নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জুবায়ের সুহান

সুহান সুহান

দ্বিধান্বিত

সুহান সুহান › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন অফিস বাসা-১

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৩৬


ঝড় আসলে দুনিয়ার তাবৎ রসকষহীন মানুষেরও হয়তো ক্ষুদ্রতম একটা সময়ের জন্য উদাসীন লাগতে পারে। মনের আনাচে কানাচে পড়ে থাকা সব হিসাবের কথা জলাঞ্জলি দেয়ার কথা মনে হতে পারে । সব অভিমানকে তুচ্ছ করে দেয়ার ইচ্ছে হতে পারে। কিন্তু নাইমার এরকম কিচ্ছুই হয় না। বরং উল্টোটা হয়। ঝড় আসলে তাঁর খুবই বিরক্ত লাগে। তাঁর বিরক্তির প্রধান কারণ “ধূলা”। নাইমা দুই চোখে ধূলা দেখতে পারে না। শফিকের ধারণা ধূলার প্রতি তাঁর এই বিরূপ মনোভাব এক ধরনের বাতিক। কিছু মানুষ থাকে না!! বাতিকগ্রস্ত। শুচিবাই গোছের!! অন্যদিকে নাইমার ধারণা শফিক ‘ধূলা’ জগতের এক প্রতিনিধি। সে বাইরে থেকে আসে ‘ধূলা’ নিয়ে। বিছানায় ওঠে ‘ধূলা’ নিয়ে। জামা কাপড়ে ‘ধূলা’ গয়না গাটির মত লেগে থাকে। মাঝে মাঝে নাইমার মনে হয়, এই মানুষটা যদি টানা ৭ দিন ঘুমায় (খুব অসম্ভব কিছু না) তাহলে তাঁর গায়েও ধূলা পড়বে এবং এতে ঐ লোকের বিন্দুমাত্র অসুবিধা হবে না। কথাটি হয়তো পুরোপুরি মিথ্যাও না।

আকাশ কালো করে ঝড় আসছে আসছে করছে। বিরক্ত হয়ে আসন্ন ঝড়ের দিকে তাকিয়ে আছে নাইমা। শফিক থাকলে জোর করে ওকে ধরে নিয়ে যেত বারান্দায়। “চল চল ঝড় আসছে।“ যেন কি বিশাল রসগোল্লার মত আনন্দের একটা ব্যাপার। তারপরে একটু ডিম ভাজি আর খিচুড়ির আব্দার। সে আব্দার সে আনন্দের সাথেই পূরণ করে দেয়। যতই বিরক্ত ভাব দেখাক!!! তাঁর স্বামীকে তাঁর ভালোই লাগে। একটু পাগলাটে উদাসীন ধরনের রোমান্টিক মানুষ। বরং নাইমাই একটু কাঠখোট্টা। অন্তত ভাব তো তাই দেখায়। অনেক মনের হাসি মনেই রেখে দেয় সে। ঠোঁটে আসতে দেয় না। পুরুষ-কে সব বোঝাতে নেই। এরা শিশুর মত। সব বুঝে গেলে খেলনার মত আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। নাইমার বান্ধবী উদিতা আবার অন্য ধরনের। স্বামী নিয়ে কোন আদিখ্যেতা নেই। স্বামী স্বামীর মত থাকবে। যদিও উদিতার প্রেমের বিয়ে। রাজনের সাথে ৭ বছর প্রেম করে তারপর বিয়ে। সে বিয়ের তিন বছর গেল। উদিতা এখনই হতাশ। কথায় কথায় বলে- “প্রেমিক পুরুষ আর স্বামী পুরুষের মধ্যে আকাশ আর পাতালের তফাৎ।“

কি জানি!! এত তিক্ততা এখনো নাইমার মনে দানা বাঁধেনি। হয়তো সময় গেলে আসবে। যদিও তাঁর আর শফিকের বিয়ের বয়সও তিন। তবে তাঁদের এরেঞ্জ ম্যারেজ। ঝড় শুরু হয়ে গেছে। গলির মাথায় শফিককে দেখা গেল আস্তে আস্তে আসতে। ঝড়ের সময় মানুষ তাড়াহুড়া করে। আর উনি একদম হেলে দুলে আসছেন। নাইমা জানালা থেকে সরে আসল। শফিকের ঠিক নেই। জানালায় দেখলে রাস্তায় নামতে ডাকাডাকি করবে। সে কাজের মেয়ে আসিয়া-কে ঘরদোরের জানালা আটকাতে বলল। নিজে গিয়ে খিচুড়ি আর ডিম ভাজির ব্যবস্থা করা শুরু করল।


