নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শনিবার। পুলক আরাম করে দেরী করে ঘুম থেকে উঠল। রীতার ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। আজকে দেখা হবে তাঁদের। বেশ অনেকদিন পর দেখা। শেষ দেখা সপ্তাহ দুয়েক আগে হয়েছে। কোন শার্টটা পরবে? মন ভালো থাকলে নিজের দিকে একটু মনোযোগ দিতে ভালো লাগে। রেডি হয়ে ভালমত নিজেকে আয়নায় দেখে সন্তুষ্ট হল পুলক। খারাপ না।
আজকে রীতাকে বিয়ের কথা বলবে। এখন তো আর সেই বয়স নেই যে অনির্দিষ্টকাল ধরে প্রেম করে যাবে। পুলকের মনে কোন ‘কিন্তু’ নেই। সে রীতাকে পছন্দ করে। রীতাও তাঁকে পছন্দ করে। এটাই সবচেয়ে বড় কথা যে রীতা তাঁকে পছন্দ করে। তাঁকে বোঝে। তাঁকে সহ্য করে। এর চেয়ে বেশী আর কিছুই চাওয়ার নেই।
-কি হে!! কী অবস্থা? শুকায়ে গেস দেখি। খাওয়া দাওয়া কর না, নাকি?
রীতাকে দেখে পুলক বলল।
পুলককে দেখে রীতার হাসি যেন ধরেই না। কতদিন পর দেখা। যেন কয়েক বছর পর দেখা হল। ও পুলকের হাতটা ধরল। আহ!! খুব আনন্দ হচ্ছে রীতার। বাচ্চা মেয়েদের মত পুলকের হাত ধরে দোলাচ্ছে রীতা। রীতার এরকম পাগলামি পুলকের খুব মজা লাগে। কারো কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ আগে সে কখনোই ছিল না। সে সারাজীবন এরকম অনুভব করতে চায়।
-কই? এত শুকাইলা কেমনে?
পুলক আলতো করে গালে হাত বুলায় রীতার।
-কই শুকাইসি। আমি একদম ঠিক আছি।
-বললেই হল!!! যাই হোক বাদ দেও। চল কোথাও বসি। আর হাঁটতে ইচ্ছা করতেসে না।
-ওকে
দুইজনে বসল।
-রীতা তোমার বাসায় কবে যাবো?
-মানে? বাসায় কেন যাবা?
-আরে!! বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে।
-ও বিয়ে? না বাবা! এখনি না।
-কেন? এখনি না কেন?
-আগে আমার মাকে বলা লাগবে।
-কি বলা লাগবে?
-আরে! তোমার আমার কথা।
-এতে এত বলাবলির তো কিছু নাই। এমনিতেও আমাদের দেখা বিয়ের উদ্দেশ্যেই হয়েছিল। এবং তা আমাদের অভিভাবকদের কথামতই।
-তাও আমি মাকে আলাদা করে বলতে চাই। তুমি তো জানো মায়ের কাছ থেকে কিছু লুকালে আমার শান্তি হয় না। মনে হয় যে কিছু একটা ভুল হয়ে যাচ্ছে।
-আচ্ছা বাবা!! ঠিক আছে। তুমি মায়ের সাথে কথা বল।
-কিন্তু পুলক!! আমি চাকরি না পাওয়ার আগে বিয়ে করতে চাচ্ছি না।
-আচ্ছা তাও সই। বিয়ে তো আর বললেই হয়ে যাচ্ছে না। তোমাকে একটু বুক করে রাখি। নইলে কবে আবার কোন দিকে দৌড় দিবা। ঠিক আছে কোন?
-(কৌতুকময় স্বরে) তা অবশ্য ঠিকই বলসো। কোনোই ঠিক নাই। এক লোকের সাথে আর কত?
