নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যবিত্তের রাষ্ট্র ভাবনা

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২১

​​আরবান মিডল ক্লাসকে যাপিত জীবনের অর্থনৈতিক মানদন্ডে নিন্ম, মধ্য, উচ্চ এই তিনটি এবং মানসিকতায় নিন্ম ও উচ্চ এই শ্রেনী সমূহে ভাগ করে কল্যাণধর্মী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তনে বিস্তৃত মধ্যবিত্তের ভূমিকা এবং অংশগ্রহণ এর স্কোপ সমূহ এই সময়ে সমাজ এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গনে বিস্তারিত আলোচনা দরকার।

উচ্চ মধ্যবিত্ত দুর্নীতি সহায়ক বর্তমান লুটেরা কাঠামোকে মেনে নিয়েছে, এটা আমি হলফ করে বলতে পারি। উচ্চ মধ্যবিত্ত এবং উচ্চ বিত্ত আমাদের অনৈতিক এস্টাব্লিশ্মেন্ট এর ভিত্তি হয়ে গেছে, রাষ্ট্র চিন্তায় তার অংশগ্রহণ শুধুই ব্যক্তি সম্পদ সৃষ্টি কেন্দ্রিক, তাই এই ধারা যতই লোভনীয় কিংবা আধুনিক হোক না কেন, কল্যাণধর্মী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তনে তার কোন কার্জকরিতা নেই। উচ্চ মধ্যবিত্ত নিজেরা নিদারুণ ভাবে সংকীর্ন ভোগবাদী ব্যক্তি স্বার্থ চিন্তায় এবং হাসিলে নিমগ্ন। ভয়ের কথা হচ্ছে আমাদের অতি দুর্নীতি সহায়ক পরিবেশে এই শ্রেণী দ্রুত বিকাশমান। বহু দুর্নীতিবাজ কিংবা দুর্নিতি মনা মধ্যবিত্ত এই ট্রাঞ্জিশনে শুধুই একটি বা কয়েকটি সুযোগের অপেক্ষায় দিন গুনছে।

নিন্ম বিত্ত এবং নিন্ম মধ্য বিত্ত রুটি রুজির/অস্তিত্বের ধান্ধায় লড়ছে কিংবা সন্তান সন্ততির ভরণপোষণ ধান্ধায় অথবা একটু শিক্ষিত করার প্রয়াসে মাথার ঘাম পায়ে ফেলা খাটুনি করে। চরম বৈরি রাজনৈতিক ইনভায়রনমেন্ট এ হামলা - মামলা- জেল ভিত্তিক পুলিশি কাঠামোর নির্যাতনের ভয়ে এই মুহুর্তে কল্যাণ রাষ্ট্র চিন্তায় নিবেদিত হয়ে রাষ্ট্র উদ্ধারের আন্দোলনে আশা করা অন্যায়, যদিও শিশু শ্রমিক সহ প্রায় ২০-৪০ লক্ষ কর্মহীন মানুষ (সরকার ও বিরোধী উভয় পক্ষের সফট হার্ড কিংবা নিরপেক্ষ) সামান্য টাকার বিনিময়ে রাজনৈতিক শ্রম দিতে মুখিয়ে থাকে কিন্তু যদিও পরিস্থিতি অনুকূলে নয়।

কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে সাধারন মধ্যবিত্ত (অর্থবিত্ত, সামর্থ্য এবং মানসিকতায়/আর্বান, সাব আর্বান কিংবা রুরাল/সংখ্যায় শহুরে সাধারন মধ্যবিত্ত অগ্রগণ্য) শ্রেনীর অংশগ্রহণ কেমন হওয়া দরকার সেটা ডিফাইন করা জরুরী। সাধারন মধ্যবিত্ত রাষ্ট্র চিন্তা না করলে কোন রাষ্ট্র কল্যাণের দিকে আগায় না। পেশাজীবী, কৃষিজীবী, শ্রমজীবী এবং সাধারণ মধ্যবিত্তকেই রাষ্ট্র পরিবর্তনের সক্রিয় অংশীদার হিসেবে আবির্ভুত হতে হবে। এই সাধারণ সমাজটিই রাষ্ট্রকে এথিক্যাল এবং স্ট্রাকচারাল দিক থেকে ধারণ করে। জ্ঞান এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন লক্ষের বেলায়ও এরাই রাষ্ট্রের স্ট্রাটেজিক আচরণকে ওউন করে। সহজ কথা একটি রাষ্ট্রে নৈতিকতার চর্চা এবং ইন্সটিটুশনাল শাসনের উপস্থিতির গভীরতা কতটা তা তাঁর মধ্যবিত্তের মানসিকতা এবং আচরণে প্রতিফলিত। এই প্রেক্ষাপটে বলা যায়, বর্তমান বাংলাদেশের দুরবিত্তায়িত,লূটেরা, চাঁদাবাজি নির্ভর রাজনীতি এবং দুর্নিতি ঘুষ তদবির ভিত্তিক প্রশাসন আমাদের মধ্যবিত্তেরই মানসিক এবং চর্চার দর্পণ।


