নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুদ্ধ বন্দী- গণিমতের মাল আর যৌন দাসী

২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

মুসলমানদের মধ্যে বহুল প্রচলিত একটা ধারনা আছে যে ইসলামে যুদ্ধ বন্দী নারীদেরকে গণিমতের মাল হিসাবে গণ্য করা হয় এবং তাঁদের সাথে অবাধে সেক্স করা যায়। নারী দাসীদের সাথেও (যুদ্ধ বন্দী অথবা যুদ্ধবন্দী না ) অবাধে সেক্স করা যায়। কারন উহা আপনার ইমাম/ ধর্মীয় নেতা/ মোল্লা /হজুর বলেছেন। যেহেতু তারা বলেছেন, উহা জায়েজ। আসলে কি তাই?

যারা হাদিস নামক একখানা জিনিষ লিখছেন, কোরআনের তফসির করেছেন তারা প্রায় সবাই মোটামুটি এই বিষয়ে একমত। এর মধ্যে হালের মওদুদী তাঁদের মধ্যে একজন উজ্জল নক্ষত্র। কারন এই বিষয়ের পক্ষে সবচেয়ে এক্সট্রিম মতামত আমার দেখামতে এই মওদুদী করেছেন। তার মুল রেফারেন্স ঐ একই জিনিষ- হাদিস।

এর বিপক্ষে একটা মত লক্ষ্য করা যায়, যাহারা ইনিয়ে বিনিয়ে বলার চেষ্টা করেন যে উহা সঠিক নয়। এর জন্য উনারা যে যুক্তি দেন তা পক্ষান্তরে তাঁদের জ্ঞানের অজ্ঞতা প্রকাশ করে, এবং তাঁদের দেওয়া যুক্তি এর চেয়েও বড় প্রশ্নের জন্ম দেয়- এর কারন ও একি-সেই হাদিস।

যারা পক্ষে বা বিপক্ষে বলছেন, তারা একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছেন- তা হচ্ছে হাদিসের বর্ণনা। কিন্তু এই দুই দলের কেউই কোরআন খুলে দেখেন না আসলে কোরআনে এই ব্যাপারে কি বলা আছে। কারন মনে হয় প্রায় সবারই কোরআনে এলার্জি আছে (আমার ব্যক্তিগত মতামত)

আমার এই বিষয়ে লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে, আল্লাহ্‌- যিনি বিধান দেবার মালিক এবং যার কথাই চূড়ান্ত (যদিও বেশিরভাগ মানুষ এইটা মানেনা) সে আল্লাহ্‌ এই ব্যাপারে কি বলেছেন।

এই জিনিসটাকে কোরআন দিয়েই ৪/৫ ভাবে ব্যাখা করা যায়, এবং প্রতি ব্যাখার উপসংহার একই- এই ধরনের কোন বিধান আল্লাহ্‌ কোরআনে দেয় নাই। আমি ব্যাপারটাকে জটিল না করে সহজ ভাবে ব্যাখা করার চেষ্টা করব, যাতে ব্যাপারটা সবার জন্য বোধগম্য হয়।

যুদ্ধবন্দীঃ

এই ব্যাপারে কোরআনের নির্দেশ খুব পরিষ্কার।

So when you meet those who disbelieve, then strike the necks until when you have subdued then bind firmly the bond, then either a favor afterwards or ransom until lays down the war its burdens. That. And if Allah had willed surely, He could have taken retribution from them, but to test some of you with others. And those who are killed in (the) way of Allah, then never He will cause to be lost their deeds.

অর্থাৎ, যুদ্ধ শেষে যুদ্ধবন্দীদের হয়ঃ

১। দয়া করে ছেড়ে দিতে হবে, অথবা

২। মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দিতে হবে।

এই দুইটা অপশনের সারমর্ম হচ্ছে যুদ্ধবন্দীকে ছেড়ে দিতে হবে দয়া করে অথবা মুক্তিপণের বিনিময়ে। সমগ্র কোরআনে আল্লাহ্‌ কোন তৃতীয় অপশন দেন নাই। কেউ দেখাতে পারবে না। সুতরাং যুদ্ধ বন্দী নারী গনিমতের মাল, তারে আপনি যা খুশি তাই করবেন- এই ধরনের কমান্ড আল্লাহ্‌ দেয় নাই। এই কমান্ড কারা আল্লাহর নামে বানিয়েছেন এবং তাঁদের উদ্দেশ্য কি ছিল সেটা আপনারা নিজেরাই বুঝে নেন।

