নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মায়াময় illusory

দুখ-কষ্টকে নেশার মতো করে নাও, যত বেশি দুখ-কষ্ট হবে তত বেশি নেশা হবে। নেশায় বুদ হয়ে যাও।

মায়াময়

তুমি নিজের জন্য যা ভালোবাস, সকলের জন্যও তা ভালোবাস। তোমার উপর কেউ অত্যাচার করে এটা যেমন তুমি চাও না, তেমনি অন্যের উপর ও অত্যাচার করো না। অন্যের মধ্যে যা খারাপ বলে তুমি মনে করো, নিজের মধ্যেও সেটা খারাপ বলে মনে করতে শেখো। তুমি যা জানো তাই ই বলবে। যা জানো না তা বলো না।------- হযরত আলী (রাঃ)

মায়াময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

" অসম্ভব রূপবতী একজন নারী "

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২২

অনেকক্ষণ থেকে আমি একটি বন্ধ দরজার সামনে দাড়িয়ে আছি। এই দরজাটি কার তা আমার জানার কথা নয় । আর আমি তা জানতেও চাই না। শুধুমাত্র অনাকাঙ্খিত বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেতেই এই দরজার সামনে আশ্রয় নেয়া। দরজার ওপাশ থেকে খুব করুণ সূরে মান্নাদে সাহেবের কন্ঠসর ভেসে আসছে, তিনি খুব করুণ সূরে গাইছেন “ সবাইতো সূখি হতে চায় কেউ সুখি হয় কেউ হয় না, জানি না বলে যা লোকে সত্যি কিনা, কপালে সবার নাকি সূখ সয় না ” বড়ই সত্য কথা, কপালে সবার সূখ সয় না ।
আমার সামনে মুষলধারে বৃষ্টি আর পশ্চাতে মান্নাদে সাহেবের করুণ কন্ঠস্বর , আমি বিমোহিত। মনটা কেমন যেন করছিলো। আমি আর দাড়িয়ে থাকতে পারছিলাম না, সূন্দর পরি-পাটি পোশাক গায়ে না থাকলে হয়তো বহু আগেই দু:খভারাক্রান্ত মন নিয়ে বৃষ্টিকে সঙ্গী করে পথে নেমে যেতাম। কিন্তু মনকে প্রশ্রয় দিলাম না। এমনিতেই গত দু’দিনের বৃষ্টিতে বহু কাপর নষ্ট হয়েছে। আর সম্ভব না।
কতক্ষণ দাড়িয়ে ছিলাম বলতে পারবো না, তবে হঠাৎ দরজা খুলে যাওয়াতে কিছুটা অসস্থিবোধ করলাম। বারো/তেরো বছর বয়সী একটা মেয়ে দরজার সামনে দাড়িয়ে আছে।বেশ রোগা পটকা টাইপের চেহারা। আমাকে দেখে ভূত দেখবার মত করে চম্কে উঠলো এবং সঙ্গে সঙ্গেই দরজা বন্ধ করেদিলো।

কিছুক্ষণ পর দরজার ওপাশ থেকে চিকার মত কন্ঠে কে যেন চি চি করে বল্ল আপনি কে, কাকে চান ? আমি উত্তর দিলাম না। চিকা কন্ঠ আবার চি চি করে বল্ল আপনি কে ? আমি এবারও উত্তর দিলাম না। এইবার চিকা কন্ঠসর বল্ল আপনি কি চান...কাকে চান....আপনার নাম কি ? আমি নিরুত্তরই রইলাম। মান্নাদে সাহেবের গান বন্ধ হয়ে গেলো। আমি নিশ্চুপ দাড়িয়েই রইলাম।

কিছুক্ষণ পর অসম্ভব রূপবতী একজন নারী এসে দরজা খুল্লেন এবং নিশ্চুপভাবে আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন । চোখগুলো স্বচ্ছ কাঁচের মত। পেন্সিলে আঁকা নাকে নোলক আর দুধে আলতা গায়ের রং। ঠোটগুলো যেন গোলাপের পাপরী। কচুপাতা রঙের শাড়ী আর হাতভড়া কাঁচের চুড়ী, কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম আর শাড়ীর আঁচল কমোরে গোজা, হাতে খুনতী। অসম্ভব রূপবতী। বুকে ব্যাথা হবার মত রূপবতী। কে বলে বাঙালী নারী রূপবতী হয় না। আমি বিস্মিত এবং ‘থ’ হয়েগেলাম ।

আমি বল্লাম কেমন আছেন ?
সে চোখ বড় বড় করে বল্লেন আপনি কে ?
আমি কেউ না....I'm nobody.
কাকে চান ?
এক কাপ ‘র’ চা চাই আর একটা দেয়াশলাই চাই।
ফাজলামো করছেন ?
আপনি কি আমার বিয়াইনী লাগেন যে আপনার সাথে ফাজলামো করবো।
এখান থেকে চলে যান।
কেন ?
এটা আমাদের বাড়ী।
তো….
তো আপনি এখানে দাড়িয়ে থাকতে পারবেন না।
আমার অপরাধ ?
আপনি যাবেন কিনা বলেন ?
আমি যাবো না।
ওকে ফাইন ওয়েট এন সি….
অসম্ভব রূপবতী একজন নারী আমার সাথে এমন নিষ্ঠুর ব্যাবহার করছেন তা আমি ভাবতেই পারছি না। কিন্তু আমার চলে যেতেও মন চাইছে না, যদিও তিনি আমার মূখের উপর দরজা বন্ধ করে দিলেন।

একটু পর একটা হিন্দি গান শুরু হল “ সাওয়ান বারসে তারসে দিল, কিউ না নিখলে ঘারসে দিল….” তার পর আবার দরজা খুলে গেলো। অসম্ভব রূপবতী নারী আবার আমার সামনে এসে দাড়ালেন এবং বল্লেন আপনার সমস্যা কি ?
আমি লক্ষ করলাম এই অল্প সময়েই তিনি খুব সূন্দর করে সেজেছেন, চোখে মীনা কুমারীর মত করে কাজল দিয়েছেন এবং শরীর থেকে হালকা বেলী ফুলের সুবাস ভেেস আসছে।
আমি বল্লাম এক কাপ ‘র’ চা আর একটা দেয়াশলাই দিলেই চলে যাবো।
আপনি এমন করছেন কেন?
আমি কেমন করছি !
ধূরররর ছাই….বলে আবার দরজা বন্ধ করেদিলেন তিনি।
আমি ঠায় দাড়িয়ে রইলাম আবার দরজা খোলার অপেক্ষায়।

কিছুক্ষণ পর আবার দরজা খুলে গেলো............

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.