নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইকবাল সুমন

"ঘোড়ার ডিমের খোঁজে নয়, ডিমওয়ালা-ঘোড়ার খোঁজে...

ইকবাল হোসাইন সুমন

আমি ইকবাল সুমন। মাঝে মাঝে টুকটাক লিখা লিখি করি। এছাড়া কোন কিছু করি না।

ইকবাল হোসাইন সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্যালেস্টাইন এবং পরিহাস (!)

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:৪৪

কিছুদিন যাবৎ অবাধ মানবতার কিছু উদাহরণ দেখলাম ফেইস-বুক এবং বিভিন্ন ব্লগে। তাহাদের ভাষ্য হল, “বাংলাদেশী মুসলমানরা হটাৎ করে ইসরাইল দ্বারা আক্রান্ত প্যালেস্টাইন মুসলমানদের কেন মানবতা তথা প্রতিবাদের ঝড় তুলছে সামাজিক মিডিয়াগুলোতে !!! ?, কেন এই প্রতিবাদী মুসলমান জনগুষ্টি সেদিন তুমুল কোন প্রতিবাদ গড়ে তুলেনি, যেদিন রমনা বটমূলে হামলা হয়েছে, ২১-শে অগাস্ট হামলা হয়েছে, সারা দেশে জেএমবি দ্বারা সিরিস বোমা হামলা হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি।”



আসেন, এখন আপনাদের বুঝাই কেন নিদিষ্ট সম্প্রদায় তারই সম্প্রদায়ের বিপদে চোখের পানি এবং মনের কান্না এক সাথে বিসর্জন দেয়।

ধরে নিলাম, “আপনার পোলারে অবৈধভাবে পাশের পাড়ার গনি সাহেবের ছেলে, আক্কাস সাহের ভাগ্নে এবং সামাদ সাহেবের ভাতিজা একসাথে পিটায়ে পিঠের চামরা তুইলা নিছে। এই অবস্থায় আপনার কাছে একটা কুইসসেন(প্রশ্ন), “মানবতার চীৎকুরটা প্রথম কার মুখ দিয়ে বের হবে?”

নিশ্চয় আপনার মুখ দিয়ে, তাই নয় কি?

কারন একটাই। আপনার পোলার প্রতিষ্ঠিত শরীরের চামড়াটি আপনি কর্তৃক পরোক্ষ এবং পতক্ষভাবে প্রতিষ্ঠিত। প্রতিবাদটা আরও আসতে পারে যথাক্রমে আপনার পোলার মামা থেকে, চাচা থেকে। তাও সেটা তথাকথিত রক্ত-সম্পর্কিত। অথবা পাশের পাড়ার করিম সাহেব থেকেও প্রতিবাদটা আসতে পারে। আবার নাও আসতে পারে। দেখবেন, সমাজের আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী ২% মানুষ হয়তো আপনাকে সান্ত্বনা দেবে, আবার নাও দিতে পারে কিন্তু পুরা সমাজের ৯৮% মানুষ চুপ থাকবে। কারণ কি জানেন? কারণ অন্য আরেক জলিল সাহেবের পোলারে যেদিন অন্য পাড়ার পোলারা পিটায়ে শরীরের চামরা তুইলা নিছে সেদিন আপনি ওই ৯৮% লোকের সমাজে ছিলেন। আশা করি, বুঝতে পারছেন”।




সমাজ, জাতি-গুষ্টি, দেশ এবং ধর্মীয়-সম্প্রদায় এভাবে নিজেদের চালিয়ে আসতেছে পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাবের পর থেকে। বঙ্গবন্ধু হত্যায় সবচে বেশী ক্ষতিগস্থ হয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিবার। তাই মানবতার প্রথম চিৎকারটা প্রথম বঙ্গবন্ধু পরিবার থেকে আসেছে। এরপর সমাজ, রাষ্ট্র এবং সর্বোপরি সবাই এগিয়ে এসেছে। আজ যদি প্রতিবাদ বা অভিযোগটা তার পরিবার থেকেই না আসত। তাহলে মুকুলেই ঝরে পড়তো বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারটা।



তাই এই অতি উৎসাহী সম্প্রদায়টাকে বলছি, আপনি প্যালেস্টাইন মুসলমান বা অন্য কোন মানবতা বিরুধি কর্মকাণ্ডের প্রতীবাদ করতে না পারেন। অন্তত চুপ থাকেন। নিজের মাথার খুলির দিকে তাকান আর চিন্তা করেন কয়টা মাথার খুলি উড়ে যাওয়ার প্রতীবাদ আপনি করেছেন? কখনো যদি গুলির আগাতে আপনার মাথার খুলি উড়ে যায়। আশা কইরেন না যে পুরা পৃথিবীর সব মানুষ আপনার মাথার খুলি উড়ে যাওয়ার প্রতিবাদে জাপাইয়া পড়বে। যদিনা আপনার পরিবার প্রথম প্রতিবাদ নিয়ে এগিয়ে না আসে। সুতরাং বাংলাদেশী মুসলমানরা প্যালেস্টাইন মুসলমানদের মানবতার জন্য চীৎকার-চেঁচামেচি করছে, তাতে আপনার এত মাথা ব্যথা কেন !!! ?

দয়া করে, অযাজিত বুদ্ধিজীবী হওয়ার চেষ্টা কইরেন না। সব জায়গায় সাম্প্রদায়িকতা খুজতে যাইয়েন না। কারণ আপনার নিজের চামড়ার সাম্প্রদায়িকতাকে আপনি লাগব করতে পারেননি। পরিহাস কইরেন না অন্যকে দয়া করে। কারণ একই পরিহাসের যোগ্য আপনি নিজেও।



এখানে স্পষ্টভাবে দেখতে যাচ্ছে, এই সম্প্রদায়টা ‘তথাকথিত সাম্প্রদায়িকতা’র বিরুদ্ধে লাগতে যেয়ে অন্য আর একটা ‘নোংরা মৌলবাদী সম্প্রদায়’ হিসেবে গড়ে উঠছে, এতে কোন সন্দেহ নাই।

এই সম্প্রদায়টা আর যেন লক্ষ্যভ্রষ্ট না হোক এটাই বিধাতার কাছে প্রত্যাশা।

আমীন। .../:)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.