দাসীঃ
এই গণিমতের মাল এবং যৌন দাসী সম্পর্কে আরও বলার আগে একটা জিনিষ এইখানে বলে রাখা ভাল যে কোরআনে দাসীর জন্য স্পেসিফিক শব্দ ব্যাবহার করা হয়েছে। কোরআনের ২৪:৩২, এবং ২:২২১ এই দাসী শব্দটা এসেছে। আমাদের মোল্লারা যখন কোরআন পড়েন, তখন সম্ভবত চোখ, কান বন্ধ করে সোয়াবের আশায় কোরআন পড়েন। যদি তাই না হত, তবে এই দাসী শব্দটা তারা কোরআনে দেখতে পেতেন।

মা- মালাকাত- আইমানুকুমঃ দক্ষিণ হস্ত যার অধিকারীঃ
কোরআনের সবচেয়ে বিকৃত অনুবাদের মধ্যে “মা- মালাকাত- আইমানুকুম”- এইটা অন্যতম। এইটার অনুবাদ করতে গিয়ে অনেকে এইশব্দটার পরে একটা ব্রাকেট দিয়ে তার মধ্যে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেছেন। উদাহরণ স্বরূপঃ কোরআনের ৪:২৪ নম্বর আয়াতের বিভিন্ন অনুবাদঃ

অনুবাদ-মহসীন খানঃ
Also (forbidden are) women already married, except those (captives and slaves) whom your right hands possess

অনুবাদ- পিকথলঃ
And all married women (are forbidden unto you) save those (captives) whom your right hands possess

অনুবাদ-আল- মুন্তাখাবঃ
Nor can you marry the women who are married except the captives on hand; a prescriptive rule imposed by Allah on you to observe.
(উনি ত ব্রাকেট ছাড়াই বসিয়ে দিয়েছেন)

অনুবাদ- আব্দুল হালিমঃ
women already married, other than your slaves

মনে হয় বোঝানোর জন্য এই কয়েকটা অনুবাদ যথেষ্ট। এই “মা- মালাকাত- আইমানুকুম” কেন যুদ্ধবন্দী নারী বা দাসী হবে না, তার ব্যাখা উপরে দেওয়া আছে। বুঝতে সমস্যা হলে প্রথম থেকে আবার পড়ে আসেন।

তাহলে এইটা দ্বারা কি বুঝানো হয়েছে। এইটা একটা phrase।

আরবী শব্দ “ইয়ামিনিকুম” এর বহুবচন রুপ হচ্ছে “আয়মানাকুম” যা দ্বারা “ দক্ষিণ হস্ত” অথবা “শপথ” এই দুইটাই বুঝাতে পারে। এই “আয়মানুকুম” শব্দটা কোরআনের আরও অনেক জায়গায় এসেছে। আসেন দেখি সেখানে কি অর্থে ব্যাবহার করা হয়েছেঃ

And (do) not make Allah's (name) an excuse in your (aymanikum) oaths………(২:২২৪)

...... you take your (aymanikum) oaths……… (১৬:৯২)

And not take your (aymanikum) oaths……… (১৬:৯৪)

Indeed, Allah has ordained for you (the) dissolution (of) your (aymanikum) oaths… (৬৬:১০)

এই রকম অনেক আয়াতে এই শব্দটা কোরআনে এসেছে, এবং এই phrase বাদে সবখানেই অনুবাদ করা হয়েছে oaths /“শপথ”।
এইটা টার্মটা কোন দাসী বা যুদ্ধ বন্দীদের লক্ষ্য করে বলা হয়নি। এইটা একটা idiomatic expression- যার আক্ষরিক অর্থ দাড়ায় “ দক্ষিণ হস্ত” বা “ Right Hand” । এর সত্যিকারের অর্থ sworn oath.

সুতরাং প্রশ্ন হচ্ছে কাদের সম্পর্কে বা কোন নারীদের সম্পর্কে এই কথা বলা হয়েছে?

এই টার্ম টা সেই সকল অসহায়দের (নারী এবং পুরুষ) সম্পর্কে বলা হয়েছে যারা আর্থিক ভাবে অন্যের উপর নির্ভরশীল এবং তাঁদের কে দেখার মত কেউ নেই। নারীদের ক্ষেত্রে- বিশ্বাসীদের বলা হচ্ছে তারা এই সকল নারীদের কে শপথের দিব্যি দিয়ে তাঁদের দায়িত্ব নেবে। এইটাকে বলা হয় Bond Akin/ Committed by oath.

