নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ইয়ার অফ এলিফ্যান্ট" এবং "আব্রাহা ইনস্ক্রিপশন"

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭


নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্ম কত সালে এইটা নিয়ে স্কলারদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। তবে সাধারণত বলা হয়ে থাকে যে বছর আব্রাহা তার বিশাল হস্তী বাহিনী নিয়ে মক্কা আক্রমণ করেছিলেন, সেই বছর নবীর জন্ম। আমাদের স্কলাররা এই ঘটনাকে ৫৭০ খৃস্টাব্দে আখ্যায়িত করে থাকেন এবং এটাই আমাদের মধ্যে প্রচলিত বিশ্বাস। তার জন্মকাল সম্পর্কে যে জিনিষ গুলি আমরা সাধারণত ফ্যাক্ট বলে জানি তা হচ্ছে, তিনি ৫৭০ খৃস্টাব্দে ১২ ই রবিউল আউয়াল মক্কায় জন্ম গ্রহণ করেন, ঐ বছরটাকে বলা হয় “ইয়ার অফ এলিফ্যান্ট”। কোরআনের ১০৫ নম্বর সূরা “সূরা ফিল” কে ঘটানার রেফারেন্স ধরা হয়। কিন্তু যে জিনিষটা আমরা অনেকেই জানিনা বা আমাদের জানানো হয় না অথবা ঘটনা বিকৃত করে জানানো হয় তা হচ্ছে ঐ “ইয়ার অফ এলিফ্যান্ট” বা হস্তী বছরের মুল কাহিনী কি? আব্রাহার কি সত্যিই তার হস্তি বাহিনী নিয়ে মক্কা আক্রমণ করেছিল? আমি ঘটনাটা বর্ণনা করব আব্রাহার এর আগের ঘটনা থেকে, এর কারন হচ্ছে দুইটা। প্রথমতঃ অনেকেই আব্রাহারের ঘটনার মডিফাইড (সম্মান করে বিকৃত বলছিনা) ভার্সন টা জানেন, কিন্তু তার আগের ঘটনা জানেনা। সেই আগের ঘটনা টা জানানো আমার প্রথম উদ্দেশ্য। দ্বিতীয়তঃ পরে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) নিয়ে যখন আরও কিছু লিখব তখন এই লেখাটাকে রেফারেন্স হিসাবে ব্যাহার করতে পারব। এক জিনিষ দুইবার লেখার কোন মানে হয়না। কাহিনী গুলি যতটা পারি সংক্ষেপ করার চেষ্টা করব।

হিমাইরেটি রাজ্য (কিংডম অফ হিমায়ের)ঃ
হিমাইরেটি রাজ্য দক্ষিণ আরব, বর্তমান ইয়েমেনর একটি প্রাচীন রাজ্য। এই রাজ্যের শুরু খৃস্টপূর্ব ১১০ সাল। মুলত তারা ইহুদী ধর্মাবলম্বী। এরা সম্রাজ্য স্থাপনের পরে থেকে ধীরে ধীরে সম্রাজ্য বাড়াতে থাকে। পার্শবর্তী রাজ্য সেবাইন (দ্য কিংডম অফ শেবা) দের সাথে তাদের বিভিন্ন সময় রাজ্য দখল নিয়ে যুদ্ধ হয়। খৃস্টপূর্ব ২৫ সালে প্রথমবারের মত পার্শবর্তী সবাইয়েন রাজ্য দখল করে। এর পর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যুদ্ধ বিগ্রহের মাধ্যমে ২৮০ সালের দিকে তারা সম্পূর্ণ ভাবে সেবাইন দের পরাজিত করে একক রাজ্য হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই রাজ্য ৫২০-৫২৫ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়।


আরবের শেষ ইহুদী রাজাঃ
এই হিমায়েরিটি গোত্রের শেষ ইহুদী রাজা ইউসুফ বিন যাহ’রা বিন হিমায়েরি আল আসগার তার আরকেটা নাম ছিল যুউ নাওয়াজ (Dhū Nuwās,)। আরব ইতিহাসবিদ ইবনে খালদুন এর মতে তার কোঁকড়ানো চুলের জন্য তাকে এই নামে ডাকা হত। ভন ক্রেমার এর মতে ইয়েমেনরে একটি দুর্গের নাম অনুসারে তাকে এই নাম ডাকা হয়। কোন কোন আরব ইতিহাসবিদ দের মতে তিনি জন্ম সুত্রে ইহুদী ছিলেন না। সিংহাসন আরোহণ করার পর তিনি ইহুদী ধর্ম অবলম্বন করেন। আবার কেউ বলেন তিনি জন্ম সুত্রেই ইহুদী ছিলেন। দ্বিতীয় মতটাই আমার কাছে সঠিক মনে হয় কারন তার গোত্র ই ছিল ইহুদী গোত্র। সুতরাং, তিনি জন্ম সুত্রে ইহুদী হবেন এটাই স্বাভাবিক যাই হোক, তিনি সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হয়ে ইহুদী ধর্ম কে রাস্ট্র ধর্ম ঘোষণা করেন এবং রাজ্যের সবাইকে তাঁদের পুরানো একমাত্র ধর্মে ফিরে আসতে আহবান জানান। তার উদ্দেশ্য ছিল মুলত দুইটা। প্রথমতঃ তাঁদের প্রাচীন ধর্ম কে রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে পুরানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা , দ্বিতীয়ত তার সম্রাজ্যে খ্রিষ্টানদের দমন করা। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় তার এই সিদ্ধান্তের পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। পার্সিয়ান এবং রোমানদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই তার এই উদ্দেশ্যের অন্যতম কারন। এইটা এই জন্য বলছি যে ইহুদীরা সবসময় পার্সিয়ানদের কে সমর্থন করত, তাদের প্রতি ইহুদীদের ঐ সময় একটা কৃতজ্ঞতা বোধ ছিল ( খৃস্টপুর্ব ৫৮৬ ব্যাবিলন এক্সাইল দ্রষ্টব্য), অন্যদিকে খৃস্টানরা রোমানদের সমর্থন করত, এইটা খুব সহজ এবং স্বাভাবিক বিষয়।


