নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিরীহ আমজনতার একজন

আবুল হাসান নূরী

দ্রিমু য্রখন ত্রখন স্রবট্রাতেই দ্রিমু

আবুল হাসান নূরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রেস্তোরাঁয় খেয়ে পয়সা না-দেওয়ার ১০টি উপায় :D :D :D

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮

রেস্তোরাঁয় গিয়ে পেটপুরে খান। চিন্তা করবেন না। অর্ডার দেওয়ার সময়ে এবার থেকে মেনু কার্ডে খাবারের মূল্য লেখা স্থানটি দেখার পরোয়া করার প্রয়োজন নেই। কারণ, এই টিপসগুলো জানা থাকলে আপনার আর টাকা দেওয়ার প্রয়োজনই হবে না।

১. খেতে থাকুন। খেতে খেতে পেট যখন একেবারে অফিস টাইমের লোকাল বাসের মতো ঠাসাঠাসি অবস্থা, তখন আচমকা আপনার মোবাইলে একটা কল আসবে। মোবাইলটা অবশ্য আগেভাগেই সুইচড অফ বা সাইলেন্ট করে রাখতে হবে। এমনভাবে কলটা রিসিভ ধরুন, যেন সাংঘাতিক একটা খবর এসেছে। বলতে থাকুন, ‘‘অ্যাঁ! কী বললি! কখন! তোর কথা ঠিকমতো শুনতে পাচ্ছি না। বাইরে গিয়ে শুনছি।’’ এই বলে এঁটো হাত চাটতে চাটতে রেস্তোরাঁর বাইরে আসুন, এবং সুযোগ বুঝে চম্পট। :D

২. গুলিস্তান থেকে সস্তায় একটা ঘড়ি কিনুন। ঘড়িটির গায়ে ‘‘Rado, Rolex, Omega, Tissot, TAG Heuer’’-এর মতো বিখ্যাত কোম্পানির নাম লেখা থাকতে হবে। এইবারে রেস্তোরাঁয় খান। আপনাকে দেখতে ভদ্দরলোকের মতোই মনে হয়। খাওয়ার পরে ম্যানেজারের কাছে চলে যান। বলুন, ‘‘মানিব্যাগটা হারিয়ে ফেলেছি। এই ঘড়িটা রাখুন। এখুনি টাকা নিয়ে আসছি।’’ অতঃপর.......... :D

৩. একটা অচল ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড সাথে রাখুন। খাওয়া পরে বিল দেয়ার জন্য কার্ডটি ওয়েটারের হাতে দিন। ওয়েটার নিশ্চিতভাবেই ফিরে আসবে এবং বলবে, ‘‘স্যার, কার্ডটা রেসপন্স করছে না।’’ আপনি বলবেন, ‘‘সরি। কাছাকাছি এটিএম বুথ কোথায়?’’ ওয়েটার ঠিকানা জানালে বলুন, ‘‘জাস্ট আ মিনিট।’’ বেরিয়ে পড়ুন। জীবনে আর ও-মুখো হবেন না। :D

৪. সেই পুরনো ফর্মুলাটা ট্রাই করতে পারেন। একটা মাকড়সা বা তেলাপোকার ঠ্যাং জোগাড় করুন। পেটপুরে খাওয়ার পরে যে কোনও একটি প্লেটে সেই ঠ্যাং চালান করে দিন। তারপরে ওয়েটারকে ডেকে হুলুস্থুল বাঁধিয়ে দিন। ভোক্তা অধিকার কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুমকি দিন। দেখবেন, হাতেনাতে কাজ দেবে। :D

৫. খাওয়া যখন প্রায় শেষের দিকে, তখন ওয়েটারকে ডেকে বাথরুমটা কোথায় জানতে চান। সোজা চলে যান সেখানে। বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান। তারপর সুযোগ বুঝে সোজা উল্টো পথ ধরে বেরিয়ে যান। :D

