নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানা ও জানানোর জন্যই বেচে থাকা। জীবন তো শুধুই কিছু মুহূর্তের সমষ্টি।

জিএমফাহিম

জানা ও জানানোর জন্যই বেচে থাকা। জীবন তো শুধুই কিছু মুহূর্তের সমষ্টি।

জিএমফাহিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

নেপালে ভারতীয় টিভি চ্যানেল বন্ধ। অপসংস্কৃতি ও কিছু কথা।

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৫০



কয়েক বছর আগের কথা। ফেসবুকে চেন্নাই'র একজন অধিবাসীর সাথে ফেসবুকে কথা হচ্ছিল। বেশ কিছুক্ষণ ইংরেজিতে কথা বলার বল ভাবলাম হিন্দি যেহেতু আমিও বুঝি, হিন্দিতেই বলি। হয়তো তার বুঝতে ও বলতে সুবিধা হবে। সে হিন্দি শুনে সাথে সাথেই বলে উঠলো যে সে পারে না। আমি তো রীতিমত আকাশ থেকে পড়লাম। অন্যদেশের নাগরিক হলে আমরা তাদের ভাষা আয়ত্তে এনে ফেলেছি আর তারা কি না নিজেদের দেশের ভাষা জানে না !! খুবই অবাক হলাম।

পরে একটা সময় জানতে পারলাম যে ভারত তাদের আঞ্চলিক সংস্কৃতি ও রীতিনীতিকে সংরক্ষণ করার জন্য অন্য অন্য রাজ্য থেকে আসা মিডিয়া ও বিনোদন মাধ্যমগুলোর উপর বিধিনিষেধ দিয়ে রাখে। তামিললাডুতে একটা তামিল ছবি সামান্য ট্যাক্স দিয়েই রুমালি পরদায় জায়গা করতে পারে, কিন্তু অন্য প্রদেশের ছবিকে গুনতে হয় বিশাল ট্যাক্স। চ্যানেলগুলোও ভাষান্তর করা হয় অঞ্চলভিক্তিক। যেখানে বাংলাদেশে বলতে গেলে কিছু না করেই জায়গা নিয়ে নিচ্ছে তারা।

নেপাল যে কাজটি করেছে সেটা অসাধারণ। ভারত বিধিনিষেধে সামান্য জোরালো হলেই এই দেশের মানুষ অর্থনৈতিক সঙ্কট শুরু হয়, তবে নিজেদের সংস্কৃতিকে রক্ষা করার জন্য এটা ছিল যথেষ্ট ভাল উপায়।

যদিও একবারে সব কিছুর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার মোটেও পক্ষে না আমি। যে জিনিসটা উত্তর কোরিয়া বা রাশিয়াতে দেখা যায়। বহির্বিশ্ব থেকে পৃথক থাকলে নিজেদের ঐতিহ্য ঠিক থাকবে ঠিক আছে কিন্তু একটা জাতি একা খুব বেশি উপরে উঠতে পারে না অন্য দেশ ও তাদের উন্নয়নগুলো না জানলে। যার কারণে বন্দুক আবিষ্কারের শত বছর পরও অনেক উন্নত সভ্যতার পরাজয়ের কারণ ছিল সেকেলে হাতিয়ার। বাংলাদেশের উচিত বুঝে শুনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা। Cultural Preservation অনেকটা গাছে পানি দেয়ার মত; বেশি দিলেও সমস্যা, কম দিলেও সমস্যা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪

অর্ক বলেছেন: বাংলা আর হিন্দি ভাষা অনেকটা বোন ভাষার মতো। যে হিন্দি বা বাংলা বোঝে তার পক্ষে অপর ভাষাটি রপ্ত করা মোটেও কঠিন নয়। অপরদিকে তামিল ভাষার সাথে হিন্দির দূরতম কোনও সম্পর্ক নেই।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:০৫

জিএমফাহিম বলেছেন: ভারতের সংবিধান মতে হিন্দি হচ্ছে তাদের অফিসিয়াল ভাষা। ন্যাশনাল পার্লামেন্ট থেকে শুরু করে রাষ্ট্র প্রশাসন পর্যন্ত সব জায়গায় হিন্দি চলে। ভাষাগত পার্থক্য এখানে মুল ফ্যাক্টর না। অন্য অঙ্গরাজ্যের মানুষ (এমনকি পশ্চিমবঙ্গেও) হিন্দি ভাষার বিনোদন ও মাধ্যমগুলোর প্রচলন অনেক কম ( বাংলাদেশের তুলনায় ) ।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৩২

অর্ক বলেছেন: আমি দুদিন আগে কোলকাতা থেকে এলাম, ওখানে হিন্দির প্রচলনে বাংলা শহর এলাকায় এখন অনেকটা দ্বিতীয় ভাষায় পরিণত হয়েছে। ভাষাগত পার্থক্যই কোনও ভাষা শেখার জন্য প্রধান বিষয়। আপনি বইপত্র, শিক্ষক ছারা তামিল ভাষা শিখতে পারবেনন না। সারাজীবন তামিল ভাষার সিনেমা দেখেও একটা লাইনও বলতে পারবেন না। পক্ষান্তরে ভাষাগত মিলের কারণে একজন অশিক্ষিত বাঙালিও খুব সহজেই হিন্দি শিখে নিতে পারে। সহজ বিষয়টা কেন বুঝতে পারছেন না। আপনি তামিল জানলে দেখবেন ওই এলাকার অন্যান্য ভাষা শিখতে আপনার কষ্ট হচ্ছে না। এই তো দিন পনের আগে মুম্বাইয়ে ছিলাম। মুম্বাইয়ে মারাঠি ভাষায় করা ট্রেনের এনাউন্সমেন্টগুলো কিছু কিছু বুঝতে পারতাম, কারণ হিন্দির সাথে মারাঠির মিল।

১৬ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

জিএমফাহিম বলেছেন: ব্যাপারটা বাংলাদেশিদের বা বাঙ্গালিদের তামিল ভাষা বুঝার ক্ষমতার না। আমাদের অপ্রয়োজনেও হিন্দি আয়ত্তে আনা, আর ভারতীয় তামিলদের প্রয়োজন সত্ত্বেও হিন্দি আয়ত্তে না আনার বিষয় দুইটার তফাক বুঝিয়ে বলতে চেয়েছিলাম আমাদের উচিত আমাদের তাদের নেতিবাচক জিনিস থেকে হলেও ইতিবাচক কিছু শিক্ষা পাওয়া। আর আমিও ভারত গিয়েছি গত ছয় মাসে দুইবার। কয়েকটা প্রদেশে ছিলাম। ভারতীয়দের ভাষা নিয়ে আপনি যা বলেছেন আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.