কোরআনে স্পেসিফ্যাক্যলি এই ধরনের নারীদের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে ৬০:১০ এঃ

মুমিনগণ, যখন তোমাদের কাছে ঈমানদার নারীরা হিজরত করে আগমন করে, তখন তাদেরকে পরীক্ষা কর। আল্লাহ তাদের ঈমান সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন। যদি তোমরা জান যে, তারা ঈমানদার, তবে আর তাদেরকে কাফেরদের কাছে ফেরত পাঠিও না। এরা কাফেরদের জন্যে হালাল নয় এবং কাফেররা এদের জন্যে হালাল নয়। কাফেররা যা ব্যয় করেছে, তা তাদের দিয়ে দাও। তোমরা, এই নারীদেরকে প্রাপ্য মোহরানা দিয়ে বিবাহ করলে তোমাদের অপরাধ হবে না। তোমরা কাফের নারীদের সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রেখো না। তোমরা যা ব্যয় করেছ, তা চেয়ে নাও এবং তারাও চেয়ে নিবে যা তারা ব্যয় করেছে। এটা আল্লাহর বিধান; তিনি তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়। (৬০:১০)

এর চেয়ে এক্সপ্লিসিট ব্যাখা আর কি হতে পারে?

যদি কোন বিবাহিত নারী ইসলাম গ্রহণ করে সেই ক্ষেত্রে তার কাফের স্বামীর সাথে থাকতে পারে না, সেইক্ষেত্রে যদি কোন বিশ্বাসী/মুমিনের নিকট আশ্রয় খুজে তবে সেই মুমিন ব্যাক্তি তাকে আশ্রয় দেবার শপথ গ্রহণ করবে। সেই নারী শপথ দ্বারা আশ্রিত হবে। সেই আশ্রয় দাতা মুমিন ব্যাক্তি এবং আশ্রিত মুমিন নারী পরস্পরের সম্মতি ক্রমে উপযুক্ত মোহরানার বিনিময়ে বিবাহ করতে কোন বাধা নেই কারন সেই আশ্রিত মুমিন নারীর পূর্বের স্বামী কাফের হওয়ার কারনে ঐ বিবাহ বিচ্ছেদ বলে গণ্য হবে।
অর্থাৎ, যদিও যে কোন বিবাহিত নারী পুরুষের জন্য হারাম, সেই সব আশ্রিত নারী বিবাহিত হলেও তাদেরকে বিবাহ করা যাবে কারন ঐ নারীদের পূর্বের স্বামী কাফের হবার কারনে সেই বিবাহ বৈধ বলে গণ্য হবে না। কোরআনে এই কথাটাই বলা হয়েছে।

এই বার কোরআনের ২৪:৪ এবং এই ৬০:১০ একসাথে মিলিয়ে পড়ুন, তাহলে ব্যাপারটা দাঁড়াবেঃ

১। সকল বিবাহিত নারী আপনার জন্য হারাম।

২। যেসব নারী ইসলাম গ্রহণ করার কারনে স্বামী ছেড়ে কোন মুমিনের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে, তাঁদের কে মুমিন ব্যাক্তি আশ্রয় প্রদানের শপথ নিবেন।

৩। ঐ নারীর আগের বিবাহ বাতিল বলে গণ্য হবে।

৪। পরস্পরের সম্মতি ক্রমে ঐ নারীকে বিবাহ করতে কোন বাধা নেই। এই ক্ষেত্রে ঐ নারীর পূর্বের কাফের স্বামীকে ঐ নারীকে পূর্বে দেওয়া মোহরানা পরিশোধ করে দিতে হবে।

সুতরাং ২৪:৪ এর সঠিক অনুবাদ হবে

“ …. All married women except committed by your oath….”

