নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

মতামত বা মুক্তচিন্তা

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

‘আমি তোমার মতের সাথে একমত না-ও হতে পারি, তবে তোমার মতামতকে সমুন্নত রাখার জন্য প্রয়োজনে আমি জীবন বাজি রাখতেও রাজি আছি।’ জনৈক মনীষী এরকম একটা কথা বলে গেছেন।

কথা হলো ‘মত‘ বা ‘মতামত’ বা ‘মুক্ত চিন্তা’ বলতে আমরা কী বুঝি?

যে-কোনো বিষয়, ব্যক্তি বা দেশের উপর যুক্তিনির্ভর আলোচনার মূল উদ্দেশ্য হলো বক্ষ্যমাণ বিষয়ের উপর পরিষ্কার ধারণা লাভ করা এবং তদ্বারা সমাজকল্যাণকর পন্থা বা পদ্ধতিসমূহের অনুসন্ধান করা। কিন্তু পরিষ্কার ধারণা লাভ করার পরিবর্তে যখনই আমরা উক্ত বিষয়ের উপর নিজের কর্তৃত্ব ও আধিপত্য বিস্তার বা নিজের বিজয় লাভের উদ্দেশ্যে মরিয়া হয়ে উঠি, তখন আলোচনার মূল উদ্দেশ্য ব্যহত হয়।

মত বা মতামত বা মুক্ত চিন্তার অর্থ কোনো ব্যক্তি, দেশ বা গোত্র বা প্রতিষ্ঠিত কোনো বিশ্বাসকে আক্রমণ করা নয়। কাউকে গালিগালাজ করা বা কারো বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করা মতামত বা মুক্তচিন্তা নয়। কাউকে অপমানিত বা হেয় প্রতিপন্ন করা, বা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করাকে মুক্ত চিন্তা বলা হয় না।

রহিম মোল্লা একজন নাস্তিক। কারণ, তিনি একজন মুক্তচিন্তাবিদ, মুক্তমনা এবং বিজ্ঞানমনস্ক। অন্যদিকে সুমন চ্যাটার্জি মুক্তমনা নন, কারণ তিনি একজন আস্তিক। একজন ব্যক্তি নাস্তিক হলেই যে মুক্তমনা বা বিজ্ঞানমনস্ক হবেন, কিংবা আস্তিক হলেই তিনি মুক্তমনা নন; অন্যদিকে নাস্তিক না হলে মুক্তমনা বা বিজ্ঞানমনস্ক হওয়া যাবে না, কিংবা আস্তিকরা মুক্তমনা বা বিজ্ঞানমনস্ক নন- এ ধরনের মতামত ভুল এবং পক্ষপাতদুষ্ট। কেবল মূর্খেরাই এভাবে ভাবতে পারেন। এটা এরকম না যে, আস্তিকরা বিজ্ঞান পড়েন না, বা বিজ্ঞানীমাত্রই নাস্তিক। জ্ঞান আহোরণ এবং প্রতিভা বা মেধা বিকাশ ব্যক্তি-আকাঙ্ক্ষা বা ব্যক্তিগত কলা বা নৈপুণ্য।

আবার আস্তিক বা নাস্তিক হওয়া কোনো নির্দিষ্ট ধর্মগোষ্ঠীর জন্য প্রযোজ্য নয়। এটা যে-কারো ব্যক্তিবিশ্বাস। হয়তো প্রশ্ন উঠবে- নাস্তিকের আবার ধর্ম কী? নাস্তিকদের জীবনী পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে তারা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠীতে জন্মগ্রহণ করেছেন। জীবনের কোনো এক পর্যায়ে ধর্ম ত্যাগ করে নাস্তিক্য গ্রহণ করেছেন। তবে, বৃহত্তর অর্থে নাস্তিক্যবাদও একটা ধর্ম। আস্তিকতা যেমন একটা বিশ্বাস, নাস্তিকতাও তেমনি একটা বিশ্বাস।

আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে সবারই মতামত পেশ করার মৌলিক অধিকার রয়েছে। অন্যদিকে, মুক্ত চিন্তাবিদ বা মুক্তমনা কথাগুলো আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে সবার জন্যই প্রযোজ্য। এটা এরকম না যে, কেবল আস্তিকগণই মুক্তভাবে চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে সক্ষম, নাস্তিকগণ নয়। কে কতখানি চিন্তার গভীরে ঢুকতে পারেন তা নির্ভর করে তার নিজস্ব মেধা ও সেই মেধার প্রয়োগ ক্ষমতার উপর। ‘আমি একজন মুক্তমনা। আমি একজন মুক্ত চিন্তাবিদ। আমি একজন বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ।’ এসব স্ব-প্রশংসনীয় কথা বাতুলতা। কেউ যদি দাবি করেন ‘আমি খুব মেধাবী’, তা যেমন হাস্যকর, তেমনি নিজেকে ‘মুক্তমনা’, ‘মুক্তচিন্তাবিদ’ বা ‘বিজ্ঞানমনস্ক’ দাবি করা কৌতকপ্রদ ও লজ্জাকর। নিজের প্রশংসা নিজে করা যায় না; যারা করেন তারা গো-মূর্খ এবং গর্দভশ্রেণিভুক্ত। আপনি কতখানি সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা করতে পারেন, কতখানি মুক্তভাবে চিন্তার দিগন্ত অতিক্রম করতে পারেন, তা আপনার আলাপচারিতা, তথ্যউপাত্ত সমেত যুক্তি-প্রক্ষেপণ, সাধারণ্যে আপনার বক্তব্য কতখানি গ্রহণযোগ্য হলো, ইত্যাদির উপর নির্ভর করে। আপনার এডুকেশনাল ডিসিপ্লিন যাই হোক না কেন, আপনি আস্তিকই হোন বা নাস্তিকই হোন, বিজ্ঞানের আলোকে নিজের চিন্তাভাবনাকে পরিচালিত করাই বিজ্ঞানমনস্কতার লক্ষণ। আপনি যেমন বিজ্ঞানমনস্ক হতে পারেন, তেমনি যুগপৎ একজন দার্শনিকও হতে পারেন। একজন মানুষের পক্ষে যেমন সব ধরনের নেগেটিভ বৈশিষ্ট্য ধারণ করা সম্ভব, তেমনি সকল মানবীয় গুণাবলিও একজন মানুষের মধ্যে থাকা অসম্ভব নয়।

