নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ঃ গবেষণা এবং নিজস্ব আয়ের পরিসর

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৪:০৩

বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রকল্প পরিচালনার চিত্র:
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে গবেষণা খাতে সর্বাধিক ব্যয় করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষণা প্রকল্প পরিচালনায় মোট ২ কোটি ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যয় করে এ বিদ্যাপীঠ, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বাজেটের ১ শতাংশেরও কম। দ্বিতীয় সর্বাধিক ১ কোটি ৭২ লাখ ৪২ হাজার টাকা ব্যয় করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। গবেষণা প্রকল্পের দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে বাকৃবি। এর গবেষণা প্রকল্পের সংখ্যা ১৩৬টি। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) গবেষণার জন্য ব্যয় করেছে মাত্র ৫৫ লাখ টাকা। আর বছরজুড়ে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের বাস্তবায়িত গবেষণা প্রকল্পের সংখ্যা মাত্র ৭। গবেষণা খাতে সবচেয়ে কম বরাদ্দ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯ হাজার টাকা ব্যয় করা হলেও কোনো গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারেনি এ বিশ্ববিদ্যালয়।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে দেশের একমাত্র মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা বিষয়ে গবেষণার জন্য ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে কোনো অর্থই ব্যয় করেনি। ইউজিসির সর্বশেষ প্রকাশিত ৪০তম বার্ষিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, গবেষণা খাতে কোনো অর্থই ব্যয় হয়নি, এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় রয়েছে—বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়।, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো গবেষণা প্রকল্পও বাস্তবায়ন হয়নি। এছাড়া গবেষণায় অর্থ বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো গবেষণা প্রকল্প পরিচালিত হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় এর নিজস্ব আয়ের পরিসর

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের ব্যয় নির্বাহের মোটামুটি চিত্র হল-প্রায় ৮৮-৯০ শতাংশ সরকারি বরাদ্দ আবাসন এবং বেতন খাতে খরচ হয়। তারপর খরচ হয় পরিবহন এবং জ্বালানি খাতে। ন্যূন্যতম খরচ হয় একাডেমিক্স এ। একাডেমিক্স এর ব্যয় পরিসর আনুমানিক ৫-১০% বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে, গবেষণা খাতে সর্বাধিক ব্যয় ১-১.৫%। (ইউ জি সি র প্রতিবেদন রয়েছে এই নিয়ে, আগে একবার লিখেছিলাম)। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এর নিজস্ব আয় রয়েছে, তবে নগন্য।বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের উৎস কি হতে পারে এটা নিয়ে ইন্টেলেকচুয়াল পর্জায়ে বিস্তর আলোচনা হওয়া দরকার।

বুয়েট দিয়েই আলোচনায় প্রবেশ করা যায়। আমরা দেখছি বুয়েটের বিভিন্ন ডিপার্ট্মেন্ট ব্যাপক ভাবে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রকল্পের সাথে জড়িত, এটা অনেকটা বাণিজ্যিক ব্যাপার। বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের কাঠামো বিবেচনায় এই উপার্জনের প্রেক্ষিত ঠিক আছে বলা যায়। কিন্তু এই প্রকল্প সংশ্লিষ্টতা কে আমরা গবেষণা বলতে পারি না কিছুতেই।

এর একটি নির্দেশক হল, বুয়েট থেকে জার্নাল বের হচ্ছে না তেমন, আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং জার্নালে তো নয়ই।
দ্বিতীয় নির্দেশক হোল, বুয়েট এর পোষ্ট গ্রাড, ডক্টরাল এবং পোষ্ট ডক্টরাল কোর্স সমূহ খুবই সীমিত। যারা বুয়েটে মাস্টার্স করেছেন তাঁরা ব্যাপারটা ভাল মূল্যায়ন করতে পারবেন। ফলশ্রুতিতে বুয়েট পি এইচ ডি ডিগ্রী দিতে পারছে না। পোষ্ট ডক তো সাধ্যেরই অতীত।

তৃতীয় নির্দেশক হোল, আন্তর্জাতিক বিশ্ব বিদ্যালয় র‍্যাংকিং এর জন্য বুয়েট বিবেচনায় আসেই না।

এই বাইরে কিছু ইনফরমাল কথা বলা যায়, বুয়েটের ভাল শিক্ষক গন (আসলে প্রায় সকল বিশ্ব বিদ্যালয়েরই) প্রাইভেট বিশ্ব বিদ্যালয়ে আন্ডার গ্র্যাড কোর্স নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, প্রকল্প কন্সাল্টান্সি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আমি আপনাকে জামিলুর রেজা স্যার এর উদাহরন দিচ্ছি, এত এত বাণিজ্যিক প্রকল্পে উনি সারা জীবন ব্যস্ত থেকেছেন যে কখন গবেষণা কাজে সময় দিয়েছেন এটা চিন্তার বিষয়। কারন স্যার উনার সেক্টরে লিজেন্ড। এই সময় ইনভেস্ট গবেষণা, পি এইচ ডি স্টুডেন্ট দের দিলে সেটা কতটা প্রডাক্টিভ হোত! (এটা স্যার এর দোষ নয়, আমি বলছি আমাদের স্ট্রাকচার উনাকে অন্য খানে কানেক্টেড রেখেছে)।


এই সব এক একটি নির্দেশনা- আসলে আমাদের বিশ্ব বিদ্যালয় মানেই হোল গ্র্যাড প্রোগ্রাম! এখানে বিশ্ব বিদ্যালয় নিজেরা মৌলিক গবেষণা করে না, তাই গবেষণা কর্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সেল করতে পারে না। ইন্ডাস্ট্রিও বাণিজ্যিক প্রয়োজন (সনদ দেয়া) ব্যতিত এদের কাছে আসে না। বাণিজ্যিক পন্যের সার্টিফিকেশন গবেষণা হতে পারে না, এটা স্রেফ টেস্টিং।ডিজাইন এবং ইনপ্লেমেন্টেশন কন্সাল্টেশন, কিছু ক্ষেত্রে পুর্ন ডিজাইন।

অন্যদিকে সরকার যত কম পারে বরাদ্দ দেয়।মনে পড়ে, ২০০৪-০৫ এ দেশের শীর্ষস্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারিং বিদ্যাপিঠ বুয়েটকে মাত্র ৩৭-৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল, বাকিদের সংখ্যা অনূমেয়! যেখানে একটি মাঝারি রকমের সরকারি বিল্ডিং বা ব্রিজ কন্সট্রাকশন এ এই পরিমান টাকা শুধু দুর্নিতিতেই গচ্ছা যায়, কিংবা মূল্য বেড়েছে বলে এডিশনাল কস্ট কোট করা হয়, যা এপ্রুভও করা হয়। এই নগণ্য পরিমান টাকা ইউরোপ আমেরিকার ৪-৫ জন প্রফেসরের কাছেই থাকে! কথা হচ্ছে উনারা এই ফান্ড কিভাবে পান? কেন পান?

কিছু ভালো কাজ অবশ্যি আছে-বুয়েটের আইসিটি ভালো কাজ করছে, ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটুট ভালো কাজ করছে। কিন্তু দেশের প্রয়োজন এর তুলনায় এগুলা নগণ্য, এগুলা দিয়ে ভালো বলা লজ্জার ব্যাপারও বটে।

ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের বাজেট বড়, সাব্জেট বেশি সেই সাথে বেশি স্টুডেন্টসও। কিন্তু প্রাচীনতম এই বিদ্যাপীঠ এর গবেষণা কর্মে ১% ফান্ড ব্যয় একটা লজ্জার ব্যাপার। উপরন্তু ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় এর রয়েছে কিছু ইউনিক ডিপার্টমেন্ট। কাজেই গবেষণার পরিসর অনেক বড় হওয়া কাম্য।

এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি গবেষণা কর্মে আমাদের দেশে আগ্রদূত, সংখ্যায় এবং মানে। কিন্তু অনালোকিত, অনালোচিত! জলবায়ু পরিবর্তন কে সামনে রেখে আগামীর দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণায় রিচ করতে হবে ব্যাপক ভাবে। গবেষণায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে বহু গুনে।

সময় এসেছে গবেষণার পরিসর বাড়ানোর। তাহলে মৌলিক কাজের ভিতর থেকেই প্রতিষ্ঠান আয়ের পথ পাবে, আজকে সান্ধ্য কোর্স চালূ করে আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলো আয় বাড়াচ্ছে, এটা অনৈতিক, চরম অন্যায়। বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার মূল উদ্দেশ্যের সাথে সরাসরি কনফ্লিক্টেড!


শিক্ষা মান সম্পন্ন হোক!
বাংলাদেশ এগিয়ে যাক!

মন্তব্য ১২১ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (১২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:২০

পড়শী বলেছেন: উচ্চ মানের একটা লেখা পড়লাম। এরকম লেখা কে স্টিকি করা উচিৎ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। সমজাতীয় ভাবনা ছড়িয়ে দেয়া জরুরি। আশু পরিবর্তন হবে না, কিন্তু পরিবর্তনের জন্য আমাদের তৈরি হতে হবে

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:১০

মো কবির বলেছেন: দারুন হয়েছে লেখা।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুণ লিখেছেন। আমাদের শিক্ষাকে নিয়ন্ত্রন পরিচালনা করে ঘুষখোর আমলা আর অসৎ মন্ত্রীরা, ফলে বাজেটের ১% দেয়া হয় গবেষনাকে!

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৪:০২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: মেধা ব্যবস্থাপনা ইফিশিয়েন্ট করা দরকার!
অনেক অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গুরত্বপূর্ন একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। আসলে আমাদের যে সব মেধা আছে, আমরা তাদেরকে অনেক সময় মূল্যায়ন করতে পারছি না। ফলে মেধাবীরা আগ্রহ হারাচ্ছেন এবং আমরা পিছিয়ে পড়ছি।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। সমজাতীয় ভাবনা ছড়িয়ে দেয়া জরুরি। আশু পরিবর্তন হবে না, কিন্তু পরিবর্তনের জন্য আমাদের তৈরি হতে হবে

"আসলে আমাদের যে সব মেধা আছে, আমরা তাদেরকে অনেক সময় মূল্যায়ন করতে পারছি না। ফলে মেধাবীরা আগ্রহ হারাচ্ছেন এবং আমরা পিছিয়ে পড়ছি।"

সহমত।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: মেধা ব্যবস্থাপনা ইফিশিয়েন্ট করা দরকার!

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

সুমন কর বলেছেন: অনেক দির পর, চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ একটি পোস্ট পড়লাম।

বুয়েট থেকে এম.এস করার সংখ্যা কমছে। ঢাবি'র সাইন্স বিভাগ থেকে পি,এইস.ডি'র সংখ্যা কমছে। কিন্তু শিক্ষকরা বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে ব্যস্ত। তাহলে কাজ হবে কিভাবে?

শিক্ষকদের প্রাপ‌্য সম্মাণি দেয়া হোক, তাহলে তাঁরা আর বাহিরে সময় দেবে না এবং গবেষণার সংখ্যা বাড়বে।

সময় এসেছে গবেষণার পরিসর বাড়ানোর। তাহলে মৌলিক কাজের ভিতর থেকেই প্রতিষ্ঠান আয়ের পথ পাবে।

পোস্টে ভালো লাগা রইলো।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: "শিক্ষকদের প্রাপ‌্য সম্মাণি দেয়া হোক, তাহলে তাঁরা আর বাহিরে সময় দেবে না এবং গবেষণার সংখ্যা বাড়বে।"
সহমত।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: খুবই ভালো বিষয় তুলে আনছেন ভাই।

আমার মতে মোবাইলের উপর আরো ১ ভাগ টয়াক্স বাড়ানো উচিত শিক্ষাখাতে গবেষনায় ভর্তুকি দিতে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: শিক্ষাখাতে ও গবেষনায় বাজেট ইনভলভমেনট বাড়াতে হবে। একটি একটি করে ইন্সটিটুট এর কাঠামো গড়ে তুলতে পারলে ইন্সটিটুট গুল নিজেরাই গবেষণার সাথে, R&D এর সাথে ইন্ডাস্ট্রিকে কানেকট করতে পারবে। লুপটা সরকার আর বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ সমন্বয়ে তৈরি করা যাবে।

এর জন্য কিছু কাজ করতে হবে-
১। শিক্ষকদের প্রাপ‌্য সম্মানি দিতে হবে
২। সামাজিক মূল্যায়ন বাড়াতে হবে
৩। দুর্নীতি ঠেকাতে সরাসরি মেধা ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ প্রথা চালু করতে। যেহেতু ভাল ছাত্র মাত্রই ভালো শিক্ষক নন, তাই বাধ্যতা মূলক শিক্ষক মূল্যায়ন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১

এস আলভী বলেছেন: শিক্ষকরা তাঁদের যোগ্য সম্মানী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে যার ফলে বেসরকারী বিশ্ব বিদ্যালয়ের দিকে বেশী ঝুঁকে পড়ছেন বিধায় পাবলিক বিশ্ব বিদ্যালয় গুলো গবেষনার দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ছে!

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ১। শিক্ষকদের প্রাপ‌্য সম্মানি দিতে হবে
২। সামাজিক মূল্যায়ন বাড়াতে হবে
৩। দুর্নীতি ঠেকাতে সরাসরি মেধা ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ প্রথা চালু করতে। যেহেতু ভাল ছাত্র মাত্রই ভালো শিক্ষক নন, তাই বাধ্যতা মূলক শিক্ষক মূল্যায়ন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

এস আলভী বলেছেন:
তৃতীয় নির্দেশক হোল, আন্তর্জাতিক বিশ্ব বিদ্যালয় র‍্যাংকিং এর জন্য বুয়েট বিবেচনায় আসেই না।

আর আমরা বুয়েট স্বীকৃত না হলে তার উপর আস্থায় রাখতে পারিনা!
তাহলে আমাদের আস্থার র‌্যাংকিং কত?

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আস্থা আছে, কারণ বুয়েট গ্র্যাডরা বাইরে গিয়ে ভালো মানের গবেষনা করছেন। আমরা চাই দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো একই বা কাছাকাছি আউটপুট দিক!

৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫

কলাবাগান১ বলেছেন: অথচ এদেশে হাজার কোটি টাকা খরচ করে যমুনা ফিউচার পার্ক বানানো হয়। ব্যক্তিগত ভাবে শিল্পপতি রা বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে দান করেন না। কিছু টাকা পয়সা হলেই মা বাবার নামে বড়জোড় এলাকায় একটা কলেজ আর মসজিদ নির্মান করেন কিন্তু বিশ্বের বড় বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে প্রায় দেখা যায় বিখ্যাত প্রফেসরদের কারো নামে একটা 'চেয়ার' দেওয়া হয় (দানশীল লোকেরা এই সমস্ত পদের ব্যবস্হা করেন- ) যাতে ঐ প্রফেসর এই পদ থেকে ফান্ড পেয়ে রিসার্চ কন্টিনিউ করতে পারেন।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভাল কথা।
'চেয়ার' এর ব্যাপারটা আমি কালচারাল দিক থেকে দেখব। আমারা এখনো এই ধারায় আসতে পারিনি। দুঃখ জনক!
কাউকে এটা করে দেখিয়ে দিতে হবে। পরে সবাই অনুকরন করবে।

আমাদেরই ভাষা বিজ্ঞানী ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, প্রকৌশলী আক্কিটেক্ট এবং স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জনক এফ আর খান, শিল্পী জয়নূল আবেদিন, বিজ্ঞানী জামাল নজরুল কিংবা এই সময়ের তুমুল জনপ্রিয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী জাহিদ হাসান, প্রফেসর ইউনূস (কারনে আকারনে দেশে উনাকে কেউ কেউ অশ্রদ্ধা করলেও স্বীকার করতে হবে বাইরের সব দেশের সরকার এবং বিশ্ব বিদ্যালয় পর্জায়ে উনাকে সম্মান করা হয়) এমনকি পরমানু বিজ্ঞানী ডক্টর ওয়াজেদ মিয়া কারো নামেই চেয়ার নেই!

হতে পারে শিল্পপতিরা ইন্টারেস্টেড না, কিন্তু উনারা নিজেদের নামেই এই ডোনেশন গুলো চালু করুক!
এই উদ্যোগ সরকার নিতে পারেন। মানে সরকার শিল্পপতিদের উতসাহ দিতে পারেন।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:১৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এক ভাইয়া জানালেন, বুয়েটে কেমিকৌশল বিভাগে এই বছর থেকে প্রফেসর এম এ নাসের চেয়ার চালু হতে যাচ্ছে। এর জন্যে প্রয়োজনীয় ফান্ড (যতদূর জানি ~$100,000USD) সংগ্রহ করা হয়েছে, এবং বুয়েট প্রশাসন এর জন্যে অনুমোদন দিয়েছেন।
(প্রফেসর এম এ নাসের বুয়েটের প্রাক্তন VC, কেমিকৌশল বিভাগ থেকে)।

একটি ভালো সংবাদ!

