নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাহে নাজাত

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:৪৯



মুসলমানদের মধ্যে একদল নাজাত প্রাপ্ত হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। অন্যদল সমূহের মধ্য হতে যারা, ‘মান আহাব্বা লিল্লাহি ওয়া আবগাদা লিল্লাহি ওয়া আ’ত্বা লিল্লাহি ওয়া মানায়া লিল্লাহি ফাক্বাদিস তাকমালাল ঈমান-যে আল্লাহর জন্য ভালবাসলো, আল্লাহর জন্য কারো উপর রাগহলো, আল্লাহর জন্য কাউকে দান করলো এবং আল্লাহর জন্য কাউকে দানকরতে বারণ করলো, সে তার ঈমানকে পরিপূর্ণ করলো’ এ হাদীসের সূত্রে পড়বে, মউত কালে আল্লাহ তাদের জবানে জারি করে দিবেন, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ (সঃ)’ এবং এরাও নাজাত প্রাপ্ত হবেন। কিন্তু নাজাত প্রাপ্ত দলের যারা এ হাদীস সূত্রে পড়বেনা, মউত কালে আল্লাহ তাদের আকিদা খারাপ করে দিবেন, তারা ঈমান নিয়ে মরতে পারবেনা এবং তারা নাজাতও পাবেনা। কারণ আল্লাহ তাঁর সত্যবাদী নবীকে (সঃ) সত্যবাদী সাব্যস্ত রাখতে এটা করবেন।

আর নাজাত প্রাপ্ত দল হলো হানাফী। কারণ এ দলটিকে শুধুমাত্র ক্বোরআন ও হাদীস দ্বারা সঠিক প্রমাণ করা যায়। এ দল ছাড়া অন্য কোন দলকে ক্বোআন ও হাদীস দ্বারা সঠিক প্রমাণ করা যায় না। কারণ মুসলমানরা প্রথমে হানফী ছিল। এরপর যতদল হয়েছে তার কোন দলে সব মুসলমান যায়নি। সুতরাং পরে হওয়া দল সমূহ ফিতনা তৈরী করেছে। তারমানে সেগুলো মুসলমানদের দল সংখ্যা বাড়ানোর জন্য দায়ী। অথচ মুসলমানদের একদল থাকার কথা। কাজেই যারা দলের সংখ্যা বাড়িয়েছে তারাতো সুস্পষ্ট ফিতনা।আর ফিতনা কখনো সঠিক হতে পারে না। তাছাড়া হানাফী মতের শুদ্ধতা অনুমোদন করেছেন চল্লিশ সদস্য বিশিষ্ট তাবে তাবেঈ (রঃ) বিশিষ্ট ইমাম পরিষদ, যা অন্য সকল দলের ক্ষেত্রে অনুপস্থিত। এমনকি ছিয়া ছিত্তাও এমন কোন ইমাম পরিষদ কর্তৃক অনুমোদীত হয়নি। তা’ছাড়া হানাফী মতের জন্য হাদীস গ্রহণ করা হয়েছে হাদীসের দ্বিতীয় রাবী তাবেঈনে কেরাম (রঃ) থেকে, আর ছিয়াছিত্তার হাদীস গ্রহণ করা হয়েছে পঞ্চম রাবী থেকে। দ্বিতীয় রাবী যে হাদীস গ্রহণ করেননি পঞ্চম রাবীর সে হাদীস হয় জাল নয়তো মানসুখ যা আমল যোগ্য নয়। আর ছিয়াছিত্তার ইমামগন পঞ্চম রাবীর হাদীস ছহী বলেছেন রাবীর বাহির দেখে ভিতর দেখে নয়। সে জন্য হানাফী মতের সাথে গরমিল কোন মতকে হানাফী মত থেকে কোনভাবেই শুদ্ধ বলা যায় না। সংগত কারণে মোট মুসলমানের দুই তৃতীয়াশের অধীক মুসলামান এ মতের অনুসারী। আর বাংলাদেশের শতকরা নিরানব্বই জন মুসলমান এ মতের অনুসারী। হাদীসে মক্কা মদীনার আলেমদের অধীক গুরুত্ব প্রদান করা হয় আর হজরত আলী(রাঃ) হানাফী মতের কেন্দ্র কূফায় তাদের নিয়ে এসে ছিলেন। এ ভাবে শুদ্ধতার সকল প্রমাণ হানাফী মতের অনুকূলে। মহানবী (সঃ) ক্বোরআন ও হাদীস মানতে বলেছেন আর সে ক্ষেত্রে হানাফী মতে দ্বিতীয় রাবীর অধীক বিশুদ্ধ হাদীস গ্রহণ করা হয়েছে। আর ছিয়াছিত্তার হাদীস হলো তার থেকে কম বিশুদ্ধ পঞ্চম রাবীর হাদীস। আর এসব হাদীস গ্রন্থের যে সব হাদীস হানাফী মতের সাথে গরমিল সেগুলো মূলত মানসুখ হাদীস যা আমলযোগ্য নয়। সুতরাং ফিতনাবাজ আহলে হাদীসদের ডাকে সাড়া দেওয়ার সংগত কোন কারণ নেই। আমি আমার এ বকক্তব্যের অনুকুলে ক্বোরআন ও হাদীস থেকে অন্তত দুই হাজার প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারি-ইনশাআল্লাহ এবং আমি বহু প্রমাণ এর মধ্যে আমার বিভিন্ন পোষ্টে উপস্থাপন করেছি। যারা পাননি তারা আমার টাইম লাইন ও ব্লগে ঢু মারতে পারেন।আর কেউ যদি এটা তালাসের দরকার মনে না করেন তবে তাতেও আমার কোন আপপ্তি নেই। কারণ তার কবরে আমাকে যেতে হবে না। আমার কাজ হলো যা জানব তা জানিয়ে দেব। সত্য গোপন করব না। তারপর হেদায়েতের মালিক আল্লাহ। আল্লাহ আমাদেরকে সত্যের পথে অবিচল রাখুন-আমিন।

