নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্পদ বন্টন- আল্লাহর সত্য বিধান

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

সম্পদ বন্টন বা উত্তরাধিকার নিয়ে অনেকেই অনেক সময় ঝামেলায় পড়েছেন। অনেকেই এই সংক্রান্ত বিষয়ে কিছুটা ধারনা রাখেন। সুরা নিসায় (সুরা -৪) সম্পদ বন্টনের যে ফর্মুলা দেওয়া হয়েছে তা সম্পর্কে কম বেশী সবাই কিছুটা জানেন। কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি, এই সংক্রান্ত বিষয়ে মানুষ অর্ধ সত্য জানে। সম্পূর্ণ বিষয়টা কোরআন থেকে জানলে অনেক সমস্যারই সমাধান সম্ভব। আমি এখানে সুরা নিসায় বর্ণিত সম্পদ বন্টনের ফর্মুলা নিয়ে আলোচনা করব না, বরং আমি খুবই সংক্ষিপ্ত ভাবে এই সম্পর্কিত একটা সম্পূর্ণ চিত্র ধরে তোলার চেষ্টা করব।

সমস্যা হচ্ছে এই সংক্রান্ত বিষয়ে সবাই প্রথমে সরাসরি সুরা নিসায় চলে যায়। কিন্তু এইব্যাপারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আয়াত সুরা বাকারা (২:১৮০) থেকে শুরু। এইখানে আল্লাহ বলেছেনঃ

“তোমাদের কারো যখন মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়, সে যদি কিছু ধন-সম্পদ ত্যাগ করে যায়, তবে তার জন্য ওসীয়ত করা বিধিবদ্ধ করা হলো, পিতা-মাতা ও নিকটাত্নীয়দের জন্য ইনসাফের সাথে পরহেযগারদের জন্য এ নির্দেশ জরুরী। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা সবকিছু শোনেন ও জানেন।“ (২:১৮০)

(It is prescribed, when death approaches any of you, if he leave any goods that he make a bequest to parents and next of kin, according to reasonable usage; this is due from the Allah-fearing.)

অর্থাৎ যখন মৃত্যু সন্নিকটে চলে আসে, তখন আল্লাহ মানুষকে তার সম্পত্তির জন্য একটা উইল করতে বলেছেন। অর্থাৎ তার মৃত্যুর পরে কে কত সম্পত্তি পাবে এই বিষয়ে ঐ ব্যাক্তি কে তার নিকট আত্নীয়দের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত ভাবে সমাধান করে দিয়ে যেতে বলেছেন।

কোরআনে ২:১৮০ আয়াতের সমর্থনে সুরা মায়েদার (সুরা ৫) ১০৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছেঃ

“হে, মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যখন কারও মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন ওছিয়ত করার সময় তোমাদের মধ্য থেকে ধর্মপরায়ন দুজনকে সাক্ষী রেখো। তোমরা সফরে থাকলে এবং সে অবস্থায় তোমাদের মৃত্যু উপস্থিত হলে তোমরা তোমাদের ছাড়াও দু ব্যক্তিকে সাক্ষী রেখো। যদি তোমাদের সন্দেহ হয়, তবে উভয়কে নামাযের পর থাকতে বলবে। অতঃপর উভয়েই আল্লাহর নামে কসম খাবে যে, আমরা এ কসমের বিনিময়ে কোন উপকার গ্রহণ করতে চাই না, যদিও কোন আত্নীয়ও হয় এবং আল্লাহর সাক্ষ্য আমরা গোপন করব না। এমতাবস্থায় কঠোর গোনাহগার হব। (৫:১০৬)

O ye who believe! When death approaches any of you, (take) witnesses among yourselves when making bequests, - two just men of your own (brotherhood) or others from outside if ye are journeying through the earth, and the chance of death befalls you (thus). If ye doubt (their truth), detain them both after prayer, and let them both swear by Allah: "We wish not in this for any worldly gain, even though the (beneficiary) be our near relation: we shall hide not the evidence before Allah: if we do, then behold! the sin be upon us!" (৫:১০৬)”

আয়াতগুলি স্বব্যাখ্যাকারি। এইখানে বলা হয়েছে উইল করার সময় দুইজন সাক্ষী রাখতে যাতে ঐ ব্যক্তির মৃত্যুর পরে এই উইল সংক্রান্ত বিষয়ে কোন সমস্যার উদ্রেক না করে।