বাংলাদেশের কোন সরকারি এবং বিরোধী দলই বর্তমান কিংবা বিগত সময়ে কখনই একটি কার্জকর কল্যান ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের স্বপ্ন এই সাধারন মধ্যবিত্তকে দিতে পারেনি, পারেনি ক্ষমতা বলয়ের হীন এবং প্রতারণামূলক (আর্থিক, নিরাপত্তা বিষয়ক) কাজের জবাব কিংবা বিকল্প সমাধানের প্রস্তাব। কারণ তাদের সুপ্ত (যদিও কাজে কর্মে অতি প্রকাশিত) দুরবিত্তায়িত রাজনীতি। ক্ষমতায় গিয়ে নৈতিকতার চর্চা এবং ইন্সটিটুশনাল শাসনের উপস্থিতির আনয়নের উপকরণ সমূহ বাস্তবায়ন কখনই ভিশনে ছিল না বা আজো নেই। তাই পরিবেশ, খাদ্য ভেজাল, বন ধ্বংস, দেশের স্বার্থ বিরোধী চুক্তি কিংবা নগরের অসহনীয় জ্যাম, সেতু লুটপাট আয়োজন, শেয়ার বাজার লুটপাট, ব্যাংক লূটপাট ইত্যাদি লেগে থাকা বিষয়ের কোনটার ব্যাপারেই সাধারন মধ্যবিত্তকে আস্বস্ত করার মত কাঠামো গত সমাধান কিংবা নাগরিকের আর্থিক এবং সামাজিক সুরক্ষা দেবার মত ইন্সটিটুশন তৈরির কথা কখনই সরকার বিরোধী কেউ বলে না।

দুর্বিনীত দলীয় ক্ষমতার একচ্ছত্র প্রভাবে রাষ্ট্রের প্রাতিষ্ঠান গুলোতে ঘুষ, অনিয়ম আর দুর্নীতিকে নিয়ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার যে কলঙ্কের দায় রাজনৈতিক দলগুলোর সেটা মেনে নিয়ে ভুল স্বীকার করেনি কখনই। সেখান থেকে বেরিয়ে কিভাবে মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে নিবেদিত একটি সরকার এবং কল্যাণ মুখী রাষ্ট্র কাঠামো বানানো যায় সেসব নিয়ে ভাববেনি কখনই।


বরং বারংবার শুধুমাত্র জোর খাটিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার চর্চা কিংবা ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলন করে যাচ্ছে যার প্রায় সব কাজই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এর দৃষ্টিকোণ থেকে অযৌক্তিক এবং অনাগরিক বান্ধব। ফলে ক্ষমতায় থাকা এবং সাময়িক তথাকথিত উন্নয়ন প্রকল্প করে অর্থ লোপাটেই রাষ্ট্রের সকল মনোযোগ নিবিষ্ট, এই উন্নয়ন গুলোর অধিকাংশই দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নয় ফলে এগুলো টেকসই উন্নয়ন হয়ে উঠে না। আরো গুরুত্বপুর্ন ব্যাপার হোল এই লুটপাট শুধু রাজনৈতিক নয়, প্রশাসনিকও। অথচ রাষ্ট্রের সকল মনোযোগ নিবিষ্ট হবার কথা মান্সম্পন্ন কর্মসংস্থান তৈরি, মান সম্পন্ন আবাসন যা স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাকে বিকশিত করবে, অবকাঠামোগত উতকর্শ যা আগামীর প্রজন্মের জন্য সম্পদ ব্যবস্থাপনাকে নৈতিক করবে।