১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের ইউনি শিক্ষকদের দক্ষতা কম; তারা দল করার কারণে চাকুরী পায়; এরা গবেষণার জন্য উপযুক্ত নন।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:০৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: কিছুটা সহমত। সবাই তো অযোগ্য নন! কম বাজেট, বিশ্ববিদ্যালয় গুলির অমনোযোগ, অবহেলা আর শিক্ষক গণের পরিবার এর ব্যয় নিরবাহের বোঝাও মাথায় রাখতে হবে আমাদের।

দুর্নীতি ঠেকাতে সরাসরি মেধা ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ প্রথা চালু করতে হবে। যেহেতু ভাল ছাত্র মাত্রই ভালো শিক্ষক নন, তাই বাধ্যতা মূলক শিক্ষক মূল্যায়ন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে।

আমার একটা লিখা আছে এরকম-
http://www.somewhereinblog.net/blog/fateee/29971679
মুখস্ত বিদ্যা নির্ভর বিসিএস প্রথা বাতিল করুন, ন্যাশনাল ইয়থ সার্ভিস চালু করুন

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৫৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বুয়েটের তড়িৎ কৌশলের প্রফেসর মুহাম্মদ আলী স্যার এর কথা হয়ত শুনেছেন, সারা দিন অপেক্ষায় থাকেন কখন একজন শিখার্থী একটি সমস্যা নিয়ে বা একটি থিসিস টপিক নিয়ে আসবেন। আফসুস উনার কোন ফান্ডই নেই!

এরকম স্যার সবখানেই পাওয়া যাবে। উনাদেরকে যোগ্য সম্মান, ফান্ড এবং অনুকূল ল্যাব দিতে হবে। বুয়েটে একটি নতুন চিপ ফেব্রিকেশন ল্যাব (সিলিকন সিরামিক) এর এর কাজ শুরু করেছেন একজন প্রফেসর (নাম মনে নেই!), উনি নেদারল্যান্ডস এর রাষ্ট্রদূত সাহেব কে বলেছেন আমাকে ৫ কোটি টাকার একটা ফান্ড এর ব্যবস্থা করে দেন, কত অসহায় আমাদের শিক্ষক গন!

১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯

আবু শাকিল বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ পোষ্ট ।লেখক কে ধন্যবাদ ।
সামুকেও ধন্যবাদ ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:০৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আবু শাকিল ভাই, অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

সামুকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

১২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৪২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ''প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন'' নামে আমি একটা সিরিয়াল লিখছি ।
সেখানে সৌদি আরবের শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম ,
জাতিসংঘের আন্ডারসেক্রেটারি জেনারেল আমিরা হক ,
আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা নাসার বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ড.আতিক উজ জামান,
কানাডার ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট ও ভাইস চ্যান্সেলর ড. প্রফেসর অমিত চাকমা সহ অনেকের নাম এসেছে ।

অনেকেই বলেছেন
এই গুনিদের দেশপ্রেম নাই , থাকলে ইনারা দেশ ছাড়লেন কেন ? আসলে কেন যে দেশ ছাড়লেন তা আপনার এই পোস্ট পড়ে অনুধাবন করতে পারছি ।
চমৎকার পোস্টের জন্য আপনাকে অভিনন্দন ,স্টিকি করায় মডারেশন টীমকেও ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সম্মানের সাথে উনাদের দেশে আনা যায়। আমাদেরকে গবেষণার ধারায় ফিরতে হবে।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, স্টিকি করায় মডারেশন টীমকেও ।

''প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন'' নামে আমি একটা সিরিয়াল লিখছি ।অবশ্যই এই সিরিয়ালে এই সময়ের তুমুল জনপ্রিয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী জাহিদ হাসান স্যার কে অন্তর্ভুক্ত করতে ভূলবেন না। পাটের জিনোম আবিস্কার করা বিজ্ঞানী মাকসূদ স্যার এর কথাও ভুলা যাবে না কিন্তু!

অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১৯

মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: "এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি গবেষণা কর্মে আমাদের দেশে আগ্রদূত, সংখ্যায় এবং মানে। কিন্তু অনালোকিত, অনালোচিত! "

কথাটার সাথে শতভাগ সহমত জ্ঞাপন করছি। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়ে নিজেকে যতটা না গর্বিত মনে করি, দেশ বাসীর ঠোঁট বাঁকানো দেখে ততটাই কষ্ট পাই। দেশের ৮০% (আমার ধারণা) কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের খোঁজই জানেননা আর যারা জানেন তাদের ৮০% নামটাও ঠিকভাবে জানেনা।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:৫৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: লিখক কিন্তু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নন, বুয়েটের এবং ঢাবির! সুতরাং দেশবাসীর সবাই ঠোঁট বাঁকান না!! অনেক ধন্যবাদ।

আমি বিস্তারিত করিনি, বাক্রিবি ইরি বিরি বারি মিলে সবাই দেশের কৃষি খাতে অসামান্য অবদান রেখেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ আমাদের দেশে জিএমও র ভূত ভর করেছে। এর ভুত আমাদের কৃষকদের বীজ স্বত্ব চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে, আমাদের দেশীয় ফলন গুলো বিলোপ পেতে পারে স্বল্প সময়েই। প্রায় আট হাজার ধান জাত ছিল এই দেশে , কিন্তু আজ সেসব এর কিছু স্যাম্পল হিমাগারে আছে!

আমরা চাই আমাদের প্রয়োজন মোতাবেক পরিবর্তিত জলবায়ুর উপজোগী ফসল স্বত্ব আমাদেরি থাক। এর জন্য বাক্রিবি গবেষণা কাজ শক্তিশালী করার বিকল্প নেই।

১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২৫

-সাইরাস বলেছেন: সত্যিই উচ্চমানের একটা লেখা পড়লাম । সবাই টাকার পেছনে ছুটছে অবিরাম, জ্ঞান অন্বেষন, জ্ঞান দান এসব এখন কেবলই টাকা উপার্জনের আনুষ্ঠানিকতা মাত্র ।

দারুন লিখেছেন ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৫১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: "সবাই টাকার পেছনে ছুটছে অবিরাম, জ্ঞান অন্বেষন, জ্ঞান দান এসব এখন কেবলই টাকা উপার্জনের আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।"

ভালো শিক্ষকদের পেটের আর পরিবারের ব্যয় নির্বাহের ধান্দা থেকে বের করে আনতে হবে প্রাপ্য বেতন এবং সামাজিক সম্মাননা দিয়ে।

বুয়েটের তড়িৎ কৌশলের প্রফেসর মুহাম্মদ আলী স্যার এর কথা হয়ত শুনেছেন, সারা দিন অপেক্ষায় থাকেন কখন একজন শিখার্থী একটি সমস্যা নিয়ে বা একটি থিসিস টপিক নিয়ে আসবেন। আফসুস উনার কোন ফান্ডই নেই!

১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: হুম। ঠিক বলেছেন। কিন্তু এসব নিয়ে যাদের ভাবার কথা তেনারা তো ভাবেন না। দেশের জিনিস কোথায় যায় যাক, খাবার পাইলেই হলো! :(

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৫৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: চলুন, সার্বিক পরিবর্তনের জন্য ধীরে ধীরে প্রস্তুত হই, ইন্টেলেকচূয়ালি।

১৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:২০

হামিদ আহসান বলেছেন: ভাল বিষয় ভাল পোস্ট ....।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৪২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

আশিক ইলাহি বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা পোস্ট।অনেক তথ্যবহুল।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৪৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই

১৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:০৬

আহমেদ কিংশুক বলেছেন: ভালো লাগলো। এৱকম তথ্যবহুল ও প্ৰয়োজনীয় আৱো লেখা চাই।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৪৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ। শিক্ষা, অবকাঠামো এবং প্রতিষ্ঠানিক শুদ্ধি করণ নিয়ে অনেক লিখা আছে আমার সামু প্রোফাইল এ। কিছু কিছু ভালো নাও লাগতে পারে, তবে অধিকাংশই ভালো লাগবে। শ্রম সাপেক্ষ বেশ কিছু লিখা আছে।


১৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:২৮

ওয়ারেছুল ইসলাম বলেছেন: মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিদেশে গিয়ে গবেষণা করে। সেসব দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদেরকে ভালো আর্থিক সুবিধা দিয়ে সেদেশে গবেষণা নিযুক্ত করে। আমাদের দেশের অনেক মেধাবী মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গবেষণা করে হাজারো বিষয়ে সফলতা এনেছেন। আমরা অর্থনৈতিকভাবে অগ্রগতির দিকে অগ্রসরমান হচ্ছি। এটা কিন্তু উচ্চতর প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও তার প্রয়োগের সুফল নয়। এটা প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিটেন্স জমা করে (বলে আমার ধারণা)। তাছাড়া খাদ্যাভাব দেশে নেই। এধরনের অগ্রগতি ধারা টিকিয়ে রাখতে আরো দরকার দেশীয় উচ্চতর ডিগ্রীধারী মেধাবী গবেষক। যারা নবতর প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যম্যে দেশকে একটা টেকসই অবস্থানে নিয়ে যাবে। সেজন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। আপনার লেখাটি ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৫৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাই, বেশ কিছু পয়েন্ট টাচ করেছেন।
১। অর্থনৈতিক অর্জন গুলোকে সাস্টেইনেবল করতে হবে। সহমত। এর জন্য জ্ঞান ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি প্রতিরোধী ব্যবস্থাপনা খুব খুব দরকার। কারিগরি বাস্তবায়নে আমলাতান্ত্রিক ঘুষ ও তদবির নির্ভর প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে ফেলা যায়, ভেঙ্গে ফেলা যায় "কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট" গুলো। ৩ টি জিনিস দরকার- জ্ঞান, ভীশন, এবং সততা। এখানে গবেষণা খুবই দরকার, স্থানীয় জ্ঞানের সাথে মানুষের বিহেভিয়ারেল এট্রিবিউট কে সমন্বিত করতে হবে কারিগরি বাস্তবায়নে। স্থানীয় সমস্যা সমূহের প্রকৃতি কিংবা অপরাধের প্রবনতা না জানলে হুবহু বাইরের কপি পেস্ট সলিউশন কোন কাজে আসে না।

২। আমাদের মানব সম্পদ এর মান সুউচ্চ। ইউরোপ আমেরিকার এমন কোন নামী বিশ্ববিদ্যালয় পাওয়া যাবে না যেখানে বাংলাদেশি রিসার্চার নেই।এঁরা বাংলাদেশেই আন্ডার গ্র্যাড করে যান। তাহলে একই মানব সম্পদ দিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আউটপুট আনতে পারছে না কেন। সেট আপ নেই, ভীশন নেই, বরাদ্দ নেই, কারো গরজ নেই।

এই খেলনাচন পাল্টাতে হবে।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আলোচনায় অংশ নেবার জন্য। মন্তব্য প্রদানের জন্য।

২০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:০১

মাসুম মুনাওয়ার বলেছেন: সব কথা সত্য। আমরা হতাশ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:১৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাই, আমিও মাঝে মাঝে খুব হতাশ হয়ে পড়ি। কিন্তু দেশটা ভালোয় খারাপে আমাদেরই। পরিবর্তন আমাদেরকেই আনতে হবে। আর কিছু না পারি অন্তত প্রিপারেশন তো নিতে পারি।

তাই হতাশা কাটিয়ে উঠা জরুরি।

২১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:০৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বুয়েটের প্রফেসর ডক্টর মহিদুস সামাদ খান আমাকে নিন্মোক্ত বক্তব্য পাঠিয়েছেন-


আপনার বক্তব্যের অনেক কিছুর সাথেই এক মত, কিন্তু কিছু কিছু ব্যাপার বেশি জেনারেলাইজেশন করা হয়েছে। হয়তো বা তথ্যের স্বল্পতার জন্যে।

১। বুয়েটের প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট এবং রিসার্চ ইন্সটিটিউটেই গবেষণা কার্যক্রম চালিত হয় এবং হচ্ছে যা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ইউজিসি গ্রান্টের উপর নির্ভরশীল নয়। গবেষণা প্রকল্পের জন্যে অনেক বিদেশী এবং দেশী ফান্ডিং এজেন্সি, অথরিটি বা কোলাবরেটর আছে যারা গবেষণার জন্যে বড় অংকের ফান্ড দিয়ে থাকে, যেমনঃ World Bank, JICA, GIZ, IFC, UN, USAid, Other Foreign Countries (Norway, Netherland), বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়, Dept Alumni Associations, and Foreign Universities, etc।
আমার বুয়েট অভিজ্ঞতাঃ ৫ বছর স্টুডেন্ট (৪ বছরের কোর্স), ৯.৫ বছর এলাম্নাস, এবং ~২ বছর শিক্ষক। পরিবর্তন আনবো বলেই দেশে ফিরে এসেছি (হিন্দি মুভি রাং দে বাসান্তি অথবা স্বদেশ কনসেপ্ট)। এবং এখনো হতাশ হইনি।
প্রথম ১৪.৫ বছরে আমিও হতো এতো সরল ভাবেই চিন্তা করতাম। কিন্তু গত ~২ বছরে অনেক কিছুই নতুন ভাবে দেখছি।
২। সব বিভাগ বা ইন্সটিটিউটের শিক্ষকদের প্রাইভেট ইউনিভারসিটিতে ক্লাস নেয়ার সুযোগ নেই। কারন প্রাইভেট ইউনিভারসিটিতে সবগুলো বিষয় পড়ানো হয় না।
৩। পাশ করার প্রায় ১১ বছর পরে বিদেশী ডিগ্রী এবং অভিজ্ঞতা থাকার পরেও আমার Home taking Salary এখন (প্রায়) ৩৮ হাজার টাকা। আমি সৌখীন ক্রান্তিকারি, তাই এ নিয়ে তেমন দুঃখ নেই। কিন্তু অনেকের জন্যেই এই বেতনে (অথবা এর চেয়ে কম) সংসার চালানো অত্যন্তু কষ্টকর। টেস্টিং, কনসালটেন্সি এবং প্রাইভেট ইউনিভারসিটিতে ক্লাস নেয়া তাই বিকল্প আয়ের পথ (উৎসমূল থেকে টেস্টিং এবং কনসালটেন্সি বাবদ ট্যাক্স কেটে রাখা হয়)।
৪। বুয়েটে স্বল্প পরিসরে কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে পি এইচ ডি এবং পাবলিকেশন হয়; যার বেশির ভাগ টুকুই সম্পন্ন হয় Phy, Chem, Math ডিপার্টমেন্ট গুলোর দ্বারা। কিন্তু এগুলো Non-Engineering ডিপার্টমেন্ট বলেই হয়তো তেমন ভাবে আলোচনায় আসে না।
৫। বুয়েটের মেইন স্ট্রিম ডিপার্টমেন্টগুলোকে অনেক ক্ষেত্রেই পি এইচ ডি স্টুডেন্টের জন্যে পশ্চিমা দেশের প্রতিষ্ঠিত ইউনিভারসিটি গুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয়।
কি ভাবে?! ?!
ব্যাতিক্রম বাদ দিলে, বুয়েট থেকে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট করা একজন স্টুডেন্ট ততক্ষণ বুয়েটের পি এইচ ডি প্রোগ্রামে এনরোল্ড থাকে যতক্ষণ না একটি হাই স্যালারি জব অথবা পশ্চিমা দেশের প্রতিষ্ঠিত ইউনিভারসিটি থেকে এডমিশন অফার না আসে। পশ্চিমা দেশের ইউনিভারসিটির এডমিশনের হাত ধরে সেখানকার ইমিগ্রেশন ও চলে আসে।

৬। [পাদটিকাঃ আমি ১.৫ বছর ধরে ফান্ড নিয়ে বসে আছি একজন ফুল টাইম পটেন্সিয়াল পি এইচ ডি স্টুডেন্টের জন্যে। মাসে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে রাজি আছি। তার সাথে হয়তো থাকবে ডিপার্টমেন্টাল স্কলারশিপ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন একজন স্টুডেন্টও পাই নি। আগ্রহী কেউ থাকলে জানাবে/ জানাবেন প্লিজ!! ]

উত্তর গুলো এরকম হতে পারে-
১। বুয়েটের রিসার্চ কার্জক্রমের প্রতিফলন আমরা ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে রিফ্লেক্টেড দেখছি না। বুয়েটের র‍্যাংকিং এ না আসার পিছনে পোষ্ট গ্র্যাড শিক্ষার অপ্রসারতাকেই দায়ী করা হয়। (স্যার নিজেই বলেছেন, বুয়েটের মেইন স্ট্রীম ডিপার্টেমেন্ট গুলোর রিসার্চ কাজ অপ্রতুল, বরং পিজিক্স ম্যাথ এবং কেমিক্যাল খুব ভালো করছে।)

মেইন স্ট্রীম ডিপার্ট্মেন্ট গুলার পার্ফর্মেন্স জঘন্য। কোন রকম গবেষণা সংশ্লিষ্টতা ছাড়াই আমাকে ইঞ্জিন্যারিং সনদ দেয়া হয়েছে। এখন ভাবি এটা আমার জন্য লজ্জার। এই কালচার টা সৃষ্টি করতে হবে, স্টুডেন্ট অরিয়েন্টেশন এবং এডভাইজার সিস্টেমকে আরো আন্তরিক করতে হবে।

২। সহমত, মৌলিক সাবজেক্ট গুলো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই, তাঁরা জব অরিয়েন্টেড কোর্স নেয়। যেসব সাবজেক্ট প্রাইভেট এ নেই সেই সব বিভাগের শিক্ষক গন এর আউটপুট কোথায়? এই ক্ষেত্রে ঢাকা বিস্ববিদলয়ের অবস্থা খুবই হতাশার।

ঢাবির এমন বহু মৌলিক ডিপার্টেম্নট আছে যেগুলা প্রাইভেট এ নেই, তাহলে এই শিক্ষক গনের আউটপুট কোথায়? উনাদের জন্য বরাদ্দ আছে? উনাদের আন্তরিকতা আছে কিংবা নির্দেশনা বা টার্গেট?

