নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোড়া কাঠ আর শুকনো পাতার গন্ধ

ফা হিম

আমি হাত পেতে রই এ বৃষ্টি ছোব বলে/রাশি রাশি বৃষ্টির ফোটা ধুয়ে যায় আহত আমায়/তবু কখনো ধরা দেয় না।/www.facebook.com/imfaahim

ফা হিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঠগী - উপমহাদেশের এক বিষ্ময়কর ইতিহাস!

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

সেই মধ্যযুগের ভারতবর্ষ। তখন গাড়ি-ঘোড়া ছিল না, রেল-লাইন ছিল না, যাতায়ত করতে হত পায়ে হেটে কিংবা সামর্থ থাকলে ঘোড়ায় চড়ে। বুনোপথ দিয়ে হেটে হেটে গন্তব্যে পৌছাতে কখনো সপ্তা-খানেকও লেগে যেত। যাত্রাপথে দেখা হত আরো এমন পথিকের সাথে, সঙ্গী মিলে যেত, দল ভারী হত। এক সময় তাদের মত আরেকটি দলের দেখা পেয়ে যেত। গন্তব্য মিলে যাওয়ায় কিংবা পথ সবার একই বিধায় দলে ভীড়ে যায় পথিক। তারপর একদিন হাওয়া হয়ে যায়, নিরুদ্দেশ হয়ে যায় সে, তার আর নাম নিশানাও কোথাও খুজে পাওয়া যায় না।



"ঠগী" নামটা আগে শুনেছিলাম, কিন্তু তাদের অদ্ভূত এবং চিত্তাকর্ষক ইতিহাস পাই শ্রীপান্থের লেখা "ঠগী" নামের বইটিতে। কি রকম নির্মম, নির্বিকার, ঠান্ডা মাথার খুনী এই ঠগী তা কল্পণাকেও হার মানায়। কিভাবে ঠগীদের দল পথিকদের সুন্দর ব্যবহারে ভুলিয়ে-বালিয়ে নিয়ে যায়, তারপর পছন্দ মত কোন জায়গায় নিয়ে "ঝিড়নী" দিয়ে তাদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়, সে অনেকটা কিংবদন্তীর মত। অথচ এতে আয় হত খুবই কম, লুটের টাকা যদি একশ' জনের মধ্যে ভাগ হয় তো কি-ই বা থাকে। শুধু সামান্য টাকার জন্যই এত খুনো খুনী?









এক ইংরেজ ভদ্রলোকের হিসাব অনুযায়ী সে সময় বছরে গড়ে এভাবে মানুষ খুন হত চল্লিশ হাজার! আর এর বেশিরভাগই ঠগী'দের শিকার। এক-দুই নয়, তিন তিনটি শতাব্দি ধরে চলেছে এমন নিরব হত্যাযজ্ঞ।





এক টুকরো রুমাল


বেশি না, এক টুকরো কাপড় বা রুমালই হল হাতিয়ার। সেই রুমালে বিশেষভাবে গিট দিয়ে একটা ফাস বানানো হয়। এটাকে বলা হয় সিক্কা বা পেলহু।



পথ চলতে চলতে ঠগীর দল এক সময় শিকারের সন্ধান পেয়ে যায়। প্রথমে তাদের কথায় ভুলিয়ে দলে নিয়ে আসা হয়। পথিককে বলে, - "পথে কত কিছুর ভয় আছে, কখন কি হয়ে যায় ঠিক নেই। আসুন একসাথে গেলে ভয়টা কম হবে&"। এরকম নানা প্রলোভনে ভোলানো হয় তাদের। শিকার যদি টোপে ধরা দেয় তো ভালোই।



এরপর পথ চলতে থাকে, হয়তো পছন্দমত জায়গা খোজার জন্যই। তারপর একদিন দলের কারো সাথে গল্পে মশগুল হতে হয় পথিকের। গল্পের নেশায় পেয়ে বসে, কোথায় কি ঘটছে খেয়াল থাকে না তার।



