নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লাইফটা ব্যলান্স এর উপরে। তাই নিত্য চেষ্টা করে যাই ব্যলান্স করতে।...

দিল ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা।

ইশতিয়াক মাহমুদ

নিতান্তই সাধারণ একজন মানুষ। মাঝে মাঝে বুকের ভেতরে জলোচ্ছাসের মত কিছু আবেগ অনুভব করি। কিন্তু প্রকাশ করার অভ্যাসটাই সেভাবে করে উঠতে পারলাম না।

ইশতিয়াক মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনু্বাদ সায়েন্স ফিকশন ছোট গল্প: দ্য ব্যাটল । মুল: রবা‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্ট শেকলি

১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ১:৩৭



ভারিক্কীচালে সুপ্রীম কমান্ডার মিটীং রুমে প্রবেশ করলেন।

রুমে তিনজন জেনারেল প্রত্যেকেই তটস্থ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন, তারা বুঝে গেছেন সময় এসে গেছে। এসে গেছে চূড়ান্ত সিদ্বান্তের সময় । সুপ্রীম কমান্ডারের সিদ্বান্ত এখনই হবে।

তার জেনারেলদের মুখের দিকে একবার তাকালেন কমান্ডার ফ্লেটারার, ঘড়ির দিকে অনেকটা অভ্যাসবশতই হয়ত তাকালেন। “আমরা যুদ্ধপরিকল্পনাটি আরেকটি বার যাচাই করে নেব”- সুপ্রীম কমান্ডার ফ্লেটারার ম্যাপের দিকে আঙ্গুল তুলে বললেন।

দেয়ালে ফুটে উঠেছে বিশাল সাহারার মরুভূমির ম্যাপ, অবশ্য চিত্র বিচিত্র বিভিন্ন সিম্বল আর ছোট ছোট লেখায় এটিকে সেই সুপরিচিত সাহারা মরু বলে চেনা দায়।

আমাদের সেরা প্রেততত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী সামনের দিকে থাকবে দৈত্য , দানব , প্রেতাত্বা এবং তার প্রধান অনুসারীরা, এরপরে ক্ষমতা অনুসারে বাকিরা, বা-য়েল বাম উইং এবং বে-য়ের ডান উইং এর নেতৃত্বে থাকবে, আর কেন্দ্রে থাকবে ইবলিস-শয়তান স্বয়ং। অবশেষে সে উপস্থিত হয়েছে, ধ‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্মীয়গ্রন্থে বহুভাবে ভবিষ্যত বাণী করা আর্মাগেডনন, মানব জাতির সর্বশেষ যুদ্ধের সময় উপস্থিত।

“অনেকটাই মধ্যযুগীয় যুদ্ধপন্থা”- অস্ফুটস্বরে বলে উঠলেন জেনারেল ডেল। কিছুটা অপ্রস্তুত দেখাল তাকে কথাটা বলার পরে।

প্রসন্ন হাসিতে ভরে গেল সুপ্রীম কমান্ডার ফ্লেটারারের মুখ, তিনি ভালভাবেই প্রস্তুত, সকলের প্রত্যাশার চাইতে অনেক ভাল ভাবে। তিনি জানেন তার সামনে কি আসছে। ভবিষ্যত তার পক্ষেই, এই ভাবনা তাকে উজ্জবিত করে তুলল।

হঠাত সুপ্রীম কমান্ডারের সেক্রেটারি প্রবেশ করল মিটিং এ , “স্যার, সেই ধর্মীয় পুরোহিত আবার এসেছে”
“তাকে না বললাম দেখা হবে না”-- বিরক্ত দেখায় ফ্লেটারারকে।

“বলেছি ত কিন্তু তিনি বলছেন আপনার সাথে কথা না বলে যাবেন না”— বিপন্ন মুখে বলল সেক্রেটারি।

বিরক্তিতে মুখটা কুঁচকে গেল কমান্ডারের, দুনিয়ার সকল রাষ্ট্র যখন ঐক্যমতে পৌচেছে, একটি সম্মিলিত সেনাবাহিনী গঠন করেছে এই যুদ্ধের জন্য, ঠিক তখনই শুরু হয়েছে কিছু আহাম্মক সিভিলিয়ান ধর্মবিদদের উতপাত।

যুদ্ধ সেনাবাহিনীর কাজ, আর সেটা সেনাবাহিনীরই করা উচিত সেটা এই বেকুবরা কোনদিন বুঝবে না।

"বের করে দাও তাকে" - সেক্রেটারিকে চোখ গরম করে আদেশ দিয়ে, আবার ঘুরে ম্যাপের দিকে তাকালেন সুপ্রীম কমান্ডার।