৩। টিচার দের বেতন এবং ভাতা লজ্জাজনক পর্জায়ের। এটা নিয়ে আমি প্রায়ই লিখি, অনেকেই লিখেন, আমরা নতুন বেতন কাঠামোয় স্যার দের ডিগ্রেডেশনের বিরোধিতা করি। দেশের রাষ্ট্রপতির পরেই টিচারদের বেতন হওয়া দরকার। শিক্ষক দের আর্থিক ভাবে দায় মুক্ত না করতে পারলে গবেষণার সময় আসবে না, স্বাভাবিক।

৪. আপনার হতাশা বুঝতে পারছি স্যার।এই পোষ্ট গ্র্যাড জব বা রিসার্চ অফার গুলো সার্কুলার করা দরকার ভাল করে, আন্ডার গ্র্যাড থেকেই এইসব তথ্য এবং প্রসেস এর সাথে স্টুডেন্ট দের পরিচয় করিয়ে দেয়া দরকার।

সব মিলিয়ে স্যার এর কথায় আমি আশার আলো দেখছি!

আমার মতে উচ্চ শিক্ষাকে ২ টা স্ট্রীমে বিভক্ত করলে ভালো হয়, পশ্চিম ইউরোপে এই সিস্টেম আছে। যারা কর্মে যাবে তার এপ্লাইড ইউনিভার্সিটিতে পড়বে এঁরা একটা দীর্ঘ সময় ইন্টার্ন শিপ করবে ইন্ডাস্ট্রিতে, ইন্ডাস্টির অপারেশন্স কাজের অনুকূলে শিক্ষা চলবে । অন্যটা হোল গবেষণা, এখানে ব্যাপক রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট কাজ হবে। বিস্ববিদ্যালয় হবে কোম্পানী গুলোর রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট এক্সটেনশন বা সরাসরি হোম।

২২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:০৪

ডঃ আলম বলেছেন: এই রকম লেখা আরো দরকার।
এর সাথে আমি আরেকটু বলি, আমাদের যে সব সরকারী ফান্ড দেয়া হয়, তাও এখন দেয়া হয় পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাুন্ড দেখে, এমন সব প্রফেসরদের যাদের প্রফেসর হতে পিএইচডি ডিগ্রি লাগে নাই। এদের এমন গবেষণার নুন্যতম আগ্রহও কখনও দেখা যায়নি আগে। তো, এই টাকা কোথায় যায়? অনুদানের টাকায়/ হেকাপের প্রজেক্টের টাকায় ফ্লাট বা গাড়ি কেনার নজির এদেশে কম নাই।
আর প্রজেক্ট রিপোর্ট, পুরানা একটা কয়েকটা ডাটা এদিক ওদিক করে ( ছাগল হয় ভেড়া) বা (রুই মাছ হয় কাতলা মাছ) দিয়ে দেয়া হয়, মন্ত্রণালয়ে আছে কিছু ছাগলের পাল, এগুলো বোঝার মতো মগজ এদের নাই আর নাহলে অন্য কিছু। ও এখন একটা % খরছ করলে এরকম একটা গ্রান্ট পাওয়া যায়।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৩০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: স্যার অনেক অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্য টার ২ টা পয়েন্ট কে এটেন্ড করছি-

১। পলিটিক্যালি মটিভেটেড ফান্ডঃ এটাকে গোড়া থেকেই উচ্ছেদ করতে হবে।
ক। মেধা ভিত্তিক নিয়োগ দরকার এবং টিচার্স ইভালিউশন দরকার। তাইলে অযোগ্যদের দলীয় তল্পি বহনের মাধ্যমে শিক্ষক হওয়া এবং শিক্ষা প্রতিস্টহানের ক্ষমতার বলয়ে থাকা আটকানো যাবে।

"দুর্নীতি ঠেকাতে সরাসরি মেধা ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ প্রথা চালু করতে হবে। যেহেতু ভাল ছাত্র মাত্রই ভালো শিক্ষক নন, তাই বাধ্যতা মূলক শিক্ষক মূল্যায়ন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।"
খ। পেশাজীবি রাজনীতির মোড়কে দলীয় লেজুড়বৃত্তির শিক্ষক রাজনীতির নগ্নতাকে আপসারন করা দরকার।


২। গবেষণার মানঃ
ক। খাঁটি কথা বলেছেন। কপি পেস্টেড কন্টেইন্ট করেই আমরা সবাই থিসিস জমা দিয়েছি। সকল বিশ্ব বিদ্যালয়ের সমন্বিত ডেটাবেইজ করা গেলে, ডকুমেন্ট আউথরিটি এবং কপিরাইট কন্ট্রল করা যাবে। নূন্যতম ওয়ার্ড ম্যাচিং সফটওয়্যারের ব্যবহারেও এটা রোধ করা যায়, সেজন্য একটা সেন্ট্রাল ডেটাবেইজ দরকার সকল গবেষণা সংক্রান্ত প্রকাশনা এবং জানার্ল এর জন্য।

ইন্টারনেট এবং ফ্রি ইস্পেস এর এই যুগে এটা এটা সহজ কাজ। তদুপুরি ডেটাসেন্টার এর স্পেইস ভাড়া নিয়েও এটা মান্সম্পন্ন ভাবেই করা যায়।

ভীশন দরকার।

৩। গবেষণার বাইরেও একটা কথা বলতে চাই, আমাদের শিক্ষক গন একই বই পড়ান দশকের পর দশক। একই চোথা থাকে নিত্য সঙ্গী, অথচ কথা ছিল উনারা লেকচার কন্টেন্ট হালনাগাদ করবেন। ব্যাপক পড়া লিখা করে ক্লাস প্রেজেন্টেশন করবেন।

আমি ঢাবির একজন নামকরা স্যার (আমারই স্যার!) কে চিনি উনি ফিলিপ কোটলারেরি বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর বলে খুব বাহবা কুড়ান। কিন্তু আমার সাহস হয়নি বলার যে, স্যার আপনি কত বছর ধরে একই লেকচার আর একই বই পড়াচ্ছেন! দুনিয়া এর মধ্যে বহু দূর এগিয়ে গেসে!

গতানুগতিক আর বুকিশ পড়া লিখা সরানো দরকার অন্তত বিশ্ব বিদ্যালয় হেকে!


০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:৫৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আরেকটা কথা এড করতে চাই, লেকচারার, সহকারী, সহযোগী এবং পুর্ন প্রফেসর এই প্রোমোশন ধাপ গুলোকে শিক্ষকের নিজের পিএইচডি করা, জার্নাল বের করা, আন্তর্জাতিক পাব্লিকেশন সংখ্যার সাথে সংযুক্ত করে একটা ডেটাইবেইজ নির্ভর স্কোর বেইজড অটোমেশন করা যায়। গ্রান্ট পাওয়া না পাওয়ার যোগ্যতাকে এখানে ইন্টিগ্রেটেড করা যাবে।

টেকনোলজির বাস্তবায়নে এই কাজটা করলে লেজুড়বিত্তি করে, পিএইচডি না করেই বা কোন জার্নাল বা মৌলিক কাজ না করেই গ্রান্ট পাওয়া ঠেকানো যাবে।

তবে এই দুর্বাত্তায়িত মানুশিকতা ঠেকাবে কে?

২৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৩৪

বেরসিক কথক বলেছেন: আসলেই ভাবতে বড়ই লজ্জা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটা প্রতিষ্ঠানে গবেষণা কার্যে ব্যাবহার হয় মাত্র ১%! আমরা জাতীগতভাবে শিক্ষব্যাবস্থা নিয়ে এতো উদাসীন কেন?

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৪২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণায় আন্তরিক হতে হবে।

জাতীগতভাবে শিক্ষব্যাবস্থা নিয়ে এতো উদাসীনতা এই আধুনিক সময়ে বড়ই বিব্রতকর, লজ্জাস্কর।

২৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গবেষণা কার্যক্রম উৎসাহিত করার উদ্যোাগ নেয়া দরকার । গবেষণা কর্মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নেতৃত্ব দিতে হবে । আর এর জন্য সম্মানিত শিক্ষক মন্ডলীদের উৎসাহী এবং উদ্যমী ভীামকায় অবতীর্ণ হতে । আর মেধাবীদের দেশের বাইরে না গিয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পি এইচডি পোস্ট ডক্টরাল রিচার্স করার মন মানসিকতা ধারণ করতে হবে ।

সুন্দর পোস্ট +

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৪০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আপনার সাথে পুরাপুরি একমত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কে সব দিক থেকে এগিয়ে আসতে হবে, গবেষণায় এবং শিক্ষা মানে ঢাবি কে অনুকরনীয় উদাহরন সেট করতে হবে।

ব্রিটিশ ঢাকার সকল ইন্টেলেকচুয়াল এবং নবাবদের ঐকান্তিক প্রচেস্টার যে ব্যাকগ্রাউন্ড; শিক্ষা এগিয়ে নিতে পুর্ব বাংলার মানুষের ইন্টেলেকচুয়াল মুভমেন্টের যে মহান আবেদন তা যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভুলে না যায়।

শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবার আন্তর্জাতিক মানে পৌছালে আমরা অনেক এগিয়ে যেতে পারি ।

২৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০০

এ এম আনিসুল হক বলেছেন: টাকার সমস্যা সমাধান হয়েছে, এখন দেখা যাক কাজ কেমন হয়।

"মাতৃভাষার উপর গবেষণা
মুহম্মদ জাফর ইকবাল

আমাদের প্রিয় বাংলাভাষাকে প্রযুক্তির ব্যবহারে নিয়ে আসারজন্যে আমাদের অনেক করার আছে। এই কাজগুলো আসলে আমাদেরকেই করতে হবে - অন্য দেশের অন্য মানুষ সে কাজে এগিয়ে আসবে না। যদি কখনো বা এগিয়ে আসে সেটি কিন্তু ভাষার প্রতি ভালোবাসার জন্যে হবে না, অন্য কোনো কারণে হবে। আমি জানি আমাদের দেশের অনেকেই বাংলা ভাষা নিয়ে কাজ করার জন্যে আগ্রহী কিন্তু তার জন্যে যে প্রয়োজনীয় সহায়তা দরকার তার অভাবে বড় ধরণের কোনো কাজ তারা হাতে নিতে পারেন না।

আমার বলতে খুব ভালো লাগছে যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সহায়তায় আমাদের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ একটি প্রজেক্ট পেয়েছে। সেই প্রজেক্টের কল্যাণে আমরা একজন দুইজন নয় - ছয়জন পিএইচ.ডি. গবেষককে বাংলা ভাষার উপর গবেষণার জন্যে নিতে পারব। বাংলা ভাষার নির্দিষ্ট চারটি প্রযুক্তিগত বিষয়ের উপর গবেষণা করে পিএইচ.ডি. ডিগ্রী নেয়ার সময়সীমা তিন বছর। বিষয়গুলো হচ্ছে : Optical Character Recognition(OCR), Text To Speech(TTS), Speech To Text(STT) এবং English To Bangla(ETB).সার্বক্ষণিক ভাবে গবেষণা করা এই গবেষকদের মাসিক ভাতা হবে ৫৫০০০/- টাকা,যে কোনো হিসেবে এটি একটি সম্মানজনক ভাতা!

আমি এই ছোট প্রতিবেদনটি লিখছি, আগ্রহী পিএইচ.ডি. প্রার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী পিএইচ.ডি. প্রোগ্রামে যোগ দিতে হলে তাকে কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজের শিক্ষক হতে হবে অথবা মাস্টার্স (থিসিস) সহ গবেষণা পত্র থাকতে হবে, এ ধরণের কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। যারা আগ্রহী তারা [email protected] এই ই-মেইলে যোগাযোগ করলে বিস্তারিত জানিয়ে দেয়া যাবে।

আমি আগ্রহী গবেষকদের বাংলা ভাষা নিয়ে গবেষণা করার এই সুযোগটি গ্রহণ করার জন্যে আহ্বান করছি। আশা করছি সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা আমাদের প্রিয় মাতৃভাষাকে প্রযুক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট করার দায়িত্বটুকু পালন করে কিছু চমৎকার গবেষণা কাজ করতে পারব।

সবার জন্যে শুভেচ্ছা।"

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৪৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাইয়া, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।

মাতৃ ভাষায় গবেষণাকে এগিয়ে নিতে বা এই কালচার সৃষ্টিতে বাংলা একাডেমির এগিয়ে আসা দরকার।

আমাদের সকল সেক্টারের সব ভালো ভালো টিচারদের দিয়ে , সাবজেক্ট ম্যাটার এক্সপার্ট দের দিয়ে টেক্সট বইয়ের বাইরে রেফারেন্স বই লিখিয়ে নিয়ে উনাদের লাইফ লং এডুকেশন আর এক্সপেরিয়েন্স কে রি প্রোডিউস করে রাখা দরকার। এক এক জন জ্ঞানী মানুষের প্রয়ান জাতির জন্য এক একটা বড় ইন্টেলেকচুয়াল ডেমেজ, সাবজেক্ট ম্যাটার এক্সপার্ট দের ভাবনা গুলো বাংলায় লিপিবদ্ধ হচ্ছে না ফার্মাল ওয়ে তে।

২৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: খুব ভাল লাগল লেখাটা পড়ে।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৪৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

২৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪

বোকামানুষ বলেছেন: অনেকদিন পর খুব অন্যরকম ভাললাগার একটা পোস্ট পড়লাম

এই ধরণের পোস্টের কারনেই ব্লগ অন্য সব কিছু থেকে আলাদা এখানে এফবির মতো সবকিছু হুজুগে না
এই ধরনের পোস্ট চিন্তার খোরাক যোগায় নিজেকে কিছু করার উৎসাহ দেয়

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৫৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বোকামানুষ, কেমন আছেন? অনেক দিন পরে আপনাকে পেলাম!

ব্লগ স্পট চিন্তার প্রকাশে ব্যাতিক্রমি একটা স্পেইস, আমরা দায়িত্ব নিয়ে এটাকে যদি পরিচ্ছন্ন রাখতে পারি, দেশের মঙ্গল ভাবনা নিয়ে এখানে বেশি বেশি আলোচনা জমাতে পারি!

আন্তরিক ধন্যবাদ।

২৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৩৪

রন৬৬৬ বলেছেন: @Writer: You seem to be a messenger of God to this downtrodden country. You are far ahead of time. You are the man from tomorrow. I am really impressed by your profound and in-depth knowledge on our present education system. Your wise thinking proved that we are far behind as compared to Asian countries in terms of education. Ershad/Khaleda/Hasina will never improve our education. They have one thing in common i.e., CORRUPTION. In my opinion, we had sins. These so called leaders are the punishment of God to be sent on us. I remember what greatest conqueror Genghis Khan said "I am the punishment of God...If you had not committed great sins, God would not have sent a punishment like me upon you.”

Today’s disaster resulted from corruption of the country. Building construction was not as per building safety code. Engineer with greedy for money did not maintained safety code. Corruptions are like cancer, was not developed in a day. Since 1971, BNP was in power for 2 terms, Ershad was about 9 years and AL was 2 terms. All parties are responsible in growing corruptions in all walks of life, not AL alone. Education systems are corrupted. Ask the engineer who built the roads and bridges, you would find that he passed his engineering degree by cheating in exam. This is an example how corruption is deep rooted in people’s mind. It was not built in a day. All people irrespective of parties should cooperate with government to make corruption free society. Hasina alone cannot change country. People can help stopping corruption not offering any bribe and not voting corrupt candidate. Being a patriot is primary foundation building corruption free society.

When we were under British rule for nearly two hundred years, our money used to go to UK to build Manchester, Liverpool, Bristol etc. After 1947 came Pakistani rule. West Pakistan took our 60% of GDP to build a new city called Islamabad! Since independence (1971) our own politicians, bankers bureaucrats, defense personnel, industrialists are sucking our blood like vampire. They are involved in money laundering worth more than US$ 100 billions since 1972. They remitted this amount to foreign countries to purchase land/property and invested in stock market around the world. We the common people are stupid and foolish.