বিঃদ্রঃ অন্য ধর্ম ও মতের যারা ভাল কাজ করবে তারা নাজাত না পেলেও তাদের ভালকাজের পরিমাণ অনুযায়ী শাস্তির মাত্রা কম হবে।অনেকে ক্ষিপ্ত হয়ে বলে আমি হানাফী মতের পক্ষে ক্যানভাস করি। তো আমি সেই মতের লোক আমি ক্যানভাস করব কোন মতের পক্ষে? মানুষগুলো কেন এমন বেকুব হয়, বুঝা মুশকিল।আর দল সমূহের মধ্যে তাবলীগ, হক্কানী পীর ও দেওবন্দীদের যথেষ্ট পছন্দ করি। এরা নিজেরা গুতাগুতি করুক তা’নিয়ে আমার আপত্তি নেই। গরু খেতে খেতে মুসলমানদের মাঝে গরুর সভাব এসে গেছে। এরা গুতাগুতি ছাড়া শান্তি পায় না।

চার মাজহাবের ক্ষেত্রে আমার মত হলো সব মাজহাব সঠিক। তবে আমারটা বেশী সঠিক। নতুবা আমি এটা মানি কেন? আর কারণটা পোষ্টে বলা আছে।

যে কিয়াছ বা অনুমানের ক্বোরআন ও হাদীসের ভিত্তি থাকলে তাকে কিয়াছ বা অনুমান বলে। আর যে কিয়াছ বা অনুমানের ক্বোরআন ও হাদীসের ভিত্তি থাকেনা তাকে যন্নুন বা মনগড়া ধারনা বলে। অনুমান জায়েজ আর ধারনা কবিরা গুনাহ।

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:০৩

মো সজীব হাসান খাঁন বলেছেন: প্রকৃত হেদায়েতের কথা। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:২১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে নাজাত দান করুন।

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো আলোচনা করেছেন। আমি এই সম্পর্কীয় তেমন কিছুই জানিনা, জানার চেষ্টা করছি।

শুভকামনা আপনার জন্য

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি।

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৮

সাহিদা সুলতানা শাহী বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমিন

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: গরু খেতে খেতে মুসলমানদের মাঝে গরুর সভাব এসে গেছে। এরা গুতাগুতি ছাড়া শান্তি পায় না। - :)
আজকাল তো মাসজিদে মাসজিদে দেখছি হানাফীরা দলে লঘু হচ্ছে আর অন্য একটি/কয়েকটি পন্থীরা দলে ভারী হচ্ছে। এমন কি গ্রাম গঞ্জের মাসজিদেও দেখেছি একই অবস্থা। তাহলে কি হানাফীরা যথেষ্ট যুক্তি তর্কের মাধ্যমে তাদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারছেনা?

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি যে সব মসজিদের কথা বলছেন ওগুলো মূলত ওদের মসজিদ। হানাফীরা সেখানে নামাজ পড়ে না। আর কিছু এলাকায় এরা কিছু প্রভাব তৈরী করতে পেরেছে। কিন্তু টোটাল হিসেবে এখনো বাংলাদেশে শতকরা নিরানব্বই জন মুসলীম হানাফী এবং এককভাবে বিশ্বে হানাফীর সংখ্যা দুই তৃতীয়াংশের বেশী। আর এটা হাজার বছর ধরে বিদ্যমান। আর ফেতনা বাজেরািউত্থানপতনের মধ্যে আছে এবং এর মধ্যে অনেক ফিতনা বিলুপ্ত হয়েছে। কিন্তু হানাফীদের সংখ্যা দুই তৃতীয়াংশের নীচে কখনো নামেনি আর হয়ত নামবেও না। কারণ ক্বোরআন হাদীস মতে এটাই মুসলমানদের একমাত্র বিশুদ্ধ দল।

৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

তারেক ফাহিম বলেছেন: হেদায়েতের গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ প্রতিবেশি ভাই। আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল করুক।

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমরা নিজেদের অভিন্নই মনে করি। কাজেই প্রতিবেশী বলার দরকার নেই।

৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: আপত্তি আছে বুঝতে পারলে বলতাম না।

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমাদের জেলাকে প্রাশাসনিক সুবিধার জন্য তিন ভাগ করা হলেও আমাদের ভাষা ও সাংস্কৃতি বদলে যায়নি। কাজেই আমরা এখনো এক আছি।

৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মাদ্রাসায় পড়ে সাধারণ একটা চাকুরীই পাচ্ছে না; ওপারে কি অবস্হা হবে?

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এটা মাদ্রাসা সংক্রান্ত আলোচনা নয়। তবে মাদ্রাসার পাশাপাশি অন্য কাজ করার যোগ্যতাও অর্জন করা দরকার। অবশ্য এক জনের পক্ষে সব কিছু হওয়া সম্ভব নয়। কাজেই যে যারমত বাঁচার উপায় খুঁজে নিক।

৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪

তারেক ফাহিম বলেছেন: ও আইচ্ছা আইচ্ছা, কথাতো এক্কারে হালাইদিবার মত ন, আন্নেগো লগে আংগো বাক্কা মিল আছে, হিয়ান তো অ্যাই বুঝিনোগো..