"শয়তানের ডিফেন্সের প্রথম লাইনে থাকবে পুনরূত্থান হওয়া পাপীরা এবং অন্য অশুভ শক্তিগুলো, পথভ্রষ্ট হওয়া ফেরেশতারা তার প্রধান শক্তি হিসেবে এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। জেনারেল ডেলের রবোটিক ইন্টারসেপ্টর বাহিনী তাদের এখানে বাধা দেবে"--কমান্ডার হাতের ছড়ি দিয়ে ম্যাপে একটা জায়গা নি‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্দেশ করলেন।

মৃদু হেসে সম্মতিজ্ঞাপন করলেন জেনারেল ডেল, ভিতরে জমে থাকা উত্তেজনাকে হয়ত বা এভাবেই চাপা দিলেন।

"সংঘর্ষ শুরু হলেই জেনারেল ম্যকফের স্বয়ংক্রিয় ট্যাঙ্ক বাহিনী কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হবে, শয়তানের ডিফেন্স ভেঙ্গে আগানোটাই হবে তাদের লক্ষ্য, তাদেরকে সহয়তা দিয়ে এগোতে থাকবে জেনারেল ওনেগিনের পদাতিক রোবট বাহিনী।"-- বলে চললেন কমান্ডার।

"জেনারেল ডেল পিছন থেকে আমাদের সেরা অস্ত্র হাইড্রোজেন বোমা ড্রপ করবে, আমি আমার মেশিনের সাজোয়া বাহিনী নিয়ে এই দুই জায়গা দিয়ে প্রবেশ করব" -- বলেই একটু থামলেন কমান্ডার, তার সেক্রেটারি আবার দেখা দিয়েছে দরোজায়।

"স্যার ধর্মপুরোহিত বলছেন, আপনার সাথে কথা না বলে তার নাকি ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়"-- সেক্রেটারি।

"ভিতরে পাঠিয়ে দাও তাকে"--কমান্ডার বিরক্ত মুখে অবশেষে অনুমোদন দিলেন। লোকটা তাড়াতাড়ি বিদায় হলেই আবার দ্রুত ব্রিফিং শুরু করার চিন্তা তার।

ধর্মপুরোহিত দেখে পুরোহিতের পরিবর্তে কোন বড় ক‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্পোরেট একজিিকউটিভই মনে হতে পারে, তার পরে থাকা চকচকে বিজনেস স্যুটের কারণে বুঝা যাচ্ছিল না, তিনি আসলে কোন ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করছেন।

"আমাকে সকল ধর্মের প্রতিনিধি হিসেবে এখানে পাঠানো হয়েছে"- জেনারেল এর সপ্রশ্ন চাহনির জবাবটি দিলেন প্রতিনিধি নিজেই।
"আমরা এই লড়াইয়ে অংশ নিতে চাই। প্লিজ কমান্ডার, আপনার পরিকল্পনায় কোন একটি স্থান আমাদের দিন"

"আপনারা মানে একজন মানুষ যুদ্ধক্ষেত্রে! এটা পাগলামি ছাড়া আর কিছুই নয়!"
"কোন ভাবে, কমান্ডার , কোন ভাবে কি হয় না? এটা শেষ যুদ্ধ, এটা তার যুদ্ধ , তিনি নেমে আসবেন যুদ্ধ শেষে, সবাইকে উদ্ধার করতে, মানুষের অবশ্যই এখানে অংশ নেয়া উচিত।"

"আপনার কি কোন ধারণা আছে , বর্তমান রোবটিক মেশিন নির্ভর যুদ্ধক্ষেত্র সম্পর্কে, যুদ্ধক্ষেত্রে যে আলট্রাসনিক শব্দ তৈরী হয় তা একশ মাইল দূরে থাকলেও কেউ সহ্য করতে পারবে না, পারমানবিক তেজস্ক্রিয়তা, উত্তাপ, এসবের কথা তো বাদই দিলাম। নরকের সেনাবাহিনী আর আমাদের মেশিন শুধু এই ভয়ানক যুদ্ধক্ষেত্রে টিকে থেকে লড়াই চালিয়ে যেতে পারবে।"

"কিন্তু তারপরও যুদ্ধশেষে তিনি আসবেন, মানুষের থাকা উচিত এই মহান যুদ্ধক্ষেত্রে।"

"আমরা কোন সুযোগ নিতে চাই না, আপনি কি জানেন নরকের সেনাবাহিনীর আসল শক্তি কি? আমাদের কাছে থাকা সেরা অস্ত্র গুলোই ব্যবহার করতে হবে, এটা আমার একার সিদ্বান্ত না, সমগ্র পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রের সম্মিলিত সিদ্বান্ত এটি, আপনি নিশ্চয়ই হারতে চান না"--কন্ঠ উচু করলেন কমান্ডার।