যদি ঐ রকম নারীদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ নাও হয়, তথাপি আল্লাহর বিধান অনুযায়ী মুমিন কতৃক ঐ নারীকে আশ্রয় দেওয়ার শপথ নেওয়ার কারনে ঐ আশ্রিত নারীও মুমিন ব্যাক্তির সম্পত্তির উত্তরাধিকার হিসাবে গণ্য হবে, যাতে ঐ মুমিন ব্যাক্তির মৃত্যুর পর ঐ আশ্রিত নারী কে আবার আগের অসহায় অবস্থানে পরতে না হয়।

পিতা-মাতা এবং নিকটাত্নীয়গণ যা ত্যাগ করে যান সেসবের জন্যই আমি উত্তরাধিকারী নির্ধারণ করে দিয়েছি। আর যাদের সাথে তোমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছ তাদের প্রাপ্য দিয়ে দাও। আল্লাহ নিঃসন্দেহে সব কিছুই প্রত্যক্ষ করেন। (৪:৩৩)



















মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৫০

আহলান বলেছেন: অন্তরে বক্রতা থাকলে এসব ব্যাখ্যা তাদের অন্তরের বক্রতা দূর করতে পারবে না! ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য!

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৩৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমি কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। এই ব্যাপারটা নিয়ে। অনেকটা খোলাসা হলো। এখন কথা হলো, সৌদি আরবে এখনো চাকর-চাকরানীদের দাসীর মতো ব্যবহার করা হয় বলে শুনেছি। আপনার কাছে একটা প্রশ্ন করছি, ইসলাম কি দাসী রাখাটা সাপোর্ট করে?
যদি করে তাহলে (বাবা-ছেলে) সবাই কি যৌনকর্ম করাটা ইসলামে সাপোর্ট করে?
যদি তা না হয় তাহলে যারা এইসব করছে তাদের বিষয়ে ইসলামের কমান্ড কী?

শুধু রেফারেন্স দিলেই হবে। আর অবশ্যই স্পষ্ট উত্তর আপনার মত অনুসারে বলবেন। অস্পষ্ট করে না রাখার অনুরোধ করছি। :)

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে যেটা বুঝলাম সেটা হচ্ছে, মুলত আপনার প্রশ্ন দুইটাঃ

প্রথম প্রশ্নঃ ইসলাম কি দাসী রাখাটা সাপোর্ট করে? - দাস প্রথা অনেক আগে থেকে চলে আসছে। ইসলাম এইটা সমর্থন করে না। কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় দাস মুক্তিকে অনেকভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে।

Righteousness is not that you turn your faces toward the east or the west, but [true] righteousness is [in] one who believes in Allah , the Last Day, the angels, the Book, and the prophets and gives wealth, in spite of love for it, to relatives, orphans, the needy, the traveler, those who ask [for help], and for freeing slaves; [and who] establishes prayer and gives zakah; [those who] fulfill their promise when they promise; and [those who] are patient in poverty and hardship and during battle. Those are the ones who have been true, and it is those who are the righteous. (২:১৭৭)
আরও দেখতে পারেন ৯০ঃ১২-১৩

দ্বিতীয় প্রশ্নঃ
যদি করে তাহলে (বাবা-ছেলে) সবাই কি যৌনকর্ম করাটা ইসলামে সাপোর্ট করে? যদি তা না হয় তাহলে যারা এইসব করছে তাদের বিষয়ে ইসলামের কমান্ড কী?


উত্তরঃ
একটা কথা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই যে ইসলাম বিবাহ বহির্ভূত কোন রকম সেক্স সাপোর্ট করে না- তা সে যে কারো সাথেই হোক। এইটা যতক্ষণ না বুঝবেন, এই সংক্রান্ত বাকী কোন কিছুই বুঝতে পারবেনা। বিবাহ সংক্রান্ত কোরআনে অনেক আয়াত আছে সেগুলি দেখুন।

বিবাহ বহির্ভূত সেক্সকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়ঃ
১। মিউচুয়াল সেক্স- অর্থাৎ পরস্পরের সম্মতি ক্রমে (যে কোনভাবে হতে পারে- যেমন প্রতারনা) অবৈধ সেক্স- এইটকে কোরআনে বলা হয়েছে "যিনা"/Adultery- এর শাস্তি ২৪ঃ২-৫,৪-২৫,৪ঃ১৫। এইটার আরও কিছু ব্যাখ্যা আছে যা এখানে স্বল্প পরিসরে বলা সম্ভব না। একটা জিনিশ এইখানে প্রাসঙ্গিক যে, "যিনার শাস্তি পাথর মেরে হতা"- এই ধরনের কোন কথা কোরআনে নেই। এই ব্যাপারে কোরআনের বিধান খুব স্পষ্ট। যারা বলেন যিনার শাস্তি পাথর মেরে হত্যা তারা মুলত হাদিস এবং ওল্ড টেস্টামেন্ট কেই দলিল হিসাবে ধরেন।

