নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের দর্শন

পৃথিবীটা এমন একটি জায়গা যেখানে সবাই সুখী হতে চায়। কিন্তু খুব কম ব্যক্তিই সুখ উপভোগ করতে পারে। আর তাই সুখের পিছনে না ছুটে যে অবস্থায় আছেন, সেই অবস্থায়ই জীবনটাকে উপভোগ করুন।

প্রবাসী ভাবুক

সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।

প্রবাসী ভাবুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মঙ্গল শোভাযাত্রার বিরোধিতা করলেই কিছু মানুষের গাত্রদাহ শুরু হয় কেন?

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:৫৯

মুক্তমনা বা বুদ্ধিজীবীদের কাছে পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙ্গালীর হাজার বছরের সংস্কৃতি বলে জিগির তুলতে শোনা যায়। বাস্তবে কি তাই? পোস্টটির মধ্যে কেউ আবার ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক গন্ধ খুঁজতে পারেন। তবে আমি তেমন কোন উদ্দেশ্যে পোস্টটি করছি না। সঠিকটা জানার জন্যই পোস্টটি করছি। আমার জানায় ভুল থাকলে কেউ সংশোধন করে দিলে খুশি হব।

ভারতবর্ষে মুঘল সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর সম্রাটরা হিজরী পঞ্জিকা অনুসারে কৃষি পণ্যের খাজনা আদায় করত। কিন্তু হিজরি সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সাথে মিলত না। এতে অসময়ে কৃষকদেরকে খজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করতেহত। খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। সম্রাটের আদেশ মতে তৎকালীন বাংলার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।

আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে হত। এর পর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হত। এই উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয় যার রুপ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে এই পর্যায়ে এসেছে। তখনকার সময় এই দিনের প্রধান ঘটনা ছিল একটি হালখাতা তৈরি করা। হালখাতা বলতে একটি নতুন হিসাব বই বোঝানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। গ্রাম, শহর বা বাণিজ্যিক এলাকা, সকল স্থানেই পুরনো বছরের হিসাব বই বন্ধ করে নতুন হিসাব বই খোলা হয়। হালখাতার দিনে দোকনদাররা তাদের ক্রেতাদের মিষ্টান্ন আপ্যায়ন করে থাকে। এই প্রথাটি এখনও অনেকাংশে প্রচলিত আছে।

বর্তমানে দেশে মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে বিভিন্ন মুর্তি বানিয়ে যেটা করা হয় বাস্তবে নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখের কোন সংস্কৃতি হওয়ার কোন যৌক্তিকতা নাই। বাংলা নববর্ষের বয়স পাঁচশ বছরও নয়। সেখানে হাজার বছরের ঐতিহ্য হয় কিভাবে? বড়জোর বাঙলি সংস্কৃতির বয়স হাজার বছরের হতে পারে। তবে সেটা বাংলা নববর্ষের নয়। যেহেতু খাজনা আদায়ের পুর্বের সেই পদ্ধতির অস্তিত্ব আর নাই তাই নববর্ষের ঐতিহ্য হতে পারে হালখাতা বা দোকানপাটের হিসাবের হালনাগাদ করা। পান্তা ইলিশ খাওয়া অধুনা আবিস্কৃত বিষয়। আবার মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে কোন অনুষ্ঠান সার্বজনীন কোন অনুষ্ঠান হতে পারে না। এটা কোন ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হতে পারে। আর এই আধুনিক যুগে এসে পেঁচা, হাতি, কাকপক্ষী বা জীবজন্তুর প্রতিমূর্তি বানিয়ে সেগুলো মঙ্গল এনে দেবে বলে মঙ্গল শোভাযাত্রার অভিনব উদ্ভাবন সত্যিই হাস্যকর।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কি আকবরের প্রচলিত ক্যালেন্ডারের নববর্ষ উপলক্ষে উৎসব করতে চান, নাকি ইুরোপের ১ লা জানুয়ারী, বা আরবদের হিজরী, বা ইহুদীদের নরবর্ষের সময় উৎসব করতে চান; নাকি আপনি ক্যালেন্ডারের বছর বদলানোে সময় উৎসব চান না? যেটা ভালো লাগে সেটা করেন; আপনার প্রতিবেশী সেটাই করুক, যেটা ওর ভালো লাগে।

সরকার কোনটাতে ছুটি দিচ্ছে?