আর ঠিক তখনি পিছন থেকে কেউ এসে রুমাল পরিয়ে দেয় গলায়। এক হেচকা টানে মুহুর্তেই মৃত্যু হয় পথিকের, কিছু বুঝে উঠার আগেই। এরপর হাত-পা ভেঙ্গে গাড় মটকে মাটিতে চাপা দেয়া হয়। এই হল ঠগীদের নিখুত খুনের নমুনা।









ঠগীদের জীবন-যাত্রা

একেবারে বাউন্ডুলে নয়, ঠগীদেরও সংসার আছে -- বউ, ছেলে, মেয়ে সব। অন্য আট-দশটা মানুষের সাথে তাদের কিছুমাত্র তফাত নেই, খুনী চরিত্রের ছিটেফোটাও নেই। বাড়িতেই থাকে, কাজ করে, সংসার দেখাশোনা করে।



তারপর বর্ষার পর পরই একদিন তারা নেমে পরে রাস্তায়। পথে দেখা হয় আরো অনেকের সাথে। নিজেদের চিনে নিতে কষ্ট হয় না, কারণ ওদের আছে নিজস্ব ভাষা। এমনি ভাষা, যার শব্দ ভান্ডার নিয়ে একটা প্রমাণ সাইজের ডিকশনারি হয়ে যাবে! চলতে থাকে তারা দূর-দূরান্তে। ধীরে ধীরে দল ভারী হতে থাকে। সবার ভিতর বিভিন্ন দায়িত্ব অর্পন করা থাকে।









যেতে যেতে তারা শিকারও পেয়ে যায়। একজন শিকার থেকে হয়তো তেমন কিছুই মেলে না। কিন্তু দল যত বড়ই হোক না কেন, সকলেই সমান ভাগ পায়। এইটা নিয়ে কোন রেষারেষি কখনোই হয় না।



বংশ পরম্পরায় চলে ঠগীদের এই পেশা। অনেক পিতাই তার সাত বছরের সন্তানকে নিয়ে যায় পথে। শিশুটি হয়তো কিছুই জানতে পারে না তার পিতা কি করছে, কিন্তু সেই শিশুও ডাকাতির ভাগ পেয়ে থাকে। ফেরার পথে সেই ভাগ থেকে কিনে দেয়া খেলনা বা অন্য কিছু পেয়ে সে বরং খুশিই হয়।



কখনো কখনো ঠগীদের মধ্যেই বিয়ে হয়, কখনো বা স্ত্রী জানতেই পারে না তার স্বামী একজন ঠগী। সে এক অদ্ভূত জগৎ!





পেশা? নেশা? নাকি আরো বেশি কিছু?

শুধু কি ডাকাতির জন্যই এত এত খুন? কিসের লোভে দিনের পর দিন এই হত্যাকান্ড?



এবার বিস্ময়কর তথ্যটা দিচ্ছি।



অবস্থা বিচারে এ সামান্য ডাকাতির পেশা নয়, একটা ধর্ম। ঠগীদেরও দেবতা আছে, নিজস্ব বিশ্বাস ও আচার আছে। ঠগীরা মনে করে তাদের উৎপত্তি মা ভবানীর ঘাম থেকে। কিংবদন্তী অনুসারে ভবানী আর রক্তবীজের লড়াই-এর ভিতর দিয়ে ঠগীদের জন্ম। সেই থেকে তারা মানুষ মেরে যাচ্ছে শুধু মা ভবানীর ভোগের উদ্দেশ্য। এতে নাকি তারা মানুষের উপকার করছে, কারণ তা না হলে ভবানী পুরো পৃথিবী শূণ্য করে দিত। বড় অদ্ভূত এ বিশ্বাস, যেখানে হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সবাই একত্র হয়েছে মা ভবানীর ছায়াতলে।



প্রতিবছর বর্ষার শেষেই শুরু হয় ঠগীদের ততপরতা। এসময় গোপনে কোদাল বানিয়ে সেটা মন্ত্রপূত করা হয়। এই কোদাল হল ঠগীদের আসল প্রতীক। পাঠা বলি দিয়ে ভোজ উৎসব করা হয়। তারপর তারা পথে নামে।