আমার আদর্শের সাথে আপনার আদর্শের মিল নাও থাকতে পারে। আমার আদর্শগত ত্রুটি আপনার দৃষ্টিগোচর হয়ে থাকলে ত্রুটিগুলো আমাকে ধরিয়ে দিন এবং আমাকে শোধরানোর সুযোগ দিন। তবে এমনও হতে পারে, যেগুলো আপনার চোখে ত্রুটি মনে হচ্ছে সেগুলো আমার বা সাধারণ মানুষের চোখে ত্রুটি নয়। আপনার কনভিনসিং পাওয়ার এবং আমার অ্যাকসেপ্টেনস পাওয়ার ভালো হলে সমস্যা মিটে যাবে। তবে, আমাকে কনভিন্‌স করতে আপনি ব্যর্থ হয়ে আমার আদর্শ বদলে ফেলার জন্য আপনি চাপ প্রয়োগ করতে পারেন না। তেমনি আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালজ করতে পারেন না, এবং আমার আদর্শকেও আপনি ঘৃণ্য ভাষায় কটূক্তি করতে পারেন না। যদি করেন, তাহলে আপনি বিদ্যমান শান্তি বিনষ্ট করার জন্য অপরাধ সংঘটন করলেন। আপনি নিজে উত্তেজিত হলেন এবং আমাকেও উত্তেজিত হওয়ার জন্য প্রণোদনা বা প্ররোচনা সৃষ্টি করলেন। আপনি একজন উসকানিদাতা।

আমরা কখনো কখনো উদ্দেশ্যমূলক ভাবে কোনো ব্যক্তি, বিষয়, গোষ্ঠী বা আদর্শকে আক্রমণ করে থাকি। এগুলো খুব ভেবেচিন্তে যেমন করা হয়, তেমনি কখনো কখনো বিষয়ের উপর পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকায়, কিংবা বাগ্মিতায় অপুটু হওয়ার কারণে, কিংবা কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে তোষামুদি করে মুখ ফসকে কিছু বেফাঁস কথা বলে ফেলি। যেমন, মিতা হক যখন বলেন, যেসব মহিলা ঘোমটা পরে তারা আর যাই হোক, বাঙালি নয়। তার ভিডিও ক্লিপ দেখতে দেখতে মনে হয় তিনি এসব বিষয়ে যথযথ জ্ঞানের অধিকারী নন। তিনি আলোচনার সময় মোটামুটি অপ্রতিভ ছিলেন এবং যাও দু-চারটা কথা বলছিলেন, খুব অগোছালোভাবে বলছিলেন। স্রেফ আলোচনায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যেই বেশ জড়তা বা তোতলামি করে কথা বলার প্রাক্কালে হঠাৎ এ বেফাঁস কথাটি তাঁর মুখ থেকে বেরিয়ে যায়। নিজের ভিডিও দেখার পর নিজের বিবেকের কাছে তিনি নিশ্চয়ই অপরিসীম লজ্জা বোধ করেছেন, আমার বিশ্বাস। আপনারা জানেন, কোনো টক শোতে আপনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে না পারলে পরবর্তীতে আর ডাক পাবেন না। নিজের সক্রিয়তা বজায় রাখতে গিয়ে মিতা হকের কপালে এ বিপত্তি ঘটেছিল বলে আমি মনে করি।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কালে ‘মুক্ত চিন্তা’ বা ‘মুক্ত মনা’ হিসাবে আমরা যা দেখতে পাচ্ছি, তা পুরোপুরি মুক্ত চিন্তা বা মুক্তমনাসুলভ আলোচনা নয়। এদের বেশিরভাগই হলো ব্যক্তি আক্রমণ, কুৎসা রটনা এবং অন্যের উপর আধিপত্য বা বিজয় লাভের প্রচেষ্টা। এ আলোচনায় যারা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় তারা উভয়েই হয় মুক্তান্ধ, অথবা ধর্মান্ধ।

‘মুক্তান্ধ’ কোনো প্রতিষ্ঠিত বা আভিধানিক শব্দবন্ধ নয়, এটি আমার কথা। ‘মুক্ত চিন্তা’, মুক্ত বুদ্ধি বা মুক্ত মনা নামে যারা অন্যের মতামতের কোনো গুরুত্ব না দিয়ে একচেটিয়াভবে কেবল নিজেদের কথা অপরের মস্তিষ্কে ইনজেক্ট করার চেষ্টা করেন, অপর পক্ষকে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করেন, আমার কাছে তাদেরকে ‘অন্ধ’ মনে হয়; তারাই মুক্তান্ধ। ‘ধর্মান্ধ’ শব্দের ব্যাখ্যা আমরা সবাই জানি।

মুক্তান্ধ এবং ধর্মান্ধ- দু গোষ্ঠীই সাম্প্রদায়িক উসকানির জন্ম দিয়ে থাকে। আমাদের দেশের অনেকের ধারণা যে, ইসলাম ধর্ম, মুসলমান জনগোষ্ঠী এবং হজরত মুহম্মদ (সঃ)-এর সম্পর্কে সমালোচনা, ত্রুটি অনুসন্ধান, কুৎসা রটনা, অসত্য ও আপত্তিকর কাহিনি রচনা ও প্রোপাগান্ডার নামই হলো মুক্তবুদ্ধির চর্চা। তারা মনে করেন যে, আস্তিক মানেই মৌলবাদী এবং মৌলবাদী অর্থই হলো সন্ত্রাসী। তারা ধর্ম সংক্রান্ত আলোচনাকে কূপণ্ডকতা মনে করেন, আর নাস্তিক হওয়া বা নাস্তিক্যবাদের অনুসারী হওয়াকে প্রগতিশীলতা বা মুক্তমনা বিবেচনা করেন। কাউকে যা খুশি বলা মানেই তারা বাক্স্বাধীনতা মনে করেন।