সুতরাং মোদ্দাকথা কথা হচ্ছে রাজনীতি এবং প্রশাসন এখানে ব্যক্তি লুণ্ঠনের নিমিত্তে সমান্তরাল হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা, নির্বাহী এবং বিচার ব্যবস্থাগুলো একই গোত্র ভুক্ত হয়ে একে অন্যের দুর্বিত্তায়নের সহযোগী হয়ে উঠেছে। এখানে গণতন্ত্র নির্বাচন কেন্দ্রিক,​ তাও খুব অবাক করা বিষয় রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানের কর্মততপরতা শুধুই ক্ষমতায় থাকা দলের স্বার্থের ধারক।ক্ষমতাসীন দলের একটি সমর্থক শক্তি উঠেছে আমাদের নির্বাচন কমিশন । ফলে নাগরিকের কাছে নির্বাচনী অঙ্গীকারের দায়বদ্ধতার মৌলিক বিষয়টি একেবারেই হারিয়ে গেছে। একদিকে নৈতিকতা এবং ইন্সটিটুশনাল শাসন নেই, অন্যদিকে সত্যিকারের গনতান্ত্রিক আন্দোলন নেই।তাই এই ব্যবস্থা সাধারন মধ্যবিত্ত এবং রাষ্ট্রের ভাগ্য পরিবর্তনের অনুকূলে​ নয়, একেবারেই!

এখানে পরিষ্কার যে, ​আওয়ামীলীগ​,​বিএনপি​, বাম, ডান কেউই বিদেশী প্রভু, নিজ নিজ দলের লুটপাটপারী আমলা-ব্যবসায়ী-রাজনীতিক​-উচ্চ বিত্ত সমর্থক এই চতুষ্পদ কে বিরাগভাজন করে কল্যাণময়ী এবং দুর্নীতি প্রতিরোধী রাষ্ট্র গঠনে এগিয়ে আসবে না। এটাই বটম লাইন।​​

এটাও পরিষ্কার যে, বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনা কাটিয়ে উঠে রাষ্ট্র এর কল্যাণ যাত্রার অংশগ্রহণে চরম নির্লিপ্ত। এর উত্তরণ জরুরী। আমরা বুঝি বা না বুঝি মধ্যবিত্তের নাগরিক আন্দোলন​ শুরুর কারণ "ওয়েল ডিফাইন্ড"​, কিন্তু সেটা শুরুর একটা মহেন্দ্রখন এর অপেক্ষায় সবাই।

মধ্যবিত্তের নাগরিক আন্দোলনের এর কৌশল এবং পার্টিসিপেশন কেমন হওয়া উচিত? সমাজ এবং রাষ্ট্রের বুদ্ধিবিত্তিক পরিসরে এই আলোচনা চালিয়ে যাওয়া জরুরী মনে করি।


বিস্তৃত মধ্যবিত্ত জেগে উঠু্‌ক,
প্রশাসন এবং রাজনীতি সুস্থ ধারায় ফিরুক,
বাংলাদেশ এগিয়ে যাক!



ব্লগ, ব্লগার ও সমকালীন রাজনীতি। ব্লগার নেক্সাস এর পোষ্টে উৎসাহিত হয়ে!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৭

আরজু পনি বলেছেন: দুর্বিনীত দলীয় ক্ষমতার একচ্ছত্র প্রভাবে রাষ্ট্রের প্রাতিষ্ঠান গুলোতে ঘুষ, অনিয়ম আর দুর্নীতিকে নিয়ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার যে কলঙ্কের দায় রাজনৈতিক দলগুলোর সেটা মেনে নিয়ে ভুল স্বীকার করেনি কখনই। সেখান থেকে বেরিয়ে কিভাবে মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে নিবেদিত একটি সরকার এবং কল্যাণ মুখী রাষ্ট্র কাঠামো বানানো যায় সেসব নিয়ে ভাববেনি কখনই।...ভাববার সময় কোথায় বলুন ?

অনেকগুলো...বলতে গেলে পুরো দূর্নীতির আখড়া তুলে এনেছেন লেখায়।
সর্বাঙ্গে ব্যথা
ওষুধ দিব কোথা

অবস্থা এমন হয়েছে।

আওয়ামীলীগ​,​বিএনপি​, বাম, ডান কেউই বিদেশী প্রভু, নিজ নিজ দলের লুটপাটপারী আমলা-ব্যবসায়ী-রাজনীতিক​-উচ্চ বিত্ত সমর্থক এই চতুষ্পদ কে বিরাগভাজন করে কল্যাণময়ী এবং দুর্নীতি প্রতিরোধী রাষ্ট্র গঠনে এগিয়ে আসবে না। এটাই বটম লাইন।​​
...আপনার সাহসের তারিফ করছি! এমন লিখলে কবে না জানি আপনার নামে শমন জারি হয়!