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:১২

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: নববর্ষ পালনের বিরোধিতা আমি কখনোই করি না বা করার চিন্তাও আমার আসে নাই। আমি শুধু মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙ্গালীর হাজার বছরের ঐতিহ্য নয়। এটাই বলতে চেয়েছি। আধুনিক যুগে এসে পশুপাখির মুর্তি তৈরি করে সেটা মঙ্গল এনে দিবে বলে নতুন করে একটা সংস্কৃতি উদ্ভাবন মুর্খতা সেটাই বুঝাতে চেয়েছি। এমনকি যদি প্রাচীনকাল থেকেই বাংলা নববর্ষ এভাবেই পালিত হত তাহলে সেটাকে সংস্কৃতির অংশ হিসেবে পালন করলেও আপত্তি ছিল না।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৫৬

সুশান্ত হাসান বলেছেন: ভালো বলেছেন,,,মঙলশোভা যাত্রা নতুন সংস্কার!!

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:১৩

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: এটা কিভাবে হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হল এর ব্যাখ্যা কেউ দেয় না।

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন:
//আর এই আধুনিক যুগে এসে পেঁচা, হাতি, কাকপক্ষী বা জীবজন্তুর প্রতিমূর্তি বানিয়ে সেগুলো মঙ্গল এনে দেবে বলে মঙ্গল শোভাযাত্রার অভিনব উদ্ভাবন সত্যিই হাস্যকর।// -- সহমত !!!

ভাল থাকুন। সবসময়।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ! আপনিও ভাল থাকুন৷

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২৮

আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: ঠিক বলেছেন!সুন্দর। ধন্যবাদ!

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ মাসুম ভাই

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২৯

আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: ঠিক বলেছেন!সুন্দর। ধন্যবাদ!

৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৩৪

এ আর ১৫ বলেছেন: আবার মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে কোন অনুষ্ঠান সার্বজনীন কোন অনুষ্ঠান হতে পারে না। এটা কোন ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হতে পারে------- কি ভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হোল ?? এখানে কোন ধর্মের মন্ত্র বা সুরা বা রিচুয়াল করা হয় ??
আর এই আধুনিক যুগে এসে পেঁচা, হাতি, কাকপক্ষী বা জীবজন্তুর প্রতিমূর্তি বানিয়ে সেগুলো মঙ্গল এনে দেবে বলে মঙ্গল শোভাযাত্রার অভিনব উদ্ভাবন সত্যিই হাস্যকর। ---- কেউ কি দাবি করেছে মঙ্গল এনে দিবে ??? কোন প্রতি মুর্তি ছাড়া শোভা যাত্রা করলে কি মঙ্গল বহে আনবে তার গ্যারান্টি কি কেউ দিয়েছে ?? আপনারা কালচারাল ইথিকস আর ধর্মীয় বিলিফের মধ্য পার্থক্য বোঝেন না । ইসলামে কি ভাষ্কর্য হারাম করেছে ?? মৃর্তি পুজা করতে মানা করেছে তার মানে পুজা বিহিন মৃর্তি কি হারাম করেছে?? তাহোলে বাদশাহ সোলামান (রা) যিনি নবী ছিলেন তার ইচ্ছা পুরন করার জন্য আল্লাহ জীনদের দিয়ে গোটা নগরিতে ভাষ্কর্য কেন নির্মান করার নির্দেশ দিলেন --- সুরা সাবা আয়াত ১২ এবং ১৩
আয়াত ১২ --- আর আমি সোলায়মানের অধীন করেছিলাম বায়ুকে, যা সকালে এক মাসের পথ এবং বিকালে এক মাসের পথ অতিক্রম করত। আমি তার জন্যে গলিত তামার এক ঝরণা প্রবাহিত করেছিলাম। কতক জিন তার সামনে কাজ করত তার পালনকর্তার আদেশে। তাদের যে কেউ আমার আদেশ অমান্য করবে, আমি জ্বলন্ত অগ্নির-শাস্তি আস্বাদন করাব।
আয়াত ১৩ -- তারা সোলায়মানের ইচ্ছানুযায়ী দুর্গ, ভাস্কর্য, হাউযসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশাল ডেগ নির্মাণ করত। হে দাউদ পরিবার! কৃতজ্ঞতা সহকারে তোমরা কাজ করে যাও। আমার বান্দাদের মধ্যে অল্পসংখ্যকই কৃতজ্ঞ।