I was in a Govt. Commercial Bank at Abu Dhabi, UAE for 10 years. I came to know about Gen. Ershad who was doing business (worth millions of dollar) with the Crown Prince of Abu Dhabi since 1982! Ershad invested around US$ 100 million to Al Haramain Perfumes (owner from Sylhet) factory in Abu Dhabi, UAE. Money laundering traditions are ongoing process. The million dollar question: 'Who will ring the bell?" Do we have a 'Whistle-blower?'

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:১৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১। আমাদের দুর্ভাগ্য যে ব্রিটিশ, পাকিস্তানি দের দ্বারা শোষিত হয়েছি। বহু বার মার খেয়েছি, ক্ষুধায় মরেছি। আমাদের আরো দুর্ভাগ্য যে আমরা নিজেরি ভাইদের নিজেরই স্বজাতির নেতৃত্বের দ্বারা মার খাচ্ছি, আমাদের সম্পদ লুন্ঠিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

সম্মিলিত ভাবে না জাগলে এই দুর্নিতির অচলায়তন ভাঙ্গা মুশকিল, কারন সমাজ কারনে অকারনে দুর্নিতির সাথে আপোষ করে ফেলেছে! ঘুষ এবং দুর্নিতি জাতীয় জীবনের সাথে একাত্ব হয়ে গেসে। এখানে ব্যক্তির মূখ্য ভূমিকা পালন কঠিন।

সকল ক্ষমতা একটি নির্বাহী অফিসে কেন্দ্রীভূত, এটা ভাঙ্গাই বড় চেলেঞ্জ। এই আকাজ সকল রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত উদ্যোগ, যারা ক্ষমতায় ছিল বা আছে সবাই চোর! এটাই বড় হতাশার কথা।

ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, জবাবদিহিতা এবং টেকনোলজির বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুর্নিতির আর ঘুষ ভিত্তিক কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট নির্ভর আমলাতান্ত্রিক প্রশাসনিক মডেল কে ভেঙ্গে ফেলা যায়।

২। কে রিং বাজাবে?
নাগরিকদেরকে সামাজিক বিপ্লব করতে হবে। দুই চোরের মধ্যে খারাপ চোরকে বেছে নেয়ার সিস্টেম থেকে বাইরে এসে দুর্নিতি প্রতিরোধী সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গড়তে হবে। দুর্নিতি বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং প্রতিষ্ঠান।

ইন্সটিটুশন গড়াই বড় চেলেঞ্জ মনে করি, এই সচেতনতা আনাই প্রথম কাজ। এর জন্য ইন্টেলেকচুয়াল মুভমেন্ট দরকার।

২৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

ট্রোল বলেছেন: দক্ষিণ এশিয়ার গ্রাজুয়েট বেকারের হার সর্বোচ্চ এই দেশে।
নতুন ব্যাবসা খোলার পথ অনেকটাই রুদ্ধ,সরকারী চাকুরী নিয়োগ তেমন হয়না।

প্রফেসররা খ্যাপ মারেন, ছাত্রদের কি বা শিখাবেন

পাশ করলে চাকুরী পাবেনা তাই ছাত্র নেতারা মনুমেন্ট হয়ে যায়।পলিটিক্স থেকে জাতি রক্ষা পাচ্ছেনা।

প্রাইভেট এর মুল উদ্দেশ্য ছিল দ্রুত মানব সম্পদ তৈরি করা।সেটা এখন নিকৃষ্ট ব্যবসায় রুপান্তরিত হয়েছে।

শিক্ষিতরাং দেশের বাইরে ভবিষ্যত খুজছেন

এই চক্রটা হতাশার। এটা আমাদের ভাংগতে হবে।কয় দিন পর নেপাল-ভুটান, নাইজেরিয়া-কেনিয়া আমাদের চেয়ে উন্নত হয়ে যাবে।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:২৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

শুধু চাঁদাবাজি বন্ধ করা গেলে আর কোম্পানী খোলাকে আন্তরিকতার সাথে ম্যানেজ করলে, হাজার হাজার তরুন যে নতুন নতুন আইডিয়া, ব্যবসা ভাবনা নিয়ে ঘুরছে সেগুলোকে বাস্তবায়ন করা যেত, বেশি থেকে বেশি কন্সেপ্ট কে প্রডাক্ট এ ট্রান্সফার করা যেত!
আমি ভাবি, যদি সরকারি কোলনী (যদি নতুন জায়গা, বা ফান্ড না পাওয়া যায়!) গুলাকে ইয়ং ইনভেস্টর দের কে কোম্পানী অফিস হিসেবে দেয়া যেত নির্দিস্ট সময় এবং শর্ত সাপেক্ষে! যদি দেশে চাঁদাবাজি না থাকত, যদি ব্যক্তি ইনভেস্টর দের ডেকে এনে কেউ কোম্পনী খোলার ওয়ান স্টপ সুবিধা দিত!

আমাদের সামাজিক নিরাপত্তার ঘাটতি তো আছেই, আর্থিক নিরাপত্তাও চরম সংকটে।

"পাশ করলে চাকুরী পাবেনা তাই ছাত্র নেতারা মনুমেন্ট হয়ে যায়।পলিটিক্স থেকে জাতি রক্ষা পাচ্ছেনা।" মেধা ভিত্তিক নিয়োগ যে কবে বাস্তবায়ন হবে দেশে!

মেধা ভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে আমার একটা ড্রাফট প্রোপজাল আছে, কমেন্ট এ বেশ কিছু ক্লারিফিকেশনও দেয়া আছে। এই ব্লগ টিতে একটু ডু মারতে পারেন!

http://www.somewhereinblog.net/blog/fateee/29971679


"এই চক্রটা হতাশার। এটা আমাদের ভাংগতে হবে।" সহমত।

৩০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

অহনাব বলেছেন: আর যাই বলেন আপ্নার বুয়েট আর ঢাকা ভার্সিটি তো কিছু হইলেও বরাদ্দ পায়। এই জায়গা ঐ জায়গা কত টাইপের কোম্পানী থেকে টেস্টিং কনসাল্টেন্ট আর কত কিছু করে আলাদা আয়ের পথ আসে। দেশে অন্য পাবলিক ভার্সিটিগুলা দেখেন... বুয়েট ঢাবির মত এত টাকা বাজেটও পায় না, এক্সট্রা ইনকামও নাই...আর গবেষনা করবে কি? অবকাঠামোই তো নাই। আর একজন টিচার ভাল ফান্ড পেলে সেইটা নিয়া চলে পলিটিক্স। ঘোড়ার ডিমের গবেষনা করবে।

আর গবেষণা না থাকলে কি হইছে? যারা চাকরীদাতা এরা মোটা অক্ষরে লিখে দেয় বুয়েট, ঢাবি, আরো ২-৪ টা নাম করা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আর যেন কেউ এপ্লাই না করে। ভার্সিটির নাম দেখে চাকরী দিতে এরা আগ্রহী। এটা দেশের অন্য পাবলিক ভার্সিটি থেকে পড়া স্টূডেন্টদের জন্য অনেক হতাশাজনক।

আমার কথা হচ্ছে দেশের সবগুলা পাবলিক ভার্সিটির মান একই হবে। সবগুলো গবেষনা অবকাঠামোতে প্রায় সেম থাকবে। কিন্তু তা আর হল কই?

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:৩৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: হ্যাঁ ভাই, আগাতে হলে সবাইকেই নিয়েই আগাতে হবে। আমরা সমাজের শ্রমজীবী, কৃষক আর ভাসমান দের বাদ দিয়ে নাগরিক সমাজ গড়তে গিয়েছি, হোঁচট খেয়েছি। মেহনতি মানুষের দেশ আজ দুর্নিতিবাজের দেশে রূপান্তরিত, যার যার সাধ্যমত এই লুটপাটের সংকীর্নতায় মাথা গুজে দিয়ে চুপ চাপ আছি, জীবন উপভোগ করার চেস্টা করছি, কিন্তু লোডশেডীং, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকতি, গনপিটুনি, ট্রাফিক জ্যাম, রোড এক্সিডেন্ট, চাঁদাবাজি, খুন আমাদের ছাড়ছে না!

"আর গবেষণা না থাকলে কি হইছে? যারা চাকরীদাতা এরা মোটা অক্ষরে লিখে দেয় বুয়েট, ঢাবি, আরো ২-৪ টা নাম করা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আর যেন কেউ এপ্লাই না করে। ভার্সিটির নাম দেখে চাকরী দিতে এরা আগ্রহী। এটা দেশের অন্য পাবলিক ভার্সিটি থেকে পড়া স্টূডেন্টদের জন্য অনেক হতাশাজনক।

আমার কথা হচ্ছে দেশের সবগুলা পাবলিক ভার্সিটির মান একই হবে। সবগুলো গবেষনা অবকাঠামোতে প্রায় সেম থাকবে। কিন্তু তা আর হল কই?"

সহমত।


সামগ্রিক ভাবেই শিক্ষায় মনোযোগ বাড়াতে হবে, শিক্ষক মান বাড়াতে হবে, অনেক অনেক বেশি বরাদ্দ দিতে হবে। শুধু সংখ্যার জন্য প্রতিষ্ঠান না গড়ে কোয়ালিটির দিকেও মনোযোগ দিতে হবে।

দেশের শিক্ষা বাজেট অনেক অনেক বেশি বাড়াতে হবে।

৩১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:২৭

কিবরিয়াবেলাল বলেছেন: লেখকের দরদী লেখার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি । সে সাথে পি এস ডি গবেষক হবার শর্তের সাথে ভিন্নমত পোষন করছি । আমি মনেকরি যিনি যেই কর্মক্ষেত্রে যুক্ত আছেন তিনি সেই সেখানকার অবস্থা , সমস্যা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে অধিকতর ভালো জানেন ।কিন্তু অন্যায্য শর্তের কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের কেহ গবেষণার সুযোগ পাচ্ছেন না ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:৪৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: "আমি মনেকরি যিনি যেই কর্মক্ষেত্রে যুক্ত আছেন তিনি সেই সেখানকার অবস্থা , সমস্যা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে অধিকতর ভালো জানেন।"

অতি অবশ্যই।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নিন্ম যোগ্যতার শিক্ষক নিয়োগ প্রথার সাথে আমার ব্যাপক দ্বিমত আছে, আমি চাই বিশ্ববিদ্যালয় এর ডিগ্রী ধারীরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শিক্ষা দিক। হিউম্যান রিসোর্স এর এভাব নাই, শুধু ভালো ইন্সেন্টিভ আর সম্মান দিলেই বিশ্ববিদ্যালয় এর ভালো রেজাল্ট ধারী গ্রায়ডুয়েট রা প্রাথমিকে এবং মাধ্যমিকে শিক্ষক হতে চাইবে!

মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৫৬

মো: আকরাম খান বলেছেন: সবকিছুই বুঝলাম হাল্কা পরিসরে । কিন্তু আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হয়ে এটাই প্রতিনিয়ত আশা করি, কলেজ থেকে যখন এটা পাবলিক ভার্সিটি বানানো হল, তবে কেন আগে আবাসিক হল অবমুক্ত করা হল না । অনেক মেধাবী বন্ধুরা ছেড়া প্যান্ট পড়ে, টাকা দিয়ে বাড়ি ভাড়া দেয়, বাধ্য হয়ে না খেয়ে দিন চালায় । রাখেন গবেষণা, এর বিহিত আগে চাই ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:৪৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ব্যাপারটা হতাশার। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অনেক অবকাঠামোগত সমস্যা। ছাত্র রাজনীতিকে ব্যবহার করে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের চাঁদাবাজি সংস্লিটতা বিষয় গুল্ককে আরো জটিল করে রেখেছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সমস্যা গুলো দূর করা দরকার, একে মান সম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় করার যাবতীয় প্রস্তুতি আর্থিক ভাবেই নেয়া দরকার, গুনগত মানের শিক্ষক দরকার, গুনগত অবকাঠামো দরকার!

৩৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:৪৫

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: জরুরী পোস্ট। গভঃ এর নজরে এলেই হয়

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৪১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ মায়াবী রূপকথা। সামু কে ধন্যবাদ পোষ্ট স্টিকি করার জন্য।

৩৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৩২

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: বাংলাদেশে সবকিছুতেই সমন্বয়ের অভাব পরিলক্ষিত হয়। বর্তমানে পাবলিক পাচটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় আছে সমন্বিতভাবে এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলি একসাথে কিছু প্রকল্পভিত্তিক কাজ করলে অনেক মৌলিক ফলাফল বেরিয়ে আসত। আমাদের সবগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচিৎ নিজেদের ফান্ডের ব্যবস্থা নিজেদের করা। বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে ছোটো ছোটো প্রজেক্ট শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে করানো, এতে শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে কাজ করার সুযোগ পাবে। শিক্ষকদের এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: শরীফ ভাই, খুব সুন্দর করে বলেছেন।

পাবলিক পাচটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় এর সমন্বয় সময়ের দাবি। বুয়েট কুয়েট রুয়েট চূয়েট ডুয়েট এর সমন্বয়, ল্যাব ফেসিলিটি শেয়ারিং, প্রজেক্ট শেয়ারিং, রিসার্চ শেয়ারিং ডেটা বেইজ শেয়ারিং থিসিস থেফট ঠেকানো খুব দরকার। কোর্স কন্টেন্ট আপডেট এ একে অপরকে সাহায্য করতে পারেন।

একটা কালচার এখনও চালূ হয়নি, সেটা হোল আন্ত বিশ্ববিদ্যালয় সাবজেক্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম অথবা থিসিস এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু র‍্যান্ডোম সাবজেক্ট এর প্রশ্ন অন্য বিশ্ব বিদ্যালয় কে দিয়ে করাতে হবে, খাতা মূল্যায়ন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কে দিয়ে করাতে হবে। তাইলে শিক্ষা মানে সামাঞ্জস্য আসবে। সেই সাথে পারস্পরিক কমিউনিকেশন বাড়বে, শেয়ারিং এ ক্ষেত্র উর্বর হবে। রিসর্স শেয়ারিং দেশের জন্য ও উত্তম, আর্থিক ভাবে। তাইলে একই দুস্প্রাপ্য ল্যাব সবাই না করে বেশি সংখ্যাক রিচ এন্ড সফস্টিকেটেড ল্যাব করা যাবে।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৩৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: রিসার্চ সমন্বয় নিয়ে আরেকটা বিষয় নিয়ে ভাবছিলাম,
দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগ সমূহকে নিয়ে এক একটা ন্যাশনাল রিসার্চ এসেমব্লি করা যায়, এই এসেম্বলি বছরের নির্দিস্ট সময়ে (সিডিউল্ড ক্যালেন্ডার টাইম) আন্ডার গ্র্যাড, মাস্টার্স, পি এইচ ডি এবং পোষ্ট ডক্টরাল গবেষণার কাগ গুলো প্রেজেন্ট করবে। এর পুর্বে কাজ গুলো রিভিঊ এবং সিলেকশন প্রেসেস থাকতে পারে।

এই এসেমব্লি তে রিলেটেড সকল সরকারি বেসরকারি ইন্সটিটুট, কোম্পানী (অপারেসন্স, আর এন্ড ডি বোথ) এবং রিসার্স হাউজ গুলোকে আমন্ত্রণ জানানো যায়। তাইলে একডেমিক্স এবং ইন্ডাস্ট্রির একটা মিলন মেলা করা যাবে। এতে ক্যাপাবিলিটি কমিউনিকেশন ভালো হবে, পারস্পরিক প্রতিজোগীতা সৃষ্টি হবে।

৩৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:১৫

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আমি জানিনা কার কি ধরনের পরিকল্পনা। আমার ইচ্ছে আছে দেশে একটা রিসার্চ কম্পানি খুলবো। আমার কম্পানিতে শুধু রিসার্চ হবে। ইনভেস্টমেন্ট রিসার্চ করতে পারলে দেশ অনেক এগিয়ে যেতো। টাকা ওয়ালার টাকা পকেটে নিয়ে দামি গাড়ি আর বিদেশি সুগন্ধি কিনতে ব্যাস্ত। এই জিনিষ নিয়ে মাথা ঘামানোর কোন চিন্তাই নেই কারো।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: খুব ভালো পরিকল্পনা ভাইয়া। রিসার্চ সেল করার আইডিয়া খুবই প্রডাক্টিভ। আসলে প্রডাক্টিভ বিজনেস এ ইনভেস্ট করার ধারাটাই সৃষ্টি হতে বাকি, যা হচ্ছে ব্যবসার নামে প্রায় সবই ট্রেডিং। অন্যের পণ্য এনে সরাসরি বা কিছু ভ্যালূ এড করে বিক্রির ধান্ধা।

ভেঞ্চার ক্যাপিটালিজম নেই, শুধু সস্তা ক্যাপিটালিজম আছে! দেশীয় উতপাদন এর জন্য সুচিন্তিত এবং সুদূর প্রসারী নেতৃত্ব ও নীতিমালা দরকার।

৩৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৪০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমাদের মেধাবী ছাত্রদের প্রায় সবারই ইচ্ছা থাকে দেশে বাইরে উচ্চ শিক্ষা ।বিশেষ করে ইউরোপ আমেরিকায় ।তারা চলে যান দেশের বাইরে ।সেখানে সেটল করেন । ফলাফল ব্রেইন ড্রেইন । পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলো গবেষণা কার্যক্রমে কর্তাব্যক্তিদের আনুকল্য লাভ করলেও আমাদের মেধাবী তরুণদের দেশপ্রেম নিয়ে এগিয়ে আসা জরুরী।ইউরোপ এমেরিকা না গিয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় নিতে হবে । তবেই কেবল এমন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ব্রেইন ড্রেইন ঠেকাতে হবে যে কোন মূল্যে। ব্যক্তি ইনভেস্টমেন্ট কে চাঁদাবাজি মুক্ত করা গেলে অবস্থা ভালো হবে, প্রবাসীরা একটু সংকটে পড়লেই দেশে ফিরবে।

৩৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

ডঃ আলম বলেছেন: সেলিম আনোয়ার বলেছেন:
"আমাদের মেধাবী তরুণদের দেশপ্রেম নিয়ে এগিয়ে আসা জরুরী",

হ্যা আমরা এসেছিলাম, বেশ কয়েকজন আবার চলে গেছে, আমারাও যাবার পথে। তবে একটা শেষ দেখব, এই আরকি।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেকেই আমাদের তরুণদের নিয়ে হতাশ, আসলে অনেক অনেক তরুন আছেন দেশ এর সমস্যার সমাধান নিয়ে ভাবেন। নেতৃত্ব ভালো হবে তরুণরা আরো বেশি দেশ গঠনে অংশ নিতে পারবে।

কিন্তু সাবেক বর্তমান সকল নেতৃত্বই যেহেতু লুটপাটে ব্যস্ত তাই বোধ হয় তরুণদের সামাজ এবং রাষ্ট্রের ইন্সটিটুশনাল রেভূলুশন নিয়েই ভাবতে হবে। ইন্সটিটুশন গড়া খুব দরকার। যা ছিল আমাদের সব নস্ট করে ফেলেছে রাজনোইতিক দুর্বিত্ত আর লোভী আমলারা!