"না, অবশ্যই তা নয়"-- অপ্রস্তুত দেখায় ধর্ম প্রতিনিধিকে।

"তাহলে আপনি যেতে পারেন, আমার সামনে একটা যুদ্ধ আছে, যেটাতে আমাকে লড়তে হবে, জয়ী হতে হবে।"--আলোচনার সমাপ্তি টানলেন কমান্ডার।

একরাশ হতাশা নিয়েই কক্ষ ত্যাগ করলেন ধর্ম প্রতিনিধি।

"এইসব বিরক্তিকর সিভিলিয়ান সহ্য করাই কষ্ট" মুখ বাকালেন কমান্ডার। "জেনারেল আপনাদের প্রস্তুতি কি রকম?"- অপ্রসন্ন ভাবেই জানতে চাইলেন কমান্ডার।

একশ ভাগ, প্রতিটি রোবটের সবরকম হা‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার বার বার চেক করে নেয়া হয়েছে। পাওয়ার সাপ্লাই সো‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্স সঠিকভাবে কাজ করছে। প্রকৃতপক্ষেই সম্পূর্ন আর্মি যুদ্ধের জন্য উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছে। একটা আঙ্গুলের ইশারায় তারা ঝাপিয়ে পড়বে রণক্ষেত্রে। "
উতসাহের সাথে জানালেন জেনারেল ম্যকফে।

"আমাদের বিমান বাহিনী সম্পূন প্রস্তুত"- জেনারেল ডেলের সংক্ষিপ্ত উত্তর।

"স্থল বাহিনীও"- জেনারেল ওনেগিন যোগ করলেন।

খুশী হলেন কমান্ডার। "টেলিভিশনে যুদ্ধটি দেখানো হবে, পুরা মানবজাতির কেউই এই যুদ্ধটি দেখা থেকে বাদ থাকবে না , সবাই দেখবে আমাদের বিজয় গাথা"

"কিন্তু যুদ্ধশেষে কি তিনি আসবেন?"- জেনারেল অনিগিন শুরূ করলেন মূল এবং সবচাইতে অস্বস্তিকর আলোচনা ।

কমান্ডার গভীর চিন্তায় ডুবে গেলেন, এই অংশটুকু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বিষয়, বেশ খানিকটা বিতর্কিতও বটে।

"আমার ধারণা যুদ্ধশেষে অবশ্যই কিছু একটা হবে।" অবশেষে বললেন কমান্ডার।

"তার মানে আমাদের সাথে তার দেখা হবে, তাই নয় কি?" - জেনারেল অনিগিন

"আমি জানি না, হতেও পারে। তুমি নিশ্চয়ই জানো বিষয়টা কতখানি অনিশ্চিত..."- অস্বস্তি অনুভব করেন কমান্ডার।

"তিনি যদি আসেনই, আমরা কি পোষাকে যাব, মানে আমরা ঠিক কি করব?"- জেনারেল ম্যকফে জানতে চাইলেন।

"আমরা আমাদের ইউনিফর্মেই যাব, শুধু পদক গুলা রেখে, সেটা ঔদ্ধত্য দেখানো হয়ে যাবে"- কমান্ডার জানালেন সবজান্তা ভঙ্গিতে।

"আচ্ছা জেনারেলরা কি বিশেষ পোশাকে যেতে পারবেন?"- জেনারেল ম্যকফে বেশ আগ্রহী ভাবে জিজ্ঞেস করলেন।

"মনে হয় আল্লাখেলা জাতীয় কিছু, আমাদেরকে কি স্বর্গে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হবে? আপনার কি মনে হয় কমান্ডার?" - জেনারেল ওনেগিনকেও বেশ আগ্রহী দেখায়।

কমান্ডার বুঝলেন আলোচনা এখানেই শেষ করা উচিত, যা অনিশ্চিত তা অনিশ্চিত থাকাই ভাল, তাছাড়া যুদ্ধের সময়ও উপস্থিত । অবশেষে। যুদ্ধ।

-------------------------------------------------------------------------

মরুভূমিতে নরকের বাহিনীতে বালুঝড় তুলে এগিয়ে আসছে, ভয়ানক এক অশুভ দামামা বাজাচ্ছে দানবের দল। তাদের অস্ত্র চকচক করছে রক্তের আশায়, মানুষের রক্তের আশায়।