কথিত আছে যুউ নাওয়াজ তার এই উদ্দেশ্য পূর্ণ করার জন্য নিপীড়ন মূলক ব্যাবস্থা বেছে নিয়েছিলেন। যারা ইহুদী ধর্মে কনভার্ট হতে অস্বীকার করেছিলেন তাদের অনেক কেই তিনি হত্যা করেছেন, পুড়িয়ে মেরেছেন।

ঐ সময়ে ইয়েমেনে “নাজরান” শহরে প্রচুর খৃস্টান বাস করত। তারা সেখানে বিশাল প্রসাদ এবং চার্চ নির্মাণ করেছিল। তিনি নাজরান আক্রমণের পরিকল্পনা করেন। এই কারনে ষষ্ট শতাব্দীর প্রথম দিকে সানা –যা যুউ নয়াজের রাজধানী ছিল তার সাথে খৃষ্টান অধ্যুষিত নাজরান শহরের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়ন দেখা দেয় যা পরবর্তীতে যুদ্ধের রুপ নেয়। কথিত আছে, তখকার সময়ে কবি আল আ’শা- এই পরিকল্পনার কথা তৎকালীন নাজরান (বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থিত) শহরে গিয়ে তাঁদের গ্রান্ড কার্ডিনাল কে এই ব্যাপারে অবিহিত করেন, যথাযথ প্রতিরক্ষার ব্যাবস্থা নিতে পরামর্শ দেন।

নাজরান আক্রমণঃ
এই হিমায়েরিটিরা পরবর্তী কালে নাজরান আক্রমণ করেন। তারা যে নিষ্ঠুরতা সেখানে চালিয়েছিল তা আজও অচিন্তনীয়। হিটলারের হত্যাকান্ড মনে হয়না আর হিমায়েরিটির হত্যাকাণ্ডের চেয়ে বেশী নির্মম ছিল। ইহুদীদের এনসাইক্লোপিডিয়া অনুসারে যুউ নাওয়াজ নাজরানবাসীদের দুইটা অপশন দেনঃ হয় ইহুদী ধর্ম গ্রহণ কর, অথবা মৃত্যু। তারা খৃস্টানদের সমস্ত চার্চ পুরিয়ে দিয়েছিল, চার্চের ভিতরে বিশপদের পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। ইতিহাসের বিভিন্ন বইয়ে এই হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা পাওয়া যায়। বলা হয়ে থাকে, হিমায়েরিটি ইহুদিরা যেটা করেছিল তারা একটা পরিখা বা ট্রেঞ্চ তৈরী করেছিল। তারপর এতে ফুয়েল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। এই আগুনের মধ্যে এরা কমপক্ষে ১৫ থেকে ১৬ হাজার খৃস্টানকে পুড়িয়ে মেরেছিল। এই ইতিহাস ইথিওপিয়া, এবং রোমান চার্চে এবং ইয়মেনের ইতিহাসে লেখা আছে। মজার বিষয় হচ্ছে ধারনা করা হয়, কোরানেও এই ঘটনার কথা উল্লেখ আছে। কোরআনের ৮৫:৪-৭ আয়াতে বলা হয়েছেঃ


( নাজারান ট্রেঞ্চ- বর্তমান সৌদি আরব)

"শপথ গ্রহ-নক্ষত্র শোভিত আকাশের, এবং প্রতিশ্রুত দিবসের, এবং সেই দিবসের, যে উপস্থিত হয় ও যাতে উপস্থিত হয় অভিশপ্ত হয়েছে গর্ত ওয়ালারা অর্থাৎ, অনেক ইন্ধনের অগ্নিসংযোগকারীরা; যখন তারা তার কিনারায় বসেছিল। এবং তারা বিশ্বাসীদের সাথে যা করেছিল, তা নিরীক্ষণ করছিল। তারা তাদেরকে শাস্তি দিয়েছিল শুধু এ কারণে যে, তারা প্রশংসিত, পরাক্রান্ত আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল (৮৫ঃ১-৮)"

(By the sky containing great stars. And [by] the promised Day. And [by] the witness and what is witnessed, Cursed were the companions of the trench. [Containing] the fire full of fuel, when they were sitting near it. And they, to what they were doing against the believers, were witnesses. And they resented them not except because they believed in Allah , the Exalted in Might, the Praiseworthy, To whom belongs the dominion of the heavens and the earth. And Allah , over all things, is Witness. (৮৫ঃ ১-৯))

যদিও কোরআন থেকে আমরা ১০০% শিউর না যে কোরআনে বর্ণিত এই ঘটনা আসলেও হিমারিয়েটিদের সে নৃশংস হত্যাকাণ্ড কি না, অর্থাৎ দুইটা একই ঘটনা কিনা, কিন্তু এই ক্ষেত্রে ক্লাসিক্যাল ইসলামিক স্কলাররা একমত যে কোরআনের ৮৫ঃ১-৯ এ যে ঘটনার কথা বর্ণনা করা হয়েছে তা সত্যিকআর অর্থেই হিমারিয়েটিদের সে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।

