নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাপা জী

waiting for things to happen

পাপা জী › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্ন বিক্রি: আমেরিকার চাকরি এখন ঢাকায়

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০২

banglanews২৪ এ আপনারা অনেকে হয়ত এই আর্টিকেল টা দেখসেন।



View this link



আমি কিসু কমেন্ট করছিলাম কিন্তু ওরা পাবলিশ করে নাই।কারণ জানিনা। যেহেতু আমি এই লাইন এ আছি এবং কিসুটা জানি তাই শেয়ার করতে এই পোস্ট দিলাম।



১. পিপল ন টেক যা করতেসে তা হইলো স্বপ্ন বিক্রি। দুইটা স্বপ্ন-১. আমেরিকায় আসা ২. ১০০,০০০ ডলার এর বেতনের চাকরি করা

--আমাদের প্রায় সবারই relative রা আমেরিকায় থাকে। তাদের কাছে শুধু জিগগেস কইরেন আমেরিকায় কয়জন $১০০K কামায়।



২. আর্টিকেল এ অনেক ভুল ইনফরমেশন দেয়া --যেমন-- "এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র সরকার এবার এইচওয়ানবি ভিসায় এক লাখ আশি হাজার নতুন ইমিগ্র্যান্ট নেবে। প্রতিবছরের চেয়ে এই সংখ্যা তিনগুন।" পুরা ভুল ইনফো। জাস্ট গুগল করেন, রিয়েল ফ্যাক্ট পাইয়া যাবেন। H১B কোটা hoilo ৬৫০০০(regular )+২০০০০ (for US masters degree holders only). ১৮০,০০০ h১b visa হইত যদি কম্প্রিহেনসিভ ইমিগ্রেশন রিফর্ম act congress এ পাস হইত কিন্তু ওই বিল এখন ডেড, ওবামার আমলে রিপাবলিকান controlled house এ পাস হবার কোনো possibility নাই. আর H১B হইলো নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা (যার আরেক নাম নন ইমিগ্র্যান্ট টেম্পোরারি ওয়ার্কার ) যার মেয়াদ হইলো ৬ বছর, এই VISA IMMIGRANT ভিসা(DV অথবা ফ্যামিলি স্পন্সর) এর মত পার্মানেন্ট না.



৩. আমেরিকায় আইসা কাজ করতে চাইলে প্রথমে এমন কোম্পানি খুঁজে বাইর করতে হবে যারা h১b স্পন্সর করে--এখানে প্রায় সব IT/ Financial services company h১b sponsor করে with a catch--they sponsor for people who are already in USA for example for the foreign students who earned their degree from US universities. US govt ডিগ্রী complete করার পর স্টুডেন্ট দের এক বছর প্রাকটিক্যাল training এর permission (যেটাকে OPT বলে, IT /Engineer দের জন্য ২৯ মাসের OPT )দেয়. তো যেইটা হয় স্টুডেন্ট রা এক বছর কোম্পানি তে কাজ করে, ভালো কাজ করলে তখন কোম্পানি তাদের জন্য h১b স্পন্সর করে.আর যেহেতু এরা already USA তে আছে তাই তারা USA তে থেকেই status চেঞ্জ করতে পারে (স্টুডেন্ট -->non immigrant H১B স্টেটাস ) . তাদের দেশে গিয়ে টাইম consuming আর uncertain consular processing এর মধ্যে যাইতে হয়না। বাংলাদেশ এ মার্কিন এম্বেসী যে আপনার approved H১B পিটিশন থাকলেও যে USA তে যাবার জন্য ভিসা ইসু করবে তার কোনো guaranty নাই.



এখন কথা হইলো কারা বাংলাদেশ থেইকা H১B ভিসা পায়--১. BUET এর সুপার smart কিসু পোলাপান যাদের মাইক্রোসফট /গুগল /yahoo hire kore অন ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট বা referral এর মাধ্যমে ২. যারা already আউটসোর্সিং firm এ কাজ করে, ভালো কাজ করলে প্যারেন্ট কোম্পানি as a reward USA তে নিয়া আসে.



H১B এর timeline হইলো এপ্রিল এর ১ তারিখে এপ্লিকেশন নেয়া স্টার্ট হয়-এক সপ্তাহের মধ্যে এত এপ্লিকেশন পরে যে USCIS stops accepting application.তারপর লটারী হয়--তারপর তারা লটারী বিজয়ী দের মধ্যে ভিসা ইসু করা আরম্ভ করে. কাজ কিন্তু স্টার্ট হবে October এর ১ তারিখে এর আগে কোম্পানি H১B এমপ্লয়ী দিয়া কোনো কাজ করাইতে পারবে না. যদি কোনো স্টুডেন্ট কোম্পানি তে কাজ করে এবং কোম্পানি তার H১B ভিসা স্পন্সর করে এবং ভিসা approve হয় তাহলে---সেই স্টুডেন্ট এর ওয়ার্ক পার্মিট যদি অক্টোবর এর আগেই শেষ হইয়া যায় তারপরেও সে ঐখানে continuously কাজ করতে পারবে (এটাকে cap gap বলে). স্টুডেন্ট দের জন্য অনেক facility শুধু একটাই কারণ --Govt চায় এরা থাকুক, কাজ করুক আর ট্যাক্স দেক.