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: যাক অন বুইজ্জেন, আ্ঁই এডাতে খুশী অইছি।

৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: মাগো মা, অল্পের লাই বাঁচি গেছি, না অইলেো হারা জীবন ভুল বুইঝতেন।

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আঁই বুইঝতাম আন্নে ভুল করি হালাইছেন। আন্নেরে কি আঁই ভুল বুইঝতাম হারিনি। এটা ক্যামনে অয়। শত অইলেই এক এলাকার মানুষ।

১০| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: বাউরে বাউ, লগের মাইনসের লাই কত টান, আন্নেরে না চাইলে বুইঝতাম না

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: হাঁচা কইছেন। টানতো থান লাগবই। নইলে ক্যামনে অইব।

১১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

প্রামানিক বলেছেন: মহানবী ক্বোরআন ও হাদীস মানতে বলেছেন আর সে ক্ষেত্রে হানাফী মতে দ্বিতীয় রাবীর অধীক বিশুদ্ধ হাদীস গ্রহণ করা হয়েছে। আর ছিয়াছিত্তার হাদীস হলো তার থেকে কম বিশুদ্ধ পঞ্চম রাবীর হাদীস। আর এসব হাদীস গ্রন্থের যে সব হাদীস হানাফী মতের সাথে গরমিল সেগুলো মূলত মানসুখ হাদীস যা আমলযোগ্য নয়। সুতরাং ফিতনাবাজ আহলে হাদীসদের ডাকে সাড়া দেওয়ার সংগত কোন কারণ নেই।

বর্তমানে তো আহলে হাদীসওয়ালাদের দাপট বেশি মনে হয়।

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: খালি পাত্রে শব্দ বেশী করে। এদের দাপটের রহস্য এখানে। তাদের মত বাংলাদেশের ক’জন ইমাম গ্রহণ করেছে। যারা কমজানা লোক তারা তাদের ক্বোরআন ও ছহী হাদীছের ধোকাবাজী কথায় প্রতারীত হয়ে তাদের পিছনে ছুটে। আর যারা জানে, তারা এটা জনে যে মূলত অধীক ছহী হাদীসের আমল হানাফী মতে রয়েছে। সেটা আহলে হাদীস মতে নেই।

১২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১১

কাউয়ার জাত বলেছেন: জনাব ফরিদ আহমদ চৌধুরী,
আমি আপনার সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী।
কিন্তু আমার কতিপয় শর্ত আছে-

১। আমি টু দ্যা পয়েন্ট প্রশ্ন করব, এবং আপনি প্রশ্ন করলে টু দ্যা পয়েন্ট উত্তর দিব। আপনাকেও তাই করতে হবে।

২। এক কমেন্টের জবাবে একাধিক কমেন্ট করা যাবে না।

৩। কমেন্ট সর্বোচ্চ সংক্ষিপ্ত হবে। লম্ব-চওড়া কমেন্ট পরিত্যাজ্য।

৪। যেসব মতামত আপনার নিজের একান্ত, সেসব মতামতের দলীল বা ভিত্তি দেখাতে হবে কুরআন-হাদীস অথবা যে কোন মতের প্রসিদ্ধ আলেমের লিখনি বা বক্তব্য থেকে।

যদি রাজি থাকেন তবে আমাকে জানান।

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার প্রস্তাব আমার পছন্দ হয়েছে। যদি আপনার মাধ্যমে আমার ভুল সংশোধন হয় তবে ক্ষতি কি? বাস্তবে আমাদের সবার একটাই মাত্র লক্ষ্য থাকা উচিত আর তা’হলো হেদায়েত। আর তাতে যদি পরাজিত হতে হয় তাহলে আমি মনে করিনা এতে মনকষ্টের কোন কারণ থাকতে পারে।

১৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪০

কাউয়ার জাত বলেছেন: আপনি বলেছেন,
"আর নাজাত প্রাপ্ত দল হলো হানাফী। কারণ এ দলটিকে শুধুমাত্র ক্বোরআন ও হাদীস দ্বারা সঠিক প্রমাণ করা যায়। এ দল ছাড়া অন্য কোন দলকে ক্বোআন ও হাদীস দ্বারা সঠিক প্রমাণ করা যায় না।"

একবাক্যে কুরআন এবং হাদীসের দলীল উল্লেখ করবেন কি?

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ক্বোরআন বলেছে ‘যালিকাল কিতাবু লারাইবা ফিহি হুদাললিল মুত্তাকিন’ এরমানে ক্বোরআনে আছে কারা হেদায়েত প্রাপ্ত। ক্বোরআন আছে ‘ওয়াতাছিমু বিহাবলিল্লাহী জমিয়াও ওয়ালা তাফাররাকু’ এরমানে ক্বোরআন বলেছে এক দল থাকতে হবে পৃথক হলে চলবেনা। ক্বোআনের ব্যখ্যা হাদীসে এর বিরোধীতা থাকার কথা নয়। তো হজরত আলী (রাঃ) প্রতিষ্ঠিত রাজধানীবাসী হানাফী মতে সংঘ বদ্ধ হয়েছে। এ মতের বিরুদ্ধ মতে সব মুসলমান না গেলে দল সংখ্যা একের বেশী হয় যা ক্বোরআন মতে শুদ্ধ নয়। এ মতে ভুল থাকলে অন্য মতের এ মতই সংশোধনের ব্যবস্থা করলে সেটা শুদ্ধ হতো। কিন্তু তারা তা’ না করে নতুন মতের উপস্থাপন করে ক্বোরআন ও হাদীসের খেলাপি হয়েছে। সে জন্য তারা অশুদ্ধ। সংগত কারণে হানাফী মতই শুদ্ধ হিসেবে টিকে থাকে।

১৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১৮

কাউয়ার জাত বলেছেন: আপনি আবারো মনগড়া ব্যাখ্যায় যাচ্ছেন। ‘ওয়াতাছিমু বিহাবলিল্লাহী জমিয়াও ওয়ালা তাফাররাকু’ এ আয়াতকে ফিকহি ইখতিলাফে প্রয়োগ করছেন। অথচ ইফতিরাক আর ফিকহি ইখতিলাফ সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস।
রাসূল (সা) বনী কুরাইজার ঘটনার দিনে সাহাবীদেরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আসরের নামাজ বনু কুরাইজায় গিয়ে আদায় করতে। পথে ওয়াক্ত হওয়ায় কতক সাহাবী পথেই আসর আদায় করেন। তারা রাসূল (সা) নির্দেশকে দ্রুত চলার অর্থে গ্রহণ করেন। অন্যরা আক্ষরিক অর্থে গ্রহণ করে বনু কুরাইজায় গিয়ে আসর আদায় করেন। রাসূল (সা) কোন দলকেই ভুল বলেন নি।
এটা যদি ইফতিরাক হত তবে রাসূল (সা) অল্পসংখ্যক দলকে তিরস্কার করতেন।
ফিকহি ইখতিলাফতো এভাবেই এসেছে। পূর্ববর্তী আলেমরা ইখতিলাফকে এ উম্মাতের রহমত বলেছেন।

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনিস বলছেন সব দল এক দলে আছে। তো সে দলে কোন কোন দল আছে কোন কোন দল নেই?

১৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩২

কাউয়ার জাত বলেছেন: রাসূল (সা) এর হাদীস অনুযায়ী ৭৩ টি দল হবে। যার মধ্যে একটি দল সঠিক হবে। যারা রাসূল (সা) ও তার সাহাবীগণের (রা) অনুসৃত পথে চলবে তারাই সঠিক।
উম্মাতের জ্ঞানীগণ তাদের নামকরণ করেছেন আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ।
ইমাম আবু হানীফা, ইমাম তহাবী সহ যারাই আকিদা সংক্রান্ত কিতাব রচনা করেছেন তারা আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের কতিপয় মানদণ্ড দিয়েছেন। যে কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দল ঐ মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হবে তারা সবাই হেদায়াতপ্রাপ্ত দলের মধ্যে গণ্য হবে।

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমরা চার ভাই, মামুন ফারুক ফরিদ ও রশিদ। এর মধ্যে বড় ভাই মামুনের নামে আমাদের চারভাইকে মামুন গং বলা হয়। আমিও হানাফী বলতে হানাফী গং বুঝিয়ে থাকি। আর হানাফী গং এর আরেক নাম যে আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামায়াত সেটাও আমি মানি। তবে আহলে হাদীসের সাথে তর্কে আমি হানাফী গং বা আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামায়াত কে সংক্ষেপে হানফী বলি। কারণ হানাফী মানে একনিষ্ঠ। আর ওরা মযহাবীদেরকে মুশরিক বলে। এজন্য জনে জনে নাম উল্লেখ না করে গং দিয়ে সারি। আর যখন ওরা চারমাজহাবকে চার দল বলে জীদ ধরে তখন ওদের বিপরীতে শুধু হানাফী নিয়ে তর্ক করি ওটা শ্রেফ তর্কের খাতিরে। যখন ওরা বলে বাকী তিনটার দরকার নেই। তোমারটা সঠিক প্রমাণ কর তখন এ ছাড়া উপায় থাকেনা। যেমন আপনি শর্ত দিলেন, তেমন ওরাও যদি এমন শর্ত দেয় তখন আর কি করার থাকে বলুন?

১৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৬

কাউয়ার জাত বলেছেন: আপনার উত্তর পরিষ্কার নয়।
পোস্টে উল্লেখ করেছেন,
"কারণ মুসলমানরা প্রথমে হানফী ছিল। এরপর যতদল হয়েছে তার কোন দলে সব মুসলমান যায়নি। সুতরাং পরে হওয়া দল সমূহ ফিতনা তৈরী করেছে। তারমানে সেগুলো মুসলমানদের দল সংখ্যা বাড়ানোর জন্য দায়ী। অথচ মুসলমানদের একদল থাকার কথা। কাজেই যারা দলের সংখ্যা বাড়িয়েছে তারাতো সুস্পষ্ট ফিতনা।আর ফিতনা কখনো সঠিক হতে পারে না।"

এখানে কিন্তু আপনি শাফেয়ী-মালেকীদের পক্ষান্তরে ফিতনা সাব্যস্ত করেছেন।

আপনি বলেছেন,
"ক্বোরআন বলেছে এক দল থাকতে হবে পৃথক হলে চলবেনা। ক্বোআনের ব্যখ্যা হাদীসে এর বিরোধীতা থাকার কথা নয়। তো হজরত আলী (রাঃ) প্রতিষ্ঠিত রাজধানীবাসী হানাফী মতে সংঘ বদ্ধ হয়েছে।"
আমার প্রশ্ন: কুফাবাসীদের হানাফী মতে সংঘবদ্ধ হওয়ার পূর্বে কি রাসূল (সা) সম্মানিত সাহাবীগণের মধ্যে মতবিরোধ ছিল না?