প্রতিশোধঃ
কথিত আছে, হিয়াম্যেরিটিরা নাজরান শহরে খৃস্টানদের নির্মম ভাবে হত্যা যজ্ঞ চালানোর সময় কিছু সংখ্যক খৃস্টান (একজনের নাম পাওয়া যায়) পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়, এবং তারা এই বিষয়টি রোমানদের নজরে আনেন। রোম সম্রাট জাস্টিন ১ এই ব্যাপারে ইথিওপিয়ার খৃস্টান সম্রাট নাজাসী কে চিঠি লিখে ইয়েমেন আক্রমন করতে অনুরুধ করেন। এর ফলশ্রুতিতে, নাজাসী ইয়েমেনে সৈন্য প্রেরন করেন। ইথিওপিয়ান বাহিনী লোহিত সাগর পার হয়ে ইয়েমেন আক্রমন করে। মুসলিম এনসাইক্লোপিডিয়া অনুযায়ী নাজাসীর সেনাবাহিনীর দুইটি দল ইয়েমেন আক্রমণ করেন। এর একটি দলের কমান্ডার ছিলেন আরায়াত এবং অপরটির কমান্ডার ছিলেন আব্রাহা। ইমাম তাবারীর মতে, প্রথম সেনাদলের কমান্ডার ছিলেন আরায়াত এবং তিনি পরাজিত হন। দ্বিতীয় সেনাদলের কমান্ডার আব্রাহার হিমায়েরিটিদের পরাজিত করেন। কিন্তু মুসলিম এনসাইক্লোপিডিয়া অনুযায়ী দুইটি সেনাদল একসাথেই ইয়েমেনে পাঠানো হয়। যুউ নাওয়াজ যুদ্ধে পরাজিত হন, তার সম্পদ, তার রানী খৃস্টানদের দখলে আসে। কথিত আছে, যুউ নাওয়াজ- শেষ ইহুদী রাজা খৃস্টান শত্রুপক্ষের কাছে আত্ন সমর্পণ না করে ঘোড়ায় চড়ে লোহিত সাগরে গিয়ে ঘোড়া সহ সরাসরি লোহিত সাগরে ডুবে স্বেচ্ছায় প্রান বিসর্জন দেন। এই যুদ্ধের সময়কাল ৫২০-৫২৫ সাল।ঐ সময়ের আরবের লিজেন্ডারি কবি উমরুল কায়েসের কবিতায়

"Art thou not saddened how fate has become an ugly beast, / the betrayer of its generation, he that swalloweth up people? It has removed Dhū Nuwās from the fortresses / who once ruled in the strongholds and over men / [An armored knight, who hurriedly broke the ends of the earth / and led his hordes of horse unto her uttermost parts And has shut up a dam in the place of the sunrise / for Gog and Magog that are (as tall as) mountains!

যদিও গল্প এখানেই শেষ না। পরবর্তীতে এই ঘটনার কারনেই এবং ইহুদীদের প্ররোচনায় পার্সিয়ানরা ইয়েমেন আক্রমণ করে এবং দক্ষিণ আরব তথা ইয়েমেন দখল করে।

আব্রাহাঃ
মুসলিম এনসাইক্লোপিডিয়া অনুযায়ী ইথিওপিয়ান দুই কমান্ডার আরায়াত এবং আব্রাহা ইয়েমেনই বসবাস করেন। পরে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে উঠে এবং এই দুইজন দ্বন্দ্ব যুদ্ধে অবতীর্ণ হন এবং আব্রাহা জয়ী হন। এর ফলে আব্রাহা ইয়মেনের শাসনকর্তা হিসাবে সেখানে প্রতিষ্ঠিত হন। (ইথিওপিয়া প্রথমে আব্রাহাকে ইয়েমেনর শাসনকর্তা হিসাবে মেনে নিতে না চাইলেও, পরে মেনে নেন)

আব্রাহা ইনস্ক্রিপশনঃ
আব্রাহার শাসক কাল সম্পর্কে ধারনা পয়ায়া যায় মুলত লিজেন্ডারি মা’রিব বাধ (Ma'arib Dam) এর ইনস্ক্রিপশন এবং সেবাইন ইনস্ক্রিপশনের মাধ্যমে। (এই মা’রিব বাধের কথাও কোরআনে উল্লেখ আছে (কোরআন ৩৪:১৫-১৬)) আব্রাহা এই বাধ রিপেয়ার করেছিলেন এবং তখনকার ঘটনা ঐখানে ইন্সক্রাইবড করা হয়েছিল।


মা’রিব ইনস্ক্রিপশনে টোটাল ১৩৬ টা লাইন আছে এবং তা মুলত ইয়েমেনের কিছু এলাকায় যুদ্ধ, বিদ্রোহ দমন, বাধ রিপেয়ার এবং উৎসবের কথা লেখা আছে। এটা মুলত ৫৪৭ থেকে ৫৪৮ (প্রায় দুই বছরের) ঘটনা। এই ১৩৬ লাইন এইখানে কপি পেস্ট করে দেওয়া সম্ভব না বলে আমি লিঙ্ক দিয়ে দিচ্ছি, যদি কারো আগ্রহ থাকে, লিঙ্ক থেকে পড়ে নিতে পারবেন।

http://dasi.humnet.unipi.it/index.php?id=79&prjId=1&corId=7&colId=0&recId=2382

এই সাইটে গিয়ে, TRANSLATIONS হেডিং এর নিচে CSAI বাটনে ক্লিক করলে ইংলিশ ট্রান্সলেশন দেখাবে।

৫৪৮ সালের পর থেকে ৫৫৩ সাল পর্যন্ত আব্রাহার কার্যপ্রণালীর বর্ণনা পাওয়া যায় "the inscription of Abraha” (inscription at Murayghän) তে। এইটাতে ১০টা লাইন আছে।


Line 1:
With the power (help) of god, and the Jesus (=Christian) King Abraha Zeebman (King's title), the King of Saba'a, Zuridan and Hadrmaut.

