নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

'পাঠাননামা' - “ভ্রমণ সাহিত্যে চোখ বুলাই” - পর্ব ০২ (“দেশে বিদেশে - সৈয়দ মুজতবা আলী”)

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩১

‘ভ্রমণ সাহিত্যে চোখ বুলাই’ সিরিজে পরবর্তী যে বইটি সিলেক্ট করেছিলাম তা ছিল বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সমাদৃত সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’। এই বই পড়তে গিয়ে মনে হল শুধু পাঠানদের নিয়ে লেখকের ভাবনা নিয়ে, বর্ণনা দিয়ে, উপলব্ধি নিয়ে একটা লেখা লিখা উচিত। আর সেই ভাবনা থেকেই এই লেখা – ‘পাঠাননামা’। পরে ‘দেশে বিদেশে’ নিয়ে লেখা যাবে। আসুন দেখি ‘পাঠাননামা’।



এই বইতে শুরুতেই লেখক ট্রেনে পরিচিত হন পাঠানদের সাথে। লেখকের জবানীতে, “গাড়ি এর মাঝে আবার ভোল ফিরিয়ে নিয়েছে। দাড়ি লম্বা হয়েছে, টিকি খাটো হয়েছে, নাদুসনুদুস লালজীদের মিষ্টি মিষ্টি ‘আইয়ে বৈঁঠিয়ে’ আর শোনা যায় না। এখন ছ’ফুট লম্বা পাঠানদের ‘দাগা, দাগা, দিলতা, রাওরা’, পাঞ্জাবীদের ‘তুসি, অসি’, আর শিখ সর্দারজীদের জালবন্ধ দাড়ির হরেক রকম বাহার। পুরুষ যে রকম মেয়েদের কেশ নিয়ে কবিতা লেখে এদেশের মেয়েরা বোধ করি সর্দারজীদের দাড়ি সম্বন্ধে তেমনি গজল গায়; সে দাড়িতে পাক ধরলে মরসিয়া-জারী গানে বার্ধক্যকে বেইজ্জৎ করে।”

এতো গেল পাঠান সর্দারজীদের দাড়ির বর্ণনা দিয়ে পরিচয় পর্ব। এবার আসুন তাদের জামা’র পরিচয় পর্বে।



“............জিজ্ঞাসা করলুম,‘সর্দারজী শিলওয়ার বানাতে ক’গজ কাপড় লাগে? বললেন,“দিল্লীতে সাড়ে তিন, জলন্ধরে সাড়ে চার, লাহোরে সাড়ে পাঁচ, লালামুসায় সাড়ে ছয়, রাওয়ালপিন্ডিতে সাড়ে সাত, তারপর পেশাওয়ারে এক লম্ফে সাড়ে দশ, খাস পাঠানমুল্লুক কোহাট খাইবারে পুরো থান।’



‘বিশ গজ!’



‘হ্যাঁ, তাও আবার খাকী শার্টিঙ দিয়ে বানানো’।...............” পড়ে ও জেনে অবাক হলাম। বিস্ময় আর বিস্ময়!



কি বিলাসী পোশাক তাই না? বিধিবাম, পরের পাতায় দেখেন উল্টো কথা,‘............ আপনি বুঝি ভেবেছেন, পাঠান প্রতি ঈদে নূতন শিলওয়ার তৈরী করায়? মোটেই না। ছোকরা পাঠান বিয়ের দিন শ্বশুরের কাছ থেকে বিশগজী একটা শিলওয়ার পায়। বিস্তর কাপড়ের ঝামেলা – এক জায়গায় চাপ পড়ে না বলে বহুদিন তাতে জোড়াতালি দিতে হয় না। ছিঁড়তে আরম্ভ করলেই পাঠান সে শিলওয়ার ফেলে দেয় না, গোঁড়ার দিকে সেলাই করে, পরে তালি লাগাতে আরম্ভ করে- সে যে-কোন রঙের কাপড় দিয়েই হোক, পাঠানের তাতে বাছবিচার নেই। বাকী জীবন সে ঐ শিলওয়ার পরেই কাটায়। মরার সময় ছেলেকে দিয়ে যায় – ছেলে বিয়ে হলে পর তার শ্বশুরের কাছ থেকে নূতন শিলওয়ার পায়, ততদিন বাপের শিলওয়ার দিয়ে চালায়।...........................’