নিরাপদে থাকুন...

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দিব কোথা। যেহেতু দুর্বিত্তায়নের দায় সবার তাই আমি আলাদা করে ব্যক্তি বিশেষকে অভিসম্পাত করি না। সবাই দায়ী।টপ টু বটম প্রায় সবাই চোর এবং চাঁদাবাজ। এখানে বিশেষ কাউকে হেনস্তা করা নীতি নিয়ে যেহেতু চলিনা, তাই আশা করি কেউ ক্ষতি করবে না। আল্লাহ্‌ ভরসা।

মধ্যবিত্তের নাগরিক আন্দোলনের এর কৌশল এবং পার্টিসিপেশন কেমন হওয়া উচিত? এই প্রশ্ন রেখে আপত শেষ করলেও এই লিখার ২য় পর্যায় নিয়ে ভাবছি (মধ্যবিত্ত নাগরিকের অংশ গ্রহন ভিত্তিক, সেক্টর কেন্দ্রিক আর্থ সামাজিক সচেতনতা তৈরির বা মুভমেন্টের প্লট কথা কিভাবে বলা যায় তার উপায় আরকি!)।
দেশের নিন্ম এবং মধ্যবিত্ত নাগরিকের সামাজিক নিরাপত্তা ভাবনাকে এগিয়ে নিতে হবে!

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ২য় কিস্তির চিন্তার প্লট এরকম হতে পারে!
১। একটি পরিবার এর পর পর ২ টি জেনারেশন, মা এবং মেয়ে, বাবা এবং ছেলে গার্মেন্টেস এ চাকরি করতে পারেন না। এখনই অনেকে করেন, এটা সাস্তেইন এবল ডেভেলপমেন্ট না। মান্সম্পন্ন জীবন আনয়নের প্রকটতা নির্দেশক এটা। এভাবে পরিবারটিকে হীনমান্য আর্থিক অবস্থার অভিশাপ থেকে মুক্ত করা যাবে না। মান্সম্পন্ন আবাসন গারমেন্টসে চাকরিরতদের অসম্ভভ। সেখানে থেকে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাও অসম্ভভ। বিস্তৃত জনসাধারণকে শিক্ষাহীন স্বাস্থ্যহীন বস্তিতে রেখে সমাজের নৈতিক উন্নয়ন হবে না, সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং গুড গভর্নেন্সের সমাজ সচেতনতা আসবে না। তাই বিস্তৃত নিন্ম বিত্তের কর্মসংস্থান হিসেবে এই সেকটর টেকসই নয়।

এই বিস্তৃত নিন্ম বিত্ত এবং নিন্ম মধ্যবিত্তকে রাষ্ট্রের সাথে তাঁর দেনা পাওনায় হিস্যার উপকরন গুলো বুঝিয়ে দিয়ে তাঁর জীবন মানের টেকসই উত্তরণের ব্যবস্থা ভিত্তিক নাগরিক মুভমেন্ট। সচেতনতা তৈরির মডেল।

অর্থাৎ রাষ্ট্রকে জীবন মান উন্নয়নে দায়বদ্ধ করার নাগরিক আন্দোলনের কৌশল।

২। নির্দিষ্ট পরিমান ভূমি নাই এইধরনের কৃষক, সম্পূর্ণ ভূমি হীন কৃষক, বস্তি বাসী, রিক্সা অয়ালা, ভাসমান শ্রমিক, ভুমি হীন উপজাতি ইত্যাদি এবং বিশেষ ভাবে গার্মেন্টস পরিবারের জন্য উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত অথবা লাইফ স্কিল আসে এই পর্যায়ের স্তর ডিফাইন করে তাদের জন্য শিক্ষা উপকরন দেয়া বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে উনাদের সচেতন করা কৌশল, মুভমেন্ট। (যেমন ধরেন, ফ্রি প্রাথমিক, ফ্রি মাধ্যমিক, ফ্রি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার ব্যবস্থা, সেই সাথে ফ্রি শিক্ষা উপকরনের বন্দোবস্ত (বই, নির্দিষ্ট সংখ্যক খাতা-কলম-পেন্সিল, বছরে একটি স্কুল ব্যাগ , একটি বা ২ টি স্কুল ইউনিফর্ম এবং একজোড়া জুতা, জ্যামিতি বক্স প্রদান), ফ্রি শিক্ষা উপকরণ শিক্ষার্থী দের বাড়তি অনুপ্রেরণা দিবে, শিক্ষার প্রতি মটিভেশন আনবে।)