Line 2:
and Yemen and the tribes (on) the mountains and the coast wrote these lines on his battle

Line 3:
against the tribe of Ma'ad ( in ) the battle of al-Rabiya in the month of "Dhu al Thabithan" (April) and fight (against) all the (tribes) of Bani A'amir.

Line 4:
and appointed the King (the leader) "Abi Jabar" with (tribe) Kinda and (Qahtani tribe) Al (and the leader) "Bishar bin Hasan" with

Line 5:
(Tribe) Sa'ad ( and the tribe) Murad and ( the tribe) Hadarmaut (stand) in front of the army against Bani Amir of Kinda. and (the tribe) Al in wadi "zu markh" and Murad and Sa'ad in wadi

Line 6:
Manha on the way to Turban and killed and captured and took the booty in large quantities and the
King and fought at Halban and reached

Line 7:
Ma'ad and took booty and prisoners, and after that, conquered
(from the tribe of Ma'ad) Omro bin al-Munzir …

Line 8:
(and according to the agreement between Abrha and the tribe of Ma'ad)
(Abrhas) appointed the son (of Omro) as the ruler and returned (Abraha) from Hal.

Line 9:
Ban (halban) with the power of the god in the month of Zu A'allan in the year sixty-two

Line 10:
and six hundred

এইখানে আবরাহার প্রত্যাবর্তনের কথা বলা হয়েছে ৬৬২ সাল। এটা সেবাইন ক্যলেন্ডার অনুযায়ী। যেহেতু হিমায়রেটি সম্রাজ্য শুরু হয়েছে খৃস্টপুর্ব ১১০ থেকে, সেহেতু ৬৬২ সেবাইন বছর ৫৫২ খৃস্টাব্দের সমান (৬৬২-১১০=৫৫২) কোন ওয়েব সাইটে সেবাইন ক্যলেন্ডার থেকে গ্রেগ্রিয়ান ক্যালান্ডারের রূপান্তরের কোন রকম সুত্র পাইনি। সবখানে আব্রাহার জীবনকাল দেওয়া আছে কমপক্ষে ৫৫৩ খৃস্টাব্দ। পরে বুঝতে পারলাম, এইভাবেই তারা এই সময়কাল বের করেছে।

সুতরাং ৫৫২/৫৫৩ খৃস্টাব্দের পর আব্রাহা তার প্রসাদে ফিরে যান। এর পর তার যুদ্ধ সংক্রান্ত আর কোন তথ্য পাওয়া যায় না।

এতক্ষন যারা কষ্ট করে পড়েছেন, তারা বলতে পারেন এই ঘটনার সাথে আমাদের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর সম্পর্ক কি?

মুসলিম ট্র্যাডিশন অনুযায়ী,কথিত আছে এই আব্রাহা নাজরানে একটি কাবাঘর নির্মাণ করেন। কিন্তু মক্কায় অবস্থিত কাবার জন্য তার নির্মিত কাবা তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি। সেই জন্য আব্রাহা তার হস্থি বাহিনী নিয়ে মক্কা আক্রমণ করতে যান। আল্লাহ্‌ কাবা কে রক্ষা করতে আকাশ থেকে আবাবিল নামক পাখি পাঠান যা ঠোটের মধ্য করে পাথর নিয়ে এসে ঐ হস্তী বাহিনীর উপর নিক্ষেপ করেন। এর ফলে আব্রাহার হস্তী বাহিনী পরাজিত হয় এবং আব্রাহা নিহত হন।

এই গল্প আমরা যুগ যুগ ধরে শুনে আসছি। আমাদের ইসলামিক স্কলাররাও তদের ইতিহাসের বইয়ে, কোরআনের তফসীরে (সূরা ফিল, সুরান নং ১০৫) এ এই ঘটনা বর্ণনা করেছেন। যদিও সূরা ফিলের কোথাও আব্রাহা নাম উল্লেখ করা নাই, ঘটনা বিশ্লেষণে আমাদের স্কলাররা সূরা ফিল কে এই ঘটনার সাথে সম্পর্কিত করেছেন।

কিন্তু যে প্রশ্নটা গুলি আসছে, সেটা হচ্ছেঃ

১। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আব্রাহার মক্কা আক্রমন সংক্রান্ত কিছু পাওয়া যায় না।

২। আব্রাহা ইনস্ক্রিপশনে “মক্কা” নামক কোন শহরের কথা নেই।

৩। মুসলিম ট্র্যাডিশন অনুযায়ী আব্রাহা মক্কা আক্রমণের সময় মৃত্যু বরন করেন। কিন্তু যদিও ইনস্ক্রিপশনে তার মৃত্যুর কথা লেখা নেই, তথাপি তিনি মক্কায় গিয়ে নিহত হয়েছেন এই রকম কোন প্রমান নেই।

৪। সানা থেকে মক্কা প্রায় ১০০০ কিমি। আব্রহা কিভাবে হাতিবাহিনী নিয়ে মরুভূমি্র এতটা পথ পাড়ি দিয়েছিলেন সেটা বোধগম্য নয়। এই ক্ষেত্রে হাতির খাবার এবং বেচে থাকার পরিবেশ লক্ষ্যনীয়। একটা দুইটা হাতি হলে সম্ভব হতে পারে, কিন্তু ১৫/২০ অথবা ১০০ হাতি নিয়ে সম্ভব না।