২। ফোর্স সেক্স/ রেপঃ- এইটা কি সেটা ত বুঝেনই। এইখানে "এটেম্পট টু রেপ"- এই ক্যাটাগরিতে পড়ে। এর জন্য
And they both raced to the door, and she tore his shirt from the back, and they found her husband at the door. She said, "What is the recompense of one who intended evil for your wife but that he be imprisoned or a painful punishment?" (১২:২৫)

কত বছরের শাস্তি বা অন্য কি শাস্তি হবে সেটা নির্ধারণ করবে স্টেট। এই জন্য কোরআনের আইন প্রণয়নের সম্পর্কে একটু জানতে হবে। মোদ্দা কথা, আল্লাহ একটা প্যারামিটার দিয়ে দিয়েছেন এবং এই প্যারমিটারের মধ্যে যে কোন শাস্তি স্টেট নির্ধারণ করবে সেটাই চূড়ান্ত হবে।

ধন্যবাদ।

(বিঃদ্রঃ- আমি প্রচলিত অর্থে মাদ্রাসা পাশ করা কোন আলেম না। এইখানে যা বলেছি তা আমার নিজস্ব মতামত এবং এই মতামতের পক্ষে আমি কোরআন থেকে রেফারেন্স দিয়েছি। কারোও উচিত না অন্ধভাবে কাউকে বিশ্বাস করা। সুতরাং রেফারেন্স নিজ দায়িত্বে চেক করে সিদ্ধান্ত নেবার দায়িত্ব আপনার)

৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:০০

আশাবাদী অধম বলেছেন: লেখকের নিকট আমার কিছু প্রশ্ন ছিল, দয়া করে উত্তর দিয়ে কৃতার্থ করবেন।
১। আপনি মৃত্যু পরবর্তী হিশাব নিকাশ এবং জান্নাত জাহান্নামে বিশ্বাস করেন কি না?
২। দৈনিক কয় ওয়াক্ত নামাজ ফরজ বলে আপনি বিশ্বাস করেন?
৩। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কি ভুল? কারা চালু করল এটা?
৪। তাওরাত এবং ইঞ্জীলের বিধানাবলী মানেন কি না?


এবার আসি পোস্টের প্রসঙ্গে, আপনি 'মা- মালাকাত- আইমানুকুম” এর অনুবাদ দাসী হওয়া অস্বীকার করেছেন এবং কোরআনের ২৪:৩২, এবং ২:২২১ আয়াত দ্বারা প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে দাসীর জন্য অন্য স্পেসিফিক শব্দ আছে। আমি দাবী করছি 'মা- মালাকাত- আইমানুকুম” দ্বারা কুরআনে অবশ্যই দাস-দাসী (পুরুষ-মহিলা উভয় অন্তর্ভুক্ত) বুঝানো হয়েছে।

আমি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি কোরআনের ২৪:৩৩ আয়াতের দিকে

"তোমাদের অধিকারভুক্তদের মধ্যে যারা মুক্তির জন্য লিখিত চুক্তি করতে চায়, তাদের সাথে তোমরা লিখিত চুক্তি কর যদি জান যে, তাদের মধ্যে কল্যাণ আছে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে, অর্থ-কড়ি দিয়েছেন, তা থেকে তাদেরকে দান কর।"

And such of your slaves as seek a writing (of emancipation), give them such writing, if you know that they are good and trustworthy. And give them something yourselves out of the wealth of Allah which He has bestowed upon you.
Translated by Dr. Muhammad Taqi-ud-Din Al-Hilali, Ph.D. & Dr. Muhammad Muhsin Khan

এখানেও 'মা- মালাকাত- আইমানুকুম” শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। জানি আপনি বলবেন যে অনুবাদ ভুল।