আপনাকে যদি পাঠানের একটা একটা প্রধান বৈশিষ্ট্য জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনি নিশ্চয়ই বলবেন তাদের বোকামির কথা। কিন্তু ভুল হবে, তাদের মূল বৈশিষ্ট্য হল আড্ডাবাজ। জী হ্যাঁ, তাদের মত আড্ডাবাজ আর পাবেন না। এই বইয়ে দেখুন লেখক কি বলেন,‘..............আড্ডা জমে উঠল। দেখলুম, পাঠানের বাইরের দিকটা যতই রসকষহীন হোক না কেন, গল্প শোনাতে আর গল্প বলাতে তাদের উৎসাহের সীমা নেই। তর্কাতর্কি করে না, গল্প জমাবার জন্য বর্ণনার রঙতুলিও বড় একটা ব্যবহার করে না। সব যেন উডকাটের ব্যাপার – সাদামাটা কাঠখোট্টা বটে, কিন্তু ঐ নীরস নিরলঙ্কার বলার ধরনে কেমন যেন একটা গোপন কায়দা রয়েছে যার জন্য মনের উপর বেশ জোর দাগ কেটে যায়।..............’।



আড্ডার জন্য তারা কি করে জানতে পাবেন আরও কয়েক জায়গায়, নমুনা দেখুন,‘..............পাঠান আড্ডা জমাবার খাতিরে অনেক রকম আত্মত্যাগ করতে প্রস্তুত। গল্পের নেশায় বে-খেয়াল অন্ততঃ আধ ডজন অতিথি সুদ্ধু শুকনো রুটি চিবিয়েই যাচ্ছে, চিবিয়েই যাচ্ছে। অবচেতন ভাবটা এই, পোলাও-মাংস বাছতে হয়, দেখতে হয়, বহুৎ বয়নাক্কা, তাহলে লোকের মুখের দিকে তাকাব কি করে, আর না তাকালে গল্প জমবেই বা কি করে।..............’



কি মজা পেলেন? আরও আছে,‘..............জানেন তো পাঠানেরা বড্ড আড্ডাবাজ। গল্পগুজব না করে সে এক মাইল পথও চলতে পারে না। কাউকে না পেলে সে বসে যাবে রাস্তার পাশে। মুচীকে বলবে,‘দাও তো ভায়া, আমার পয়জারে গোটা কয়েক পেরেক ঠুকে।’ মুচী তখন ঢিলে লোহাগুলো পিটিয়ে দেয়, গোটা দশেক নূতনও লাগিয়ে দেয়। এই রকম শ’খানেক লোহা লাগালে জুতোর চামড়া আর মাটিতে লাগে না, লোহার উপর দিয়েই রাস্তার পাথরের চোট যায়। হাফসোল লাগানোর খরচাকে পাঠান বড্ড ভয় করে কিনা। সেই পেরেক আবার হরেক রকম সাইজের হয়। পাঠানের জুতো তাই লোহার মোজায়িক। কিন্তু আসল কথা হচ্ছে, লোহা ঠোকানো না-ঠোকানো অবান্তর – মুচীর সঙ্গে আড্ডা দেবার জন্য ঐ তার অজুহাত।’ আড্ডা আর কৃপণতা, পাঠানের এই একটাই পরিচয়?