এখন বোলুন কি কারন পশু পাখি বাঘ ভাল্লুক হাতী ইত্যাদির প্রতিমুর্তি নিয়ে শোভা যাত্রা কেন হারাম ?? কোরান তো মানেন না মানেন কতক গুলো বিকৃত মিথ্যা হাদিস এবং মুর্খ কাট মোল্লার ফতুয়া

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:৩২

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: 'তাহোলে বাদশাহ সোলামান (রা) যিনি নবী ছিলেন তার ইচ্ছা পুরন করার জন্য আল্লাহ জীনদের দিয়ে গোটা নগরিতে ভাষ্কর্য কেন নির্মান করার নির্দেশ দিলেন।'- ভাস্কর্য নির্মাণ করতে আপনাকে কে নিষেধ করল? ভাস্কর্য্য শুধু জীবজন্তুর হতে হবে এমন কোন কথা নাই। আর জীবজন্তুর ভাস্কর্য্য কোন অবস্থাতেই করা যাবে না এটা আমি বলি নাই। সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য কোন কিছু নির্মান করাতে আমার কোন আপত্তি জানাই নাই। আর কোরআনের যেসব উদ্ধৃতি দিয়েছেন তার কোথাও জীবজন্তুর মুর্তি তৈরি করা যাবে কি যাবে না সে বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। তবে মুর্তি পুজা করা এবং মুর্তির কাছে কিছু কামনা করা বা তার দোহাই দিয়ে কিছু কামনা করা একই কথা। আর এটা হারাম! আল্লাহ তায়ালা বলেন:
وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَسُولًا أَنِ اُعْبُدُوا اللَّهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ (النحل 36
আর অবশ্যই আমি প্রত্যেক জাতির নিকট রাসূল প্রেরণ করেছি এই বলে যে, তোমরা এক আল্লাহর ইবাদত কর, আর তাগুত(তাগুত হচ্ছে ঐ সমস্ত ব্যক্তি বা জিনিস যাদের ইবাদত করা হয় আল্লাহকে ছেড়ে, আর তাতে তারা রাজী খুশী থাকে) থেকে বিরত থাক। (সূরা নাহল ১৬: ৩৬ আয়াত)

মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে জীবজন্তুর মুর্তি নিয়ে দেশের মঙ্গল কামনা বাঙালি সংস্কৃতির অংশ কখনোই ছিল না।
'এই আধুনিক যুগে এসে পেঁচা, হাতি, কাকপক্ষী বা জীবজন্তুর প্রতিমূর্তি বানিয়ে সেগুলো মঙ্গল এনে দেবে বলে মঙ্গল শোভাযাত্রার অভিনব উদ্ভাবন সত্যিই হাস্যকর। ---- কেউ কি দাবি করেছে মঙ্গল এনে দিবে ???' আপনি কোন গ্রহে থাকেন? মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্দেশ্য কি জানেন? জানলে আপনার উক্ত বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকার কথা আসত না।
'কোন প্রতি মুর্তি ছাড়া শোভা যাত্রা করলে কি মঙ্গল বহে আনবে তার গ্যারান্টি কি কেউ দিয়েছে ??'- এই গ্যারান্টি কেউ কখনোই দেয়নি বা কেউ দিতে পারে না। এটা অসম্ভব। যদি কেউ দেয় সে পাগল অথবা নির্বোধ।

মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে জীবজন্তুর মুর্তি নিয়ে দেশের মঙ্গল কামনা বাঙালি সংস্কৃতির অংশ কখনোই ছিল না। এটা অধুনা উদ্ভাবিত এবং কোন একটি ধর্ম থেকে আমদানিকৃত যারা মুর্তি পুজা বা মুর্তির নিকট কোন কিছু কামনা করে। এটা সবাইকে গ্রহণ করতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা থাকতে পারে না। পহেলা বৈশাখ একটি সার্বজনীন উৎসব। এটা এমন ভাবে পালিত হতে হবে যাতে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। আমার পোস্ট দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল, এসব জীবজন্তুর মুর্তি নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার বিরোধিতা করলেই কিছু মানুষের গাত্রদাহ শুরু হয় কেন? এটা যদি বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হত সেক্ষেত্রে কেউ আপত্তি করত না। এখন এটা যেহেতু বাঙালি সংস্কৃতির অংশ ছিল না সেহেতু সেটা কেউ মেনে নিতে না চাইলে নাই নিতে পারে। তথাকথিত মুক্তমনারা এই বিষয়টা সহ্য করতে না পারার কারণ কি? তারা কি জোর করে তাদের মতকে অন্যের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে চায়?

৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩

সমুদ্রতীর বলেছেন: জাতীয় উৎসব হতে হবে ধর্ম বিবর্জিত। কোন ধর্মের প্রভাবই সেখানে থাকা উচিৎ নয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা হাজার বছরতো দূরে থাক বাংলাদেশে শুরু হয়েছে ১৯৮৯সালে। যেহেতু পহেলা বৈশাখ কোন ধর্মীয় উৎসব নয়, সেহেতু এই মুর্তি মিছিল কোন অবস্থাতেই গ্রহনযোগ্য নয়।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:৪১

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: সার্বজনীন উৎসব হতে হবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। কিন্তু কিছু মানুষ নিজেদের সংস্কৃতি বাদ দিয়ে এমন কিছু অন্তর্ভুক্ত করতে চায় যা কোন ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক। এমনকি সেটা যদি বাঙালীর সংস্কৃতির অংশ হত সেক্ষেত্রে আপত্তি করার সুযোগ ছিল না। কিন্তু এটা কখনোই বাঙালি সংস্কৃতির অংশ ছিল না।

৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৪৯

এ আর ১৫ বলেছেন: সমুদ্রতীর -- যেহেতু পহেলা বৈশাখ কোন ধর্মীয় উৎসব নয়, সেহেতু এই মুর্তি মিছিল কোন অবস্থাতেই গ্রহনযোগ্য নয়।----- কি কারনে বলবেন কি ?? আপনি স্বীকার কোরলেন ওটা মুর্তি মিছিল পুজার মিছিল নয় তাহোলে কেন হারাম ?? যেখানে ইবাদত অন্তর্ভুক্ত নহে ।
আপনারা কালচারাল ইথিকস আর ধর্মীয় বিলিফের মধ্য পার্থক্য বোঝেন না । ইসলামে কি ভাষ্কর্য হারাম করেছে ?? মৃর্তি পুজা করতে মানা করেছে তার মানে পুজা বিহিন মৃর্তি কি হারাম করেছে?? তাহোলে বাদশাহ সোলামান (রা) যিনি নবী ছিলেন তার ইচ্ছা পুরন করার জন্য আল্লাহ জীনদের দিয়ে গোটা নগরিতে ভাষ্কর্য কেন নির্মান করার নির্দেশ দিলেন --- সুরা সাবা আয়াত ১২ এবং ১৩
আয়াত ১২ --- আর আমি সোলায়মানের অধীন করেছিলাম বায়ুকে, যা সকালে এক মাসের পথ এবং বিকালে এক মাসের পথ অতিক্রম করত। আমি তার জন্যে গলিত তামার এক ঝরণা প্রবাহিত করেছিলাম। কতক জিন তার সামনে কাজ করত তার পালনকর্তার আদেশে। তাদের যে কেউ আমার আদেশ অমান্য করবে, আমি জ্বলন্ত অগ্নির-শাস্তি আস্বাদন করাব।
আয়াত ১৩ -- তারা সোলায়মানের ইচ্ছানুযায়ী দুর্গ, ভাস্কর্য, হাউযসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশাল ডেগ নির্মাণ করত। হে দাউদ পরিবার! কৃতজ্ঞতা সহকারে তোমরা কাজ করে যাও। আমার বান্দাদের মধ্যে অল্পসংখ্যকই কৃতজ্ঞ।

৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৫৪

০ভন্ডবাবা বলেছেন: বাংলা সনের প্রবতর্ন করে মুসলিম শাসক আকবইরা বাঙ্গালীদের বাশ দিছে। আর এই বাশ খাইয়াও বাঙ্গালীরা আনন্দে লাফায়। view this link

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:০৮

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: নববর্ষ পালনে পৃথিবীর অন্য অনেক জাতির মত বাঙ্গালীরাও উৎসব করে। এটাকে স্বাভাবিক ভাবেই নেওয়া উচিত। আর এর প্রচলন যতদূর জানি খাজনা আদায়কে উদ্দেশ্য করে। কোন রাষ্ট্রে বসবাস করতে হলে খাজনা দিতে হবে এটাই স্বাভাবিক যদি সেটা জোর জবরদস্তি ও অবিচার করে নেওয়া না হয়।

১০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বর্তমান হালখাতার সমতুল্য।। ৭০ দশকের শেষ থেকে মধ্য ৮০ পর্যন্ত দেখেছি এটা।। বকেয়া পরিশোধ, কিছু ছেড়ে দেওয়া, সব মিলিয়ে তৎকালীন সময়ে ৮/১০ হাজারতো বেচেই যেত।। বন্ধুরাও যেত মিষ্টি খাবার লোভে।।
বড়ভাই আগের রাতেই সাবধান করে দিতো আগামীকাল তুই আমার কাছ থেকে দুরে থাকবি।।( অর্থাৎ দু'ভাইয়ে ছিল দা-কমড়ো সম্পর্ক)।।
আর মঙ্গল শোভাযাত্রার সঠিক ইতিহাস না বলতে পারলেও ( বোধহয় ৮৩/৮৪) শুধুই এটা বলতে পারি শফিক রেহমানের গুনগত মানেই আমাদের দেশে "ভালবাসা দিবসে"র আগমন।
আমি প্রচলিত কোন ধারার বিপক্ষে নই, কিন্তু তা যেন ফুটিয়ে তোলে আমাদের ঐতিহ্য।। ধার করে নয়, একেবারেই নিজস্ব।।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:২৯

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: হালখাতা গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। অনেকে ইচ্ছা করেই কিছু বাকী রাখত হালখাতার সময় দাওয়াত ও কিছুটা ছাড় পাওয়ার আশায়। মঙ্গল শোভাযাত্রা সম্ভবত ১৯৮৮/৮৯ থেকে শুরু হয়েছে।

দেশ ও জাতির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধারন করে এমন কোন প্রচলিত ধারার বিরোধিতা আমিও করি না। এমনকি নতুন কোন সংযোজনও গ্রহণ করতে প্রস্তুত যদি সেটা দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মতের সাথে সাংঘর্ষিক না হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.