তো আপনার দাবী অনুযায়ী এরা যদি দাস-দাসী না হয়। বরং হিজরতকারীনী নারী হয় তবে-
১। এখানে আরবি ব্যকরণ অনুযায়ী সর্বনাম-ক্রিয়ার রূপান্তর স্ত্রী বাচক হওয়ার কথা। অথচ এখানে পুং/স্ত্রী লিঙ্গ ব্যবহারের পাঁচটি জায়গা রয়েছে যার সবগুলোতেই পুরুষ বাচক ব্যবহার করা হয়েছে। কেন?
২। এখানে যে লিখিত চুক্তির কথা বলা হয়েছে যা 'মা- মালাকাত- আইমানুকুম' এর পক্ষ থেকে করতে চাওয়া হবে সেটা কি?
হিজরতকারীনী নারীরা কি চুক্তি করতে চাইবে যে ব্যাপারে মুসলিমদেরকে রাজি হতে আদেশ করা হচ্ছে?
৩। সে যুগে মুকাতাব (লিখিত চুক্তির মাধ্যমে) দাস দাসী মুক্তির একটা ব্যাবস্থা ছিল তা হয়ত স্বীকার করবেন না। যাহোক সে সব নারীদেরকে কি দান করতে বলা হচ্ছে?

আশাকরি এ প্রশ্নগুলোর উত্তর দিবেন এবং অবশ্যই কুরআনের সুস্পস্ট আয়াত দিয়ে। কোন রকম ব্যখ্যা বিশ্লেষণের প্রয়োজন নেই।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি 'মা- মালাকাত- আইমানুকুম” এর অনুবাদ দাসী হওয়া অস্বীকার করেছেন এবং কোরআনের ২৪:৩২, এবং ২:২২১ আয়াত দ্বারা প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে দাসীর জন্য অন্য স্পেসিফিক শব্দ আছে। আমি দাবী করছি 'মা- মালাকাত- আইমানুকুম” দ্বারা কুরআনে অবশ্যই দাস-দাসী (পুরুষ-মহিলা উভয় অন্তর্ভুক্ত) বুঝানো হয়েছে।

উত্তরঃ
উহা পুরুষ এবং স্ত্রীবাচক দুইটাই হতে পারে। কিন্তু তার অর্থ এই নয়, পুরুষ এবং নারী বাচক হলে এর মধ্যে দাস বা দাসী অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। দাস এবং দাসির জন্য পৃথক শব্দ কোরআনে রয়েছে।

মা মালাকাত আয়মানুকুম (৪:২৫, ৪:৩৬, ২৪:৩৩)- 2nd person masculine plural
মা মালাকাত আয়মানাহুন্না (২৪:৩১, ৩৩:৫৫)- 3rd person feminine plural
মা মালাকাত আয়মানাহুম (১৬:৭১, ২৩:২৬)- 3rd person masculine plural
মা মালাকাত ইইয়ামিনুকা (৩৩:৫০, ৩৩:৫২)- 2nd person masculine single
আল্লাযিনা মালাকাত আয়মানাকুম (২৪:৫৮)- 2nd person masculine plural

এই “মা মালাকাত আয়মানুকুম”- দিয়ে যে দাস বা দাসী বুঝানো হয়নি। লেখার প্রথমেই আমি বলেছি, “এই জিনিসটাকে কোরআন দিয়েই ৪/৫ ভাবে ব্যাখা করা যায়, এবং প্রতি ব্যাখার উপসংহার একই- এই ধরনের কোন বিধান আল্লাহ্ কোরআনে দেয় নাই।“

এইটা একটা idiomatic expression। আপনি এর আক্ষরিক অনুবাদ ধরে এর মধ্যে দাস দাসী অন্তর্ভুক্ত আছে বলতে চাইছেন, আমি এই expression এর অর্থ ধরে বলছি এইটার মধ্যে দাস দাসী অন্তর্ভুক্ত নেই। যদি আপনি এর আক্ষরিক অনুবাদ “দক্ষিণ হস্ত” ধরেও নেন, সেইখেত্রেও এইটা দ্বারা দাস দাসী বুঝানো হয়েছে প্রমান হয়না।

আমি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি কোরআনের ২৪:৩৩ আয়াতের দিকে


"তোমাদের অধিকারভুক্তদের মধ্যে যারা মুক্তির জন্য লিখিত চুক্তি করতে চায়, তাদের সাথে তোমরা লিখিত চুক্তি কর যদি জান যে, তাদের মধ্যে কল্যাণ আছে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে, অর্থ-কড়ি দিয়েছেন, তা থেকে তাদেরকে দান কর।"

And such of your slaves as seek a writing (of emancipation), give them such writing, if you know that they are good and trustworthy. And give them something yourselves out of the wealth of Allah which He has bestowed upon you.