কিন্তু মরুভূমির লাল আকাশ কালো করে অপেক্ষা করছে জেনারেল ডেলের বিমান বাহিনী। বালির চাইতে মনে হচ্ছে ওনেগিনের গ্রাউন্ড ট্রুপসের সংখ্যা বেশী ।

শুরু হল যুদ্ধ, শয়তান আর দানবদের ভয়াবহ আক্রমণ, পথভ্রষ্ট ফেরেশতাদের আত্বঘাতী হামলায় আসলেই যুদ্ধক্ষেত্র পরিণত হল নরকের অগ্নিকুন্ডে।

পতিত পাপীদের ভয়াবহ আক্রমণে পিছু হটছিল যান্ত্রিক বাহিনী, হতবাক হয়ে টেলিভিশনের পর্দায় এই ভয়াবহ দৃশ্য দেখছে পৃথিবীতে জীবিত থাকা প্রতিটা মানুষ।

কিন্তু মানুষের সৃষ্ট যন্ত্র তাদেরকে হতাশ করে না, যুদ্ধক্ষেত্রের হাজার মাইল দূরে থাকা জেনারেলদের সুদক্ষ পরিচালনায় পালটা আঘাত হানে রোবট-বাহিনী, নরকের সেনাবাহিনীর পক্ষে এই পক্ষে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলা সম্ভব হয় না, ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে তারা, উপূর্যপরি হাইড্রোজেন বোমার আঘাতে শেষে একেবারেই নির্মূল হয় শয়তানের বাহিনী। সম্পূর্ন ভাবে পরাজিত হল শয়তান, আর্মোগেডননের সম্পাপ্তি হল। মহাযুদ্ধের শেষ হল।

"আমরা জিতেছি, অভিনন্দন জেনারেলগন!"- সোল্লাসে বললেন সুপ্রীম কমান্ডার।

কিন্তু আনন্দোতসব শুরু হওয়ার আগেই টিভি পর্দায় কিছু ঘটতে শুরু করল।

যুদ্ধক্ষেত্রের ধবংসস্তুপে কিছু ঘটছে, একটি স্নিগ্ধ আলো ছড়িয়ে পড়ছে ভেঙ্গে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া রোবটিক শরীরের ইস্পাতের উপর।

"তিনি এসেছেন, তিনি এসেছেন, মানবজাতির উদ্ধার কর্তা এসেছেন"--চিতকার করে বলে উঠলেন জেনারেল ডেল।

"টিকে থাকা রোবটগুলো কে নীচু করাও!"-- কমান্ডার দ্রুত আদেশ দিয়ে উঠলেন। উত্তেজনা তার কন্ঠেও।

"আমরা রোবটিক সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলেছি!"- অবিশ্বাসের সাথে জানালেন জেনারেলরা।

ভেঙ্গে পড়া রোবট, ট্যাঙ্কগুলো দ্রুত জোড়া লেগে যাচ্ছে, আর যুদ্ধক্ষেত্রের মধ্যে হেঁটে বেড়াচ্ছেন তিনি। চারিপাশ আলোতে উজ্জ্বল হয়ে উঠছে, নারকীয় যুদ্ধক্ষেত্র যেন পরিণত হচ্ছে এক স্বপ্নের বাগানে।

"তিনি রোবটদের করুনা করছেন, রোবটদের"- পাগলের মত অস্থির হয়ে উঠলেন জেনারেল ওনেগিন।

"তাকে কেউ জানাও! কেউ যাও! নাকি আমরাই যাব! দ্রুত চল"- বলেই উঠে দাড়ালেন কমান্ডার, কিন্তু তার আর নড়বার সুযোগ হল না।

রোবট আর মেশিনরা ধীরে ধীরে আকাশে উঠতে শুরু করল, সেই সাথে তিনিও ভাসতে থাকলেন। কমান্ডার ফ্লেটারার আর তার জেনারেলরা যুদ্ধক্ষেত্রে পৌছানোর আগেই মানবজাতির শেষ মেসিয়াহ, শেষ উদ্ধারকর্তা, কিছু যন্ত্রদানব উদ্ধার করে আকাশে বিলীন হয়ে গেলেন।

আর্মোগেডননের সমাপ্তির শেষ দেখা হল।ভারিক্কীচালে সুপ্রীম কমান্ডার মিটীং রুমে প্রবেশ করলেন।

রুমে তিনজন জেনারেল প্রত্যেকেই তটস্থ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন, তারা বুঝে গেছেন সময় এসে গেছে। এসে গেছে চূড়ান্ত সিদ্বান্তের সময় । সুপ্রীম কমান্ডারের সিদ্বান্ত এখনই হবে।