শফিক একজন সুখী মানুষ। রাতে তাঁর ঘুম ভালো হয়। সকালে সে প্রয়োজনমত উঠতে পারে। ‘প্রয়োজনমত’ কথাটার মানে হচ্ছে শফিক চাইলে সকালেও উঠতে পারে। আবার রাতে ঘুমিয়ে পরদিন বিকালেও উঠতে পারে। তাঁর কাছে মনে হয় এটা তাঁর অনেক বড় প্রতিভা। কারণ দুনিয়ার বেশীরভাগ মানুষকেই সে ঘুম নিয়ে অনুযোগ করতে দেখেছে। অন্য বাড়িতে ঘুম হয় না। একবার ভেঙ্গে গেলে আর ঘুম হয় না। শব্দে ঘুম হয় না। এরকম অনেক কারণ। তাঁর এরকম কিছু নেই। কিন্ত নাইমা কখনো তাঁর এই প্রতিভার মূল্য দেয় না। শফিকের আরো অনেক প্রতিভা আছে। যেমন সে যে কোন কিছু খেতে পারে। আধা কাচা থেকে শুরু করে অসাধারণ রান্না সে সমান আগ্রহ নিয়ে খায়। এমন না যে সে রান্নার ভালো খারাপ বোঝে না তা-না। রান্নার খারাপ নিয়ে কথা বলতে তাঁর ভালো লাগে না। শুধু রান্না কেন কোনকিছু নিয়েই খারাপ বলতে শফিকের ভালো লাগে না। তাঁর এই প্রতিভারও কোন স্বীকারোক্তি স্ত্রীর কাছ থেকে সে পায়নি। নাইমার ধারণা শফিক নিম্ন বুদ্ধিবৃত্তি সম্পন্ন প্রাণীদের মত, যে খাবারের স্বাদ বোঝে না।
এরকম ধারণা শফিকের অফিসের কলিগদেরও। কারণ সকল অফিসই মোটামুটি একটা রঙ্গমঞ্চ। ‘জীবন’ নামক একটা একঘেয়ে জিনিস মানুষ টেনে নিয়ে যায় যার একটা বড় অংশ অফিসে কাটে। বাধ্যতামূলকভাবেই অফিসকে একটা রঙ্গমঞ্চ করে নিতেই হয়। অফিসের রঙ্গমঞ্চে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাঁরা জীবনের পাওয়া না পাওয়ার সকল আক্ষেপ অফিসে এসেই মেটায়। স্বামী এবং শাশুড়ির চোদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করে। আশেপাশে দুয়েকজন ব্যতিক্রম নারী যারা ব্যক্তিগত কথা তেমন বলে টলে না তাঁদেরও চোদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করে। এতে তাঁদের সময় খুব ভালো কাটে। অফিস তাঁদের মোটামুটি মুক্তির জায়গা। পরনিন্দা পরচর্চা করে তাঁদের ভালোই সময় কেটে যায়। জিনগতভাবেই পুরুষ নারীর মত পরনিন্দা পরচর্চায় পটু না। কিন্তু জিনগতভাবে পুরুষ বহুগামী বটে। তাই অফিসের এই নারীদের রসিয়ে রসিয়ে পরনিন্দা পরচর্চা করতে দেখতে পুরুষদের ভালোই লাগে। তাঁদের একটু কপট মুখ ঝামটা বা দুষ্টুমি করে আদরের ডাক পুরুষদের অভ্যস্ত জীবনে একটু রঙ্গিন অনভ্যস্ত আনন্দ দেয়। এটা তাঁদের সেই জায়গা যেখানে নারীসঙ্গের জন্য স্ত্রীর চোখ শাসানি নেই। যদিও এগুলো আপাতদৃষ্টিতে খুবই নির্দোষ ঘটনা। তবে নির্দোষের বাইরেও কিছু কিছু ঘটনা ঘটে। নারীদের মুখে মুখেই তা রটে। তবে এই সকল সেটের বাইরে শফিক। সাথে আছে কামাল। এরা দুইজন দূর থেকে মজা করে নিরাপদ দূরত্ব রেখে। কামাল তাও মাঝে মাঝে মজার রসদ হিসেবে খবরাখবর নিয়ে আসে। একটু আকটু ঢলাঢলি করতে কামালের খারাপ লাগে না। কিন্তু শফিক একেবারেই পারে না। এইতো প্রতিদিন সকালে আইরিন নামের নতুন মেয়েটা একবার করে টেবিলে এসে প্রতিদিন গল্প করে যায়। শুধু যে তাঁর টেবিলে আসে তা-না। সবার টেবিলেই যায়। কেউ আসলে শফিক নীরস থাকে না। ভালোভাবেই কথা বলে। আইরিনের বুকের ওড়না বুকে কম, গলায়ই বেশী থাকে। তাঁর বড় আকৃতির বুক শফিকের দিকে উদ্ধত হয়ে তাকিয়ে থাকে। শফিক দেখেও দেখে না। সে আইরিনের চোখের দিকে তাকিয়েই কথা বলে। বুকের সাথে সাথে আইরিনের চেহারাও দেখতে ভালো। তবে চড়া মেকাপ। আসল চেহারা কেমন কে জানে!!! যখনই তাঁর মনে হয় চোখটা যেন মধ্যাকর্ষণের ভারে বুকের উপর ভূপাতিত হবে তখনই শফিক ব্যস্ত ভঙ্গিতে কম্পিউটারে চোখ ফেলে। আইরিনও কিছুক্ষণ পরে চলে যায়। শফিকও হাঁফ ছাড়ে। সকালটা এভাবেই অফিসে ঢিলাঢালাভাবে শুরু হয়। কিন্তু ম্যানেজার স্যার আসলেই একেবারে সবাই নিপাট ভালো মানুষ। সবাই সবার ডেস্কে। সবার চোখ কম্পিউটার স্ক্রিনে। ম্যানেজার স্যার তাঁর কাচে ঘেরা রুমে ঢুকে গেলেই সবাই গোপনে চেপে রাখা নিঃশ্বাস ফেলে। একজন আরেকজনের দিকে তাকায়। ইশারা করে। হাসে। চোখ মটকায়। সুখী মনে হয় সবাইকে। শুধু একজন নীরস মুখে একটা ফাইল হাতে ম্যানেজার স্যারের রুমে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়। তিনি নীলা ম্যাডাম। ডিপার্টমেন্টের এসোসিয়েট ম্যানেজার। ম্যানেজার স্যারের পরেই তাঁর পোস্ট।