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, শিক্ষা খাতে মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) ৪ শতাংশ বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু গত পাঁচ বছরের বাজেটে এ খাতে গড়ে মাত্র ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়। অন্যদিকে স্বাস্থ্য খাতে ১২ শতাংশ বরাদ্দের বদলে গড়ে ৫ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়।

স্বাস্থ্য-শিক্ষা খাতের উন্নয়ন বরাদ্দ

অর্থাৎ রাষ্ট্রকে শিক্ষায় দায়বদ্ধ করার নাগরিক আন্দোলনের কৌশল।

৩। আর কত দিন আমরা বেদেশি লেবার পাঠাবো, আন স্কিল্ড লেবার মার্কেট এর ফিউচার কি? বিস্তৃত মধ্যবিত্তকে লেবার রেখে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের খোয়াব আর কত দিন?? এই বিস্তৃত মধ্যবিত্তকে উচ্চ শিক্ষায় আনায়, স্কিল্ড ম্যান পাওয়ারে রুপান্তরের নাগরিক এবং রাষ্ট্রীয় ভূমিকা, কৌশল কি কি সেটা ডিফাইন করা জরুরি।

অর্থাৎ রাষ্ট্রকে মান সম্পন্ন কর্মসংস্থানে দায়বদ্ধ করার নাগরিক আন্দোলনের কৌশল।

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সহমত। তবে সমাধান একটাই। আমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। যে যার অবস্থানে থেকে কাজ করে যেতে হবে। রাজনীতি থেকে শুরু করে দেশের সব সেক্টরে আমাদের যথাযথ অবস্থান নিতে হবে। শুধু দোষ খুঁজে এড়িয়ে গেলেই চলবে না। রাস্তায় আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে। গন্ধের কারণে তা পরিষ্কার না করে এড়িয়ে গেলে নিজেরই বিপদ। আবর্জনায় নেমে আবর্জনা পরিষ্কার করে ফুল গাছ লাগানোতেই সার্থকতা।

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: মধ্যবিত্তের নাগরিক আন্দোলনের এর কৌশল এবং পার্টিসিপেশন কেমন হওয়া উচিত? এই প্রশ্ন রেখে আপত শেষ করলেও এই লিখার ২য় পর্যায় নিয়ে ভাবছি (মধ্যবিত্ত নাগরিকের অংশ গ্রহন ভিত্তিক, সেক্টর কেন্দ্রিক আর্থ সামাজিক সচেতনতা তৈরির বা মুভমেন্টের প্লট কথা কিভাবে বলা যায় তার উপায় আরকি!)।

১। একটি পরিবার এর পর পর ২ টি জেনারেশন, মা এবং মেয়ে, বাবা এবং ছেলে গার্মেন্টেস এ চাকরি করতে পারেন না। এখনই অনেকে করেন, এটা সাস্তেইন এবল ডেভেলপমেন্ট না। মান্সম্পন্ন জীবন আনয়নের প্রকটতা নির্দেশক এটা। এভাবে পরিবারটিকে হীনমান্য আর্থিক অবস্থার অভিশাপ থেকে মুক্ত করা যাবে না। মান্সম্পন্ন আবাসন গারমেন্টসে চাকরিরতদের অসম্ভভ। সেখানে থেকে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাও অসম্ভভ। বিস্তৃত জনসাধারণকে শিক্ষাহীন স্বাস্থ্যহীন বস্তিতে রেখে সমাজের নৈতিক উন্নয়ন হবে না, সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং গুড গভর্নেন্সের সমাজ সচেতনতা আসবে না। তাই বিস্তৃত নিন্ম বিত্তের কর্মসংস্থান হিসেবে এই সেকটর টেকসই নয়।