H১B তে কোনো কোম্পানি বাইরের দেশ থিকা (যেমন ইন্ডিয়া /বাংলাদেশ) লোক আনতে চাইলে প্রথমে ইন্টারভিউ নিয়া সিলেক্ট করবে, তারপর ভিসা apply করবে, ভিসা যে হবে কোনো guarranty নাই কারণ হইলো লটারী প্লাস এম্বেসী। ধরা যাক ভিসা স্ট্যাম্প হইলো কিন্তু তারপর ও অক্টোবর এর আগে কাজ করতে পারবে না --এত ঝামেলা নিয়া কেন একটা মার্কিন কোম্পানি ফরেন ওয়ার্কার hire করে? কারণ একটাই if they need exceptional talent they will go extra mile...Also H১B তে base salary (যেইটাকে LCA amount বলে) অনেক কম--কোনো experienced আমেরিকান এত কমে কাজ করবে না...



আমরা সবাই জানি ইন্ডিয়া থিকা প্রতি বছর প্রচুর লোক USA যায় H১B ভিসায় কাজ করতে--এদের ৮০-৯০% কে স্পন্সর করে ৩/৪ টা company--ওরা কিন্তু মার্কিন কোম্পানি না --ইন্ডিয়ান অরিজিন কোম্পানি (টাটা, ইনফোসিস, Cognizant )--এরা USA তে অনেক IT প্রজেক্ট এর কাজ করে--So অনেকটা rotation এর মত এরা ইন্ডিয়া based employee দের USA তে নিয়া আসে. আর কিসু কিসু প্রজেক্ট এ onsite লোক লাগে --আউটসোর্সিং করা যায়না এমন position ওরা H১B bsed employee দিয়া fill করে.





এখন আসি পিপল ন টেক প্রসঙ্গে--তারা USA তে খারাপ করেনাই--software টেস্টিং এর ট্রেনিং দিয়া বেশ কিসু বাঙালি কে কাজ দিসে(যদিও unethical way follow করসে). এইটা দোষের কিসু না ---ইন্ডিয়ান রা ২০ বছর আগে থিকা আরো বেশি lying and unethical way use কইরা চাকরি পাইত এবং এখনো পাইতেসে। কিন্তু বেপার টা হইলো বাঙালী যারা কাজ পাইতেসে তারা ৯৯% ইমিগ্র্যান্ট--সিটিজেন অথবা গ্রীন কার্ড হোল্ডার। মার্কিন কোম্পানি কে এদের hire করার জন্য কোনো ইমিগ্রেশন related hassle/ঝামেলা পোহাইতে হইতেসে না.



কিন্তু বাংলাদেশ থিকা same ট্রেনিং নিয়া কয়জন চাকরি পাবে আর ultimately USA তে আসতে পারবে তাতে বিরাট সন্দেহ আছে!!!যেহেতু পিপল ন টেক training আর জব প্লেসমেন্ট এর জন্য আপফ্রন্ট চার্জ করে (শুনসি $৫০০০ নেয় USA তে যারা আছে তাদের কাছ থেকে ) so যত বেশি লোক ওরা enroll করতে পারবে ঐটাতেই ওদের লাভ. training নিয়া আপনি কাজ পান কি না পান তাতে ওদের কিসু যায় আসে না--অনেকটা মেডিকেল ADMISSION কোচিং এর মত --



যাইহোক আমার পোস্ট এর উদ্দেশ্য হইলো --to give some fact, you can google and find fact. Goto USCIS.gov and find H1B related info.



হাত PAIN করতেসে টাইপ করতে করতে --আরো এই বিষয়ক লেখা দিব ভবিষ্যতে ইনশাল্লাহ! ট্রেনিং ফী দিয়া ট্রেনিং এ জাম্প করার আগে সব ফ্যাক্ট জানেন, নিজেকে যাচাই করেন---আপনি technically qualified, fluent in English কিনা --একটা খুব সোজা টেস্ট আছে আপনি USA তে কাজ করার জন্য qualified কিনা--সেইটা হইলো আপনি যদি already দেশে IT রিলেটেড expert হন এবং ভালো কাজ করেন, তাহলে try করে দেখতে পারেন।আর আপনি যদি বাংলাদেশ এই চাকরি পাইতে হিমসিম খান, ইংলিশ এ weak হন তাইলে probably এই লাইন আপনার জন্য না!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুন সব তথ্য! খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৭

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: দীর্ঘ পোস্ট সাধারণতঃ পড়া হয় না। কিন্তু আপনার লেখাটি পড়ে খুব ভালো লাগল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:২৯

খেলাঘর বলেছেন:

পিপল এন টেক এর শালা ডাকাত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.