আস্তিকদের বিরুদ্ধাচরণ করাই মুক্তবুদ্ধিচর্চা নয়। অকথ্য ভাষায় অপর পক্ষকে গালিগালাজ করাকে বাক্স্বাধীনতা বলা যায় না। নাস্তিক মানেই মুক্তমনা নয়।

মুক্তমনা বা মুক্তবুদ্ধিচর্চার জন্য আপনাকে আলোচ্য বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান থাকতে হবে। সেই জ্ঞান না থাকলেই আপনি কূপমণ্ডক বা সংকীর্ণমনা- আপনি নাস্তিক বা আস্তিক যাই হোন না কেন। আপনার অর্জিত জ্ঞানকে যুক্তিনির্ভর বক্তব্য দ্বারা অপর পক্ষের বক্তব্যের সাথে তুলনা করতে হবে। আপনার মধ্যে অপর পক্ষের যুক্তিসমূহ শ্রবণ, অনুধাবন, উপলব্ধি ও বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে। আপনাকে ধৈর্যশীল ও পরমতসহিষ্ণু হতে হবে। অপর পক্ষের কাজ থেকে শিখবার এবং অপরের বক্তব্য মেনে নেবার ক্ষমতা আপনার মধ্যে থাকতে হবে। অর্জিত জ্ঞান জনহিতকর কাজে ব্যবহার করাই হলো জ্ঞানার্জনের মূল লক্ষ্য। আপনাকে আপনার বিবেক দ্বারা পরিচালিত হতে দিন।

মুক্ত চিন্তাবিদ বলতে এ পর্যন্ত যাদের সাক্ষাৎ পেয়েছি তাদের চিন্তা হয়তো অনেক মুক্ত বা জ্ঞানগরিমাও হয়তো অনেক বেশি, কিন্তু তা তারা ব্যবহার করছেন ইসলামের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার মাধ্যমে। থাবা বাবা হযরত মুহম্মদ (সঃ)-কে মোহাম্মক (মোহাম্মদ+আহাম্মক), এবং অভিজিৎ রায় মহাউন্মাদ (মোহাম্মদ+উন্মাদ) বলতেন। এর নাম মুক্ত আলোচনা বা ‘মতামত’ নয়; এগুলো হলো ইসলামের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক কথা। তাদেরকে আমার নাস্তিক মনে হয় না, ইসলাম বিদ্বেষী মনে হয়। ভিতরে ভিতরে তারা ঠিকই আস্তিক্যবাদে বিশ্বাসী বলে আমি মনে করি। ইসলাম বিদ্বেষ দ্বারা তারা পশ্চিমা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ ও দয়াদাক্ষিণ্য বা করুণা কামনা করেন, যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ তসলিমা নাসরিন ও আসিফ মহিউদ্দিন। এরা ইসলাম, মুসলিম, কোরান আর হজরত মুহম্মদ (সঃ)-কে যেভাবে অপমান করে কথা বলেন, অন্য কোনো ধর্ম বা গোষ্ঠীকে সেভাবে কখনো আক্রমণ করেন নি। তাহলে কি ইসলামকে আক্রমণের নামই কি মুক্তমনা বা মুক্ত চিন্তাবিদ হওয়া?

যে মনীষীর কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম, শেষ করি সেই কথাটি দিয়েই। ‘আমি তোমার মতের সাথে একমত না-ও হতে পারি, তবে তোমার মতামতকে সমুন্নত রাখার জন্য প্রয়োজনে আমি জীবন বাজি রাখতেও রাজি আছি।’ গোঁড়ামি বা উগ্রতা সমাজে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে। আমি আমার ধর্মবিশ্বাস দ্বারা পরিচালিত হবো। আল্লাহ আছেন- যিনি এটা অবিশ্বাস করেন, আমার ক্ষমতা দ্বারা যদি তাকে কনভিন্স করতে পারি, তিনি অবশ্যই আল্লাহর পথে ফিরে আসবেন; যদি না পারি তাহলে সেটা আমার ব্যর্থতা; তিনি যেন তার বিশ্বাস বুকে ধারণ করে নিরাপদে জীবন যাপন করতে পারেন, সে ব্যাপারে আমার প্রাণপণ চেষ্টা থাকতে হবে। কিন্তু তার জীবন হরণ করার ক্ষমতা আমার আল্লাহ আমাকে দেন নি। যদি তা করি, তাহলে আমি একজন উগ্রপন্থী। একজন উগ্রপন্থী আস্তিক আর তথাকথিত নাস্তিক মুক্ত চিন্তাবিদের মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখি না।

আসুন, আমরা ‘মুক্তান্ধতা’ ও ‘ধর্মান্ধতা’ পরিহার করে প্রকৃত মুক্তমনা বা প্রকৃত ধর্মবিশ্বাসী হই; যুক্তি নির্ভর আলোচনার মাধ্যমে দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য সঠিক পথের অনুসন্ধান করি।

০৮ আগস্ট ২০১৫

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ‘মুক্তান্ধতা’ ও ‘ধর্মান্ধতা’ পরিহার করে প্রকৃত মুক্তমনা বা প্রকৃত ধর্মবিশ্বাসী হই ।সহমত ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই। শুভেচ্ছা।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের সবার উচিত নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা। ফেইসবুকে আমাদের ঠিকানা সম্বলিত কোনো পোস্ট না দেয়া, বেসিক ইনফরমেশনে নিজেদের ঠিকানা না দেয়া, বা দিলেও ‘অনলি মি’ করে রাখা উচিত।