৫। ৫৭০ সাল পর্যন্ত আব্রাহা বেচে ছিল কিনা সেটা একটা বড় প্রশ্ন। মুল কথা হচ্ছে তিনি কখনো মক্কায় এসেছিলেন কি না এর কোন প্রমান কোথাও নেই।

৬। সূরা ফিলে যে বর্ণনা এসেছে আবাবিল পাখি দিয়ে পাথর নিক্ষেপের কথা, এইটার কোন ভিত্তি নেই।এইগুলি পার্সিয়ানদের বানানো ফ্যান্টাসি ছাড়া কিছু না। এইখানে সম্ভবত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কথা বলা হয়েছে।

সুতরাং নবী মুহাম্মদের জন্মের সময় এক্সাটলি ৫৭০ সালে, এইটা এই কাহিনী দ্বারা প্রমানিত না। উনার জন্ম ৫২৫-৫৭০ যে কোন সময়ে হতে পারে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭

নকশা মাকড়সা বলেছেন: সূরা ফিলে যে বর্ণনা এসেছে আবাবিল পাখি দিয়ে পাথর নিক্ষেপের কথা, এইটার কোন ভিত্তি নেই।এইগুলি পার্সিয়ানদের বানানো ফ্যান্টাসি ছাড়া কিছু না। এইখানে সম্ভবত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কথা বলা হয়েছে। -----------
কুরআনের সূরার আয়াতটির ভিত্তি নেই বলতে চান?

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

এখানে হয় আমার বোঝাতে ভুল হয়েছে বা আপনার বুঝতে ভুল হয়েছে। আমি বলিনি যে সূরা ফিলের ঐ আয়াতটির কোন ভিত্তি নেই। আমি বলেছি "আবাবিল পাখি দিয়ে পাথর নিক্ষেপের কথা" এই টার কোন ভিত্তি নেই। এইটা একটা মনগড়া অনুবাদ। যুগ যুগ ধরে এই আবাবিল পাখি নামক এই সব আজগুবি কথা বার্তা শুনে আসছি। যদিও বিষয়টা এইখানে সম্পূর্ণ প্রাসঙ্গিক না, তারপরেও ছোট করে বলছিঃ

এই সূরা বোঝার জন্য তিনটা মুল শব্দ (কি ওয়ার্ড) বুঝতে হবে। এইগুলি হচ্ছে "তাইরন", আবাবিল", "সিজ্জিল"

তাইরনঃ এটা দিয়ে যে শুধু পাখি বুঝায় তা না, এইটা যে কোন মুভিং অব্জেক্ট হতে পারে। এইটা দিয়ে কোন গতিশীল যাকে ফোর্স করা হয়েছে বা কোন বাহ্যিক বলের কারনে গতিশীল এই রকম জিনিষ ও বুঝায়। এইটা পাখী হতে হবে এই রকম কোন কথা নেই। আরবী লেক্সিকান দেখলেই বুঝবেন


আবাবিলঃ
এইটা কোন পাখির নাম না। এইটা দ্বারা কোন গ্রুপ বা ক্লাস্টার বুঝায় যা থেকে কোন সিঙ্গেল আইটেম পৃথক করা যায় না।

সিজ্জিলঃ কোরআনের ১১ঃ৮২, ১৫ঃ৭৪ শব্দটা এসেছে। এর অর্থ baked clay.

অর্থাৎ, অর্থ দাড়ায়, পাথর মিশ্রিত গলিত কাদার মুভমেন্ট। এইটা আগেয়গিরির অগ্নুৎপাত ছাড়া কিছু না। লুতের শহর ও এই সিজ্জিল পাথর অর্থাৎ আগেয়গিরি দিয়ে ধ্বংশ করা হয়েছিল।

সুতরাং এইখানে ট্র্যাডিশনাল বর্ণনা- আবাবিল নামক পাখি ঠোটে করে পাথর নিয়ে এসে উপর থেকে এসে আক্রমণ করেছে -এইটার কোন বেসিস নাই।

আর এই তথাকথিত "আবাবিল"পাখি যদি বিশ্বাস করেন, তবে কোরআনের তফসীর খুলে দেখতে পারেন সেই পাখির বিভিন্ন রকম বর্ণনা পাবেন (আমি ৫ রকমের পেয়েছি) যা আমার কাছে তাঁদের ফ্যান্টাসি ছাড়া কিছু মনে হয়নি।

আবার বলছি, আমি কোরআনের কোন আয়াত কে বা সূরা ফিলের কোন আয়াতকে অস্বীকার করছিনা, আমি অস্বীকার করছি ঐ সব আয়াতের অনুবাদ এবং ব্যাখ্যা।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এইটা কি বল্লেন!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!???????????????????????????

৬। সূরা ফিলে যে বর্ণনা এসেছে আবাবিল পাখি দিয়ে পাথর নিক্ষেপের কথা, এইটার কোন ভিত্তি নেই।এইগুলি পার্সিয়ানদের বানানো ফ্যান্টাসি ছাড়া কিছু না। এইখানে সম্ভবত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কথা বলা হয়েছে।

স্রেফ উন্মাদনা! সরাসরি কোরআনেক অস্বীকার করলেন????

দু:খিত!