তার জেনারেলদের মুখের দিকে একবার তাকালেন কমান্ডার ফ্লেটারার, ঘড়ির দিকে অনেকটা অভ্যাসবশতই হয়ত তাকালেন। “আমরা যুদ্ধপরিকল্পনাটি আরেকটি বার যাচাই করে নেব”- সুপ্রীম কমান্ডার ফ্লেটারার ম্যাপের দিকে আঙ্গুল তুলে বললেন।

দেয়ালে ফুটে উঠেছে বিশাল সাহারার মরুভূমির ম্যাপ, অবশ্য চিত্র বিচিত্র বিভিন্ন সিম্বল আর ছোট ছোট লেখায় এটিকে সেই সুপরিচিত সাহারা মরু বলে চেনা দায়।

আমাদের সেরা প্রেততত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী সামনের দিকে থাকবে দৈত্য , দানব , প্রেতাত্বা এবং তার প্রধান অনুসারীরা, এরপরে ক্ষমতা অনুসারে বাকিরা, বা-য়েল বাম উইং এবং বে-য়ের ডান উইং এর নেতৃত্বে থাকবে, আর কেন্দ্রে থাকবে ইবলিস-শয়তান স্বয়ং। অবশেষে সে উপস্থিত হয়েছে, ধ‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্মীয়গ্রন্থে বহুভাবে ভবিষ্যত বাণী করা আর্মাগেডনন, মানব জাতির সর্বশেষ যুদ্ধের সময় উপস্থিত।

“অনেকটাই মধ্যযুগীয় যুদ্ধপন্থা”- অস্ফুটস্বরে বলে উঠলেন জেনারেল ডেল। কিছুটা অপ্রস্তুত দেখাল তাকে কথাটা বলার পরে।

প্রসন্ন হাসিতে ভরে গেল সুপ্রীম কমান্ডার ফ্লেটারারের মুখ, তিনি ভালভাবেই প্রস্তুত, সকলের প্রত্যাশার চাইতে অনেক ভাল ভাবে। তিনি জানেন তার সামনে কি আসছে। ভবিষ্যত তার পক্ষেই, এই ভাবনা তাকে উজ্জবিত করে তুলল।

হঠাত সুপ্রীম কমান্ডারের সেক্রেটারি প্রবেশ করল মিটিং এ , “স্যার, সেই ধর্মীয় পুরোহিত আবার এসেছে”
“তাকে না বললাম দেখা হবে না”-- বিরক্ত দেখায় ফ্লেটারারকে।

“বলেছি ত কিন্তু তিনি বলছেন আপনার সাথে কথা না বলে যাবেন না”— বিপন্ন মুখে বলল সেক্রেটারি।

বিরক্তিতে মুখটা কুঁচকে গেল কমান্ডারের, দুনিয়ার সকল রাষ্ট্র যখন ঐক্যমতে পৌচেছে, একটি সম্মিলিত সেনাবাহিনী গঠন করেছে এই যুদ্ধের জন্য, ঠিক তখনই শুরু হয়েছে কিছু আহাম্মক সিভিলিয়ান ধর্মবিদদের উতপাত।

যুদ্ধ সেনাবাহিনীর কাজ, আর সেটা সেনাবাহিনীরই করা উচিত সেটা এই বেকুবরা কোনদিন বুঝবে না।

"বের করে দাও তাকে" - সেক্রেটারিকে চোখ গরম করে আদেশ দিয়ে, আবার ঘুরে ম্যাপের দিকে তাকালেন সুপ্রীম কমান্ডার।

"শয়তানের ডিফেন্সের প্রথম লাইনে থাকবে পুনরূত্থান হওয়া পাপীরা এবং অন্য অশুভ শক্তিগুলো, পথভ্রষ্ট হওয়া ফেরেশতারা তার প্রধান শক্তি হিসেবে এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। জেনারেল ডেলের রবোটিক ইন্টারসেপ্টর বাহিনী তাদের এখানে বাধা দেবে"--কমান্ডার হাতের ছড়ি দিয়ে ম্যাপে একটা জায়গা নি‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্দেশ করলেন।

মৃদু হেসে সম্মতিজ্ঞাপন করলেন জেনারেল ডেল, ভিতরে জমে থাকা উত্তেজনাকে হয়ত বা এভাবেই চাপা দিলেন।

"সংঘর্ষ শুরু হলেই জেনারেল ম্যকফের স্বয়ংক্রিয় ট্যাঙ্ক বাহিনী কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হবে, শয়তানের ডিফেন্স ভেঙ্গে আগানোটাই হবে তাদের লক্ষ্য, তাদেরকে সহয়তা দিয়ে এগোতে থাকবে জেনারেল ওনেগিনের পদাতিক রোবট বাহিনী।"-- বলে চললেন কমান্ডার।