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০২

লেখোয়াড়. বলেছেন:
সত্যি কথা বলতে কি, আজ সকালে আপনার কথা ভাবছিলাম।
আপনার নিকট থেকে এই রকমই একটি পোস্ট আশা করছিলাম।
একবার ভেবেছিলাম আপনার এখানে এসে বলে যাব কিনা।
কারণ আপনি একজন স্বনামধন্য ব্লগার তাই আমার আশা একটু বেশি।

যাক, আমার সে আশা আপনি পুরণ করে দিলেন।
মনটা খুব খারাপ তাই বেশি কিছু বলতে পারছি না।
শুধু ভাললাগা জানিয়ে গেলাম। প্রথম +

ভাল থাকুন সোনাবীজ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুব ভালো লাগলো যে আজ সকালে আমার কথা ভাবছিলেন। আপনার মনের আশা পূরণ করতে পেরেছি জেনে আরও ভালো লাগছে। সবকিছুর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০৪

হামিদ আহসান বলেছেন: সহমত .........

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ হামিদ আহসান ভাই। শুভেচ্ছা।

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

আমিনুর রহমান বলেছেন:



সহমত। অভিজিৎ রায়ের হত্যার পরও আপনি চমৎকার একটা লিখা লিখেছিলেন। খলিল ভাই মুক্তমনা মানে আপনার কাছে যা আমার কাছেও তাই । কিন্তু তথাকথিত মুক্তমনাদের কাছে তা নয়। সদ্য মুক্তমনা অনন্য আজাদ (হুমায়ূন আজাদের সন্তান) এর একটি স্ট্যাটাসের সারমর্ম ছিলো "তার পিতাকে এখন এমন মানুষ সমালোচনা করে যারা তার পিতার নামের বানানটাও ঠিক মতো করতে পারে না। শত শত বছরে একজন হুমায়ূন আজাদ জন্মায়।" তাছাড়া সামুতেও সে বাক স্বাধীনতা নিয়ে বাক স্বাধীনতার কোন সীমারেখা নেই নামে একটি পোষ্ট দিয়েছে। স্ট্যাটাসে পিতা নিয়ে সমালোচনার ক্ষোভ আর অন্যদিকে বাক স্বাধীনতা মানে তুই যা খুশি ইচ্ছে বলো। অবাক লাগে শালীন ভাষায় পিতার সামান্য সমালোচনায় তার এতো কষ্ট লাগে। কিন্তু অশালীন ভাষায় আল্লাহ ও হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর নামে যখন বাজে ভাষায় সমালোচনা করলে সমস্যা নাই। তারা মুক্ত মনা তাই তারাই শুধু বাজে কথা বলার রাইট রাখে সাধারণরা বললে সেটা কটু কথা।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এরাই হলো প্রকৃত সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতা। তারাই পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে। যাই হোক, আমি তার বাকস্বাধীনতার ডেফিনিশনে বিশ্বাসী না, এবং ‘যা খুশি তাই বলা’ কোনো বাকস্বাধীনতা হতেও পারে না।

অনেক ধন্যবাদ আমিনুর ভাই বিশদ মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা।

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

আবু শাকিল বলেছেন: সহমত ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আবু শাকিল ভাই। ভালো থাকবেন।

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: যাদের উদ্দেশ্যে লেখা, তারা এসব বুঝলে তো আজ এইসব ঘটনা দেখতে হত না। :(

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, আল্লাহ যেন সবাইকে ধৈর্যশীল ও সহনশীল হবার তৌফিক দান করেন। আমিন।

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

সুমন কর বলেছেন: প্রতিটি কথার সাথে পূর্ণ সহমত। এতো সুন্দর গুছিয়ে, সহজ ভাষায় যুক্তিসহকারে আর বলা কিংবা লেখা সম্ভব নয়। প্রতিটি সচেতন মানুষের মনের কথা।

কিন্তু যাদের পড়া, শোনা কিংবা বোঝার দরকার তারা কি তা করবে !!!

অনেক অনেক ভালো লাগা।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি মনে করি, ব্লগে পোস্ট মডারেশনের ব্যবস্থা থাকা জরুরি হয়ে পড়ছে, যাতে যে-কোনো উসকানিমূলক পোস্ট, বিতর্ক, কমেন্ট সেন্সর করা হয়। ফেইসবুকেও এটা সম্ভব কিনা জানি না, তবে সরকার ইচ্ছে করলে ফেইসবুক মনিটরিঙের ব্যবস্থাও করতে পারে।

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সুমন ভাই। ভালো থাকবেন।

৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:২৪

পালের গোদা বলেছেন: "মত বা মতামত বা মুক্ত চিন্তার অর্থ কোনো ব্যক্তি, দেশ বা গোত্র বা প্রতিষ্ঠিত কোনো বিশ্বাসকে আক্রমণ করা নয়। কাউকে গালিগালাজ করা বা কারো বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করা মতামত বা মুক্তচিন্তা নয়। কাউকে অপমানিত বা হেয় প্রতিপন্ন করা, বা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করাকে মুক্ত চিন্তা বলা হয় না।"