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অনেক জায়গায় আমি তাদের কথা উল্লেখ করি। এখানে করিনি। কারণ আমার মূল বিরোধ লা মাজহাবীদের সাথে। কারণ তারা পৃথক মসজিদ বানিয়েছে। আপনিই বলুন ওরা যদি আমাকে শাফেঈদের কোন মাসয়ালা দিয়ে প্যাচমারে তখন আমি ছুটব কি করে? আমি তো আর ওদের সব মাসয়ালা জানি না। কিন্তু হানাফীরা যে বাকী তিন মাজহাবকে আহলে হক জানে সেটাতো সবাই জানে। এ আর নতুন কি? আমরা সবাইতো সবার ইমামের পিছনে নামাজ পড়ি আর সবাই সবাইকে সঠিক জানি। তাহলে আর জেনে জনে নাম উল্লেখ করার দরকার কি? তথাপি মতভেদ দূরকরার চেষ্টা করা হলে ভাল বই মন্দ হবে না। আমিতো শীয়া ইবাদী ইমামের পিছনে নামাজ পড়বনা। তবে চার মাজহাবের সব মাজহাবের ইমামের পিছনে নামাজ পড়ব। তাহলে কি বুঝাগেল?

১৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১৬

নীলপরি বলেছেন: আমি এ সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানতাম না । আপনার লেখা থেকেই জানলাম । ধন্যবাদ ।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২৪

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ভালো লাগল জেনে ।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৯| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪৪

ফকির জসীম উদ্দীন বলেছেন: লা মাযহাবীগণই শুধু ফিতনা সৃষ্টি করে নাই, হানাফি মাযহাবের ভিতরে অসংখ্য ফিতনাবাজ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত নামধারীগণও স্পষ্ট শিরকে লিপ্ত রয়েছে।
শ্রদ্ধেয় আপনি লক্ষ করলে দেখবেন সম্প্রতি লা মাযহাবীদের চেয়ে মাযহাবপন্থীদের মধ্যে হানাফি (কুরআন- সুন্নাহর) অনুসারী দাবি করলেও মুলত মনগড়া শতশত ত্বরীকা বানিয়ে কুরআন-সুন্নাহর অপব্যখ্যা করে দ্বীনের বারোটা বাজাচ্ছে তাও প্রকাশ্যে মারিফাতের দোহাই দিয়ে।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: প্রথমে সংগ্রাম করেছি নাস্তিকদের সাথে। এখন করছি আহলে হাদীসদের সাথে। সাহাবায়ে কেরাম সত্যের মাপকাঠী নয় বলছে মওদূদী পন্থিরা এ নিয়ে তাদের সাথে বিতর্ক চলছে। আপনি আরো অপশন নিয়ে আসছেন। তো সেই সব অপশনে আপনি না হয় কাজ করুন। আমি একা আর কতটুকু পারি? আমি তিন অপশনেই অসুস্থ হয়ে পড়েছি। কেউ কি আর সহজে তার মতের বিরোধীতা হজম করতে চায়? সবার মতে সবাই সঠিক। আপমি মুখে তাকে বেঠিক বল্লেই কি সে মেনে নিবে?

২০| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:১৯

কানিজ রিনা বলেছেন: লাইলাহা ইল্লালাহু মুহাম্মাদুর রাসুল্লাহ, নামাজে
বড় দরুদ আমরা নবী মোহাঃ সঃ বংশর
উপর ও ইব্রাহীম আঃ উপর দরুদ পড়ি
প্রত্যেক মুসলিম দলবল নির্বিশেষে এই দরুদ
ও উপরক্ত কালিমা ইমানের সাথে বিশ্বাস
আনলে আর কোনও যুক্তি তর্ক থাকেনা।
অর্থাৎ মুসলমান দল একটাই সে আল্লাহর
প্রেরিত নবী মহাঃ সঃ ও তার বংশধর। ও
ইব্রাহীম আঃ সঃ বংশরধ তার উপর দরুদ
পেস পত্যেক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে কতবার
দরুদ হয় তা মুসলিমরা অনুধাবন করলেই
পুর্নাঙ্গ মুসলিম হওয়া সহজ।
নবী মোহাঃ সাঃ ইন্তেকাল পর্বরতী খালিফাতুন
মুমিনিনরাই বিভক্ত হয়ে যান। সেই বিভক্তি
রুপ নেয় সিপ্ফিনের যুদ্ধ এবং নবী মোহাঃ
সঃ বংশ নিপাত হন। একে একে সহীদ হন
ইসলামের ন্যায় পরায়ন প্রতিষ্ঠায়।
হযরত মোহাঃ সঃ ইন্তেকালের ২০০ বছর পর
যত হাদীস বর্নিত হয় আমিরুল মুমিনিনগন
প্রধান চার খলিফার মুখের বানী নবী মোহাঃ
সঃ জীবন আদর্শ। কোরআন হাদীস মোতাবেক
গ্রহন যোগ্য বানী। অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সেই বিভক্তির পর আবার কিভাবে এক করা যায় আমি সেই পথ খুঁজছি। কিন্তু কতিপয় বিভক্তিকেই অধিক গুরুত্ত দিচ্ছে। আর কতিপয় এক হওয়াকে অধিক গুরত্ব দিচ্ছে। আমি যে পক্ষের দিকে কথা বলতে চাই অন্য পক্ষ অমনি তেড়ে ফুঁড়ে আসছে। এক হওয়ার পক্ষে শক্ত অবস্থানে আছেন ডঃ এম এ আলী। বিভক্তির পক্ষে কাঙ্গাল মুরশীদ, কাউয়ার জাত সহ অনেকেই আছেন। এ দিকে আমি দু’পক্ষের মাইকা চিপায় পড়ে মাথা চুলকাচ্ছি। দলিল সংগ্রহ এবং দলিল প্রদান করতে করতে আমার জীবনটা পানসে হয়ে গেল। মুসলমানের দলে দলে ভাগ হয়ে গুতাগুতি করতেই যেন শান্তি। এদের উৎপাতে বিশ্ববাসী পুরাপুরি অতিষ্ট।এদের ক্বোআন নাকি সব সমস্যার সমাধান করতে পারে। কিন্তু এদের ক্বোরআন কিছুতেই এদের এক করতে পারে না। এমন বেজাত জাতি বিশ্বে দ্বিতীয় আছে বলে মনে হয় না।এরা একেক জন ক্বোনআন ও হাদীস একেক রকম বুঝে। আমি বলেছিলাম সবাই হানাফী হয়ে যাও, না কিছুতেই তা’ হবেনা। আরে ভাই চার দলই যদি শুদ্ধ হবে তবে চার দল ভেঙ্গে এক করছনা কেন? ইম একবার বলেছিলাম, ও আই সির নেতৃত্বে একটা বিজ্ঞ আলেমের পরিষদ গঠন কর। এরপর প্রত্যেক মাসয়ালার সর্বসম্মত মত ঠিক কর। অন্যমত বাদ দাও। এ ভাকে সবাইকে এক কর। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও লোকদের বলা যায় যে প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু এরা কিছুই করবে না। এরা শুধু মারামারি করে বিশ্বকে বিষাক্ত করে তুলবে। এ সব ফিতনা থেকে মুসলিম জাতি কি তবে আর মুক্তি পাবে না? আমার মতে যারা এক থাকতে চায় তারা একদিকে একত্রিত হয়ে ফিতনা বাজদের বিরুদ্ধে জীহাদ করা দরকার। তবে যদি সমস্যার শুরাহা হয়। কেনরে ভাই সব মুসলমান একই নিয়মে ইবাদত করলে ক্ষতি কি? তুমি কেন বাপু সেটা চাও না। তোমার সমস্যাটা আসলে কি? তুমি আসলে কি চাও ? তুমি কি চাও মুসলমানরা এভাবেই ফিতনা ফাছাদে লিপ্ত হয়ে শেষ হয়ে যাক?