"জেনারেল ডেল পিছন থেকে আমাদের সেরা অস্ত্র হাইড্রোজেন বোমা ড্রপ করবে, আমি আমার মেশিনের সাজোয়া বাহিনী নিয়ে এই দুই জায়গা দিয়ে প্রবেশ করব" -- বলেই একটু থামলেন কমান্ডার, তার সেক্রেটারি আবার দেখা দিয়েছে দরোজায়।

"স্যার ধর্মপুরোহিত বলছেন, আপনার সাথে কথা না বলে তার নাকি ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়"-- সেক্রেটারি।

"ভিতরে পাঠিয়ে দাও তাকে"--কমান্ডার বিরক্ত মুখে অবশেষে অনুমোদন দিলেন। লোকটা তাড়াতাড়ি বিদায় হলেই আবার দ্রুত ব্রিফিং শুরু করার চিন্তা তার।

ধর্মপুরোহিত দেখে পুরোহিতের পরিবর্তে কোন বড় ক‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্পোরেট একজিিকউটিভই মনে হতে পারে, তার পরে থাকা চকচকে বিজনেস স্যুটের কারণে বুঝা যাচ্ছিল না, তিনি আসলে কোন ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করছেন।

"আমাকে সকল ধর্মের প্রতিনিধি হিসেবে এখানে পাঠানো হয়েছে"- জেনারেল এর সপ্রশ্ন চাহনির জবাবটি দিলেন প্রতিনিধি নিজেই।
"আমরা এই লড়াইয়ে অংশ নিতে চাই। প্লিজ কমান্ডার, আপনার পরিকল্পনায় কোন একটি স্থান আমাদের দিন"

"আপনারা মানে একজন মানুষ যুদ্ধক্ষেত্রে! এটা পাগলামি ছাড়া আর কিছুই নয়!"
"কোন ভাবে, কমান্ডার , কোন ভাবে কি হয় না? এটা শেষ যুদ্ধ, এটা তার যুদ্ধ , তিনি নেমে আসবেন যুদ্ধ শেষে, সবাইকে উদ্ধার করতে, মানুষের অবশ্যই এখানে অংশ নেয়া উচিত।"

"আপনার কি কোন ধারণা আছে , বর্তমান রোবটিক মেশিন নির্ভর যুদ্ধক্ষেত্র সম্পর্কে, যুদ্ধক্ষেত্রে যে আলট্রাসনিক শব্দ তৈরী হয় তা একশ মাইল দূরে থাকলেও কেউ সহ্য করতে পারবে না, পারমানবিক তেজস্ক্রিয়তা, উত্তাপ, এসবের কথা তো বাদই দিলাম। নরকের সেনাবাহিনী আর আমাদের মেশিন শুধু এই ভয়ানক যুদ্ধক্ষেত্রে টিকে থেকে লড়াই চালিয়ে যেতে পারবে।"

"কিন্তু তারপরও যুদ্ধশেষে তিনি আসবেন, মানুষের থাকা উচিত এই মহান যুদ্ধক্ষেত্রে।"

"আমরা কোন সুযোগ নিতে চাই না, আপনি কি জানেন নরকের সেনাবাহিনীর আসল শক্তি কি? আমাদের কাছে থাকা সেরা অস্ত্র গুলোই ব্যবহার করতে হবে, এটা আমার একার সিদ্বান্ত না, সমগ্র পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রের সম্মিলিত সিদ্বান্ত এটি, আপনি নিশ্চয়ই হারতে চান না"--কন্ঠ উচু করলেন কমান্ডার।

"না, অবশ্যই তা নয়"-- অপ্রস্তুত দেখায় ধর্ম প্রতিনিধিকে।

"তাহলে আপনি যেতে পারেন, আমার সামনে একটা যুদ্ধ আছে, যেটাতে আমাকে লড়তে হবে, জয়ী হতে হবে।"--আলোচনার সমাপ্তি টানলেন কমান্ডার।

একরাশ হতাশা নিয়েই কক্ষ ত্যাগ করলেন ধর্ম প্রতিনিধি।

"এইসব বিরক্তিকর সিভিলিয়ান সহ্য করাই কষ্ট" মুখ বাকালেন কমান্ডার। "জেনারেল আপনাদের প্রস্তুতি কি রকম?"- অপ্রসন্ন ভাবেই জানতে চাইলেন কমান্ডার।