৩৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০৭

রিশাদ রিজওয়ান বলেছেন: এখানে আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম নিয়ে কথা বলছি আমাদের জাতীয় পর্যায়ের বাস্তবতাকেও কিছুটা বুঝতে হবে । উদাহরণ স্বরূপ বুয়েটের কথা বলিঃ
বুয়েটের একজন এভারেজ রেসাল্ট নিয়ে পাশ করা শিক্ষার্থীদের দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে ।
১। যারা দেশে থেকে চাকরি করতে চায় ।
২। যারা হায়ার স্টাডিজ এবং গবেষণা করতে চায় ।

১। যারা দেশে সেটেল্ড হতে চায়, আমাদের দেশের বাস্তবতায় একজন মাস্টার্স বা পিএইচডি ডিগ্রীধারী প্রকৌশলীকে ওভার কোয়ালিফাইড বিবেচনা করা হয় এবং বাস্তবিকপক্ষেই , সামান্য ব্যতিক্রম ছাড়া এদেশে তাদের উচ্চশিক্ষাকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্র নেই । (ইউনিভার্সিটির টিচিং ছাড়া) ।

২। যারা উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা করতে চায় তারা খুব সহজেই পশ্চিমা দেশ গুলোথেকে স্কলারশীপ ওফার পেয়ে যায় যার মাসিক পরিমাণ অন অ্যান এয়ারেজ ১৮০০ থেকে ২৫০০ ডলার । জীবন যাপন ও অন্যন্য খরচের পরেও একজন যে পরিমাণ অর্থ সেভ করতে পারে, বাংলাদেশী কোন বিশ্ববিদ্যালয় তাকে তার অর্ধেকও দিতে পারে না । সুতরাং সে বিদেশ বিভুই বেছে নিতে বাধ্য হয় । আবার পিএইচডির পরেও পশ্চিমা দেশে অনেক সম্ভাবনা যেটা এখানে দুরাশা ।

বাইরেই টপ র‍্যাঙ্কড ইউনিয়ার্সিটি গুলোতে গবেষণা খাতে যে পরিমাণ অর্থ আসে তা আমাদের দেশের কোন মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন খাত থেকে কম না বরং ঢের বেশি । বড় বড় ইন্ডাস্ট্রি গুলো সেখানে অর্থায়ন করে । মেইন স্ট্রিম ইঙ্গিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট গুলোতে এক একটা রিসার্চ সেট আপ এ যা খরচ হয় তা দিয়ে সাধারণ ২-১ টা ডীপার্টমেন্ট সারা বছর চালিয়ে নেয়া যায় । এটা একটা বড় সমস্যা । তাই প্রাক্টিকাল গবেষণার সুযোগ এখানে কম - যেটা কিনা টপ র‍্যাঙ্কড জার্নাল পাবলিকেশনের একটা বড় উপায় । অথচ এদেশের শিক্ষার্থীরাই বিদেশে গিয়ে অসাধারণ সব রিসার্চ করছে । পৃথিবীর এমন কোন টপ ইউনিভার্সিটি নেই যেখানে বাংলাদেশী প্রফেসর নেই । সুতরাং সমস্যা টা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়, সমস্যাটা জাতীয় বিবেচনার, জাতীয় পরিকল্পনার ।

একজন প্রকৌশলী, একজন চিকিতসক কিংবা একজন পদার্থবিজ্ঞানীর পেছনে কোটি টাকা খরচ করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত না, কারণ সেক্ষেত্রে ফল অনেক দূর ভবিষ্যতের । কিন্তু সেই ফল যে অনেক চিরস্থায়ী ।
তাই জাতীয় পরিকল্পনা কোনটাকে প্রাধান্য দেবে এটা ভাববার এবং নির্ধারণের বিষয় পরিকল্পনাবিদদের কিংবা আরো স্পেসিফিকালি রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রকদের ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: রিশাদ রিজওয়ান, খুব সুন্দর করে বাস্তবতাকে সামারাইজ করেছেন। এই বিষয় নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা এবং লেখালিখির আমন্ত্রন। তাহলে সমাধান গুলো বেরিয়ে আসবে!


"তাই প্রাক্টিকাল গবেষণার সুযোগ এখানে কম - যেটা কিনা টপ র‍্যাঙ্কড জার্নাল পাবলিকেশনের একটা বড় উপায় । অথচ এদেশের শিক্ষার্থীরাই বিদেশে গিয়ে অসাধারণ সব রিসার্চ করছে । পৃথিবীর এমন কোন টপ ইউনিভার্সিটি নেই যেখানে বাংলাদেশী প্রফেসর নেই । সুতরাং সমস্যা টা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়, সমস্যাটা জাতীয় বিবেচনার, জাতীয় পরিকল্পনার ।

একজন প্রকৌশলী, একজন চিকিতসক কিংবা একজন পদার্থবিজ্ঞানীর পেছনে কোটি টাকা খরচ করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত না, কারণ সেক্ষেত্রে ফল অনেক দূর ভবিষ্যতের । কিন্তু সেই ফল যে অনেক চিরস্থায়ী । "

একেবারে মনের কথা বলেছেন।


আমার মতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষাকে ২ টা স্ট্রীমে বিভক্ত করলে ভালো হয়, পশ্চিম ইউরোপে এই সিস্টেম আছে। যারা কর্মে যাবে তার এপ্লাইড ইউনিভার্সিটিতে (অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক এবং বেসিক কোর্স শেষে ভিন্ন স্ট্রীমে যাবেন) পড়বে এঁরা একটা দীর্ঘ সময় ইন্টার্ন শিপ করবে ইন্ডাস্ট্রিতে, ইন্ডাস্টির অপারেশন্স কাজের অনুকূলে শিক্ষা চলবে । অন্যটা হোল গবেষণা, এখানে ব্যাপক রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট কাজ হবে। বিস্ববিদ্যালয় হবে কোম্পানী গুলোর রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট এক্সটেনশন বা সরাসরি হোম।

এই ফ্রেইম অয়ার্ক গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা দরকার, আমরা যেহেতু এই লাইনে নতুন তাই ঠিক কোন মডেল ফ্রুটফুল হবে সেটা নিয়ে কিছু পাইলট করতে হবে। তবে আমি সরকার এর বাজেট বিষয়ক আন্তরিকতা এবং বিশ্ব বিদ্যালয় গুলোর দায়িত্ব নেয়ার বিকল্প দেখছি না।
আরেকটা কথা, যেহেতু একক ভাবে ছোট বিশ্ব বিদ্যালয় গুলো রিসোর্স সমস্যায় আছে, ল্যাব ফেসিলিটি এবং রিসার্চ টিচার সল্পতায় আছে তাই একই টাইপের সকল বিভাগ গুলোর সমন্বয় দরকার। যেমন বুয়েট কুয়েট রুয়েট চূয়েট ডুয়েট এর সমন্বয় এবং ল্যাব শেয়ারিং প্রজেক্ট শেয়ারিং রিসার্চ শেয়ারিং ডেটা বেইজ শেয়ারিং খুব দরকার।

একটা কালচার এখনও চালূ হয়নি, সেটা হোল আন্ত বিশ্ববিদ্যালয় সাবজেক্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম অথবা থিসিস এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু র‍্যান্ডোম সাবজেক্ট এর প্রশ্ন অন্য বিশ্ব বিদ্যালয় কে দিয়ে করাতে হবে, খাতা মূল্যায়ন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কে দিয়ে করাতে হবে। তাইলে শিক্ষা মানে সামাঞ্জস্য আসবে। সেই সাথে পারস্পরিক কমিউনিকেশন বাড়বে, শেয়ারিং এ ক্ষেত্র উর্বর হবে। রিসর্স শেয়ারিং দেশের জন্য ও উত্তম, আর্থিক ভাবে। তাইলে একই দুস্প্রাপ্য ল্যাব সবাই না করে বেশি সংখ্যাক রিচ এন্ড সফস্টিকেটেড ল্যাব করা যাবে।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৩৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: রিসার্চ সমন্বয় নিয়ে আরেকটা বিষয় নিয়ে ভাবছিলাম,
দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগ সমূহকে নিয়ে এক একটা ন্যাশনাল রিসার্চ এসেমব্লি করা যায়, এই এসেম্বলি বছরের নির্দিস্ট সময়ে (সিডিউল্ড ক্যালেন্ডার টাইম) আন্ডার গ্র্যাড, মাস্টার্স, পি এইচ ডি এবং পোষ্ট ডক্টরাল গবেষণার কাগ গুলো প্রেজেন্ট করবে। এর পুর্বে কাজ গুলো রিভিঊ এবং সিলেকশন প্রেসেস থাকতে পারে।

এই এসেমব্লি তে রিলেটেড সকল সরকারি বেসরকারি ইন্সটিটুট, কোম্পানী (অপারেসন্স, আর এন্ড ডি বোথ) এবং রিসার্স হাউজ গুলোকে আমন্ত্রণ জানানো যায়। তাইলে একডেমিক্স এবং ইন্ডাস্ট্রির একটা মিলন মেলা করা যাবে। এতে ক্যাপাবিলিটি কমিউনিকেশন ভালো হবে, পারস্পরিক প্রতিজোগীতা সৃষ্টি হবে।

৩৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৫

গ্রীনলাভার বলেছেন: পড়লাম। আমি সমস্যাটা কিভাবে দেখছি বলি।
"গুনিজনের সম্মান গুনিজনেই দেয়"। কোন একজন বুদ্ধিজীবিকে আজকে জাতির হাল ধরতে বলি। ওনারা পর্দার আড়ালে থাকতেই বেশি পছন্দ করবেন। সন্ধ্যার পর আরও কিছু প্রবীনদের নিয়ে দেশের হাল হকিকত নিয়ে আহা-উহু করতেই পছন্দ করেন তারা। ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস স্যার "নেড়া বেলতলায় একবারই যায়" - বলে ইস্তফা দিয়েছেন। ডক্টর মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার "এখন দেশের নেতৃত্বে যাওয়াটা নিজের জন্য ক্ষতিকর" ভেবে পাশ কাটানোটা পছন্দ করবেন। আর আমাদের বর্তমান নেতা-নেত্রীরা কিছু না পেয়ে চোর-ভন্ড বাটপার যাকে যেখানে পাচ্ছে বসাচ্ছে। আমি নিজে চোর তাই চোর ছাড়া আমার আর কোন বন্দ্ধুও নেই। চুরি করা ছাড়া তাই কিছু ভাবতেও পারি না।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:১৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: হ্যাঁ ভাই, আমরা দুর্নিতি আর লূটপাটের সাথে আপোষ করে ফেলেছি।

গ্রেট নাগরিকদের জনপ্রিয়তা হারানোর ভয়কে জয় করে অজনপ্রিয় এবং কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্তত সরকারকে নাগরিক বান্ধব কাজের জন্য সদা প্রেসারে রাখতে হবে।

অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য!

৪০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

এস কাজী বলেছেন: উন্নত দেশগুলো তাদের বেশীরভাগ অর্থ খরচ করে R & D এর পেছনে। কারন উন্নত হতে হলে এ সেক্টর শক্তিশালী হওয়া জরুরী। কিন্তু আমাদের দেশে উল্টোটা। চবি'তে যেখানে ভিসির গাড়ি কেনা হয়েছিল ৫০ লাখ টাকা দিয়ে সেখানে গবেষণার জন্য রাখা হয়েছিল মাত্র ২০ লাখ। তাহলে বুঝুন! তথ্যবহূল পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:১১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: " চবি'তে যেখানে ভিসির গাড়ি কেনা হয়েছিল ৫০ লাখ টাকা দিয়ে সেখানে গবেষণার জন্য রাখা হয়েছিল মাত্র ২০ লাখ"
কি বলবো আর দুঃখের কথা!

তিন লক্ষ কোটি টাকার বাৎসরিক বাজেট আমাদের! যদি দুর্নিতি দূর করে এই এই বাজেট নাগরিক বান্ধব করা যেত, আমরা খুব শক্তিশালী এবং সাস্টেইন এবল একটা অর্থনৈতিক ভিতের উপর দাঁড়িয়ে যেতাম!

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

৪১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৫৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় রিসোর্স শেয়ারিং
এই কালচারটা এখনও চালূ হয়নি তেমন, আন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব, টিচার, সাবজেক্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম অথবা থিসিস বা বিষয় ভিত্তিক যৌথ গবেষণা প্রোগ্রাম কিংবা শেয়ারড কোর্স কিংবা রিসার্চ ডকুমেন্টেশন প্রোগ্রাম।
এর বাইরে রয়েছে একাডেমিক এক্সসিলেন্স আনার কিছু সমন্বিত কাজ, যেমন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু র‍্যান্ডোম সাবজেক্ট এর প্রশ্ন অন্য বিশ্ব বিদ্যালয় কে দিয়ে করাতে হবে, উত্তর পত্র মূল্যায়ন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কে দিয়ে করাতে হবে। তাইলে শিক্ষা মানে সামাঞ্জস্য আসবে। সেই সাথে পারস্পরিক কমিউনিকেশন বাড়বে, শেয়ারিং এ ক্ষেত্র উর্বর হবে। রিসর্স শেয়ারিং দেশের জন্য ও উত্তম, আর্থিক ভাবে। তাইলে একই দুস্প্রাপ্য ল্যাব সবাই না করে বেশি সংখ্যাক রিচ এন্ড সফস্টিকেটেড ল্যাব করা যাবে।
রিসার্চ সমন্বয় নিয়ে আরেকটা বিষয় নিয়ে ভাবছিলাম,
দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগ সমূহকে নিয়ে এক একটা ন্যাশনাল রিসার্চ এসেমব্লি করা যায়, এই এসেম্বলি বছরের নির্দিস্ট সময়ে (সিডিউল্ড ক্যালেন্ডার টাইম) আন্ডার গ্র্যাড, মাস্টার্স, পি এইচ ডি এবং পোষ্ট ডক্টরাল গবেষণার কাগ গুলো প্রেজেন্ট করবে। এর পুর্বে কাজ গুলো রিভিঊ এবং সিলেকশন প্রেসেস থাকতে পারে।
এই এসেমব্লি তে রিলেটেড সকল সরকারি বেসরকারি ইন্সটিটুট, কোম্পানী (অপারেসন্স, আর এন্ড ডি বোথ) এবং রিসার্স হাউজ গুলোকে আমন্ত্রণ জানানো যায়। তাইলে একডেমিক্স এবং ইন্ডাস্ট্রির একটা মিলন মেলা করা যাবে। এতে ক্যাপাবিলিটি কমিউনিকেশন ভালো হবে, পারস্পরিক প্রতিজোগীতা সৃষ্টি হবে।