এই কথাটা সবখানে দেখতে দেখতে কাহিল হয়ে গেলাম। আপনি লিখেছেন মুক্ত চিন্তার অর্থ কোনো ব্যক্তি, দেশ বা গোত্র বা প্রতিষ্ঠিত কোনো বিশ্বাসকে আক্রমণ করা নয়। কিন্তু কখনো কখনো (ইসলামের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ে) মানুষের সাধারন মতামতটাই অন্যের কাছে আক্রমণ হয়ে যায়। যেমন ধরুন, গ্যালিলিও যখন প্রথম বলল যে পৃথিবীটা গোল, তখন ত্ৎকালীন খৃষ্টানদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত লেগেছিল, কারন গ্যালিলিওর কথা সত্য হলে তাদের ধর্মগ্রন্থ মিথ্যা হয়ে যায়। অর্থাৎ গ্যালিলিও যা বলছিল তা তাদের ধর্মবিশ্বাসের বিরুদ্ধে যাচ্ছিল। ফলে তারা গ্যালিলিওকে কারারুদ্ধ করেছিল (অন্তত আজকের বরবরদের মত চাপাতি চালায়নি)। তাহলে আপনার কথা অনুযায়ী, যেহেতু সেই সময়ে সেই কথায় তাদের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বাস আক্রান্ত হচ্ছিল, কাজেই গ্যালিলিওর উচিৎ হয়নি পৃথিবীকে জানানো, যে পৃথিবীটা গোল? কারো বিশ্বাসে আঘাত লাগবে কাজেই মানুষ যা মনে করে তা বলতে পারবে না? সকল মানুষ যদি এভাবে ভাবতো তাহলে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা ১৪০০ বছর আগেই থেমে যেত আর আমরা আজো মনে করতাম যে পৃথিবীটা সমতল।

আচ্ছা আপনার কথা ধরেই একটা প্রশ্ন করি। মুহম্মদ তো আপনাদের কাছে নবী। অমুসলিমদের কাছে তো সে কেবলই একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তি, যার একমাত্র স্পেসিয়েলিটি এই যে সে অত্যন্ত সফল একজন লীডার। অনেকটা আলেক্জান্ডারের মতো। আলেক্জান্ডারকে নিয়ে কিন্তু নানা ইতিহাসবিদের নানা বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। যেমন ধরুন অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন যে আলেক্জান্ডার ব্যক্তিগত জীবনে সমকামী ছিল। এবং তা নিয়ে তর্কবিতর্ক চলে। কেউ কিন্তু সেটাকে গালি মনে করছে না। কিন্তু ধরুন, কোন অমুসলিম, যার কাছে কিনা মুহম্মদ কেবলই একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তি, যদি মুহম্মদ সম্পর্কে যতটুকু জেনেছে বুঝেছে, তার ভিত্তিতে এই মতে উপনিত হয়, যে মুহম্মদ একজন বরবর, লম্পট ও শিশুকামি ছিল (আমি যদির কথা বলছি, আবার এটাকে আমার বক্তব্য মনে করে আমাকে হিটলিস্টে দিয়েন না), তখন সেই মত সে প্রকাশ করলে তা কি আপনারা মেনে নেবেন? এটা তো গালি নয়, একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তির সম্পর্কে সত্যিকার অর্থে একজনের মতামত মাত্র। সেটা আপনাদের পছন্দ না হলেও সেটা তার মত। এদেশের মেজরটির সেই মত অপছন্দ, তাই বলে কি সে তার মত প্রকাশের স্বাধীনতা পাবে না? যদি না পায় তাহলে বলতে হবে যে এদেশে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। আমি যদি আপনাকে বলি, কেবল যে কথা বললে আমার খারাপ লাগবে, সেই কথা বাদে বাকি সব কথা বলার স্বাধীনতা আপনার আছে, তাহলে সেটাকে আর যাই হোক স্বাধীনতা বলা যাবে না।

আচ্ছা একটা কথা বলুন তো, আপনাদের নবী যখন মক্কা বিজয় করল, তখন যে কাবার ৩৬০টি মুর্তি ভেংগে দিল, তখন কি মক্কাবাসী যারা এইসব মুর্তি পুজো করত, তাদের ধর্মানুভুতিতে কি আঘাত লাগেনি? আপনাদের নবীকে নিয়ে কোন খারাপ কথা বললেই যেখানে এত মহা আঘাত লেগে যায়, সেখানে আপনাদের নবীতো ঐসব মুর্তি নিয়ে কেবল কটু কথা বলেনি, সরাসরি ভেংগে দিয়েছে। নাস্তিকরা কিন্তু কেবল লিখছে মাত্র, আপনাদের কোন মসজিদের কোনাও তারা ভাংগেনি। এবং কেউ আপনাদেরকে বাধ্য করছেনা সেসব লেখা পড়তে। অর্থাৎ এসব লেখা স্রেফ এড়িয়ে গেলে এগুলোর কোন প্রভাব আপনাদের জীবনে নেই। তারপরেও সেটা হয়ে গেছে আঘাত, যা মহা অন্যায়, অথচ অাপনাদের নবী অন্য ধর্মের সব মুর্তি ভেংগে দিল কিন্তু সেটি পুরোপুরি ন্যয় হয়েছে? ব্যাপারটা একটু হিপক্রিসি হয়ে গেলো না? আপনি হয়ত বলবেন মুসলিমদের সাথে কাফেরদের যুদ্ধ চলছিল তাই যুদ্ধ সময়কার কথা আলাদা। কিন্তু যুদ্ধ তো সকল মক্কাবাসির সাথে হয়নি। যেসব মক্কাবাসি নিরপেক্ষ ছিল এবং যুদ্ধ করেনি তাদের ধর্মানুভুতির কি হবে? আসলে ইসলাম একটা টোটালিটারিয়ান ধর্ম, এটা আপনাদের নবী এবং ৪ খলিফার কাজকর্ম দেখলেই বোঝা যায়। বাই দ্য ওয়ে, এটা কেবল আমার মত। কারো বিশ্বাসকে আক্রমণ করার জন্য বলছিনা। নিজের মতটা প্রকাশ করছি মাত্র।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিশদ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

উত্তেজিত হবার মতো কিছু বলেন নি, বরং উত্তেজনা যাতে সৃষ্টি হতে না পারে সে ব্যাপারে আপনি খুব সতর্ক এবং যত্নবান ছিলেন। এতে কোনো সমস্যা দেখি না।