পথেরও আছে অনেক নিয়ম কানুন। মা ভবানী সব সময় ওদের গাইড করে। কোন পথে শেয়াল যায়, কোথায় পেচা ডাকে, কোথায় একটা কাক বা চিল উড়ে গেল, এইসব দেখেই তাদের পথচলা। আবার শিকার হাতে পেলেই "ঝিরনী" দেয় না, তাতেও মা'য়ের অনুমোদন চাই। কোন কোন সময় অশুভ সংকেতও নির্দেশ করে দেবী, না মানলেই দলের কারো মৃত্যুর আশংকা। সব মিলিয়ে এক অদ্ভূত জীবন ওদের।



ঠগী স্লীমেন









আরেক কিংবদন্তীর নাম উইলিয়াম স্লীমেন। ব্রিটিশ রাজের অধীনেই ভারতে আসে। কিন্তু শীঘ্রই তার অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠে ঠগী। প্রথম প্রথম কেউ পাত্তা দেয় না তেমন, এমনকি ব্যঙ্গ করে কেউ কেউ তাকে "ঠগী স্লীমেন" বলে ডাকত।



কিন্তু হার মানেননি তিনি, অনুসন্ধান চালিয়ে গেছেন। এবং একদিন সফলও হন তিনি, দেখিয়ে দেন ঠগী কোন রুপকথা নয়, বাস্তবতা। শুধু প্রমাণ দেখিয়েই ক্ষান্ত হননি, নিজের চেষ্টায় ভারতবর্ষ থেকে নির্মূলও করেন ঠগীদের। এক সাথে চালিয়ে গেছেন আইনী আর সামাজিক লড়াই।



মোটামুটি ১৮৩০ এর দশকেই একে ঠগীদের দল ধরা পরতে শুরু করে। বেরিয়ে পরে ঠগীদের অদ্ভূত ইতিহাস। দেখা যায় এ কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা না, বরং সেই সুলতানী আমল থেকেই চলে আসা এক ইতিহাস। সমগ্র ভারত জুড়ে আছে তাদের বিশাল নেটওয়ার্ক, যেমন উত্তরে, তেমনি দক্ষিণে। যদিও উত্তর-দক্ষিণের ভিতর বনিবনা ছিল না তেমন।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫১

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক বলেছেন: ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় প্রবাদ তাইলে এখান থেকেই আসছে... B:-)

লিখাটা ভালো লেগেছে। !:#P

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

ফা হিম বলেছেন: ঠিক, স্লীমেনে'রও এই দশা হয়েছিল। সবখানেই শুধু ঠগী আর ঠগী!! তারপরও কাজ চালিয়ে গেছেন।

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: হ্যা, এদের কথা আমি বেশ কয়েকটা জায়গায় পড়েছি। এদের অন্যতম অস্ত্র ছিলো লম্বা ও ওজনদার লাঠি, এইজন্য এদেরকে লাঠিয়াল বাহিনী বা এইরকম কি যেন বলা হতো। এই লাঠি দিয়েই পিটিয়ে পথিকদের মারতো আর যা ছিলো সব ছিনিয়ে নিত।

কাজেই ওল্ড ইজ গোল্ড বলে যারা হুলস্থুল বাঁধিয়ে ফেলেন তাদের এইসব ইতিহাস জানা উচিৎ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৬

ফা হিম বলেছেন: আপনি যাদের কথা বলছেন, এরা বোধহয় অন্য গোত্রের। ওই সময় এরকম আরো কিছু ডাকাত বাহিনীও ছিল। যেমন জলের ঠগী হল "ভাগীনা", তারপর ধুতুরিয়া, ফাসমনসা ইত্যাদি। এই ঠগীরা সাধারণত রুমালই ব্যবহার করত।

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: এত সুন্দর পোষ্ট যে লগ ইন না করে পারলাম না। দারুন একটা ইতিহাস জানতে পারলাম। আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ।

৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট । এ বিষয়ে আরো পোস্ট দিলে ভাল লাগবে ।
শুভেচ্ছা রইল ভাই ।

আর এ বিষয়ে পোস্ট না দিলেও অন্য কোন চমৎকার বিষয়ে পোস্ট দেবার
অনুরোধ রইল । অনেক ভাল লাগা রইল ।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৯

ফা হিম বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। চেষ্টা করব লিখে যেতে। ভালো থাকবেন।

৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ইন্টারেস্টিং একটা বিষয় নিয়েলিখেছেন। চমৎকার পোস্ট।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২১

ফা হিম বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৯

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।

পরিব্রাজক, বৌদ্ধ পন্ডিত হিউয়েন সাংকে নিয়ে দূর্গাপূজার একটি কাহিনী প্রচলিত আছে। চীনা ভাষায় রচিত বৌদ্ধ ধর্মের ব্যাখায় বিভ্রান্ত হয়ে তিনি বৌদ্ধ ধর্মের মূল পান্ডুলিপি সংগ্রহে ৬৩০ সালে ভারত সফরে আসেন। ভারত বর্ষের নানা বিহারে বিদ্যা অর্জন করেন। ৬৩৫-৬৪৩ পর্যন্ত দীর্ঘ আট বছর তিনি হর্ষবর্ধনের রাজ সভায় ছিলেন। তবে তার কাহিনী দূর্গা, কালী, কালীর আরেক রূপ চন্ডি নাকি বন দেবীকে নিয়ে-তা নিয়ে মতবেধ আছে। তবে তার রচনায় উল্লেখ করেছেন, হর্ষবর্ধন এর সময়ে দস্যু তস্কর এর উপদ্রব খুব বেশি ছিল এবং তিনি নিজেও একাধিক বার দস্যুর হাতে নিগৃহিত হয়েছিলেন। তার প্রবাস জীবনের কোন এক সময়ে গঙ্গাপথে (প্রাচীন গঙ্গারিডি) এই পরিব্রাজক কোন বৌদ্ধ বিহারে যাচ্ছিলেন। পথে দস্যুর কবলে পড়লেন। দস্যুরা তাকে দেবী দূর্গার সামনে বলি দেওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছে। কেউ মনে করেন, বন দেবী, কেউ মনে করেন কালী, কারণ প্রাচীনকালে নরমুন্ড ভোগ দেবার বিষয়টি বনদেবী বা কালী দেবীর জন্য প্রযোজ্য ছিল--যা এখন পাঠা দিয়ে পূরণ করা হয়। দূর্গা মাকে খুশী করার জন্য নরমুণ্ড ভোগ দেবার বিষয়টি ইতিহাস থেকে জানা যায় না। যাই হোক, বলির পূর্ব প্রস্ততি প্রায় শেষ, এমন সময় প্রচন্ড বেগে ঝড় ছুটে এল। সব আয়োজন ঝড়ের কবলে লন্ডবন্ড হয়ে গেল। ডাকাতরা জান বাঁচাতে পালাতে লাগল। সেই সুযোগে হিউয়েন সাংও পালিয়ে যান।
http://www.somewhereinblog.net/blog/sswapan/29984335



১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৫

ফা হিম বলেছেন: ইন্টারেস্টিং তো! অ্যাডভেঞ্চার গল্পের মত লাগল খুব।

৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার এক ইতিহাস তুলে এনেছেন ...
এই রকম আরেক দল এর নাম শুনেছি ঠেঙাড়ে ...
দূর থেকে লাঠি ছুড়ে প্রথমে মাটিতে ফেলেদিত তারপর সবাই মিলে লুটে নিত ।

পোস্ট এ +++

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৭

ফা হিম বলেছেন: হুম, উপমহাদেশে ডাকাত গোত্রের অভাব ছিল। হিংস্রতায়ও কেউ কারো চেয়ে কম নয়।

৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১১

অপু তানভীর বলেছেন: ঠগী ব্যাপারে প্রথমে জেনেছিলাম ইমন ভাইয়ের পোস্ট থেকে । আপনার পোস্ট টা পড়েও চমৎকার লাগলো !