২১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৬:০৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ভালো লাগলো ।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৭:০৮

কাউয়ার জাত বলেছেন: বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো!
শুরু করেছেন এভাবে- "আর নাজাত প্রাপ্ত দল হলো হানাফী।"

আর এখন বলছেন- "কিন্তু হানাফীরা যে বাকী তিন মাজহাবকে আহলে হক জানে সেটাতো সবাই জানে।"

তাহলে এর আগে এক পোস্টে বাকী তিন মাজহাবকেও হানাফী হয়ে যেতে বলেছিলেন কেন?

আপনাদের সমস্যা এখানেই। আপনারা ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ রহঃ প্রমুখদের চেয়েও বড় হানাফী হয়ে গেছেন। এখন এমন এমন কথা বলছেন যা না উসূলে হাদীসের সাথে যায়, না উসূলে ফিকহের সাথে যায়। আর না কোন সত্যিকারের আলেম এভাবে বলেছেন।

উদাহরণ স্বরূপ, আপনি এ কথাটি বার বার বলে থাকেন- কুফাবাসী হযরত আলী (রা) থেকে ফিকহ নিয়েছে। আর তিনি সাহাবীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় জ্ঞানী। তার কথার বিপরীত হাদীস মানসুখ ইত্যাদি ইত্যাদি।

**অথচ আলী (রা) রাসূল (সা) এর ওফাতের পর ২৬ বছর মদীনায় কাটিয়েছেন। ৪ বছর কুফায়। আলীর ওফাতের পর হাসান হুসাইনও পুনরায় মদীনায় ফিরে এসেছেন। সেই মদীনাবাসী এর আগে স্বয়ং রাসূল (সা) এবং তিন খলীফাকে পেয়েছেন। সাহাবা এবং তাবেয়ীদের যুগে মদীনাই ছিল ইসলামি জ্ঞান-গবেষণার প্রধান কেন্দ্র। তারা কিছুই শিখতে পারেন নি। সব কুফাবাসী চার বছরে শিখে ফেলেছে! অতএব তারাই একমাত্র সঠিক দল!!!

** দ্বিতীয় হাস্যকর কথা, আলী (রা) মক্কা-মদীনার সব ফকিহ সাহাবীদের কুফায় নিয়ে গেছেন!

আপনার জেনে রাখা উচিত, হানাফী ফিকহের সনদ মূলত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রা) থেকে এসেছে। আলী (রা) থেকে নয়।

আপনার অধিকাংশ কথা মনগড়া। হাদীস মানসুখ হওয়ার কি বোঝেন আপনি?

আপনার প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ। পূর্ববর্তী একজন হানাফী আলেমের রেফারেন্স দিন যিনি বলেছেন যে হানাফী মাজহাবের মতের বিপরীতে যত হাদীস আছে সব মানসুখ। মাত্র একজন আলেমের রেফারেন্স চাচ্ছি। অথবা বলুন আপনি কি পক্ষ-বিপক্ষের সব হাদীস, তার রাবী, হাদীসের প্রেক্ষাপট সব যাচাই করে নিশ্চিত হয়েছেন?