এই বিস্তৃত নিন্ম বিত্ত এবং নিন্ম মধ্যবিত্তকে রাষ্ট্রের সাথে তাঁর দেনা পাওনায় হিস্যার উপকরন গুলো বুঝিয়ে দিয়ে তাঁর জীবন মানের টেকসই উত্তরণের ব্যবস্থা ভিত্তিক নাগরিক মুভমেন্ট। সচেতনতা তৈরির মডেল।

অর্থাৎ রাষ্ট্রকে জীবন মান উন্নয়নে দায়বদ্ধ করার নাগরিক আন্দোলনের কৌশল।



২। নির্দিষ্ট পরিমান ভূমি নাই এইধরনের কৃষক, সম্পূর্ণ ভূমি হীন কৃষক, বস্তি বাসী, রিক্সা অয়ালা, ভাসমান শ্রমিক, ভুমি হীন উপজাতি ইত্যাদি এবং বিশেষ ভাবে গার্মেন্টস পরিবারের জন্য উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত অথবা লাইফ স্কিল আসে এই পর্যায়ের স্তর ডিফাইন করে তাদের জন্য শিক্ষা উপকরন দেয়া বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে উনাদের সচেতন করা কৌশল, মুভমেন্ট। (যেমন ধরেন, ফ্রি প্রাথমিক, ফ্রি মাধ্যমিক, ফ্রি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার ব্যবস্থা, সেই সাথে ফ্রি শিক্ষা উপকরনের বন্দোবস্ত (বই, নির্দিষ্ট সংখ্যক খাতা-কলম-পেন্সিল, বছরে একটি স্কুল ব্যাগ , একটি বা ২ টি স্কুল ইউনিফর্ম এবং একজোড়া জুতা, জ্যামিতি বক্স প্রদান), ফ্রি শিক্ষা উপকরণ শিক্ষার্থী দের বাড়তি অনুপ্রেরণা দিবে, শিক্ষার প্রতি মটিভেশন আনবে।) প্রণোদনা দিয়ে মানুষকে উন্নত জীবনের পথে আনার রাষ্ট্রীয় চেষ্টার শুরু.।।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, শিক্ষা খাতে মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) ৪ শতাংশ বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু গত পাঁচ বছরের বাজেটে এ খাতে গড়ে মাত্র ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়। অন্যদিকে স্বাস্থ্য খাতে ১২ শতাংশ বরাদ্দের বদলে গড়ে ৫ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়।

অদক্ষতায় অব্যয়িত স্বাস্থ্য-শিক্ষা খাতের উন্নয়ন বরাদ্দ

অর্থাৎ রাষ্ট্রকে শিক্ষায় দায়বদ্ধ করার নাগরিক আন্দোলনের কৌশল।



৩। আর কত দিন আমরা বেদেশি লেবার পাঠাবো, আন স্কিল্ড লেবার মার্কেট এর ফিউচার কি? বিস্তৃত মধ্যবিত্তকে লেবার রেখে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের খোয়াব আর কত দিন?? এই বিস্তৃত মধ্যবিত্তকে উচ্চ শিক্ষায় আনায়, স্কিল্ড ম্যান পাওয়ারে রুপান্তরের নাগরিক এবং রাষ্ট্রীয় ভূমিকা, কৌশল কি কি সেটা ডিফাইন করা জরুরি।

অর্থাৎ রাষ্ট্রকে মান সম্পন্ন কর্মসংস্থানে দায়বদ্ধ করার নাগরিক আন্দোলনের কৌশল।

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৫৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ৪। রাষ্ট্রকে মান সম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবায় দায়বদ্ধ করার নাগরিক আন্দোলনের কৌশল।

৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩

আরজু পনি বলেছেন:

বিস্তৃত জনসাধারণকে শিক্ষাহীন স্বাস্থ্যহীন বস্তিতে রেখে সমাজের নৈতিক উন্নয়ন হবে না, সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং গুড গভর্নেন্সের সমাজ সচেতনতা আসবে না। তাই বিস্তৃত নিন্ম বিত্তের কর্মসংস্থান হিসেবে এই সেকটর টেকসই নয়।