ভাল থাকবেন !! :)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৫

ফা হিম বলেছেন: পোস্টটা আগে চোখে পরেনি। ইমন ভাইয়ের ব্লগ তো বিপুল তথ্যের ভান্ডার, কি নেই তার লেখায়!

ঠগী দেখানোর কারণে ইন্ডিয়ানা জোন্স সিরিজের মুভি সাময়িক নিষিদ্ধ, বেশ চিন্তার খোরাক জোগালো।

৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৬

নাইট রিডার বলেছেন: চমৎকার পোস্ট, ঠগী নামটা প্রথম শুনি ফেলুদার কোন একটি গল্পে, এরা রুমালের এক প্রান্তে একটা পাথর বেঁধে নিত, তারপর পিছন থেকে পেচিয়ে ধরে দিত হেচকা টান, তাতেই কাজ হয়ে যেত

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬

ফা হিম বলেছেন: হুম, সচলের এক পোস্টে এই তথ্যটা জেনেছিলাম। একটা কমিক্স ছবিও ছিল। গল্পটা পড়ার ইচ্ছা থাকল।

১০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৮

সুমন কর বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম। বর্ণনা অার ছবি মিলিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭

ফা হিম বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

১১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪৫

মহান অতন্দ্র বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম। চমৎকার লেখা কিন্তু ব্যাপারটা কি নৃশংস । ভাল থাকবেন ।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪০

ফা হিম বলেছেন: নৃশংসতার শেষ নেই। সে যুগে যেমন ছিল, এ যুগেও তাই। বরং আরো বেড়েছে!!

১২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫২

মৈত্রী বলেছেন:
শেষে এসে মনে হচ্ছে যেন হঠাৎ করেই লেখকের লেখার কালি শেষ হয়ে গেছে... :|

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

ফা হিম বলেছেন: :)

আসলে লিখতে গেলে মনে হয় অযথা বড় করে ফেলছি। অবশ্য আর কিছু লেখার ছিল না তেমন।

১৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১৯

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: দারুণ পোস্ট ++

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫২

ফা হিম বলেছেন: ধন্যবাদ

১৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:২২

ডি মুন বলেছেন:
দারুণ একটি বিষয় সম্বন্ধে জানলাম।
ঠগী - সম্পর্কে আগে কোনো ধারণাই ছিলো না। অনেক কিছু জানা হলো এ বিষয়ে।

এমন সুন্দর ব্যতিক্রমী পোস্ট দেয়ার জন্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

++++

পোস্ট প্রিয়তে নিলাম
শুভেচ্ছা :)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬

ফা হিম বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা। নতুন জানাতে পারাই ব্লগের স্বার্থকত।

১৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:০০

ডট কম ০০৯ বলেছেন: অজানা জিনিষ জানালেন ভায়া। আপনাকে ধন্যবাদ। এইরকম আরো পোষ্ট চাই।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮

ফা হিম বলেছেন: দিব, সুযোগ পেলেই দিব যতটা পারি।

১৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অজানা একটি পোস্ট নিয়ে লিখেছেন
চমৎকার

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

ফা হিম বলেছেন: ধন্যবাদ

১৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫৬

ধুম্রজ্বাল বলেছেন: কতজন মারা গেছে এদের হাতে জানেন ?
গীনিস বুক রেকর্ড অনুযায়ী আনুমানিক ঠগীরা প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত ।ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ ডঃ মাইক ড্যাশের অনুমান অনুযায়ী ১৮৩০ সালের ( উচ্ছেদ করার পূর্বে ) আগের ১৫০ বছরে তারা প্রায় ৫0,000 মানুষ মেরেছে। কেবল ১৮৩০ সালেই ঠগীরা প্রায় ৩০,০০০ মানুষ শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে; মৃতদেহ উৎসর্গ করত দেবী কালীকে।বেহরাম নামে এক কুখ্যাত গ্যাং লিডার নিজে ১৭৯০ থেকে ১৮৩০ পর্যন্ত ৯৩১ জনকে মেরেছে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯

ফা হিম বলেছেন: কি বিপুল সঙখ্যক মানুষ অপঘাতে মারা গেল, ভাবতেই শিউরে উঠতে হয়!

১৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। সামুতে এর আগেও ঠগী নিয়ে বেশ কিছু পোস্ট এসেছে। ব্লগার অপু তানভীর তো ইমন জুবায়ের ভাইয়ার লিঙ্কটা দিয়েছেনই, এছাড়াও ব্লগার সন্দীপন বসু মুন্নার একটা সিরিজ আছে ঠগী নিয়ে । এক বর্ষণ মুখর সন্ধ্যায় যখন এই সিরিজ গুলো নিয়ে বসেছিলাম........... শিউরে উঠেছি বারবার B:-)

গ্রন্থ.কমে একটা ইবুক আপলোড করা আছে শ্রীপান্থের নাম "ঠগী"। বাংলায় এর চেয়ে ভাল কোন বই পাইনি ঠগীদের নিয়ে।


ভালো থাকুন। আরো চমৎকার সব বিষয় নিয়ে লিখতে থাকুন :)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১১

ফা হিম বলেছেন: এই বইটাই, ঠিক এই বইটাই পোস্টটা করতে অনুপ্রাণিত করেছে। এবং বইটা গ্রন্থ.কম থেকেই পেয়েছি। সাইটটার প্রতি আবারও কৃতজ্ঞতা। :)

১৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: Curious mind wants to know ঢাকা শহরের মলম ও মরিচ পার্টির সদস্যরা "ঠগী" এর বংশ ধর কি না =p~ =p~

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৭

ফা হিম বলেছেন: কইতারি না ভাই, ওইতেও পারে! ;) ;) !:#P

২০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬

নেক্সাস বলেছেন: ভাই আগে জানতাম না। এত সুন্দর ঐতিহাসিক লিখার জন্য কৃতজ্ঞতা।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

ফা হিম বলেছেন: ধন্যবাদ

২১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭

ডি মুন বলেছেন:
@ মহামহোপাধ্যায়

বইটা ডাউনলোড করেছি।
লিঙ্কগুলোর জন্যে অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মহামহোপাধ্যায়।

শুভকামনা সবসময়।

২২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন...+++ লেখাটা মনে হল হঠাৎ করে শেষ হয়ে গেল :(

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩

ফা হিম বলেছেন: উপসঙহার কি লিখব ভাবতে ভাবতেই পোস্ট করে ফেলেছি :)

২৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৩

আলাপচারী বলেছেন: +++++ ঠগী তা হলে লিজেন্ড !!!!!!!!!!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪

ফা হিম বলেছেন: হুম...

২৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩৬

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: চমৎকার পোস্ট

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭

ফা হিম বলেছেন: ধন্যবাদ

২৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৪৫

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: দারুণ পোস্ট।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

ফা হিম বলেছেন: ধন্যবাদ

২৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ঠগী সম্বন্ধে আমারও আগে কোন ধারণা ছিল না। আপনার পোস্ট পড়লাম, পাশাপাশি মন্তব্যগুলো পড়ে আরও অনেক তথ্য পেলাম। নির্মম একটা ইতিহাস রচনা করেছিল ঠগী সম্প্রদায়। পোস্টটা দারুণ উপভোগ করলাম।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬

ফা হিম বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী। ভালো থাকবেন।

২৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০১

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

অসাধারন পোস্ট++++

চমকপ্রদ ইতিহাস তুলে ধরেছেন।

ভাল থাকবেন ভাই।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১৫

ফা হিম বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৫

আরমিন বলেছেন: বিদ্রোহী বাঙালী বলেছেন: ঠগী সম্বন্ধে আমারও আগে কোন ধারণা ছিল না। আপনার পোস্ট পড়লাম, পাশাপাশি মন্তব্যগুলো পড়ে আরও অনেক তথ্য পেলাম। নির্মম একটা ইতিহাস রচনা করেছিল ঠগী
সম্প্রদায়।


++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.