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: যারা মুসলমানদের শুধুমাত্র একটি দল চাচ্ছে তাদের জন্য আমার এ ফর্মূলা। এ ক্ষেত্রে আমার মত হলো হানাফী অধিকতর সঠিক। হানাফী হিসেবে যেহেতু আমার হানাফী আলেমদের মতের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই সেহেতু শাফেঈ মালেকী ও হাম্বলী মতকে আমার বেঠিক বলার সুযোগ নেই। আর মনগড়ার কথা যেটা বলেছেন সেটা মূলত আমার ক্বোরআন হাদীসের ভিত্তিতে করা কিয়াছ। আর কিয়াছ সব সময় ঠিক হয়না এটাও স্বীকৃত। আর আমি যা বুঝব আমিতো সেটাই বলব এর বাইরে কি ভাবে বলব? আপনি আপনার মত আপনি চলে যদি জান্নাত লাভ করেন তাতে আমার ক্ষতি কি? কিন্তু সত্য গোপন করা যেহেতু ক্বোরআনে অপরাধ বলা হয়েছে সেহেতু আমি যা সত্য হিসেবে জানি তা’তো আমি বলব আমার সত্য না বলার দায় এড়াতে।
কামিল হাদীস পাশ করে পড়েছি বিপদে। সাধারণ লোক জানতে চায় তাই জানাতে হয়। সবচেয়ে ভেজাল হল কাদিয়ানী মওদূদী ও আহলে হাদীস, এদের শক্ত সংগঠন আছে। এরা প্রতি নিয়ত বুঝাচ্ছে আর সবি ভুল তারা শুধু ঠিক। কি করবে জানতে দিশেহারা মুসলমানেরা প্রতি নিয়ত প্রশ্নবানে জর্জরিত করছে। সংক্ষেপে তাদের জানাতে তাদেরকে এ পোষ্ট গুলার কথা বলে দেই। যেমন তারা বলে এরা ভুল তবে শুদ্ধ কি? তখন বলে দেই হানাফী। যারা চারমাজহাবের কথা বলে তাদের বলে দেই চার মাজহাব সঠিক। যারা আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামায়াতের কথা বলে তাদের বলে দেই আহলে ছুন্নত ওয়ার জামায়াত সঠিক। যারা একদল হওয়ার কথা বলে তাদেরকে বলে দেই তাহলে সবার হানাফী হতে হবে। এরপর তারা আবার জানতে চায় আপনার কথা কিভাবে সঠিক? সেটাও বলে দিতে হয়। এ দিকে আমার দুনিয়ার কাজের বারোটা। আয়রোজগার যা করি সংসার চলেনা। স্ত্রী বাড়তি আয় করার কথা বলে, পাবলিকের প্রশ্নের উত্তর গোঁছাতে গোঁছাতে সেটা আর পারি না। এ দিকে একেবারে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। মাঝে মাঝে মনে খুব রাগ হয়। ভাবি এমন একটা ধর্ম মানি যাতে এত্ত ভেজাল। ময়দানে চলমান তিন ফিতনার মোকাবেলায় অন্যরাওতো কিছু বলতে পারে। বাংলাদেশে হানাফী বেশী তাই এখানে শাফেঈ হাম্বলী ও মালেকী কথা না বল্লেও হয়। এ সংক্রান্ত প্রশ্ন সংখ্যা কম।
মওদূদীরা বলছে সাহাবায়ে কেরাম সত্যের মাপকাঠি নয়। এ নিয়ে ওদের সাথে প্রতি নিয়ত ফেসবুকে কথা কাটাকাটি হয়। ব্লগে ওদের স্থান নেই বিধায় এখানে ওরা উৎপাত করতে পারে না। কাদিয়ানীরা বলছে তাদের ইমাম মেহেদীর দলে না গেলে উপায় নেই। আহলে হাদীস বলছে তাদের মতই একমাত্র সঠিক। এসব বিপদে পড়ে আমি হানাফী থাকার অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যে ভাবে টানাটানি চলছে তাতে ছিঁড়ে যাওয়ার পালা। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে মরেগেলে বাঁচি।

২৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:৪১

রওশন_মনি বলেছেন: সুন্দর লেখা। কিছু জানা গেল।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পড়েছেন জেনে খুশী হলাম।

২৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭

স্বতু সাঁই বলেছেন: আপনি তো দেখি হানাফির মধ্যেই আটকে গেলেন, মানুষকে নিয়ে কখন লিখবেন। কারণ আপনার লিখা পড়ে মনে হয় হানাফ ছাড়া দুনিয়ায় মানুষ নাই। যেভাবে হানাফির প্রচার করছেন, তাতে মনে হচ্ছে ইসলাম কোন না হানাফিই সঠিক ধর্ম। কারণ হানাফির ফাঁকে ইসলাম চিপায় পড়ছে। আমার একটা প্রশ্নের উত্তর আজও পাইলাম না, হানাফি মাযহাবের যারা ঘুষ খায়, অন্যের সম্পদ দখল করে, মিথ্যা কথা বলে, মানুষের উপর বাবা মার উপর ভাই বোন আত্মীয় স্বজনের উপর আত্যাচার নির্যাতন করে তাদেরকে আল্লাহ কোন বেহেস্তে রাখবেন?