৪২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

স্বাধীন সবুজ বলেছেন: ভালো একটি বিষয় তুলে ধরেছেন । কিন্তু গবেষণা করবে কে? গবেষণার পথ দেখাবে কে? অর্থাৎ কোন বিষয়ে গবেষণা করতে হবে ,তার উদ্দেশ্য কি হবে ? তা নির্ধারণ করবে কে? নিশ্চয়ই মূল ভুমিকায় থাকবেন সম্মানীত শিক্ষকেরা । কিন্তু অনেক অযোগ্য শিক্ষক ঘুষ, লবিং, গ্রুপিং করে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন । তারা থাকলে গবেষণার অর্থ অপচয় ছাড়া কিছুই হবে না । বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের যারা অযোগ্য তাদের সরকারী কলেজ এ স্থানান্তর করা যেতে পারে । সেখানেও যোগ্য না হলে সরকারী স্কুলে । অনুরূপভাবে সরকারী স্কুলে অতিরিক্ত যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক থাকলে অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে তাদের কলেজে পদোন্নতি এবং কলেজের মেধাবী শিক্ষকদের মাঝখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়েরর শিক্ষক নিয়োগ করা যেতে পারে । যাতে কোন ভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মানে প্রশ্ন না থাকে । গবেষণার অর্থের জন্য সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০% শিক্ষার্থীকে বাহিরের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েরর মত টিউশন ফি/ মাসিক বেতন নির্ধারণ করা যেতে পারে । ৫০% মেধাভিত্তিতে বিনা খরচে/বেতন পড়ানো ছাত্র-ছাত্রী নির্বাচন করার পর অপেক্ষমান তালিকা হতে যারা উক্ত টিউশন ফি পড়তে সক্ষম তাদের সুযোগ দেয়া । গবেষণার অর্থের জন্য সরকারী আয়ের উপর নির্ভর করলে চলবে না ।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: দুর্নীতি ঠেকাতে সরাসরি মেধা ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ প্রথা চালু করতে হবে। যেহেতু ভাল ছাত্র মাত্রই ভালো শিক্ষক নন, তাই বাধ্যতা মূলক শিক্ষক মূল্যায়ন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে।

আমার একটা লিখা আছে এরকম- আপোনার ভাল লাগতে পারে!
http://www.somewhereinblog.net/blog/fateee/29971679
মুখস্ত বিদ্যা নির্ভর বিসিএস প্রথা বাতিল করুন, ন্যাশনাল ইয়থ সার্ভিস চালু করুন।

৪৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: শিক্ষা মান সম্পন্ন হোক!
বাংলাদেশ এগিয়ে যাক!

০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: শিক্ষা মান সম্পন্ন হোক!
বাংলাদেশ এগিয়ে যাক!

৪৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২৩

জেকলেট বলেছেন: এই দেশে কেমনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বাড়বে বলেন??? এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ভ্যাট বসানো হয়। অনেকেই বলবেন এইগুলো বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর। আমার কথা সরকারী বেসরকারী বলে কিছু নাই বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ই। একে বিভাজন করা ঠিক না।
আরেকটা ব্যাপার এখন যে সমাজে টাকাই আসল। সেটা যেভাবেই উপার্জন করা হউক না কেন?? আমাদের কোম্পানীগুলো বিদেশী আবিষ্কারের কপি বা ওয়ার্কশপ হওয়ার জন্য প্রতিযোগীতা করে কিন্তু নিজেদের ইনভেনশনের জন্য গবেষণার জন্য এক পয়সা ও খরচ করতে রাজী না। সরকার ও সেই প্রতিযোগীতায় আন্দোলনে (প্রতিযোগীতায়) শক্ত করে নিজের অবস্থানের জানান দিচ্ছে। অথচ এইটা সরকারের ই মূল দায়িত্ব। চিন্তা করেন বাংলাদেশের ইউনি থেকে মাইক্রোসফট, আ্যপল, গুগল বা ফেসবুক কখন ইনভেনট হবে??
সবার আগে সংশ্লিস্ট সবাইকে এর গুরুত্ব বুজতে হবে।

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:১১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: Click This Link

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাট আরোপ এ খুবই মর্মাহত হয়েছি, যেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তকমা নিয়ে সামনে এগুচ্ছে (এবং বেসরকারি চাকরির বাজারে লিড নিয়ে নিয়েছে) সেখানে দরকার একটি ফ্রেইম অয়ার্ক কিভাবে এই উচ্চ শিক্ষাকে মধ্যবিত্তের নাগালে আনা যায়।

উচ্চ শিক্ষার এক্সেস নিয়ে এই লিখাটি পড়তে পারেন, গুরুত্ব পুর্ন কিছু ডেটা নিয়ে সময় সাপেক্ষ লিখা। কয়েক সপ্তাহ আগে লিখা।


"২০১৪ সালের চিত্র
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের স্নাতক ১ম বর্ষের আসন সংখ্যা মোট ২,১৯,২২৯। (টি আই বি প্রতিবেদন অনুসারে ২০১৩-২০১৪)
১,৩১,৯৩২ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় < ৬০.১৮%
৮৭,২৯৭ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় <৩৯.৮২%
(টি আই বি প্রতিবেদন অনুসারে ২০১৩-২০১৪ সেশনে, এর মধ্যে কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর আউটার শাখা বন্ধ হয়েছে এবং প্রধান শাখার গ্রোথ হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এর আসন মোটামুটি একই থাকলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর আসন কিছুটা বেড়েছে এর মধ্যে)

পাশ করেছেন ৬,৯৯,৯৬৮ জন। ৬,৯৯,৯৬৮ - ২,১৯,২২৯= ৪,৮০,৭৩৯ জন HSC পাশ করা শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সুযোগ পাননি। এটা মোট HSC অংশ গ্রহন কারীদের ৬৮.৬৮%। মোট ফেল করা ২,৪৭,৩৩৬ জন (পরীক্ষার্থীর ২১,৬৭%) এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সুযোগ না পাওয়া ৪,৮০,৭৩৯ জন (শুধু HSC) নিয়ে আমাদের রাষ্ট্র কি দায়িত্ব পালন করেছে আমাদের সেটা জানা নাই।"

২০১৫ সালের চিত্র এবং চাহিদাঃ
বর্তমানে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের স্নাতক ১ম বর্ষের আসন সংখ্যা মোট ২,৫১,৯৩২।
১,৫১,৯৩২ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় < ৬০.৩০% (বেসরকারি মেডিক্যাল আসন সহ)
১,০০,০০০ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় <৩৯.৮০% (প্রকৃত সংখ্যা ৯০ হাজারের মত, ১০,০০০ বাড়িয়ে ধরা হয়েছে)

২০১৫ সালে মোট ১০,৭৩,৮৮৪ জন। (নোটঃ এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গত বছরের থেকে এবার ৬৭ হাজার ৪৯০ জন কম শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে।)

উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট ও সমমানের পরীক্ষায় ২০১৪ সালে গড় পাসের হার ছিল ৭৮.৩৩%। সাধারণত বছর বছর এই % এর খুব লক্ষণীয় পরিবর্তন হয় না। ২০১৫ এর পাশের হার ৮০% ধরলেও আমরা দেখি সর্বোমোট ৮,৫৯,১০৭ পাশ করবেন। বিপরিতে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় (রেগুলার বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সহ) এ আসন রয়েছে ১,০০,০০০ মাত্র।

সরকারিতে ভর্তি ১ লক্ষ বাদে বাকি ৭,৫৯,১০৭ পরীক্ষার্থীর কি হবে?

৪৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন বলেছেন: জাতীয় পোষ্ট, পড়ে অনেক কিছু জানলাম। শুভ কামনা রইল আনিঃশেষ।

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:০০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া!

৪৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৩৯

নাজনীন১ বলেছেন: আপনি তো সরকারের টাকা দিয়ে করা গবেষণাকর্ম নিয়ে কথা বললেন। বিভিন্ন ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স থিসিস কিন্তু তাত্ত্বিকও হয়। সরকারী ফান্ড সহজে পাওয়া যায় না বিধায় বিনা পয়সাতেই বা ছাত্র-শিক্ষকদের নিজের গাটের থেকে সাধ্যমত খরচ করে অনেক তাত্ত্বিক গবেষণাই বাংলাদেশে হয় এবং সেগুলো দেশী বিদেশী বিভিন্ন কনফারেন্স বা জার্নালে প্রকাশিতও হয়। এগুলো মনে হয় আপনার হিসেবের বাইরে থেকে গেছে।

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৪:৩০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: হ্যাঁ আমরা গবেষণায় সরকারি অংশ গ্রহন এবং আন্তরিকতা নিয়েই কথা বলেছি বেশি। এর বাইরে প্রফেসর দের ব্যক্তিগত কানেকশনের ফান্ড রয়েছে, সেটা কোয়ান্টিফাইড নয় মঞ্জুরি কমিশনের ডেটায়। বুয়েটের এক জন সম্মানিত প্রফেসরের মন্তব্য এড করেছি।

ব্যক্তিগত ফান্ড কে মনিটারি ভ্যালূতে আনতে না পারলেও সেগুলার ফলাফল যে খুব ভালো তা বলা যাবে, বাংলাদেশের বিশ্ব বিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক জার্নাল প্রকাশ এর অক্ষমতা তাই নির্দেশ করে।

হ্যাঁ সামান্য কিছু জার্নাল আসছে, সেগুলোর প্রায় সকল কাজই বিদেশী বিস্ববিদ্যাল্যের ফিল্ড অয়ার্ক। এটার পুরো ক্রেডিট আআমদের বিশ্ব বিদ্যালয় নিতে পারে না। এরকম কাজ করা আনা বেশ কয়েক জন স্টুডেন্ট দের আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনিও।

এবার আসি ইন কোর্স এবং মাস্টার্স থিসিস, কি আর বলব- এইসব প্রায়ি কপি পেস্টে ভরা। আমি করেছি, আমার বড় ভাইয়েরা করেছেন, আমার অনুজ রাও করছেন।

কারন, স্ট্র্যাকচার আলাঊ করছে। বিশ্ব বিদ্যালয় সমূহের এন্টি কপইরাট থেকফট টুল নেই, সামান্য ওয়ার্ড ম্যাচ করার সফটওয়্যার ও ব্যবহার হয় না।

৪৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৫৪

ইছামতির তী্রে বলেছেন: গবেষণাই যেখানে নেই সেখানে ঢাবি এশিয়ার ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যেও টিকবে না সেটাই স্বাভাবিক। কারণ র‌্যাংকিংয়ের ড়েটিং পয়েন্ট বাড়াতে গবেষণার বিকল্প নেই। ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ বলে খ্যাত ঢাবিরই এই দশা সত্যিই পীড়াদায়ক। অবশ্য শুধু ঢাবি-র দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমাদের জাতীয় বাজেটেই শিক্ষাখাতে বরাদ্দ মূল বাজেটের মাত্র ৪.৩ শতাংশ’ যেখানে ঘানা এবং কেনিয়ার মত দেশে তা ৩১ শতাংশ। দেশের গোটা শিক্ষাখাতেই ‘এক চিমটি পড়াশোনা এবং বাকী খাও-দাও’ নীতি বিদ্যমান। আর একটা কথা। পাবলিক বিশেবিদ্যালয়ের স্টুডেন্টদের ৩০-৪০ টাকার টিউশন ফি’র দিন শেষ করা উচিত। আমাদের স্মরণে রাখা দরকার, ছাত্ররা এখন মাসিক মোবাইল-ইন্টারনেট বিল দেয় এভারেজ ৩০০-৫০০ টাকা। কাজেই টিউশন ফি বাড়িয়ে সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ব্যয় করা হোক। পাশাপাশি সরকারী বরাদ্দ অনেক বাড়ানোর দাবী করছি।

আজ শিক্ষাক্ষত্রে বরাদ্দ নিয়ে সুনামি-র মত প্রবল ধাক্কা দেয়ার সময় এসেছে। না হলে এই পেশায় নিয়োজিত অসংখ্য মানুষ বাজেট থেকে ‘ট’ বর্গীয় শব্দটি বাদ দিয়ে উচ্চারণ করবে।

উপরোক্ত লেখাগুলো আমি ঢাবির বাজেট পাশের পরের দিন আমার ফেসবুক পেজে লিখেছি্লাম। সঙ্গত কারণে এখানে আবার রিপিট করলাম।

সুন্দর এবং অতীব জরুরী একটি বিষয় উপস্থাপনার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৪:৫৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: "গবেষণাই যেখানে নেই সেখানে ঢাবি এশিয়ার ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যেও টিকবে না সেটাই স্বাভাবিক। কারণ র‌্যাংকিংয়ের ড়েটিং পয়েন্ট বাড়াতে গবেষণার বিকল্প নেই। ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ বলে খ্যাত ঢাবিরই এই দশা সত্যিই পীড়াদায়ক। অবশ্য শুধু ঢাবি-র দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমাদের জাতীয় বাজেটেই শিক্ষাখাতে বরাদ্দ মূল বাজেটের মাত্র ৪.৩ শতাংশ’"

মাঝে মাঝে রাজনীতিবিদ রা বলে থাকে "দেশের ভাব মূর্তির কথা"। ওদের কে বলতে ইচ্ছে হয়, ভালো মানে হোল আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিং এ ১০০ এর মধ্যে একাধিক বিশ্ব আনার বন্দোবস্ত কর। তর তর করে ভাবমূর্তি বাড়ে যাবে! সমস্যা সব দেশেই আছে। আমাদের একটু বেশি আছে, এই নিয়ে পশ্চাৎ ধাবন করলে তো চলবে না।

আপনার লেখালিখি চালিয়ে যান। আমাদের সব ইন্টেলেকচুয়াল আপ্সহন কাজে লাগাতে হবে।

আন্তরিক ধন্যবাদ।

৪৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:০৫

নাজনীন১ বলেছেন: একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু র‍্যান্ডোম সাবজেক্ট এর প্রশ্ন অন্য বিশ্ব বিদ্যালয় কে দিয়ে করাতে হবে, উত্তর পত্র মূল্যায়ন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কে দিয়ে করাতে হবে। তাইলে শিক্ষা মানে সামাঞ্জস্য আসবে। --- এটা এখনো হয়। এক্সটারনাল দিয়ে প্রশ্ন করিয়ে মডারেশন করেই ফাইনাল প্রশ্নপত্র তৈরী হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে, খাতাও ইন্টারনাল, এক্সটারনাল দুজনে দেখে।

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৪:৪২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনি যা বলছেন তা যদি সত্যি সত্যি কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে থাকে তাহলে আমি আসলেই প্রীত হচ্ছি! বুয়েট এবং ঢাবি তে আমার শিক্ষা জীবন এই সত্যের সন্ধান দেয় নি।

"একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু র‍্যান্ডোম সাবজেক্ট এর প্রশ্ন অন্য বিশ্ব বিদ্যালয় কে দিয়ে করাতে হবে, উত্তর পত্র মূল্যায়ন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কে দিয়ে করাতে হবে। তাইলে শিক্ষা মানে সামাঞ্জস্য আসবে।"

তবে আসল কথা হোল, এক্সচেঞ্জ এবং এক্সটার্নাল এভালুয়েশন কে সাধারন প্র্যাক্টিস বা স্টান্ডার্ড কালচার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আইন করে কিছু হবে না।

আমরা চাই, শিক্ষা মান বাড়ুক, ট্রান্সপারেন্ট থাকুক। এবং অতি অবশ্যই যাতে চাক্রির সার্কুলেশনে বুয়েট পাশ, ঢাবি পাশ ইত্যাদি জুড়ে দেয়া না হয়! পরের স্টেইজ এ আস্তে হলে আগের স্টেইজ এ এসে সকল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাকে গুনগত মান সম্পন্ন করতে হবে। নাইলে চাকরি দাতাকে খালি খালি দোষ দিয়েই দিন পার করতে হবে।

৪৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:১৮

গরল বলেছেন: আমার মনে হয় গোড়ায় গলদ, কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় বানান এবং কলেজের কার্য্যপ্রণালী নিয়েই আমাদের দেশে যত্র তত্র বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে বা উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয় মানেই হল গ্রাজুয়েট শিক্ষা যা মূলত গবেষণামুলক বা থিসিস ভিত্তিক এবং আর একটা বড় কাজ হল অ্যাক্রিডিটেশন। যেমন বুয়েটকে গ্রাজুয়েট কোর্স বা গবেষণা সহ ইঞ্জিনীয়ারিং এর অ্যাক্রিডিটেশন বডি হিসাবে রেখে বিআইটিগুলোকে তার অধিনস্ত স্কুল করে দিলে ভাল হত কিনা তা জ্ঞানীরাই ভাল বলতে পারবে। সেইরকমভাবে কলেজগুলো চলে যেতে পারত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধুমাত্র গ্রাজুয়েট ও রিসার্চ নিয়ে থাকলেই ভাল হত। এরকম ভাবে সবগুলো পুরাতন বিশ্ববিদয়ালয় চলতে পারত। প্রাইভেট বিষয়ভিত্তিক কলেজ হতে পারত, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন ছিল না। আর এখন যেভাবে ব্যাঙের ছাতার মত বিশ্ববিদ্যালয় গজাচ্ছে তা আসলে রাজনীতি ছাড়া আর কিছু না।