৬. খেতে খেতে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ুন। বুকে হাত চেপে ধরে একেবারে যা-তা কাণ্ড করুন। আশেপাশের কাউকে বলুন একটা ট্যাক্সি বা সিএনজি ডেকে দিতে। এবার ট্যাক্সি বা সিএনজি চড়ে সোজা বাড়ি। :D

৭. খেতে খেতে আচমকা পাশের টেবিলের লোকের সঙ্গে বেমক্কা ঝগড়া শুরু করে দিন। অবশ্য একটু আগে থেকেই তাঁকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করুন। ‘‘এটা কী হল?’’, ‘‘কী যা-তা বলছেন!’’- এই ধরণের কথা বলতে থাকুন এবং বেশ কষে ঝগড়া করুন। গলা সপ্তমে চড়িয়ে একেবারে লঙ্কাকাণ্ড! তখন কোথায় বিল, কোথায় ওয়েটার, আর কোথায় রেস্তোরাঁর ম্যানেজার। তবে মনে রাখবেন, যার সাথে ঝগড়া করবেন, তিনি যেন মহিলা না হন। তা হলে কিন্তু বেদম দুঃখ আছে আপনার কপালে। :D

৮. এই টিপস মানতে গেলে একটু অভিনয় লাগবে। পাশের টেবিলের লোকটির সঙ্গে আলাপ জমিয়ে ফেলুন। একেবারে গলায় গলায় বন্ধু। এইবারে তাঁকে বলুন, আপনিই তাঁর বিল মেটাবেন। তারপরে বলুন, ‘‘দাঁড়ান, ম্যানেজারকে কথাটা বলে আসি।’’ চলে যান ম্যানেজারের কাছে। সেখানে গিয়ে বলুন, ‘‘আমার বিল উনি মেটাবেন।’’ নতুন বন্ধুর দিকে তাকিয়ে হাত নাড়ুন। এবার একবার আঙুল তাঁর দিকে করুন, একবার নিজের দিকে। তিনি নিশ্চিতভাবেই হাত তুলবেন। আপনি এবার বুড়ো আঙুল তুলে থাম্বস আপ দেখান। আর রেস্তোরাঁর দরজা দিয়ে আত্মবিশ্বাসের সাথে বেরিয়ে যান। :D

৯. প্লেট ভর্তি করে খাবার নিন। যতটা খেতে পারবেন, তার চেয়েও অনেকটা বেশি। এবার খাওয়ার শেষে ওয়েটারকে ডেকে বলুন, ‘‘বাকিটা প্যাকেট করে দিন।’’ ওয়েটার খাবার প্যাকেট করতে গেলে আপনি চলে যান ম্যানেজারের কাছে। বলুন, ‘‘আমার খাবারটা প্যাকেট করতে নিয়ে গিয়েছেন ওয়েটার। আমি বাইরে একটা সিগারেট খাচ্ছি। খাবারটা প্যাকেট করা হলে কাইন্ডলি একটু ডেকে দেবেন।’’ বাইরে এসে সিগারেট ধরান এবং পগারপার। :D

১০. অন্তিম এবং নিরুপায় ফর্মুলা। খাওয়ার শেষে নিজের প্লেট, বাটি, চামচ ইত্যাদি তুলে নিন। এবার ঘুরে ঘুরে বাকিদের টেবিল থেকেও সেই সব সংগ্রহ করে ফেলুন। ওয়েটার বা ম্যানেজারকে আত্মবিশ্বাসের সাথে জিজ্ঞাসা করুন, ‘‘কোথায় প্লেট ধোওয়া হয়?’’ চলে যান সেই দিকে। :((

পেটপুরে খান, সুস্থ থাকুন, ভাল থাকুন। :D


[ইহা একটি ফানপোস্ট, টিপসগুলো কেহ প্রয়োগ করিতে চাহিলে পরিনাম সম্পর্কিত ঝুঁকিসমূহ উক্ত ব্যক্তিকেই বহন করিতে হইবে]

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সবগুলো কৌশল ফেল মারলে (ফেল মারার সম্ভাবনাই বেশি) কী করবো? জুতাপেটা হতে বড় লজ্জা লাগবে।

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

হাবীব কাইউম বলেছেন: যত সহজে বললেন তত সহজে না হয়ে যদি বেইজ্জতির মুখোমুখি হতে হয়, তখন কি আবুল হাসান নূরী পাশে থাকবেন?


