নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের দর্শন

পৃথিবীটা এমন একটি জায়গা যেখানে সবাই সুখী হতে চায়। কিন্তু খুব কম ব্যক্তিই সুখ উপভোগ করতে পারে। আর তাই সুখের পিছনে না ছুটে যে অবস্থায় আছেন, সেই অবস্থায়ই জীবনটাকে উপভোগ করুন।

প্রবাসী ভাবুক

সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।

প্রবাসী ভাবুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাউকে অন্ধকারে ঠেলে না দিয়ে রাষ্ট্রকেই দায়িত্ব নিতে হবে। রাষ্ট্রই হোক ব্যক্তির শেষ আশ্রয়স্থল।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

শুনলাম সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩০ থেকে ৩২ করা হচ্ছে। এটা অবশ্যই একটা ভাল উদ্যোগ। এমনিতেই একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন শেষ করতে করতেই প্রায় ২৫/২৬ বছর পার হয়ে যায়। কারও যদি গ্যাপ থাকে তাহলে তো কথাই নাই। এরপর আর বেশিদিন সুযোগ থাকে না চাকরি খোঁজার। তারপর আবার আমাদের দেশে চাকরির যে আকাল। চাকরি খুঁজতে খুঁজতে বয়স শেষ।

সবচেয়ে ভাল হয় চাকরির জন্য এরকম বয়স সীমা একেবারেই তুলে দেওয়া। ভাবতে কষ্ট হয় একজন ব্যক্তি কোন কারনে যদি ৩০ বছর বয়সের মধ্যে চাকরি না পায় তাহলে তার জীবনে আর সরকারি চাকরি হবে না। অথচ সেই ছোটবেলা থেকে কত স্বপ্ন নিয়ে বড় হয়েছে যে লেখাপড়া শিখে ভাল চাকরি করবে। সংসারের হাল ধরবে। অথচ ৩০ বছরের মধ্যে চাকরি না পাওয়ায় সব স্বপ্ন শেষ।

দেশে চাকরির যে প্রতিযোগিতা অনেক সময় অনেক মেধাবীরাও প্রতিযগিতায় টিকতে না পেরে তার জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাকরির সুযোগ থাকলে বয়স কমানো বা নির্ধারন করলেও সেটা মেনে নেওয়া যেত। এক একটি পদের বিপরীতে যখন কয়েক শত এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে কয়েক হাজার আবেদন পড়ে সেখানে নিশ্চিত অনেকেই যোগ্য থাকে। কিন্তু চাকরি হয় মাত্র একজনের। সেখানেও মামা-খালু, টাকা পয়সার লেনদেনের ব্যাপার থাকে। এরপরও একজন শিক্ষার্থী যখন ৩০ বছরের বয়স সীমার মধ্যে চাকরি না পায় তাকে অপাংক্তেয় হিসেবে ছুড়ে ফেলা হয়। সেই সাথে ছুড়ে ফেলা হয় বছরের পর বছর লালিত একটি জীবনের, একটি পরিবারের স্বপ্নকে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


যাকে চাকুরী করতে হয়, সরকারী চাকুরী হতে হবে যে কোন বিপদের সময়ের একমাত্র আশ্বাস ও আস্হার স্হল; তাই, সরকারী চাকুরীতে প্রবেশের সময় সীমা খোলা রাখতে হবে; যদি রিটায়ারমেন্ট হয় ৬৫ বছরে, ৬৪ বছর বয়স অবধি প্রবেশের সুযোগ রাখা লজিক্যাল।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: সেটাই হওয়া উচিত। যদি তাও না করে করতে পারে তবে রাষ্ট্রের উচিত কমপক্ষে একবার চাকরি পাওয়া পর্যন্ত সুযোগ দেওয়া। এরপর যদি সে স্বেচ্ছায় চাকরি ত্যাগ করে এরপরও সুযোগ না দিলে তাতে কোন আক্ষেপ থাকার কথা নয়। রাষ্ট্রের নিজে চাকরি দেওয়ার পর্যাপ্ত সামর্থ্য নাই তার উপর আবার বয়সের প্রতিবন্ধক্তা সৃষ্টি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

প্রামানিক বলেছেন: চাকরীর বয়স ৬৫ করলে চাকরী পাওয়ার বয়স ৩৫ করা দরকার। যাতে চাকরী প্রার্থীরা বয়স নিযে হা হুতাসে না পড়েন।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৯

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: জি প্রামাণিক ভাই৷ প্রয়োজনে ৬৫ থেকে কমিয়ে ৫৫ করে নতুন বেকারদের জন্য পদ সৃস্টি করা প্রয়োজন৷ তাতে বেকার সমস্যার লাঘব হবে৷

৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: পড়ালেখা শেষ করতে করতেই ঐ বয়স শেষ হয়ে যায়। চাকরির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সময় কই?
ভালো লেখা। :-&

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:২২

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: জি, সেটাই তো কথা। তার চেয়ে বড় কথা একজন মানুষ এর বয়স ৩০ এর উপ্রে চলে গেলে তো আর তার কর্মক্ষমতা শেষ হয়ে যায় না। তাহলে তাকে আইন করে চাকরির অযোগ্য করাটা তো চরম অন্যায়।

আপনাকে ধন্যবাদ রাজিয়া সুলতানা আপা। আমার ব্লগে স্বাগতম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.