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাইয়া, আপনার ভাবনা ক্রিয়েটিভ। আপনি যে মডেল টা বলেছেন এটাই অক্সফোর্ড এর মডেল। অক্সফোর্ড এর আন্ডারে বহু কলেজ রয়েছে, অক্সফোর্ড তাদের সাবার শিক্ষা মান নিয়ন্ত্রন করেই বিশ্বের সেরা ৩ বিশ্ববিদ্যালয় এর একটি।

আমাদের দেশে ন্যাশনাল ভার্সিটি কিছুটা এরকমের, কলেজ গুলোকে হোস্ট করে (আসলে শুধু সার্টিফিকেট দেয়!) কিন্তু মানের কথা কি আর বলবো! এরকম এডুকেশন দিয়ে আমারা আমাদের স্টুডেন্টদের মিস গাইডেড করছি। এর চেয়ে ইন্ডাস্ট্রি ওরিয়েন্টেড ভালো মানের ব্যবসা বা কারিগরি শিক্ষায় ইনভেস্ট করা যুক্তি যুক্ত।

সকল ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় কে একই অ্যাক্রিডিটেশন বডির আওতায় এনে মান নিয়ন্ত্রন, রিসোর্স শেয়ারিং গুরুত্ব পুর্ন। আগের মন্তব্যে বলেছি-
"দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগ সমূহকে নিয়ে এক একটা ন্যাশনাল রিসার্চ এসেমব্লি করা যায়, এই এসেম্বলি বছরের নির্দিস্ট সময়ে (সিডিউল্ড ক্যালেন্ডার টাইম) আন্ডার গ্র্যাড, মাস্টার্স, পি এইচ ডি এবং পোষ্ট ডক্টরাল গবেষণার কাগ গুলো প্রেজেন্ট করবে। এর পুর্বে কাজ গুলো রিভিঊ এবং সিলেকশন প্রেসেস থাকতে পারে। এই এসেমব্লি তে রিলেটেড সকল সরকারি বেসরকারি ইন্সটিটুট, কোম্পানী (অপারেসন্স, আর এন্ড ডি বোথ) এবং রিসার্স হাউজ গুলোকে আমন্ত্রণ জানানো যায়। তাইলে একডেমিক্স এবং ইন্ডাস্ট্রির একটা মিলন মেলা করা যাবে। এতে ক্যাপাবিলিটি কমিউনিকেশন ভালো হবে, পারস্পরিক প্রতিজোগীতা সৃষ্টি হবে।"

বিশ্ব বিদ্যালয়ের সংখ্যাঃ ২০১৫ সালের চিত্র এবং চাহিদা
২০১৫ এইচ এস সি তে পরীক্ষার্থী ছিল ১০৬১৬১৪ জন এবং পাশ করেছেন ৭৩৮৮৭২ জন।

বর্তমানে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের স্নাতক ১ম বর্ষের আসন সংখ্যা মোট ২,৫১,৯৩২।
১,৫১,৯৩২ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় < ৬০.৩০% (বেসরকারি মেডিক্যাল আসন সহ)
১,০০,০০০ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় <৩৯.৮০% (প্রকৃত সংখ্যা ৯০ হাজারের মত, ১০,০০০ বাড়িয়ে ধরা হয়েছে)

৭৩৮৮৭২ জন পাশ করলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা ১ লক্ষের ও কম! বাকি ৬৩৮৮৭২ কোথায় যাবে?? কি করবে?

আমি বলি বেসরকারি বিশ্ব বিদ্যালয় দরকার আছে, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে মনোজোগ দেয়া হোক। আন্তরকিতা দেখানো হোক। নাই ব্যবসায়ীদের টাকায় দেয়া প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়িক ই হবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলা ইন্ডাস্ট্রির ম্যান পাওয়ার সাপ্লাই দিতে পারে, এই সুযোগে সরকারি বিশ্ব বিদ্যালয় গুলো গবেষণা , রিসার্চ এন্ড ডেভেলোপেন্ট এ ব্যাপক ভাবে লীড নিতে পারে। দেশের সকল সেক্টরের সমস্যা সমন্বিত ভাবে সমাধানের দীর্ঘ মেয়াদি ভাবনা নিয়ে কাজ করতে পারে, বৈশ্বিক মানের সাথে দেশ কে এগিয়ে নিতে পারে!


৫০| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেদের নাম ভাঙ্গিয়ে অনেক কিছু করে থাকে শুধু তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিয়ে খ্যান্ত হয় না পাশাপাশি শুরু করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা ও। অথচ নিজের সে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস নেয়ার ও সময় পায় না। আজ পেট ব্যাথা, কাল শালা আসবে বাসায় এই করে করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ক্লাস পিছিয়ে দেয়। যেখানে ক্লাস করানোর সময় পায় না সেখানে গবেষনায় কাজে বিশ্ববিদ্যালয়কে সময় দেবে কেমন করে ?

আমি এক সময় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেছি সেই অভিজ্ঞতা থেকে বললাম। কেউ যদি আমার সাথে একমত না হতে পারেন তবে সেটা তার নিজের ব্যক্তিগত মতামত।

অনেক ধন্যবাদ "এক নিরুদ্দেশ পথিক" এই বিষয় নিয়ে পোস্ট দেওয়ার জন্য।

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৪:৩৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: "পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেদের নাম ভাঙ্গিয়ে অনেক কিছু করে থাকে শুধু তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিয়ে খ্যান্ত হয় না পাশাপাশি শুরু করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা ও। অথচ নিজের সে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস নেয়ার ও সময় পায় না। আজ পেট ব্যাথা, কাল শালা আসবে বাসায় এই করে করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ক্লাস পিছিয়ে দেয়। যেখানে ক্লাস করানোর সময় পায় না সেখানে গবেষনায় কাজে বিশ্ববিদ্যালয়কে সময় দেবে কেমন করে ?"

আপা, বাস্তবতা কে সরাসরি ব্যাখ্যা করেছেন হয়ত। তার পরেও কিছু ভালো মানুষ, ভালো শিক্ষক তো এখনো রয়েছেন!

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৫১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৪:২১

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: গবেষনা পরের ব্যাপার, পড়াশোনাই তো হয় না ।

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৪:৩১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাইয়া, এখানে এসে কলম ভেঙ্গে গেল! থমকে যেতে হচ্ছে। আশা করি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।

৫২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:০০

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: আমাদের একটা মাস্টার প্লান থাকা দরকার। আমাদের টোটাল শিক্ষাব্যবস্থাটা একটা লেজেগুবরে অবস্থায় আছে। আমরা নির্দিষ্ট কোনো কিছুর উপর ফোকাস করতে পারছি না। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা কোনো স্পেশাল সাবজেক্টের উপর খুব ভালো করতে পারছে না । প্রাথমিক থেকেই শিক্ষার্থীদের তাদের প্রাক-বাছাই পরীক্ষার মাধ্যমে সাবজেক্ট ভাগ করে দিতে হবে। যেমন যে শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় তাকে প্রাথমিক থেকেই ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের উপর জোর দিয়ে বিশেষায়িত করে নিতে হবে। এভাবে সাবজেক্ট ভাগ করা থাকলে শিক্ষার্থীদের বাড়তি পড়াশুনার চাপ থেকে রেহাই দেয়া সম্ভব। আমাদের জ্যাক অব অল ট্রেডস মাস্টার অব নান দরকার নাই। আর একটা ব্যাপার আগটুম বাগটুম জাতীয় জিনিস শিক্ষাব্যবস্থা থেকে তুলে দিতে হবে। সাধারন জ্ঞানের অসাধারন বিরক্তি থেকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কবিরাজ, ছড়াকার , কবি কেউই রেহাই পাই নাই। আমিত্ব, বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অহমিকা এ মনোভাব ত্যাগ না করা পর্যন্ত সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মানে সমতা আনা সম্ভব নয়, বিশেষ করে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি নাক সিটকানো স্বভাবটা পরিবর্তন তাদের মেধা ও মননশীলতার পরিচয় বহন করবে।

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: কথা গুলান খুব গুরুত্ব পুর্ন।

মাস্টার প্ল্যান খুব খুব দরকার।

১। স্পেলাইজেশন খুব দরকারঃ এস এস সি, এইচ এস সি, দাখিল আলিম ফাজিল থেকে সাব্জেক্ট কমিয়ে (জেনারেল সাব্জেক্ট) বিভাগ গুলোকে খুব রিচ করতে হবে। ফোকাস অরিয়েন্টেড করে বিজ্ঞান ব্যবসার বিষয় গুলোর সিলেবাস খুব গভীর করতে হবে। এতে বিশ্ব বিদ্যালয়ে এসে শিখার্থীরা দ্রুত শিক্ষার মেইন স্ট্রীমে আস্তে পারবে, আধুনিক বিষয় সমুহ বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা যাবে। নাইলে বেসিক, ফাউন্ডেশন কোর্স করাতেই প্রথম ২ বছর কেটে যাবে।

অনেক বেশি বিষয় এবং অনেক বেশি চাপ থাকলে স্টুডেন্ট শিক্ষাকে বোঝা মনে করে! মনস্তাত্তিক বিষয় গুলো জয় করা জরুরি।


২ বিশেষায়িত শিখাঃ

"যেমন যে শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় তাকে প্রাথমিক থেকেই ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের উপর জোর দিয়ে বিশেষায়িত করে নিতে হবে। এভাবে সাবজেক্ট ভাগ করা থাকলে শিক্ষার্থীদের বাড়তি পড়াশুনার চাপ থেকে রেহাই দেয়া সম্ভব। আমাদের জ্যাক অব অল ট্রেডস মাস্টার অব নান দরকার নাই।"

ধরুন কম্পিউটার সায়েন্স/ইঞ্জিন্যারিং এর যারা অপারেটিং সিস্টেম পড়েন, তারা কি ২০ বছর আগের অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে বসে থাকলে হবে? হালের এন্ড্রয়েড, উবুন্টু, ম্যাক, উইন্ডোজ এগুলার লেটেস্ট সিস্টেম তো জানতে হবে। কিন্তু বিশ্ব বিদ্যালয়ে এসেই যদি সেই "বেসিক ইনলেক্ট্রনিক" দিয়ে শুরু করা লাগে তাইলে কতদুর আগানো যাবে, বেসিক ইলেকট্রনিক্স ইন্টারে নিতে হবে। ডিজিটাল সার্কিট লজিক ডিজাইন এর বেসিক গুলো ইন্টারে নিতে হবে। যে জন্য বেসিক ফিজিক্স এর কিছু মেট্রিকে নিতে হবে। জাস্ট একটা এক্সাম্পল!

৩। "সাধারন জ্ঞান" থেকে মুক্তি চাই। বি সি এস এর বর্তমান প্রথা থেকে মুক্তি চাই। সাধারন জ্ঞান পরিবার সমাজ মসজিদ মক্তব খেলার মাঠ টিভি পেপার ইত্যাদি পারিপার্শ্বিকতা থেকে শিখতে হবে! বি সি এস এর জন্য যেসব পড়া হয় তা কর্মে কি কাজে আসে? আমার একটা ড্রাফট মডেল আছে, বি সি এস বাদ দিবার!

http://www.somewhereinblog.net/blog/fateee/29971679


৪। ""অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি নাক সিটকানো স্বভাবটা পরিবর্তন তাদের মেধা ও মননশীলতার পরিচয় বহন করবে।""

এই স্বাভাব পরিবর্তিন জরুরি। ইতিমধ্যেই বেসরকারিরা বেসরকারি চাক্রির বাজারে লীড নিয়ে নিয়েছে! সেশন জট, কমুউনিকেশন আর শিক্ষা মান নিয়ে সরকারিদের নাকে তেল দিয়ে ঘুমালে ১০ বছর পর সরকারি বিস্ববিদ্যালয়ের অবস্থান খুব নাজুক হয়ে পড়বে (বিশেষ করে জব অরিয়েন্টেড কমন সাব্জেক্ট গুলুতে), ইউনিক সাব্জেক্ট গুলোতে সরকারি প্রভাব ধরে রাখবে।

৫৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

বিবর্তনবাদী বলেছেন: স্যারেরা টাকা চান। অধ্যাপক জাফর ইকবাল থেকে শুরু করে নাম না জানা সবার একই কথা টাকা নাই গবেষণা কিভাবে হবে। কথা হল, টাকা নাই নাই করেও যা আছে সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা কতটুকু? পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অনেক অর্থ ব্যয় হয় গবেষণায়, কিন্তু তার মানে এই না যে প্রফেসর নাকে তেল দিয়ে ঘুমালেও অর্থ আসতে থাকে। সারা পৃথিবীতে অন্য যেকোনো প্রফেশনের চাইতে প্রফেসরা দৌড়ের উপর থাকেন বেশি। ফাণ্ড যেমন আসে তেমনি আউটপুট দেখাতে হয়। আউটপুট নাই তো টাকা পয়সা নাই। অনেক ক্ষেত্রে প্রফেসরা ফাণ্ডের অভাবে চাকরি হারান।

আমাদের দেশে স্যারেরা ফাণ্ড চান, অথচ এর রিটার্ন কিভাবে দেবেন সেটা নিয়ে কোন প্লান নাই। গবেষণার জন্য টাকা নিয়ে সেটা বাস্তবায়ণ বা যৌক্তিক ব্যাখ্যা না দিতে পারলে যদি বলা হয় উনাদের চাকরি ছাড়তে হবে তাহলে কি তারা মানবেন? ঢাবিতে এমন অনেক প্রফেসর আছেন যারা সবসময়ই কম বেশি কিছু না কিছু ফাণ্ড পেয়ে থাকেন। অথচ, যুগের পর যুগ তাদের ল্যাবে একই জিনিস দেখা যাবে। এমন সব ম্যাশিন পত্র তাদের আছে যা কখনই ব্যবহার করা হয় নাই। আমি নিজেই লাখ লাখ টাকার মেশিন ল্যাবে ঢুকতে দেখেছি যা কখনো স্টার্ট না দিয়েই নষ্ট মেশিনের সাথে ফেলে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই ফাণ্ড নাই ফাণ্ড নাই বলে কাঁদেন, কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয় ফাণ্ড পেলে কি গবেষণা করতে চান, কোন প্রপোজাল দিতে পারবেন কি না? তখনই, হাটে হাড়ি ভেঙ্গে যাবে।

শিক্ষিতরা যতই তাচ্ছিল্য করুক ব্যবসায়ীরা দিন রাত পরিশ্রম করেই বিত্তশালী হয়। কোন প্রকার একাউন্টিবিলিটি ছাড়া তারা কেন বিশ্ববিদ্যালয় গুলতে টাকা দেবে? তার উপর যেই মাস্টারদের নাক কখনো নিচে নামে না। কোন কাজে টাকা পয়সা দিয়ে সেটার আউটপুট চাইতে গেলে উল্টা বিপদ।


দুই দিন আগে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মাস্টার্সের নোট মুখস্ত করা পোলাপান রেজাল্ট হাতে নিয়েই দেশের নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে যাচ্ছে। তিন বছর বসে থাকলেই সহকারী অধ্যাপক। পিএচডি একটা করতে পারলেই ৯/১০ বছরের মাঝে ফুল প্রফেসর হবার স্বপ্ন দেখে। এদের কাছ থেকে গবেষণা বাদ থাক, ছাত্র পড়ানো কিভাবে আশা করা যায়। এদের দোষই বা কি? লেখা পড়া শেষে মাস্টারির চাকরি পেয়েছে, কে না নেবে? দোষ হল যারা কোন প্রকার প্লান ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় খুলছেন তাদের।

আর একটা ভুল কথা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা মেধাবী। এটা ঠিক যে আগের শিক্ষকরা তাদের সময়ে মেধাবী ছিলেন। কিন্তু, তাদের সিংহ ভাগ নিজেদের আপডেট করেন নাই সময়ে সাথে। আর এখনকার শিক্ষকরা তো মেধাবী না। যদি, রেজাল্টকে মেধার ভিত্তি বলে ধরেও নেই, কয়জন ফার্স্ট-ক্লাস-ফার্স্ট শিক্ষক হচ্ছেন? একই টাইপের কতগুলো বিভাগ দেশের সব নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা হচ্ছে, এইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে কি সবাই ফার্স্ট-ক্লাস-ফার্স্ট? অবশ্যই না। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে তারাই শিক্ষক যারা হয় পলিটিকাল অথবা বিসিএসএ টিকে নাই (বা ভাল পোস্টিং পায় নাই) অথবা কর্পোরেট জবে ঢুকে দেখেছেন তারা সেখানে মানিয়ে নিতে পারবেন না।

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বিবর্তনবাদী, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

শিক্ষা সংক্রান্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কে অনেক অকেন আন্তরিকতা দেখাতে হবে। সরকারকে শিক্ষা ব্যয় বাড়ানোর কথা বলি আমরা সবাই, কিন্তু শিক্ষণ ব্যবস্থাকেও অন্তরিক হতে হবে।

শিক্ষক দের প্রোমোশন বছর ভিত্তিক না হয়ে গবেষণা ভিত্তিক হওয়া, গ্রান্ট ভিত্তিক হওয়া, আন্তর্জাতিক প্রকাশনা/গবেশনা কাজের স্বীকৃতি অনুযায়ী হওয়া দরকার। পি এইচ ডি না করেই অনেকে প্রফেসর হয়ে যাচ্ছেন। এগুলো তো ভালো সংবাদ না!