এক বেলা রেস্টুরেন্টে মাগনা খাওয়ার চেয়ে সারা জীবন নিজের টাকায় আরামে খাওয়ার উপায় বাতলান।

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

সুমন কর বলেছেন: :P

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ফানি পোষ্ট ভাল লেগেছে

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ে ধরা। :) :)

এইটা "ধোলায়ের বিনিময়ে খাদ্য" কর্মসূচি সফলের ১০ টি উপায়। :) :)

৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪

মহা সমন্বয় বলেছেন: এইটা "ধোলায়ের বিনিময়ে খাদ্য" কর্মসূচি সফলের ১০ টি উপায়। =p~


এক বেলা রেস্টুরেন্টে মাগনা খাওয়ার চেয়ে সারা জীবন নিজের টাকায় আরামে খাওয়ার উপায় বাতলান:)

৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

সাইফুল আরিফিন কাব্য বলেছেন: সবগুলোকে লাইক লাইক লাইক লাইক

৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৫

মোশফেক জামান সফল বলেছেন: একটি সচেতনতামূলক পোস্ট! :)

৯| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা

১০| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: উপ্স! গুড আইডিয়া!

১১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৮

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: =p~

১২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
খেক খেক

১৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুন সব টিপস, ভাবছি নেমে পড়বো কিনা!

১৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৫

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: আইডিয়া ভাল । খালি আপনার নাম্বার দেন। আপনাকেও সাথে নিব B-)

১৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপ্নারে নিয়া যাইতে মুঞ্চায় B-))

১৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩১

শায়মা বলেছেন: ৪. সেই পুরনো ফর্মুলাটা ট্রাই করতে পারেন। একটা মাকড়সা বা তেলাপোকার ঠ্যাং জোগাড় করুন। পেটপুরে খাওয়ার পরে যে কোনও একটি প্লেটে সেই ঠ্যাং চালান করে দিন। তারপরে ওয়েটারকে ডেকে হুলুস্থুল বাঁধিয়ে দিন। ভোক্তা অধিকার কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুমকি দিন। দেখবেন, হাতেনাতে কাজ দেবে


ইয়াক থু থু থু!!!!!!!


তার আগেই আবার বমি করে ওয়েটারের মাইর কপালে জুটতে পারে।

১৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০৬

নতুন বলেছেন: ৯. ৯:- সামু ব্লগার আবুল হাসান নূরী ভাইএর সাথে রেস্টুরেন্টে যান। তার সাথে পরামশ` করুন এই ব্লগের বিষয় নিয়ে। তারপরে খাওয়া শেষে উনার হবার আগে টয়লেটে যাবার ভান করে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে আসুন.... :)

১৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৩৯

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
B-))

১৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কম খারাপ না, প্রত্যেকটা রেসিপি আপনি নিশ্চয়ই আগে কাজে লাগিয়ে সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বলছেন, তাই না?

২০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩০

কবি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন

২১| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:১৬

মিঃ অলিম্পিক বলেছেন: হা হা হা দারুন, একদম প্রিওতে.....

২২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


খারাপ নয়; তবে, এগুলোর ট্রেনিং স্টাফদের দেয়া হয়।

২৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সতর্কতাঃ ইহা একটি গণধোলাই খাবার আশঙ্কামূলক পোস্ট।
নিজ দায়িত্বে প্রয়োগ করিবেন।
মাইর খাইয়া লজ্জা পাইবেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.