সুতরাং এখানে দেখা যাচ্ছে যে আল্লাহ মানুষকে জীবিত থাকা কালীন অবস্থায় তার সম্পত্তি মুলত তার পিতামাতা এবং নিকটাত্মীয়দের জন্য উইল করে রেখে যেতে বলেছেন। মানুষ জানেনা কখন সে মৃত্যু বরণ করবে। কিন্তু একটা সময় পরে মানুষ বুঝতে পারে যে তার সময় প্রায় শেষ হয়ে আসছে। যদি কোন কারনে কোন ব্যাক্তি কোন উইল রেখে যেতে ব্যার্থ হয়, তবে সুরা নিসার বর্ণিত ফর্মুলা প্রযোজ্য হবে। অথবা যদি কোন ব্যাক্তি তার সম্পূর্ণ সম্পত্তির জন্য উইল না করে যায়, সেক্ষেত্রে ঐ অতিরিক্ত অংশের জন্য সুরা নিসার ফর্মুলা কার্যকর হবে।

সুতরাং সম্পত্তি বন্টন সংক্রান্ত বিষয়ে কোরআনের নির্দেশ হচ্ছেঃ


১। জীবিত অবস্থায় উইল করে যাবেন আপনার পিতা মাতা এবং নিকটাত্নীয়দের জন্য

২। আপনি আপনার উইল ন্যায় সঙ্গত ভাবে করবেন (অর্থাৎ আপনার মতে যাকে যতটুকু দেওয়া দরকার, প্রয়োজন অনুসারে এবং আপনার নিকটতম অনুসারে)

৩। উইল করার সময় আপনার কাছে ন্যায় পরায়ণ মনে হয় এই রকম দুইজন সাক্ষী রাখবেন যেন আপনার মৃত্যুর পরে এই সংক্রান্ত কোন সমস্যা উদ্ভব হলে সাক্ষীদ্বয় সাক্ষ্য দিতে পারে।

৪। কোন কারনে আপনি উইল করতে ব্যার্থ হলে বা উইল করার পূর্বে মারা গেলে, সে ক্ষেত্রে সুরা নিসার সম্পদ বন্টন সংক্রান্ত ফর্মুলা কার্যকর হবে।

৫। মৃত্যুর পূর্বে সম্পূর্ণ সম্পত্তি কোন কারনে উইল করতে ব্যার্থ হলে, আপনার উইল করা সম্পত্তি বাদ দিয়ে যে অবশিস্ট অংশ থাকবে সেই অবশিস্ট অংশের উপর সুরা নিসায় বর্ণিত ঐ ফর্মুলা কার্যকর হবে।

৬। কোরআন অনুসারে সুরা নিসায় বর্ণিত ফর্মুলা আপনার উইলকে সুপারসিড করে না।

৭। সম্পত্তি ভাগ করার পূর্বে মৃত ব্যাক্তির দেনা (যদি থাকে) শোধ করতে হবে।

একটা ছোট উদাহরণ দেই, যদি আপনি মনে করেন আপনার মৃত্যুর পরে আপনার স্ত্রী বা আপনার কন্যা তুলনামূলক ভাবে বেশী অর্থনৈতিক সমস্যায় পরবে, তবে তাদেরকে অন্যদের তুলনায় বেশী দিবেন। এটা সম্পূর্ণ আপনার বিচারের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সুতরাং আপনার পিতামাতা, স্ত্রী, সন্তানদের আপনার মৃত্যুর পরে সম্পত্তি বন্টন সংক্রান্ত অনাকংখিত অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে রক্ষা করতে আপনি আপনার কাছে ন্যায় সঙ্গত মনে হয় এই রকম একটা উইল করে রাখবেন এটাই আল্লাহর আদেশ। আর যদি কোন কারনে না পারেন, তবে আল্লাহ একটা সমাধান দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী বন্টন হবে। আল্লাহ কোথাও কোন কিছুর ঘাঠতি রাখেননি

বিদ্রঃ
এটা খুবই সংক্ষিপ্ত একটা লেখা যার মাধ্যমে আমি সম্পূর্ণ চিত্র তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছি। দয়া করে কেউ কোরআনের এই আয়াতগুলি রহিত হয়ে গেছে বা সম্পত্তির কতটুকু উইল করতে পারবে এই ধরনের আবর্জনা নিয়ে আলোচনা করতে আসবেনা না।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭

রাজীব বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক কিছু জানলাম।

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:২৭

সম্রাট৯০ বলেছেন: তাহলে আপনি বলতে চান মানে কোরাআনের অনুযায়ী সম্পত্তির মালিক জীবত অবস্থায় তার সম্পদ তার মর্জি অনুযায়ী বন্টন করতে পারবে, সেখানে সুরা নিসার ফর্মুলা ফলো করতে হবেনা, যদি ব্যক্তি মারা যায় তাহলে অন্যরা এভাবেই নিজেদের অংশ বন্টন করে নিতে পারবে, এইতো?

