নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুমিআমি, কেউ যদি বৃক্ষের ন্যায় হইতাম-
তবে আজন্ম চুমুর খোলসে আমাদের জন্ম গভীর শেকড়ে প্রতিথ হইতো, যোগ দিতাম তোমার মেন্সট্রুয়েশনের সভাতে,
জরায়ুর সমদ্বিখন্ডনে ভঙ্গ হইতো অনাদির ডিফল্ট সেটিং,
মুইছা দিতাম রিলিজিয়াস, মোরেজের যত-হিস্টোরি,...
আমি যদি নেড়ি কুত্তা হইতাম, ইচ্ছা হইলেই তোমারে লাগাইতে পারতাম,
খুঁজতে হইতো না তোমারে এপাড়া-ওপাড়া, আলোতে-অন্ধকারে,
মানুষের বাচ্চা হইয়া তোমারে ছুঁইতে চাইলেই ওরা আমারে অসভ্য বলে,
তুমিই বলো- নেড়ি কুত্তাটার মতো আমার মনটা...
কেউ দ্যাখেনি আমার-বিষাদের লাঙ্গল,
দুর্ভিক্ষের মাটি ক্ষয়ে কতো দুপুর ক্লান্তি নামালো,
বুভুক্ষু শরীর,
বয়েসের ভাঙ্গা টানে ঘরের পিছের খালটা গিয়া কপালে ভাঁজ হইলো,
আমার বুক জুড়ে কতশত আলপথ সরলরেখা হইলো,
কখনো ত্রিভুজ, কখনো...
আমার শব্দে ধুঁকে ঈশ্বর হৃদয়,
হৃদয় ধারণের জন্য, তার যে বুক নাই,
প্রেমপত্র রাখবার জন্য আমার ঈশ্বরের যে একটা পকেট কাটা হয় নাই,
আমার ঈশ্বর নিরাকার না হইলে, কেইবা হইতো আমার হাহাকার? আমার...
কেনো প্রিয়তমা, তোমার নামে?
প্রেম এবং দ্রোহের মশাল উঠালো তারা-
রাষ্ট্রের দেয়ালে আঁকা,
তোমার ঠোঁটে খাওয়া যত্রতত্র চিকামারা।
-(আমার প্রেমিকা ভীষণ নৈরাজ্যবাদী)
অনির্বাণ- আমি ধ্বংস চাই,
জাগতিক আলোর মিছিলে বন্দী কেনো জীবন বন্দনা,
ইটের গাঁথুনির ছন্দঃপতন,
উৎখাত হউক নাগরিক প্রহসন।
প্রতিজ্ঞা আমার ঈশ্বরের,
যে অন্ধকার দিয়েছে,
নিক্ষিপ্ত করেছে ক্ষুদ্র আলো,
জমাট ললাটে ঘর্ম চেতন,
বর্ম ধারণ করব,অনির্বাণ-
আমি ধ্বংস চাই।
নিহত সত্ত্বার...
পৃথিবীর শেষ সিগারেট জমে গ্যাছে দুর্ভিক্ষ পীড়িত ঠোঁটের শুষ্কতায়,
বর্ণাঢ্য আহার্যের অপ্রতুলতা,
উচ্ছিষ্টের উদরপূর্তি- মর্ত হায়নারা,
শকুনের সকাল দ্যাখার প্রমত্ত মিছিলে,
মানবতা কেবলই প্রবাদ কিংবা প্রবঞ্চনা।
স্বপ্নদ্রষ্টার নির্ঘুম রাতের আড়ষ্টতা,
শরীর খসানো চোষক কীটে উর্বর জাগতিক...
প্রিয়,
পৃথিবীর রঙ ক্যামন, জানো?
তোমার মত;
ঠিক সন্ধ্যার প্রচ্ছন্ন আলোতে যেমন দেখায়,
খেয়াল করোনি, জানি-
তুমি না থাকলে, আমিও জানতাম না।
স্যাঁতস্যাঁতে বর্ষার মাটির গন্ধ কিসের মত?
তুমি কি করে জানবে-
বলা হয়নি,
তোমার শরীরের গন্ধ যেমনি আমায়...
প্রতিশ্রুতি ছিলো আমাদের-
সহস্র রাজনৈতিক ভাষণের শ্রুতিলিপি,
নাগরিক সম্ভাষণ,
চেতনার ফুল আমি প্রেমিকাকে দিয়ে এসেছি।
দু\'বেলা না খেয়েও সঙ্গমের খুদা মেটানো পুরুষ আমি,
নাভিমূলে অস্তমিত সূর্যের গায়ে নির্লিপ্ত স্পর্শের কাঙ্গাল হয়েছি-
বাজার ঊর্ধ্বমুখী,
পাইকারী চালের দরে দু\'চারটা...
বরাবরের মত লড়াইটা পেটের,
মানবিক বিপর্যয় তো আমার ঐতিহ্যের,
দু\'বেলা অন্ন চাই-
পেটের দায় যে জাতির তার আবার রোগবালাই।
কাষ্ঠ, শীর্ণ মরা লাশটা শকুনেও খায় না,
ঘরের নিচে মাটি কোপাইলে তার আবার জাত যায়-
ক্ষুদিরামরে দাও...
পৃথিবীর আদিম আলোয় যাকে দ্যাখা,
প্রমত্ত কিশোরীর আলপথ ছুঁয়ে ফড়িং দলে ছুটে চলা,
দিগন্তের দেয়াল সূর্য গিলে খায়,
সূর্যের স্বাদ ক্যামন?
আচ্ছা-
সন্ধ্যার ঘাসে শিশির জমে, বুক কাঁপে ক্যানো?
আমার নাকি পৃথিবীর শরীর,
সে বলে- বুকের ভেতর...
প্রাচীন সন্ধ্যার প্রচ্ছন্ন আলো আত্মার নিভৃতে ঠাসা-
বেদনার বিমর্ষ খাতায় গুটিসুটি কবিতার শীতল শরীর,
আঁকড়ায়ে আছে শতবর্ষ কাল, গতকাল, আজ কিংবা আগামী;
গভীরে শেকড় বিচ্ছিন্ন- উৎপীড়ন অথবা নিপীড়ন।
ঘর খোঁজে আমারে,
হঠাৎ পাওয়া প্রেমিকার শরীরের...
চুমুর রঙ ফ্যাঁকাসে,
সামাজিক সংস্কৃতির সর্বশেষ সংস্করণে-
বিপ্লবীরা মাতাল নয়তো প্রেমিক হবার ছলনা করে,
পার্কের বেঞ্চে ছিটানো বাদাম খোসার মতো-
রোজগার বিচ্ছিন্ন শিরোনামে যা কিছু খবরের কাগজে,
সম্ভ্রম এবং শরীর কর্তন এক অনুচ্ছেদে।
পার্টি অফিসে রোজ...
©somewhere in net ltd.