-(রাগতস্বরে)কি??? আমার সাথে আর থাকতে ভালো লাগছে না? ওকে। থাক। তোমার আর আমার সাথে থাকা লাগবে না।
পুলক রাগে উঠে দাঁড়াতে গেল। রীতা জোর করে ওঁকে হাত ধরে বসিয়ে পুলকের গালে একটা চুমু দিল।
-আমার বোকা বাবু।
পুলক রীতার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। রাগের পরপরই তক্ষুনি কেউ রাগ থামিয়ে দিলে খুব কান্না আসে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষমানুষের কান্না মোটেও শোভন নয়। সে তাড়াতাড়ি উঠে পরল।
-চল। খিদে লেগেছে। আজিজে যাই।
রীতা বসা অবস্থায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাঁর দিকে। ওঁকে টেনে তুলে ওরা আজিজ সুপার মার্কেট এর দিকে চলল।
নাজমা হক আজকে একটু বের হয়েছিলেন। বাসার আকুয়ারিয়ামের জন্য গোল্ড ফিশ কিনতে হবে। মিতার খুব শখ হয়েছে গোল্ড ফিশ কিনার। বেশ অনেকদিন ধরে চিল্লায়ে কানের পোকা নাড়িয়ে দিচ্ছে মেয়েটা। গোল্ড ফিশ কিনে আনো! গোল্ড ফিশ কিনে আনো! মেয়েটা এত অস্থির আর অবাধ্য!! যা বলবে তাই তাঁর কিনা লাগবে। মেয়েদের শার্ট পড়া একদম পছন্দ না নাজমা হকের। রীতাকে সে কখনো সালওয়ার কামিজ আর শাড়ি ছাড়া কিছু পড়তে দেননি। কিন্তু মিতা ঠিকই শার্ট পড়ে ঘুরে বেড়ায়। তাঁকে কিছুই বলা যায় না।
একটু আজিজেও যাওয়া দরকার। রীতা-মিতার বাবার জন্য একটা পাঞ্জাবি কিনতে হবে। লোকটার জন্মদিন সামনের সপ্তাহে। হঠাৎ নাজমা হক যেন ভূত দেখলেন। তিনি দেখলেন তাঁর সামনে দিয়ে রীতা একটা ছেলের হাত ধরে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে গেল। তাঁর মেয়ে রীতা।
পর্ব-১
Click This Link
পর্ব-২
Click This Link
পর্ব-৩
Click This Link
পর্ব-৪
Click This Link
পর্ব-৫
Click This Link
পর্ব-৬
Click This Link
পর্ব-৭
Click This Link
পর্ব-৮
Click This Link
পর্ব-৯
Click This Link
পর্ব-১০
Click This Link
পর্ব-১১
Click This Link
পর্ব-১২
Click This Link
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪
সুহান সুহান বলেছেন: এহ হে!! সত্যি সত্যি লিখা থামিয়ে দিয়েছিলাম। আবার শুরু করবো। মন্তব্য করতে থাকবেন। ধন্যবাদ।
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১
স্বপনচারিণী বলেছেন: ইস! মাকে ভিলেন বানিয়ে ছাড়লেন দেখছি। জমে উঠেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৮
ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: ওহ নো এটা কী করলেন? এই জায়গায় এনে কেউ গল্প থামিয়ে দেয়? দেয় সব গল্প লেখকগুলা এই কাজ করে।
ভালো লেগেছে। পরের পর্ব আশা করছি পাবো। কী হয় জানার অপেক্ষায় আছি।
ভাগ্য ভালো আমার মা বাসা থেকে বের হন না, আর বাবা বাসার বাইরে রেস্টুরেন্ট আর দোকানের খাবার পছন্দ করেন নাহ। নাহলে আজিজেতো আমরাও যাই।
কিন্তু তার পরেও আম্মার স্পাইগুলা মাঝে মাঝে কিছু খবর তার কাছে হঠাৎ হঠাৎ পৌঁছে দেয়