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪

হানিফঢাকা বলেছেন: জ্বী। জীবিত অবস্থায় আপনি আপনার সম্পদ আপনার নিকটাত্মীয়দের মাঝে যেভাবে আপনার কাছে ন্যায় সঙ্গত মনে হয় সেইভাবেই বন্টননামা বা উইল করে দিয়ে যেতে পারবেন। সেইক্ষেত্রে, আপনার মৃত্যুর পর আপনার করা উইল অনুযায়ী সম্পদ ভাগ হবে। যদি কোন কারনে আপনি জীবিত অবস্থায় উইল করে দিয়ে যেতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে সুরা নিসার ফর্মুলা ব্যাবহার হবে।

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আপনার এই লেখাটা ইতিবাচক অর্থাৎ অন্যের সমালোচনামুক্ত ও 'কী করনীয়' সেই বিষয়ে পরিষ্কার বক্তব্য সম্বলিত হয়েছে।
অতীতে যারা ধর্ম সংস্কারের কাজ করেছেন তারাও এ'ভাবেই কাজ করতেন - কোনটা ভুল, কেন ভুল তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পরিবর্তে কোনটা সঠিক সেটা সরাসরি বলাই উত্তম পথ।

আমি দেখেছি প্রচলিত ধর্ম বিশ্বাসের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমালোচনামুলক লেখা অনেকেই লেখে যার দ্বারা পরস্পরিক বিভেদ ছাড়া কল্যানকর কিছুই হয় না। তাই আমি আশা করি যারা প্রচলিত ধারনাকে প্রশ্ন করার সাহস রাখে তাদের উচিত ধর্মের আসল পুর্ণাঙ্গ রূপ কেমন বা একজন ধার্মিকের আসলে 'কী করা উচিত' সেটা পরিষ্কার ভাবে বর্ণনা করা এবং তার দিকে মানুষকে আহ্বান জানান। যদি সেই উপস্থাপনা যৌক্তিক, সময়উপযোগী ও কল্যানকর হয় তাহলে সেটা ব্যাপক জনপ্রিয় হবে এবং সমাজকে উতিবাচক ভাবে প্রভাবিত করবে দীর্ঘ সময় ধরে। আর যদি তা না হয় তাহলে সেটা গ্রহনযোগ্য হবে না এবং সময়ের স্রোতে হারিয়ে যাবে।

এই বিষয়টা ইসলামের প্রাথমিক যুগে প্রচলিত ছিল যার ফলে কয়েকশ মাযহাবের উদ্ভব ঘটেছিল। পরবর্তি কালে যার মধ্যে মাত্র চারটি ছাড়া বাকিগুলি হারিয়ে গেছে। তারপর মুসলমানদের জাতীয় জীবনে এসেছে এক পরাধীনতার যুগ, যে যুগে ধর্ম সংক্রান্ত সকল গবেষণা রহিত করে ঐ চারটি মাযহাবকেই চুড়ান্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। বর্তমানে যারা এই ভুলের সংশোধন করে ধর্মের গবেষণা পুনরায় শুরু করতে আগ্রহী তারাও যদি ঐভাবে ইসলামের সকল মৌলিক বিষয়ে তাদের মতামত নিয়ে একটা পুর্ণাঙ্গ চিত্র উপস্থাপন করার উদ্যোগ নেয় তাহলে সেটা এক নতুন যুগোর সুচনা হতে পারে। আপনি কি তেমন কোন উদ্যোগের সাথে পরিচিত /সংযুক্ত, অথবা আপনি নিজেই কি তেমন কোন উদ্যোগ নেবেন?

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আমি তেমন কোন উদ্দ্যেগের সাথে পরিচিত বা সংযুক্ত- কোনটাই না। জানার জন্যই পড়ি, কারন যারা পরকালে বিশ্বাস করে তারা এইটা মানে যে একদিন সব কিছুর হিসাব হবে। আমার মতে সেই দিন "আমি জানতাম না"/ "আমি আরেক জনেরটা ফলো করেছি"/ অমুকে আমাকে মিসগাইড করেছে"- এই সব বলে পার পাওয়া যাবে না।