৫৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২২

বিবর্তনবাদী বলেছেন: আর একটা প্রশ্ন, বাংলাদেশে গবেষণা প্রোজেক্ট শেষ হওয়া মানে কি? আমার জানা মতে, প্রজেক্টের সফলতা কি কাজ হয়েছে সেটা না, বরাদ্দকৃত অর্থ ৯০% খরচ হয়েছে কি না সেটা।

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ""প্রজেক্টের সফলতা কি কাজ হয়েছে সেটা না, বরাদ্দকৃত অর্থ ৯০% খরচ হয়েছে কি না সেটা"

আমারও টাি ধারনা, কিছু ব্যতিক্রম বাদে!

৫৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১২

ফা হিম বলেছেন: বিবর্তনবাদী'র সাথে কিছুটা একমত। ল্যাবের যেই চিত্র বর্ণনা দিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে আমি নিজে দেখেছি, কাজ করেছিও। সরকারী বাজেট ছাড়াও অন্যান্য কিছু প্রজেক্ট আসে গবেষণার জন্য। কিন্তু আদপে গবেষণার তেমন কোন ফল পাওয়া যায় না। বেশিরভাগ প্রকল্পই এক কথায় তেমন কাজের না। বড় বড় জার্নালে তেমন যায় না হাতে গোনা কয়েকটি ছাড়া। এক সময় সম্ভবত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব জার্নাল ছিল, এখন সেটার হদিস নেই। মোটকথা, গবেষণার প্রতি প্রোফেসরদের আগ্রহ কিছুটা কম বৈ কি।

আর ব্যবসায়ীরা যেমন আউটপুট ছাড়া টাকা ঢালবেন না, তেমনি অনেকে জানেনও না টাকা কোথায় ঢালতে হবে। এ ধরণের একটা ঘটনা শুনেছিলাম। এক কোম্পানী থেকে প্রজেক্ট দেয়া হয়েছিল কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর আন্ডারে, যেটা আসলে বায়োলজিকাল সায়েন্সের কাজ। তাতে কন ফল আসেনি।

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: কি বিব্রতকর! এই অবস্থা থেকে কিভাবে বের হওয়া যায়? অবস্থা ইমপ্রুভ করা যায় কিভাবে? শিক্ষকগনের আর্থিক সচ্চলতা ভালো সম্মানীর মাধ্যমে ফেরালে কি উনাদের ফাঁকি মারার টেন্ডেন্সি কমবে?

আবশ্য অনেক ভালো ভালো শিক্ষক রয়েছেন প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই। আপাতত উনাদের কে রিসোর্স প্রদান করাই প্রথম কাজ!

অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভাই।

৫৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০০

কালীদাস বলেছেন: অনেকদিন আগে পাবলিক প্রাইভেট নিয়ে ক্যাচাল যখন চরম নোংরামি নিয়ে চলছে তখন একটা পোস্ট লিখেছিলাম পাবলিক ভার্সিটি কিভাবে চলে আর প্রাইভেট কিভাবে ফরম হয়েছে বাংলাদেশে, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও রিসার্চের ব্যাপারটা ঐ পোস্টে আনতে পারিনি। আপনার পোস্ট-টা বেশ গোছান, আমি দুঃখিত, ব্লগে খুবই ইরেগুলার থাকায় কিছু কিছু ভাল পোস্ট মিস করে যাই সবসময়। আপনাকে ধন্যবাদ এই পোস্টের জন্য।

ইউনিভার্সিটির রিসার্চ গ্রান্ট এবং বাজেট নিয়ে বলি প্রথমে। ঢাকা ইউনি চিনি মুটামুটি (স্টুডেন্ট ছিলাম, এখনও কিছুটা এফিলিয়েটেড :(), এখানকার প্রোডাক্টিভ ডিপার্টমেন্টগুলো ইউনির রিসার্চ বাজেটের উপর মোটেও ডিপেনডেন্ট না (সিএসই বা কেমিক্যাল বা বায়োলজি রিলেটেড ডিপ.গুলো)। এদের বাইরে কোলাবরেশন প্রচুর এবং সহজে ফান্ড ম্যানেজ করে ফেলে বলে ঐ ঘষাঘষিতে যেতে হয়না। বুয়েটের ক্ষেত্রেও সেইম হওয়ার কথা, আমি শিওর না, ইন্জিনিয়ারিং আমার ফিল্ড না। বাকিগুলো চোথানির্ভর, ওদের রিসার্চের প্রয়োজন হয়না।

কথা উঠতে পারে বাকি পাবলিকগুলো নিয়ে। আমি যেটার টিচার (নামটা বলতে চাচ্ছিনা ওপেন ব্লগে), এটাতে বা বাকি যারা রিসার্চ গ্রান্ট ইউজ করেনা সবারই মুটামুটি কমন কারণ। হয় সাবজেক্ট ওরিয়েন্টেড সিনিয়ার টিচার নেই প্রজেক্ট জাজ করে এপ্রুভ করার, অথবা, ভার্সিটি/ডিপার্টমেন্টের কম থিমের সাথে প্রজেক্ট থিম না মেলা। এগুলো ভদ্র কারণ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাজ করে জেলাসনেস এবং পলিটিকাল এজেন্ডা। আমি নিজেও ভুক্তভোগী হয়েছি এই কারণে, আমার প্রজেক্ট কোন রেসপন্সই পায়নি এপ্রুভাল কমিটিতে, বলেছে খুব ভাল, আমরা এপ্রুভ করছি- বাস্তবে কিছুই করেনি। পরে ইউরোপিয়ান ফান্ডে সেটার কাজ এখনও করছি পারসোনালি।

পাবলিকেশন নিয়ে কিছু কথা বলি। বাংলাদেশে হাতে গোণা দুচারটা ছাড়া সব কয়টা জার্নালই প্রোমোশনের জার্নাল। পার্থক্য একটাই ইন্ডিয়ান প্রিডেটরি জার্নালগুলোর সাথে, পিয়ার রিভিউ নামকাওয়াস্তে হলেও একাডেমিক কাউকে দিয়ে করানো হয় আর টাকা সাধারণত নেয়া হয় না। কিন্তু আউটকাম? বেশিরভাগই খুবই সাধারণ। ট্রেন্ড, আগের গুরুরা খুব ভাল জার্নাল বলে গেছেন, পরের জেনারেশনও চোখ বন্ধ করে ফলো করে চলে। প্রমোশনের জন্য জার্নালের ইনডেক্সিং নিয়ে শর্ত বলে কিছু নেই সেজন্যই এগুলো বহাল তবিয়তে সুনামের সাথে (!) টিকে আছে। জুলাই মাসে একজন এক্স-প্রফেসরের সাথে কথা হল এক কনফারেন্সে, খুবই ইন্টারেস্টিং একটা কমেন্ট করলেন পাবলিকেশনের ব্যাপারে। বললেন, তুমি প্রোমোশনের জার্নাল নিয়ে হাসছ! গত বিশবছরে কতজন পেপারে আর্টিকেল লিখে সেটাকে শো করে ফুল প্রফেসর হয়ে গেল ঐখানে!! বুঝেন!! রিসেন্টলি অনেক ডিপার্টমেন্ট দেখলাম খুবই স্ট্রিক্ট পলিসি নিয়েছে, অনলাইন জার্নাল কাউন্ট করবে না। ঠগ বাছতে গা উজাড়-এটা আরও হাস্যকর। অনেক ভাল জার্নালই গত দশ বছরে অনলাইনে ফুলি মুভ করেছে। সব বাদ। এত চিন্তা করার সময় কই গুরুদের?! আমার কিছু পেট প্রজেক্ট ছিল যেগুলো পাবলিক হেলথ রিলেটেড, বিএমসির জার্নালে পাবসলিহড। পাবলিক হেলথে দুনিয়ার টপ জার্নালগুলো বিএমসির, হাই ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর এবং ফুলি অনলাইন। মনে হয় না কাউন্ট করবে :(

লাস্ট পয়েন্ট-টা আপনার একটা রিপ্লাইয়ের সাপেক্ষে বলছি। আমি যতদূর জানি সায়েন্স ল্যাব নামে পরিচিত ইনস্টিটিউটটা রিসার্চারদের এসেম্বলি হিসাবেই সম্ভবত প্ল্যান করা হয়েছিল (আমার জানায় ভুলও থাকতে পারে)। এরা নিজেদের কেন এতটা একঘরে করে রাখে আমি বুঝি না। কেমিক্যাল রিলেটেড এদের ভাল কিছু কাজ সম্ভবত আছে, মাঝে মাঝে তাই মনে হয়।

ওভারঅল, সবকিছুর মূলে আমার দায়ি মনে হয় নেটওয়ার্কিং আর সিন্ডিকেটগুলোকে। পুরান সিন্ডিকেটগুলো নতুন রিসার্চারকে কিছুতেই ঢুকতে বা দাড়াতে দিতে চায় না। কোন কারণে যদি পুরান ভুল বের করে ফেলে, নিশ্চিত ফান্ডিং সোর্সগুলো হারানোর ভয়েই সম্ভবত।

ফাইনালি, একটা কনক্লুডিং রিমার্ক হিসাবে পারসোনাল একটা কথা বলি- বাংলাদেশে থিওরেটিকাল রিসার্চকে কেউ মূল্যায়ন করেনা, এই দুঃখটা আমার সবসময় থাকবে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: "ঢা্বি এখানকার প্রোডাক্টিভ ডিপার্টমেন্টগুলো ইউনির রিসার্চ বাজেটের উপর মোটেও ডিপেনডেন্ট না (সিএসই বা কেমিক্যাল বা বায়োলজি রিলেটেড ডিপ.গুলো)। এদের বাইরে কোলাবরেশন প্রচুর এবং সহজে ফান্ড ম্যানেজ করে ফেলে বলে ঐ ঘষাঘষিতে যেতে হয়না। বুয়েটের ক্ষেত্রেও সেইম হওয়ার কথা"

আপনার সাথে সহমত, বুয়েটের ড মহিউস সামাদ স্যার একই কথা বলেছেন।

পাবলিকেশন নিয়ে আপনার ব্যাখ্যা শুনে আমি খুবই আহত। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার একটা গাইড লাইন তৈরি করা দরকার। বাংলাদেশ বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থা - ব্যানবেইস (সায়েন্স ল্যাব বলে সুপরিচিত) এগিয়ে আস্তে পারে, উনারা যে সেখানে কি করছেন এটা আমর কাছে বিশ্বয়, জাস্ট একটা সাধারণ সরকারি অফিসের মত দিন পার করছেন! কোন ক্রিয়েটিভ ইনিশিটিভ নেই,সমন্বয় নেই অথচ দেশে ১২০ টার বেশি বিশ্ববিদ্যালয়, আনবিক শক্তি কমিশন এবং আই সি ডি ডি আর বি 'র মত নামকরার অর্গানাইজেশন রয়েছে, রয়েছেন দেশে বিদেশে বিখ্যাত কিছু প্রফেসর।

পাব্লিকেশন গুলোর মাল্টিপল পিয়ার রিভিউ, স্ট্রাকচার্ড বোর্ড রিভিঊ নিশ্চিত করা দরকার। ভারতে তো স্নাতক সানাতোকোত্তর এর প্রশ্ন ও উত্তর পত্রই এক্সটারনাল দিয়ে র‍্যান্ডম রিভিউ হয় বলে ভারতীয় কলিগের কাছে শুনেছি। আমাদের গবেষণা পত্র, থিসিস, জার্নালই যদি সঠিক রিভিউ না হয় তাহলে এতে মান আসবে কিভাবে। আন্তর্জাতিক সায়েন্স জার্নাল গুলোকে ক্লাসসিফাইড করে বিভিন্ন লেভেল (মিড থেকে উপরের দিকে) পাব্লিকেশন বের করার টার্গেট শুরু করেতে হবে। এন্টি থেকফট সফটওয়্যার এর ব্যবহার জরুরি, নাইলে অনলাইনে অফলাইনে প্রকাশিত মান সম্পন্ন কাজের কপিরাইট ভায়োলেট হচ্ছে। এর জন্য সমন্বিত ডেটা বেইজ দরকার, খুব কম খরচে এখন এই প্ল্যাটফর্ম বানানো যায়। এন্টি থেকফট মেকানিজম এ জোর দেয়া দরকার, অনলাইন প্রকাশনার উপর কড়াকড়ি আদতে পাব্লিকেশন নিরুৎসাহিত করা!

ওভারঅল, সবকিছুর মূলে আমার দায়ি মনে হয় নেটওয়ার্কিং আর সিন্ডিকেটগুলোকে। পুরান সিন্ডিকেটগুলো নতুন রিসার্চারকে কিছুতেই ঢুকতে বা দাড়াতে দিতে চায় না। কোন কারণে যদি পুরান ভুল বের করে ফেলে, নিশ্চিত ফান্ডিং সোর্সগুলো হারানোর ভয়েই সম্ভবত।

আপনারা ইয়ং যত রিসার্চার আছেন, ইয়ং স্যার আছেন, তাঁরা সবাই মিলে একটা নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার উদ্যোগ নিলে ভালো হয়। পুরানো জঞ্জাল ভাংতে তো হবে।


ফাইনালি, একটা কনক্লুডিং রিমার্ক হিসাবে পারসোনাল একটা কথা বলি- বাংলাদেশে থিওরেটিকাল রিসার্চকে কেউ মূল্যায়ন করেনা, এই দুঃখটা আমার সবসময় থাকবে।

বাংলাদেশে থিওরেটিকাল রিসার্চকে গুরুত্ব না দিলে শিক্ষকতার (শিক্ষকের নিজস্ব ডেভেলোপমেন্ট) মানও কিন্তু বাড়বে না।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সময় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

৫৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: Click This Link

৫৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বাংলাদেশী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর গবেষণার পরিসর কি হওয়া উচিত, ইন্টেলেকচুয়াল পর্যায়ে তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হওয়া দরকার। আমরা দেখছি ১৬-১৭ কোটি মানব সম্পদের দেশে বিশ্বের প্রথম ৫৯০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আমাদের কোন বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেই
স্পেনের বেশ কয়েকটি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে পরিচালিত হয় সিমাগো রিসার্চ গ্রুপ। আর একাডেমিক জার্নালের ডাটাবেজ হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্কপাস। এ দুই প্রতিষ্ঠানের তালিকায় বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষে থাকা আইসিডিডিআর,বির বৈশ্বিক অবস্থান ৫৯৪তম!!!!!!

http://bonikbarta.com/news/2016-12-19/99461/&#xE0;&#xA6;&#xAC;&#xE0;&#xA6;&#xBF;&#xE0;&#xA6;&#x9C;&#xE0;&#xA7;&#x8D;&#xE0;&#xA6;&#x9E;&#xE0;&#xA6;&#xBE;&#xE0;&#xA6;&#xA8;-&#xE0;&#xA6;&#x97;&#xE0;&#xA6;&#xAC;&#xE0;&#xA7;&#x87;&#xE0;&#xA6;&#xB7;&#xE0;&#xA6;&#xA3;&#xE0;&#xA6;&#xBE;&#xE0;&#xA6;&#xB0;-&#xE0;&#xA6;&#x85;&#xE0;&#xA6;&#x97;&#xE0;&#xA7;&#x8D;&#xE0;&#xA6;&#xB0;&#xE0;&#xA6;&#xAD;&#xE0;&#xA6;&#xBE;&#xE0;&#xA6;&#x97;&#xE0;&#xA7;&#x87;-&#xE0;&#xA6;&#xA6;&#xE0;&#xA7;&#x87;&#xE0;&#xA6;&#xB6;&#xE0;&#xA7;&#x87;&#xE0;&#xA6;&#xB0;-&#xE0;&#xA7;&#xA7;&#xE0;&#xA7;&#xA7;-&#xE0;&#xA6;&#xAA;&#xE0;&#xA7;&#x8D;&#xE0;&#xA6;&#xB0;&#xE0;&#xA6;&#xA4;&#xE0;&#xA6;&#xBF;&#xE0;&#xA6;&#xB7;&#xE0;&#xA7;&#x8D;&#xE0;&#xA6;&#xA0;&#xE0;&#xA6;&#xBE;&#xE0;&#xA6;&#xA8;/

৫৯| ১৬ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আজো কোনো র্যাংকিং এ বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.