উল্টো কথা দেখুন,‘..............আর কী খানাপিনা! প্রতি ষ্টেশনে আড্ডার কেউ না কেউ কিছু না কিছু কিনবেই। চা, শরবৎ, বরফজল, কাবাব, রুটি, কোনো জিনিসই বাদ পড়ল না। কে দাম দেয়, কে খায়, কিচ্ছু বোঝবার উপায় নেই। আমি দু’একবার আমার হিস্যা দেবার চেষ্টা করে হার মানলুম। বারোজন তাগড়া পাঠানের তির্যকবূহ্য ভেদ করে দরজায় পৌঁছবার বহু পূর্বেই কেউ না কেউ পয়সা দিয়ে ফেলেছে। আপত্তি জানালে শোনেনা, বলে,‘বাবুজী এই পয়লা দফা পাঠানমুল্লুকে যাচ্ছেন, না হয় আমরা একটু মেহমানদারী করলুমই। আপনি পেশাওয়ারে আড্ডা গাড়ুন, আমরা সবাই এসে একদিন আচ্ছা করে খানাপিনা করে যাবো।’ আমি বললুম,‘আমি পেশাওয়ারে বেশী দিন থাকব না।’ কিন্তু কার গোয়াল, কে দেয় ধুঁয়ো। সর্দারজী বললেন,‘কেন বৃথা চেষ্টা করেন? আমি বুড়ো মানুষ, আমাকে পর্যন্ত একবার পয়সা দিতে দিল না। যদি পাঠানের আত্মীয়তা-মেহমানদারী বাদ দিয়ে এদেশে ভ্রমণ করতে চান, তবে তার একমাত্র উপায় কোনো পাঠানের সঙ্গে একদম কথা না বলা। তাতেও সবসময় ফল হয় না।..............’



লেখক পাঠানের অতিথিপরায়ণতার সার্টিফিকেট দিয়েছেন লেখক এভাবে,‘..............আজ বলতে পারি পাঠানের অভ্যর্থনা সম্পূর্ণ নির্জলা আন্তরিক। অতিথিকে বাড়িতে ডেকে নেওয়ার মত আনন্দ পাঠান অন্য কোন জিনিসে পায় না – আর সে অতিথি যদি বিদেশী হয় তা’হলে তো আর কথাই নেই। তারো বাড়া, যদি সে অতিথি পাঠানের তুলনায় রোগদুবলা সাড়ে পাঁচফুঢী হয়। ভদ্রলোক পাঠানের মারপিট করা মানা। তাই সে তার শরীরের অফুরন্ত শক্তি নিয়ে কি করবে ভেবে পায় না। রোগদুবলা লোক হাতে পেলে আর্তকে রক্ষা করার কৈবল্যানন্দ সে তখন করে ..............’



ও হ্যাঁ পাঠানের শক্তির বর্ণনা লেখক ট্রেনে পাঠানদের সাথে পরিচয় পর্বে দিয়েছেন এভাবে,‘..............গরমে, ধুলোয়, কয়লার গুঁড়োয়, কাবাব-রুটিতে আর স্নানাভাবে আমার গায়ে তখন আর একরত্তি শক্তি নেই যে বিছানা গুটিয়ে হোন্ডল বন্ধ করি। কিন্তু পাঠানের সঙ্গে ভ্রমণ করাতে সুখ এই যে, আমাদের কাছে যে কাজ কঠিন বলে বোধ হয় পাঠান সেটা গায়ে পড়ে করে দেয়। গাড়ির ঝাঁকুনির তাল সামলে, দাঁড়িয়ে, দাঁড়িয়ে উপরের ব্যাঙ্কের বিছানা বাঁধা আর দেশলাইটি এগিয়ে দেওয়ার মধ্যে পাঠান কোন তফাৎ দেখতে পায় না। বাক্স-তোরঙ্গ নাড়াচাড়া করে যেন অ্যাটাচি কেস।..............’