আমাদের দেশে যেটা দেখতে পাচ্ছি তা হলো, ইসলাম, কোরান, মুসলমান এবং হজরত মুহম্মদ (সঃ) সম্পর্কে সমালোচনা বা কুৎসা রটনাই যেন মুক্তমনা হওয়ার লক্ষণ। পৃথিবীতে আরও ধর্ম আছে, সেইসব ধর্মের অবতারও আছেন। তাদের নিয়ে তেমন কিছু বলতে দেখা যায় না। নাস্তিক হওয়া যেন একটা ফ্যাশন, এবং নাস্তিক হলেই ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে কেন? বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীরা ইসলামের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগেন নি কখনো; তাদের ধর্ম, ধর্মাবতার বা আল্লাহর অস্তিত্ব নিয়ে কোনো মাথা ব্যথাই নেই। আমাদের নাস্তিকদের অবস্থা দেখুন। রাজীব হায়দারের কিছু পোস্ট পড়লে তো বিবমিষা হয়; অভিজিৎ রায়কে তার মৃত্যুর আগে নাম শুনি নি; কিন্তু মৃত্যুর পর হজরত মুহম্মদ (সঃ) এবং মুসলমান ও ইসলাম সম্পর্কে যা বলেছেন তা শুধু ধর্মান্ধই নয়, যে-কোনো সাধারণ মানুষকেও আঘাত করবে।

হজরত মুহম্মদ (সঃ) আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসুল। আল্লাহর সর্বশেষ মনোনীত ধর্মের নাম ইসলাম, যা সমগ্র মানব জাতির জন্য প্রযোজ্য। তাঁর আগমনের বার্তা বাইবেল, গীতা, মহাভারতসহ সবগুলো ধর্মগ্রন্থেই উল্লেখ ছিল। এ নিয়ে গবেষণা কম হয় নি। ইসলামে মূর্তিপূজা শিরক হিসাবে বিবেচিত। হজরত মুহম্মদ (সঃ) মূর্তি ভেঙ্গেছেন, মূর্তিপূজকদের মটিভেট করেছেন ইসলামের ছায়াতলে আসার জন্য। কেউ এসেছে, কেউ আসে নি। কিন্তু হজরত মুহম্মদ (সঃ) কখনো ধর্মের নামে কোনো মানুষ খুন করেন নি।

পশ্চিমা বিশ্বের নাস্তিকরা সেইসব দেশের ধর্ম আর ধার্মিকদের নিয়ে ব্যস্ত আছেন, এমন সংবাদ আমরা পাই না। ধর্মের পেছনে লেগে থাকা তাদের কাজও না। আর আমাদের নাস্তিকদের প্রকৃত কাজই হলো ধর্ম, বিশেষ করে ইসলামের পেছনে লেগে থাকা, যা থেকে কনফ্লিক্ট শুরু হয়।

ভালো থাকবেন।

৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৫১

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: @ পালের গোদা মত প্রকাশ এবং স্বাধীনতা দুইটি ভিন্ন শব্দ। স্বাধীনতা মানে যা ইচ্ছে তাই করা যদি আপনি বুঝিয়ে থাকেন তবে আপনার অভিধানে সংশোধন দরকার, এইটা আমার "মত"। আপনি যদি এই বিষয়টা সহজ ভাবে নিতে না পারেন, তবে আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতায় আপনার সমস্যা আছে। তারমানে আপনার সাথে প্রতিক্রিয়াশীল মানুষ গুলোর কি কোন পার্থক্য থাকছে তাহলে? রাসুল সা: যা করেছেন তা আপনার কাছে ভুল মনে হয়েছে আমার কাছে ঠিক মনে হয়েছে। কিন্তু দুটি বিপরীত ধর্মি মত একই সময়ে ঠিক হতে পারে কি? তারমানে কেউ একজন ভুল, হয় আপনি নাহয় আমি; সত্য একটাই। হয় আমারটা নাহয় আপনারটা। তারমানে ৫০ ভাগ সম্ভাবনা আছে আপনি ভুল বলেছেন। ভুল বিষয়ে ভুল মত দিয়ে সেটাকে স্বাধীনতা বলাটাও তাই ভুল হবার সম্ভাবনা ৫০ ভাগই কিন্তু। তাই মত প্রকাশ না করাটাই ১০০ ভাগ ঠিক, অথবা উগ্র বাদই ১০০ ভাগ ঠিক। অথবা যেকোন একটা ঠিক হবার সম্ভাবনাও ৫০ ভাগ। আপনি বুঝছেন আমি ভুল যক্তি দিচ্ছি, এটা আসলে একটা ভুল বিশ্লেষ, তবু আমি বলব এটাই আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতা; যেটা ১০০ ভাগ অথবা ৫০ ভাগ ভুল। এখন আপনি বলুন ঠিক কি?

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ এই সব দিন রাত্রি।

১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৫৫

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: চমতকার পোস্ট। একেবারে মনের ধারেকাছের কথাগুলোই আপনার থেকে পেলাম

