নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের দর্শন

পৃথিবীটা এমন একটি জায়গা যেখানে সবাই সুখী হতে চায়। কিন্তু খুব কম ব্যক্তিই সুখ উপভোগ করতে পারে। আর তাই সুখের পিছনে না ছুটে যে অবস্থায় আছেন, সেই অবস্থায়ই জীবনটাকে উপভোগ করুন।

প্রবাসী ভাবুক

সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।

প্রবাসী ভাবুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে নিজেদের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করছে। সাংবাদিকরাও নিজেদের মতো করে মতামত প্রকাশ করছে। এ বিষয়ে আমি মোটেই অভিজ্ঞ না হওয়ার পরও আমার নিজের ধারণা থেকে যেটা মনে হচ্ছে-

ইউক্রেনের এই পরিণতির জন্য তাদের রাষ্ট্রপ্রধান ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারাই দায়ী। এই সামান্য হিসাবটুকু যদি না থাকে তাহলে তার পরিনতি এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক। একজন রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে এতোটুকু যদি না বুঝে থাকে তাহলে রাষ্ট্রপরিচালনা করবে কিভাবে? ইউরোপ কখনো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যাবে না যতক্ষণ পর্যন্ত সরাসরি তাদের কোন সদস্য রাষ্ট্রের উপর আঘাত আসে। ইউরোপের প্রধান গ্যাস যোগানদাতা রাশিয়া। ইউরোপের সবচেয়ে বড় দুই দেশের মধ্যে জার্মানির ৫০% ও ফ্রান্সের প্রায় ২০% গ্যাসের যোগানদাতা রাশিয়া। অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে চেক রিপাবলিকসহ কোনো কোনো দেশের ১০০% আবার কোনো কোনো দেশের অধিকাংশ গ্যাসের যোগান দেয় রাশিয়া। এছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বড় রকমের বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমঝোতা রয়েছে রাশিয়ার সাথে। এই সম্পর্ক ইউরোপীয় ইউনিয়ন গায়ে পড়ে কখনো নষ্ট করতে চাইবে না।

আমেরিকা কখনোই রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে জড়াবে না। শুধু রাশিয়া নয় কোন পরাশক্তিই কখনো সরাসরি নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ জড়াবে না এটা খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আমেরিকা এবং রাশিয়ার মধ্যে শীতল যুদ্ধ হয়তো রয়েছে। সেটা কখনো কখনো বাক যুদ্ধে পরিণত হয়। ঠিক ওই পর্যন্ত গিয়েই তাদের যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়। তবে মাঝেমধ্যে দেখা যায় আমেরিকা যখন কোন দেশকে আক্রমণ করে (যেমনঃ আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া ইত্যাদি) তখন রাশিয়া অন্যপক্ষের হয়ে কথা বলে মূলত নিজেদের অস্ত্র বিক্রির জন্য এবং ঠিকই অন্য পক্ষের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে। আর এসব যুদ্ধ-বিগ্রহ মূলত পরাশক্তিদের ব্যবসা। একপক্ষ আক্রমণ করে ওই দেশের ধন-সম্পদ, তেল বা খনিজ সম্পদ লুটেপুটে নেওয়ার জন্য। আর অন্য পক্ষ বিরোধিতা করে মূলত নিজেদের অস্ত্র বিক্রির জন্য। এখানে দুই পক্ষেরই লাভ রয়েছে। বাস্তবে রাশিয়া এবং আমেরিকা সরাসরি কখনোই যুদ্ধে লিপ্ত হবে না। কারণ সেখানে কোনো লাভ নেই বরং মারাত্মক ক্ষয় ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে উভয় পক্ষেরই।

রাজনীতিতে শত্রুর শত্রু মানেই হলো আমার মিত্র। যেমন ভারতের শত্রু পাকিস্তান আবার ভারতের শত্রু চীন। এ কারণে চীন এবং পাকিস্তানের মধ্যে যতই নীতিগত পার্থক্য থাকুক না কেন তারা দুটো মিত্র। কারণ দুজনেরই শত্রু ভারত। মূলত শত্রুকে কোণঠাসা করার জন্যই কোন প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে পরাশক্তিরা ব্যবহার করে থাকে। এখানে ইউক্রেন ঠিক একইভাবে আমেরিকার দ্বারা ব্যবহৃত হয়েছে। আমেরিকা কখনোই রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ করবে না। ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য নয়। সুতরাং এখানে ন্যাটোও সৈন্য পাঠাবে না। তারা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য নয়। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের স্বার্থসংশ্লিষ্টতা ইউক্রেনের চেয়ে রাশিয়ার সাথে বেশি। মুখে যত বিরোধিতাই করুক না কেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে সেই সম্পর্ক নষ্ট করবে না। তাই তারা শুধুমাত্র মৌখিক বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। আর আমেরিকার জন্য এটাতো স্বাভাবিক ব্যাপার রাশিয়ার বিরুদ্ধে মৌখিক বিবৃতি দেওয়া। একেতো রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ দ্বিতীয়তঃ ইউক্রেনের তেমন কোনো পেট্রোল বা স্বর্ণ বা হীরার মতো কোনো দামি খনিজ সম্পদও নেই। আমেরিকা কিজন্য ইউক্রেনকে সহযোগিতা করবে? এই সামান্য বুদ্ধি না থাকার কারণে হয়তো ইউক্রেনের আংশিক বা পুরোটাই রাশিয়ার পেটে চলে যাবে।
অবশ্য তাদের মধ্যে ভাষা ও সংস্কৃতিগত তেমন কোন পার্থক্য নেই। যে কারণে সাময়িক বিরোধিতা থাকলেও একটা সময় জনগণ স্বাভাবিক ভাবেই মেনে নিবে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০৩