পাঠানের রসবোধের বর্ণনা,‘..............লোকটার হিম্মৎ ছাড়া নাকি আরো একটা গুণ আছে। যাকে বলে হাজির-জবাব। সব কথার চটপট উত্তর দিতে পারে। শুনলুম চারবার প্রমাণ অভাবে খালাস পেয়ে পাঁচ বারের বার যখন হাকিম ইজাজ হুসেন খানের আদালতে উপস্থিত হল, তখন তিনি নাকি চটে গিয়ে বলেছিলেন,‘এই নিয়ে তুই পাঁচবার আমার সামনে এসে দাঁড়িয়েছিস; তোর লজ্জা-শরম নেই?’



সর্দার নাকি মুচকি হেসে বলেছিল, ‘হুজুর প্রমোশন না পেলে আমি কি করব?’ ..............’ হা হা হা।



আপনি কি জানেন সর্দারজীদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পর্ক কোনটা? আসুন দেখি,‘..............শেষটায় থাকতে না পেরে আমি বললুম,‘আপনি পণ্ডিত মানুষ, শোকে এত বিচলিত হচ্ছেন কেন? আর আপনার সহ্য করবার ক্ষমতা যে কত অগাধ সে তো আমরা সবাই দেখেছি – দুটি ছেলে, স্ত্রী মারা গেলেন, আপনাকে তো এতটুকু কাতর হতে দেখিনি’।

‘খুদাবখশ আমার দিকে এমনভাবে তাকালেন যেন আমি বদ্ধ উম্মাদ। কিন্তু মুখে কথা ফুটল। বললেন,‘আপনি পর্যন্ত এই কথা বললেন? ছেলে মরেছিল তো কি? আবার ছেলে হবে। বিবি মরেছেন তো কি? নূতন শাদী করব। কিন্তু ভাই পাব কোথায়?’ ..............’



তবে পরে এসে মন ছুঁয়ে গেল এই লাইনগুলো,‘সৈয়দ সাহেব, কিছু মনে করবেন না। আপনারা বোমা মারেন, রাজনৈতিক আন্দোলন চালান, ইংরেজ আপনাদের ভয়ও করে। এসব তো আরম্ভ হয়েছে মাত্র সেদিন। কিন্তু বলুন তো, যেদিন দুনিয়ার কেউ জানত না ফ্রন্টিয়ার বলে এক ফালি পাথরভর্তি শুকনো জমিতে একদল পাহাড়ী থাকে সেদিন ইংরেজ তাদের মেরে শেষ করে দিত না, যদি পারত? ফসল ফলে না, মাটি খুঁড়লে সোনা চাঁদি কয়লা তেল কিছুই বেরোয় না, এক ফোঁটা জলের জন্য ভোর হবার তিন ঘণ্টা আগে মেয়েরা দল বেঁধে বাড়ি থেকে বেরোয়, এই দেশ কামড়ে ধরে পড়ে আছে মূর্খ পাঠান, কত যুগ ধরে, কত শতাব্দী ধরে কে জানে? সিন্ধুর ওপারে যখন বর্ষার বাতাস পর্যন্ত সবুজ হয়ে যায় তখন তার হাতছানি পাঠান দেখেনি? পূরবৈয়া ভেজা ভেজা হাওয়া অদ্ভুত মিঠে মিঠে গন্ধ নিয়ে আসে, আজ পর্যন্ত কত জাত তার নেশায় পাগল হয়ে পুব দেশে চলে গিয়েছে – যায়নি শুধু মূর্খ আফ্রিদী মোমন্দ’।



সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ পড়া চলছে। রসিয়ে রসিয়ে পড়ছি... আর রস আস্বাদন করছি। পুরোটা পড়া শেষ হলে আবার আসছি...