একশ ভাগ, প্রতিটি রোবটের সবরকম হা‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার বার বার চেক করে নেয়া হয়েছে। পাওয়ার সাপ্লাই সো‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্স সঠিকভাবে কাজ করছে। প্রকৃতপক্ষেই সম্পূর্ন আর্মি যুদ্ধের জন্য উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছে। একটা আঙ্গুলের ইশারায় তারা ঝাপিয়ে পড়বে রণক্ষেত্রে। "
উতসাহের সাথে জানালেন জেনারেল ম্যকফে।

"আমাদের বিমান বাহিনী সম্পূন প্রস্তুত"- জেনারেল ডেলের সংক্ষিপ্ত উত্তর।

"স্থল বাহিনীও"- জেনারেল ওনেগিন যোগ করলেন।

খুশী হলেন কমান্ডার। "টেলিভিশনে যুদ্ধটি দেখানো হবে, পুরা মানবজাতির কেউই এই যুদ্ধটি দেখা থেকে বাদ থাকবে না , সবাই দেখবে আমাদের বিজয় গাথা"

"কিন্তু যুদ্ধশেষে কি তিনি আসবেন?"- জেনারেল অনিগিন শুরূ করলেন মূল এবং সবচাইতে অস্বস্তিকর আলোচনা ।

কমান্ডার গভীর চিন্তায় ডুবে গেলেন, এই অংশটুকু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বিষয়, বেশ খানিকটা বিতর্কিতও বটে।

"আমার ধারণা যুদ্ধশেষে অবশ্যই কিছু একটা হবে।" অবশেষে বললেন কমান্ডার।

"তার মানে আমাদের সাথে তার দেখা হবে, তাই নয় কি?" - জেনারেল অনিগিন

"আমি জানি না, হতেও পারে। তুমি নিশ্চয়ই জানো বিষয়টা কতখানি অনিশ্চিত..."- অস্বস্তি অনুভব করেন কমান্ডার।

"তিনি যদি আসেনই, আমরা কি পোষাকে যাব, মানে আমরা ঠিক কি করব?"- জেনারেল ম্যকফে জানতে চাইলেন।

"আমরা আমাদের ইউনিফর্মেই যাব, শুধু পদক গুলা রেখে, সেটা ঔদ্ধত্য দেখানো হয়ে যাবে"- কমান্ডার জানালেন সবজান্তা ভঙ্গিতে।

"আচ্ছা জেনারেলরা কি বিশেষ পোশাকে যেতে পারবেন?"- জেনারেল ম্যকফে বেশ আগ্রহী ভাবে জিজ্ঞেস করলেন।

"মনে হয় আল্লাখেলা জাতীয় কিছু, আমাদেরকে কি স্বর্গে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হবে? আপনার কি মনে হয় কমান্ডার?" - জেনারেল ওনেগিনকেও বেশ আগ্রহী দেখায়।

কমান্ডার বুঝলেন আলোচনা এখানেই শেষ করা উচিত, যা অনিশ্চিত তা অনিশ্চিত থাকাই ভাল, তাছাড়া যুদ্ধের সময়ও উপস্থিত । অবশেষে। যুদ্ধ।

-------------------------------------------------------------------------

মরুভূমিতে নরকের বাহিনীতে বালুঝড় তুলে এগিয়ে আসছে, ভয়ানক এক অশুভ দামামা বাজাচ্ছে দানবের দল। তাদের অস্ত্র চকচক করছে রক্তের আশায়, মানুষের রক্তের আশায়।

কিন্তু মরুভূমির লাল আকাশ কালো করে অপেক্ষা করছে জেনারেল ডেলের বিমান বাহিনী। বালির চাইতে মনে হচ্ছে ওনেগিনের গ্রাউন্ড ট্রুপসের সংখ্যা বেশী ।

শুরু হল যুদ্ধ, শয়তান আর দানবদের ভয়াবহ আক্রমণ, পথভ্রষ্ট ফেরেশতাদের আত্বঘাতী হামলায় আসলেই যুদ্ধক্ষেত্র পরিণত হল নরকের অগ্নিকুন্ডে।

পতিত পাপীদের ভয়াবহ আক্রমণে পিছু হটছিল যান্ত্রিক বাহিনী, হতবাক হয়ে টেলিভিশনের পর্দায় এই ভয়াবহ দৃশ্য দেখছে পৃথিবীতে জীবিত থাকা প্রতিটা মানুষ।