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

হানিফঢাকা বলেছেন: আহা, না বুঝে চিক্কুর পারেন কেন? আপনার জন্য উপরের মন্তব্যটা কপি পেস্ট করে দিলাম।

এখানে হয় আমার বোঝাতে ভুল হয়েছে বা আপনার বুঝতে ভুল হয়েছে। আমি বলিনি যে সূরা ফিলের ঐ আয়াতটির কোন ভিত্তি নেই। আমি বলেছি "আবাবিল পাখি দিয়ে পাথর নিক্ষেপের কথা" এই টার কোন ভিত্তি নেই। এইটা একটা মনগড়া অনুবাদ। যুগ যুগ ধরে এই আবাবিল পাখি নামক এই সব আজগুবি কথা বার্তা শুনে আসছি। যদিও বিষয়টা এইখানে সম্পূর্ণ প্রাসঙ্গিক না, তারপরেও ছোট করে বলছিঃ

এই সূরা বোঝার জন্য তিনটা মুল শব্দ (কি ওয়ার্ড) বুঝতে হবে। এইগুলি হচ্ছে "তাইরন", আবাবিল", "সিজ্জিল"

তাইরনঃ এটা দিয়ে যে শুধু পাখি বুঝায় তা না, এইটা যে কোন মুভিং অব্জেক্ট হতে পারে। এইটা দিয়ে কোন গতিশীল যাকে ফোর্স করা হয়েছে বা কোন বাহ্যিক বলের কারনে গতিশীল এই রকম জিনিষ ও বুঝায়। এইটা পাখী হতে হবে এই রকম কোন কথা নেই। আরবী লেক্সিকান দেখলেই বুঝবেন


আবাবিলঃ
এইটা কোন পাখির নাম না। এইটা দ্বারা কোন গ্রুপ বা ক্লাস্টার বুঝায় যা থেকে কোন সিঙ্গেল আইটেম পৃথক করা যায় না। লিসান আল আরবে স্পষ্ট করে এই শব্দের ব্যাখা দেওয়া আছে।

সিজ্জিলঃ কোরআনের ১১ঃ৮২, ১৫ঃ৭৪ শব্দটা এসেছে। এর অর্থ baked clay.

অর্থাৎ, অর্থ দাড়ায়, পাথর মিশ্রিত গলিত কাদার মুভমেন্ট। এইটা আগেয়গিরির অগ্নুৎপাত ছাড়া কিছু না। লুতের শহর ও এই সিজ্জিল পাথর অর্থাৎ আগেয়গিরির অগ্নুৎপাত দিয়ে ধ্বংশ করা হয়েছিল।

সুতরাং এইখানে ট্র্যাডিশনাল বর্ণনা- আবাবিল নামক পাখি ঠোটে করে পাথর নিয়ে এসে উপর থেকে এসে আক্রমণ করেছে -এইটার কোন বেসিস নাই।

আর এই তথাকথিত "আবাবিল"পাখি যদি বিশ্বাস করেন, তবে কোরআনের তফসীর খুলে দেখতে পারেন সেই পাখির বিভিন্ন রকম বর্ণনা পাবেন (আমি ৫ রকমের পেয়েছি) যা আমার কাছে তাঁদের ফ্যান্টাসি ছাড়া কিছু মনে হয়নি।

আবার বলছি, আমি কোরআনের কোন আয়াত কে বা সূরা ফিলের কোন আয়াতকে অস্বীকার করছিনা, আমি অস্বীকার করছি ঐ সব আয়াতের মিথলজিকাল অনুবাদ এবং ব্যাখ্যা।

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার উত্তরে যথেষ্ট যুক্তি আছে। আছে ভাবনার খোরাকও।

সেই ক্ষেত্রে আপনার পোষ্টের লাইনটা হতে পারত এইরকম
৬। সূরা ফিলে যে বর্ণনা এসেছে , তার অনুবাদ বা তাফসিরে আবাবিল পাখি দিয়ে পাথর নিক্ষেপের প্রচলিত মিথের
কোন ভিত্তি নেই
।এইগুলি পার্সিয়ানদের বানানো ফ্যান্টাসি ছাড়া কিছু না। এইখানে সম্ভবত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কথা বলা হয়েছে।

তাহলে আমার মতো কম বুঝের মানুষরা হোচট খেতাম না !! ;)

ধন্যবাদ ক্লিয়ারিফাই করার জণ্য।

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনি যা বলেছেন "সূরা ফিলে যে বর্ণনা এসেছে , তার অনুবাদ বা তাফসিরে আবাবিল পাখি দিয়ে পাথর নিক্ষেপের প্রচলিত মিথের কোন ভিত্তি নেই।"-- আমি এইটাই বলতে চেয়েছি। এইটা আসলে আমার লেখার বা বুঝানোর দুর্বলতা। লেখার বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতার যথেষ্ট অভাব আছে।

আপনাকে আবারও ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৩১

মাহিরাহি বলেছেন: অন্য একটি ঘটনা উপস্থাপন করছি, যা প্রমান করে মহান আল্লাহ কাবা রক্ষার দায়িত্ন নিজেই নিয়েছেন।