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: আমিও আরেকবার রস আস্বাদন করে নিলাম।
++++++++++++++++++

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ খেয়া ঘাট। এত্তগুলান পিলাচ? :-*

রস আস্বাদন করেন অসুবিধা নাই, কিন্তু উহা যেন 'নিপা'মুক্ত হয়... ;) ;) ;)

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:০৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক অনেক চমৎকার বই। আপনি কেবল শুরুর দিকটা নিয়ে লিখেছেন। আমার মতে খুব সম্ভব এটাই মুজতবা আলীর সেরা গ্রন্থ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: জী শ্রাবণধারা, পুরোটা পড়ে শেষ করে আলাদা একটি রিভিউ লেখার ইচ্ছা আছে পাঠক হিসেবেআমার উপলব্ধি এবং অনুভূতি নিয়ে লেখার।

পাঠ এবং মন্তব্যর জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:২৯

মামুন রশিদ বলেছেন: পাঠান মুল্লুক কে চিনেছি সৈয়দ মুজতবা আলীর চোখ দিয়ে । উনার মত 'সরস' লেখক বাংলা সাহিত্যে বিরল ।

চমৎকার পোস্ট!

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই। সিরিজ নিয়ে কোন সাজেশন থাকলে কামনা করছি।

৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৯

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ! যথার্থ পাঠকের যথার্থ পোষ্ট। খুব চমৎকার। +।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ অন্যমনস্ক শরৎ।

৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দারুণ পোস্ট ++++

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারি অথর্ব।

ভালো থাকবেন সর্বদা।

৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩২

মেহেরুন বলেছেন: ভ্রমন কাহিনী খুব ভালো লাগে। পোস্ট প্রিয় তে নিয়ে নিলাম।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এই বোকা মানুষের ব্লগেস স্বাগতম।

পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৬

সুমন কর বলেছেন: পরে সময় করে পড়তে হবে। তবে দারুন পোস্ট।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: পরে পড়ে জানাতে ভুলবেন না। আপনার অপেক্ষায় থাকবো।

৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮

বেলা শেষে বলেছেন: সৈয়দ মুজতবা আলী was & still today one of the best writer....
& i have to compliment .....todays best Readers they follow him....
Assalamualikum, up to next time.

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ বেলা শেষে। আসছি পুরোটা পড়ে নিয়ে।

ততক্ষণ সাথে থাকবেন আশা করি।

৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৬

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: মুজতবা আলীর অবিশ্বাস্য পড়ুন, অন্য রকম। বাংলায় এরকম আর পাবেন না। ইংরেজীতে যেন "রেবেকা"।
হিটলার পড়ুন মুজতবার, দেখবেন হিটলার কেন অসাধারণ।

তবে মুজতবার সেরা হোল "পঞ্চতন্ত্র।"

আর "শবনম্" । বাংলা সাহিত্যে এরকম প্রেমের উপন্যাস নেই। একে নাট্যরুপ বা সিনেমা বানানো সম্ভব নয়। অথচ এই উপন্যাসটির কথা কাউকে বলতে শুনি না। আসলে এদেশে গুনের কদর নেই।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এইবারের একুশে বইমেলা হতে মুজতবা আলীর সমগ্র কিনবো।

পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মুজতবার দেশে - বিদেশে বইটি যারা পড়েছেন
তাদের কাছে এ বইয়ের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই নাই । এ বইয়ের প্রধান আকর্ষণীয় চরিত্র আবদুর রহমান ।
বাংলা সাহিত্যের সৌভাগ্য মুজতবা আলির আফগানিস্থানে গিয়েছিলেন আর মুজতবার সৌভাগ্য
তিনি আব্দুর রহমান এর মত মানুষের সংস্পর্শ পেয়েছিলেন । মাঝে মাঝে ভাবি এখন কি আর আবদূর রহমানের মত মানুষ আছে ! বইটার শেষের দিকে মন টা একদম খারাপ হয়ে যায় ।

এ বইয়ের শেষ 2 লাইন বার বার পড়ি ।

'' বহুদিন ধরে সাবান ছিলনা বলে আব্দুর রহমানের পাগড়ি ময়লা । কিন্তু আমার মনে হল
চতুর্দিকের বরফের চেয়ে শুভ্রতর আব্দুর রহমানের পাগড়ি , আর শুভ্রতম আব্দুর রহমানের হৃদয় । ''