সোনাগাজী বলেছেন:



লজিক্যাল

০১ লা মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৩৪

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: বাস্তবতা হলো- "might is right." যে যতই নীতি কথা বলুক সবাই তার দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা করে। পরাশক্তিরা নিজেদের মানবতার ঝান্ডাবাহী হিসেবে জাহির করলেও তার বিভিন্ন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে লক্ষ লক্ষ মানুষ খুন করতেও দ্বিধা বোধ করে না শুধু মাত্র সেই দেশের সম্পদ লুটপাট করে নেওয়ার জন্য। তবে কোন পরাশক্তির বিরুদ্ধে কখনোই যুদ্ধে জড়ায় না।

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৫

বিটপি বলেছেন: লজিক্যাল নয়। ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার কিজন্য যেন খুব চুলকায়। প্রায় বিনা প্রতিরোধে ক্রিমিয়া ছিনিয়ে নেয়ার পর যখন রাশিয়া বুঝল ইউক্রেনের শরীরটাই বড়, কিন্তু গায়ে তেমন জোর নেই, তখন কেন না আমার জোর এর উপরেই খাটাই। তাই এখন প্রবল পরাক্রমশালী রাশিয়া নিজের মুঠোর জোর পরীক্ষা করার জন্য ইউক্রেনকেই বেছে নিল।

তাও রাশিয়া একদিক থেকে ভালো। ফকিরা আমেরিকানদের মত যুদ্ধ করার জন্য বিশ্বের দরিদ্রতম দেশ আফগানিস্তান বা বছরের পর বছর অবরোধে পর্যুদস্ত ইরাকের মত দেশের সঙ্গে শক্তি দেখাতে যায়নি।

০১ লা মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৪০

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: আপনার মন্তব্য হয়তো সঠিক একারণে যে রাশিয়া অন্যায় ভাবে ইউক্রেনকে আক্রমণ করেছে। তবে আমার লেখার উদ্দেশ্য মূলত যুদ্ধের সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে। এখানে কে ন্যায় বা অন্যায় করছে তা নিয়ে নয়। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: যুদ্ধ যদি লম্বা সময় ধরে চলে তাহলে প্রভাব ভালো পরিমাণে ফেলবে। বাংলাদেশের সাথে ইউক্রেন এবং রাশিয়া ২জনের সাথেই সম্পর্ক ভালো এবং অনেক বানিজ্য হয়।

০১ লা মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৪৪

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: শুধু বাংলাদেশ নয় সারা পৃথিবীর অর্থনীতি তেই প্রভাব পড়বে। রাশিয়ার সাথে সারা পৃথিবীর সাথেই ছোট বড় বাণিজ্য রয়েছে। ইউক্রেনের সাথে কিছুটা কম হলেও বর্তমান বিশ্বে প্রত্যেকটি দেশই কমবেশি প্রত্যেক দেশের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জড়িত।

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: এই যুদ্ধের ফলে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার সাথে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে । ট্রেডিং ইকোনমিক্স এর তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালে ইউক্রেন ও ভারতের মধ্যে রপ্তানি হয়েছে ১.৯৭ বিলিয়ন ডলার । দুই দেশের মধ্যে প্রায় ৭২০.২১ মিলিয়ন ডলার আমদানি হয়েছে । একই সময়ে ভারত রাশিয়া থেকে ৫.৯৪ বিলিয়ন ডলার পণ্য আমদানি করেছে ।

০১ লা মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৪৭

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: ভারত রাশিয়ার পক্ষ নেওয়ায় ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ওপর ইউক্রেনের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আক্রমণের দৃশ্য নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের সাথে বাণিজ্যে প্রভাব পড়াটা অনেক টাই নিশ্চিত।

৫| ০২ রা মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৩২

জ্যাকেল বলেছেন: রাশা'র সাথে উক্রেনের সম্পর্ক সঠিক নহে বিধায় এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা হইতেছে। উক্রেনের সরকারের লোকেরা গোঁয়ারি করতেছে আমেরিকা/পশ্চিমা শক্তির ওপর ভরসা রেখে। এই যুদ্ধের ফল দেখবেন কিছুই না। মোটামুটি এক সপ্তাহের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি হইবে এবং ধীরে ধীরে অচলাবস্থা কেটে যাবে।

০২ রা মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৩০

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: কিন্তু ইউক্রেনের যে অর্থনৈতিক ক্ষয়-ক্ষতি হবে তা ইউক্রেনকে কমপক্ষে ২০ বছর পিছিয়ে দিবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.