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কিন্তু নাজাত প্রাপ্ত দলের যারা এ হাদীস সূত্রে পড়বেনা, মউত কালে আল্লাহ তাদের আকিদা খারাপ করে দিবেন, তারা ঈমান নিয়ে মরতে পারবেনা এবং তারা নাজাতও পাবেনা। আপনার প্রশ্নের উত্তর সম্ভবত এতে আছে।

২৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬

স্বতু সাঁই বলেছেন: না এখানে আমার প্রশ্নের উত্তর নেই। কারণ আপনার কথা মতে হানাফি মাযহাব সবচেয়ে বিশুদ্ধ মাযহাব, কারণ এটা আদি মাযহাব। সেই মোতাবেক এই মাযহাবে যারা অন্তর্ভূক্ত তারা আপনাতেই নাজাত লাভ করবেন। আমার বাপও এই মাযহাবের ছিলো, কিন্তু তিনি চরম ঘুষখোর ছিলেন। তাই আমার জিজ্ঞাসা এই মাযহাবের যারা ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ এবং সকল প্রকারের অপকর্মকারী তারা নাজাত পেয়ে কোন বেহেস্তে অবস্থান করবে। যেহেতু এরা যতই অপকর্ম করুক তারা আপনার কথা অনুসারে নাজাত লাভ করবেই করবে। তাই আমি জানতে চাচ্ছি আমার বাপে কোন বেহস্তটা পাবেন।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এরা নামে হানফী হলেও কাজে হানাফী নয়। তাই এখানে নামে গুনে মিল পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ হানাফী মানে একনিষ্ঠ, এদের কাজেতো নিষ্ঠাই নেই। ভেজালটা এখানে। এরপর আল্লাহ যা করেন সেটা তাঁর ব্যপার।

২৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮

স্বতু সাঁই বলেছেন: তাহলে তো আসল হানফি খুঁজেই পাওয়া যাবে না। কারণ সারা দুনিয়াতে নকল হানাফিতেই গিজগিজ করছে। তাহলে আপনার কথৈর সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে না যে হানাফি মাযহাবই সর্ববৃহৎ মাযহাব।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আসল নকল খোঁজার এ কঠিন দায়িত্ব কেউ পালন করবে না। তা”ছাড়া মানুষের পক্ষে এটা সম্ভবও নয়। সুতরাং আসল নকল একত্রে হিসাব না করে উপায় নেই। তবে অন্য কোন দল আসল সনাক্ত করে তাদের দলও বৃহৎ প্রমাণ করতে পারবে না। সুতরাং শেষ পর্যন্ত আমার কথাই টিকে থাকছে।

২৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪

স্বতু সাঁই বলেছেন: তাই তালগাছটা দিয়ে গেলাম। বহুদিন পর আপনার ব্লগে এসে ভালই লাগলো, কারণ তালগাছটা ধরেই আছেন।

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি সমীহ করে তালগাছটা আমাকে দিয়ে গেলেন। আমি ধরে না রাখলে আপনাকে অসম্মান করা হয়।

২৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বেশ সুন্দর যুক্তি তর্কে সমৃদ্ধ পোষ্ট । পোষ্ট ও মন্তব্যগুলি দেখলাম । এগুলি পাঠে একজন পাঠক নীজেই মুল্যায়ন করে নিতে পারবেন নাজাতের সহজ পন্থা কোনটি । আল্লার বিধান মেনে চলা, সকাল সন্ধায় সালাত কায়েম করা , যাকাত দেয়া , সত্যপথে থাকা ইসলাম নিয়ে কোন ফিতনা না করা ও আমাদের প্রিয় নবীর উপর বেশী বেশী দুরুদ পাঠ করলে আল্লার রহমতে নাযাতের ব্যবস্থা আল্লাহ করবেন বলে বিশ্বাস । আসুন একবার দুরুদে ইব্রাহীম ও দুরূদ-ই-তুনাজ্জীনা পাঠ করে নেই :

দুরূদ-ই-ইব্রাহীম
হে আল্লাহ! আপনি আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) ও তাঁর পরিজনের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, যেভাবে বর্ষণ করেছেন ইব্রাহীম (আঃ) ও তাঁর এর পরিজনের প্রতি, নিশ্চই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ! আপনি বরকত নাযিল করুন, আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) ও তাঁর পরিজনের প্রতি যেভাবে আপনি বরকত নাযিল করেছেন ইব্রাহীম (আঃ) ও তাঁর এর পরিজনের প্রতি, নিশ্চই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত।

দুরূদ-ই-তুনাজ্জীনা
হে আল্লাহ! তুমি আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর ও তাঁর বংশধরগণের উপর নানাভাবে রহমত নাযিল কর এবং এ দুরূদের উসিলায় আমাদেরকে সকল বিপদাপদ হতে মুক্তি দাও এবং আমাদের সকল ইচ্ছা পূর্ণ কর, সকল পাপ কাজ হতে আমাদেরকে পবিত্র রাখ এবং আমাদেরকে তোমার কাছে সম্মানের উচ্চসনে স্থান দাও এবং আমাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে সকল প্রকার মঙ্গলের শেষ সীমায় পৌঁছে দাও, অবশ্যই তুমি সর্বশক্তিমান এবং সর্বোচ্চ দয়াবান, তোমার নিজ দয়ার আমাদের বাসনাসমূহ পূর্ণ কর।

আল্লাহ সকলের মঙ্গল করুন এ কামনাই রইল , অামীন ।

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এ পোষ্টের মূল অনুপ্রেরণা মূলত আপনি। যাক সভাপতি সবশেষে তাঁর মুল্যবান বক্তব্য রাখলেন। সেই সাথে রেখে গেলেন দু’টি মূল্যবান দূরুদ শরীফ। সুতরাং মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনার ও আপনার পরিবারের মঙ্গল করুন - আমিন।

২৯| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪৩

বলেছেন: ভীষণ ভালোলাগা--
শুভ কামনা নিরন্তর শুভ রাত্রি
অগ্রিম ঈদ মোবারক

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা জানাই প্রিয় কবি। ঈদ মোবারক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.