শফিক তাকিয়ে নীলা ম্যাডামের ম্যানেজার স্যারের রুমে যাওয়া দেখল। মনে মনে ভাবল যে সে কখনো নীলা ম্যাডামের পোস্টে যেতে চায় না। অযথা অনেক চাপ আর কষ্ট। যদিও টাকা খারাপ দেয় না। তাও শফিকের এত টাকার প্রয়োজন নেই। তাঁর আর নাইমার ছোট্ট সংসারে তাঁর বর্তমান উপার্জনে ভালোই চলে যাচ্ছে। শফিকের বাবা মা থাকে দেশের বাড়িতে। ওখানে বড় ভাইয়ের সাথে থাকেন তাঁরা। বড় ভাইয়ের পরে মেঝো ভাই ইটালিতে থাকে। তাই শফিকের ওপর তেমন চাপ নেই। মাঝে মাঝে বাবা মা ঢাকা এসে ঘুরে যায়। তবে আজকাল প্রায়ই ভবিষ্যতের কথা একটু একটু করে চিন্তা করে সে। আসছে বছর তাঁর আর নাইমার বাবু নেয়ার শখ। বাবু নেয়া মানে তো আর শুধু বাবু নেয়া না। বাবুর খরচ-পাতি তো আছে। যদিও কামাল কথায় কথায় বলে, “ ধুর!! শফিক ভাই!! আপনি অযথাই চিন্তা করেন। রিজিকের মালিক আল্লাহ। এত চিন্তা কইরেন না। “ কামাল সব কথাই এরকম হাল্কা করে ফেলে। কোন কিছুই কামালকে তেমন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করতে পারে না। সে কিভাবে যেন সকল সময়ে শান্ত আর হাশি-খুশি থাকার একটা বিরল ক্ষমতা অর্জন করে ফেলেছে। সেবার যখন মাসের মাঝখানে ম্যানেজার স্যার মিটিং ডাকল। সবার সে কী টেনশন!!! ম্যানেজার স্যার সব সময় মাসের প্রথমে মিটিং ডাকেন। মাসের বাকি সময়ের কাজ সবাইকে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য। ছোট- খাটো জিনিস যা উনার চোখে পড়ে সেগুলোও মাঝে মাঝে তুলে ধরেন। মাসের প্রথম মিটিং-এর জন্য সবাই প্রস্তুতই থাকে। মাসের মাঝের মিটিং মানেই বিপদ। কোন কিছুতে অসন্তোষ প্রকাশের জন্যই ঐ মিটিং ডাকা হয়। এসব মিটিং-এর আগে মহিলাদের অবস্থা দেখার মত হয়। একজন আরেকজনের সাথে গুজুর গুজুর ফুশুর ফুশুর। কি নিয়ে মিটিং!! রেশমা আপা বলছেন- “ আমি তো শুধু ৩ দিন আসতে পারিনি আর দুই দিন লেট। মেয়েটার খুব অসুখ ছিল। আল্লাহই জানে স্যার কি বলে!!” রেশমা আপার কথা শুনে শাকিলা আপা আরো টেনশনে। উনার তো ৭ দিন মিস। উৎকণ্ঠায় উনার চোখ মুখ শুকিয়ে যায়। প্রত্যেকে নিজের নিজের কৃতকর্মের কথা ভাবে আর দুশ্চিন্তায় ভোগে। শুধু আইরিনকে দেখা যায় পুরুষদের দলে। সে নেকু নেকু গলায় আফসারকে বলে-“আফসার ভাই!!! মিটিং এ কি হবে!!! বলেন না!!! “ আফসার নিজেও তখন কিঞ্চিৎ দুশ্চিন্তায় ভুগছে। তাও সে তাঁর পৌরুষ বিসর্জন দিতে নারাজ। সে ভাব গাম্ভীর্যের সাথে বলে-“আইরিন!! এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা তো আছিই।