সব সময় জানার চেষ্টা করি।

১০| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

শূন্যনীড় বলেছেন: অনেক লম্বা আলোচনা! জানার আছে অনেক কিছু। ভালো লাগলো, প্রিয়তে রাখতে হয় এমন পোষ্ট

১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার মন্তব্য অনেক ভাল লাগল। এ পোষ্টটি ফেসবুকের অসংখ্য গ্রুপে চলমান রয়েছে। এজন্য আমার এক পা এখানে এক পা ফেস বুকে।

১১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আল্লাহ তাঁর প্রিয় হানাফীদের কবুল করুন

১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল ও মঞ্জুর করুন-আমিন।

১২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১০

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভালো লাগল । আল্লাহু আমাদের হেদায়েত দান করুক ।

১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বাস্তবিক হেদায়েতের মালিক শুধুই আল্লাহ।

১৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই গুরত্বপুর্ণ তথ্যসমৃদ্ধ লেখা । খোলাফায়ে রাশেদিন নিয়ে অনেক মুল্যবান কথা বলেছেন । হাদিসের বিশুদ্ধতা নিয়েও আনেক কথা আছে । বোখারী শরীফের হাদিসের বিশুদ্ধতা নিয়ে বলা হয়ে থাকে তিনি সহি হাদিস নির্বচনের বিষয়ে মোরাকোআর আশ্রয় নিতেন । হাদিস হল মহানবীর (সঃ) জীবনের বাস্তব ঘটনা ও বিষয়াবলী, এখানে কেন মোরাকেবায় গিয়ে হাদিসের বিশুদ্ধতা নিরপন করতে হবে তা আমার কাছে পরিস্কার নয় । কিছু কিছু হাদিসের শুদ্ধতা নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক কথার অবতারনা বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় । যেমন মিরাজের বিষয়ে বোখারী শরীফের বর্ণনায় দেখা যায় মহানবী(সঃ) অাল্লার নিকট হতে কত ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে তার বিধান নিয়ে আসার পথে হযরত মুসা ( আ) এর সাথে দেখা হলে তিনি পরামর্শ দেন আল্লার কাছে গিয়ে মহানবী (সঃ) যেন তা কমিয়ে নিয়ে আসেন । সে অনুযায়ী মহানবী (সঃ) আল্লার দরবারে গিয়ে তা কমিয়ে নিয়ে আসেন বলে দেখা যায় । এখন এ বিষয়ে সহি হাদিসটি কি তা জানা প্রয়োজন । বোখারী শরীফের এ হাদিসটিতে কয়েকটি বিষয়ে খটকা লাগে । প্রথমত আল্লার মহা বিজ্ঞতা প্রশ্নবিদ্য হয় , মনে হয় তিনি জানতেন না মানুষ এত বেশি ওয়াক্ত নামাজ পড়তে পারবেনা তাই মুসা নবীর পরামর্শের কথা শুনে ও মহানবীর (সঃ) আর্জির প্রেক্ষিতে তিনি তা কমিয়ে দিনে পাঁচ ওয়াক্তের বিধান দিলেন । আবার অনেক জায়গায় বলা হয়েছে জ্ঞানে মানে মহানবী (সঃ) সর্ব শ্রেষ্ট নবী , কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল তাঁর থেকে মুসা (সঃ) বেশি বিজ্ঞতার অধিকারী তাই তিনি মহানবীকে পরামর্শ দিলেন আল্লার কাছে গিয়ে দেন দরবার করে নামাজের ওয়াক্তের সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য । তাই এখনো জানতে পারলাম না এ বিষয়ে সত্য ঘটনাটি কি । বিষয়টি নিয়ে অনেক গবেশনার অবকাশ আছে বলে মনে হয় ।

লেখাটির এ অংশ ভাল লাগল
মহানবীর (সঃ) ছুন্নত হজরত আলীর (রাঃ) চেয়ে বেশী কেউ জানেনা।হজরত আলীর (রাঃ) ইবাদতের সাথে মহানবীর (রাঃ) ইবাদতের গরমিল হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।মহানবী (সঃ) ক্বোরআন ও হাদীস মানতে বলেছেন। হজরত আলী (রাঃ) ক্বোরআন ও হাদীস মেনেছেন সুতরাং হজরত আলীকে (রাঃ) মানলেই ক্বোরআন ও হাদীস পুরাপুরি মানা হয়।
হযরত আলীর (রাঃ) মর্যাদা বেশ উচ্চ ।
নীচে একটি গজল ও দুরুদ এর কথামালা দেখতে পারেন :

কেয়া শানে আহম্মদীকা চামনমে জহুর হ্যায়
হর গুলমে হর সাজমে মোহাম্মদকা নূর হ্যায়
আলী যেইছা দরবার নেহী
মুহাম্মদ যেইছা সরকার নেহি
হাছেন হোসেন যিন্‌কা পেয়ার নেহি
হাজারো মোমেন লাখো লাখো বরছ
এবাদত কঁরে ঈমানে কামেল নেহি,
মিলাতো আলী য্যায়ছা মোর্শেদ মিলগিয়া
মোর্শেদ যব মিলগিয়াতো রাছুল মিলগিয়া
রাছুল যব মিল্‌গিয়া তো খোদে খোদা মিল্‌গিয়া
ছাল্লে আলাইকা ইয়া রাছুলিল্লাহ্
ওয়া ছাল্লেমো আলাইকা হাবিব আল্লাহ।