১ নম্বরে যা বললেন তার থেকে বলছি: কর্মসংস্থান হিসেবে টেকসই না হলেও আপাতত একেবারে না খেয়ে মরছেনা। আপাতত এটুকুতে সন্তুষ্ট আছি...মেয়েগুলো দাসী (গৃহদাসী+যৌনদাসী)বৃত্তিতে না গিয়ে চাকরী করছে বেতন যাই পাচ্ছে...যদিতিা একেবারেই নগন্য। টিকসই জীবনের মান নয় মোটেও ।
আচ্ছা আপনি স্বাস্থ্যের কথা বলেছেন এই পয়েন্টেই ।
এখন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আগের চেয়ে অনেক সহজলভ্য হয়েছে...মেরিস্টোপস, সহ বিভিন্ন এনজিও..যদিও উদ্যোগ সরকারের তরফ থেকে আরো বেশি আসা দরকার এবং তা অনেক রোগের জন্যেই খুব ভরসার নয়। (দেখা অভিজ্ঞতা থেকে বলছি)
শিক্ষা...আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে শিক্ষার আলো প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে যাচ্ছে কিন্তু এর মান যে কী ভয়াবহ খারাপ তা মাঠ পর্যায়ে না গেলে বোঝা যায় না...

এই দিকগুলো নিয়ে সমাধানের পথ নিয়েও ভাবা প্রয়োজন ।

২ নম্বরের প্রথম প্যারাটা কাজের...।

পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং বাজেট...এই বিষয়নিয়ে কথাগুলো সাধারণত এসিরুমের সেমিনারে হয়...তারপর বিরিয়ানি দিয়ে শেষ হয়। তাই জনসাধারণের কাছ পর্যন্ত পৌঁছায় না... পৌঁছালে জনগনও এই বিষয়ে সম্পৃক্ত হয়ে কথা বলতে পারতো বেশি আর তাতে কর্তা ব্যক্তিরা একটু হলেও নড়েচড়ে বসতেন।


...অদক্ষ শ্রমিক না পাঠিয়ে দক্ষ শ্রমিক পাঠালে তুলনামূলকভাবে রোজগার বেশি হবে ।

আপনি আলাদা পোস্ট আকারে দিন সবাই পড়ুক, জানুক।
সেখানেও কথা বলার আশা রাখি।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ১। কর্মসংস্থান হিসেবে টেকসই না হলেও আপাতত একেবারে না খেয়ে মরছেনা। আপাতত এটুকুতে সন্তুষ্ট আছি...মেয়েগুলো দাসী (গৃহদাসী+যৌনদাসী)বৃত্তিতে না গিয়ে চাকরী করছে বেতন যাই পাচ্ছে...যদিতিা একেবারেই নগন্য। টেকসই জীবনের মান নয় মোটেও ।

এখন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আগের চেয়ে অনেক সহজলভ্য হয়েছে...মেরিস্টোপস, সহ বিভিন্ন এনজিও..যদিও উদ্যোগ সরকারের তরফ থেকে আরো বেশি আসা দরকার এবং তা অনেক রোগের জন্যেই খুব ভরসার নয়। (দেখা অভিজ্ঞতা থেকে বলছি)

অবশ্যই পূর্ন সহমত।

দারিদ্র্য এবং স্বাস্থ্যহীন অবস্থা থেকে উত্তরণের অনেক গুলো ধাপ আছে, আমাদের এই অর্জন একেবারে প্রাথমিক স্তরের। এই অর্জনকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। তবে এগিয়ে যাবার পথ ডিফাইন করতে হবে। মানে-
ক। কষ্ট অফ লিভিং এর মানে উপার্জন সক্ষমতা আনতে কাজ করতে হবে, তার অনুকুলে পরিকল্পনাবিদ দের আনতে সমাজ সচেতনতা দরকার।
খ। ভয়ানক দূষণ আর ভেজালে বিষ চক্র এত বেশি হয়েছে যে, নতুন নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। তাই ৫ বছরে গড়ে ৫ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ স্বাস্থ্য বরাদ্দ কোন মতেই গ্রহনযোগ্য নয়। তাছাড়া এর ভিতর লূটপাট এবং আধা সিকি এবং অবাস্তবায়িত প্রকল্প তো আছেই।

২। ...অদক্ষ শ্রমিক না পাঠিয়ে দক্ষ শ্রমিক পাঠালে তুলনামূলকভাবে রোজগার বেশি হবে । আপনি আলাদা পোস্ট আকারে দিন সবাই পড়ুক, জানুক।
-পরবর্তি একটি লিখার ইনপুট দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। তথ্য এবং উপাত্ত সাজিয়ে ইনশাআল্লাহ্‌ নতুন লিখা নিয়ে হাজির হব!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.