“ জবাবে আইরিন নেকু নেকু গলায় কু কু করতে থাকে। একমাত্র কামালকেই দেখা যায় স্ফূর্তি মুডে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মাঝে মাঝে ফিক ফিক করে হাসছেও। শফিক জিজ্ঞেস করে- “ এই তুমি একটু পর পর হাসতেস কেন?” জবাবে কামাল বলে আর হাসে- “দেখেন না একেক জনের দিকে তাকিয়ে। মনে হচ্ছে কেয়ামত নেমে আসছে সবার উপর। হাহাহা। কি এক চাকরি!! তাঁর জন্য টেনশন কোটি টাকার।“ ওঁর কথা শুনে শফিক নিজেও এরকম টান টান উত্তেজনাময় পরিবেশের একটা হাস্যকর দিকও দেখতে পায়। তাঁর নিজের যা একটু চিন্তা হচ্ছিল তাও চলে যায়। এরকম সময়ে কামাল একজন আদর্শ সঙ্গী। আর এরকম সময়ে চির পরিত্যাজ্য মহিলা সম্প্রদায়। এরা নিজেরা টেনশন তো করেই। বিভিন্ন এঙ্গেলে তাঁরা টেনশনে নতুন মাত্রা যোগ করায়।
- রেশমা!! রিপোর্টটা যে স্যারের কাছে জমা দিসিলা। স্যারের সাইনের জায়গা রাখসিলা? আগের বার কাকে যেন বকল!!
- কোন রিপোর্ট!!! আমি আবার কবে রিপোর্ট জমা দিলাম?
- দেও আর না দেও!! তোমার নাম তো আছে ঐ প্রোজেক্টে।
- হায় হায়!!! ঐটা তো আইরিনকে করতে দিসিলাম। ঐ মেয়ে তো খালি গলায় ওড়না দিয়ে ইংলিশ বলতে পারে। দাঁড়াও!! ওরে ধরি গা!!! ওঁর জন্য তো সবার সামনে আমি ঝাড়ি খাবো না। অকারণ কেন আমি কথা শুনতে যাব। এই আইরিন!!! আইরিন!!!
এরকম নাটক চলতেই থাকে আর কামাল ফিক ফিক করে হাসতেই থাকে। শফিকও চুপচাপ এসব দেখতে থাকে। অবশেষে খুব ভয়ানক কিছু সেই মিটিং-এ ঘটে না। সামনের মাসে একসাথে অনেকগুলো প্রোজেক্ট হাতে আসবে। সব টিম যেন ঠিকভাবে কাজ করে। একে অপরকে হেল্প করে। পার্টি যেন খুশি থাকে। এটাও যোগ করে যে সবার কাজে তিনি খুশি। Keep up the good work!! মিটিং থেকে বের হয়ে সবাই পুলসিরাত পাড় করার মত খুশি হয়। আইরিনের গলা বড় জামা আরো নিচে নেমে আসে। আফসার আড় চোখে সেদিকে তাকিয়ে ঠোঁট উল্টিয়ে তুচ্ছার্থে বলে- “আমি বলেছিলাম না কিছুই হবে না। তুমি তো আমার কথা বিশ্বাসই করলা না।“ রেশমা আপা টেনশনের কথা ভুলে আইরিনের দিকে তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে গলা নিচু করে পাশের জনকে বলে- “ এত ঢং যে এই ধাড়ি ছেরি কেমনে করে!! লজ্জাও নাই। আর ব্যাটা মানুষও। মাংস দেখলেই কুত্তা হইয়া যায়।“ শুধু কামালের ফিক ফিক হাসি চলতে থাকে।

(চলবে)
পর্ব-২ Click This Link পর্ব ৩ Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.