লেখাটি প্রিয়তে গেল ।

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

(লেখার ভিতরে ইমো চলে আসায় উপরের ১২ নং মন্তব্যটি মুছে দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হল । )

১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইসলামে বিভ্রান্তির জঞ্জাল জমে আছে। এর থেকে সঠিক ইসলাম খুঁজে বের করা কঠিন। আর জান্নাত পেতে হলে এ কঠিন কাজটাই করতে হবে।

১৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১৮

আরিফ শাহরিয়ার জয় বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো প্রিয় সনেট কবি। অনেককিছু জানলাম
শুভকামনা আপনার জন্য সবসময়।

১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সঠিক পথে চলতে হলে সঠিক পথ জানার বিকল্প নেই।

১৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫৫

প্রতিভাবান অলস বলেছেন: পুরোটা পড়লাম। কষ্ট লাগে যখন একজন অন্যজনের আমল কে বিদআদ বলে। আমাদের সকল ইসলামী মানুষরা যেন এক মতে পৌছাতে পারে আল্লাহ'র এই কাছে প্রার্থনা করি

১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: যার কথা সে বলবেই। আমার দরকারী কথা আমাকেই খুঁজে বের করতে হবে। কারণ আমার কবরে কেউ যাবেনা। আমাকে একাই যেতে হবে। তখন অমুক তমুকের দোষ দিয়ে পার পাওয়া যাবেনা।

১৬| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মোরাকোআর < মোরাকেবার

১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার এ মন্তব্যটি বুঝতে পারিনি।

১৭| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯

জনতার আদালত বলেছেন: যত পড়ছি ভাই ততই পড়তে মন চাইছে। ভালো লাগছে আপনাদের এই ব্লগের প্রতিটি লেখা ।

১৫ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:০২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: শেষ পর্যন্ত কেডি পঠক এসে হাজির হয়েছেন। এখানে অনেক সময় অনেক ঝগড়া ঝামেলা হয়। আশা করছি আপনার মাধ্যমে সেগুলো সুরাহা হবে।

১৮| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫১

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ভালো ও সুন্দর লেখা । পড়ে বেশ কিছু জানা হলো ।

১৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন মাস্টার সাহেব।

১৯| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আমার ১৩ নং মন্তব্যে বলা হয়েছিল নিন্মরূপ কথামালা
বোখারী শরীফের হাদিসের বিশুদ্ধতা নিয়ে বলা হয়ে থাকে তিনি সহি হাদিস নির্বাচনের বিষয়ে মোরাকোআর আশ্রয় নিতেন । হাদিস হল মহানবীর (সঃ) জীবনের বাস্তব ঘটনা ও বিষয়াবলী, এখানে কেন মোরাকেবায় গিয়ে হাদিসের বিশুদ্ধতা নিরপন করতে হবে তা আমার কাছে পরিস্কার নয় ।
এখানে প্রথম লাইনের মোরাকোআর শব্দটি আসলে হবে মোরাকেবা , এই সংসোধনীটিই আমি ১৬ নং মন্তব্যের ঘরে বলেছি । আশা করি এবার বুঝতে পারবেন ।

শুভেচ্ছা রইল

১৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মোরাকাবা কোন রাবীর মনের অবস্থা জানার সঠিক উপায় সেটা তিনি কোথায় পেলেন? মাযহাবের অনুকুলে যায় এমন হাদীস সংকলন না করে ইনি মুসলমানদের অনেক ক্ষতি করেছেন। ইনি হাদীস সংকলনে নিরপেক্ষ ছিলেন না।

২০| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আহম্মদীকা< আহম্মদকা

১৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দেখতে পেয়েছি, ধন্যবাদ।

২১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: দারুন হইছে । :)

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার মন্তব্যে খুশী হলাম। শুভেচ্ছা নিরন্তর।

২২| ১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২০

সবুজের ইবনে বতুতা বলেছেন: জনাব
ফরিদ আহমদ চৌধুরী,

আপনার লেখা পড়ে আমার মনের গহীনে কিছু প্রশ্নের সঞ্চার হলো...

১। আমরা সবাই জানি বুখারী শরীফ ৬টি হাদীস গ্রন্থের মধ্যে সহীহ একখানা হাদীস গ্রন্থ, আপনি কিভাবে এর সমালোচনা করেন, কোন সূত্রে? জানতে পারি কি?

২। হানাফী মাযহাবের নামাজ এবং সহীহ বুখারীর হাদীসের বর্নিত নামাজ এর বাস্তবিক পার্থক্য কেমন তা কি জানেন?

১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এসব হাদিস গ্রন্থ কোন সূত্রে সহিহ জানতে পারি কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.