আরেকটা কারন হচ্ছে, সমাজে একটা প্রচলিত বিশ্বাস আছে যে যেহেতু আল্লাহ সম্পদ বন্টনের ফর্মুলা কোরআনে দিয়েছেন, সেহেতু নিজের সম্পদ কম বেশী করে কাউকে দেওয়ার জন্য উইল করা যাবেনা। অনেক অভিভাবক এই জন্য সম্পদের উইল করেন না এইজন্য। এর ফলে দেখা যায়, ঐ ব্যাক্তির মৃত্যুর পর তার বংশধরদের মধ্যে অনেক ধরনের সমস্যার উদ্ভব হয়। যেমন ধরেন এক ব্যাক্তির দুই ছেলে আছে। একজনের আর্থিক অবস্থা খুব ভাল, ভাল ইঙ্কাম করে। আরেকজনের অবস্থা খুব খারাপ কোন ইনকাম নেই। এখন ঐ ব্যাক্তি যদি সমাজের ভুল ধারনার বশবর্তী না হয়ে সুরা বাকারা, মায়েদার এই কথা গুলি জানত, তখন সে তার দুই ছেলের জন্য যেটা ন্যায় সঙ্গত হয় সেভাবেই সম্পদ বন্টনের জন্য উইল করে যেতে পারত। এর ফলে ঐ ব্যাক্তির মৃত্যুর পরে তার যে ছেলের কোন ইনকাম নেই তার জন্য চলতে সমস্যা কম হত। এই উইল না করার ফলে, সম্পদ সমান ভাগ হবার কারনে এক ছেলেকে বেশী সমস্যায় পরতে হবে। এই ধরনের বাস্তব উদাহরণ আমি অনেক দেখেছি। সেই থেকেই এই লেখা। এটা অভিভাবকের দায়িত্ব সে তার সম্পদের সুসম বন্টন করবে।

একটু সচেতন হলেই এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। আল্লাহ সমাধান দিয়ে রেখেছেন। সেটা জেনে চর্চা করলেই সমস্যার সমাধান হয়।

৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "জানার জন্যই পড়ি, কারন যারা পরকালে বিশ্বাস করে তারা এইটা মানে যে একদিন সব কিছুর হিসাব হবে।"

হ্যা আমাদের সবারই পড়া উচিত, জানার জন্য। তবে এই জানার পথটাকিন্তু একেবারেই বিপদমুক্ত নয়। অসতর্কতায় বিপদের আশংকা এখানেও আছে।

একটা বিষয়ে আপনার দৃস্টি আকর্ষন করতে চাই। কোরআন ব্যাপক অর্থবহ গ্রন্থ। এখানে এমন অনেক শব্দ ব্যাবহার করা হয়েছে যা বহু অর্থ প্রকাশ করে। ধরুন একটা আয়াতে ৩টা ব্যাপক অর্থবহ শব্দ আছে যার প্রতিটার অন্তত ৫ টা অর্থ হয়। তাহলে গানিতিক ভাবে (মার্মুটেশন/কম্বিনেশন সুত্রে) ঐ আয়াতটার ৫×৫×৫ = ১২৫টা অনুবাদ সম্ভব। এর মধ্যে অধিকাংশ অনুবাদের বক্তব্য হয়ত একই হবে - কিন্তু এমন কিছু অনুবাদও হওয়া সম্ভব যার অর্থ হবে একেবারেই আলাদা। তাহলে আমরা এর মধ্যে কোনটা গ্রহন করব? বহু অর্থের মধ্যে কোনটা সঠিক/গ্রহনযোগ্য এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পুর্ণ এখতিয়ার কার আছে?

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

এ আর ১৫ বলেছেন: পৈত্রিক সম্পত্তিতে পুত্র এবং কণ্যার সম্পত্তির বন্ঠন সমান করা কি কোরান অনুমোদন করে ?? পুত্রের ভাগ ১ হোলে কণ্যার ভাগ হবে ১/২ এটাকে কি ১:১ করা হোলে কি কোন অসুবিধা আছে ?

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নের জন্য।

আপনি যে ভাগের কথা বলছেন তা প্রযোজ্য হবে যদি আপনি কোন উইল না করে দিয়ে মারা যান। সেই ক্ষেত্রে এই "পুত্রের ভাগ ১ হোলে কণ্যার ভাগ হবে ১/২"- এইটা প্রযোজ্য হবে, কারন আপনি কে কতটুকু পাবে এই সংক্রান্ত কোন উইল না করেই মারা গেছেন। সেক্ষেত্রে এটা সুরা নিসার ফর্মুলা হচ্ছে একটা ব্যাকাপ সমাধান।

আপনি জীবিত অবস্থায় আপনি আপনার সম্পত্তি আপনার কাছে যে রকম ন্যায় সঙ্গত মনে হয় সেইভাবেই উইল করে দিতে পারবেন। আপনি চাইলে ১ঃ১ করতে পারেন, এতে কোন অসুবিধা নাই। (২:১৮০, ৫:১০৬)

মনে রাখতে হবে, সুরা নিসাতে যে ফর্মুলা দেওয়া হয়েছে তা শুধুমাত্র যদি কেউ তার সম্পত্তি উইল না করে মারা যায় সেই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৩৬

মহা সমন্বয় বলেছেন: আমাদের বাংলাদেশের আইনে কি বলে? আমি মানুষের তৈরী আইনের প্রতি আস্থাশীল।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭

হানিফঢাকা বলেছেন: সে ক্ষেত্রে আমি আপনাকে একজন ভাল ল'ইয়ারের পরামর্শ নিতে বলব।

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০৬

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: ধর্মীয় আইন ই আমাদের জনা যথেষ্ট। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.