Translated by Dr. Muhammad Taqi-ud-Din Al-Hilali, Ph.D. & Dr. Muhammad Muhsin Khan

এখানেও 'মা- মালাকাত- আইমানুকুম” শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। জানি আপনি বলবেন যে অনুবাদ ভুল।

আপনার বাংলা অনুবাদে “মুক্তির জন্য”- শব্দটা বসিয়েছেন। ইংরেজী অনুবাদে ঐটাকে ব্রাকেটে রেখেছেন। কেন? কারন এইটা আপনার প্রি-কন্সেপশন- যে উহা দ্বারা দাস বুঝানো হয়েছে।

তো আপনার দাবী অনুযায়ী এরা যদি দাস-দাসী না হয়। বরং হিজরতকারীনী নারী হয় তবে-

১। এখানে আরবি ব্যকরণ অনুযায়ী সর্বনাম-ক্রিয়ার রূপান্তর স্ত্রী বাচক হওয়ার কথা। অথচ এখানে পুং/স্ত্রী লিঙ্গ ব্যবহারের পাঁচটি জায়গা রয়েছে যার সবগুলোতেই পুরুষ বাচক ব্যবহার করা হয়েছে। কেন?
-কারন এই রকম ঘটনা পুরুষের ক্ষেত্রেও ঘটে পারে।

২। এখানে যে লিখিত চুক্তির কথা বলা হয়েছে যা 'মা- মালাকাত- আইমানুকুম' এর পক্ষ থেকে করতে চাওয়া হবে সেটা কি?
হিজরতকারীনী নারীরা কি চুক্তি করতে চাইবে যে ব্যাপারে মুসলিমদেরকে রাজি হতে আদেশ করা হচ্ছে?
৩। সে যুগে মুকাতাব (লিখিত চুক্তির মাধ্যমে) দাস দাসী মুক্তির একটা ব্যাবস্থা ছিল তা হয়ত স্বীকার করবেন না। যাহোক সে সব নারীদেরকে কি দান করতে বলা হচ্ছে?


দুই এবং তিন নম্বর প্রশ্নের উত্তরে আমার কাছে নিচের ট্রান্সলেশনটা ([The Monotheist Group] (2013 Edition) )অনেক সঠিক মনে হয়েছে।

And let those who are not able to marry continue to be chaste until God enriches them of His Bounty. And if those who are maintained by your oaths seek to consummate the marriage, then document it with them if you find that they are ready, and give them from the wealth of God which He has bestowed upon you. And do not force your young women to need if they have desired to be independent, in order that you may make a gain in the goods of this worldly life. And if anyone has compelled them, then for their compulsion, God is Forgiving, Merciful. (২৪:৩৩)
http://www.islamawakened.com/quran/24/33/default.htm

আশাকরি এ প্রশ্নগুলোর উত্তর দিবেন এবং অবশ্যই কুরআনের সুস্পস্ট আয়াত দিয়ে। কোন রকম ব্যখ্যা বিশ্লেষণের প্রয়োজন নেই।- প্রশ্ন করার অধিকার আপনার অবশ্যই আছে, কিন্তু প্রশ্নের উত্তর কিভাবে হবে সেটা বলে দেবার কোন রকম আবশ্যকতা আছে বলে আমি মনে করি না।

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:০১

আহলান বলেছেন: মুতা বিবাহ (চুক্তি বিয়ে) যেখানে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে, (যা একসময় যায়েজ ছিলো- শিয়ারা এখনো যায়েজ মনে করে) - সেখানে দাসীর সাথে যৌনতা কিভাবে বৈধ থাকে? আর দাসী বলতে ঐ সময়ে যা বুঝাতো এখন কি তা আছে? সুতরাং ঐ দাসীও নাই- ঐ প্রথাও নাই। কাজের লোক বা মেয়েকে বা কাজের বুয়াকে ঐ সময়ের "দাসী" বলে মনে করা সম্পূর্ণ ভুল। যারা বক্রতা খুজে, তাদেরকে বলা না বলা সমান কথা।

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মহা সমন্বয় বলেছেন: আচ্ছা হানিফ ভাই, কুরানে নামাজের ব্যাপারে কি বলা আছে? প্রতিদিন কত রাকাত নামাজ অবশ্যই পড়াতে হবে?

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১৪

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার বাসায় কোরআন নাই?

৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:২৪

মহা সমন্বয় বলেছেন: আহহ হানিফ ভাই রেগে গেলে ক্যামতে হবে? আপনাকে ধৈর্যশীল লোক বলেই জানি। তাছাড়া মাহান আল্লাহ রব্বুল আলআমিন ধৈর্যশীলদের পছন্দ করেন। :)
হ্যাঁ আমাদের বাসায় কুরান আছে, বেশ কয়েকটি আছে আব্বা,আম্মা,বোন রেগুলার কুরআন তেলাওয়াত করেন কোরানের বেশকিছু অংশ আমার মুখস্তও আছে
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কুরআন নিয়ে আমার আপনার মত এত গবেষণা নেই তাই ভাবলাম আপনার কাছ থেকে একটু সঠিক বিষয়টি জেনে নেই আশা করি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। :)

আচ্ছা হানিফ ভাই তারাবির নামাজের ব্যাপারে কুরানে কি বলা আছে? অনেকেই ২০ রাকাত পড়ে আর কেউ কেউ ৮ রাকাতের পক্ষে এ ব্যাপারে কুরআনের ফয়সালা কি??
ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

হানিফঢাকা বলেছেন: লেছেন: আহহ হানিফ ভাই রেগে গেলে ক্যামতে হবে? আপনাকে ধৈর্যশীল লোক বলেই জানি। তাছাড়া মাহান আল্লাহ রব্বুল আলআমিন ধৈর্যশীলদের পছন্দ করেন। :)- আমি রাগ করি নাই। বলতে চেয়েছি, এইগুলি নিজে পড়ে দেখাই উত্তম। মানুষের কাছ থেকে জানতে চাইলে বিভ্রান্ত হবার সম্ভাবনা আছে । আমার ধৈর্য খুব সাধারণ মানের।

এই পোস্ট টা সালাত রিলেটেড না। আমি হাজার চেস্টা করলেও সংক্ষিপ্ত ভাবে আপনাকে এইটার উত্তর লিখে বুঝাতে পারবনা। ভুল বোঝার সম্ভাবনা ৯৯%। উদাহরণ স্বরূপঃ

তারাবীর নামাজঃ - আমার জানামতে এই ধরনের কোন কথা কোরআনে নেই। তার মানে এই না আপনি এই নামায পড়তে পারবেন না। যেহেতু, এইটা আল্লাহ কক্তৃক প্রদত্ত কোন নির্দেশ না, সেহেতু আপনি পড়েন বা না পড়েন সেইটা আপনার ব্যাপার। আর এই জন্য এইটা আপনি ২০ রাকাত পড়বেন না ৮ রাকাত পড়বেন সেইটাও আপনার ব্যাপার। এইটাকে ৮ বা ২০ রাকাত আবশ্যকিয় ভাবে পড়তেই হবে, এইটার কোন যুক্তি আমার কাছে নেই। যে জিনিষের কথা আল্লাহ কোরআনে কোথাও বলেনি, সেই জিনিশ নিয়া মারামারি কইরা পাবলিকে দলে দলে ভাগ হয়ে গেছে- আশ্চর্যের ব্যাপার। মনে রাখবেন, কোরআনের বাইরে আল্লাহ নবী কে কোন আইন প্রণয়নের ক্ষমতা দেন নি।

পোষ্টের কন্টেনেটের বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে করলে সাধ্যমত উত্তর দেওয়ার চেস্টা করব।

৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০২

জেন রসি বলেছেন: হাদিসে এসব কেন লেখা হয়েছে? নবী যা কিছু চর্চা করতেন কিংবা যেকোন ব্যাপারে ওনার ধারনা নিয়েই হাদিস। এটা ঠিক যে এসব বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। কিন্তু সেসব সত্য খুঁজে দেখতে হলে নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গিতেই অনুসন্ধান করতে হবে। নবীকে কোন ভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবেনা এমন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সত্যের অনুসন্ধান করলে সত্য জানা যাবেনা। শুধু বিশ্বাসটাই তখন অযৌক্তিক উপায়ে বিবর্তিত হতে থাকবে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

হানিফঢাকা বলেছেন: হাদিস বিষয়ে আপনার ধরনা খুবই কম- এইটা বুঝতে পারলাম।

৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৪

নেছার উদ্দিন ৬১ বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=hkAJj3wJlrc

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.