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ শতদ্রু।

১১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:০২

কালো যাদুকর বলেছেন: ব্যাপার হল কি, আজকাল বিশ্বে দুভাগে মতামত প্রকাশের ট্রেন্ড দেখা যায়।
একদল সত্যিকার ভাবে মতামত প্রকাশ করেন। ধরা যাক ধর্ম নিয়ে আলচনা হচ্ছে, এই জাতীয় লোকেরা যা বিশ্বাস করেন, তাই অবলিলায় লিখে যান- পক্ষে বা বিপক্ষে। লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এঁরা, সাধারনত কারো অনুভুতিতে আঘাত করেন না, সুধু নিজের যুক্তি তুলে ধরার চেস্টা করেন। সেটা ধর্মিয় বা যেকোন অনুভুতি হোক না কেন।
অন্যপক্ষে, কিছু লোক আছেন, যারা যুক্তির ধার ধারেন না। ওনাদের কিছু এজেন্ডা থাকে। ওনারা এজেন্ডা মেনে -পক্ষে বা বিপক্ষে- বক্তব্য দিয়ে থাকেন। মুক্ত চিন্তা আর এজেন্ডা- এরা তো আর হাতে হাত ধরে চলে না। অনেক সময়, মুক্ত চিন্তা আর এজেন্ডার পার্থক্যও বোঝা মুশকিল হয়ে যায়। ফলাফল হল অবধারিত- যুদ্ধ।
তবে যুদ্ধটা কিন্তু হয় এজেন্ডাওয়ালাদের মধ্যেই। আরো খোলাশা করে, উদাহরন দিয়ে, বললে বলতে হয়, ইসলাম ধর্ম বিদ্বেশি এজেন্ডাওয়ালার এট্যাক করেন- যথারীতি, ইসলাম ধর্মান্ধ এজেন্ডাওয়ালা জবাব দেন।
কিন্তু, এটা ভুলে গেলে চলবে না, ব্লগে লেখালিখি করেন সবাই, মুক্ত মনের প্রকৃত ব্লগাররা। আবার এজেন্ডাওয়ালা ব্লগাররাও মিশে আছেন এখানে।
কাজেই, আমার মনে হয়, এজেন্ডাওয়ালা ব্লগারদের কারনে- যে এপিসড গুলো তৈরি হচ্ছে, তা লিখে বন্ধ হবে না।
এগুলো চলতেই থাকবে। যারা জেগে ঘুমান, তাদের কিভাবে জাগাবেন।
আজ অনেকদিন হল-এই এজেন্ডাওয়ালা লেখকদের প্রাধ্যান্যই দেখছি- বিশ্ব গনমাধ্যমে- সেখানে আপনি আর আমিতো জাস্ট একটা "নিক" মাত্র।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কালো যাদুকর।

১২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:১৩

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: মুক্তান্ধ এবং ধর্মান্ধ- দু গোষ্ঠীই সাম্প্রদায়িক উসকানির জন্ম দিয়ে থাকে... ১০০% সহমত!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মাঘের নীল আকাশ।

১৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৫০

জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: মুক্তান্ধ আর ধর্মান্ধ।

একটু আপত্তি আছে। মানুষ ধর্মান্ধ হতে পারে, কিন্তু মুক্তান্ধ হতে পারে না।
পারে অতি বিদ্বেষী। অতি বাচাল। অতি প্রতিক্রিয়াকারী।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি মনে করি মানুষ ‘মুক্তান্ধ’ও হতে পারে। ধন্যবাদ।

১৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারণ কাজ!

অবশ্যই প্রিয়তে।

হায় তারা যদি তাদের কূপমন্ডুকতাকে বুঝত!! অবশ্য যখন টার্গেট থাকে জার্মানী বা ইউরোপের যে কোন দেশের ভিসা! সিটিজেনশীপ!!! তখন দায় বড় বালাই! তাসলিমা থেকে আসিফ বা আরিফ সবাই ইউরোপে আয়েশী জীবনেই আছে!
এখন সেই লক্ষ পূরণেই বোধকরি তারা মুক্তমনা হতে পারুক না পারুক ইসলাম বিরোধীতাটুকু শতভাগ সাফল্যের সাথে করতে পারে!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ভৃগু।

১৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

প্রামানিক বলেছেন: খারাপ জাতীয় অন্ধতা বন্ধ করে সকলকেই মুক্ত হওয়া দরকার। ধন্যবাদ

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

১৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০১

নীলপরি বলেছেন: ভালো ।আসলে নিজের বিশ্বাস নিজের কাছে। তবে অন্যের বিশ্বাসকে আঘাত করা উচিত নয়।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ নীলপরি।

১৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯

মিতক্ষরা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। ধর্ম বিদ্বেষী ব্লগার হত্যার যে সিলসিলা শুরু হয়েছে তা বন্ধে আইনী পদক্ষেপের পাশাপাশি সচেতনতাও অত্যন্ত জরুরী।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মিতক্ষরা। শুভেচ্ছা।

১৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

জেন রসি বলেছেন: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কথাগুলোই বলতে ইচ্ছে করছে।

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখ দ্বিতীয় বিদ্যায়।
বরং বিক্ষত হও প্রশ্নের পাথরে।
বরং বুদ্ধির নখে শান দাও, প্রতিবাদ করো।
অন্তত আর যাই করো, সমস্ত কথায়
অনায়াসে সম্মতি দিও না।
কেননা, সমস্ত কথা যারা অনায়াসে মেনে নেয়,
তারা আর কিছুই করে না,
তারা আত্মবিনাশের পথ
পরিস্কার করে।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দুর কথা বলা যাক।
শুভেন্দু এবং সুধা কায়মনোবাক্যে এক হতে গিয়েছিল।
তারা বেঁচে নেই।
অথবা মৃন্ময় পাকড়াশি।
মৃন্ময় এবং মায়া নিজেদের মধ্যে কোনো বিভেদ রাখেনি।
তারা বেঁচে নেই।
চিন্তায় একান্নবর্তী হতে গিয়ে কেউই বাঁচে না।
যে যার আপন রঙ্গে বেঁচে থাকা ভাল, এই জেনে-
মিলিত মৃত্যুর থেকে বেঁচে থাকা ভাল, এই জেনে-
তা হলে দ্বিমত হওঁ। আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
তা হলে বিক্ষত হও তর্কের পাথরে।
তা হলে শানিত করো বুদ্ধির নখর।
প্রতিবাদ করো।
ঐ দ্যাখো কয়েকটি অতিবাদী স্থির
অভিন্নকল্পনাবুদ্ধি যুবক-যুবতী হেঁটে যায়।
পরস্পরের সব ইচ্ছায় সহজে ওরা দিয়েছে সম্মতি।
ওরা আর তাকাবে না ফিরে!
ওরা একমত হবে, ওরা একমত হবে, ওরা
একমত হতে-হতে কুতুবের সিঁড়ি
বেয়ে উর্ধ্বে উঠে যাবে, লাফ দেবে শূন্যের শরীরে।

১৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: "পৃথিবীতে আরও ধর্ম আছে, সেইসব ধর্মের অবতারও আছেন। তাদের নিয়ে তেমন কিছু বলতে দেখা যায় না। "

শোনেন আমি ভারতে থাকি। আর আমাদের দেশে হিন্দু ধর্ম কে টার্গেট করেই নাস্তিকেরা লেখে।

ইউরোপের নাস্তিকেরা ক্রিচিয়ান ধর্মের পিছনে লাগে।

আর বাংলাদেশে ইসলাম কে টার্গেট করবে এটাই স্বাভাবিক।


"পশ্চিমা বিশ্বের নাস্তিকরা সেইসব দেশের ধর্ম আর ধার্মিকদের নিয়ে ব্যস্ত আছেন, এমন সংবাদ আমরা পাই না।"


জি আপনি জানেন না।

ফ্রান্স এ চার্চের রক্ষণশীল মনোভাবের জন্য মেয়েরা চার্চের সামনে উলঙ্গ হয়ে প্রতিবাদ করে। বাংলাদেশের নাস্তিকরা তো ওদের কাছে বাচ্চা।

স্বীকার করুন আপনাদের সহনশীলতার অভাব ,যুক্তির অভাব ,মানবিকতার অভাব।

বর্তমান মুসলিম বিশ্বের এই চূড়ান্ত অস্থিরতার জন্য আপনাদের মতো ধরি মাছ না ছুই পানির মডারেট মুসলিম রাই দায়ী।

আমি একজন হিন্দু। আমি গরুর মুত্র পানের কোনো যৌতিকতা দেখতে পাই না ,তেমনি আপনারও উচিত আপনার ধর্মের অযৌতিক দিক গুলো বোঝা।


আপনি বুঝবেন না কারণ আপনার মতে "আল্লাহর সর্বশেষ মনোনীত ধর্মের নাম ইসলাম, যা সমগ্র মানব জাতির জন্য প্রযোজ্য। তাঁর আগমনের বার্তা বাইবেল, গীতা, মহাভারতসহ সবগুলো ধর্মগ্রন্থেই উল্লেখ ছিল। এ নিয়ে গবেষণা কম হয় নি।"

আপনি ধরেই নিয়েছেন উহাই এক এবং একমাত্র সত্য।

মুক্ত চিন্তা মানে হলো আমার চিন্তার কোনো বাধা নেই ....তাতে যদি আপনার কোমল ধর্মানুভুতি ,দেশঅনুভুতি ,জাতি অনুভুতিতে আঘাত লাগে তবে আমি মুক্তান্ধ নই,বরং একজন মুক্ত চিন্তক।

২০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
সময়োপযোগী দায়িত্বশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট! +++
ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।

মানবতার জয় হোক। ধন্যবাদ সোনাবীজ ।

২১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:০২

মেধাহীন মেধাবী বলেছেন: টু বিদ্বেষী, আমরা তো তোমাদের খোচাই নি, তো কেনো বিনা কারনে হুল ফোটাস????

আর এই জিনিশ টা ঠিক, বর্তমানে এটা একটা ফ্যাসন

২২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

নবাব চৌধুরী বলেছেন: লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সাবলীল ভাষায় বিষয়টা তুলে আনার জন্য,ভালো লাগলো ভীষন।ভালো থাকবেন আশা করি নিয়মিত ব্লগ লিখবেন।

২৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৪:৩৮

মিতক্ষরা বলেছেন: "কিন্তু ধরুন, কোন অমুসলিম, যার কাছে কিনা মুহম্মদ কেবলই একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তি, যদি মুহম্মদ সম্পর্কে যতটুকু জেনেছে বুঝেছে, তার ভিত্তিতে এই মতে উপনিত হয়, যে মুহম্মদ একজন বরবর, লম্পট ও শিশুকামি ছিল (আমি যদির কথা বলছি, আবার এটাকে আমার বক্তব্য মনে করে আমাকে হিটলিস্টে দিয়েন না), তখন সেই মত সে প্রকাশ করলে তা কি আপনারা মেনে নেবেন? এটা তো গালি নয়, একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তির সম্পর্কে সত্যিকার অর্থে একজনের মতামত মাত্র। সেটা আপনাদের পছন্দ না হলেও সেটা তার মত। এদেশের মেজরটির সেই মত অপছন্দ, তাই বলে কি সে তার মত প্রকাশের স্বাধীনতা পাবে না? যদি না পায় তাহলে বলতে হবে যে এদেশে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। "

দেখুন, মেজরিটির বিরুদ্ধে দাড়িয়ে কথা বলাটা সব দেশে সব খানেই ঝুকিপূর্ন। শুধু মেজরিটির বিরুদ্ধে নয়, বরং ঢালাও নেতিবাচক প্রচারনা কেউই ভাল ভাবে নেয় না। ইটালিতে ওরিয়ানা ফালাচিকে যখন অভিযুক্ত করা হয়েছিল, তখনও তার সমর্থকরা এই "মত প্রকাশের স্বাধীনতা"র দাবী করেছিল। ফলশ্রুতিতে ফালাচি পরবর্তীতে ইটালি ছেড়ে চলে যান আমেরিকাতে।

"আদালত অবমাননা" যেমন বাংলাদেশে আইনসিদ্ধ হয় নি, তেমনি "নবী রাসুলের অবমাননা" বাংলাদেশে বেআইনী। যদিও সেসব একজনের মতামত মাত্র। সুতরাং মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে স্বাধীনতার বিষয়টি যে আপেক্ষিক, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.