অতুলনীয় সমাপ্তি , বোধ হয় - এর চেয়ে ভাল আর কিছু হয় না ।

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট এর মন্তব্যের সাথে একমত । উনার কমেন্টে লাইক দিলাম । তবে আমি
রেবেকার চাইতেও ভাল বলব '' অবিশ্বাস্য '' ।

এরকম একটা পোষ্ট দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।

ভাল থাকুন ।




২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভকামনা নিরন্তর...।

১১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩৭

ফারদি বলেছেন: এই বইয়ের পুরোটার পিডিএফ লিঙ্ক জানা থাকলে দেয়া যাবে কি? আমি অনেক খুঁজেছি কিন্তু পাইনি। :(

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভাই পিডিএফ না, আসেন ছাপার হরফের বই পড়ি। :)

১২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: @ফারদি: দেশে বিদেশে সবর্ত্র পাওয়া যায়।

১৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

হালি্ বলেছেন: মুজতবার সেরা হোল "পঞ্চতন্ত্র।"
সহমত অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট এর সাথে ;)

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৮

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: চমৎকার একটা বই । অনেক ছোটবেলায় পড়েছিলাম, আপনার কল্যাণে অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেলো । ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা জানবেন ।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আদনান শাহ্‌রিয়ার ভাই। এই সিরিজের জন্য কোন পরামর্শ থাকলে জানাবেন। উপকৃত হবো।

১৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০০

ড. জেকিল বলেছেন: মুজতবা আলীর প্রত্যেক কথাতেই রস আছে। ভাই, দেশে-বিদেশে পুরো বইটার কি কোন ডাউনলোড লিংক দেওয়া যাবে ?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ড. জেকিল পাঠ এবং মন্তব্য'র জন্য। দিলাম লিঙ্কঃ Click This Link)-Syed-Mujtaba-Ali-pdf-10-8-Mb

কাজ না করলে একটু আওয়াজ দিয়ে যাইয়েন। আর আমি কিন্তু এই সিরিজের প্রতিটি বই হার্ডকপি থেকে পড়ি।

এতো দেরীতে রিপ্লাইয়ের কারণ, মন্তব্যটা চোখ এড়িয়ে গিয়েছল। ব্লগার মহামহোপাধ্যায় এর কমেন্ট এর নোটিফিকেশন এর সুবাদে চোখে পড়ল। অনিচ্ছাকৃত দেরীর জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। :)

১৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৮

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: মুজতবা আলীর "দেশে বিদেশে"টা পড়া বাকি। কত কি বাকি :(


চমৎকার রিভিউ। সাধুবাদ রইল।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মহামহোপাধ্যায়


উপরের কমেন্টের লিংক হতে ডাউনলোড করে পড়তে পারেন।

১৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬

রাখালছেলে বলেছেন: সৈয়দ মুজতবা আলী পরশ পাথরের সংস্পর্শ পেয়েছিলেন । তাই তিনিও একজন আলোকিত মানুষ হয়েছিলেন । তার বই আমার সর্বদা সঙ্গী ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাখালছেলে। ভালো থাকুন সর্বদা।

১৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

রাখালছেলে বলেছেন: পর্ব এক কোথায় ..লিঙ্ক প্লিজ

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: "ভ্রমণ সাহিত্যে চোখ বুলাই" সিরিজের সব লেখা এক সাথে পাবেন এই লিঙ্কে

ধন্যবাদ, ভালো থাকুন।

১৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬

নিমচাঁদ বলেছেন: ২০ বার পড়ে ফেলেছি হে

ছোট বেলায় পড়তাম , এখনো পড়ি

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলে বারবার পড়ার মতই বই এটা। ২০ বার পাঠে ঈর্ষা রইল।

বোকা মানুষের ব্লগে আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো। পাঠ এবং মন্তব্যে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন।

ভালো থাকা হোক সর্বদা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.