কিন্তু মানুষের সৃষ্ট যন্ত্র তাদেরকে হতাশ করে না, যুদ্ধক্ষেত্রের হাজার মাইল দূরে থাকা জেনারেলদের সুদক্ষ পরিচালনায় পালটা আঘাত হানে রোবট-বাহিনী, নরকের সেনাবাহিনীর পক্ষে এই পক্ষে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলা সম্ভব হয় না, ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে তারা, উপূর্যপরি হাইড্রোজেন বোমার আঘাতে শেষে একেবারেই নির্মূল হয় শয়তানের বাহিনী। সম্পূর্ন ভাবে পরাজিত হল শয়তান, আর্মোগেডননের সম্পাপ্তি হল। মহাযুদ্ধের শেষ হল।

"আমরা জিতেছি, অভিনন্দন জেনারেলগন!"- সোল্লাসে বললেন সুপ্রীম কমান্ডার।

কিন্তু আনন্দোতসব শুরু হওয়ার আগেই টিভি পর্দায় কিছু ঘটতে শুরু করল।

যুদ্ধক্ষেত্রের ধবংসস্তুপে কিছু ঘটছে, একটি স্নিগ্ধ আলো ছড়িয়ে পড়ছে ভেঙ্গে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া রোবটিক শরীরের ইস্পাতের উপর।

"তিনি এসেছেন, তিনি এসেছেন, মানবজাতির উদ্ধার কর্তা এসেছেন"--চিতকার করে বলে উঠলেন জেনারেল ডেল।

"টিকে থাকা রোবটগুলো কে নীচু করাও!"-- কমান্ডার দ্রুত আদেশ দিয়ে উঠলেন। উত্তেজনা তার কন্ঠেও।

"আমরা রোবটিক সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলেছি!"- অবিশ্বাসের সাথে জানালেন জেনারেলরা।

ভেঙ্গে পড়া রোবট, ট্যাঙ্কগুলো দ্রুত জোড়া লেগে যাচ্ছে, আর যুদ্ধক্ষেত্রের মধ্যে হেঁটে বেড়াচ্ছেন তিনি। চারিপাশ আলোতে উজ্জ্বল হয়ে উঠছে, নারকীয় যুদ্ধক্ষেত্র যেন পরিণত হচ্ছে এক স্বপ্নের বাগানে।

"তিনি রোবটদের করুনা করছেন, রোবটদের"- পাগলের মত অস্থির হয়ে উঠলেন জেনারেল ওনেগিন।

"তাকে কেউ জানাও! কেউ যাও! নাকি আমরাই যাব! দ্রুত চল"- বলেই উঠে দাড়ালেন কমান্ডার, কিন্তু তার আর নড়বার সুযোগ হল না।

রোবট আর মেশিনরা ধীরে ধীরে আকাশে উঠতে শুরু করল, সেই সাথে তিনিও ভাসতে থাকলেন। কমান্ডার ফ্লেটারার আর তার জেনারেলরা যুদ্ধক্ষেত্রে পৌছানোর আগেই মানবজাতির শেষ মেসিয়াহ, শেষ উদ্ধারকর্তা, কিছু যন্ত্রদানব উদ্ধার করে আকাশে বিলীন হয়ে গেলেন।

আর্মোগেডননের সমাপ্তির শেষ দেখা হল।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৩৮

আলোরিকা বলেছেন: গল্পের বিষয়বস্তু চমৎকার ! ....... মানবজাতির পরিবর্তে নির্বাণ লাভ করছে কিছু রোবট ! ....... অভিনব :)

১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

ইশতিয়াক মাহমুদ বলেছেন: প্রক্সি দিয়া তো সবসময় কাজ চলে না!! হাহাহাহ.... অনেক ধন্যবাদ পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য।

২| ১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

আলোরিকা বলেছেন: আপনার লেখাটি দুবার কপি হয়েছে ঠিক করে দিন ..... সেই সাথে কিছু মুদ্রণ প্রমাদও ...... ধন্যবাদ :)

১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৩৮

ইশতিয়াক মাহমুদ বলেছেন: দুইবার কপির বিষয়টা বুঝতে পারিনি। যদি দেখিয়ে দেন তো উপকার হয়। আর বানান ভুল... ও তো বাচ্চা কালের অভ্যাস... ছাড়তে সময় নেবে!

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আহা কি তিতে কৌতুক! চমৎকার অনুবাদ!

দুইবার কপি বলতে গল্পের প্রথম ভাগ থেকে 'অবশেষে। যুদ্ধ।' এই পর্যন্ত অংশটা দুইবার এসেছে পরপর। ঠিক করে নিয়েন।

৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮

বিজন রয় বলেছেন: নতুন পোস্ট দিন।

০৫ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:৪২

ইশতিয়াক মাহমুদ বলেছেন: কতকাল পরে আবার সামুতে লগিন করে দেখি আপনার কমেন্ট। আবার নিয়মিত হতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.