মোংগলদের মুসলিম বিদ্বেষ এমন পর্যাসে পৌছেছিল যে তারা স্বপ্রনোদিত হয়ে ইউরোপের খ্রিষ্টান শক্তির সাথে ক্রুসেডে হাত মেলায় মুসলমানদের ঘায়েল করার জন্য। হালাগুর বাহিনী জেরুজালেমের প্রান্তে গাজা পর্যন্ত পৌছে যায়। কিন্তু হালাগুর ধংসের হাত থেকে মুসলমানদের তীর্থস্থান মক্কা মদীনা বেচে যায় এক আলৌকিক ঘটনায়। গোল্ডের হর্ডের শাসক ছিলেন বার্কে খান। চেংগিস খান মারা গেলে তার উত্তরাধিকারদের নিয়ে গড়ে উঠে চারটি সাম্রাজ্য। যার একটি ছিল গোল্ডেন হর্ড। বার্কে খান কাকতালীয়ভাবে একটি বুখারার একটি কাফেলার সাক্ষাৎ পান। সেই কাফেলা ভ্রমণকারীরাদের কর্তৃক ইসলাম ধর্মান্তরিত হন বার্কে খান। যখন বার্কে খান কানে পৌছে হালাগু কর্তৃক ইসলামের ধংসযজ্ঞের কথা তখন তিনি আল্লাহর কাছে ওয়াদা করেন এর প্রতিশোধ নেয়ার। এবং তিনি নিয়েছিলেনও, হালাগুকে পরাস্ত করে। অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন বার্কে খান হালাগুকে পরাজিত না করলে তার ধংসের হাত থেকে মক্কা মদিনাও রেহাই পেত না।

Many historians[6] are in agreement that the intervention by Berke against Hulagu saved the remainder of the "Holy Land", including Mecca and Jerusalem, from the same fate as Baghdad.

https://en.wikipedia.org/wiki/Berke

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

হানিফঢাকা বলেছেন: মোংগলদের মুসলিম বিদ্বেষ এমন পর্যাসে পৌছেছিল যে তারা স্বপ্রনোদিত হয়ে ইউরোপের খ্রিষ্টান শক্তির সাথে ক্রুসেডে হাত মেলায় মুসলমানদের ঘায়েল করার জন্য। - ক্রুসেড বলতে আপনি ঠিক কোন পার্টিকুলার ক্রুসেডের কথা বলছেন? ক্রুসেড্রদের সাথে মঙ্গোলদের কোন রকম মিত্রতা সম্পর্কে আমি অজ্ঞ।

এর পর আপনি যে সব ঘটনা বলেছেন "অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন বার্কে খান হালাগুকে পরাজিত না করলে তার ধংসের হাত থেকে মক্কা মদিনাও রেহাই পেত না।" - এইটার সাথে আমি সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করছি। হালাকু খা মক্কা মদিনা আক্রমণ করতে আসেনি এবং বার্কে খা ও মক্কা মদিনা আক্রমণের পথে হালাকু খা কে পরাস্ত করেনি, বা বার্কে খা হালাকু খা কে হত্যাও করেনি। এইখানে অলৌকিক কিছু নাই। আপনার বার্কে খা অপেক্ষা করেছিল সঠিক সময়ের জন্য। আপনার দেওয়া লিঙ্কটা আবার একটু কষ্ট করে পড়ে দেখবেন।

বুঝলাম মক্কা আপনার কাছে Holy Land। কিন্তু আমাকে বলেন জেরুজালেম আপনার কাছে কেন Holy Land ? অইটর মধ্যে কি Holy আছে?

আচ্ছা এই Holy Land বলতে আপনি কি বুঝেন?

৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৪২

মাহিরাহি বলেছেন: Berke Khan adopted Islam in the city of Bukhara. When he was at Saray-Jük, Berke met a caravan from Bukhara and questioned them about their faith. Berke was convinced to convert by the caravan travellers and became a Muslim. Berke then persuaded his brother Tukh-timur to convert to Islam as well.

Berke soon became a devout Muslim. His conversion resulted in the Blue Horde becoming primarily Muslim, although there were still animists and Buddhists among them. Berke had a deadly determination to deal with Hulagu Khan, who had murdered the Caliph Al-Musta'sim, and whose territorial ambitions in Syria and Egypt threatened Berke's fellow Muslims.

In the meantime, the Ilkhanates led by Kitbuqa had fallen out with the crusaders holding the coast of Palestine, and the Mamluks were secured a pact of neutrality with them, pass through their territory, and destroy the Ilkhanate army at the Battle of Ain Jalut. Kitbuqa was killed. Berke's vow of vengeance against Hulagu had to wait until the latter's return to his lands after the death of Möngke Khan.

Muslim historian Rashid-al-Din Hamadani quoted Berke Khan as telling his Mongols and Muslim subjects, in protest at the attack on Baghdad:

"He (Hulagu) has sacked all the cities of the Muslims, and has brought about the death of the Caliph. With the help of God I will call him to account for so much innocent blood." (see The Mongol Warlords, quoting Rashid al-Din's record of Berke Khan's pronouncement; this quote is also found in The Mamluk-Ilkhanid War)


Berke Khan initiated a series of raids in force which drew Hulagu north to meet him. This was the first open conflict between Mongols, and signalled the end of the unified empire.

Many historians[6] are in agreement that the intervention by Berke against Hulagu saved the remainder of the "Holy Land", including Mecca and Jerusalem, from the same fate as Baghdad.

২২ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনার প্রথম মন্তব্যের উত্তরে যেটা আমি বলতে চেয়েছিলাম তা হচ্ছে আপনি যটাকে অলৌকিক বলছেন, সেটাতে অলৌকিকের কিছু দেখছিনা। কাবা এর আগেও আংশিক এবং সম্পূর্ণ রুপে ধ্বংস হয়েছে । আমি এর কোন অলৌকিকত্ব দেখছিনা। মক্কা এনং জেরুজালেমের তেমন কোন বিশেষত্ব আমি দেখছিনা।
ধন্যবাদ।


৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫১

সম্রাট৯০ বলেছেন: হানিফ ভাই মাথাতো পুরাই আউলায়া গেছে, আপনিতো দারুন ঝামেলায় ফেললেন, বিষয় গুলো উপেক্ষা যেমন করতে পারছিনা তেমনি বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থ্য সহ অসংখ্য অনুবাদ যে বিষয়টার উপর জোর দেয়া হয়েছিলো আপনি আপনার যুক্তিতে অনেকটা নড়বড় করে দিলেন, এখনি অাপনার যুক্তি মেনেছি বলতে পারছিনা, আমাকে একটু দেখতে হবে। যদিও সময় নেই এতটা তবুও সুরা ফিল এর ষ্পষ্ট অনুবাদ নিয়ে ভাবতে হবে যা আপনি মেনে নেননি।

আপনার কথায় মনে হলো আপনি শতভাগ আত্মবিশ্বাসী হয়েই এই পোষ্ট দিয়েছেন, ওকে রবিবারে আপনার পোষ্টে আসবো বিষয়টা নিয়ে আরেকটু সময় দিয়ে।

ভালো থাকবেন

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:০১

হানিফঢাকা বলেছেন: আমার কাছে সুরা ফিল এবং আবরাহার ঘটনা দুইটা পৃথক জিনিশ। লেখার মুল থিম হচ্ছে আব্রাহা মক্কা আক্রমণ করতে গিয়েছিল কি না? সুরা ফিলের কথা এখানে প্রসঙ্গক্রমে এসেছে।

আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ।

৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭

মধুমিতা বলেছেন: ১। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আব্রাহার মক্কা আক্রমন সংক্রান্ত কিছু পাওয়া যায় না
২। আব্রাহা ইনস্ক্রিপশনে “মক্কা” নামক কোন শহরের কথা নেই।

<<< বোঝা যাচ্ছে, আবরাহা'র শেষ জীবনের কথা এখানে আসেনি। তাই মক্কা বা তা আক্রমনের ইতিহাস আসেনি। যেহেতু মক্কা আক্রমনের পরপরই সে মারা যায় তাই সে ইতিহাস সে লিখে যেতে পারেনি।
সবচেয়ে বড় কথা, ইনস্ক্রিপশনে মক্কা সংক্রান্ত কোন কিছু না থাকা মানে এই নয় যে আদৌ সেই সব ঘটনা ঘটেনি।

৩। মুসলিম ট্র্যাডিশন অনুযায়ী আব্রাহা মক্কা আক্রমণের সময় মৃত্যু বরন করেন। কিন্তু যদিও ইনস্ক্রিপশনে তার মৃত্যুর কথা লেখা নেই, তথাপি তিনি মক্কায় গিয়ে নিহত হয়েছেন এই রকম কোন প্রমান নেই।

<<< ইনস্ক্রিপশনে তার মৃত্যুর কথা লেখা নেই- মানে এটি অসংপূর্ণ। মুসলিম ট্র্যাডিশন অনুযায়ী আব্রাহা মক্কায় মারা যাননি। তার বাহিনী ধ্বংস হয়েছিল। কিন্তু সে ও তার কিছু সৈন্য গলিত দেহ নিয়ে মক্কা হতে ফিরে এসে ইয়েমেনে মারা যায়।


৪। সানা থেকে মক্কা প্রায় ১০০০ কিমি। আব্রহা কিভাবে হাতিবাহিনী নিয়ে মরুভূমি্র এতটা পথ পাড়ি দিয়েছিলেন সেটা বোধগম্য নয়। এই ক্ষেত্রে হাতির খাবার এবং বেচে থাকার পরিবেশ লক্ষ্যনীয়। একটা দুইটা হাতি হলে সম্ভব হতে পারে, কিন্তু ১৫/২০ অথবা ১০০ হাতি নিয়ে সম্ভব না।

<<< আব্রাহা মরুভূমি'র পথে মক্কা যায়নি। তার হাতী সংখ্যা ছিল ৯-১৩টি। বাকী উত্তর এখানে পাবেনঃ Click This Link

৫। ৫৭০ সাল পর্যন্ত আব্রাহা বেচে ছিল কিনা সেটা একটা বড় প্রশ্ন। মুল কথা হচ্ছে তিনি কখনো মক্কায় এসেছিলেন কি না এর কোন প্রমান কোথাও নেই।

<<< আব্রাহা যদি মক্কা নাই যেত- 'আমুল ফিল' বলে কোন বছর প্রি-ইসলামিক যুগে থাকত না, সানা হতে মক্কা আব্রাহা'র রাস্তার ভগ্নাবশেষও থাকত না।

৬। সূরা ফিলে যে বর্ণনা এসেছে আবাবিল পাখি দিয়ে পাথর নিক্ষেপের কথা, এইটার কোন ভিত্তি নেই।এইগুলি পার্সিয়ানদের বানানো ফ্যান্টাসি ছাড়া কিছু না। এইখানে সম্ভবত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কথা বলা হয়েছে।

<<< আবাবিল কোন পাখির নাম নয়, "পাখির ঝাঁক"। তারা পাথর বহন করেছিল। সে সব পাথর পরবর্তীতে মক্কার অধিবাসীরা সংগ্রহ করেও রেখেছিল। তার একটি'র ছবি অনলাইনে পাওয়া যায়। Click This Link

আপনার লেখাটা বিভিন্ন অনলাইন লেখার অনুবাদ, একেপেশে এবং মারাত্নক অনুমান নির্ভর। আমি নিজে সম্প্রতি আব্রাহা'র রোডটি ভিজিট করে এসেছি, নিজের চোখে দেখে এসেছি। উপরের লিংকে গেলে আমার লেখা পড়তে পারবেন।

৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

নাজমুল (ডেফোডিল) বলেছেন: @মধুমিতা - জাযাকাল্লাহু খইরান । আল্লাহ আপনার জ্ঞ্যান আরো বাড়িয়ে দিক ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.